প্রশ্নঃ ৩০১৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, একবার আমার বোন খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন আমার মা শাহজালালের মাজারে একটি ছাগল মেনেছিল। বোন পরে সুস্থ হয়েছে। কিন্তু মার মান্নতটি এখনো পূর্ণ করা হয়নি। জানতে চাই, আমাদের এখন কী করা উচিত। বিলম্বের কারণে কোনো গুনাহ হচ্ছে কি না?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
‘মান্নত’ একটি ইবাদত। নামায, রোযা, দুআ করা এগুলো যেমন ইবাদত, যা একমাত্র আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্যেই তাকে সন্তুষ্ট করার জন্যই করা জরুরি। তদ্রূপ ‘মান্নত’ও কেবলমাত্র আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্যে তাঁর নামেই হতে হবে। কোনো মাজার, পীর বা কোনো সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বা তার সন্তুষ্ট কামনার্থে মান্নত করা শিরকের অন্তর্ভুক্ত। তাই মাজারের জন্য ছাগল মানা সম্পূর্ণ নাজায়েয হয়েছে। শিরকি হয়েছে। এ থেকে বিরত থাকা জরুরি। অতএব মাজারে বা অন্য কোনো মাজারে ছাগল দেওয়া জায়েয হবে না। উপরন্তু মাজারে দেওয়ার নিয়তের কারণে আল্লাহ তাআলার দরবারে তওবা-ইস্তিগফার করতে হবে। সুনানে আবু দাউদ ২/৪৬৯; রদ্দুল মুহতার ২/৪৩৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৬৬; আলমুগনী, ইবনে কুদামা ১৩/৬৪৩ প্রকাশ থাকে যে, কোনো মাখলুক, অলী-পীর বা মাজারবাসী কারো কোনো প্রয়োজন পূরণ করতে পারে না। কাউকে সুস্থতা দিতে পারে না। আরোগ্য দান করা, মসীবত দূর করা এগুলো কেবলমাত্র আল্লাহ তাআলারই বৈশিষ্ট্য। কোনো মাখলুকের মধ্যে এই বৈশিষ্ট্য আছে মনে করা শিরক। মাজারে মান্নত করলে মাজারওয়ালা খুশি হবেন, অসুখ ভালো হয়ে যাবে এমন ধরাণা সম্পূর্ণ শিরক। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, (তরজমা) আল্লাহ যদি তোমাদের উপর কোনো কষ্ট আরোপ করতে চান তাহলে তিনি ব্যতীত তা খণ্ডানোর মতো কেউ নেই। আর যদি তিনি কোনো কল্যাণ দিতে চান তাহলে তাঁর অনুগ্রহ রহিত করার মতো কেউ নেই। তিনি স্বীয় বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা অনুগ্রহ করেন । তিনিই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।-সূরা ইউনুস : ১০৭
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন:
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন