আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

কাযা রোজা রাখার নিয়ম

প্রশ্নঃ ৩১৩৩৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, কাযা রোজা রাখার নিয়ম কি?

২৫ মার্চ, ২০২৩
দূর্গাপুর

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


শরিয়ত অনুমোদিত কোনো কারণে সময় মতো রোজা পালন করতে না পারলে অথবা রোজা রেখে ভেঙে ফেললে পরে তা আদায় করাকেই কাযা বলে।
যত দ্রুত সম্ভব কাযা রোজা আদায় করে নেয়া কর্তব্য। তাই ঈদের পরপর-ই যথাসম্ভব দ্রুত সময়ের মধ্যে কাযা রোজা আদায় শুরু করা উত্তম। কোনো কারণ ছাড়া কাযা রোজা আদায় করতে বিলম্ব করা মাকরুহ। এক রমজানের কাযা রোজাগুলো আগামী রমজান আসার আগে আদায় করে নেয়া ওয়াজিব। যদি বিনা কারণে আগামী রমজান পর্যন্ত বিলম্ব করে, তাহলে গুনাহগার হবে। বছরের যে কোনো দিন কাযা রোজা আদায় করা যাবে। এ ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ দিনগুলো বাদ দিতে হবে। অর্থাৎ যেসব দিনে রোজা রাখা ইসলামী শরীয়তে নিষিদ্ধ সেসব দিন বাদ দিতে হবে। যেমন ঈদ উল ফিতরের দিন, ঈদ উল আযহারের তিন দিন ইত্যাদি। তবে এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যদি বছরের নির্দিষ্ট কোনো দিনে রোজা রাখবে বলে মানত করে, তাহলে সেই দিনও কাযা রোজা আদায় করা যাবে না। পিরিয়ডের কারণে যেসব নারী রমজানের সবগুলো রোজা রাখতে পারেননি, তারাও উপরোক্ত নিয়ম অনুসরণ করবে। (বুখারি শরিফ, হাদিস : ১৯৫০, মুসলিম, হাদিস : ১১৪৬)
কাযা রোজা ও রমজানের রোজার নিয়তের সময়ের মধ্যে পার্থক্য:
রমজানে দ্বিপ্রহরের আগ পর্যন্ত নিয়তের সুযোগ থাকলেও কাযা রোজার ক্ষেত্রে তেমনটি নেই; বরং কাযা রোযার নিয়ত সুবহে সাদিক উদিত হওয়ার আগেই করতে হবে। দিনের বেলা কাযা রোযার নিয়ত করলেও তা নফল রোযা হিসেবে গণ্য হয়। (কিতাবুল আছল, খন্ড: ২, পৃষ্ঠা: ১৬৪)

والله اعلم بالصواب

শাইখ উমায়ের কোব্বাদী সিনিয়র মুহাদ্দিস, মাদরাসা দারুর রাশাদ, মিরপুর খতীব, বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ, মিরপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

#১৭৬৯৮
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
আমার বয়স ৪০ বছর আমার প্রেসার এর সমস্যা রয়েছে কোন সময় অনেক বেড়ে যায় আবার কোন কোন সময় অনেক কমে যায়। ডায়াবেটিকস রয়েছে মাঝে মধ্যে সুগার এমন ভাবে কমে যায় নামাজে বসা থেকে উঠে দাঁড়ানোর পরে চোখে কিছুই দেখি না।
আমি পর পর ২ টা রোজা রাখতে পারি নাই সফর এর জন্য আর ১ টা রোজা ক্লান্তি ও মানুষিক দুশ্চিন্তার কারনে ভেঙ্গে ফেলেছি
কাফারা করার নিয়মে বলা হয়েছে একাধারে ৬০ রোজা রাখতে হবে অথবা ৬০ জন মিসকিন কে ২ বেলা খাবার দিতে হবে।
আমি একা ধারে ৬০ টা রোজা রাখতে পারবো না।
আমার এমন সামর্থ নেই ৬০ জন মিসকীনকে ২ বেলা খাবার খেতে দিবো।
আমি কি করবো আল্লাহ্ কি আমাকে এর জন্য সাজা দিবেন
আমি ঈদের পরে যে রোজা ভেঙ্গেছি তা কাজা করতে পারবো।
আমার করণীয় কি ??
জাযাকাল্লাহ খায়রান।
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
২৮ এপ্রিল, ২০২২
ঢাকা ১২২৯