আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

কুরবানীর আগে দশদিন নখ চুল না কাটার বিধান কি শুধু হাজিদের সাথে সম্পৃক্ত?

প্রশ্নঃ ২০৩৭৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, সম্মানিত মুফতি সাহেবগণের নিকট জানার বিষয় হল জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন চুল নখ গোঁফ ইত্যাদি কাটা নিষেধ এটা কি শুধুমাত্র হাজী সাহেবদের জন্য, নাকি সকলের জন্য,কিছু কিছু লোকদের মুখ থেকে শুনেছি শুধুমাত্র হাজী সাহেবদের জন্য অনুগ্রহপূর্বক দলিল ভিত্তিক সমাধান দিয়ে ধন্য করবেন

৩ জুন, ২০২৪
ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


হজ্ব অথবা ওমরার ইহরাম গ্রহণ করার পর হাত পায়ের নখ, গোঁফ, চুল, শরীরের অবাঞ্ছিত পশম এগুলো পরিষ্কার করা যায় না। শরীরে সুগন্ধি মাখা যায় না। নারী-পুরুষ সকলের জন্য একই বিধান। যদি নখ চুল ইত্যাদি এই অবস্থায় কাটে তাহলে দম দিতে হবে।

আরেকটি মাসালা হল, যিলহজ্বের চাঁদ উদিত হওয়ার পর থেকে কুরবানী করা পর্যন্ত নখ, চুল, শরীর অবাঞ্ছিত পশম কাটা থেকে বিরত থাকবে। এই হুকুমটি যারা কুরবানি দেওয়ার নিয়ত রাখে তাদের জন্য।

যারা কুরবানী করার ইচ্ছে পোষণ করছেন, তারা যুলহাজ্ব মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর থেকে হাত পায়ের নখ, মাথার চুল ও অবাঞ্ছিত পশম ইত্যাদি কাটবে না। এ আমলটি সুন্নত (যদি এগুলো না কাটার মেয়াদ ৪০ দিন না হয়ে থাকে)

عن أم سلمة أن النبي صلى الله عليه وسلم قال اذا دخلت العشر فأراد أحدكم أن يضحي فلا يمس من شعره ولا من بشره شيئا.

হযরত উম্মে সালমাহ রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যখন [যুলহাজ্বের প্রথম] ১০ দিনের সূচনা হয়, আর তোমাদের কেউ কুরবানী করার ইচ্ছে করে, সে যেন চুল-নখ ইত্যাদি না কাটে। {সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-৪৪৫৪}

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেন:

ইসহাক মাহমুদ
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন