প্রশ্নঃ ১২৮৪৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
সাহরীর ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পরে খাবার গ্রহণ করলে কি রোজা হবে।রমজানের কয়েকটি রোজাই আমি মনে হয় সাহরীর এর ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পরে খাবার গ্রহণ করেছি,এতে কি শুধু ওই রোজা কাযা রাখতে হবে নাকি কাফফারাও লাগবে।একাধিক বছরের কাযা রোজার ক্ষেত্রে কি ক্রমানুসারে রোজা কাযা রাখতে হবে,এবং কাযা রোজা কি পরবর্তী রমজানের রোজা আসার আগে রাখতে হয়,যদি পরবর্তী রমজান আসার আগে না রাখি তাহলে কি কাফফারা লাগবে নাকি রমজানের পরে শুধু কাযা রাখবো?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আমাদের জানা মতে প্রতিটি সাহরী ও ইফতারের সময়সূচির ক্যালেন্ডারেই সতর্কতামূলক কত মিনিট আগ পিছ করে সময়টি লিখা হয়েছে তা লিখা থাকে।
আপনি যে সময়সূচি ফলো করছেন, সেখানে দেখুন সময়সূচিটি সুনির্দিষ্ট সময়ভিত্তিক দেয়া হয়েছে, নাকি সতর্কতামূলক কয়েক মিনিট আগেই সময় শেষ লেখা হয়েছে?
যদি পাঁচ বা এর চেয়ে বেশি সময় আগেই সতর্কতামূলক সেহরীর শেষ সময় লেখা হয়ে থাকে। তাহলে আপনি যদি চার মিনিট পর পাঁচ মিনিট শেষ হবার আগেই সেহরী শেষ করেন, তাহলে রোযা হবে। নতুবা হবে না।
উদাহরণতঃ
সুবহে সাদিক হয় ৩ বেজে ৪৫ মিনিটে। কিন্তু ক্যালেন্ডারে সতর্কতামূলক লেখা হয়েছে সুবহে সাদিক তথা সেহরীর শেষ সময় হল ৩টা ৪০ মিনিট।
তাহলে বুঝা গেল, সেহরীর শেষ সময় মূলত ৩টা ৪৫। তাই ক্যালেন্ডারে ৪০ লেখা থাকলেও আপনি ৪৫ এর আগ পর্যন্ত প্রয়োজনে সেহরী খেতে পারেন। কিন্তু এর পর খেলে রোযা হবে না।
তাই আপনি যে ক্যালেন্ডার অনুপাতে খানা খাচ্ছেন, সেটির সময় সংশ্লিষ্ট মন্তব্যটি দেখে নিন। সেই অনপাতে আপনার রোযা হল, কি না? তা আপনি নিজেই বের করে নিতে পারবেন।
وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ۖ [٢:١٨٧]
আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। [সূরা বাকারা-১৮৭]
দ্বিতীয়ত
কেউ যদি সাহরি খাওয়ার সময় আছে— মনে করে সাহরি খায়। অতঃপর জানা যায় যে, তখন সাহরির সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাহলে পরবর্তী সময়ে সে রোজার কাজা আদায় করতে হবে। কাফফারা আদায় করতে হবে না। (রদ্দুল মুহতার, খণ্ড : ০৩, পৃষ্ঠা : ৪৩৬)।
অন্যাথায় সময় শেষ হয়ে গেছে নিশ্চিত যেনেও খাবার খেলে ইচ্ছাকৃত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে রোজা নষ্ট যে বিধান এটারও সেই একই বিধান তথা কাফফারা দিতে হবে।
তৃতীয়ত পরবর্তী রমজানের আগেই যথাসম্ভব কাজা রোজা আদায় করে নিবেন। তবে যদি কোন কারণে আদায় না করা হয় তাহলে এর কারণে কাফফারা আসবে না।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
উস্তাযুত তাফসির, মারকাযুল বুহুসিল ইসলামিয়া, বাড্ডা।
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন