আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

ব্যাংকার বাবার পেনশনের টাকায় গড়া বাড়ীতে বসাবাস

প্রশ্নঃ ১২৮২১. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার বাবা ব্যাংক এ জব করতেন। পেনশনের টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছেন।এখন আবার একটি এনজিও তে জব নিয়েছে ন।সেই টাকা দিয়ে সংসার চলে। এখন আমি একটি হালাল জব পেয়েছি। এখন আমি আর আমার স্ত্রী এর জন্য কি এখন বাবার ওই ফ্ল্যাট এ থাকা এবং বাবা-মা এর সাথে এক সংসার এ খাওয়া জায়েজ? আমি যদি প্রতি মাসে আমার র আমর স্ত্রী এর খরচ বাবদ টাকা বাবা-মা কে দেই, তাহলে কি বাবা মা এর সাথে থাকা জায়েজ? নিজের স্ত্রী কে নিয়ে আলাদা হতে চাইলে তারা খুব কষ্ট পাচ্ছেন। এখন আমি র আমার স্ত্রী এর করনীয় কি?

২৮ মে, ২০২৪
ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলো সুদী নিয়মে পরিচালিত। তাই ব্যাংকের চাকুরীর বেতন হালাল নয়। কেননা ব্যাংকের চাকুরী সুদী কারবারে সরাসরি সহযোগিতা। শরীয়তে সুদের কঠোরতা ও নিষেধাজ্ঞা অনেক দৃঢ়। হাদীসে শুধু সুদ লেন-দেনকেই হারাম বলা হয়নি। বরং এর লেখক ও সাক্ষীগণের উপরও অভিসম্পাত করা হয়েছে। জাবের রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-

لَعَنَ رَسُولُ اللهِ صَلَى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَمَ آكِلَ الرِّبَا وَمُؤْكِلَهُ وَكَاتِبَهُ وَشَاهِدَيْهِ، وَقَالَ: هُمْ سَوَاءٌ.

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুদ গ্রহণকারী, সুদ দাতা, সুদী কারবারের লেখক এবং তার সাক্ষীদ্বয়ের উপর অভিসম্পাত করেছেন। এবং তিনি বলেছেন, তারা (সকলে) সমান। (সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৯৮)

উল্লেখ্য, শ্রমার্জিত টাকা হলেই তা হালাল হয়ে যায় না। বরং শ্রমার্জিত টাকা তখনই হালাল হবে যখন কাজটি বৈধ হবে। আর কাজ বৈধ না হলে উপার্জনও হালাল হবে না। এটি শরীয়তের স্বীকৃত কথা, যা বহু দলীল দ্বারা প্রমাণিত।
কাজেই আপনার জন্য এমনকি আপনার বাবার জন্যও ওই ফ্ল্যাটে বসবাস করা বৈধ নয়।
বাসস্থানের অনুমতি না হলে সেখানে যৌথ বা আলাদা থাকার প্রশ্ন থাকে না। বরং বাসস্থান যদি বৈধ হয় তাহলে প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি নিজের এবং স্ত্রীর খাবার বাবদ টাকা দিয়ে তাদের সাথে থাকতে পারেন। কেননা এখন তিনি যেই চাকুরি নিয়েছেন যদি সেটাও হারাম হয় তাহলে তার উপার্জনের টাকায় আপনাদের আহার জায়েজ হবে না।
-সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৯৮; জামেউল বায়ান, তাবারী ৩/১০৩; ফাতহুল বারী ৪/৩৬৭

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেন:

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন