আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
৮. অধ্যায়ঃ সদকা
হাদীস নং: ১১৭৯
পরিচ্ছেদ
১১৭৯. হযরত হাসান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: একদা কিলাব ইবন উমাইয়্যা বসরী মজলিসে বসা ছিলেন। এমন সময় তাঁর নিকট দিয়ে হযরত উসমান ইব্ন আবুল আস (রা) যাচ্ছিলেন। তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন: তুমি এখানে কেন বসে আছ? সে বললোঃ আমাকে যিয়াদ টোল আদায়কারী নিযুক্ত করেছেন। হযরত উসমান (রা) তাকে বললেন: আমি কি তোমাকে ঐ হাদীসটি শোনাব না, যা আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি? সে বললো: হ্যাঁ। তখন উসমান (রা) বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি : আল্লাহর নবী দাউদ (আ) তাঁর পরিবারবর্গকে রাতের এক অংশে ইবাদতের জন্য জাগাতেন। তিনি বলতেন: হে দাউদ পরিবার! তোমরা উঠে সালাত আদায় কর। কেননা এতে রয়েছে এমন একটি মুহূর্ত, যাতে আল্লাহ যাদুকর ব্যতীত অথবা টোল আদায়কারী ব্যতীত (সবার) দু'আ কবুল করেন। এরপর কিলাব ইবন উমাইয়্যা জাহাজে আরোহণ করেন এবং যিয়াদের কাছে তার ইস্তফা পত্র দেন এবং তিনি তাকে তার দায়িত্ব হতে অব্যাহতি দেন।
(আহমদ হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং তাবারানী তাঁর 'কাবীর' ও 'আওসাত' গ্রন্থে নিজ শব্দযোগে বর্ণনা করেনঃ নবী (সা) বলেছেন: অর্ধ রাতের সময় আসমানের (রহমতের) দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়। সে সময় একজন আহ্হ্বানকারী ডেকে বলে: দু'আকারী কেউ আছে কি, তার দু'আ কবুল করা হবে, প্রার্থনাকারী কেউ আছে কি, তার প্রার্থনা কবুল করা হবে, বিপদগ্রস্থ কেউ আছে কি, তাকে বিপদমুক্ত করা হবে। ঐ সময় যে কোন মুসলমান দু'আ করে, তবে ঐ ব্যভিচারিণী, যে লজ্জাস্থান নিয়ে ব্যস্ত অথবা ঐ টোল আদায়কারী, যে টোল আদায় করে, তাদের ব্যতীত আল্লাহ তা'আলা অন্যদের দু'আ কবুল করেন।)
(আহমদ হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং তাবারানী তাঁর 'কাবীর' ও 'আওসাত' গ্রন্থে নিজ শব্দযোগে বর্ণনা করেনঃ নবী (সা) বলেছেন: অর্ধ রাতের সময় আসমানের (রহমতের) দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়। সে সময় একজন আহ্হ্বানকারী ডেকে বলে: দু'আকারী কেউ আছে কি, তার দু'আ কবুল করা হবে, প্রার্থনাকারী কেউ আছে কি, তার প্রার্থনা কবুল করা হবে, বিপদগ্রস্থ কেউ আছে কি, তাকে বিপদমুক্ত করা হবে। ঐ সময় যে কোন মুসলমান দু'আ করে, তবে ঐ ব্যভিচারিণী, যে লজ্জাস্থান নিয়ে ব্যস্ত অথবা ঐ টোল আদায়কারী, যে টোল আদায় করে, তাদের ব্যতীত আল্লাহ তা'আলা অন্যদের দু'আ কবুল করেন।)
فصل
1179 - وَعَن الْحسن رَضِي الله عَنهُ قَالَ مر عُثْمَان بن أبي الْعَاصِ رَضِي الله عَنهُ على كلاب بن أُميَّة وَهُوَ جَالس على مجْلِس الْعَاشِر بِالْبَصْرَةِ فَقَالَ مَا يجلسك هَاهُنَا قَالَ استعملني على هَذَا الْمَكَان يَعْنِي زيادا فَقَالَ لَهُ عُثْمَان أَلا أحَدثك حَدِيثا سمعته من رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ بلَى فَقَالَ عُثْمَان سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول كَانَ لداود نَبِي الله عَلَيْهِ السَّلَام سَاعَة يوقظ فِيهَا أَهله يَقُول يَا آل دَاوُد قومُوا فصلوا فَإِن هَذِه سَاعَة يستجيب الله فِيهَا الدُّعَاء إِلَّا لساحر أَو عَاشر فَركب كلاب بن أُميَّة سفينة فَأتى زيادا فاستعفاه فأعفاه
رَوَاهُ أَحْمد وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط وَلَفظه عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ تفتح أَبْوَاب السَّمَاء نصف اللَّيْل فينادي مُنَاد هَل من دَاع فيستجاب لَهُ هَل من سَائل فَيعْطى هَل من مكروب فيفرج عَنهُ فَلَا يبْقى مُسلم يَدْعُو بدعوة إِلَّا اسْتَجَابَ الله عز وَجل لَهُ إِلَّا زَانِيَة تسْعَى بفرجها أَو عشارا
رَوَاهُ أَحْمد وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط وَلَفظه عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ تفتح أَبْوَاب السَّمَاء نصف اللَّيْل فينادي مُنَاد هَل من دَاع فيستجاب لَهُ هَل من سَائل فَيعْطى هَل من مكروب فيفرج عَنهُ فَلَا يبْقى مُسلم يَدْعُو بدعوة إِلَّا اسْتَجَابَ الله عز وَجل لَهُ إِلَّا زَانِيَة تسْعَى بفرجها أَو عشارا


বর্ণনাকারী: