কুরআনের ক্যালিগ্রাফি বা গ্রাফিতি
প্রশ্নঃ ১০৫৯৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, সম্মানিত মুফতী সাহেব দের কাছে জানতে চাই।অনেক কলমদানি থাকে অথবা ঘড়ি থাকে যেগুলোতে আল্লাহর নাম আয়াতুল কুরসি অথবা কোরআনের অন্যান্য আয়াত লেখা থাকে, জানার বিষয় হল এগুলো ব্যবহার করলে যেমন কলমদানিতে কলম রাখলাম অথবা ঘড়ি যেটাতে আয়াতুল কুরসি রয়েছে টানিয়ে রাখলাম র এভাবে ব্যবহার করাটা জায়েজ হবে কিনা? এবং কোরআনের আয়াতের অপমান হয় কি না? জানিয়ে বাধিত করবেন
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
কোরআন মহান আল্লাহর কালাম বা বাণী। এটি প্রদর্শনের বস্তু নয়। তাই শুধু প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে কোরআন-হাদিস লিখিত বা ক্যালিগ্রাফি করা ওয়ালম্যাট বা শোপিস ব্যবহার করা উচিত নয়। তবে কেউ যদি এ উদ্দেশ্যে এগুলো ব্যবহার করে যে এর দ্বারা আল্লাহ তাআলার কথা স্মরণ হবে, এতে লিখিত বাণীর হিদায়াত ও শিক্ষা গ্রহণ করা যাবে, তাহলে শর্ত সাপেক্ষে তা করা যেতে পারে। সেই শর্তগুলো হলো—আয়াত ও হাদিসের মর্যাদার প্রতি খেয়াল রাখা, যেন তা নিচে পড়ে না যায় বা নাপাক কিছুর সঙ্গে স্পর্শ না হয়, আর ধুলাবালি থেকে নিয়মিত পরিচ্ছন্ন রাখা হয়। কোরআন-হাদিস লিখিত ক্যালেন্ডারের ক্ষেত্রেও একই বিধান। কোরআন-হাদিসের মর্যাদার প্রতি লক্ষ রাখতে হবে। বাতাসে যাতে ওড়াউড়ি না করে, সে ব্যবস্থাও করা প্রয়োজন। তবে ক্যালেন্ডারে কোরআনের আয়াত বা হাদিস না লেখাই উত্তম। কারণ মানুষ এটি সেভাবে মর্যাদা দিয়ে ব্যবহার করে না এবং মাস ও বছর শেষে তা হেফাজত করে না; যেখানে-সেখানে তা ফেলে দেয়।
কোরআন-হাদিস লিখিত ক্যালেন্ডার দ্বারা কিতাব বা বই-পুস্তক বাঁধাই করা মাকরুহ। এটা কোরআন-হাদিসের মর্যাদার পরিপন্থী। এ ধরনের ক্যালেন্ডার প্রয়োজন শেষে হেফাজত করতে হবে। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে পুড়িয়ে ছাইগুলো কোনো পবিত্র স্থানে দাফন করে দেবে।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন