প্রশ্নঃ ১২৩৪৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি কিছু টাকা হারাম ভাবে আয় করেছি একটা বাক্তির কাছ থেকে। এখন আমি আলহামদুলিল্লাহ আর হারাম টাকা আয় করি না, কিন্তু আগের টাকা দিয়ে আমি জমি কিনেছি এখন আমি কি করতে পারি ?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহ তাআলা মানব জাতির জন্য শুধু হালাল পন্থায় উপার্জিত সম্পদকেই ভোগ করার অনুমোদন দিয়েছেন। অন্যায় পন্থায় উপার্জন করে কোন সম্পদ ভোগ করার সুযোগ নেই। সেটা হারামের যে পন্থায় হোক না কেন? প্রশ্নোল্লেখিত অবস্থায়, যে টাকা আপনি হারাম পন্থায় আয় করেছেন অবশ্যই সেটা অন্যের হক হয়ে থাকবে, কেননা সেটি আপনি বৈধ পন্থায় উপার্জন করেননি, তার মানে আপনি সেটার প্রাপ্য নন। সুতরাং, যদি সেই টাকার মালিক সম্পর্কে আপনার জানা থাকে, যেমন যদি কারও থেকে সুদ নিয়ে থাকেন বা ঘুষ নিয়ে থাকেন বা যে কোনভাবে কারও কাছ থেকে অবৈধ পন্থায় সে অর্থ নিয়ে থাকেন। তাহলে আপনার দায়িত্ব হলো মূল মালিককে সে অর্থ ফেরত দেওয়া। আর যদি কোনভাবেই তা ফেরত দেওয়া সম্ভব না হয়, সেটি মালিক না জানা থাকার কারণেও হতে পারে, তাহলে দায়মুক্তির জন্য সাওয়াবের নিয়ত না করে অত্যন্ত অসহায় দরিদ্রদেরকে সে পরিমাণ অর্থ দান করে দিতে হবে। যেহেতু আপনি বলেছেন, টাকাটা আয় করেছেন একটি ব্যক্তির কাছ থেকে, সুতরাং তিনি যদি টাকার বৈধ মালিক হয়ে থাকেন, তাহলে তাকেই টাকাটা ফেরত দিতে হবে।
কেননা আল্লাহ তাআলা বলেনছেন,
{يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ إِلَّا أَنْ تَكُونَ تِجَارَةً عَنْ تَرَاضٍ مِنْكُمْ} [النساء: 29]
অর্থাৎ, হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের মাল খেয়ো না অন্যায়ভাবে; তবে পরস্পরের সন্তুষ্টিচিত্তে ব্যবসার মাধ্যমে একে অপরের মাল ভক্ষণ করতে পারবে।
এ ছাড়াও কুরআনের বিভিন্ন জায়গায় এবং রাসূল (সাঃ).-এর অনেক হাদিসে হারাম মাল ভোগ করার নিষেধাজ্ঞা এসেছে।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সঠিক বিষয় যথাযথভাবে উপলব্ধি কাার তাওফিক দান করুন।
والله أعلم بالصواب।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
উস্তাযুত তাফসির, মারকাযুল বুহুসিল ইসলামিয়া, বাড্ডা।
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন