প্রশ্নঃ ৬৫৫০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম হযরত, মাসিক অবস্থায় সূরা মুজাম্মিল পড়া যাবে? কোরআনে তাফসির পড়া যাবে? তার জন্য ওজু করতে হবে কি?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মাসিক অবস্থায় নামায পড়া, কুরআন তিলাওয়াত করা, রোযা রাখা, বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করা, স্বামী-স্ত্রী সহবাস করা হারাম।
অবশ্য নিজের ও বাচ্চাদের প্রতিরক্ষার জন্য সুরাতুল ফাতিহা, আয়াতুল কুরসী, সূরা ফালাক, সূরা নাস পড়ে নিজের গায়ে ও বাচ্চাদের গায়ে ফু দেয়া যাবে। তিলাওয়াত হিসেবে এসব পড়া যাবে না।
এছাড়া দুরুদ শরীফ পড়া, তাফসীর অধ্যায়ন করা ইত্যাদিতে বাধা নেই। তাফসীর পড়ার ক্ষেত্রে কাগজের যে অংশে আয়াত লেখা আছে সেখানে স্পর্শ করা যাবে না।
উল্লেখ্য, যেকোন নফল ইবাদত অজু অবস্থায় করা উত্তম।
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، قَالَ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، قَالَ حَدَّثَتْنِي مُعَاذَةُ، أَنَّ امْرَأَةً، قَالَتْ لِعَائِشَةَ أَتَجْزِي إِحْدَانَا صَلاَتَهَا إِذَا طَهُرَتْ فَقَالَتْ أَحَرُورِيَّةٌ أَنْتِ كُنَّا نَحِيضُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلاَ يَأْمُرُنَا بِهِ. أَوْ قَالَتْ فَلاَ نَفْعَلُهُ.
মু’আযাহ রহ. থেকে বর্ণিত:
জনৈকা মহিলা ‘আয়িশা রাযিয়াল্লাহু আনহাকে বললেনঃ হায়েযকালীন কাযা সালাত পবিত্র হওয়ার পর আদায় করলে আমাদের জন্য চলবে কি-না? ‘আয়িশা (রাঃ) বললেনঃ তুমি কি হারূরিয়্যাহ? (খারিজীদের একদল) [১] আমরা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সময়ে ঋতুবতী হতাম কিন্তু তিনি আমাদের সালাত কাযার নির্দেশ দিতেন না। অথবা তিনি [‘আয়িশা (রাঃ)] বলেনঃ আমরা তা কাযা করতাম না।
—সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩২১
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন