আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ২৬৪৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, একদিন আমাদের ক্লাসের এক সহপাঠির সঙ্গে বিজ্ঞান স্যারের পাঠদান নিয়ে তর্ক হয়। আমি বলেছি, (একটি বিষয়ে) স্যার এমন বলেছেন। আর সে আমার বিপরীত বলছে। একপর্যায়ে সে বলল, আগামীকাল স্যারকে জিজ্ঞাসা করব। যদি আমার কথা ঠিক হয় তাহলে তুমি আমাকে ২০০/- টাকা দিবে। আর যদি তোমার কথা ঠিক হয় তাহলে আমি তোমাকে ২০০/- টাকা দিব। আমি তার কথা মেনে নিয়েছি এবং আরেক সহপাঠির নিকট দুজনই ২০০/- টাকা করে জমা দিয়েছি। পরদিন স্যারকে জিজ্ঞাসা করা হল এবং আমার কথা সঠিক হল। কথামতো টাকাটাও আমি পেয়েছি। এখন জানার বিষয় হল, আমার জন্য ঐ টাকা নেওয়া কি ঠিক হয়েছে?

১৯ অক্টোবর, ২০২০

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী আপনার জন্য ঐ টাকা নেওয়া জায়েয হয়নি। ঐ টাকা মালিককে ফেরত দিতে হবে। কারণ দুজনের মধ্যে যার কথা সঠিক হবে, অন্যজন তাকে টাকা দিবে-এমন শর্ত করা জুয়ার অন্তর্ভুক্ত। আর শরীয়তে জুয়া হারাম। তাতে লিপ্ত হওয়া কবীরা গুনাহ। কুরআন মজীদে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, (তরজমা) হে মুমিনগণ! নিঃসন্দেহে মদ, জুয়া, মূর্তি ও ভাগ্য নির্ধারক তীর এসব নিকৃষ্ট শয়তানী কর্মকান্ড। এগুলো থেকে বেঁচে থাক। যাতে তোমরা সফল হও। (সূরা মায়েদা (৫) : ৯০)

অন্য আয়াতে ইরশাদ করেন-(তরজমা) তারা আপনাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। আপনি বলে দিন, উভয়টার মধ্যেই মহাপাপ রয়েছে। (সূরা বাকারা (২) : ২১৯

হাদীস শরীফে আছে, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-আল্লাহ তাআলা আমার উম্মতের জন্য মদ ও জুয়াকে হারাম করেছেন। (মুসনাদে আহমদ ২/১৬৫, হাদীস : ৬৫৪৭)

অতএব প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে জুয়ার লেনদেনের গুনাহে জড়িত হওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে সংশ্লিষ্টদের তওবা-ইস্তেগফার করতে হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।


والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেন:

মাসিক আলকাউসার

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন