আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৩২৮১. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমাদের এলাকায় এ পদ্ধতিতে ধান বেচাকেনা হয় যে, আপনি ১০০০/-টাকা দিবেন। ৪ বা ৫ মাস পরে আপনাকে ৩ বা ৪ মণ ধান দেবে। আলেমগণ এভাবে ধান বেচাকেনাকে জায়েয বলেন। আমরা শুনেছি যে, ধান ক্ষেত থেকে এভাবে বিক্রি করা নাকি নাজায়েয। বিষয়টি বুঝিয়ে বলবেন। আমাদের এলাকার ওই পদ্ধতিতে ধান বেচাকেনা শরীয়তসম্মত হবে কি না? বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।

২৮ অক্টোবর, ২০২০

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী ওই কারবারটি বাইয়ে সালামের (আগাম খরিদ) অন্তর্ভুক্ত। বাইয়ে সালাম জায়েয হওয়ার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে।  যেমন-

১. পণ্য ও মূল্য সুনির্দিষ্ট করা। অর্থাৎ ধান বেচাকেনার ক্ষেত্রে ধানের প্রকার, গুণগত মান এবং পরিমাণ সুনির্ধারিত হওয়া এবং সে অনুযায়ী মূল্যও চূড়ান্ত হওয়া।

২. পূর্ণ মূল্য চুক্তির সময়ই হস্তগত করা এবং পণ্য প্রদানের তারিখ ও স্থান নির্ধারিত করে নেওয়া।

৩. কোনো নির্দিষ্ট ক্ষেতের ধান দেওয়ার শর্ত না করা ইত্যাদি।

উল্লেখ্য, নির্দিষ্ট ক্ষেতের ধান দেওয়ার শর্ত করে আগাম বেচাকেনা করলে চুক্তি নাজায়েয হয়ে যাবে। সুতরাং প্রশ্নের শোনা কথাটি ঠিক আছে।

এখানে আরো উল্লেখ্য যে, বাইয়ে সালাম তথা আগাম বেচাকেনার ক্ষেত্রেও মূল্য হওয়া উচিত যুক্তিসঙ্গত পর্যায়ের। অগ্রিম দাম দেওয়ার কারণে মূল্যের মধ্যে অনেক বেশি তফাত করা ঠিক নয়। এটি শরীয়তের ভাষায়  গাবনে  ফাহেশের অন্তর্ভুক্ত। ১০০০/-টাকার বিনিময়ে ৫/৬ মাস পরে ৩/৪ মণ ধান দেওয়ার বিষয়টি এ পর্যায়ে পড়ে।


والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেন:

মাসিক আলকাউসার

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন