আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১২৯৪৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমাকে একজন আলেমা আপা বলেছিলেন যে, আমরা যেসব ফাস্টফুড, ফ্রোজেন ফুড, রেস্টুরেন্টের খাবার, আইসক্রিম, চকলেট খাই এগুলো সহ বিভিন্ন রকমের টিকা যে দেওয়া হয় রোগের জন্য এগুলো সব আসলে কাফেরদের চক্রান্ত মুসলমানদের ক্ষতি করার জন্য, মুসলমানদের দূর্বল বানানোর জন্য তাই এগুলো থেকে বিরত থাকা উচিত।যেহেতু আমরা ছোট বড় সবাই অনেক সময়ই এগুলো খেয়ে থাকি ও ছোট থেকেই বিভিন্ন টিকা দিয়ে থাকি,এখন আবার করোনার টিকা দিচ্ছি তাই এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছি।

২৫ জানুয়ারী, ২০২২
ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





আসলে কোনো কিছু হারাম হওয়ার জন্য শরীয়তের অকাট্য দলীল থাকা আবশ্যক। শুধুমাত্র ধারণার বশবর্তী হয়ে কিংবা শোনো শোনে কোনো মন্তব্য করা ঠিক নয়। তাছাড়া ওইসব খাবারের মেনু কিংবা কোড থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। তবে যেহেতু বিষয়গুলো অনেকটাই সন্দেহপূর্ণ এবং এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না আমরা সাধারণ শ্রেণী অবগত নই। কাজেই সতর্কতামূলক যদি কেউ বিষয়গুলো এড়িয়ে যেতে পারে তাহলে সেক্ষেত্রে দোষনীয় কিছু নয়। তবে যদি এজাতীয় কোনো বিষয়ে রাষ্ট্রীয় কোনো বিধি আরোপ করা হয় (যেমন বাধ্যতামূলক বিভিন্ন টিকা) তাহলে সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং মুহাক্কিক ওলামায়ে কেরামের সমন্বয়ে যে সিদ্ধান্ত হয় সেটা গ্রহন করতে কোনো অসুবিধা নাই।

সন্দেহযুক্ত খাবার সম্পর্কে জানতে নিচের রেফারেন্স উত্তরটি দেখুন।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেন:

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর

রেফারেন্স উত্তর :

ফার্স্টফুড, জাঙ্ক ফুডের বিধান

প্রশ্নঃ ১২৯৭৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, জাঙ্ক ফুডগুলোর অনেকগুলোতেই এমন উপাদান থাকে যেগুলো আমার জানামতে মুশবুহ। আমি এগুলো সম্পূর্ণ অ্যাভয়েড করি। কারণ আমি জানিনা কোম্পানিগুলো ঐ উপাদান হালাল সোর্স থেকে নিয়েছে নাকি হারাম থেকে।এখন সেগুলো তো হালাল সোর্সেরও হতে পারে। আমি যে তাহলে সম্পূর্ণভাবে অ্যাভয়েড করছি, এ কাজটা কী করা ঠিক হচ্ছে?জাযাকাল্লাহ খাইর।

২৯ নভেম্বর, ২০২৪
মাঝিরা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


সম্মানিত প্রশ্নকারী!
এজাতীয় খাবরের ক্ষেত্রে মূলনীতি হলো আসলে এগুলোর মাঝে যেসকল উপাদান ব্যবহার করা হয় সেগুলো হারাম বা নিষিদ্ধ বস্তু হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু? যদি হারাম সংমিশ্রণের সম্ভবনা প্রবল হয় তাহলে কোনো মুসলিমের জন্য এজাতীয় ফুড গ্রহন করা জায়েজ নাই। আর যদি সম্ভাবনার পরিমাণ প্রবল না হয় কিংবা নিছক কাল্পনি সন্দেহ হয় তাহলে সেগুলো গ্রহন করার অবকাশ আছে।
কিন্তু যদি হারামের সংমিশ্রণ থাকা বা না থাকার সম্ভাবনা সমান সমান হয় তাহলে তার জন্য সেগুলো গ্রহন না করাই উত্তম। একটাই তাকওয়া ও পরিপূর্ণ ইমানের দাবি। কেননা রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন-
الْحَلَالُ بَيِّنٌ وَالْحَرَامُ بَيِّنٌ وَبَيْنَهُمَا مُتَشَابِهَاتٌ لَا يَعْلَمُهَا كَثِيرٌ مِنْ النَّاسِ فَمَنْ اتَّقَى الشُّبُهَاتِ اسْتَبْرَأَ لِعِرْضِهِ وَدِينِهِ وَمَنْ وَقَعَ فِي الشُّبُهَاتِ وَقَعَ فِي الْحَرَامِ
“হালাল স্পষ্ট, হারামও স্পষ্ট। আর এই দুয়ের মাঝে অনেক বিষয় আছে সন্দেহপূর্ণ- বহু মানুষই জানে না। যে ব্যক্তি সন্দেহপূর্ণ বিষয়গুলো পরিহার করবে সে তার সম্মান ও দ্বীন রক্ষা করতে পারবে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি সন্দেহপূর্ণ বিষয়গুলোতে লিপ্ত হবে সে হারামে লিপ্ত হবে।

কাজেই সন্দেহপূর্ণ খাবার পরিহার করা দোষনীয় কিছু নয়।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেন:

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর