আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

#৬১২৭
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম ।
আমার প্রশ্ন হল যে আমাদের এলাকায় একজন ইমাম সাব আছে উনি যে টাইমে খুতবা দেয় আমি লক্ষ্য করি উনি খুতবা দেওয়ার পূর্বে সকল মুসল্লিকে উদ্দেশ্য করে প্রথমে সালাম দেয় তার পরে খুতবা শুরু করে। এখন এর সমাধান কি ?

আমি একজন বিবাহিত লোক আমি রমজান মাসে আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে ওই অবস্থায় শেষ রাতের খানা খেয়ে ঘুমিয়ে গেছে এখন সকাল বেলা উঠে গোসল করেছি , এই সময়গুলো বিলম্ব করা এবং বের করে গোসল করা বা ঐ অবস্থায় খানাপারা। এতে কি রোজার কোন সমস্যা হবে ? নাকি একবারে রোজায় হবে না ?


ফেত্রা এবং যাকাতের মধ্যে কোন ধরনের পার্থক্য আছে কি ? যদি থাকে তাহলে বিস্তারিতভাবে একটু বুঝিয়ে দিলে ভালো হতো।


শেষ প্রশ্ন হল যে। আমি একজন মুসলমান এজন্য আমি ফেতরা দিতে চাই এখন আমি দেখতেছি যে ফিতরার পরিমাণ 60 টাকা বা 70 টাকা । এখন আমার মেন প্রশ্ন হল যে আমাদের বাড়িতে সদস্য আমরা চারজন এখন দেখা যাইতেছে যে প্রায় 300 টাকার কাছাকাছি আসছে এখন আমি চাইতেছি যে একটা মানুষকে ধরে নেন 500 টাকা পাঁচশ টাকার একটা দামী ভালো জিনিস দিলাম যা সে আমার কাছে আবদার করেছে । এখন ওই ওই পণ্যটা দাওয়াত দ্বারা আমার কি ফেতরা আদায় হয়ে যাবে কি ? পাশাপাশি একটা কথা বলে রাখি ওই পণ্যটা ভালো জিনিস যেমন ধরেন নামাজের জন্য একটা জায়নামাজ একটা পাঞ্জাবী বা একটা শাড়ি লুঙ্গি ইত্যাদি ইত্যাদি।
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: ইসহাক মাহমুদ
১৭ মে, ২০২১
হাকিমপুর
#২৬১
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি একজন মুসলমান। আমি আমার জীবনের যে কোনো ধরনের হারাম উপার্জন থেকে বাঁচানোর জন্য বদ্ধ পরিকর। আমি একটি গার্মেন্টস কোম্পানীতে চাকরি করি। আমি শরীয়াহভিত্তিক একটি সমিতির সদস্য। আমাদের সমিতির অর্থ দিয়ে সদস্যদের বাড়ি করার জন্য একটি জায়গা ক্রয় করা হয়েছে। এই জমি ডেভলপ কোম্পানীকে দেয়া হবে নাকি নিজেরা বাড়ি করবে এ নিয়ে একেক সময় একেক সিদ্ধান্ত হচ্ছে। তাই আমার অংশের টাকার উপর প্রতি বছর যাকাত দিয়ে আসছি। এখন আমার প্রশ্ন হল, এই যাকাত প্রদান ঠিক আছে কি না?

দ্বিতীয় বিষয় হল, চাকরির অনিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে কিছু অর্থ দিয়ে অন্য কোনো ক্ষেত্রে বিনিয়োগের চেষ্টা করি। কিন্তু টাকার স্বল্পতার জন্য এবং শরয়ী বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা না হওয়ায় জমির উপর বিনিয়োগ করি। দুইজন মুফতী সাহেবের সাথে কথা বলে যে পদ্ধতিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে তার ধরন নি¤েœ উল্লেখ করলাম :

১ম ধরন : ৫০,০০০/- টাকা দিয়ে এক ব্যক্তির নিকট থেকে মৌখিকভাবে ২০ শতক জায়গা ক্রয় করলাম এবং পরবর্তীতে অন্য এক মজলিসে বসে ঐ ব্যক্তির সাথে ওয়াদা করলাম যে, যখন জমি বিক্রি করব তখন আপনার কাছেই বিক্রি করব। অর্থাৎ সে যখন আমাকে টাকা ফেরত দেবে তখন নতুন করে জমির দাম ধরে তার কাছে আবার বিক্রি করে দিব। (এখানে উল্লেখ্য যে, ২০ শতক জমির প্রকৃত মূল্য অনেক বেশি)

২য় ধরন : জমির মালিককে অগ্রিম ৫০,০০০/- টাকা দিব এবং সেখান থেকে প্রতি বছর ২ ফসলের জন্য জমির ভাড়া বাবদ ৮০০ টাকা করে কর্তন হতে থাকবে। অর্থাৎ সে যদি ১ বছর পর টাকা পরিশোধ করে তাহলে (৫০,০০০-৮০০) = ৪৯,২০০/- টাকা পরিশোধ করবে। কিন্তু আমি তাকে প্রতি বছর ৮০০ টাকা দিতে থাকব, যে পর্যন্ত সে আমাকে ৫০,০০০/- টাকা ফেরত না দেবে। (এখানে উল্লেখ্য যে, জমির প্রকৃত ভাড়া আরও বেশি, কিন্তু আমাকে কম টাকায় বন্ধক দিত তাহলে জমি ফেরত নেয়ার সময় তাকে পুরো ৫০,০০০/- টাকাই পরিশোধ করতে হতো তাই সে আমাকে কম টাকায় ভাড়া দিয়েছে)

কেউ কেউ এভাবে জায়েয নয় বলে জানিয়েছে। তাই মনের সংশয় দূর করার জন্য দয়া করে উক্ত বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত জানালে উপকৃত হব, অথবা অন্য কোনো সঠিক পদ্ধতি থাকলে জানালে উপকৃত হব।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৮ অক্টোবর, ২০২০
#৩০৭৬
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

জনৈকা বিধবা মহিলার কয়েকজন নাবালেগ সন্তান আছে। তাদের তিনি নিয়ে খুবই কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। তার সাংসারিক খরচাদির কোনো ব্যস্থা নেই। তার ভাইরা তাকে সহযোগিতা করে। ভাইরা তার দূরাবস্থা দেখে তাকে যাকাতের টাকা থেকে দিয়ে আসছে। বড় ভাই একথা জানার পর অন্য ভাইদেরকে বললেন, তোমরা যে যাকাত দিচ্ছ তার কোনো টাকা-পয়সা বা গয়নাগাটি আছে কি না জান? তখন ভাইরা বলল, আরে না, সে গয়নাগাটি কোথায় পাবে? আমরা কোনোদিন তাকে গয়নাগাটি পরতে দেখিনি। আর তার সংসারই চলে না। সেখানে তার কাছে জমা টাকা থাকবে কি করে? পরে বোনকে জিজ্ঞাসা করে দেখা গেল তার কাছে ১ তোলা দুই আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন আছে। আর ৬ হাজার টাকা আছে। এখন জানতে চাই, তাকে যাকাত দেওয়া যাবে কি না? যদি যাকাত দেওয়া না যায় তাহলে এত দিন যা দেওয়া হয়েছে তার হুকুম কি? যাকাতদাতাদের যাকাত আদায় হয়েছে কি? জানিয়ে বাধিত করবেন।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৯ অক্টোবর, ২০২০