আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৩১৫২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, এক কিতাবে দেখতে পেলাম যে, রফে ইয়াদাইনের আমল প্রাথমিক অবস'ায় জারি ছিল। পরে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানসূখ করে দিয়েছেন। অর্থাৎ রাফে ইয়াদাইন এখন মানসূখ। কিন' প্রশ্ন হল, রাফে ইয়াদাইনের হাদীস লেখার সময় ইমাম বুখারী রাহ. কি ঐ মানসূখ হাদীস জানতেন না? ইমাম শাফেয়ী রাহ. নিজ মাযহাবে এর প্রচলন করে গেছেন। তিনিও কি ঐ মানসূখের খবর জানতেন না? যদি জানতেন তবে রাফে ইয়াদাইন করার কি যুক্তি? জানালে কৃতজ্ঞ হব।

২৯ অক্টোবর, ২০২০

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


নামাযের তাকবীরে তাহরীমা ছাড়া বাকি কিছু তাকবীরের মধ্যে রাফে ইয়াদাইন করা না করা উভয়টিই হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো রাফে ইয়াদাইন করেছেন, কখনো করেননি। সাহাবা, তাবেয়ীন ও পরবর্তীদের মধ্যে উভয় পদ্ধতিরই অনুসারী ছিলেন। এরই সুত্র ধরে শাফেয়ী, হাম্বলী মাযহাবে রাফে ইয়াদাইনের পদ্ধতি এসেছে। অপরদিকে হানাফী, মালেকী মাযহাবে রাফে ইয়াদাইন না করার মতটি গ্রহণ করা হয়েছে। স্ব স্ব স'ানে উভয় মতই শরীয়ত স্বীকৃত। কেননা দুটোরই উৎস সুন্নাহ। তবে বিভিন্ন আলামতের ভিত্তিতে ইজতিহাদের আলোকে কোনো ফকীহ কোনো একটিকে উত্তম ও অগ্রগণ্য মনে করেন। আর অন্যটিকে মনে করেন বৈধ ও অনুত্তম। আবার অন্য ফকীহ এর বিপরীত মত পোষণ করেন। বিশুদ্ধ মত হল, এর কোনোটিই মানসূখ নয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো একটিকে মানসূখ ঘোষণা দেননি। কতক ফকীহ যারা রাফে ইয়াদাইনের আমলকে মানসূখ বলেছেন এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল, মুস-াহাব বা উত্তম হওয়াটা রহিত হয়েছে। মূল আমলের বৈধতা রহিত হয়নি। বলাবাহুল্য যে, এটি হল বিভিন্ন আলামতের ভিত্তিতে ইজতিহাদের আলোকে একদল ফকীহর মত। অন্যান্য ফকীহদের মতও এরূপ হওয়া জরুরি নয়। অন্যরা একে মানসূখ (পূর্ববর্ণিত অর্থে) মনে নাও করতে পারেন। আর বাস-বে কোনো হাদীস মানসূখ হলে তা হাদীসের কিতাবে আনা যাবে না এ ধারণাও ঠিক নয়। অনেক হাদীসের হুকুম মানসূখ হওয়া সত্ত্বেও হাদীস সংকলকগণ নিজ নিজ সংকলনগ্রনে' তা উল্লেখ করেছেন। এতে অনেক ফায়দা রয়েছে। একটি উল্লেখযোগ্য ফায়দা হল, পূর্ববর্তীরা মানসূখ হাদীসটি উল্লেখ করার কারণেই পরবর্তীদের জন্য জানার সুযোগ হয়েছে যে, এর হুকুম মানসূখ। এ বিষয়ে বিস-ারিত জানতে চাইলে সদ্য প্রকাশিত বই ‘নবীজীর নামাযা’ ড. শায়খ মুহাম্মাদ ফায়সাল কৃত পৃ. ১৮০-১৮৮ পর্যন- পড়-ন


والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেন:

মাসিক আলকাউসার
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

#৭৯৬২
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, "আসসালামু আলাইকুম"
হুজুর আমাদের মাসজিদে ফজরের জামাত শুরু হয় ৫:০০ টায় এখন আমি মাসজিদে উপস্থিত হয়েছি ৫:০৫ তম মিনটে গিয়ে দেখি জামাত চলতেছে প্রথম রাকাতের সুরা কেরাত প্রায় শেষ এইরোকম অবস্থা এখন আমি ফজরের ২ রাকাত সুন্নাত না পড়েই জামাতে অংশ গ্রহণ করি এতে করে সুন্নত পড়া হলো না । এখন আমার জানার বিষয় হলো এই সুন্নাত নামাযটা কখন কোন সময়ে পড়ব কি নিয়তে পড়ব কাজা নিয়তে না কি ফরজ নামাজের পূর্বেকার নিয়ম নিয়তে....???

অসুস্থতার কারণে অথবা হঠাৎ কোনো কারণে খালি গায়ে নামায পড়া যাবে কি...??

মাসজিদে লাইভ নয় রেকর্ড করা ভিডিও ওয়াজ শোনা যাবে কি...?

গ্রাম গঞ্জে এমন কিছু প্রথা চালু হয়ে গিয়েছে যে এখনকার মা-চাচি-ভাবীরা এদেরকেও সঠিক/উচিৎ কথা বলতে গেলে দোষ হয় যাইহোক যেটা বলতেছিলাম মা-চাচি-ভাবীরা তাদের মোবাইলে মহিলা বক্তার তালিম ও ওয়াজ রেকর্ড করে উচ্চ আওয়াজে রাস্তাঘাটে অথবা কয়েকজন মহিলা একত্র হয়ে সেগুলো শুনতে থাকে ফলে ভিন্ন ছেলে-সন্তান অথবা বাব চাচা ভাই যারা আছে তারাও শুনতে পায় এতে কোনো সমস্যা আছে কি...? মহিলা বক্তার ওয়াজ শোনা যাবে কি...??

কোনো একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখি সূর্য উঠতে আর মাত্র ১৫ মিনিট বাকি আছে এমতাবস্থায় আমি তাড়াহুড়া করে দাত ব্রাশ করে অযু শেষ করে দেখি ৭ মিনিট সময় আছে তাই আমি সুন্নত না পড়ে আগে ফরজ ২ রাকাত পড়া শেষ করে দেখি ঘরিতে সূর্য উদয়ের সময় হয়েছে তথা ৫:২৬ বেজে গেছে ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এই সময় সূর্য উঠে ফলে নামায হয়েছে কি নাকি সেই দিনের নামাযটা পূনরায় কাযা আদায় করা লাগবে..??
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুসলিম বাংলা ইফতা বিভাগ
৭ আগস্ট, ২০২১
চৌহালি