প্রশ্নঃ ৭২৬৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, সিজদার মধ্যে দোয়া
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ইতিমধ্যে এ বিষয়ে উত্তর দেয়া হয়েছে. যে বিষয়ে প্রশ্ন করতে চাচ্ছেন সেটা আগে সার্চ অপশনে খুঁজে দেখুন। উত্তরটি নিচে সংযুক্ত করা হল।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
রেফারেন্স উত্তর :
প্রশ্নঃ ৫৮৫৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, সিজদায় মনে মনে দোয়া করা যাবে কি? এই অবস্থায় (তাসবিহ পাঠ না করে) তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় অতিক্রান্ত হলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে ? ইচ্ছা করে এমন করলে কি নামাজে ফাসেদ হবে? জেনে করলে কি হবে আর না জেনে করলে কি হবে? আর তাসবিহ পাঠরত অবস্থায় মনে মনে দোয়া করলে তাতে কি সমস্যা আছে?প্রথমোক্ত ক্ষেত্রে যদি সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়, কিন্তু না জানার কারণে আগের নামাজগুলোতে তা করিনি। সেক্ষেত্রে ঐ নামাজগুলোর কি হবে?#কত নামাজে এমন করেছি তার কোন হিসাব নেই। বেশিরভাগই সুন্নাত নামাযে। ফরজ নামাজেও করেছি।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
নফল নামাযে সাজদাহ অবস্থায় দোয়া কবুলের মোক্ষম স্থান। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাজদার মধ্যে দোয়া করতে বলেছেন।
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، أَخْبَرَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ سُحَيْمٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْبَدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَشَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم السِّتَارَةَ وَالنَّاسُ صُفُوفٌ خَلْفَ أَبِي بَكْرٍ فَقَالَ " أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّهُ لَمْ يَبْقَ مِنْ مُبَشِّرَاتِ النُّبُوَّةِ إِلاَّ الرُّؤْيَا الصَّالِحَةُ يَرَاهَا الْمُسْلِمُ أَوْ تُرَى لَهُ أَلاَ وَإِنِّي نُهِيتُ أَنْ أَقْرَأَ الْقُرْآنَ رَاكِعًا أَوْ سَاجِدًا فَأَمَّا الرُّكُوعُ فَعَظِّمُوا فِيهِ الرَّبَّ عَزَّ وَجَلَّ وَأَمَّا السُّجُودُ فَاجْتَهِدُوا فِي الدُّعَاءِ فَقَمِنٌ أَنْ يُسْتَجَابَ لَكُمْ " .
قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سُلَيْمَانَ
’আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
তিনি বলেন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম (মৃত্যুশয্যায় থাকাকালিন সময়ে) হুজরার পর্দা তুলে দিলেন। লোকেরা এ সময় আবূ বাকরের পিছনে সলাতের কাতারে দাঁড়ানো ছিল। তিনি বললেন, হে লোক সকল! আর নবুয়তের ধারা অবশিষ্ট থাকবেনা। তবে মুসলিমরা সত্যস্বপ্ন দেখবে অথবা তাদেরকে দেখানো হবে। সাবধান! আমাকে নিষেধ করা হয়েছে আমি যেন রুকু’ বা সাজদারত অবস্থায় কুরআন পাঠ না করি। তোমরা রুকু’ অবস্থায় মহান প্রভুর শ্রেষ্ঠত্ব ও মহত্ব বর্ননা করবে এবং সাজদারত অবস্থায় অধিক দু’আ পড়ার চেষ্টা করবে, কেননা তোমাদের দু’আ কবুল হওয়ার উপযোগী।
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৯৬১
অতএব সেজদাহ অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দোয়া করবেন এতে সাজদাহ সাহূ দেওয়া লাগবে না। তবে ফরয নামাযে শুধু তাসবীহ পড়া উচিত।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন