প্রশ্নঃ ৬২৭৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মাগরিবের ওয়াক্তে নামাজ না পড়তে পারলে এশার আযান হওয়ার পর কি পড়া যাবে?তাহলে কি করণীয়?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
মাগরিবের নামায ওয়াক্ত মত পড়তে না পারলে ইশার ওয়াক্ত শুরু হয়ে গেলে কাযা পড়ার নিয়ত করে মাগরিব পড়ে নেবে।
উল্লেখ্য, ওয়াক্ত মতো নামায আদায় করা ফরয। ঈমানের পর নামাযের প্রতি জীবনের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।
فَاِذَا قَضَیۡتُمُ الصَّلٰوۃَ فَاذۡکُرُوا اللّٰہَ قِیٰمًا وَّقُعُوۡدًا وَّعَلٰی جُنُوۡبِکُمۡ ۚ فَاِذَا اطۡمَاۡنَنۡتُمۡ فَاَقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ ۚ اِنَّ الصَّلٰوۃَ کَانَتۡ عَلَی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ کِتٰبًا مَّوۡقُوۡتًا
যখন তোমরা সালাত আদায় করে ফেলবে, তখন আল্লাহকে (সর্বাবস্থায়) স্মরণ করতে থাকবে- দাঁড়িয়ে, বসে এবং শোওয়া অবস্থায়ও। ৭৪ অতঃপর যখন (শত্রুর দিক থেকে) নিরাপত্তা বোধ করবে, তখন সালাত যথারীতি আদায় করবে। নিশ্চয়ই সালাত মুসলিমদের এক অবশ্য পালনীয় কাজ নির্ধারিত সময়ে।
—আন নিসা - ১০৩
তাফসীরঃ
৭৪. অর্থাৎ সফর বা ভীতি অবস্থায় নামায কসর (সংক্ষেপ) হয় বটে, কিন্তু আল্লাহর যিকির সর্বাবস্থায়ই চালু রাখা চাই। কেননা এর জন্য যেমন কোনও সময় নির্দিষ্ট নেই, তেমনি পদ্ধতিও। দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে সর্বাবস্থায়ই যিকির করা যেতে পারে।
ব্যাখ্যাঃ
আলোচ্য আয়াত ভয়ঙ্কর অবস্থায় নামাযের মধ্যে বিভিন্ন আচরণ ও গতিবিধির অনুমতি ও তখনকার পরিস্থিতর সঙ্গে সম্পৃক্ত । স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নামায যথাযথ ও সঠিকভাবে পড়তে হবে, তার বর্ণনাপূর্বক আল্লাহপাক এরশাদ করেন, অতঃপর যখন তোমরা এ নামায সম্পন্ন কর তখন তোমরা আল্লাহকে স্মরণ করতে থাক দাঁড়িয়ে, বসে ও শায়িত অবস্থায়ও । অতঃপর যখন তোমরা নিশ্চিত হও, তখন যথানিয়মে নামায পড়তে থাক । নিশ্চয়ই নামায মুসলমানদের উপর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফরয করা হয়েছে । অর্থাৎ সময়ের মধ্যে কেবল নামাযই সীমাবদ্ধ । যিকির প্রত্যেক অবস্থায়ই চলতে পারে ।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন