প্রশ্নঃ ১৬৪৯৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হুজুরের কাছে আমার প্রশ্ন হলো, সেহেরির সময় শেষ হওয়ার পর যে সময়টা থাকে পাঁচ থেকে সাত মিনিট সেই সময়টার নাম কি এবং এই সময়ে সেহেরি খাওয়া যাবে কি না
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
সম্মানিত প্রশ্নকারী! নিচের রেফারেন্স্ উত্তরটি খেয়াল করুন। ইনশাআল্লাহ আপনার প্রশ্নের সমাধান পেয়ে যাবেন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
রেফারেন্স উত্তর :
প্রশ্নঃ ১৬২০৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার প্রশ্ন হল মনে করুন সাহরির শেষ সময় হল 4:31 মিনিট আর ফজরের আজান হলো 4: 36মিনিটে।এখানে আমি দুইটি জিনিস জানতে চাচ্ছিএকটি হল সাহরী ও আজানের মধ্যে যে পাঁচ মিনিট সময় থাকে সেই সময় ও যদি কেউ সাহরী খাওয়ায় লিপ্ত থাকে তাহলে তার রোজা হবে কি না।দ্বিতীয় টি হচ্ছে কেউ যদি সাহরীরর সময় শেষ হওয়া মাএই আজান দিয়ে দেয় তাহলে আজান টা সহীহ হবে কি না।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
সম্মানিত প্রশ্নকারী!
দুইটি বিষয় লক্ষ করলে আশা করি আপনার প্রশ্নের সঠিক সমাধান পেয়ে যাবেন।
এক. সাহরির শেষ সময় হলো সুবহে সাদিকের পূর্ব পর্যন্ত। সুবহে সাদিক হয়ে গেলে ফজরের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়। সেই হিসেবে সেহরী ও ফজরের ওয়াক্তের মধ্যবর্তী কোনো সময় নাই।
দুই. নামাজ, রোজা, সাহরি, ইফতার ইত্যাদিতে সাধারণত আমাদের দেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ঘোষিত সময়সূচীই সকলে ফলো করেন। মানুষের রোজা নামাজ যেন সঠিক সময়ে (ওয়াক্ত হওয়ার পরেই) আদায় হয় সেই বিবেচনা করেই সেহরির শেষ সময় সতর্কতামূলক সুবহে সাদিকের আড়াই মিনিট পূর্বে ধরা হয়েছে যেন কিছুতেই মানুষের সাহরি গ্রহন সুবহে সাদিকের পরে না হয়। কেননা মানুষের ঘড়ির সময় এক-দুই মিনিট এদিক সেদিক হয়েই থাকে। এবং ঠিক একই কারণে ফজরের ওয়াক্তের শুরু সুবহে সাদিকের আড়াই মিনিট পর রাখা হয়েছে যেন কিছুতেই ফজরের আজান সুবহে সাদিকের আগে না হয়ে যায়। কেননা রমজানমাসে সাধারণত ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথেই আজান হয়ে যায়। এবং মানুষ বিশেষত নারীরা সাহরির পর ফজরের আজানের অপেক্ষায় থাকে। অনেক নারীই আজান শুরু হলে নামাজ আদায় করে নেন।
এখন যদি কোনো কারণে সময় হওয়ার আগেই আজান শুরু হয়ে যায় এবং ওই আজান অনুসরণ করে কেউ নামাজ আদায় করেন তাহলে কি তার নামাজ আদায় হবে? নিশ্চয়ই না!!
এবার আপনার প্রশ্নের উত্তর দেখুন।
উত্তর-১. কেউ যদি তার টাইমিংয়ের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত থাকে তাহলে তিনি ইসলামী ফাউন্ডেশনের প্রদর্শিত সময়ের পর সর্বোচ্চ আড়াই মিনিট আহার করতে পারবেন। তার পরে আহার করলে তার রোজা হবে না।
(আমাদের জানা নাই কেউ তার ঘড়ির ব্যাপারে এই নিশ্চয়তা দিতে পারবে কিনা!!)
উত্তর-২. ইসলামী ফাউন্ডেশনে প্রদর্শিত সময় অনুসারে সাহরির সময় শেষ হওয়ার পরপরই আজান দেওয়ার সুযোগ নাই। কেননা তখনও সুবহে সাদিকের আরো আড়াই মিনিট বাকী। ওই সময় আজান দিলে এবং ওই আজানকে ফলো করে কেউ নামাজ আদায় করলে তার নামাজ সহিহ হবে না। (তবে যদি কেউ ক্যালেন্ডারে প্রদর্শিত সময়সূচী অনুসরণ না করে সরাসরি সুবহে সাদিক নির্ণয় করতে সক্ষম হোন তাহলে যেমনিভাবে তার জন্য ক্যালেন্ডর অনুসরণের প্রয়োজন নাই তেমনিভাবে সতর্কতামূলক সময়েরও অনুসরণের দারকার নাই। কিন্তু বাস্তবে এজাতীয় লোক খুঁজে পাওয়া যাবে কি না সেই প্রশ্ন রেখে দিলাম।)
আশা করি এবার আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন।
জাজাকুমুল্লাহ খাইরান।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন