আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১৯৭৬৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার পাইলস এর সমস্যা আছে, এজন্য আমি একটা তামার আংটি ব্যবহার করি যেটা আমার এক আত্মীয় এনে দিয়েছিল,,এখন আমি জানতে চাচ্ছি এই আংটি ব্যবহার করা জায়েজ কি না?

২৫ জুন, ২০২২
FW৯H+৩M৮

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم




পুরুষদের জন্য রূপার আংটি ছাড়া অন্য কোনো ধাতুর আংটি ব্যবহার করা বৈধ নয়। হাদিস শরিফে এসেছে,

أَنّ النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ رَأَى عَلَى بَعْضِ أَصْحَابِهِ خَاتَمًا مِنْ ذَهَبٍ، فَأَعْرَضَ عَنْهُ، فَأَلْقَاهُ وَاتّخَذَ خَاتَمًا مِنْ حَدِيدٍ، فَقَالَ: هَذَا شَرّ، هَذَا حِلْيَةُ أَهْلِ النّارِ، فَأَلْقَاهُ، فَاتّخَذَ خَاتَمًا مِنْ وَرِقٍ، فَسَكَتَ عَنْهُ

‘রাসূল (সা.) তাঁর একজন সাহাবীকে স্বর্ণের আংটি পরিহিত অবস্থায় দেখে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। তিনি সেই আংটি ফেলে দিয়ে লোহার আংটি পরলেন। তখন রাসূল (সা.) বললেন, এটাতো আরো মন্দ। এটা জাহান্নামীদের অলংকার। তিনি তাও ফেলে দিলেন। অতঃপর রূপার আংটি পরিধান করলেন। তখন রাসূল (সা.) নিরব থাকলেন।’ [মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ৬৫১৮]

কাজেই কোনো পুরুষের যদি আংটি ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে তাহলে রূপার আংটি ব্যবহার করতে পারবে। তামার আংটি ব্যবহার করা তার জন্য বৈধ হবে না।

পাইলস এর সমস্যার জন্য তামার আংটি ব্যবহার করা বৈধ নয়। তবে তার উপর যদি রুপার প্রলেপ থাকে তাহলে নারী-পুরুষ উভয়ে ব্যবহার করতে পারবে। আর স্বর্ণের প্রলেপ থাকলে শুধু নারীদের জন্য বৈধ হবে।

(আবু দাঊদ-৪/৯০; এ’লাউস সুনান-১৭/৩১২; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ-৫/১৯৪; হেদায়া-৪/৩৬৭; শামী-৬/৩৫৬; আল-মুহীতুল বুরহানী-৫/৩৪৯; ইমদাদুল ফাতাওয়া-৪/১৩৫; মাহমুদিয়া-১৪/৪২১)

والله اعلم بالصواب

মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, মুফতি ও মুহাদ্দীস, শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, মোহাম্মাদপুর।
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

#২১৭৪৩
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম তখন কিছু মানুষের সাথে চলাফেরা করতাম যারা বাঙালি সংস্কৃতির বিষয়ে খুব সুন্দর করে বোঝাতো। তখন হলে থাকতে প্রতি বছর প্রত্যেকটা পূজায় উৎসাহিত করা হতো। তাদের সাথে আমিও যেতাম দেখতে। এমনভাবে মিশে গিয়েছিলাম যে আমি দুর্গাপূজার সময় মূর্তির পা ধোয়া চরণামৃত খেয়েছি। সরস্বতী পূজার প্রসাদ, তারপর বিভিন্ন সময় হিন্দুদের আনা প্রসাদ খেয়েছি। ওদের পূজার সময় মন্ডপে বসেও থেকেছি। অন্যদের সঙ্গে নিয়ে গিয়েছি। আস্তাগফিরুল্লাহ।

আচ্ছা, আমি কি শিরক করে ফেলেছি। আল্লাহ কি আমাকে ক্ষমা করবেন? আমি গত দুই বছরে অনেকবার এর জন্য তওবা করেছি। এখন আমি অনেক অনুতপ্ত। আল্লাহ তো জানেন। বলবেন প্লিজ আমি কি সত্যি শিরক করে ফেলেছি? ভুল করে করলেও নাকি এর গুণাহ আল্লাহ ক্ষমা করেন না? আমি এখন কি করবো? কিভাবে ক্ষমা পাবো আমি? আমার সেই সময় মাথায়ই আসেনি যে এটা শিরক হতে পারে। প্লিজ আমার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেনো আমাকে মাফ করে দেয়। আর ঠিকমতো হয়তো লিখতে পারিনি। আমাকে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিবেন প্লিজ
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
২৮ আগস্ট, ২০২২
টঙ্গী