আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, কুরআনে যেগুলো সিজদার আয়াত, সেগুলো মুখস্থ করার সময় কি বার সিজদা দিতে হবে না একবার দিলেই হবে?

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম, সাহু সিজদা কি কি কারণে করা লাগে আর সাহু সিজদা করার সঠিক নিয়ম কি?

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম।
আমি সালাত আদায় করার সময় সিজদার সংখ্যা মনে করতে পারি না। দুটি সিজদা করলেও মনে হয় একটি সিজদা করেছে। এক্ষেত্রে আমার বিধান কি। আমার কি শুধু সিজদায় সাহু করলে সালাত হবে।

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির অগ্রগতি হওয়ার কারণে মোবাইল রেকর্ডার ইত্যাদির প্রচলন বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই যে কোনো জায়গায় মোবাইল রেকর্ডার ইত্যাদি থেকে কুরআনের তিলাওয়াত শোনা যায়। জানার বিষয় হল, মোবাইল, টেপ রেকর্ডার ইত্যাদি থেকে সিজদার আয়াত শুনলে কি সিজদা ওয়াজিব হবে?

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি একদিন যোহরের নামায পড়ছিলাম। দুরাকাত পড়ার পর ভুলে তাশাহহুদের পর দরূদ শরীফ ও দুআ পড়ে চার রাকাত মনে করে সালাম ফিরিয়ে নিই। সালাম ফিরানোর পরপরই আমি দ্রুত সুন্নত পড়ার জন্য দাঁড়িয়ে যাই। সুন্নতের জন্য আলাদা নিয়তও বেঁধে ফেলি। কিন্তু এরপরই আমার স্মরণ হয়, আমার যোহরের ফরয পুরা হয়নি। তাই সুন্নতের নিয়ত বাদ দিয়ে মনে মনে ফরযের বাকি দু রাকাতের নিয়ত করে নিই। তারপর সাহু সিজদা দিয়ে নামায শেষ করি। এখন জানার বিষয় হল, আমার যোহরের নামায কি আদায় হয়েছে, নাকি পুনরায় পড়তে হবে?

 

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

হাশিয়াতুত তহতাবী আলাল মারাকী নামক কিতাবে সিজদায়ে তিলাওয়াতের আয়াতসমূহ উল্লেখ করতে গিয়ে কোনো জায়গায় তিন আয়াত আবার কোথাও চার আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে।  যেমন সূরা নজমে চার আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে। তো প্রশ্ন হল, এখানে উদ্দেশ্য কি এই যে, চার আয়াতের যেকোনো এক আয়াত পড়লে সিজদা করতে হবে, আর যেখানে তিন আয়াত, যেমন সূরা নাহল-এ সেখানে তিন আয়াতের যেকোনো এক আয়াত পড়লে সিজদা করতে হবে? নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে? দয়া করে জানাবেন।

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

এক ব্যক্তি এক রাকাতে ভুলে তিনটি সিজদা করে এবং সাহু সিজদা না করেই নামায শেষ করে। এমতাবস্থায় তার নামায কি শুদ্ধ হয়েছে?

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

একদিন এশার নামাযে ইমাম সাহেব প্রথম বৈঠক না করে দাঁড়িয়ে যান। পরে আরো দুই রাকাত পড়ে যথারীতি উভয়দিকে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করেন কিন্তু সাহু সিজদা দেননি। তবে বিষয়টি মনে পড়ার সাথে সাথে নামায পরিপন্থী কোনো কাজ করার আগে তিনি সাহু সিজদা দেন এবং পুনরায় শেষ বৈঠক করে নামায শেষ করেন। এখন জানার বিষয় হল, উভয় দিকে সালাম ফিরানোর পরেও কি ইমাম সাহেবের সাহু সিজদা দেওয়া শুদ্ধ হয়েছে?

 

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

মহিলারা হায়েয অবস্থায় সিজদার আয়াত শুনলে পবিত্র হওয়ার পর তাদেরকে সিজদা দিতে হবে কি?

 

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

একদিন আসরের নামাযের তৃতীয় রাকাতে ইমাম সাহেব তিনটি সেজদা করে। কিছু মুকতাদী তৃতীয় সেজদায় ইমাম সাহেবের অনুসরণ করেন। আর কিছু মুকতাদী অনুসরণ করেননি। ইমাম সাহেব নামায শেষে সেজদায়ে সাহুও করেননি। এখন তাদের নামাযের হুকুম কী?

 

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি একদিন এক লোককে দেখলাম, নামায শেষ করে বের হওয়ার জন্য সে দরজার দিকে যাচ্ছে। কিছুদূর গিয়ে পুনরায় বসে পড়েছে। অতপর সিজদা ও বৈঠকের পর সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করেছে। ব্যাপারটি তার কাছে জানতে চাইলে  সে বলল, আমার উপর সাহু সিজদা ওয়াজিব ছিল। আমি তা আদায় করতে ভুলে গিয়েছি। আর মসজিদ থেকে বের হওয়ার আগ পর্যন্ত যেহেতু ভুলে যাওয়া সাহু সিজদা আদায়ের সুযোগ থাকে তাই স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে আমি তা আদায় করে নিলাম। জানতে চাই, প্রশ্নোক্ত পদ্ধতিতে সাহু সিজদা আদায় করার দ্বারা কি তার নামায ত্রুটিমুক্ত হবে? উল্লেখ্য, লোকটি নামায নষ্ট হওয়ার মত কোনো কাজ না করেই সিজদা করেছে।

 

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি যোহরের নামাযে প্রথম বৈঠকে ভুলে পুরা দরূদ শরীফ পড়ে ফেলি। কিন্তু সিজদায়ে সাহু করতে ভুলে যাই। দ্বিতীয় সালামের পরই সিজদায়ে সাহুর কথা মনে পড়ে। এরপর আমি নামায পুনরায় পড়ে নেই। এখন জানার বিষয় হচ্ছে, দ্বিতীয় সালামের পরপরই বা এক সালামের পর যদি সিজদায়ে সাহুর কথা স্মরণ হয় তাহলে এক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান কী?

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

কিছুদিন আগে এক তা‘লিমী হালকায় এক ভাই নামাযের মাসায়েলের আলোচনা করতে গিয়ে বললেন- ‘ভুলবশত ফরয নামাযের তৃতীয়-চতুর্থ রাকাতে সূরা ফাতিহার সঙ্গে সূরা মিলিয়ে ফেললে সিজদায়ে সাহু করা আবশ্যক হয় না।’ জানার বিষয় হল, তার এই কথা কি ঠিক?

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

একবার আমার নামাযে ভুল হয়েছিল, যার কারণে সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়েছিল। সাহু সিজদা দিতে ভুলে গিয়েছিলাম। স্মরণ হয়েছে দুআ মাছুরা পড়ার পর। ঐ সময় আমি একদিকে সালাম ফিরিয়ে সাহু সিজদা আদায় করেছি। এরপর যথানিয়মে নামায শেষ করেছি। এখন আমি জানতে চাই, ঐ সময় সাহু সিজদা করাতে নামাযের কোনো সমস্যা হয়েছে কি?

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

বিতিরের নামাযে ইমাম সাহেব ভুলে দুআ কুনূত না পড়েই রুকুতে চলে যান। মুক্তাদীগণ লোকমা দিলে রুকু বাদ দিয়ে আবার দাঁড়িয়ে যান। এরপর দুআ কুনূত পড়ে যথারীতি বাকি নামায শেষ করেন। এতে এক রাকাতে দুই রুকু হয়ে যায়। উক্ত নামায কি সহীহ হয়েছে? এক আলেম বলেছেন, নামায সহীহ হয়নি। সঠিক মাসআলাটি জানালে উপকৃত হতাম।

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি একটি মহিলা মাদরাসায় হিফজ বিভাগের শিক্ষিকা। মাসিক ¯্রাবের সময়ও আমাকে ছাত্রীদের তিলাওয়াত শুনতে হয়। জানার বিষয় হল, এ সময় তারা সিজদার আয়াত তিলাওয়াত করলে আমার উপর সিজদা ওয়াজিব হবে কি না?

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

একদিন এশার নামাযে দ্বিতীয় রাকাতে বসার সময় ইমাম সাহেব কিছুটা দীর্ঘ করে তাকবীর বলেন। একারণে আমরা কয়েকজন মুক্তাদি দাঁিড়য়ে যাই। এরপর অন্যদের  দেখে আবার বসে পড়ি এবং শেষে ইমামের সাথেই সালাম ফিরাই।

জানার বিষয় হল, আমাদের উক্ত নামায হয়েছে কি না। আমাদের কি সাহু সিজদা করতে হবে?

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

একদিন যোহরের নামাযে ইমাম সাহেব মসজিদে আসেননি। মুসল্লিদের থেকে একজন নামায পড়ালেন। তিনি ভুলক্রমে প্রথম বৈঠক না করেই তৃতীয় রাকাতে দাঁড়িয়ে গেলেন। পেছন থেকে লোকমা দিলেও তিনি বসলেন না এবং শেষে সাহু-সিজদা করে নামায শেষ করেন।

হুজুরের নিকট জানার বিষয় হল, আমাদের উক্ত নামায সহীহ হয়েছে কি না? এছাড়া ভুলক্রমে প্রথম বৈঠক না করলে করণীয় কী?