প্রশ্নঃ ১৩৯৫৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুয়ালাইকুম,
প্রস্রাব পায়খানা করার পর ঢিলা ব্যবহার না করে শুধু পানি ব্যবহার করলে কি সম্পূর্ণ পাক হওয়া যাবে? অজু নামাজ হবে কি না? একজন মুরুব্বির কাছে শুনেছি প্রস্রাব পায়খানা করার পর ঢিলা ব্যবহার না করে শুধু পানি ব্যবহার করলে সম্পূর্ণ পাক হয় না । এইটা কি ঠিক?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আপনার প্রশ্নের উত্তর জানতে নিচের রেফারেন্স উত্তরটি দেখুন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
রেফারেন্স উত্তর :
প্রশ্নঃ ১৩২৫৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, পুরুষ মানুষের প্রস্রাব করার পর টিস্যু না নিয়ে শুধু পানি নিলে নামাজ পড়লে নামাজ হবে কিনা ? আমি প্রস্রাব করার পর টিস্যু নিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার পর পানি নিতে বসলে আবারো প্রস্রাব হয়, তখন আমি শুধু পানি ব্যবহার করি। এক্ষেত্রে কোন অসুবিধা হবে কি না ? হলে করণীয় কি ?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আসলে এ ক্ষেত্রে মূল বিষয় হলো পবিত্রতা। হোক সেটা শুধু টিস্যু বা পানি ব্যবাহারের মাধ্যমে, অথবা উভয়টি ব্যবহারের মাধ্যমে। পেশাব থেকে দ্রুত পাক হওয়া অনেক ক্ষেত্রেই নির্ভর করে মানুষের শারীরিক গঠন, আবহাওয়া এবং প্রকৃতির ওপর। কাজেই যেভাবে পরিস্কার করলে পেশাব থেকে পাক হওয়া যাবে সেভাবেই করতে হবে। তবে টিস্যু বা ঢিলা কুলুপ এবং পানি উভয়টি ব্যবহার করা অধিক পবিত্রতা হিসেবে গণ্য হবে।
কুলুপ নিয়ে হাঁটা হাঁটি করাকে অনেকে সুন্নত মনে করেন। আসলে সেটা বিধিবদ্ধ কোনো সুন্নত নয়। বরং এই পদ্ধতি পবিত্রতা অর্জনে সহায়কের ভূমিকা রাখে বিধায় তাকে উল্লেখ করা হয়।
কুলুপ এবং পানি ব্যবহারের পরও যদি বাস্তবেই কিছুটা পেশাব বের হয় তাহলে সেক্ষেত্রে আপনি পেশাব এবং অজু করার মাঝে অন্তত 4/5 মিনিট সময় বিলম্ব করতে পারেন। নামাজের ঠিক পূর্ব মূহুর্তে ইস্তিন্জা করা থেকে বিরত থাকুন। বাসায় ইস্তেন্জা করে মসজিদে গিয়ে অজু করুন। যদি কিছুটা পেশাব বের হওয়ার থাকে তাহলে এই সময়ের মধ্যে বের হয়ে যাবে। আর সেটা যদি বের হয়ে পেশাবের রাস্তার বাইরে না আসে এবং কাপড়ে না লাগে তাহলে সেটা নামাজ আদায়ে কোনো সমস্য সৃষ্টি করবে না।
সম্ভব হলে শুধু নামাজের জন্য আলাদা লুঙ্গি বা সেলোয়ার ব্যবহার করতে পারেন। নামাজ শেষে সেটা পরিবর্তন করে ফেলবেন। এতে মনের সংশয় অনেকাংশে কেটে যাবে।
আল্লাহ তায়ালা তাওফিক দান করুন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন