প্রত্যেক রাকাতেই কি দুইটি করে সিজদা আবশ্যক
প্রশ্নঃ ৪৫৩২২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, বরাবর, মুফতী সাহেব (দাঃবাঃ) মুসলিম বাংলা এপ্স।
বিষয়ঃ নামাজে লোকমা দেয়ার প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন: ইমাম সাহেব যদি নামাজের শেষ রাকাতে এক সেজদা দিয়ে বৈঠক শেষে সালাম ফিরিয়ে ফেলে, এমতাবস্থায় মুক্তাদির করনীয় কী? সে কি ইমাম সাহেবের সাথে সালাম ফিরাবে নাকি লোকমা দিবে? আর যদি লোকমা দিতে হয় তাহলে এই ক্ষেত্রে লোকমা দেয়ার পদ্ধতিটা কী হবে? শরীয়তের আলোকে জানিয়ে বাধিত করবেন, শুকরিয়া।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
সম্মানিত প্রশ্নকারী!
নামাজের প্রত্যেক রাকাতেই দুইটি করে সিজদা করা ফরজ। ইচ্ছা করে এক সেজদা করলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে। আর যদি ভুলে এক সিজদা করে তাহলে করণীয় হলো, যখনই (যে রোকনেই হোক) স্মরণ হবে ইচ্ছা করলে সাথে সাথে সেজদা করে নিবে অথবা চাইলে নামাজের শেষেও আদায় করতে পারবে। তবে শেষ বৈঠকে তাশাহুদের পরে যদি ছেড়ে দেওয়া সেজদা আাদায় করে তাহলে ওই সেজদার পর আবার তাশাহুদ পড়তে হবে। তাশাহুদের পর আবার সিজদা সাহু করে পুণরায় তাশাহুদ, দুরুদ শরীফ এবং দুয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফেরাবে।
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে মুসল্লিদের জন্য লোকমা দেওয়া অবশ্যক। লোকমা দেওয়ার পদ্ধতি হলো, যখন ইমাম সাহেব ভুল করে সালাম ফিরিয়ে দিচ্ছিন তখন মুসল্লিরা “সুবহানাল্লাহ” বলবেন। (লোকমা দেওয়ার পদ্ধতি: ৪৩০৮৬ নং রেফারেন্সটি দেখুন।) তখন ইমাম সাহেবের করণীয় হলো, মুসল্লিরা লোকমা দেওয়ামাত্রই নামাজ ভঙ্গকারী কোনো কাজ করার আগে ভুলবশত ছেড়ে দেওয়া সিজদা আদায় করবে। অতঃপর তাশাহুদ পাঠ করে নিয়মমাফিক সাহু সিজদা করবে, তথা এক দিকে সালাম ফিরিয়ে দুই সিজদা করবে। তারপর আবার নিয়মতান্ত্রিক তাশাহুদ, দুরুদ শরীফ ও দুয়া মাসুরা পড়ে সালামের মাধ্যমে নামাজ শেষ করবেন।
قال في المراقي، لأن السجود الثاني کالأول فرض بإجماع الأمة، (حاشیة طحطاوی: ۲۳۴) جب یاد آئے فوراً سجدہ کرے، جس رکن میں یاد آنے پر سجدہ کیا اس رکن کا اعادہ مستحب ہے، واجب نہیں۔ قعدہ اخیرہ کے درمیان یا اس کے بعد سجدہ کیا تو تشہد کا اعادہ واجب ہے، في البحر عن الفتح لہ أن یقضي السجدة المتروکة عقب التذکر ولہ أن یوٴخرھا إلی آخر الصلاة فیقضہا ہناک (شامي: ۱/۵۷۳) اگر سلام پھیرنے کے بعد مسجد سے نکلنے سے قبل یاد آگیا تو فوراً سجدہ کرے، پھر تشہد دوبارہ پڑھ کر سجدہ سہو کرے، اس کے بعد پھر حسب قاعدہ تشہددرود شریف اوردعا پڑھ کر سلام پھیرے۔ قال في الشامیة ولونسي السہو أو سجدة صلبیة أو تلاویة یلزم ذلک ما دام في المسجد․
https://darulifta-deoband.com/home/ur/salah-prayer/25153
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
উস্তাজুল ইফতা, জামিয়া ইমাম বুখারী, উত্তরা, ঢাকা।
রেফারেন্স উত্তর :
প্রশ্নঃ ৪৩০৮৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, নামাজে ভুল হলে "আল্লাহু আকবার" বলে ইমাম সাহেব কে অ্যালার্ট করা যাবে কি?? নাকি "সুবহানাল্লাহ" বলে অ্যালার্ট করতে হবে? আল্লাহু আকবার এবং সুবহানাল্লাহ কোনটাব পক্ষে সহি হাদিস আছে.? ইদানিং এই প্রশ্ন একটু বিভ্রান্তিতে পড়ে যাচ্ছি! আশা করি শীঘ্রই উত্তর পাবো। জাঝাকাল্লাহ খাইরান।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
সুনানে নাসায়ী
হাদীস নং: ১১৭৮আন্তর্জাতিক নং: ১১৭৮
أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ سُلَيْمَانُ بْنُ سَيْفٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَعْرَجِ، عَنِ ابْنِ بُحَيْنَةَ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى، فَقَامَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ، فَسَبَّحُوا فَمَضَى، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ صَلَاتِهِ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ، ثُمَّ سَلَّمَ».
আবু দাউদ সুলাইমান ইবনে সায়ফ (রাহঃ) ......... ইবনে বুহায়না (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) নামাযে দু’রাকআতের পরে না বসে দাঁড়িয়ে গেলেন। তখন সাহাবায়ে কিরাম “সুবহানাল্লাহ” বলে উঠলেন। তিনি নামায চালিয়ে গেলেন। তারপর যখন তিনি নামাযের শেষ অবস্থায় পৌছলেন, তখন দুটি সিজদা করলেন। তারপর সালাম ফিরালেন।
ইমামের ভুল হলে সুবহানাল্লাহ বলে লোকমা দেয়া সুন্নত। হাদীস ও ফিকহের কিতাবাদিতে সুবহানাল্লাহ বলে লোকমা দেওয়ার কথাই আছে। সুতরাং কোনো ভুলের ব্যাপারে ইমামকে সতর্ক করতে চাইলে সুবহানাল্লাহ বলা উচিত। (শরহু মাআনিল আছার ১/২৯৪; নুখাবুল আফকার ৪/৩৬৯; আলমাবসূত ১/২০০; আল মুহীতুল বুরহানী ২/২১৩; শরহুল মুনইয়া ৪৪৯)
তবে সুবহানাল্লাহ বলে সতর্ক করার বিষয়টি যদি কারো জানা না থাকে আর সে আল্লাহু আকবার বলে সতর্ক করে তাহলে এর কারণেও নামাজের কোনো ক্ষতি হবে না।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
উস্তাজুল ইফতা, জামিয়া ইমাম বুখারী, উত্তরা, ঢাকা।
রেফারেন্স উত্তর :
লোকমা কি সুবহানাল্লাহ বলে দিবে না আল্লাহু আকবার বলে?
প্রশ্নঃ ৪৩০৮৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, নামাজে ভুল হলে "আল্লাহু আকবার" বলে ইমাম সাহেব কে অ্যালার্ট করা যাবে কি?? নাকি "সুবহানাল্লাহ" বলে অ্যালার্ট করতে হবে? আল্লাহু আকবার এবং সুবহানাল্লাহ কোনটাব পক্ষে সহি হাদিস আছে.? ইদানিং এই প্রশ্ন একটু বিভ্রান্তিতে পড়ে যাচ্ছি! আশা করি শীঘ্রই উত্তর পাবো। জাঝাকাল্লাহ খাইরান।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
সুনানে নাসায়ী
হাদীস নং: ১১৭৮আন্তর্জাতিক নং: ১১৭৮
أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ سُلَيْمَانُ بْنُ سَيْفٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَعْرَجِ، عَنِ ابْنِ بُحَيْنَةَ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى، فَقَامَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ، فَسَبَّحُوا فَمَضَى، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ صَلَاتِهِ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ، ثُمَّ سَلَّمَ».
আবু দাউদ সুলাইমান ইবনে সায়ফ (রাহঃ) ......... ইবনে বুহায়না (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) নামাযে দু’রাকআতের পরে না বসে দাঁড়িয়ে গেলেন। তখন সাহাবায়ে কিরাম “সুবহানাল্লাহ” বলে উঠলেন। তিনি নামায চালিয়ে গেলেন। তারপর যখন তিনি নামাযের শেষ অবস্থায় পৌছলেন, তখন দুটি সিজদা করলেন। তারপর সালাম ফিরালেন।
ইমামের ভুল হলে সুবহানাল্লাহ বলে লোকমা দেয়া সুন্নত। হাদীস ও ফিকহের কিতাবাদিতে সুবহানাল্লাহ বলে লোকমা দেওয়ার কথাই আছে। সুতরাং কোনো ভুলের ব্যাপারে ইমামকে সতর্ক করতে চাইলে সুবহানাল্লাহ বলা উচিত। (শরহু মাআনিল আছার ১/২৯৪; নুখাবুল আফকার ৪/৩৬৯; আলমাবসূত ১/২০০; আল মুহীতুল বুরহানী ২/২১৩; শরহুল মুনইয়া ৪৪৯)
তবে সুবহানাল্লাহ বলে সতর্ক করার বিষয়টি যদি কারো জানা না থাকে আর সে আল্লাহু আকবার বলে সতর্ক করে তাহলে এর কারণেও নামাজের কোনো ক্ষতি হবে না।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
উস্তাজুল ইফতা, জামিয়া ইমাম বুখারী, উত্তরা, ঢাকা।
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন