শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
২৩. অছিয়াত ও উত্তরাধিকার সম্পত্তির অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৭৪৩০
কোন ব্যক্তি যদি তার নিকট-আত্মীয়কে তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ অসীয়ত করে কিংবা তাদের মধ্য হতে অমুকের আত্মীয়ের জন্যে অসীয়ত করে
৭৪৩০। আবু জাফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেন, উলামায়ে কিরাম এ লােকটি সম্বন্ধে মতবিরােধ করেন। যে তার এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ হতে অমুকের নিকট আত্মীয়ের জন্যে অসীয়ত করে। আর তারা এ অসীয়তের হকদারও বটে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) বলেন, তারা হলাে অমুকের রক্তের সম্পর্কের মাহরাম, তার পিতার দিক দিয়ে হােক কিংবা মাতার দিক দিয়ে হােক, তবে তাদের মধ্য হতে যাদেরকে দিয়ে প্রথম শুরু করতে হবে তারা হলাে তার পিতার দিক দিয়ে নিকট আত্মীয়, তাদেরকে মাতার দিক দিয়ে নিকট আত্মীয়ের চেয়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এটার ব্যাখ্যায় বলা যায় যে, কোন এক অমীয়তকারীর অন্য পিতার দিক দিয়ে চাচা আর মাতার দিক দিয়ে মামা। দুজন সমান পর্যায়ের । কিন্তু এই অসীয়তের ব্যাপারে মামার চেয়ে চাচাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তাই তার জন্যেই অসীয়ত করতে হবে। ইমাম যুফার (রাহঃ) বলেন, পিতার দিক দিয়ে হােক কিংবা মাতার দিক দিয়ে হােক, নিকট আত্মীয় হলে তার জন্য অসীয়ত আছে। কিন্ত দূর সম্পর্কীয় আত্মীয়ের জন্য অসীয়ত বৈধ নয়। তবে নিকট আত্মীয়ের মধ্যে মাহরাম ও গায়রে মাহরাম একই পর্যায়ভুক্ত। ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ) বলেন, অসীয়ত হচ্ছে এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য যাকে এবং অমুককে একই পিতা সংযুক্ত করেছে যখন থেকে হিজরত সম্পন্ন হয়েছে। এ হিজরত পিতার পক্ষ থেকে হােক কিংবা মাতার পক্ষ থেকে হােক। তদ্রুপ দূরবর্তী ও নিকটবর্তী আত্মীয় একই হুকুমভুক্ত। তদ্রুপ মাহরাম ও গায়রে মাহরাম আত্মীয়ের মাঝেও কোন পার্থক্য নেই। তাদের মধ্যে যারা পিতার দিক দিয়ে নিকট আত্মীয়, তাদের জন্যে মাতার দিক্ দিয়ে নিকট আত্মীয়ের উপর এক্ষেত্রে কোন অগ্রাধিকার রয়েছে বলে এ দুই ইমাম স্বীকার করেন না।
অন্য একদল আলিম বলেন অসীয়ত হচ্ছে এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্যে, যাকে এবং অমুককে তার চতুর্থতম পিতা হতে নিম্নবর্তী পিতা একত্রিত করে থাকে। অন্য একদল আলিম বলেন অসীয়ত হচ্ছে এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য যাকে এবং অমুককে এমন একই পিতা ইসলাম কিংবা জাহিলিয়াতের যুগে একত্রিত করে যিনি পিতাসমূহ কিংবা মাতাসমূহকে নিজের দিকে প্রত্যাবর্তন করার ক্ষেত্রে এক পিতাকে অন্য পিতা ব্যতীত কিংবা এক মাতাকে অন্য মাতা ব্যতীত শামিল করে। যতক্ষণ না তার দ্বারা ওয়ারিসগণ উত্তরাধিকারী সম্পত্তিতে অংশীদার হন কিংবা তার দ্বারা সাক্ষ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে এসব মতবাদের প্রবক্তাগণ যেসব নিকট আত্মীয়ের জন্য অসীয়ত সাব্যস্ত করেছেন, তাদের প্রত্যেকের অভিমতে এমন নিকট আত্মীয় হতে হবে যেগুলােকে গণনা করা যায় ও চেনা যায়। যদি তাদেরকে গণনা করা না যায় কিংবা চেনা না যায়, তাহলে অসীয়ত তাদের সকলের মতে বাতিল বলে গণ্য হবে। হ্যা, যদি অসীয়তকারী নিকট আত্মীয়দের দরিদ্রদের জন্যে অসীয়ত করেন তাহলে এটা এমন লােকের জন্য বৈধ হবে যাকে অসীয়তকারী যােগ্য মনে করবেন এবং তাদের মধ্য হতে তাকে অসীয়ত প্রদান করবে। আর তাদের সংখ্যা কমপক্ষে দুই বা ততােধিক হতে হবে। আর এটা মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ)-এর অভিমত। ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) বলেন, তাদের মধ্য হতে যে কোন একজনকে দিলেই তা বৈধ হবে।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ) বলেন, নিকটাত্মীয় সম্পর্কে উলামায়ে কিরামের উপরােক্ত মতবিরােধের প্রেক্ষিতে আমাদের উপর অপরিহার্য হয়ে পড়েছে যে, আমরা এ সম্পর্কে গবেষণার আশ্রয় নিই যাতে এসব অভিমত থেকে একটি শুদ্ধ অভিমত বের করে আনতে পারি। তাে আমরা এ সম্পর্কে গবেষণা করে দেখলাম যে,-উলামায়ে কিরামের মধ্যে যারা বলেন যে, নিকটাত্মীয় তারাই যারা চতুর্থতম পিতার ক্ষেত্রে কিংবা আরাে নিম্নবর্তী কোন পিতার ক্ষেত্রে গিয়ে তার সাথে সম্পৃক্ত হয়। তাদের দলীল হিসেবে তারা উল্লেখ করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন নিকট আত্মীয়ের অংশ বন্টন করে দেন, তখন তিনি বনু হাশিম ও বনু আল-মুত্তালিবকে প্রদান করেছেন। কেননা তিনি ও বন্ আল-মুত্তালিব চতুর্থতম পিতায় গিয়ে মিলিত হয়। তিনি হলেন মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুল মুত্তালিব ইবন হাশিম ইবন আব্দ মানাফ। আর অন্যরা হলেন বনু আল-মুত্তালিব ইবন আব্দ মানাফ। তার রাসূলুল্লাহ এর সাথে আব্দ মানাফের কাছে মিলিত হচ্ছেন। তিনি হচ্ছেন তার চতুর্থতম পিতা। এ সম্পর্কে এদের বিরুদ্ধে অন্যদের দলীল এই যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন বনু হাশিম ও বনু আল-মুত্তালিবকে নিকট আত্মীয়ের অংশ প্রদান করেছেন, তখন বনু উমাইয়া ও বনু নওফলকে বঞ্চিত করেছেন। অথচ তাদের সাথে তার আত্মীয়তা
হল বনু আল-মুত্তালিবের আত্মীয়তার ন্যায়। তাদেরকে তিনি এজন্য বঞ্চিত করেন নাই যে, তারা নিকট আত্মীয়,বরং নিকটাত্মীয়তা ছাড়া অন্য কোন কারণে। সুতরাং একইভাবে তাদের উপরের যারা ছিল, তাদেরকে নিকট আত্মীয় না হওয়ার কারণে বঞ্চিত করেন নি, বরং নিকটাত্মীয়তা ছাড়া অন্য কোন কারণে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে আত্মীয়তার সম্বন্ধে অন্যভাবে বর্ণিত হয়েছে।
ইব্ন মারমূক (রাহঃ).... আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, যখন অত্র আয়াতটি অবতীর্ণ হয় لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتَّى تُنْفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ
অর্থাৎ “তােমরা যা ভালবাস তা হতে ব্যয় না করা পর্যন্ত তােমরা
কখনও পূণ্য লাভ করবে না।” (সূরা ৩:৯২) কিংবা বলেন, যখন এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয় مَّن ذَا الَّذِي يُقْرِضُ اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا فَيُضَاعِفَهُ لَهُ أَضْعَافًا كَثِيرَةً
অর্থাৎ “কে সে, যে আল্লাহকে উত্তম ঋণ প্রদান করবে। তিনি
তার জন্যে এটা বহুগুণে বৃদ্ধি করবেন। (সূরা ২: ২৪৫) তখন রসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর কাছে আবু তালহা (রাযিঃ) আগমন করে বলেন, হে আল্লাহর রাসূল ! অমুক জায়গায় আমার যে বাগানটি রয়েছে তা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে দান করে দিলাম। আর এ দানের কথাটি যদি আমি গোপন রাখতে সক্ষম হতাম তাহলে আমি তা প্রকাশ করতাম না। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এটাকে তােমার দরিদ্র আত্মীয়দের মধ্যে দান কর অথবা তিনি বললেন, তােমার পরিবারের দরিদ্রদের মধ্যে দান কর।
অন্য একদল আলিম বলেন অসীয়ত হচ্ছে এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্যে, যাকে এবং অমুককে তার চতুর্থতম পিতা হতে নিম্নবর্তী পিতা একত্রিত করে থাকে। অন্য একদল আলিম বলেন অসীয়ত হচ্ছে এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য যাকে এবং অমুককে এমন একই পিতা ইসলাম কিংবা জাহিলিয়াতের যুগে একত্রিত করে যিনি পিতাসমূহ কিংবা মাতাসমূহকে নিজের দিকে প্রত্যাবর্তন করার ক্ষেত্রে এক পিতাকে অন্য পিতা ব্যতীত কিংবা এক মাতাকে অন্য মাতা ব্যতীত শামিল করে। যতক্ষণ না তার দ্বারা ওয়ারিসগণ উত্তরাধিকারী সম্পত্তিতে অংশীদার হন কিংবা তার দ্বারা সাক্ষ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে এসব মতবাদের প্রবক্তাগণ যেসব নিকট আত্মীয়ের জন্য অসীয়ত সাব্যস্ত করেছেন, তাদের প্রত্যেকের অভিমতে এমন নিকট আত্মীয় হতে হবে যেগুলােকে গণনা করা যায় ও চেনা যায়। যদি তাদেরকে গণনা করা না যায় কিংবা চেনা না যায়, তাহলে অসীয়ত তাদের সকলের মতে বাতিল বলে গণ্য হবে। হ্যা, যদি অসীয়তকারী নিকট আত্মীয়দের দরিদ্রদের জন্যে অসীয়ত করেন তাহলে এটা এমন লােকের জন্য বৈধ হবে যাকে অসীয়তকারী যােগ্য মনে করবেন এবং তাদের মধ্য হতে তাকে অসীয়ত প্রদান করবে। আর তাদের সংখ্যা কমপক্ষে দুই বা ততােধিক হতে হবে। আর এটা মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ)-এর অভিমত। ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) বলেন, তাদের মধ্য হতে যে কোন একজনকে দিলেই তা বৈধ হবে।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ) বলেন, নিকটাত্মীয় সম্পর্কে উলামায়ে কিরামের উপরােক্ত মতবিরােধের প্রেক্ষিতে আমাদের উপর অপরিহার্য হয়ে পড়েছে যে, আমরা এ সম্পর্কে গবেষণার আশ্রয় নিই যাতে এসব অভিমত থেকে একটি শুদ্ধ অভিমত বের করে আনতে পারি। তাে আমরা এ সম্পর্কে গবেষণা করে দেখলাম যে,-উলামায়ে কিরামের মধ্যে যারা বলেন যে, নিকটাত্মীয় তারাই যারা চতুর্থতম পিতার ক্ষেত্রে কিংবা আরাে নিম্নবর্তী কোন পিতার ক্ষেত্রে গিয়ে তার সাথে সম্পৃক্ত হয়। তাদের দলীল হিসেবে তারা উল্লেখ করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন নিকট আত্মীয়ের অংশ বন্টন করে দেন, তখন তিনি বনু হাশিম ও বনু আল-মুত্তালিবকে প্রদান করেছেন। কেননা তিনি ও বন্ আল-মুত্তালিব চতুর্থতম পিতায় গিয়ে মিলিত হয়। তিনি হলেন মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুল মুত্তালিব ইবন হাশিম ইবন আব্দ মানাফ। আর অন্যরা হলেন বনু আল-মুত্তালিব ইবন আব্দ মানাফ। তার রাসূলুল্লাহ এর সাথে আব্দ মানাফের কাছে মিলিত হচ্ছেন। তিনি হচ্ছেন তার চতুর্থতম পিতা। এ সম্পর্কে এদের বিরুদ্ধে অন্যদের দলীল এই যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন বনু হাশিম ও বনু আল-মুত্তালিবকে নিকট আত্মীয়ের অংশ প্রদান করেছেন, তখন বনু উমাইয়া ও বনু নওফলকে বঞ্চিত করেছেন। অথচ তাদের সাথে তার আত্মীয়তা
হল বনু আল-মুত্তালিবের আত্মীয়তার ন্যায়। তাদেরকে তিনি এজন্য বঞ্চিত করেন নাই যে, তারা নিকট আত্মীয়,বরং নিকটাত্মীয়তা ছাড়া অন্য কোন কারণে। সুতরাং একইভাবে তাদের উপরের যারা ছিল, তাদেরকে নিকট আত্মীয় না হওয়ার কারণে বঞ্চিত করেন নি, বরং নিকটাত্মীয়তা ছাড়া অন্য কোন কারণে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে আত্মীয়তার সম্বন্ধে অন্যভাবে বর্ণিত হয়েছে।
ইব্ন মারমূক (রাহঃ).... আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, যখন অত্র আয়াতটি অবতীর্ণ হয় لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتَّى تُنْفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ
অর্থাৎ “তােমরা যা ভালবাস তা হতে ব্যয় না করা পর্যন্ত তােমরা
কখনও পূণ্য লাভ করবে না।” (সূরা ৩:৯২) কিংবা বলেন, যখন এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয় مَّن ذَا الَّذِي يُقْرِضُ اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا فَيُضَاعِفَهُ لَهُ أَضْعَافًا كَثِيرَةً
অর্থাৎ “কে সে, যে আল্লাহকে উত্তম ঋণ প্রদান করবে। তিনি
তার জন্যে এটা বহুগুণে বৃদ্ধি করবেন। (সূরা ২: ২৪৫) তখন রসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর কাছে আবু তালহা (রাযিঃ) আগমন করে বলেন, হে আল্লাহর রাসূল ! অমুক জায়গায় আমার যে বাগানটি রয়েছে তা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে দান করে দিলাম। আর এ দানের কথাটি যদি আমি গোপন রাখতে সক্ষম হতাম তাহলে আমি তা প্রকাশ করতাম না। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এটাকে তােমার দরিদ্র আত্মীয়দের মধ্যে দান কর অথবা তিনি বললেন, তােমার পরিবারের দরিদ্রদের মধ্যে দান কর।
بَابُ الرَّجُلِ يُوصِي بِثُلُثِ مَالِهِ لِقَرَابَتِهِ، أَوْ لِقَرَابَةِ فُلَانٍ مِنْهُمْ
7430 - قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: اخْتَلَفَ النَّاسُ فِي الرَّجُلِ يُوصِي بِثُلُثِ مَالِهِ , لِقَرَابَةِ فُلَانٍ مَنْ هُمْ؟ الْقَرَابَةُ الَّذِينَ يَسْتَحِقُّونَ تِلْكَ الْوَصِيَّةَ. فَقَالَ أَبُو حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ: هُمْ كُلُّ ذِي رَحِمٍ مَحْرَمٍ , مِنْ فُلَانٍ , مِنْ قِبَلِ أَبِيهِ , أَوْ مِنْ قِبَلِ أُمِّهِ , غَيْرَ أَنَّهُ يَبْدَأُ فِي ذَلِكَ , بِمَنْ كَانَتْ قَرَابَتُهُ مِنْهُمْ , مِنْ قِبَلِ أَبِيهِ , عَلَى مَنْ كَانَتْ قَرَابَتُهُ مِنْهُ , مِنْ قِبَلِ أُمِّهِ. وَتَفْسِيرُ ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ لِلْمُوصِي لِقَرَابَتِهِ عَمٌّ , وَخَالٌ , فَقَرَابَةُ عَمِّهِ مِنْ قِبَلِ أَبِيهِ , كَقَرَابَةِ خَالِهِ مِنْهُ , مِنْ قِبَلِ أُمِّهِ , فَلْيَبْدَأْ فِي ذَلِكَ , بِعَمِّهِ عَلَى خَالِهِ , فَيَجْعَلُ الْوَصِيَّةَ لَهُ. وَقَالَ زَفَرُ رَحِمَهُ اللهُ: الْوَصِيَّةُ لِكُلِّ مَنْ قَرُبَ مِنْهُ مِنْ قِبَلِ أَبِيهِ , أَوْ مِنْ قِبَلِ أُمِّهِ , دُونَ مَنْ كَانَ أَبْعَدَ مِنْهُ. وَسَوَاءٌ كَانَ فِي ذَلِكَ , بَيْنَ مَنْ كَانَ مِنْهُمْ , ذَا رَحِمٍ مَحْرَمٍ , وَبَيْنَ مَنْ كَانَ ذَا رَحِمٍ غَيْرَ مُحَرَّمٍ. وَقَالَ أَبُو يُوسُفَ وَمُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ رَحِمَهُمَا اللهُ تَعَالَى: الْوَصِيَّةُ فِي ذَلِكَ ; لِكُلٍّ مَنْ جَمَعَهُ وَفُلَانًا , أَبٌ وَاحِدٌ , مُنْذُ كَانَتِ الْهِجْرَةُ مِنْ قِبَلِ أَبِيهِ , أَوْ مِنْ قِبَلِ أُمِّهِ. وَسَوَاءٌ فِي ذَلِكَ , بَيْنَ مَنْ بَعُدَ مِنْهُمْ. وَبَيْنَ مَنْ قَرُبَ , وَبَيْنَ مَنْ كَانَتْ رَحِمُهُ غَيْرَ مُحَرَّمَةٍ. وَلَمْ يُفَضِّلَا فِي ذَلِكَ , مَنْ كَانَتْ رَحِمُهُ مِنْ قِبَلِ الْأَبِ , عَلَى مَنْ كَانَتْ رَحِمُهُ , مِنْ قِبَلِ الْأُمِّ. وَقَالَ آخَرُونَ: الْوَصِيَّةُ فِي ذَلِكَ , لِكُلٍّ مَنْ جَمَعَهُ وَفُلَانًا , أَبُوهُ الرَّابِعُ إِلَى مَا هُوَ أَسْفَلُ مِنْ ذَلِكَ. وَقَالَ آخَرُونَ: الْوَصِيَّةُ فِي ذَلِكَ ; لِكُلٍّ مَنْ جَمَعَهُ وَفُلَانًا , أَبٌ وَاحِدٌ , فِي الْإِسْلَامِ , أَوْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ , مِمَّنْ يَرْجِعُ بِآبَائِهِ , أَوْ بِأُمَّهَاتِهِ إِلَيْهِ , أَبًا غَيْرَ أَبٍ , أَوْ أُمًّا غَيْرَ أُمٍّ , إِلَى أَنْ تَلْقَاهُ , مِمَّا ثَبَتَتْ بِهِ الْمَوَارِيثُ , أَوْ تَقُومُ بِهِ الشَّهَادَاتُ. وَإِنَّمَا جَوَّزَ أَهْلُ هَذِهِ الْمَقَالَاتِ الْوَصِيَّةَ لِلْقَرَابَةِ , عَلَى مَا ذَكَرْنَا مِنْ قَوْلِ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ , إِذَا كَانَتْ تِلْكَ الْقَرَابَةُ قَرَابَةً تُحْصَى وَتُعْرَفُ. فَإِنْ كَانَتْ لَا تُحْصَى وَلَا تُعْرَفُ , فَإِنَّ الْوَصِيَّةَ بِهَا بَاطِلَةٌ فِي قَوْلِهِمْ جَمِيعًا إِلَّا أَنْ يُوصِيَ بِهَا لِفُقَرَائِهِمْ , فَتَكُونَ جَائِزَةً لِمَنْ رَأَى الْوَصِيُّ دَفْعَهَا إِلَيْهِ مِنْهُمْ. وَأَقَلُّ مَنْ يَجُوزُ لَهُ أَنْ يَجْعَلَهَا مِنْهُمْ , اثْنَانِ فَصَاعِدًا , فِي قَوْلِ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ رَحِمَهُ اللهُ. وَقَالَ أَبُو يُوسُفَ رَحِمَهُ اللهُ: إِنْ دَفَعَهَا إِلَى وَاحِدٍ مِنْهُمْ أَجْزَأَهُ ذَلِكَ. فَلَمَّا اخْتَلَفُوا فِي الْقَرَابَةِ مِنْهُمْ , هَذَا الِاخْتِلَافَ , وَجَبَ أَنْ نَنْظُرَ فِي ذَلِكَ , لِنَسْتَخْرِجَ مِنْ أَقَاوِيلِهِمْ هَذِهِ , قَوْلًا صَحِيحًا.
فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ , فَكَانَ مِنْ حُجَّةِ الَّذِينَ ذَهَبُوا إِلَى أَنَّ الْقَرَابَةَ , هُمُ الَّذِينَ يَلْتَقُونَهُ وَمَنْ يُقَارِبُونَهُ , عِنْدَ أَبِيهِ الرَّابِعِ فَأَسْفَلَ مِنْ ذَلِكَ. إِنَّمَا قَالُوا ذَلِكَ فِيمَا ذَكَرُوا , ; لِأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا قَسَمَ سَهْمَ ذِي الْقُرْبَى , أَعْطَى بَنِي هَاشِمٍ , وَبَنِي الْمُطَّلِبِ. وَإِنَّمَا يَلْتَقِي , هُوَ وَبَنُو الْمُطَّلِبِ , عِنْدَ أَبِيهِ الرَّابِعِ ; لِأَنَّهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ هَاشِمِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ. وَالْآخَرُونَ بَنُو الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ , يَلْتَقُونَهُمْ , وَهُوَ عِنْدَ عَبْدِ مَنَافٍ , وَهُوَ أَبُوهُ الرَّابِعُ. فَمِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ لِلْآخَرِينَ , أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا أَعْطَى بَنِي هَاشِمٍ , وَبَنِي الْمُطَّلِبِ , قَدْ حَرَمَ بَنِي أُمَيَّةَ , وَبَنِي نَوْفَلٍ , وَقَرَابَتُهُمْ مِنْهُ , كَقَرَابَةِ بَنِي الْمُطَّلِبِ. فَلَمْ يَحْرِمْهُمْ ; لِأَنَّهُمْ لَيْسُوا قَرَابَةً , وَلَكِنْ لِمَعْنًى غَيْرِ الْقَرَابَةِ. فَكَذَلِكَ مَنْ فَوْقَهُمْ , لَمْ يَحْرِمْهُمْ ; لِأَنَّهُمْ لَيْسُوا قَرَابَةً , وَلَكِنْ لِمَعْنًى غَيْرِ الْقَرَابَةِ. ثُمَّ قَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْقَرَابَةِ , مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ
7430 - مَا حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْأَنْصَارِيُّ , قَالَ: ثنا حُمَيْدٌ , عَنْ أَنَسٍ قَالَ: لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ: {لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتَّى تُنْفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ} [آل عمران: 92] أَوْ قَالَ {مَنْ ذَا الَّذِي يُقْرِضُ اللهَ قَرْضًا حَسَنًا} [البقرة: 245] جَاءَ أَبُو طَلْحَةَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ , حَائِطِي , الَّذِي بِمَكَانِ كَذَا وَكَذَا , لِلَّهِ وَلَوِ اسْتَطَعْتُ أَنْ أُسِرَّهُ , لَمْ أُعْلِنْهُ. فَقَالَ: «اجْعَلْهُ فِي فُقَرَاءِ قَرَابَتِكَ , أَوْ فُقَرَاءِ أَهْلِكَ»
فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ , فَكَانَ مِنْ حُجَّةِ الَّذِينَ ذَهَبُوا إِلَى أَنَّ الْقَرَابَةَ , هُمُ الَّذِينَ يَلْتَقُونَهُ وَمَنْ يُقَارِبُونَهُ , عِنْدَ أَبِيهِ الرَّابِعِ فَأَسْفَلَ مِنْ ذَلِكَ. إِنَّمَا قَالُوا ذَلِكَ فِيمَا ذَكَرُوا , ; لِأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا قَسَمَ سَهْمَ ذِي الْقُرْبَى , أَعْطَى بَنِي هَاشِمٍ , وَبَنِي الْمُطَّلِبِ. وَإِنَّمَا يَلْتَقِي , هُوَ وَبَنُو الْمُطَّلِبِ , عِنْدَ أَبِيهِ الرَّابِعِ ; لِأَنَّهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ هَاشِمِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ. وَالْآخَرُونَ بَنُو الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ , يَلْتَقُونَهُمْ , وَهُوَ عِنْدَ عَبْدِ مَنَافٍ , وَهُوَ أَبُوهُ الرَّابِعُ. فَمِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ لِلْآخَرِينَ , أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا أَعْطَى بَنِي هَاشِمٍ , وَبَنِي الْمُطَّلِبِ , قَدْ حَرَمَ بَنِي أُمَيَّةَ , وَبَنِي نَوْفَلٍ , وَقَرَابَتُهُمْ مِنْهُ , كَقَرَابَةِ بَنِي الْمُطَّلِبِ. فَلَمْ يَحْرِمْهُمْ ; لِأَنَّهُمْ لَيْسُوا قَرَابَةً , وَلَكِنْ لِمَعْنًى غَيْرِ الْقَرَابَةِ. فَكَذَلِكَ مَنْ فَوْقَهُمْ , لَمْ يَحْرِمْهُمْ ; لِأَنَّهُمْ لَيْسُوا قَرَابَةً , وَلَكِنْ لِمَعْنًى غَيْرِ الْقَرَابَةِ. ثُمَّ قَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْقَرَابَةِ , مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ
7430 - مَا حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْأَنْصَارِيُّ , قَالَ: ثنا حُمَيْدٌ , عَنْ أَنَسٍ قَالَ: لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ: {لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتَّى تُنْفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ} [آل عمران: 92] أَوْ قَالَ {مَنْ ذَا الَّذِي يُقْرِضُ اللهَ قَرْضًا حَسَنًا} [البقرة: 245] جَاءَ أَبُو طَلْحَةَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ , حَائِطِي , الَّذِي بِمَكَانِ كَذَا وَكَذَا , لِلَّهِ وَلَوِ اسْتَطَعْتُ أَنْ أُسِرَّهُ , لَمْ أُعْلِنْهُ. فَقَالَ: «اجْعَلْهُ فِي فُقَرَاءِ قَرَابَتِكَ , أَوْ فُقَرَاءِ أَهْلِكَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪৩১
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৩৩
কোন ব্যক্তি যদি তার নিকট-আত্মীয়কে তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ অসীয়ত করে কিংবা তাদের মধ্য হতে অমুকের আত্মীয়ের জন্যে অসীয়ত করে
৭৪৩১-৩৩। ইবন মারযূক (রাহঃ)...... আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আবু তালহা (রাযিঃ)-এর একটি যমীন ছিল তিনি তা আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টির জন্যে দান করার মনস্থ করলেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে আগমন করলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, তুমি এটাকে তােমার আত্মীয় দরিদ্রদের মধ্যে দান কর। তখন তিনি তা হাসসান (রাযিঃ) ও উবাই (রাযিঃ)-কে দান করলেন। উবাই (রাযিঃ) সুমামা (রাযিঃ)-এর মাধ্যমে আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, তারা দুইজন তাঁর কাছে আমার থেকে বেশী নিকটের ছিলেন। সুতরাং এ আবু তালহা (রাযিঃ) বাগানটিকে উবাই (রাযিঃ) ও হাসসান (রাযিঃ)-কে দান করে দিলেন। তিনি উবাই (রাযিঃ)-এর সাথে তার সপ্তম পিতার কাছে মিলিত হন। কেননা আবু তালহা (রাযিঃ)-এর পূর্ণ নাম ছিল যায়দ ইবন সাহল ইবন আল-আসওয়াদ ইবন হারাম ইবন আমর ইবন যায়দ মানাত ইব্ন আদী ইবন আমর ইবন মালিক ইবন আন-নাজ্জার। আর উবাই (রাযিঃ)-এর পূর্ণ নাম ছিল উবাই (রাযিঃ) ইবন কা'ব ইবন কায়স ইবন আতীক ইবুন যায়দ ইবন মুয়াবিয়া ইবন আউফ ইবন মালিক ইব্ন আন-নাজ্জার। আবু তালহা (রাযিঃ)-এর এরূপ কাজের জন্যে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তার উপর অসন্তুষ্ট হলেন না। আমাদের উল্লেখিত হাদীসে বুঝা যায় যে, যদি কোন ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির পঞ্চম কিংবা যষ্ঠ কিংবা তদুর্ধ্ব প্রসিদ্ধ পিতাদের সাথে মিলিত হয়, তাহলে সে তার কারাব' বা আত্মীয় বলে পরিগণিত হয়। যেমন যদি কোন ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির পিতার পরে মিলিত হয়, সেও তার আত্মীয় বলে গণ্য হয়। এদিকে আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর রাসূল (ﷺ) -এর প্রতি তাঁর নিকট আত্মীয়বর্গকে সতর্ক করতে হুকুম দেন। তার থেকে এ সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে :
মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল্লাহ্ ইবন মুখাল্লাদ আল-ইসফাহানী (রাহঃ)। উব্বাদ ইব্ন আব্দুল্লাহ্ (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আলী (রাযিঃ) বলেন, যখন অত্র আয়াত وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ অর্থাৎ তুমি তােমার নিকট আত্মীয়বর্গকে সতর্ক করে দাও (সূরা শু'আরা : ২১৪) অবতীর্ণ হয়, আমকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, হে আলী! আমার কাছে বনু হাশিমকে একত্রিত কর। তারা ছিলেন চল্লিশজন কিংবা উনচল্লিশজন। অতঃপর তিনি বাকী হাদীসটি উল্লেখ করেন।
এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তৃতীয়তম পিতার বংশধরদের কথা বলেছেন। এ সম্পর্কে তাঁর থেকে অন্য একটি বর্ণনাও পাওয়া যায়।
মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল্লাহ্ ইবন মুখাল্লাদ আবুল হাসান আল-ইসফাহানী (রাহঃ)... আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি আলী (রাযিঃ)-এর মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন। তবে এ বর্ণনায় বলা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, হে আলী (রাযিঃ)! তুমি আমার কাছে বন্ আব্দুল মুত্তালিবকে একত্রিত কর। বর্ণনাকারী বলেন, তারা ছিলেন চল্লিশ ব্যক্তি; একটু বেশী কিংবা কম।
এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দ্বিতীয় পিতার বংশধরদের কথা বলেছেন। এ সম্পর্কে তার থেকে অন্য একটি বর্ণনাও পাওয়া যায় ;
মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল্লাহ্ ইবন মুখাল্লাদ আল-ইসফাহানী (রাহঃ)। উব্বাদ ইব্ন আব্দুল্লাহ্ (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আলী (রাযিঃ) বলেন, যখন অত্র আয়াত وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ অর্থাৎ তুমি তােমার নিকট আত্মীয়বর্গকে সতর্ক করে দাও (সূরা শু'আরা : ২১৪) অবতীর্ণ হয়, আমকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, হে আলী! আমার কাছে বনু হাশিমকে একত্রিত কর। তারা ছিলেন চল্লিশজন কিংবা উনচল্লিশজন। অতঃপর তিনি বাকী হাদীসটি উল্লেখ করেন।
এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তৃতীয়তম পিতার বংশধরদের কথা বলেছেন। এ সম্পর্কে তাঁর থেকে অন্য একটি বর্ণনাও পাওয়া যায়।
মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল্লাহ্ ইবন মুখাল্লাদ আবুল হাসান আল-ইসফাহানী (রাহঃ)... আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি আলী (রাযিঃ)-এর মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন। তবে এ বর্ণনায় বলা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, হে আলী (রাযিঃ)! তুমি আমার কাছে বন্ আব্দুল মুত্তালিবকে একত্রিত কর। বর্ণনাকারী বলেন, তারা ছিলেন চল্লিশ ব্যক্তি; একটু বেশী কিংবা কম।
এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দ্বিতীয় পিতার বংশধরদের কথা বলেছেন। এ সম্পর্কে তার থেকে অন্য একটি বর্ণনাও পাওয়া যায় ;
33 - 7431 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ ثُمَامَةَ، قَالَ: قَالَ أَنَسٌ: كَانَتْ لِأَبِي طَلْحَةَ أَرْضٌ , فَجَعَلَهَا لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ. فَأَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَهُ: «اجْعَلْهَا فِي فُقَرَاءِ قَرَابَتِكَ» فَجَعَلَهَا لِحَسَّانٍ وَأُبَيُّ. قَالَ أَبِي عَنْ ثُمَامَةَ , عَنْ أَنَسٍ قَالَ: فَكَانَا أَقْرَبَ إِلَيْهِ مِنِّي فَهَذَا أَبُو طَلْحَةَ , قَدْ جَعَلَهَا لِأُبَيِّ وَحَسَّانَ , وَإِنَّمَا يَلْتَقِي هُوَ وَأُبَيُّ , عِنْدَ أَبِيهِ السَّابِعِ ; لِأَنَّ أَبَا طَلْحَةَ , اسْمُهُ زَيْدُ بْنُ سَهْلِ بْنِ الْأَسْوَدِ بْنِ حَرَامِ بْنِ عَمْرِو بْنِ زَيْدِ مَنَاةَ بْنِ عَدِيِّ بْنِ عَمْرِو بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّجَّارِ. وَأُبَيُّ بْنُ كَعْبِ بْنِ قَيْسِ بْنِ عَتِيكِ بْنِ زَيْدِ بْنِ مُعَاوِيَةَ بْنِ عَوْنِ بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّجَّارِ. فَلَمْ يُنْكِرْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى أَبِي طَلْحَةَ , مَا فَعَلَ مِنْ ذَلِكَ. فَدَلَّ مَا ذَكَرْنَا , عَلَى أَنَّ مَنْ كَانَ يَلْقَى الرَّجُلَ إِلَى أَبِيهِ الْخَامِسِ , أَوِ السَّادِسِ , أَوْ إِلَى مَنْ فَوْقَ ذَلِكَ مِنَ الْآبَاءِ الْمَعْرُوفِينَ قَرَابَةً لَهُ , كَمَا أَنَّ مَنْ يَلْقَاهُ , إِلَى أَبٍ دُونَهُ قَرَابَةٌ أَيْضًا. وَقَدْ أَمَرَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ نَبِيَّهُ أَيْضًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُنْذِرَ عَشِيرَتَهُ الْأَقْرَبِينَ. فَرُوِيَ عَنْهُ فِي ذَلِكَ , مَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَخْلَدٍ الْأَصْفَهَانِيُّ قَالَ: ثنا عَبَّادُ بْنُ يَعْقُوبَ , قَالَ: [ص:387] ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ الْقُدُّوسِ , عَنِ الْأَعْمَشِ , عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو , عَنْ عَبَّادِ بْنِ عَبَّادٍ قَالَ: قَالَ عَلِيٌّ: لَمَّا أُنْزِلَتْ {وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ} [الشعراء: 214] . قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا عَلِيُّ , اجْمَعْ لِي بَنِي هَاشِمٍ» وَهُمْ أَرْبَعُونَ رَجُلًا , أَوْ أَرْبَعُونَ إِلَّا رَجُلًا ثُمَّ ذَكَرَ الْحَدِيثَ فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ , أَنَّهُ قَصَدَ بَنِي أَبِيهِ الثَّالِثِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ أَيْضًا فِي ذَلِكَ مَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَخْلَدٍ أَبُو الْحَسَنِ الْأَصْبَهَانِيُّ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ الرَّازِيُّ قَالَ: ثنا سَلَمَةُ بْنُ الْفَضْلِ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ عَنْ عَبْدِ الْغَفَّارِ بْنِ الْقَاسِمِ , عَنِ الْمِنْهَالِ , عَنْ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْحَارِثِ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ , عَنْ عَلِيٍّ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ، غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ اجْمَعْ لِي بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ قَالَ: وَهُمْ أَرْبَعُونَ رَجُلًا , يَزِيدُونَ رَجُلًا , أَوْ يَنْقُصُونَهُ فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ , أَنَّهُ قَصَدَ بَنِي أَبِيهِ الثَّانِي. وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ أَيْضًا , فِي ذَلِكَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَخْلَدٍ الْأَصْفَهَانِيُّ قَالَ: ثنا عَبَّادُ بْنُ يَعْقُوبَ , قَالَ: [ص:387] ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ الْقُدُّوسِ , عَنِ الْأَعْمَشِ , عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو , عَنْ عَبَّادِ بْنِ عَبَّادٍ قَالَ: قَالَ عَلِيٌّ: لَمَّا أُنْزِلَتْ {وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ} [الشعراء: 214] . قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا عَلِيُّ , اجْمَعْ لِي بَنِي هَاشِمٍ» وَهُمْ أَرْبَعُونَ رَجُلًا , أَوْ أَرْبَعُونَ إِلَّا رَجُلًا ثُمَّ ذَكَرَ الْحَدِيثَ فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ , أَنَّهُ قَصَدَ بَنِي أَبِيهِ الثَّالِثِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ أَيْضًا فِي ذَلِكَ مَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَخْلَدٍ أَبُو الْحَسَنِ الْأَصْبَهَانِيُّ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ الرَّازِيُّ قَالَ: ثنا سَلَمَةُ بْنُ الْفَضْلِ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ عَنْ عَبْدِ الْغَفَّارِ بْنِ الْقَاسِمِ , عَنِ الْمِنْهَالِ , عَنْ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْحَارِثِ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ , عَنْ عَلِيٍّ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ، غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ اجْمَعْ لِي بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ قَالَ: وَهُمْ أَرْبَعُونَ رَجُلًا , يَزِيدُونَ رَجُلًا , أَوْ يَنْقُصُونَهُ فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ , أَنَّهُ قَصَدَ بَنِي أَبِيهِ الثَّانِي. وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ أَيْضًا , فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪৩৩
empty
৭৪৩৩।
7433 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৩৫
কোন ব্যক্তি যদি তার নিকট-আত্মীয়কে তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ অসীয়ত করে কিংবা তাদের মধ্য হতে অমুকের আত্মীয়ের জন্যে অসীয়ত করে
৭৪৩৪-৩৫। আহমদ ইবন দাউদ (রাহঃ) কাবীসাহ ইবন মুখারি (রাযিঃ) ও যুহায়র ইবন আমর (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তারা বলেন, যখন অত্র আয়াত وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ অবতীর্ণ হয়, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি পাহাড়ের চূড়ার দিকে গমন করেন এবং চূড়ায় আরােহণ করেন। অতঃপর বলেন, হে আব্দ মানাফের বংশধরগণ! নিশ্চয়ই আমি একজন সতর্ককারী।
এ হাদীসে চতুর্থতম পিতার বংশধরদেরকে উদ্দেশ্য করেছেন। এ সম্পর্কে তার থেকে অন্য একটি বর্ণনা রয়েছে :
এ হাদীসে চতুর্থতম পিতার বংশধরদেরকে উদ্দেশ্য করেছেন। এ সম্পর্কে তার থেকে অন্য একটি বর্ণনা রয়েছে :
35 - 7434 - مَا حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ: قَالَ: ثنا مُسَدَّدٌ قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ , قَالَ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ , عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ مُخَارِقَ , وَزُهَيْرِ بْنِ عَمْرٍو , قَالَا: لَمَّا نَزَلَتْ {وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ} [الشعراء: 214] انْطَلَقَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى رَضَمَةٍ مِنْ جَبَلٍ , فَعَلَا أَعْلَاهَا , ثُمَّ قَالَ: «يَا بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ , إِنِّي نَذِيرٌ» فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّهُ قَصَدَ بَنِي أَبِيهِ الرَّابِعِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ أَيْضًا فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৪৩৬
কোন ব্যক্তি যদি তার নিকট-আত্মীয়কে তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ অসীয়ত করে কিংবা তাদের মধ্য হতে অমুকের আত্মীয়ের জন্যে অসীয়ত করে
৭৪৩৬। রাবী আল-জীযী (রাহঃ)....... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, হে বনু হাশিম! হে বনু কুশাই! হে বনু আব্দ মানাফ! আমি হলাম ভীতিপ্রদর্শনকারী, মৃত্যু অবশ্যই হামলাকারী এবং কিয়ামত অবশ্যই প্রতিশ্রুত .......
এ হাদীসে দেখা যায়, তিনি পঞ্চতম পিতার বংশধরদের ডেকেছেন। এ সম্পর্কে তার থেকে অন্য একটি
বর্ণনা রয়েছে :
এ হাদীসে দেখা যায়, তিনি পঞ্চতম পিতার বংশধরদের ডেকেছেন। এ সম্পর্কে তার থেকে অন্য একটি
বর্ণনা রয়েছে :
7436 - مَا حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ قَالَ: ثنا أَبُو الْأَسْوَدِ , وَحَسَّانُ بْنُ غَالِبٍ , قَالَا: ثنا هَمَّامٌ , عَنْ مُوسَى بْنِ وَرْدَانَ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «يَا بَنِي هَاشِمٍ , يَا بَنِي قُصَيِّ , يَا بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ , أَنَا النَّذِيرُ , وَالْمَوْتُ الْمُغَيِّرُ , وَالسَّاعَةُ الْمَوْعُودُ» فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ , أَنَّهُ دَعَا بَنِي أَبِيهِ الْخَامِسِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ أَيْضًا فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪৩৬
empty
৭৪৩৬।
7436 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪৩৭
কোন ব্যক্তি যদি তার নিকট-আত্মীয়কে তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ অসীয়ত করে কিংবা তাদের মধ্য হতে অমুকের আত্মীয়ের জন্যে অসীয়ত করে
৭৪৩৭। ইবন মারযূক (রাযিঃ) …. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, যখন অত্র আয়াত, وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ অবতীর্ণ হয় রসূলুল্লাহ (ﷺ) দাঁড়িয়ে বলেলেন, হে বন্ কা'ব ইবন লুয়াই! তোমরা নিজেদেরকে জাহান্নাম হতে রক্ষা কর। হে বনু হাশিম! তােমরা নিজেদেরকে জাহান্নাম হতে রক্ষা কর! হে ফাতিমা বিনত মুহাম্মাদ! তুমি নিজকে জাহান্নাম হতে রক্ষা কর। আমি তােমাদের জন্য রক্তের সম্পর্কে ব্যতীত যার আর্দ্রতায় আমি নিজেকে সিক্ত করে থাকি, আল্লাহর কাছে অন্য কোন কিছুর অধিকারী নই।
এ হাদীসে দেখা যায় যে, তিনি তাদেরকে সপ্তম পিতার বংশধর পর্যন্ত ডেকেছেন। কেননা তিনি ছিলেন মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুল মুত্তালিব ইবন হাশিম ইবন আব্দ মানাফ ইবন কুশাই ইবন কিলাব ইবন মুররাহ কাব ইবন লুয়াই। এ সম্পর্কে তার থেকে অন্য একটি বর্ণনা বর্ণিত রয়েছে।
এ হাদীসে দেখা যায় যে, তিনি তাদেরকে সপ্তম পিতার বংশধর পর্যন্ত ডেকেছেন। কেননা তিনি ছিলেন মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুল মুত্তালিব ইবন হাশিম ইবন আব্দ মানাফ ইবন কুশাই ইবন কিলাব ইবন মুররাহ কাব ইবন লুয়াই। এ সম্পর্কে তার থেকে অন্য একটি বর্ণনা বর্ণিত রয়েছে।
7437 - مَا حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ , وَعَفَّانُ , عَنْ أَبِي عَوَانَةَ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ , عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ {وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ} [الشعراء: 214] قَامَ نَبِيُّ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «يَا بَنِي كَعْبِ بْنِ لُؤَيٍّ أَنْقِذُوا أَنْفُسَكُمْ مِنَ النَّارِ , يَا بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ أَنْقِذُوا أَنْفُسَكُمْ مِنَ النَّارِ , يَا بَنِي هَاشِمٍ , أَنْقِذُوا أَنْفُسَكُمْ مِنَ النَّارِ , يَا فَاطِمَةُ بِنْتَ مُحَمَّدٍ , أَنْقِذِي نَفْسَكَ مِنَ النَّارِ , فَإِنِّي لَا أَمْلِكُ لَكُمْ مِنَ اللهِ شَيْئًا , غَيْرَ أَنَّ لَكُمْ رَحِمًا , سَأَبُلُّهَا بِبِلَالِهَا» فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّهُ دَعَاهُمْ مَعَهُمْ , بَنِي أَبِيهِ السَّابِعِ ; لِأَنَّهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ هَاشِمِ بْنِ عَبْدِ مُنَافِ بْنِ قُصَيِّ بْنِ كِلَابِ بْنِ مُرَّةَ بْنِ كَعْبِ بْنِ لُؤَيٍّ. [ص:388] وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ أَيْضًا فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৪৩৮
কোন ব্যক্তি যদি তার নিকট-আত্মীয়কে তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ অসীয়ত করে কিংবা তাদের মধ্য হতে অমুকের আত্মীয়ের জন্যে অসীয়ত করে
৭৪৩৮। ফাহদ (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, যখন অত্র আয়াত وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ অবতীর্ণ হয়, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাফা পর্বতে আরােহণ করে ডাকতে লাগলেন, “হে বনু ফিহর! হে বন্ আদী! কুরায়শদের বিভিন্ন গােত্রের প্রতি হে বনু অমুক! তারা তখন সকলে একত্রিত হল। আর যে আসতে অক্ষম ছিল সে তার দূত প্রেরণ করল যাতে সে ডাকে সাড়া দিতে পারে। আবু লাহাব ও কুরায়শদের অন্যান্য সদস্যগণ আগমন করল ও তারা একত্রিত হল। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তখন বললেন, যদি আমি তােমাদেরকে এই সংবাদ দেই যে, একটি শক্রর অশ্বারােহী দল সামনের উপত্যকায় অবস্থান করছে, তারা তােমাদের উপর লুটপাট চালাতে হামলা করার জন্যে তৈরী হচ্ছে, তাহলে কি তােমরা আমাকে এ ব্যাপারে বিশ্বাস করবে? তারা সমস্বরে বলল, হ্যা, আমরা তাে সত্য ব্যতীত তােমার থেকে আর কিছু কোন দিনও দেখি নাই । রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন : আমি তাে তােমাদের জন্য সমাগত একটি কঠিন আযাবের ভীতি প্রদর্শকারী ।
সুতরাং এ হাদীসে বুঝা যায় যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কুরায়শদের সকল গােত্রকে ডাকলেন। এ ধরনের একটি বর্ণনা হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত রয়েছে।
সুতরাং এ হাদীসে বুঝা যায় যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কুরায়শদের সকল গােত্রকে ডাকলেন। এ ধরনের একটি বর্ণনা হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত রয়েছে।
7438 - مَا حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي عَنِ الْأَعْمَشِ , عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: لَمَّا نَزَلَتْ {وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ} [الشعراء: 214] صَعِدَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الصَّفَّا فَجَعَلَ يُنَادِي: «يَا بَنِي فِهْرٍ , يَا بَنِي عَدِيٍّ , يَا بَنِي فُلَانٍ» لِبُطُونٍ مِنْ قُرَيْشٍ , حَتَّى اجْتَمَعُوا. فَجَعَلَ الرَّجُلُ إِذَا لَمْ يَسْتَطِعْ أَنْ يَخْرُجَ أَرْسَلَ رَسُولًا لِيَنْظُرَ , وَجَاءَ أَبُو لَهَبٍ وَقُرَيْشٌ , فَاجْتَمَعُوا. فَقَالَ: «أَرَأَيْتُمْ لَوْ أَخْبَرْتُكُمْ أَنَّ خَيْلًا بِالْوَادِي تُرِيدُ أَنْ تُغِيرَ عَلَيْكُمْ , أَكُنْتُمْ تُصَدِّقُونِي» . قَالُوا: نَعَمْ , مَا جَرَّبْنَا عَلَيْكَ إِلَّا صِدْقًا. قَالَ: «فَإِنِّي نَذِيرٌ لَكُمْ , بَيْنَ يَدَيْ عَذَابٌ شَدِيدٌ» فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّهُ دَعَا بُطُونَ قُرَيْشٍ كُلَّهَا. وَقَدْ رُوِيَ مِثْلُ ذَلِكَ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৪৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৪০
কোন ব্যক্তি যদি তার নিকট-আত্মীয়কে তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ অসীয়ত করে কিংবা তাদের মধ্য হতে অমুকের আত্মীয়ের জন্যে অসীয়ত করে
৭৪৩৯-৪০। ইউনুস (রাহঃ) …. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর উপর অত্র আয়াত وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ অবতীর্ণ হয়, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, “হে কুরায়শ সম্প্রদায়! তােমরা তােমাদের নিজেদেরকে আল্লাহ্ তা'আলা থেকে খরিদ করে নাও। আমি তােমাদের জন্যে আল্লাহ তা'আলার হুযূরে কোন কিছুই করতে পারব না। হে বনু আব্দ মানাফ! তােমরা তােমাদেরকে আল্লাহ্ তা'আলা থেকে খরিদ করে নাও। আমি আল্লাহ্ তা'আলার হুযূরে তােমাদের জন্যে কিছুই করতে পারব না। হে আব্বাস ইবন আব্দুল মুত্তালিব! আমি আল্লাহ্ তা'আলার হুযূরে আপনার জন্যে কিছুই করতে পারব না। হে সাফিয়্যা! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ফুফু, আমি আল্লাহ্ তা'আলার হুযূরে আপনার জন্যে কিছুই করতে পারব না। হে ফাতিমা বিন্ত মুহাম্মাদ (রাযিঃ)! আমি আল্লাহ্ তা'আলার হুযূরে তােমার জন্যে কিছুই করতে পারব না।
ইউনুস (রাহঃ)...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন। অতঃপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা উল্লেখ করেন, তবে তিনি বলেন, ইয়া সাফিয়া! ইয়া ফাতিমা!
এ হাদীসেও বুঝা যায় যে, যখন আল্লাহ তা'আলা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে হুকুম দিলেন তিনি যেন তার নিকট আত্মীয়বর্গকে ভীতি প্রদর্শন করেন, তখন তিনি কুরায়শের গােত্রগুলােকে ডাকলেন। তাদের মধ্যে এমন সব লােক ছিলেন যারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর দ্বিতীয়তম পিতার সাথে মিলিত হন। আবার এমন সব লােক ছিলেন যারা তৃতীয়তম পিতার সাথে কিংবা চতুর্থতম পিতার সাথে কিংবা পঞ্চমতম পিতার সাথে কিংবা ষষ্ঠতম পিতার সাথে মিলিত কিংবা আরাে উর্ধ্বতন পিতাদের সাথে মিলিত হন; বরং যাকে কুরায়শ বংশ শামিল করেছিল তারা সকলেই সম্বােধনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এ হাদীসের দ্বারা এ অভিমত অবলম্বনকারীদের অভিমতটি বাতিল বলে গণ্য হয় এবং অন্য অভিমতগুলাের যে কোন একটি শুদ্ধ বলে প্রতিষ্ঠিত হয়। অতঃপর আমরা রক্তের সম্পর্কের দিক দিয়ে নিকটতমকে দূরতমের উপর অগ্রাধিকার প্রদানকারীর অভিমতটি নিয়ে পর্যালােচনা করে দেখতে পেলাম যে, রাসূলুল্লাহ্ যখন তাঁর নিকট আত্মীয়ের অংশ বন্টন করেন, বনু হাশিম ও বনু আল-মুত্তালিবের সকলকে শামিল করেন।
অথচ বনু হাশিমের মধ্যে কেউ কেউ কারাে কারাে চেয়ে তার কাছে অধিক নিকটবর্তী । আবার বনু আল-মুত্তালিবের মধ্যেও কেউ কেউ কারাে কারাে চেয়ে তার কাছে অধিক নিকটবর্তী। কিন্তু তিনি যখন অধিক নিকটবর্তীকে অধিক দূরবর্তীর উপর অগ্রাধিকার দেননি, বরং তাদের সকলকে আত্মীয় হিসেবে গণ্য করেছেন; তাঁর আত্মীয়ের জন্য আল্লাহ্ তা'আলা যা নির্ধারণ করেছেন তার থেকে যারা নিকটবর্তী আত্মীয়, তারা দূরবর্তী আত্মীয়ের তুলনায় বেশী হকদার হয় না, অনুরূপভাবে অসীয়তের ক্ষেত্রে অমুকের আত্মীয়ের সম্পর্কে নিকটবর্তী হওয়ায় দূরবর্তী থেকে বেশী হকদার নয়, বরং অন্যান্য সকল আত্মীয়ের ন্যায় দূরবর্তী আত্মীয়রাও হকদার হবেন।
এটা একটি দলীল। অন্য একটি দলীল হল : আবু তালহা (রাযিঃ)-কে যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আদেশ করলেন : তিনি যেন তার দরিদ্র আত্মীয়ের জন্যে তার বাগানটাকে প্রদান করেন, তখন তিনি হাসসান (রাযিঃ) ও উবাই (রাযিঃ)-কে তা দান করেন। অথচ তিনি ও উবাই (রাযিঃ) তার সপ্তম পিতার কাছে মিলিত হন। আর তিনি ও হাসসান (রাযিঃ) তার তৃতীয় পিতার কাছে মিলিত হয়। কেননা হাসসান (রাযিঃ) হলেন : হাসসান ইবন সাবিত ইবন আল-মুনযির ইবন হারাম। আবু তালহা (রাযিঃ) হলেন যায়দ ইবন সাহল ইবন আল-আসওয়াদ ইবন হারাম। আবু তালহা (রাযিঃ) এ ব্যাপারে তার নিকটবর্তিতার জন্য অন্যের চেয়ে বেশী হকদার মনে করেননি। হাসসান (রাযিঃ)-কে তার দূরবর্তিতার জন্যে উবাই (রাযিঃ) হতে অগ্রাধিকার দেননি। তাদের মধ্যে কাউকে নিকটবর্তিতার জন্য অন্যের চেয়ে বেশী হকদার মনে করেননি। এ আলােচনার প্রেক্ষিতে অত্র মতামতটির ত্রুটি বিচ্যুতি প্রমাণিত হয়।
অতঃপর আমরা আবু হানীফা (রাহঃ)-এর মতামত চিন্তা করে দেখলাম যে, যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আত্মীয়দের অংশ বন্টন করেন, তখন তিনি বনু হাশিমের সকল সদস্যকে দান করেন। তাদের মধ্যে এমন লোকও ছিলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে যাদের রক্ত সম্পর্ক রয়েছে ও তারা মাহরাম, আবার তারাও ছিলেন যারা মাহরাম নন। তাদের সাথে তিনি বন্ আল-মুত্তালিবের সকল সদস্যকেও দান করেছিলেন। তাদের মধ্যে এরূপ লােকও ছিলেন যারা মাহরাম নন। অনুরূপভাবে আবু তালহা (রাযিঃ)-ও উবাই (রাযিঃ) এবং হাসসান (রাযিঃ)-কে দান করেন। তাদেরকে তিনি আত্মীয় হিসেবে দান করেন। তবে তারা মাহরাম না হওয়ায় তাদেরকে তিনি আত্মীয় থেকে বহির্ভূত মনে করেননি। আমাদের উপরােক্ত আলােচনার মাধ্যমে আবু হানীফা (রাহঃ)-এর মতামতটি বাতিল বলে প্রমাণিত হয় ।
অতঃপর আমরা আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মতামত চিন্তা করে দেখলাম যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আত্মীয়ের অংশ বন্ হাশিম ও বন্ আল-মুত্তালিবের সদস্যদেরকে দান করেন। কিন্তু হিজরতের সময় হতে কোন পিতার সাথে তিনি ও তাদের কোন একজন সদস্য মিলিত হননি। তবে তিনি ও তারা জাহিলিয়াতের যুগের পিতাদের মাধ্যমে মিলিত হয়েছিলেন। অনুরূপভাবে আবু তালহা (রাযিঃ) এবং উবাই (রাযিঃ) ও হাসসান (রাযিঃ) ইসলামী পিতার মাধ্যমে মিলিত হননি; বরং জাহিলিয়াতের কোন এক পিতার মাধ্যমে মিলিত হয়েছিলেন। এতে তাদের আত্মীয়দের জন্যে নির্ধারিত অংশের হকদার হওয়ার ব্যাপারে কোনরূপ অন্তরায় সৃষ্টি হয়নি। অনুরূপভাবে অসীয়তকারীর আত্মীয়তা তার আত্মীয়দেরকে এ অসীয়ত থেকে বিরত রাখে না। যদি না তাদেরকে হিজরতের সময় হতে কোন পিতা মিলিত না করে।
উপরােক্ত আলােচনায় আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মতামত বাতিল বলে প্রমাণিত হয় এবং অন্য অভিমতটি শুদ্ধ বলে প্রমাণিত হয়। অতএব প্রমাণিত হল যে, অসীয়ত রয়েছে এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য, যে তার পৈতৃক ও মাতৃক বংশ পরিচয় সম্বন্ধে অবগত। অসীয়তকারী ও যে আত্মীয়ের জন্যে অসীয়ত করা হয়, তারা জাহিলিয়াতের যুগের কিংবা ইসলামী যুগের একই পিতামহের মাধ্যমে একত্রিত হয়। তারা আত্মীয়তার কারণে কোন এক অবস্থায় ওয়ারিসের হকদার হয়। তাদের থেকে মানুষের ক্ষেত্রে আত্মীয়ের জন্যে কৃত অসীয়তকারী ও
পিতা কিংবা তাদের মধ্যে অসীয়ত বাস্তবায়নের জন্যে সাক্ষ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। এ অভিমতটি আমাদের কাছে দুইটি মতবাদের মধ্যে অধিকতর শুদ্ধ বলে প্রমাণিত।
ইউনুস (রাহঃ)...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন। অতঃপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা উল্লেখ করেন, তবে তিনি বলেন, ইয়া সাফিয়া! ইয়া ফাতিমা!
এ হাদীসেও বুঝা যায় যে, যখন আল্লাহ তা'আলা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে হুকুম দিলেন তিনি যেন তার নিকট আত্মীয়বর্গকে ভীতি প্রদর্শন করেন, তখন তিনি কুরায়শের গােত্রগুলােকে ডাকলেন। তাদের মধ্যে এমন সব লােক ছিলেন যারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর দ্বিতীয়তম পিতার সাথে মিলিত হন। আবার এমন সব লােক ছিলেন যারা তৃতীয়তম পিতার সাথে কিংবা চতুর্থতম পিতার সাথে কিংবা পঞ্চমতম পিতার সাথে কিংবা ষষ্ঠতম পিতার সাথে মিলিত কিংবা আরাে উর্ধ্বতন পিতাদের সাথে মিলিত হন; বরং যাকে কুরায়শ বংশ শামিল করেছিল তারা সকলেই সম্বােধনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এ হাদীসের দ্বারা এ অভিমত অবলম্বনকারীদের অভিমতটি বাতিল বলে গণ্য হয় এবং অন্য অভিমতগুলাের যে কোন একটি শুদ্ধ বলে প্রতিষ্ঠিত হয়। অতঃপর আমরা রক্তের সম্পর্কের দিক দিয়ে নিকটতমকে দূরতমের উপর অগ্রাধিকার প্রদানকারীর অভিমতটি নিয়ে পর্যালােচনা করে দেখতে পেলাম যে, রাসূলুল্লাহ্ যখন তাঁর নিকট আত্মীয়ের অংশ বন্টন করেন, বনু হাশিম ও বনু আল-মুত্তালিবের সকলকে শামিল করেন।
অথচ বনু হাশিমের মধ্যে কেউ কেউ কারাে কারাে চেয়ে তার কাছে অধিক নিকটবর্তী । আবার বনু আল-মুত্তালিবের মধ্যেও কেউ কেউ কারাে কারাে চেয়ে তার কাছে অধিক নিকটবর্তী। কিন্তু তিনি যখন অধিক নিকটবর্তীকে অধিক দূরবর্তীর উপর অগ্রাধিকার দেননি, বরং তাদের সকলকে আত্মীয় হিসেবে গণ্য করেছেন; তাঁর আত্মীয়ের জন্য আল্লাহ্ তা'আলা যা নির্ধারণ করেছেন তার থেকে যারা নিকটবর্তী আত্মীয়, তারা দূরবর্তী আত্মীয়ের তুলনায় বেশী হকদার হয় না, অনুরূপভাবে অসীয়তের ক্ষেত্রে অমুকের আত্মীয়ের সম্পর্কে নিকটবর্তী হওয়ায় দূরবর্তী থেকে বেশী হকদার নয়, বরং অন্যান্য সকল আত্মীয়ের ন্যায় দূরবর্তী আত্মীয়রাও হকদার হবেন।
এটা একটি দলীল। অন্য একটি দলীল হল : আবু তালহা (রাযিঃ)-কে যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আদেশ করলেন : তিনি যেন তার দরিদ্র আত্মীয়ের জন্যে তার বাগানটাকে প্রদান করেন, তখন তিনি হাসসান (রাযিঃ) ও উবাই (রাযিঃ)-কে তা দান করেন। অথচ তিনি ও উবাই (রাযিঃ) তার সপ্তম পিতার কাছে মিলিত হন। আর তিনি ও হাসসান (রাযিঃ) তার তৃতীয় পিতার কাছে মিলিত হয়। কেননা হাসসান (রাযিঃ) হলেন : হাসসান ইবন সাবিত ইবন আল-মুনযির ইবন হারাম। আবু তালহা (রাযিঃ) হলেন যায়দ ইবন সাহল ইবন আল-আসওয়াদ ইবন হারাম। আবু তালহা (রাযিঃ) এ ব্যাপারে তার নিকটবর্তিতার জন্য অন্যের চেয়ে বেশী হকদার মনে করেননি। হাসসান (রাযিঃ)-কে তার দূরবর্তিতার জন্যে উবাই (রাযিঃ) হতে অগ্রাধিকার দেননি। তাদের মধ্যে কাউকে নিকটবর্তিতার জন্য অন্যের চেয়ে বেশী হকদার মনে করেননি। এ আলােচনার প্রেক্ষিতে অত্র মতামতটির ত্রুটি বিচ্যুতি প্রমাণিত হয়।
অতঃপর আমরা আবু হানীফা (রাহঃ)-এর মতামত চিন্তা করে দেখলাম যে, যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আত্মীয়দের অংশ বন্টন করেন, তখন তিনি বনু হাশিমের সকল সদস্যকে দান করেন। তাদের মধ্যে এমন লোকও ছিলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে যাদের রক্ত সম্পর্ক রয়েছে ও তারা মাহরাম, আবার তারাও ছিলেন যারা মাহরাম নন। তাদের সাথে তিনি বন্ আল-মুত্তালিবের সকল সদস্যকেও দান করেছিলেন। তাদের মধ্যে এরূপ লােকও ছিলেন যারা মাহরাম নন। অনুরূপভাবে আবু তালহা (রাযিঃ)-ও উবাই (রাযিঃ) এবং হাসসান (রাযিঃ)-কে দান করেন। তাদেরকে তিনি আত্মীয় হিসেবে দান করেন। তবে তারা মাহরাম না হওয়ায় তাদেরকে তিনি আত্মীয় থেকে বহির্ভূত মনে করেননি। আমাদের উপরােক্ত আলােচনার মাধ্যমে আবু হানীফা (রাহঃ)-এর মতামতটি বাতিল বলে প্রমাণিত হয় ।
অতঃপর আমরা আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মতামত চিন্তা করে দেখলাম যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আত্মীয়ের অংশ বন্ হাশিম ও বন্ আল-মুত্তালিবের সদস্যদেরকে দান করেন। কিন্তু হিজরতের সময় হতে কোন পিতার সাথে তিনি ও তাদের কোন একজন সদস্য মিলিত হননি। তবে তিনি ও তারা জাহিলিয়াতের যুগের পিতাদের মাধ্যমে মিলিত হয়েছিলেন। অনুরূপভাবে আবু তালহা (রাযিঃ) এবং উবাই (রাযিঃ) ও হাসসান (রাযিঃ) ইসলামী পিতার মাধ্যমে মিলিত হননি; বরং জাহিলিয়াতের কোন এক পিতার মাধ্যমে মিলিত হয়েছিলেন। এতে তাদের আত্মীয়দের জন্যে নির্ধারিত অংশের হকদার হওয়ার ব্যাপারে কোনরূপ অন্তরায় সৃষ্টি হয়নি। অনুরূপভাবে অসীয়তকারীর আত্মীয়তা তার আত্মীয়দেরকে এ অসীয়ত থেকে বিরত রাখে না। যদি না তাদেরকে হিজরতের সময় হতে কোন পিতা মিলিত না করে।
উপরােক্ত আলােচনায় আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মতামত বাতিল বলে প্রমাণিত হয় এবং অন্য অভিমতটি শুদ্ধ বলে প্রমাণিত হয়। অতএব প্রমাণিত হল যে, অসীয়ত রয়েছে এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য, যে তার পৈতৃক ও মাতৃক বংশ পরিচয় সম্বন্ধে অবগত। অসীয়তকারী ও যে আত্মীয়ের জন্যে অসীয়ত করা হয়, তারা জাহিলিয়াতের যুগের কিংবা ইসলামী যুগের একই পিতামহের মাধ্যমে একত্রিত হয়। তারা আত্মীয়তার কারণে কোন এক অবস্থায় ওয়ারিসের হকদার হয়। তাদের থেকে মানুষের ক্ষেত্রে আত্মীয়ের জন্যে কৃত অসীয়তকারী ও
পিতা কিংবা তাদের মধ্যে অসীয়ত বাস্তবায়নের জন্যে সাক্ষ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। এ অভিমতটি আমাদের কাছে দুইটি মতবাদের মধ্যে অধিকতর শুদ্ধ বলে প্রমাণিত।
40 - 7439 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا سَلَامَةُ بْنُ رَوْحٍ، قَالَ: ثنا عُقَيْلٌ، قَالَ: حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، قَالَ: قَالَ سَعِيدٌ وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ: أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ أُنْزِلَ عَلَيْهِ {وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ} [الشعراء: 214] : «يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ , اشْتَرُوا أَنْفُسَكُمْ مِنَ اللهِ , لَا أُغْنِي عَنْكُمْ مِنَ اللهِ شَيْئًا , يَا بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ , اشْتَرُوا أَنْفُسَكُمْ مِنَ اللهِ , لَا أُغْنِي عَنْكُمْ مِنَ اللهِ شَيْئًا , يَا عَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ , لَا أُغْنِي عَنْكَ مِنَ اللهِ شَيْئًا , يَا صَفِيَّةُ عَمَّةَ رَسُولِ اللهِ , لَا أُغْنِي عَنْكِ مِنَ اللهِ شَيْئًا , يَا فَاطِمَةُ بِنْتَ مُحَمَّدٍ , لَا أُغْنِي عَنْكِ مِنَ اللهِ شَيْئًا»
حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي سَعِيدٌ، وَأَبُو سَلَمَةَ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ يَا صَفِيَّةُ يَا فَاطِمَةُ فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَيْضًا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا أَمَرَهُ اللهُ تَعَالَى أَنْ يُنْذِرَ عَشِيرَتَهُ الْأَقْرَبِينَ , دَعَا عَشَائِرَ قُرَيْشٍ , وَفِيهِمْ مَنْ يَلْقَاهُ عِنْدَ أَبِيهِ الثَّانِي , وَفِيهِمْ مَنْ يَلْقَاهُ عِنْدَ أَبِيهِ الثَّالِثِ , وَفِيهِمْ مَنْ يَلْقَاهُ عِنْدَ أَبِيهِ الرَّابِعِ , وَفِيهِمْ مَنْ يَلْقَاهُ عِنْدَ أَبِيهِ الْخَامِسِ , وَفِيهِمْ مَنْ يَلْقَاهُ , عِنْدَ أَبِيهِ السَّادِسِ , وَفِيهِمْ مَنْ يَلْقَاهُ عِنْدَ آبَائِهِ الَّذِينَ فَوْقَ ذَلِكَ , إِلَّا أَنَّهُ مِمَّنْ قَدْ جَمَعَتْهُ وَإِيَّاهُ قُرَيْشٌ. فَبَطَلَ بِذَلِكَ قَوْلُ أَهْلِ هَذِهِ الْمَقَالَةِ , وَثَبَتَ إِحْدَى الْمَقَالَاتِ الْأُخَرِ. وَنَظَرْنَا فِي قَوْلِ مَنْ قَدَّمَ مَنْ قَرُبَ رَحِمُهُ , عَلَى مَنْ هُوَ أَبْعَدُ رَحِمًا مِنْهُ. فَوَجَدْنَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا قَسَمَ سَهْمَ ذَوِي الْقُرْبَى , عَمَّ بِهِ بَنِي هَاشِمٍ , وَبَنِي الْمُطَّلِبِ , وَبَعْضُ بَنِي هَاشِمٍ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنْ بَعْضٍ , وَبَعْضُ بَنِي الْمُطَّلِبِ أَيْضًا أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنْ بَعْضٍ. [ص:389] فَلَمَّا لَمْ يُقَدِّمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ ذَلِكَ , مَنْ قَرُبَ رَحِمُهُ مِنْهُ , عَلَى مَنْ هُوَ أَبْعَدُ إِلَيْهِ رَحِمًا مِنْهُ , وَجَعَلَهُمْ كُلَّهُمْ قَرَابَةً لَهُ , لَا يَسْتَحِقُّونَ مَا جَعَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ لِقَرَابَتِهِ. فَكَذَلِكَ مَنْ بَعُدَتْ رَحِمُهُ فِي الْوَصِيَّةِ لِقَرَابَةِ فُلَانٍ , لَا يَسْتَحِقُّ بِقُرْبِ رَحِمِهِ مِنْهُ شَيْئًا , مِمَّا جَعَلَ لِقَرَابَتِهِ إِلَّا كَمَا يَسْتَحِقُّ سَائِرَ قَرَابَتِهِ , مِمَّنْ رَحِمُهُ مِنْهُ أَبْعَدُ مِنْ رَحِمِهِ , فَهَذِهِ حُجَّةٌ. وَحُجَّةٌ أُخْرَى أَنَّ أَبَا طَلْحَةَ , لَمَّا أَمَرَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَجْعَلَ أَرْضَهُ فِي فُقَرَاءِ الْقَرَابَةِ , جَعَلَهَا لِحَسَّانَ , وَلِأُبَيِّ. وَإِنَّمَا يَلْتَقِي هُوَ وَأُبَيُّ عِنْدَ أَبِيهِ السَّابِعِ , وَيَلْتَقِي هُوَ وَحَسَّانُ , عِنْدَ أَبِيهِ الثَّالِثِ. وَلِأَنَّ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتِ بْنِ الْمُنْذِرِ بْنِ حَرَامٍ. وَأَبُو طَلْحَةَ زَيْدُ بْنُ سَهْلِ بْنِ الْأَسْوَدِ بْنِ حَرَامٍ. فَلَمْ يُقَدِّمْ أَبُو طَلْحَةَ فِي ذَلِكَ حَسَّانًا ; لِقُرْبِ رَحِمِهِ مِنْهُ , عَلَى أُبَيٍّ ; لِبُعْدِ رَحِمِهِ مِنْهُ وَلَمْ يَرَوْا أَحَدًا مِنْهُمَا مُسْتَحِقًّا لِقَرَابَتِهِ مِنْهُ فِي ذَلِكَ مِنْهُ , إِلَّا كَمَا يَسْتَحِقُّ مِنْهُ الْآخَرُ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ فَسَادُ هَذَا الْقَوْلِ. ثُمَّ رَجَعْنَا إِلَى مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ أَبُو حَنِيفَةَ , رَحِمَهُ اللهُ , فَرَأَيْنَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا قَسَمَ سَهْمَ ذَوِي الْقُرْبَى , أَعْطَى بَنِي هَاشِمٍ جَمِيعًا , وَفِيهِمْ مَنْ رَحِمُهُ مِنْهُ , رَحِمٌ مُحَرَّمَةٌ , وَفِيهِمْ مِنْهُ , مَنْ رَحِمُهُ مِنْهُ غَيْرُ مُحَرَّمَةٍ. وَأَعْطَى بَنِي الْمُطَّلِبِ مَعَهُمْ , وَأَرْحَامُهُمْ جَمِيعًا مِنْهُ , غَيْرُ مُحَرَّمَةٍ. وَكَذَلِكَ أَبُو طَلْحَةَ أَعْطَى أُبَيًّا وَحَسَّانًا , مَا أَعْطَاهُمَا , عَلَى أَنَّهُمَا قَرَابَةٌ , وَلَمْ يُخْرِجْهُمَا مِنْ قَرَابَتِهِ , ارْتِفَاعُ الْحُرْمَةِ مِنْ رَحِمِهِمَا مِنْهُ. فَبَطَلَ بِذَلِكَ أَيْضًا , مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ أَبُو حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ. ثُمَّ رَجَعْنَا إِلَى مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ , أَبُو يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٌ رَحِمَهُمَا اللهُ , فَرَأَيْنَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْطَى سَهْمَ ذَوِي الْقُرْبَى , بَنِي هَاشِمٍ , وَبَنِي الْمُطَّلِبِ , وَلَا يَجْتَمِعُ هُوَ , وَوَاحِدٌ مِنْهُمْ إِلَى أَبٍ , مُنْذُ كَانَتِ الْهِجْرَةُ. وَإِنَّمَا يَجْتَمِعُ هُوَ وَهُمْ , عِنْدَ آبَاءٍ كَانُوا فِي الْجَاهِلِيَّةِ. وَكَذَلِكَ أَبُو طَلْحَةَ وَأُبَيُّ , وَحَسَّانُ , لَا يَجْتَمِعُونَ عِنْدَ أَبٍ إِسْلَامِيٍّ , وَإِنَّمَا يَجْتَمِعُونَ عِنْدَ أَبٍ كَانَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ , وَلَمْ يَمْنَعْهُمْ ذَلِكَ أَنْ يَكُونُوا قَرَابَةً لَهُ , يَسْتَحِقُّونَ مَا جُعِلَ لِلْقَرَابَةِ. فَكَذَلِكَ قَرَابَةُ الْمُوصِي ; لِقَرَابَتِهِ لَا يَمْنَعُهُمْ مِنْ تِلْكَ الْوَصِيَّةِ إِلَّا أَنْ لَا يَجْمَعَهُمْ وَإِيَّاهُ أَبٌ , مُنْذُ كَانَتِ الْهِجْرَةُ. فَبَطَلَ بِذَلِكَ قَوْلُ أَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٌ رَحِمَهُمَا اللهُ , وَثَبَتَ الْقَوْلُ الْآخَرُ. [ص:390] فَثَبَتَ أَنَّ الْوَصِيَّةَ بِذَلِكَ: لِكُلٍّ مَنْ تَوَقَّفَ عَلَى نَسَبِهِ أَبًا غَيْرَ أَبٍ وَأُمًّا غَيْرَ أُمٍّ , حَتَّى يَلْتَقِيَ هُوَ وَالْمُوصِي لِقَرَابَتِهِ إِلَى جَدٍّ وَاحِدٍ , فِي الْجَاهِلِيَّةِ , أَوْ فِي الْإِسْلَامِ , بَعْدَ أَنْ يَكُونَ أُولَئِكَ لِلْآبَاءِ , يَسْتَحِقُّ بِالْقَرَابَةِ هُمُ الْمَوَارِيثُ , فِي حَالٍ , وَيَقُومُ بِالْإِنْسَانِ مِنْهُمُ الشَّهَادَاتُ , عَلَى سِيَاقِهِ مَا بَيْنَ الْمُوصِي لِقَرَابَتِهِ وَبَيْنَهُمْ , مِنَ الْآبَاءِ وَمِنَ الْأُمَّهَاتِ , فَهَذَا الْقَوْلُ , هُوَ أَصَحُّ الْقَوْلَيْنِ , عِنْدَنَا
حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي سَعِيدٌ، وَأَبُو سَلَمَةَ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ يَا صَفِيَّةُ يَا فَاطِمَةُ فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَيْضًا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا أَمَرَهُ اللهُ تَعَالَى أَنْ يُنْذِرَ عَشِيرَتَهُ الْأَقْرَبِينَ , دَعَا عَشَائِرَ قُرَيْشٍ , وَفِيهِمْ مَنْ يَلْقَاهُ عِنْدَ أَبِيهِ الثَّانِي , وَفِيهِمْ مَنْ يَلْقَاهُ عِنْدَ أَبِيهِ الثَّالِثِ , وَفِيهِمْ مَنْ يَلْقَاهُ عِنْدَ أَبِيهِ الرَّابِعِ , وَفِيهِمْ مَنْ يَلْقَاهُ عِنْدَ أَبِيهِ الْخَامِسِ , وَفِيهِمْ مَنْ يَلْقَاهُ , عِنْدَ أَبِيهِ السَّادِسِ , وَفِيهِمْ مَنْ يَلْقَاهُ عِنْدَ آبَائِهِ الَّذِينَ فَوْقَ ذَلِكَ , إِلَّا أَنَّهُ مِمَّنْ قَدْ جَمَعَتْهُ وَإِيَّاهُ قُرَيْشٌ. فَبَطَلَ بِذَلِكَ قَوْلُ أَهْلِ هَذِهِ الْمَقَالَةِ , وَثَبَتَ إِحْدَى الْمَقَالَاتِ الْأُخَرِ. وَنَظَرْنَا فِي قَوْلِ مَنْ قَدَّمَ مَنْ قَرُبَ رَحِمُهُ , عَلَى مَنْ هُوَ أَبْعَدُ رَحِمًا مِنْهُ. فَوَجَدْنَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا قَسَمَ سَهْمَ ذَوِي الْقُرْبَى , عَمَّ بِهِ بَنِي هَاشِمٍ , وَبَنِي الْمُطَّلِبِ , وَبَعْضُ بَنِي هَاشِمٍ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنْ بَعْضٍ , وَبَعْضُ بَنِي الْمُطَّلِبِ أَيْضًا أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنْ بَعْضٍ. [ص:389] فَلَمَّا لَمْ يُقَدِّمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ ذَلِكَ , مَنْ قَرُبَ رَحِمُهُ مِنْهُ , عَلَى مَنْ هُوَ أَبْعَدُ إِلَيْهِ رَحِمًا مِنْهُ , وَجَعَلَهُمْ كُلَّهُمْ قَرَابَةً لَهُ , لَا يَسْتَحِقُّونَ مَا جَعَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ لِقَرَابَتِهِ. فَكَذَلِكَ مَنْ بَعُدَتْ رَحِمُهُ فِي الْوَصِيَّةِ لِقَرَابَةِ فُلَانٍ , لَا يَسْتَحِقُّ بِقُرْبِ رَحِمِهِ مِنْهُ شَيْئًا , مِمَّا جَعَلَ لِقَرَابَتِهِ إِلَّا كَمَا يَسْتَحِقُّ سَائِرَ قَرَابَتِهِ , مِمَّنْ رَحِمُهُ مِنْهُ أَبْعَدُ مِنْ رَحِمِهِ , فَهَذِهِ حُجَّةٌ. وَحُجَّةٌ أُخْرَى أَنَّ أَبَا طَلْحَةَ , لَمَّا أَمَرَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَجْعَلَ أَرْضَهُ فِي فُقَرَاءِ الْقَرَابَةِ , جَعَلَهَا لِحَسَّانَ , وَلِأُبَيِّ. وَإِنَّمَا يَلْتَقِي هُوَ وَأُبَيُّ عِنْدَ أَبِيهِ السَّابِعِ , وَيَلْتَقِي هُوَ وَحَسَّانُ , عِنْدَ أَبِيهِ الثَّالِثِ. وَلِأَنَّ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتِ بْنِ الْمُنْذِرِ بْنِ حَرَامٍ. وَأَبُو طَلْحَةَ زَيْدُ بْنُ سَهْلِ بْنِ الْأَسْوَدِ بْنِ حَرَامٍ. فَلَمْ يُقَدِّمْ أَبُو طَلْحَةَ فِي ذَلِكَ حَسَّانًا ; لِقُرْبِ رَحِمِهِ مِنْهُ , عَلَى أُبَيٍّ ; لِبُعْدِ رَحِمِهِ مِنْهُ وَلَمْ يَرَوْا أَحَدًا مِنْهُمَا مُسْتَحِقًّا لِقَرَابَتِهِ مِنْهُ فِي ذَلِكَ مِنْهُ , إِلَّا كَمَا يَسْتَحِقُّ مِنْهُ الْآخَرُ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ فَسَادُ هَذَا الْقَوْلِ. ثُمَّ رَجَعْنَا إِلَى مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ أَبُو حَنِيفَةَ , رَحِمَهُ اللهُ , فَرَأَيْنَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا قَسَمَ سَهْمَ ذَوِي الْقُرْبَى , أَعْطَى بَنِي هَاشِمٍ جَمِيعًا , وَفِيهِمْ مَنْ رَحِمُهُ مِنْهُ , رَحِمٌ مُحَرَّمَةٌ , وَفِيهِمْ مِنْهُ , مَنْ رَحِمُهُ مِنْهُ غَيْرُ مُحَرَّمَةٍ. وَأَعْطَى بَنِي الْمُطَّلِبِ مَعَهُمْ , وَأَرْحَامُهُمْ جَمِيعًا مِنْهُ , غَيْرُ مُحَرَّمَةٍ. وَكَذَلِكَ أَبُو طَلْحَةَ أَعْطَى أُبَيًّا وَحَسَّانًا , مَا أَعْطَاهُمَا , عَلَى أَنَّهُمَا قَرَابَةٌ , وَلَمْ يُخْرِجْهُمَا مِنْ قَرَابَتِهِ , ارْتِفَاعُ الْحُرْمَةِ مِنْ رَحِمِهِمَا مِنْهُ. فَبَطَلَ بِذَلِكَ أَيْضًا , مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ أَبُو حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ. ثُمَّ رَجَعْنَا إِلَى مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ , أَبُو يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٌ رَحِمَهُمَا اللهُ , فَرَأَيْنَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْطَى سَهْمَ ذَوِي الْقُرْبَى , بَنِي هَاشِمٍ , وَبَنِي الْمُطَّلِبِ , وَلَا يَجْتَمِعُ هُوَ , وَوَاحِدٌ مِنْهُمْ إِلَى أَبٍ , مُنْذُ كَانَتِ الْهِجْرَةُ. وَإِنَّمَا يَجْتَمِعُ هُوَ وَهُمْ , عِنْدَ آبَاءٍ كَانُوا فِي الْجَاهِلِيَّةِ. وَكَذَلِكَ أَبُو طَلْحَةَ وَأُبَيُّ , وَحَسَّانُ , لَا يَجْتَمِعُونَ عِنْدَ أَبٍ إِسْلَامِيٍّ , وَإِنَّمَا يَجْتَمِعُونَ عِنْدَ أَبٍ كَانَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ , وَلَمْ يَمْنَعْهُمْ ذَلِكَ أَنْ يَكُونُوا قَرَابَةً لَهُ , يَسْتَحِقُّونَ مَا جُعِلَ لِلْقَرَابَةِ. فَكَذَلِكَ قَرَابَةُ الْمُوصِي ; لِقَرَابَتِهِ لَا يَمْنَعُهُمْ مِنْ تِلْكَ الْوَصِيَّةِ إِلَّا أَنْ لَا يَجْمَعَهُمْ وَإِيَّاهُ أَبٌ , مُنْذُ كَانَتِ الْهِجْرَةُ. فَبَطَلَ بِذَلِكَ قَوْلُ أَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٌ رَحِمَهُمَا اللهُ , وَثَبَتَ الْقَوْلُ الْآخَرُ. [ص:390] فَثَبَتَ أَنَّ الْوَصِيَّةَ بِذَلِكَ: لِكُلٍّ مَنْ تَوَقَّفَ عَلَى نَسَبِهِ أَبًا غَيْرَ أَبٍ وَأُمًّا غَيْرَ أُمٍّ , حَتَّى يَلْتَقِيَ هُوَ وَالْمُوصِي لِقَرَابَتِهِ إِلَى جَدٍّ وَاحِدٍ , فِي الْجَاهِلِيَّةِ , أَوْ فِي الْإِسْلَامِ , بَعْدَ أَنْ يَكُونَ أُولَئِكَ لِلْآبَاءِ , يَسْتَحِقُّ بِالْقَرَابَةِ هُمُ الْمَوَارِيثُ , فِي حَالٍ , وَيَقُومُ بِالْإِنْسَانِ مِنْهُمُ الشَّهَادَاتُ , عَلَى سِيَاقِهِ مَا بَيْنَ الْمُوصِي لِقَرَابَتِهِ وَبَيْنَهُمْ , مِنَ الْآبَاءِ وَمِنَ الْأُمَّهَاتِ , فَهَذَا الْقَوْلُ , هُوَ أَصَحُّ الْقَوْلَيْنِ , عِنْدَنَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৪৪০
empty
৭৪৪০।
7440 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান