মাকরূহ ওয়াক্তে কাযা নামাজ আদায়ের বিধান
প্রশ্নঃ ১৪১৮৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু 'আলাইকুম,
উমরি কাযা কি মাকরূহ ওয়াক্তে পড়া যাবে?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
তিন সময়ে নামাজ পড়া জায়েজ নাই।
১. সূর্যোদয়ের মুহূর্ত থেকে শুরু করে সূর্য একটি বর্শার সমান উচ্চতায় ওঠা পর্যন্ত।
২. দুপুরের মাঝামাঝি সময় অর্থাৎ সূর্য যখন একেবারে মাথার ওপরে অবস্থান করে। এটি খুবই অল্প সময়ের জন্য থাকে। তবে ফকীহগণ বলেছেন, সতর্কতার খাতিরে এই সময়ের পাঁচ মিনিট আগে এবং পাঁচ মিনিট পরেও নামাজ না পড়া উচিত।
৩. আসরের নামাজ আদায়ের পর থেকে সূর্য হলুদ হয়ে যাওয়া এবং সম্পূর্ণ অস্ত যাওয়ার আগ পর্যন্ত। (তবে সেদিনের আসরের ফরজ নামাজ না পড়ে থাকলে পড়তে পারবে)।
উপরোক্ত সময়গুলো ছাড়াও আরও দুটি সময় আছে, যেসব সময়ে কাযা নামাজ পড়া যদিও জায়েয, তবে সেগুলো প্রকাশ্যে পড়ার বদলে বাড়িতে বা নির্জনে পড়া উত্তম। কারণ, ফরজ নামাজ কাযা করার গুনাহ মানুষদের সামনে প্রকাশ করা শরীয়তে অপছন্দনীয়। সেগুলো হলোঃ
১. সুবহে সাদিক (ফজরের সময় শুরু) থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত (অর্থাৎ ফজরের নামাজের সময় শুরু হওয়া থেকে সূর্য ওঠা পর্যন্ত)।
২. আসরের নামাজ আদায়ের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত।
এই দুই সময়ে নফল নামাজ পড়া মাকরূহে তাহরীমী (অত্যন্ত অপছন্দনীয়), তবে ফরজ নামাজের ক্বযা পড়া যাবে।
শরঈ দলীল:
الفتاوى الهندية ):
"ثلاث ساعات لا تجوز فيها المكتوبة ولا صلاة الجنازة ولا سجدة التلاوة إذا طلعت الشمس حتى ترتفع وعند الانتصاف إلى أن تزول وعند احمرارها إلى أن يغيب إلا عصر يومه ذلك فإنه يجوز أداؤه عند الغروب. هكذا في فتاوى قاضي خان قال الشيخ الإمام أبو بكر محمد بن الفضل ما دام الإنسان يقدر على النظر إلى قرص الشمس فهي في الطلوع.
كذا في الخلاصة هذا إذا وجبت صلاة الجنازة وسجدة التلاوة في وقت مباح وأخرتا إلى هذا الوقت فإنه لا يجوز قطعا أما لو وجبتا في هذا الوقت وأديتا فيه جاز؛ لأنها أديت ناقصة كما وجبت. كذا في السراج الوهاج وهكذا في الكافي والتبيين لكن الأفضل في سجدة التلاوة تأخيرها وفي صلاة الجنازة التأخير مكروه. هكذا في التبيين ولا يجوز فيها قضاء الفرائض والواجبات الفائتة عن أوقاتها كالوتر. هكذا في المستصفى والكافي".
(کتاب الصلوۃ، الباب الاول فی مواقیت الصلوۃ، الفصل الثالث، ج:1، ص:52، ط:مکتبہ رشیدیہ)
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী, ফাতাওয়া বিভাগ, মুসলিম বাংলা
লেখক ও গবেষক, হাদীস বিভাগ, মুসলিম বাংলা
খতীব, রৌশন আলী মুন্সীবাড়ী জামে মসজিদ, ফেনী
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন