প্রশ্নঃ ১২৩৬৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
প্রশ্নটি এই কারণে করেছি যে,পাবলিক যানবাহণ তো আমি একজনের জন্য নামাজের সময় দিবে না এবং রাস্তার মাঝখানে গাড়িও থামাবে না!!
কোন যানবাহন দিয়ে দূরবর্তী কোন পথ অতিক্রম করা অবস্থায় নামাজ কিভাবে আদায় করবো??
তখন কি তায়াম্মুম করা যাবে?
এবং সিটে বসে বসে ইশারায় নামাজ পড়া যাবে??
যানবাহন গুলো যেমনঃ বাস,সিএনজি,প্লেন ইত্যাদি।
আমলে নেওয়ার মতো একটি উওর আশা করছি,
ধন্যবাদ।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
সফর অবস্থায় নামায ও অযু সংক্রান্ত:
সফর অবস্থায় পানি ব্যবহারের ক্ষমতা থাকলে এবং এক মাইলের ভিতরে পানির উপস্থিতি থাকলে পানি দিয়ে অজু করতে হবে। তায়াম্মুম করা জায়েয হবে না। আর যদি পানি ব্যবহারের সক্ষমতা না থাকে অথবা আশপাশে এক মাইলের মধ্যে পানির উপস্থিতি না থাকে, সে ক্ষেত্রে বাধ্য হয়ে তায়াম্মুম করে নামাজ পড়তে হবে। তায়াম্মুম করার জন্য মাটি, পাথর, ইট ইত্যাদির মাধ্যমে তায়াম্মুম করা যাবে।
সফর অবস্থায় যানবাহনে সিটে বসে নফল নামায যত ইচ্ছা পড়তে বাধা নেই। ফরয নামায অবশ্যই জমিনে দাঁড়িয়ে আদায় করতে হবে। যেহেতু ফরয নামাযে দাঁড়ানো ফরয। অবশ্য পাবলিক বাসে নামাজের বিরতির জন্য রিকুয়েস্ট করার পরেও নামাযের সুযোগ না দিলে অনন্যপায় অবস্থায় সিটে বসে জুতো খুলে হাত ও শরীরের ইশারায় নামায পড়ে নেবেন। গন্তব্যে পৌঁছার পর এই নামায পুনরায় কাযা করে নিবেন।
যদি অজু না থাকে তবে নামাজ পড়তে যেটুকু সময় লাগত ঐ পরিমাণ সময় নামাজের ভান করবে। গন্তব্যে পৌঁছার পর পবিত্রতা অর্জন করে নামাজ কাজা করে নিতে হবে।
فاذا اطمأننتم فاقيموا الصلاة
(বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে তথা চিটাগাং, কুমিল্লা, নোয়াখালী অঞ্চলের পাবলিক বাসে একজন রিকোয়েস্ট করলেই নামাজের জন্য বিরতি দেয়।
অনেক সময় কেউ রিকুয়েস্ট না করলেও নামাজের জন্য ১০ থেকে ১৫ মিনিট বিরতি দিয়ে থাকে।)
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন