শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

২৩. অছিয়াত ও উত্তরাধিকার সম্পত্তির অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৭ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৭৪৪১
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৪৫
অধ্যায় : ফারায়েয

যদি কোন ব্যক্তি মারা যায় এবং এক কন্যা, এক বােন ও বােন ব্যতীত দূরবর্তী আত্বীয় রেখে যায়
৭৪৪১-৪৫। মুহামল ইবন খুযায়মা (রাহঃ) …. আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন । তিনি বলেন রাসূল্লাহ (ﷺ) বলেন, ওয়ারিসদের মধ্যে যাদের অংশ নির্ধারিত রয়েছে, সেই মুতাবিক তাদেরকে সম্পদ দান কর। আর ওয়ারিসদেরকে প্রদান করার পর যা বাকী থাকে তা পুরুষ মানুষের জন্যে প্রদেয়।

ইবন আবু দাউদ (রাহঃ).....আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে অনুরুপ বর্ণনা করেন।

ফাহদ (রাহঃ) .... তাউস (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেন। কিন্তু তিনি আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর কথা উল্লেখ করেননি।


আলী ইবন শায়বা (রাহঃ).... সুফইয়ান আস-সাওরী (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেন।


আলী ইবন যায়দ (রাহঃ) .... ইবুন তাউস (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেন।

আবু জা'ফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিমের অভিমত হল, যদি কোন ব্যক্তি মারা যায় ও এক কন্যা, এক হাকীকী ভাই এবং একজন হাকীকী বােন ছেড়ে যায়, তাহলে কন্যার অংশ হবে অর্ধেক। আর বাকী অর্ধেক হবে হাকীকী ভাইয়ের জন্য। কিন্তু হাকীকী বােনের জন্যে কোন অংশ নেই। এ সম্পর্কে তারা অত্র হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন এবং বলেন যদি কন্যার সাথে ভাই না থাকত, বরং তার সাথে বােন ও অন্যান্য অংশীদার তাহলে কন্যার অংশ হতাে অর্ধেক এবং বাকী অংশ হতাে বােন ও অন্যান্য অংশীদারের জন্যে। যদিও তারা দূরবর্তী অংশীদার হােক। তারা আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর হাদীস দ্বারাও দলীল পেশ করে থাকতেন।
كِتَابُ الْفَرَائِضِ بَابُ الرَّجُلِ يَمُوتُ وَيَتْرُكُ بِنْتًا وَأُخْتًا وَعَصَبَةً سِوَاهَا
45 - 7441 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: أنا الْمُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ، قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَلْحِقُوا الْمَالَ بِالْفَرَائِضِ , فَمَا أَبْقَتِ الْفَرَائِضُ , فَلِأَوْلَى رَجُلٍ ذَكَرٍ»

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أُمَيَّةُ بْنُ بِسْطَامٍ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، قَالَ: ثنا رَوْحُ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ

حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ , وَلَمْ يَذْكُرِ ابْنَ عَبَّاسٍ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالَ: أنا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ , مِثْلَهُ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ، قَالَ: ثنا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: أنا ابْنُ الْمُبَارَكِ، قَالَ أنا مَعْمَرٌ، وَسُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ رَجُلًا، لَوْ مَاتَ , وَتَرَكَ ابْنَتَهُ , وَأَخَاهُ لِأَبِيهِ وَأُخْتِهِ لِأَبِيهِ وَأُمِّهِ , كَانَ لِابْنَتِهِ النِّصْفُ , وَمَا بَقِيَ فَلِأَخِيهِ لِأَبِيهِ وَأُمِّهِ , دُونَ أُخْتِهِ لِأَبِيهِ وَأُمِّهِ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ , بِهَذَا الْحَدِيثِ. وَقَالُوا أَيْضًا: لَوْ لَمْ يَكُنْ مَعَ الِابْنَةِ أَخٌ , وَكَانَتْ مَعَهَا أُخْتٌ وَعَصَبَةٌ , كَانَ لِلِابْنَةِ , النِّصْفُ , وَمَا بَقِيَ , فَلِلْعَصَبَةِ , وَإِنْ بَعُدُوا , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ أَيْضًا بِمَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৪৪২
empty
৭৪৪২।
7442 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৪৪৩
empty
৭৪৪৩।
7443 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৪৪৪
empty
৭৪৪৪।
7444 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৪৪৬
যদি কোন ব্যক্তি মারা যায় এবং এক কন্যা, এক বােন ও বােন ব্যতীত দূরবর্তী আত্বীয় রেখে যায়
৭৪৪৬। আলী ইবন যায়দ (রাহঃ) . আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন: إِنِ امْرُؤٌ هَلَكَ لَيْسَ لَهُ وَلَدٌ وَلَهُ أُخْتٌ فَلَهَا نِصْفُ مَا تَرَكَ
“কোন পুরুষ মারা গেলে সে যদি সন্তানহীন হয় এবং তার এক বােন থাকে, তবে তার জন্যে পরিত্যক্ত সম্পত্তির অর্ধাংশ।” (সূরা ৪:১৭৬)

আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, তােমরা বলছ, তার জন্যে পরিত্যক্ত সম্পত্তির অর্ধাংশ, যদিও তার কোন সন্তান থাকে। এ সম্পর্কে অন্য একটি দল তাদের বিরােধিতা করে বলেন, বরং কন্যার জন্যে হবে অর্ধাংশ আর বাকী অংশ ভাই ও বােনের মধ্যে এক পুরুষের অংশ দুই নারীর অংশের সমান হিসেবে বন্টন হবে। যদি কন্যার সাথে বােন ব্যতীত অন্য কোন অংশীদার না থাকে, তাহলে কন্যার জন্যে হবে পরিত্যক্ত সম্পত্তির অর্ধাংশ, আর বােনের জন্যে হবে বাকী অংশ। এ সম্পর্কে তাদের দলীল হল আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর হাদীস যা আমরা এই অনুচ্ছেদের প্রথমদিকে বর্ণনা করেছি। তবে আমাদের কাছে হাদীসটির অর্থ এরূপ নয় যেরূপ তারা অর্থ নিয়েছেন। আল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত। আমাদের কাছে এ হাদীসটির অর্থ হল নির্ধারিত অংশগুলাে প্রদানের পর যা বাকী থাকবে তা হল পুরুষের জন্য শ্রেয়। যেমন ফুফু ও চাচার ক্ষেত্রে, বাকী সম্পত্তি হবে চাচার জন্যে, ফুফুর জন্যে নয়। দুইজনই সমমর্যাদার এবং বংশের দিক দিয়ে সমতুল্য। কিন্তু এ ব্যাপারে ফুফুর থেকে চাচার মর্যাদা বেশী। কেননা তিনি হলেন পুরুষ। আর এটাই হল فَمَا أَبْقَتِ الْفَرَائِضُ , فَلِأَوْلَى رَجُلٍ ذَكَرٍ , সুতরাং ভাইয়ের সাথে বােন এ ব্যাপারে সম্পৃক্ত নয়। এ বিষয়ে আমরা যা উল্লেখ করলাম তার সম্পর্কে দলীল হল নিম্নরূপ :
তারা ঐকমত্য পােষণ করেন যে, কোন ব্যক্তি যদি মৃত্যুর পর এক কন্যা, একজন পুত্রের কন্যা ও একজন পুত্রের পুত্র ছেড়ে যায়, তাহলে কন্যার জন্যে পরিত্যক্ত সম্পত্তির অর্ধাংশ, আর যা বাকী থাকবে তা পুত্রের পুত্র ও পুত্রের কন্যার মধ্যে এক পুরুষের অংশ দুই নারীর অংশের সমান হিসেবে বন্টন হবে। তারা কন্যার অংশ প্রদানের পর বাকী সম্পত্তি পুত্রের কন্যাকে বাদ দিয়ে পুত্রের পুত্রের জন্য বিশেষভাবে নির্ধারণ করেননি। আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর বাণী : فَمَا أَبْقَتِ الْفَرَائِضُ , فَلِأَوْلَى رَجُلٍ ذَكَرٍ এর মর্মার্থ এক্ষেত্রে প্রযােজ্য নয়; বরং অন্য ক্ষেত্রে প্রযােজ্য। যখন প্রমাণিত হল যে, তাদের সকলের মতে এ বিষয়টি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উপরােক্ত বাণীর বহির্ভূত। আরো প্রমাণিত হল যে, তাদের সকলের মতে চাচা ও ফুফু এ ব্যাপারে সম্পৃক্ত, কেননা তারা কন্যার অংশ প্রদানের পর বাকী সম্পত্তির হকদার চাচাকে মনে করেন, ফুফুকে নয়। অতঃপর তারা ভাইয়ের সাথে বােনকে নিয়ে মতবিরােধ করেন। একদল আলিম বলেন, তাহল চাচার সাথে ফুফুর ন্যায়। অন্য একদল আলিম বলেন, তারা হল পুত্রের পুত্রও পুত্রের কন্যার ন্যায়।

