প্রশ্নঃ ১০২২৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
হিল্লার মূল মাসাআলা টা আমি জানতে চাচ্ছিলাম।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
কোনো স্বামী যদি তার স্ত্রীকে তিন তালাক দেয়ার পর তাকে পুনরায় বরণ করে নেয়ার ইচ্ছা পোষণ করে। তবে তার জন্য একমাত্র বৈধ ব্যবস্থা হলো ‘হালালাহ’ করা। অর্থাৎ অন্য স্বামীর নিকট নিয়মিত বিবাহ দেয়া এবং তাদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক গড়ে ওঠা।
অতঃপর তাদের মাঝে সংসার জীবনে কোনো কারণে যদি ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়; তবে ইদ্দত পালনের পর ওই স্ত্রী প্রথম স্বামীর জন্য হালাল হবে।
মনে রাখতে হবে-প্রথম স্বামীর বিবাহের উদ্দেশ্যে কোথাও স্ত্রীকে বিয়ে দিয়ে তালাকের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি পরিকল্পনামাফিক বিয়ে এবং তালাক সম্পাদন করা ‘হালালাহ’-এর অন্তর্ভূক্ত নয়।
আলোচ্য আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম রাজি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘তিন তালাকের পরও যদি স্ত্রী স্বামীর নিকট গমন করতে ইচ্ছুক হয় তবে পাঁচটি কাজ অবশ্যই সম্পাদন করতে হবে। আর তা হলো-
>> তিন মাস ইদ্দত অতিবাহিত করতে হবে;
>> দ্বিতীয় স্বামীর সাথে বিবাহ হতে হবে;
>> দ্বিতীয় স্বামীর সাথে শুধু নামে মাত্র বিবাহ হলে চলবে না, বরং তার সাথে যথারীতি সহবাস করতে হবে;
>> দ্বিতীয় স্বামী কর্তৃক তাকে তালাকপ্রাপ্ত হতে হবে এবং এ তালাকের জন্য পুনরায় তিন মাস ইদ্দত পালন করতে হবে।
>> পুনরায় প্রথম স্বামীর সাথে নিয়মিতভাবে বিবাহ হতে হবে।
পড়ুন- সুরা বাকারার ২২৯ নং আয়াত
পরিষেশে...ইসলামে বৈধ সবচেয়ে নিকৃষ্ট কাজ হলো তালাক। যখন একেবারেই সংসার করা আর সম্ভব না হয় তখনই এ তালাকের ব্যবস্থা। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআনে নির্ধারিত বিধান মেনে চলার তাওফিক দান করুন। স্বামী-স্ত্রী উভয়কে জুলুমের মতো অপরাধ থেকে হেফাজত করুন। আল্লাহর সীমা লংঘন থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, মোহাম্মাদপুর।
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন