আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

হুরমতে মুসাহারা : ভয়ের কারণে মহিলা শশুর অথবা জামাইকে জড়িয়ে ধরা

প্রশ্নঃ ১০৯৬৬৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, কোন মহিলা রাতে ভয়ে শ্বশুর বা জামাতাকে জড়িয়ে ধরল বা মহিলা বেহুশ হলে শ্বশুর বা জামাতা কোলে করে ইমারজেন্সি চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেল বা মহিলা পানিতে পড়ে গেলে শ্বশুর বা জামাতা উদ্ধার করল বা ভীড়ের মধ্যে অনিচ্ছাকৃত অবস্থায় মহিলার সাথে শ্বশুর বা জামাতার স্পর্শ হল এবং হুরমতের শর্ত গুলোও পাওয়া গেল। এমতাবস্থায় কোন ছাড় আছে কি না? বিশেষ করে উমুমুল বালওয়ার কারণে।

১১ আগস্ট, ২০২৫
কেন্দুয়া

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


হুরমত মুসাহারা এর জন্য হানাফী মাজহাবে দুইটি আবশ্যিক শর্ত রয়েছে:
ক. নিকাহ তথা বিবাহ হতে হবে।
খ. যিনা বা যিনার ভুমিকা হতে হবে। অর্থাৎ উত্তেজনার সাথে নারী পুরুষ একে অপরকে অথবা যেকোনো একজন অন্যজনকে স্পর্শ করতে হবে, যে স্পর্শে ত্বকের উষ্ণতা স্পষ্ট অনুভব হয়। অথবা লজ্জাস্থানের ভেতরের অংশে দৃষ্টিপাত হতে হবে।

প্রশ্নের যেসব অবস্থার কথা উল্লেখ করেছেন, কোন নারী ভয়ের কারণে শ্বশুর অথবা জামাতাকে জড়িয়ে ধরা, নারী পানিতে পড়ে গেলে সেখান থেকে তুলে নিয়ে আসা, ভিড়ের মধ্যে অনিচ্ছায় স্পর্শ করা, এই ধরনের ঘটনায় পুরুষের উত্তেজনা থাকলেও সাধারণত কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ হয়, এই স্পর্শে ত্বকের উষ্ণতা সুস্পষ্ট অনুভব করা যায় না। এই সব ঘটনাগুলোকে যিনার ভূমিকা বলা যায় না। অতএব এসব ঘটনায় হুরমত মুসাহারা সাব্যস্ত হবে না ইনশাআল্লাহ।

وَيَرَى الْحَنَفِيَّةُ أَنَّ مَنْ زَنَى بِامْرَأَةٍ أَوْ لَمَسَهَا، أَوْ قَبَّلَهَا بِشَهْوَةٍ أَوْ نَظَرَ إِلَى فَرْجِهَا بِشَهْوَةٍ حَرُمَ عَلَيْهِ أُصُولُهَا، وَفُرُوعُهَا، لِقَوْلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ نَظَرَ إِلَى فَرْجِ امْرَأَةٍ لَمْ تَحِل لَهُ أُمُّهَا وَلاَ بِنْتُهَا.
....
وَتُعْتَبَرُ الشَّهْوَةُ عِنْدَهُمْ عِنْدَ الْمَسِّ وَالنَّظَرِ، حَتَّى لَوْ وُجِدَا بِغَيْرِ شَهْوَةٍ ثُمَّ اشْتَهَى بَعْدَ التَّرْكِ لاَ تَتَعَلَّقُ بِهِ الْحُرْمَةُ.
وَحَدُّ الشَّهْوَةِ فِي الرَّجُل أَنْ تَنْتَشِرَ آلَتُهُ أَوْ تَزْدَادَ انْتِشَارًا إِنْ كَانَتْ مُنْتَشِرَةً.
—মাওসূআ ফিক্বহিয়্যাহ

والله اعلم بالصواب

ইসহাক মাহমুদ মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া খতীব, নবোদয় সি ব্লক জামে মসজিদ, মোহাম্মদপুর ইমাম, বায়তুল ওয়াহহাব জামে মসজিদ, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

#১৩১৮৫
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি একটা বিষয় জানতে চাই যে,আমাদের মসজিদে ফজরের নামাজের সাথে সাথে ইমাম সাহেব হাদিসের বয়ান করে। বয়ান প্রায় সকাল ৭ টা পর্যন্ত হয়। বয়ান চলাকালীন সময়ের মধ্যে একাকি সকালের যেই আমলগুলো আছে। যেমন সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ আকবর,এস্তেগফার ইত্যাদি কি আমি পড়তে পারবো। আমি বলতে চাচ্ছি যে বয়ান শুনলাম আর মনে মনে এই আমল গুলো করলাম। এটা কি করতে পারবো। আসলে প্রশ্ন করার উদ্দেশ্য হলো একদিন ইমাম সাহেব বললো এক সাথে দুইটা করা যাবে না। তাই প্রশ্ন করা। আসলে ৭ টার পরে আমি আর সময় দিতে পারি না। এমতাবস্থায় আমলের দিক দিয়ে কোনটা করা উত্তম হবে।
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
Dhaka 1205