এ ব্যাপারে আমরা গবেষণার আশ্রয় নিলাম যাতে তাদের মতৈক্য ও মতনৈক্যের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা যায় । আমরা লক্ষ্য করলাম যে, সর্বসম্মত মূলনীতি হল মৃত ব্যক্তির পুত্রের পুত্র ও পুত্রের কন্যা ব্যতীত যদি অন্য কোন ওয়ারিস না থাকে, তাহলে সমস্ত সম্পত্তি তাদের মধ্যে এক পুরুষের অংশ দুই নারীর অংশের সমান হিসেবে বণ্টন করা হবে। আর যদি তাদের সাথে মৃত ব্যক্তির কন্যা বর্তমান থাকে, তাহলে তাকে দেয়া হবে পরিত্যক্ত সম্পত্তির অর্ধাংশ। অর্ধেকের পর যা বাকী থাকবে তা পুত্রের পুত্র ও পুত্রের কন্যার মধ্যে এমনভাবে বণ্টন করে দিতে হবে যেমন সমস্ত সম্পত্তির ক্ষেত্রে তাদের সাথে কন্যা না থাকলে তাদের মধ্যে বণ্টন করা হয়ে থাকে। চাচা এবং ফুফুর সাথে যদি কন্যা না থাকে, তাহলে সকলের মতে সম্পত্তি চাচার জন্যে হবে, ফুফুর জন্যে নয়। আর যদি চাচা ও ফুফুর সাথে কন্যা থাকে, তাহলে কন্যার অংশ হবে পরিত্যক্ত সম্পত্তির অর্ধেক এবং বাকী অংশ হবে চাচার জন্যে, ফুফুর জন্যে নয়। কন্যার অংশ প্রদানের পর বাকী সম্পত্তি হবে ঐ ব্যক্তির জন্যে, যে কন্যা না থাকা অবস্থায় সমস্ত সম্পত্তির মালিক হয়ে যায়। বিষয়টি যখন এমনই হলাে, আবার ভাই ও বােনের সাথে কন্যা
থাকার অবস্থায় সম্পূর্ণ সম্পত্তি তাদের মাঝে এক পুরুষের অংশ দুই নারীর অংশের সমান পদ্ধতিতে বণ্টন হয়। যেহেতু যুক্তির দাবিও এই হবে। যখন ভাই-বােনের সাথে কন্যা থাকবে, সুতরাং আল্লাহ তা'আলার নির্ধারণকৃত হক হিসাবে কন্যার হবে অর্ধেক সম্পদ। আর অর্ধেকের পর বাকী সম্পত্তি ভাই-বােনের মধ্যে বণ্টন হবে যেমন ভাই-বােনের সাথে কন্যা না থাকা অবস্থায় সমস্ত সম্পত্তি কিয়াস ও যুক্তির ভিত্তিতে ভাই-বােনের জন্যেই হয়ে থাকে। আমাদের উল্লেখিত সিদ্ধান্তটির দলীল স্বরূপ নিম্নের বর্ণনাটি পেশ করা যায় :
7446 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ، قَالَ: ثنا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: أنا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ قَالَ: قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ {إِنِ امْرُؤٌ هَلَكَ لَيْسَ لَهُ وَلَدٌ وَلَهُ أُخْتٌ فَلَهَا نِصْفُ مَا تَرَكَ} [النساء: 176] . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: «فَقُلْتُمْ أَنْتُمْ , لَهَا النِّصْفُ , وَإِنْ كَانَ لَهُ وَلَدٌ» [ص:391] وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: بَلْ لِلِابْنَةِ النِّصْفُ , وَمَا بَقِيَ بَيْنَ الْأَخِ وَالْأُخْتِ , لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنْثَيَيْنِ. وَإِنْ لَمْ يَكُنْ مَعَ الِابْنَةِ غَيْرُ الْأُخْتِ , كَانَ لِلِابْنَةِ النِّصْفُ , وَلِلْأُخْتِ مَا بَقِيَ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي ذَلِكَ أَنَّ حَدِيثَ ابْنِ عَبَّاسٍ الَّذِي ذَكَرُوا , عَلَى مَا ذَكَرْنَا فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ , لَيْسَ مَعْنَاهُ , عِنْدَنَا , عَلَى مَا حَمَلُوهُ عَلَيْهِ. وَلَكِنْ مَعْنَاهُ , عِنْدَنَا , وَاللهُ أَعْلَمُ، مَا أَبْقَتِ الْفَرَائِضُ بَعْدَ السِّهَامِ , فَلِأَوْلَى رَجُلٍ ذَكَرٍ كَعَمَّةٍ وَعَمٍّ , فَالْبَاقِي لِلْعَمِّ , دُونَ الْعَمَّةِ , ; لِأَنَّهُمَا فِي دَرَجَةٍ وَاحِدَةٍ , مُتَسَاوِيَانِ فِي النَّسَبِ , وَفَضْلُ الْعَمِّ عَلَى الْعَمَّةِ فِي ذَلِكَ , بِأَنْ كَانَ ذَكَرًا. فَهَذَا مَعْنَى قَوْلِهِ مَا أَبْقَتِ الْفَرَائِضُ , فَلِأَوْلَى رَجُلٍ ذَكَرٍ وَلَيْسَ الْأُخْتُ مَعَ أَخِيهَا , بِدَاخِلَيْنِ فِي ذَلِكَ. وَالدَّلِيلُ عَلَى مَا ذَكَرْنَا , مِنْ ذَلِكَ أَنَّهُمْ أَجْمَعُوا فِي بِنْتٍ وَبِنْتِ ابْنٍ , وَابْنِ ابْنٍ , أَنَّ لِلِابْنَةِ النِّصْفَ , وَمَا بَقِيَ فَبَيْنَ ابْنِ الِابْنِ , وَابْنَةِ الِابْنِ , لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنْثَيَيْنِ , وَلَمْ يَجْعَلُوا مَا بَقِيَ , بَعْدَ نَصِيبِ الِابْنَةِ , لِابْنِ الِابْنِ خَاصَّةً , دُونَ ابْنَةِ الِابْنِ. وَلَمْ يَكُنْ مَعْنَى قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَا أَبْقَتِ الْفَرَائِضُ , فَلِأَوْلَى رَجُلٍ ذَكَرٍ عَلَى ذَلِكَ , إِنَّمَا هُوَ عَلَى غَيْرِهِ. فَلَمَّا ثَبَتَ أَنَّ هَذَا خَارِجٌ مِنْهُ بِاتِّفَاقِهِمْ , وَثَبَتَ أَنَّ الْعَمَّ وَالْعَمَّةَ , دَاخِلَانِ فِي ذَلِكَ بِاتِّفَاقِهِمْ , إِذْ جَعَلُوا مَا بَقِيَ بَعْدَ نَصِيبِ الِابْنَةِ لِلْعَمِّ , دُونَ الْعَمَّةِ. ثُمَّ اخْتَلَفُوا فِي الْأُخْتِ مَعَ الْأَخِ , فَقَالَ قَوْمٌ: هُمَا كَالْعَمَّةِ مَعَ الْعَمِّ , وَقَالَ آخَرُونَ: هُمَا كَابْنِ الِابْنِ وَابْنَةِ الِابْنِ. فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ ; لِنَعْطِفَ مَا اخْتَلَفُوا فِيهِ مِنْهُ , عَلَى مَا أَجْمَعُوا عَلَيْهِ. فَرَأَيْنَا الْأَصْلَ الْمُتَّفَقَ عَلَيْهِ , أَنَّ ابْنَ الِابْنِ وَابْنَةَ الِابْنِ , لَوْ لَمْ يَكُنْ غَيْرُهُمَا , كَانَ الْمَالُ بَيْنَهُمَا , لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنْثَيَيْنِ. فَإِذَا كَانَ مَعَهُمَا ابْنَةٌ , كَانَ لَهَا النِّصْفُ , وَكَانَ مَا بَقِيَ بَعْدَ ذَلِكَ النِّصْفِ بَيْنَ ابْنِ الِابْنِ , وَابْنَةِ الِابْنِ , عَلَى مِثْلِ مَا يَكُونُ لَهُمَا مِنْ جَمِيعِ الْمَالِ , لَوْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُمَا ابْنَةٌ. وَكَانَ الْعَمُّ وَالْعَمَّةُ , لَوْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُمَا ابْنَةٌ , كَانَ الْمَالُ بِاتِّفَاقِهِمْ , لِلْعَمِّ دُونَ الْعَمَّةِ. فَإِذَا كَانَتْ هُنَاكَ ابْنَةٌ , كَانَ لَهَا النِّصْفُ , وَمَا بَقِيَ بَعْدَ ذَلِكَ , فَهُوَ لِلْعَمِّ دُونَ الْعَمَّةِ. فَكَانَ مَا بَقِيَ بَعْدَ نَصِيبِ الِابْنَةِ , لِلَّذِي كَانَ يَكُونُ لَهُ جَمِيعُ الْمَالِ , لَوْ لَمْ يَكُنِ ابْنَةٌ. [ص:392] فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , وَكَانَ الْأَخُ وَالْأُخْتُ , لَوْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُمَا ابْنَةٌ , كَانَ الْمَالُ بَيْنَهُمَا , لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنْثَيَيْنِ. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَا كَذَلِكَ , إِذَا كَانَتْ مَعَهُمَا ابْنَةٌ , فَوَجَبَ لَهَا نِصْفُ الْمَالِ , لِحَقِّ فَرْضِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ لَهَا , وَأَنْ يَكُونَ مَا بَقِيَ بَعْدَ ذَلِكَ النِّصْفِ , بَيْنَ الْأَخِ وَالْأُخْتِ , كَمَا كَانَ يَكُونُ لَهُمَا جَمِيعُ الْمَالِ , لَوْ لَمْ يَكُنِ ابْنَةٌ , قِيَاسًا وَنَظَرًا , عَلَى مَا ذَكَرْنَا مِنْ ذَلِكَ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا قَدْ دَلَّ عَلَى مَا ذَكَرْنَا.
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৪৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৪৯
যদি কোন ব্যক্তি মারা যায় এবং এক কন্যা, এক বােন ও বােন ব্যতীত দূরবর্তী আত্বীয় রেখে যায়
৭৪৪৭-৪৯। আলী ইবন শায়বা (রাহঃ) ও ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) হুযায়ল ইবন শুরাহবীল (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, সুলায়মান ইবন রাবীয়াহ (রাযিঃ) ও আবু মুসা আল-আশআরী (রাযিঃ)-এর কাছে একটি মাসআলা উত্থাপিত হয় : এক ব্যক্তি মৃত্যুকালে এক কন্যা, এক পুত্রের কন্যা ও একজন বোন রেখে যান। তারা দুইজন বললেন, কন্যা পাবে অর্ধেক আর বোন পাবে অর্ধেক। অতঃপর তারা প্রশ্নকারীকে বলেন, তুমি আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাযিঃ)-এর কাছে যাও । তিনিও আমাদের ন্যায়ই বলবেন । প্রশ্নকারী আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ)-এর কাছে গেল, আর তিনি বললেন, এরূপ করলে তো আমি পথভ্রষ্ট হবো, হিদায়তপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত থাকব না। তবে অচিরেই আমি এ সম্বন্ধে ফয়সালা প্রদান করব যেমন ফয়সালা করেছিলেন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)। কন্যার অংশ হবে অর্ধেক আর দুই-তৃতীয়াংশ পূর্ণ করার জন্যে পুত্রের কন্যার অংশ হবে এক-ষষ্ঠাংশ । আর বাকী অংশ পাবে বোন।

ইবন মারযূক (রাযিঃ)..... হুযায়ল (রাযিঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
এ হাদীসে দেখা যায় যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কন্যার সাথে পিতার দিক দিয়ে বোনদেরকে আসাবা (আল্লাহ্ কর্তৃক নির্ধারিত অংশীদারদের পর যারা সম্পত্তির মালিক হয়) গণ্য করেছেন। সুতরাং বোনেরা কন্যাদের সাথে পিতার দিক দিয়ে ভাইদের স্থলে গণ্য হবে এবং বোনেরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর বাণী فَمَا أَبْقَتِ الْفَرَائِضُ , فَلِأَوْلَى رَجُلٍ ذَكَرٍ -এর আওতাভুক্ত হবে । কেননা বোন তখন আসাবা হিসেবে গণ্য হবে। আর তার থেকে নিকটতর আসাবা আর কেউ নেই। যখন সে হবে আসাবা এবং পুরুষ থেকে নিকটতর, তখন সম্পত্তি হবে তারই জন্য।
এ হাদীসের এরূপ অর্থ নেয়াই উচিত, যাতে এটা ইবন মাসউদ (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসের বিপরীত না হয় এবং ঐ হাদীসের সাথে বিরোধপূর্ণ না হয়। আর আসারসমূহের ব্যাপারে নিয়ম হচ্ছে যে, যতক্ষণ পর্যন্ত সম্ভব সেগুলোকে অভিন্ন অর্থে প্রয়োগ করা এবং বিরোধপূর্ণ অর্থ ও ব্যাখ্যা পরিহার করা আমাদের প্রতিপক্ষ যে অর্থ নিয়েছেন সে অর্থে যদি আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর হাদীসের অর্থ নেয়া হয়, তাহলে আমাদের প্রতিপক্ষের মযহাব অনুযায়ী তা হবে ইবন মাসউদ (রাযিঃ)-এর হাদীসের বিপরীত। কেননা আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাযিঃ)-এর হাদীসের সনদ হচ্ছে সহজ সরল ও বিশুদ্ধভাবে আগত ।

আর ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর হাদীসটি সনদের দিক্ দিয়ে বিভ্রাটপূর্ণ। কেননা এটাকে বিচ্ছিন্ন সনদে বর্ণনা করেছেন এমন ব্যক্তি যিনি ঐ ব্যক্তির চেয়ে নীচে নন, যিনি সেটিকে মারফু সনদে বর্ণনা করেছেন। যেমন আমরা এ অনুচ্ছেদের শুরুতে বর্ণনা করেছি আল্লাহর বাণী :إِنِ امْرُؤٌ هَلَكَ لَيْسَ لَهُ وَلَدٌ وَلَهُ أُخْتٌ فَلَهَا نِصْفُ مَا تَرَكَ এর দ্বারা যে বিষয় সম্পর্কে পেশ করেছেন তা হল আল্লাহ্ তা'আলা বোনকে অংশীদার হিসেবে গণ্য করেছেন যদি মৃত ব্যক্তির কোন সন্তান না থাকে। এ সম্পর্কে তাদের বিরুদ্ধে দলীল হল এই যে, আল্লাহ্ তা'আলাই তো বলেন।وَهُوَ يَرِثُهَا إِنْ لَمْ يَكُنْ لَهَا وَلَدٌ অর্থাৎ এবং সে যদি সন্তানহীনা হয় তবে তার ভাই তার উত্তরাধিকারী হবে। (সূরা ৪ : ১৭৬)

অতচ সকলে একমত যে, যদি কোন স্ত্রীলোক তার এক কন্যা ও এক ভাই ছেড়ে যায়, তাহলে কন্যার অংশ হবে অর্ধেক আর বাকী অংশ তার ভাই পাবে । আর আল্লাহর বাণী : إِنْ لَمْ يَكُنْ لَهَا وَلَدٌ-এর অর্থ হচ্ছে এমন সন্তান না থাকা, যে সমস্ত মীরাস পেতে পারে। ঐরূপ সন্তানের কথা বলা হয়নি যে সমস্ত মীরাস পেতে পারে না। সুতরাং এক্ষেত্রেও যুক্তির দাবি এই যে,إِنِ امْرُؤٌ هَلَكَ لَيْسَ لَهُ وَلَدٌ وَلَهُ أُخْتٌ فَلَهَا نِصْفُ مَا تَرَكَ

এই আয়াতের এমন সন্তানই উদ্দেশ্য হবে, যে সমস্ত মীরাস পেতে পারে, ঐ সন্তান নয় যে সমস্ত সম্পত্তি পেতে পারে না। তবে তারা এখানে যে ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ)-এর মাযহাব দ্বারা দলীল পেশ করেছেন এতে আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) ব্যতীত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সকল সাহাবী ভিন্নমত পোষণ করেন। তাদের থেকে এ ব্যাপারে বর্ণিত রয়েছে :
49 - 7447 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، وَعُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُوسَى الْعَبْسِيُّ ح

وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ الْفِرْيَابِيُّ، قَالَ: أنا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي قَيْسٍ، عَنْ هُذَيْلِ بْنِ شُرَحْبِيلَ قَالَ , أُتِيَ سَلْمَانُ بْنُ رَبِيعَةَ , وَأَبُو مُوسَى الْأَشْعَرِيُّ , فِي ابْنَةٍ وَابْنَةِ ابْنٍ , وَأُخْتٍ. فَقَالَا: لِلِابْنَةِ النِّصْفُ , وَلِلْأُخْتِ النِّصْفُ , ثُمَّ قَالَا: ائْتِ عَبْدَ اللهِ , فَإِنَّهُ سَيُتَابِعُنَا , فَأَتَاهُ. فَقَالَ عَبْدُ اللهِ: " لَقَدْ ضَلَلْتُ إِذًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُهْتَدِينَ , وَلَكِنْ سَأَقْضِي فِيهَا بِمَا قَضَى بِهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لِلِابْنَةِ النِّصْفُ , وَلِابْنَةِ الِابْنِ السُّدُسُ , تَكْمِلَةً لِلثُّلُثَيْنِ وَمَا بَقِيَ , فَلِلْأُخْتِ "

حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، قَالَ: ثنا شُعْبَةٌ، عَنْ أَبِي قَيْسٍ، عَنْ هُذَيْلٍ، مِثْلَهُ فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ , أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَعَلَ لِلْأَخَوَاتِ , مِنْ قِبَلِ الْأَبِ مَعَ الِابْنَةِ عَصَبَةً , فَيَصِرْنَ مَعَ الْبَنَاتِ فِي حُكْمِ الذُّكُورِ مِنَ الْإِخْوَةِ , مِنْ قِبَلِ الْأَبِ. فَصَارَ قَوْلُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَا أَبْقَتِ الْفَرَائِضُ , فَلِأَوْلَى رَجُلٍ ذَكَرٍ؛ لِأَنَّهُ عَصَبَةٌ , وَلَا عَصَبَةَ أَقْرَبُ مِنْهُ. فَإِذَا كَانَ هُنَاكَ عَصَبَةٌ هِيَ أَقْرَبُ مِنْ ذَلِكَ الرَّجُلِ , فَالْمَالُ لَهَا. وَعَلَى هَذَا الْمَعْنَى , يَنْبَغِي أَنْ يُحْمَلَ هَذَا الْحَدِيثُ , حَتَّى لَا يُخَالِفَ حَدِيثَ ابْنِ مَسْعُودٍ هَذَا , وَلَا يُضَادَّهُ. وَسَبِيلُ الْآثَارِ أَنْ تُحْمَلَ عَلَى الِاتِّفَاقِ مَا وُجِدَ السَّبِيلُ إِلَى ذَلِكَ , وَلَا تُحْمَلُ عَلَى التَّنَافِي وَالتَّضَادِّ. وَلَوْ كَانَ حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ عَلَى مَا حَمَلَهُ عَلَيْهِ الْمُخَالِفُ لَنَا وَجَبَ عَلَى مَذْهَبِهِ أَنْ يُضَادَّ بِهِ حَدِيثَ ابْنِ مَسْعُودٍ؛ لِأَنَّ حَدِيثَ ابْنِ مَسْعُودٍ هَذَا , مُسْتَقِيمُ الْإِسْنَادِ , صَحِيحُ الْمَجِيءِ. وَحَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ , مُضْطَرِبُ الْإِسْنَادِ ; لِأَنَّهُ قَدْ قَطَعَهُ , مَنْ لَيْسَ بِدُونِ مَنْ رَفَعَهُ , عَلَى مَا ذَكَرْنَا فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ. وَأَمَّا مَا احْتَجُّوا بِهِ مِنْ قَوْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ: {إِنِ امْرُؤٌ هَلَكَ لَيْسَ لَهُ وَلَدٌ وَلَهُ أُخْتٌ فَلَهَا نِصْفُ مَا تَرَكَ} [النساء: 176] فَقَالُوا: إِنَّمَا وَرَّثَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ الْأُخْتَ إِذَا لَمْ يَكُنْ لَهُ وَلَدٌ. فَالْحُجَّةُ عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ أَنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ أَيْضًا {وَهُوَ يَرِثُهَا إِنْ لَمْ يَكُنْ لَهَا وَلَدٌ} [النساء: 176] . [ص:393] وَقَدْ أَجْمَعُوا جَمِيعًا , عَلَى أَنَّهَا لَوْ تَرَكَتْ بِنْتَهَا وَأَخَاهَا لِأَبِيهَا , كَانَ لِلِابْنَةِ النِّصْفُ , وَمَا بَقِيَ فَلِلْأَخِ. وَأَنَّ مَعْنَى قَوْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ {إِنْ لَمْ يَكُنْ لَهَا وَلَدٌ} [النساء: 176] إِنَّمَا هُوَ عَلَى وَلَدٍ , يَحُوزُ كُلَّ الْمِيرَاثِ , لَا عَلَى الْوَلَدِ الَّذِي لَا يَحُوزُ كُلَّ الْمِيرَاثِ. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ , أَيْضًا , أَنْ يَكُونَ قَوْلُهُ عَزَّ وَجَلَّ {إِنِ امْرُؤٌ هَلَكَ لَيْسَ لَهُ وَلَدٌ وَلَهُ أُخْتٌ فَلَهَا نِصْفُ مَا تَرَكَ} [النساء: 176] هُوَ عَلَى وَلَدٍ يَحُوزُ جَمِيعَ الْمِيرَاثِ , لَا عَلَى وَلَدٍ لَا يَحُوزُ جَمِيعَ الْمِيرَاثِ. فَأَمَّا مَا احْتَجُّوا بِهِ مِنْ مَذْهَبِ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي ذَلِكَ , فَإِنَّهُ خَالَفَ فِيهِ سَائِرَ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سِوَاهُ. فَمِمَّا رُوِيَ عَنْهُمْ فِي ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৪৫০
যদি কোন ব্যক্তি মারা যায় এবং এক কন্যা, এক বােন ও বােন ব্যতীত দূরবর্তী আত্বীয় রেখে যায়
৭৪৫০। ইবন আবু দাউদ (রাহঃ)..... যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) কন্যা ও বোনের মধ্যে অর্ধেক অর্ধেক মীরাস বণ্টন করেছেন।
7450 - مَا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ , قَالَ: ثنا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ عُقَيْلٍ أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ شِهَابٍ يُخْبِرُ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ «أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ , قَسَمَ الْمِيرَاثَ بَيْنَ الِابْنَةِ وَالْأُخْتِ , نِصْفَيْنِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৪৫১
যদি কোন ব্যক্তি মারা যায় এবং এক কন্যা, এক বােন ও বােন ব্যতীত দূরবর্তী আত্বীয় রেখে যায়
৭৪৫১। আলী ইবন যায়দ (রাহঃ) .....আবু সালামা ইবন আব্দুর রহমান (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) কন্যা ও বোনের মধ্যে সম্পদকে দুই ভাগে বণ্টন করেন ।
7451 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ، قَالَ: ثنا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ أنا ابْنُ الْمُبَارَكِ، قَالَ: أنا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، قَالَ: أنا يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، «أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , قَسَمَ الْمَالَ شَطْرَيْنِ , بَيْنَ الِابْنَةِ وَالْأُخْتِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৪৫২
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৫৩
যদি কোন ব্যক্তি মারা যায় এবং এক কন্যা, এক বােন ও বােন ব্যতীত দূরবর্তী আত্বীয় রেখে যায়
৭৪৫২-৫৩। আলী (রাহঃ)..... আলী (রাযিঃ) ও আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তারা এক কন্যা ও এক বোনের মীরাস সম্পর্কে বলেন, কন্যার জন্যে অর্ধেক আর বোনের জন্য অর্ধেক। আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) ও আব্দুল্লাহ ইবন যুবায়র (রাযিঃ) ব্যতীত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সাহাবীগণ অনুরূপ বলেছেন।
53 - 7452 - حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، قَالَ: ثنا عَبْدَةُ، قَالَ: أنا ابْنُ الْمُبَارَكِ، قَالَ: أنا إِسْرَائِيلُ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، وَعَبْدِ اللهِ، «فِي ابْنَةٍ وَأُخْتٍ , لِلِابْنَةِ النِّصْفُ , وَلِلْأُخْتِ النِّصْفُ» وَقَالَ أَصْحَابُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَ ذَلِكَ , إِلَّا ابْنَ عَبَّاسٍ , وَابْنَ الزُّبَيْرِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৪৫৪
যদি কোন ব্যক্তি মারা যায় এবং এক কন্যা, এক বােন ও বােন ব্যতীত দূরবর্তী আত্বীয় রেখে যায়
৭৪৫৪। আলী ইব্‌ন শায়বা (রাহঃ)....... আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি এক কন্যা, এক বোন ও এক দাদা সম্বন্ধে বলেন, চার দিয়ে বণ্টন করতে হবে।
7454 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: أنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، وَأَبُو نُعَيْمٍ قَالَا: ثنا سُفْيَانُ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ، فِي ابْنَةٍ , وَأُخْتٍ , وَجَدٍّ , قَالَ: «مِنْ أَرْبَعَةٍ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৪৫৫
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৫৬
যদি কোন ব্যক্তি মারা যায় এবং এক কন্যা, এক বােন ও বােন ব্যতীত দূরবর্তী আত্বীয় রেখে যায়
৭৪৫৫-৫৬। ইবনে মারযূক (রাহঃ) আসওয়াদ ইবনে ইয়াযীদ (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। ইয়ামানে আমাদের মধ্যে এক ব্যক্তি সম্বন্ধে ফয়সালা করেন- যে মৃত্যুকালে তার এক কন্যা ও এক বোন রেখে যায় । তখন তিনি কন্যাকে দিলেন অর্ধেক সম্পত্তি এবং বোনকে দিলেন অর্ধেক সম্পত্তি। শুবা (রাহঃ) বলেন,আ‘মাশ আমাকে সংবাদ দিয়েছেন। তিনি বলেন , আমি ইবরাহীম (রাহঃ)-কে আল-আসওয়াদ (রাহঃ) হতে হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি। তিনি বলেন, মুআয (রাযিঃ) ইয়ামানে আমাদের মধ্যে অনুরূপ ফয়সালা করেন। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন ছিলেন জীবিত।
7455 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ، قَالَ: سَمِعْتُ الْأَسْوَدَ بْنَ يَزِيدَ، يَقُولُ: «قَضَى فِينَا مُعَاذُ بِالْيَمَنِ , فِي رَجُلٍ تَرَكَ ابْنَتَهُ وَأُخْتَهُ , فَأَعْطَى الِابْنَةَ , النِّصْفَ , وَأَعْطَى الْأُخْتَ النِّصْفَ»

7456 - قَالَ شُعْبَةُ: وَأَخْبَرَنِي الْأَعْمَشُ , قَالَ: سَمِعْتُ إِبْرَاهِيمَ , يُحَدِّثُ عَنِ الْأَسْوَدِ قَالَ: قَضَى فِينَا مُعَاذٌ بِالْيَمَنِ وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَيٌّ , مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৪৫৬
empty
৭৪৫৬।
7456 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৪৫৭
যদি কোন ব্যক্তি মারা যায় এবং এক কন্যা, এক বােন ও বােন ব্যতীত দূরবর্তী আত্বীয় রেখে যায়
৭৪৫৭। আলী ইব্‌ন শায়বা (রাহঃ) . আসওয়াদ ইব্‌ন ইয়াযীদ (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন । তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবন যুবায়র (রাযিঃ) এক কন্যা ও এক বোন সম্বন্ধে ফয়সালা করেন। কন্যাকে অর্ধেক প্রদান করেন আর বাকী সমস্ত সম্পত্তি আসাবাদেরকে প্রদান করেন। তখন আমি বললাম, নিঃসন্দেহে মুআয (রাযিঃ) ইয়ামানে আমাদের মধ্যে ফয়সালা করেছেন। তিনি কন্যাকে অর্ধেক দান করেছেন এবং বোনকে অর্ধেক দান করেছেন । এরপর আব্দুল্লাহ ইব্‌ন যুবায়র (রাযিঃ) বললেন, তুমি আমার দূত হয়ে আব্দুল্লাহ ইবন উতবা (রাযিঃ)-এর কাছে যাও এবং তাঁর কাছে এ হাদীসটি বর্ণনা কর । তিনি ছিলেন কূফার কাযী । আব্দুল্লাহ ইব্‌ন যুবায়র (রাযিঃ) আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নিজ মতামত থেকে পরবর্তীদের মতামতের প্রতি প্রত্যাগমন করেন ।
7457 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالَ: أنا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ، عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ: " قَضَى ابْنُ الزُّبَيْرِ , فِي ابْنَةٍ وَأُخْتٍ , فَأَعْطَى لِلِابْنَةِ , النِّصْفَ , وَأَعْطَى لِلْعَصَبَةِ , سَائِرَ الْمَالِ. فَقُلْتُ: إِنَّ مُعَاذًا قَضَى فِينَا بِالْيَمَنِ , فَأَعْطَى لِلِابْنَةِ النِّصْفَ , وَأَعْطَى لِلْأُخْتِ النِّصْفَ. [ص:394] فَقَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ الزُّبَيْرِ: فَأْتِ رَسُولِي إِلَى عَبْدِ اللهِ بْنِ عُتْبَةَ فَتُحَدِّثُهُ بِهَذَا الْحَدِيثِ " وَكَانَ قَاضِيَ الْكُوفَةِ. فَهَذَا عَبْدُ اللهِ بْنُ الزُّبَيْرِ , قَدْ رَجَعَ عَنْ قَوْلِهِ الَّذِي وَافَقَ فِيهِ ابْنَ عَبَّاسٍ , إِلَى قَوْلِ الْآخَرِينَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৪৫৮
যদি কোন ব্যক্তি মারা যায় এবং এক কন্যা, এক বােন ও বােন ব্যতীত দূরবর্তী আত্বীয় রেখে যায়
৭৪৫৮। সালিহ ইব্‌ন আব্দুর রহমান (রাহঃ) ও রাওহ ইবনুল ফারাজ (রাহঃ) . আসওয়াদ ইবন ইয়াযীদ (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন । তিনি বলেন, মুআয (রাযিঃ) ইয়ামানে আগমন করেন। তখন তাকে এক কন্যা ও এক বোনের অংশ সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করা হল । তিনি কন্যাকে অর্ধেক এবং বোনকে অর্ধেক দান করলেন ।
7458 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَرَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ , قَالَا: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ، قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءَ، عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ: «قَدِمَ مُعَاذٌ إِلَى الْيَمَنِ , فَسُئِلَ عَنِ ابْنَةٍ وَأُخْتٍ , فَأَعْطَى لِلِابْنَةِ النِّصْفَ , وَلِلْأُخْتِ النِّصْفَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৪৫৯
যদি কোন ব্যক্তি মারা যায় এবং এক কন্যা, এক বােন ও বােন ব্যতীত দূরবর্তী আত্বীয় রেখে যায়
৭৪৫৯। আলী ইব্‌ন শায়বা (রাহঃ)...... আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন তিনি মৃত্যু ব্যক্তির দুই কন্যা, পুত্রের কন্যাগণ, পুত্রের এক পুত্র, মাতা-পিতার দিক দিয়ে দুই বোন, পিতার দিক দিয়ে ভাই ও বোন সম্বন্ধে ফয়সালা প্রদান করেন। তিনি পুত্রের কন্যাগণ, পুত্রের পুত্র, পিতার দিক দিয়ে বোন ও ভাইয়ের পুত্রকে আসাবার মধ্যে অংশীদার করেন । বর্ণনাকারী বলেন, আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) তাদের মধ্যে অংশীদার করেননি ।
একদল আলিম এক কন্যা ও আসাবাদের মধ্যে ফয়সালা দেন এবং বলেন, কন্যার জন্যেই সমস্ত সম্পত্তি, আসাবাদের জন্যে কিছুই নেই। তারা ফকীহদের মতামত লংঘন করে এমন একটি মতামত গ্রহণ করেছেন যেখানে তাদের অজ্ঞতা প্রকাশ পেয়েছে। তাদের জানা নেই তাদের পূর্বে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার-এর সাহাবী কিংবা তাবিঈদের কেউ এরূপ মতামত অবলম্বন করেছিলেন কিনা। কুরআনুল কারীমের প্রকাশ্য দলীল দ্বারা তাদের মতের ত্রুটি প্রকাশ পাচ্ছে। কেননা আল্লাহ্ তা'আলা ইরশাদ করেন :يُوصِيكُمُ اللهُ فِي أَوْلَادِكُمْ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنْثَيَيْنِ

"আল্লাহ তোমাদের সন্তান সম্বন্ধে নির্দেশ দিচ্ছেন- এক পুত্রের অংশ দুই কন্যার অংশের সমান।” (সূরা ৪ : ১১) এ আয়াত দ্বারা আল্লাহ্ তা'আলা আমাদের জন্য সুস্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, মীরাস লাভের ক্ষেত্রে সন্তানদের পুরুষ ও নারীদের নীতি কি হবে। অতঃপর আল্লাহ্ তা'আলা বলেছেন: فَإِنْ كُنَّ نِسَاءً فَوْقَ اثْنَتَيْنِ فَلَهُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَكَ "কিন্তু কেবল কন্যা দুইয়ের অধিক থাকলে তাদের জন্য পরিত্যক্ত সম্পত্তির দুই-তৃতীয়াংশ (সূরা ৪ : ১১) এভাবে আল্লাহ্ তা'আলা আমাদেরকে মীরাস লাভের ক্ষেত্রে সন্তানরা যদি নারী হয় তাহলে তার হুকুম কিরূপ হবে তা বয়ান করে দিয়েছেন। অতঃপর আল্লাহ্ তা'আলা বলেন : وَإِنْ كَانَتْ وَاحِدَةً فَلَهَا النِّصْفُ আর মাত্র এক কন্যা থাকলে তার জন্যে অর্ধাংশ এভাবে আল্লাহ্ তা'আলা আমাদেরকে বয়ান করে দিয়েছেন যে, এক কন্যা হলে তার অংশ কতটুকু হবে। মোটকথা তিনি যখন আমাদের জন্য সন্তানদের এই সমস্ত সুরতে মীরাস লাভের হুকুম বয়ান করে দিয়েছেন, তখন আমরা জানতে পারলাম যে, একজনের মীরাসের হুকুম এ তিনটি দিকের বহির্ভূত নয়। আর আল্লাহ্ তা'আলা যে কন্যার জন্যে অর্ধেক, কন্যাদের জন্যে দু-তৃতীয়াংশ ও তাদের জন্যে এর থেকে অধিক সম্পদ রয়েছে বলে কুরআনুল কারীমে উল্লেখ রয়েছে, তা শুধু অন্য কোন কারণে হতে পারে যা তিনি কুরআনুল কারীমে কিংবা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর যবানে সুস্পষ্ট করে দিয়েছেন। যেমন দূরবর্তী আত্মীয়-স্বজনের মীরাসের ক্ষেত্রে উদ্ভাসিত হয়েছে যে, যদি কন্যা সমস্ত সম্পত্তির মালিক হয় এবং আসাবাদের কোন অংশ না থাকে, তাহলে আল্লাহ্ তা'আলা কর্তৃক অর্ধেক কথাটি উল্লেখ করার কোন অর্থই থাকে না। আর তার উল্লেখ তিনি পরিহার করতেন। যেমন পুত্রের উল্লেখ পরিহার করেছেন। যখন কন্যার জন্যে। তিনি আমাদের উল্লেখিত অংশের কথা বর্ণনা করেছেন, তাতে এটা আল্লাহ্ তা'আলার তরফ থেকে আমাদেরকে অবগতি দান করা হলো যে, তিনি তার জন্য যা উল্লেখ করেছেন, সেটাই হলো তার অংশ যেমন, পিতামাতার দিক্‌ দিয়ে বোনদের জন্যে অংশ উল্লেখ করে দিয়েছেন। আল্লাহ্ তা'আলা বলেন :وَإِنْ كَانَ رَجُلٌ يُورَثُ كَلَالَةً أَوِ امْرَأَةٌ وَلَهُ أَخٌ أَوْ أُخْتٌ فَلِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا السُّدُسُ فَإِنْ كَانُوا أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ فَهُمْ شُرَكَاءُ فِي الثُّلُثِ

“যদি পিতা-মাতা ও সন্তানহীন কোন পুরুষ অথবা নারীর উত্তরাধিকারী থাকে তার এক বৈপিত্রেয় ভাই অথবা বোন, তবে প্রত্যেকের জন্যে এক-ষষ্ঠাংশ; তারা এটার অধিক হলে সকলে সম অংশীদার হবে এক তৃতীয়াংশে।” (সূরা ৪ ১২)

সুতরাং তাদের জন্যে অংশ নির্ধারণ করার পর যা অবশিষ্ট থাকবে, আসাবাদের জন্যে সেটা হবে অনুরূপ। স্বামী ও স্ত্রীর জন্যে অংশ নির্ধারণ করার পর যা বাকী রয়েছে, তা আসাবাতাদের জন্যে। কন্যার বিষয়টিও অনুরূপ। এ আয়াতের মধ্যে এটা একটি বিশুদ্ধ দলীল অর্থাৎ তার জন্য অংশ নির্ধারণের পর যা বাকী থাকবে তা আসাবাদের জন্য হবে। অতঃপর আমরা আল্লাহ্ তা'আলার বাণীটির দিকে দৃষ্টি দিলাম। আল্লাহ তা'আলা বলেন :إِنِ امْرُؤٌ هَلَكَ لَيْسَ لَهُ وَلَدٌ وَلَهُ أُخْتٌ

“কোন পুরুষ মারা গেলে সে যদি সন্তানহীন হয় এবং তার এক বোন থাকে, তবে তার জন্য পরিত্যাক্ত সম্পত্তিন্ন অর্ধাংশ।” (সূরা ৪ ১৭৬)

এখানে আল্লাহ্ তা'আলা আমাদেরকে বয়ান করেননি যে, ঐ সন্তানটি কে। সুতরাং যে আয়াত থেকে আমরা সন্তানদের অংশ সম্পর্কে জানতে পেরেছি, সে আয়াতই আমাদের জন্য প্রমাণ করেছে যে, এ সন্তানটি পূর্বে উল্লেখিত সন্তান, যার জন্যে অন্য আয়াতে অংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এ ব্যাপারে একটি বর্ণনাও বর্ণিত হয়েছে :
7459 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالَ أنا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ مَعْبَدِ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , فِي ابْنَتَيْنِ وَبَنَاتِ ابْنٍ , وَبَنِي ابْنٍ , وَفِي أُخْتَيْنِ لِأَبٍ وَأُمٍّ , وَإِخْوَةٍ وَأَخَوَاتٍ لِأَبٍ " أَنَّهَا أَشْرَكَتْ بَيْنَ بَنَاتِ الِابْنِ , وَبَنِي الِابْنِ , وَبَنِي الْإِخْوَةِ وَالْأَخَوَاتِ , مِنَ الْأَبِ , فِيمَا بَقِيَ. قَالَ: وَكَانَ عَبْدُ اللهِ لَا يُشْرِكُ بَيْنَهُمَا " وَقَالَ قَوْمٌ , فِي ابْنَةٍ وَعَصَبَةٍ , إِنَّ لِلِابْنَةِ جَمِيعَ الْمَالِ , وَلَا شَيْءَ لِلْعَصَبَةِ. فَكَفَى بِهِمْ جَهْلًا , فِي تَرْكِهِمْ قَوْلَ كُلِّ الْفُقَهَاءِ إِلَى قَوْلٍ لَمْ يُعْلَمْ أَنَّهُ قَالَ بِهِ قَبْلَهُمْ , مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا مِنْ تَابِعِيهِمْ , مَعَ أَنَّ مَا ذَهَبُوا إِلَيْهِ مِنْ ذَلِكَ , فَسَادُهُ بِنَصِّ الْقُرْآنِ ; لِأَنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ يَقُولُ {يُوصِيكُمُ اللهُ فِي أَوْلَادِكُمْ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنْثَيَيْنِ} [النساء: 11] . فَبَيَّنَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ لَنَا بِذَلِكَ , كَيْفَ حُكْمُ الْأَوْلَادِ فِي الْمَوَارِيثِ , إِذَا كَانُوا ذُكُورًا , أَوْ إِنَاثًا ثُمَّ قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ {فَإِنْ كُنَّ نِسَاءً فَوْقَ اثْنَتَيْنِ فَلَهُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَكَ} [النساء: 11] . فَبَيَّنَ لَنَا حُكْمَ الْأَوْلَادِ فِي الْمَوَارِيثِ , إِذَا كَانُوا نِسَاءً. ثُمَّ قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ {وَإِنْ كَانَتْ وَاحِدَةً فَلَهَا النِّصْفُ} [النساء: 11] , فَبَيَّنَ لَنَا , كَمْ مِيرَاثُ الِابْنَةِ الْوَاحِدَةِ. فَلَمَّا بَيَّنَ لَنَا مَوَارِيثَ الْأَوْلَادِ عَلَى هَذِهِ الْجِهَاتِ , عَلِمْنَا بِذَلِكَ أَنَّ حُكْمَ مِيرَاثِ الْوَاحِدَةِ , لَا يَخْرُجُ مِنْ هَذِهِ الْجِهَاتِ الثَّلَاثِ. وَاسْتَحَالَ أَنْ يُسَمِّيَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ , لِلِابْنَةِ النِّصْفَ , وَلِلْبَنَاتِ الثُّلُثَيْنِ وَلَهُنَّ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ إِلَّا لِمَعْنًى آخَرَ يُبَيِّنُهُ فِي كِتَابِهِ , أَوْ عَلَى لِسَانِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا أَبَانَ فِي مَوَارِيثِ ذَوِي الْأَرْحَامِ. وَلَوْ كَانَتِ الِابْنَةُ تَرِثُ الْمَالَ كُلَّهُ , دُونَ الْعَصَبَةِ , لَمَا كَانَ لِذِكْرِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ النِّصْفَ مَعْنًى , وَلَأَهْمَلَ أَمْرَهَا , كَمَا أَهْمَلَ الِابْنَ. فَلَمَّا بَيَّنَ لَهَا مَا ذَكَرْنَا , كَانَ تَوْفِيقًا مِنْهُ , عَزَّ وَجَلَّ , إِيَّانَا , عَلَى مَا سَمَّى لَهَا مِنْ ذَلِكَ هُوَ سَهْمُهَا , كَمَا كَانَ مَا سَمَّى لِلْأَخَوَاتِ مِنْ قِبَلِ الْأَبِ وَالْأُمِّ بِقَوْلِهِ {وَإِنْ كَانَ رَجُلٌ يُورَثُ كَلَالَةً أَوِ امْرَأَةٌ وَلَهُ أَخٌ أَوْ أُخْتٌ فَلِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا السُّدُسُ فَإِنْ كَانُوا أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ فَهُمْ شُرَكَاءُ فِي الثُّلُثِ} [النساء: 12] . [ص:395] فَكَانَ مَا بَقِيَ , بَعْدَ الَّذِي سُمِّيَ لَهُنَّ , لِلْعَصَبَاتِ. وَكَذَلِكَ مِمَّا سُمِّيَ لِلزَّوْجِ وَالْمَرْأَةِ , فِيمَا بَقِيَ بَعْدَ الَّذِي سُمِّيَ لَهُمَا لِلْعَصَبَةِ. فَكَذَلِكَ الِابْنَةُ أَيْضًا , مَا بَقِيَ بَعْدَ الَّذِي سُمِّيَ لَهَا لِلْعَصَبَةِ , هَذَا دَلِيلٌ قَائِمٌ صَحِيحٌ فِي هَذِهِ الْآيَةِ. ثُمَّ رَجَعْنَا إِلَى قَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ {إِنِ امْرُؤٌ هَلَكَ لَيْسَ لَهُ وَلَدٌ وَلَهُ أُخْتٌ} [النساء: 176] فَلَمْ يُبَيِّنْ لَنَا عَزَّ وَجَلَّ هَاهُنَا , مَنْ ذَلِكَ الْوَلَدُ. فَدَلَّنَا مَا تَقَدَّمَ مِنْ قَوْلِهِ , فِي الْآيَةِ الَّتِي وَقَفْنَا فِيهَا , عَلَى أَنْصِبَاءِ الْأَوْلَادِ , أَنَّ ذَلِكَ الْوَلَدَ , هُوَ مَا تَقَدَّمَ , مِنَ الْوَلَدِ الَّذِي سَمَّى لَهُ الْفَرْضَ فِي الْآيَةِ الْأُخْرَى. ثُمَّ قَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا ذَكَرْنَا أَيْضًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৪৬০
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৬১
যদি কোন ব্যক্তি মারা যায় এবং এক কন্যা, এক বােন ও বােন ব্যতীত দূরবর্তী আত্বীয় রেখে যায়
৭৪৬০-৬১। ইউনুস ইব্‌ন আব্দুল আ'লা (রাহঃ) ও বাহর ইব্‌ন নসর (রাহঃ) . জাবির ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, সা'দ ইবনুর রাবী (রাযিঃ)-এর স্ত্রী রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর কাছে আগমন করে বলেন : হে আল্লাহ রাসূল (ﷺ) ! সা'দ আপনার সাথে যুদ্ধ করে শহীদ হয়েছেন এবং দুই কন্যা, আমাকে ও তার ভাইকে রেখে গেছেন । তার ভাই তার সমস্ত সম্পদ নিয়ে নিয়েছে। অথচ মেয়েদেরকে তো তাদের মালের জন্যই বিয়ে করা হয়ে থাকে । রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তখন তাকে ডেকে বললেন, তার স্ত্রীকে এক-অষ্টমাংশ এবং দুই কন্যাকে দুই-তৃতীয়াংশ সম্পত্তি দান কর । আর বাকী অংশ তোমার ।


ইউনুস (রাহঃ)...... জাবির ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন। আমরা যা উল্লেখ করেছি তার সাথে এ হাদীসটি সামঞ্জস্যপূর্ণ । এটাই আবু হানীফা (রাহঃ), আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত এবং আমাদেরও অভিমত।
7460 - حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، وَبَحْرُ بْنُ نَصْرٍ , قَالَا: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي دَاوُدُ بْنُ قَيْسٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، أَنَّ امْرَأَةَ سَعْدِ بْنِ الرَّبِيعِ , أَتَتْ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللهِ , إِنَّ سَعْدًا قُتِلَ مَعَكَ , وَتَرَكَ ابْنَتَيْهِ وَتَرَكَنِي وَأَخَاهُ , فَأَخَذَ أَخُوهُ مَالَهُ , وَإِنَّمَا يَتَزَوَّجُ النِّسَاءُ بِمَالِهِنَّ. فَدَعَاهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «أَعْطِ امْرَأَتَهُ الثُّمُنَ , وَابْنَتَيْهِ الثُّلُثَيْنِ , وَلَكَ مَا بَقِيَ»

7461 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ فَقَدْ وَافَقَ هَذَا أَيْضًا مَا ذَكَرْنَا , وَبِهَذَا كَانَ أَبُو حَنِيفَةَ , وَأَبُو يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٌ رَحِمَهُمُ اللهُ , يَقُولُونَ , وَبِهِ نَقُولُ أَيْضًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৪৬১
empty
৭৪৬১।
7461 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান