শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
২৩. অছিয়াত ও উত্তরাধিকার সম্পত্তির অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৯ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৭৪১১
অধ্যায় : অসীয়ত
যে পরিমাণে সম্পদ অসীয়ত করা বৈধ। রুগ্ন ব্যক্তি মৃত্যু শয্যায় হেবা, সদকা ও দাস মুক্তি ইত্যাদি যা কিছু সম্পন্ন করে
যে পরিমাণে সম্পদ অসীয়ত করা বৈধ। রুগ্ন ব্যক্তি মৃত্যু শয্যায় হেবা, সদকা ও দাস মুক্তি ইত্যাদি যা কিছু সম্পন্ন করে
৭৪১১। ইউনুস ইব্ন আব্দুল আ'লা (রাহঃ) . আমির ইবন সা'দ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি তার পিতা সা'দ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের বছর আমি এমনভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি যার ফলে মৃত্যুর আশংকা করতে থাকি। আমার সেবা-শুশ্রুষা করার জন্যে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার কাছে আগমন করেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ) আমার রয়েছে অগাধ সম্পদ। আমার এক কন্যা ব্যতীত অন্য কোন ওয়ারিস নেই, আমি কি আমার সমুদয় সম্পদ সদকা করে দিতে পারি? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, 'না, আমি বললাম, তাহলে আমি কি আমার সম্পদের তিনের দু-অংশ সদকা করতে পারি? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, 'না, আমি বললাম, তাহলে আমি কি আমার সম্পদের অর্ধেক সদকা করতে পারি? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, 'না', তখন আমি বললাম, তাহলে আমি কি আমার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ সদকা করতে পারি? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, হ্যা, এক-তৃতীয়াংশ, আর এক-তৃতীয়াংশই অনেক।
كِتَابُ الْوَصَايَا بَابُ مَا يَجُوزُ فِيهِ الْوَصَايَا مِنَ الْأَمْوَالِ , وَمَا يَفْعَلُهُ الْمَرِيضُ فِي مَرَضِهِ الَّذِي يَمُوتُ فِيهِ , مِنَ الْهِبَاتِ , وَالصَّدَقَاتِ , وَالْعَتَاقِ
7411 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: مَرِضْتُ عَامَ الْفَتْحِ , مَرَضًا أَشْفَيْتُ مِنْهُ عَلَى الْمَوْتِ. فَأَتَانِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودنِي , فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ , إِنَّ لِي مَالًا كَثِيرًا , وَلَيْسَ يَرِثُنِي إِلَّا ابْنَتِي أَفَأَتَصَدَّقُ بِمَالِي كُلِّهِ؟ قَالَ: «لَا» . قَالَ: أَفَأَتَصَدَّقُ بِثُلُثَيْ مَالِي؟ قَالَ: «لَا» قَالَ: فَالشَّطْرِ؟ قَالَ: «لَا» قَالَ: فَالثُّلُثِ؟ قَالَ: «وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৪১২
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪১৩
যে পরিমাণে সম্পদ অসীয়ত করা বৈধ। রুগ্ন ব্যক্তি মৃত্যু শয্যায় হেবা, সদকা ও দাস মুক্তি ইত্যাদি যা কিছু সম্পন্ন করে
৭৪১২-১৩। ফাহদ ইবন সুলায়মান (রাহঃ) মুসআব ইবন সা'দ (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি তার পিতা সা'দ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার সেবা ও শুশ্রুষা করতে আমার নিকট আগমন করেন। আমি বললাম, আমি কি আমার সমুদয় সম্পদ অসীয়ত করতে পারি? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, না। আমি বললাম, তাহলে কি আমার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ অসীয়ত করব? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, 'হ্যা এবং এক-তৃতীয়াংশই প্রচুর।
ফাহদ (রাহঃ) সা'দ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। অতঃপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা উল্লেখ করেন।
আবু জাফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেন, মানুষ কি তার সমুদয় সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ সদকা বা অসীয়ত করতে পারে, না তার জন্যে এর চেয়ে কম অসীয়ত করা উচিত? এ সম্পর্কে উলামায়ে কিরামের মতভেদ রয়েছে। রুগ্ন ব্যক্তির জন্যে তার সম্পূর্ণ মালের এক-তৃতীয়াংশ যার জন্যে অসীয়ত করা বৈধ, তাদের জন্যে অসীয়ত করতে পারে। এ ব্যাপারে তারা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কর্তৃক অধিক পরিমাণ সদকা করা হতে নিষেধ করার পর সা'দ (রাযিঃ)-কে তার সম্পদ থেকে এক-তৃতীয়াংশ অসীয়ত করার জন্যে অনুমতি প্রদানকে দলীল হিসেবে পেশ করেন। এ প্রসঙ্গে আমি উপরে তিনটি হাদীস উল্লেখ করেছি।
ফাহদ (রাহঃ) সা'দ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। অতঃপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা উল্লেখ করেন।
আবু জাফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেন, মানুষ কি তার সমুদয় সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ সদকা বা অসীয়ত করতে পারে, না তার জন্যে এর চেয়ে কম অসীয়ত করা উচিত? এ সম্পর্কে উলামায়ে কিরামের মতভেদ রয়েছে। রুগ্ন ব্যক্তির জন্যে তার সম্পূর্ণ মালের এক-তৃতীয়াংশ যার জন্যে অসীয়ত করা বৈধ, তাদের জন্যে অসীয়ত করতে পারে। এ ব্যাপারে তারা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কর্তৃক অধিক পরিমাণ সদকা করা হতে নিষেধ করার পর সা'দ (রাযিঃ)-কে তার সম্পদ থেকে এক-তৃতীয়াংশ অসীয়ত করার জন্যে অনুমতি প্রদানকে দলীল হিসেবে পেশ করেন। এ প্রসঙ্গে আমি উপরে তিনটি হাদীস উল্লেখ করেছি।
7412 - حَدَّثَنَا فَهْدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ: ثنا الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: عَادَنِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ , أُوصِي بِمَالِي كُلِّهِ؟ قَالَ: «لَا» قُلْتُ: فَالنِّصْفِ؟ قَالَ «لَا» قُلْتُ: فَالثُّلُثِ؟ قَالَ: «نَعَمْ , وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ»
7413 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرٍ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ فَضْلٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: قَالَ سَعْدٌ , ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَهُ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَتَكَلَّمَ النَّاسُ فِي الرَّجُلِ , هَلْ يَسَعُهُ أَنْ يُوصِيَ بِثُلُثِ مَالِهِ , أَوْ يَنْبَغِي أَنْ يَقْصُرَ عَنْ ذَلِكَ؟ فَقَالَ قَوْمٌ: لَهُ أَنْ يُوصِيَ بِثُلُثِ مَالِهِ كَامِلًا , فِيمَا أَحَبَّ , بِمَا يَجُوزُ فِيهِ الْوَصَايَا. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِإِبَاحَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِسَعْدٍ , أَنْ يُوصِيَ بِثُلُثِ مَالِهِ , بَعْدَ مَنْعِهِ أَنْ يُوصِيَ بِمَا هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ , عَلَى مَا ذَكَرْنَا فِي هَذِهِ الْآثَارِ.
7413 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرٍ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ فَضْلٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: قَالَ سَعْدٌ , ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَهُ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَتَكَلَّمَ النَّاسُ فِي الرَّجُلِ , هَلْ يَسَعُهُ أَنْ يُوصِيَ بِثُلُثِ مَالِهِ , أَوْ يَنْبَغِي أَنْ يَقْصُرَ عَنْ ذَلِكَ؟ فَقَالَ قَوْمٌ: لَهُ أَنْ يُوصِيَ بِثُلُثِ مَالِهِ كَامِلًا , فِيمَا أَحَبَّ , بِمَا يَجُوزُ فِيهِ الْوَصَايَا. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِإِبَاحَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِسَعْدٍ , أَنْ يُوصِيَ بِثُلُثِ مَالِهِ , بَعْدَ مَنْعِهِ أَنْ يُوصِيَ بِمَا هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ , عَلَى مَا ذَكَرْنَا فِي هَذِهِ الْآثَارِ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৪১৩
empty
৭৪১৩।
7413 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪১৪
যে পরিমাণে সম্পদ অসীয়ত করা বৈধ। রুগ্ন ব্যক্তি মৃত্যু শয্যায় হেবা, সদকা ও দাস মুক্তি ইত্যাদি যা কিছু সম্পন্ন করে
৭৪১৪। ইউনুস ইবন আব্দুল আ'লা (রাহঃ) ও বাহর ইন নসর (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন 'আল্লাহ তা'আলা তােমাদের সম্পদের এক-তৃতীয়াংশকে শেষ জীবনের বাড়তি আমল হিসেবে গণ্য করেছেন।
অন্য একদল আলিম এ ব্যাপারে তাদের বিরােধিতা করে বলেন, অসীয়তকারীর উচিত তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশের কম অসীয়ত করা। কেননা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন হ্যা, এক-তৃতীয়াংশ, আর এক-তৃতীয়াংশই প্রচুর। এ সম্পর্কে মুতাকাদ্দিমীন থেকে আমাদের কাছে বর্ণনা এসেছে।
অন্য একদল আলিম এ ব্যাপারে তাদের বিরােধিতা করে বলেন, অসীয়তকারীর উচিত তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশের কম অসীয়ত করা। কেননা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন হ্যা, এক-তৃতীয়াংশ, আর এক-তৃতীয়াংশই প্রচুর। এ সম্পর্কে মুতাকাদ্দিমীন থেকে আমাদের কাছে বর্ণনা এসেছে।
7414 - وَبِمَا حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى , وَبَحْرُ بْنُ نَصْرٍ , قَالَا: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي طَلْحَةُ بْنُ عَمْرٍو الْحَضْرَمِيُّ , عَنْ عَطَاءٍ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ , جَعَلَ لَكُمْ ثُلُثَ أَمْوَالِكُمْ , آخِرَ أَعْمَارِكُمْ , زِيَادَةً فِي أَعْمَالِكُمْ» وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا يَنْبَغِي لِلْمُوصِي أَنْ يَقْصُرَ فِي وَصِيَّتِهِ عَنْ ثُلُثِ مَالِهِ ; لِقَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «الثُّلُثُ , وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ» . فَمِمَّا رُوِيَ فِي ذَلِكَ عَمَّنْ ذَهَبَ إِلَيْهِ مِنَ الْمُتَقَدِّمِينَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪১৫
যে পরিমাণে সম্পদ অসীয়ত করা বৈধ। রুগ্ন ব্যক্তি মৃত্যু শয্যায় হেবা, সদকা ও দাস মুক্তি ইত্যাদি যা কিছু সম্পন্ন করে
৭৪১৫। মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা .... উরওয়া হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবনে আব্বাস বলতেন, নবী (ﷺ) যাকে বেশী বলেছেন তা থেকে কম কর ।
7415 - مَا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ , قَالَ: ثنا حَمَّادٌ , عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ , عَنْ عُرْوَةَ قَالَ: كَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ يَقُولُ: اسْتَقْصِرُوا عَنْ قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّهُ لَكَثِيرٌ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪১৬
যে পরিমাণে সম্পদ অসীয়ত করা বৈধ। রুগ্ন ব্যক্তি মৃত্যু শয্যায় হেবা, সদকা ও দাস মুক্তি ইত্যাদি যা কিছু সম্পন্ন করে
৭৪১৬। মুহাম্মাদ ইন খুযায়মা (রাহঃ) ..... বকর ইবন আব্দুল্লাহ (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন । তিনি বলেন, আমি হুমায়দ ইবন আব্দুর রহমান আল-হিমইয়ারী (রাহঃ)-এর জন্যে অসীয়ত করলাম। তখন তিনি বলেন, আমি এমন এক লােকের অসীয়ত কবুল করব না যার রয়েছে সন্তান-সন্ততি এবং সে এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ
অসীয়ত করছে।
প্রথমপক্ষের জন্যে দ্বিতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে দলীল এই যে, সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ অসীয়ত করা যদি যুলম বা অবৈধ হতাে, তাহলে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সা'দ (রাযিঃ) এর জন্যে এটা অপসন্দ করতেন এবং তাকে অবশ্যই বলতেন যে, তুমি এক-তৃতীয়াংশ থেকে কম কর। যখন তিনি তাকে এভাবে ছেড়ে দিলেন, তাতে বুঝা গেল এটাকে তিনি মুবাহ হিসেবে অনুমতি দিয়েছেন। আর এটার দ্বারাই প্রথম পক্ষের অভিমতটি সুপ্রমাণিত হয়। এ অভিমতের প্রবক্তা ছিলেন ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)।
অতঃপর উলামায়ে কিরাম রুগ্ন ব্যক্তির হেবা ও সদকা সম্বন্ধে মতবিরােধ করেন- যদি সে ঐ রােগেই মৃত্যুমুখে পতিত হয়। অধিকাংশ আলিম, বলেন, অন্য সব অসীয়তের ন্যায় সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ থেকে হেবা ও সদকা করতে পারবে। এদের মধ্যে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) উল্লেখযােগ্য। আবার অন্য একদল আলিম বলেন, রুগ্ন ব্যক্তি তার সমুদয় সম্পদ হতে তার রুগ্ন অবস্থায় সদকা করতে পারে যেমন সুস্থ অবস্থায় করতে পারে। এ অভিমতটি মুতাকাদ্দিমীনের মধ্যে কেউ গ্রহণ করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। আমাদের এ কিতাবে পূর্বে হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছি; তিনি বলেন, আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) মদীনার উচু ভূমিতে আমাকে তাঁর সম্পদের বিশ ওসাক (১ ওসাক = এক উটের বােঝা বা = ৬০ সা ও ১ সা= সাড়ে তিন কেজি) দান করেন। যখন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন আমাকে বললেন, আমি তােমাকে মদীনার উঁচুভূমিতে আমার সম্পদের বিশ ওসাক দান করেছিলাম। যদি তুমি এগুলােকে কেটে নিতে ও বিন্যাস করতে এবং দখলে নিয়ে নিতে, তাহলে এগুলাে তােমার হয়ে যেত। এগুলাে আজকাল ওয়ারিসী সম্পদ। তােমরা আল্লাহর কিতাবের বন্টন অনুযায়ী নিজেদের মধ্যে তা বন্টন করে নাও। অতএব আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) সংবাদ দিলেন যে, যদি তার সুস্থ অবস্থায় হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) এ সম্পদ দখল করে নিতেন, তাহলে এ সম্পদে তাঁর স্বত্বাধিকার পূর্ণ হয়ে যেত কিন্তু তার রুগ্ন অবস্থায় তিনি তা দখল করতে পারছেন না ও তাঁর স্বত্বাধিকার পরিপূর্ণ হচ্ছে না। এ দখল নেয়াটাকে তিনি অবৈধ মনে করছেন যেমন তাঁকে অসীয়ত করাটা অবৈধ মনে করছেন। আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ)-এর এ কথাকে অমান্য করলেন না এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর তৎকালীন উপস্থিত সাহাবায়ে কিরাম তা অমান্য করেননি। এতে প্রমাণিত হয় যে, এ ব্যাপারে তাদের সকলের মাযহাব হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ)-এর মাযহাবের ন্যায় ছিল। উপরে আমি যাদের কথা উল্লেখ করলাম, তাদের অভিমতের জন্য যদি এ হাদীসে উল্লেখিত তথ্যই দলীল হিসেবে গণ্য হতাে এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সাহাবাগণও এ ব্যাপারে হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ)-কে প্রত্যাখ্যান না করতেন তাহলে এ হাদীসটি একটি বড় দলীল হিসেবে গণ্য হতাে। এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতেও একটি বর্ণনা পাওয়া যায়।
অসীয়ত করছে।
প্রথমপক্ষের জন্যে দ্বিতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে দলীল এই যে, সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ অসীয়ত করা যদি যুলম বা অবৈধ হতাে, তাহলে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সা'দ (রাযিঃ) এর জন্যে এটা অপসন্দ করতেন এবং তাকে অবশ্যই বলতেন যে, তুমি এক-তৃতীয়াংশ থেকে কম কর। যখন তিনি তাকে এভাবে ছেড়ে দিলেন, তাতে বুঝা গেল এটাকে তিনি মুবাহ হিসেবে অনুমতি দিয়েছেন। আর এটার দ্বারাই প্রথম পক্ষের অভিমতটি সুপ্রমাণিত হয়। এ অভিমতের প্রবক্তা ছিলেন ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)।
অতঃপর উলামায়ে কিরাম রুগ্ন ব্যক্তির হেবা ও সদকা সম্বন্ধে মতবিরােধ করেন- যদি সে ঐ রােগেই মৃত্যুমুখে পতিত হয়। অধিকাংশ আলিম, বলেন, অন্য সব অসীয়তের ন্যায় সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ থেকে হেবা ও সদকা করতে পারবে। এদের মধ্যে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) উল্লেখযােগ্য। আবার অন্য একদল আলিম বলেন, রুগ্ন ব্যক্তি তার সমুদয় সম্পদ হতে তার রুগ্ন অবস্থায় সদকা করতে পারে যেমন সুস্থ অবস্থায় করতে পারে। এ অভিমতটি মুতাকাদ্দিমীনের মধ্যে কেউ গ্রহণ করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। আমাদের এ কিতাবে পূর্বে হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছি; তিনি বলেন, আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) মদীনার উচু ভূমিতে আমাকে তাঁর সম্পদের বিশ ওসাক (১ ওসাক = এক উটের বােঝা বা = ৬০ সা ও ১ সা= সাড়ে তিন কেজি) দান করেন। যখন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন আমাকে বললেন, আমি তােমাকে মদীনার উঁচুভূমিতে আমার সম্পদের বিশ ওসাক দান করেছিলাম। যদি তুমি এগুলােকে কেটে নিতে ও বিন্যাস করতে এবং দখলে নিয়ে নিতে, তাহলে এগুলাে তােমার হয়ে যেত। এগুলাে আজকাল ওয়ারিসী সম্পদ। তােমরা আল্লাহর কিতাবের বন্টন অনুযায়ী নিজেদের মধ্যে তা বন্টন করে নাও। অতএব আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) সংবাদ দিলেন যে, যদি তার সুস্থ অবস্থায় হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) এ সম্পদ দখল করে নিতেন, তাহলে এ সম্পদে তাঁর স্বত্বাধিকার পূর্ণ হয়ে যেত কিন্তু তার রুগ্ন অবস্থায় তিনি তা দখল করতে পারছেন না ও তাঁর স্বত্বাধিকার পরিপূর্ণ হচ্ছে না। এ দখল নেয়াটাকে তিনি অবৈধ মনে করছেন যেমন তাঁকে অসীয়ত করাটা অবৈধ মনে করছেন। আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ)-এর এ কথাকে অমান্য করলেন না এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর তৎকালীন উপস্থিত সাহাবায়ে কিরাম তা অমান্য করেননি। এতে প্রমাণিত হয় যে, এ ব্যাপারে তাদের সকলের মাযহাব হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ)-এর মাযহাবের ন্যায় ছিল। উপরে আমি যাদের কথা উল্লেখ করলাম, তাদের অভিমতের জন্য যদি এ হাদীসে উল্লেখিত তথ্যই দলীল হিসেবে গণ্য হতাে এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সাহাবাগণও এ ব্যাপারে হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ)-কে প্রত্যাখ্যান না করতেন তাহলে এ হাদীসটি একটি বড় দলীল হিসেবে গণ্য হতাে। এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতেও একটি বর্ণনা পাওয়া যায়।
7416 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ، قَالَ: ثنا حَمَّادٌ، قَالَ: أنا حُمَيْدٌ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ: أَوْصَيْتُ إِلَى حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِمْيَرِيِّ قَالَ: «مَا كُنْتُ لِأَقْبَلَ وَصِيَّةَ رَجُلٍ لَهُ وَلَدٌ يُوصِي بِالثُّلُثِ» فَمِنَ الْحُجَّةِ لِأَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى , عَلَى أَهْلِ هَذِهِ الْمَقَالَةِ أَنَّ الْوَصِيَّةَ بِالثُّلُثِ , لَوْ كَانَتْ جَوْرًا إِذًا , لَأَنْكَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَلِكَ , عَلَى سَعْدٍ , وَلَقَالَ لَهُ: أَقْصِرْ عَنِ الثُّلُثِ , فَلَمَّا تَرَكَ ذَلِكَ , كَانَ قَدْ أَبَاحَهُ إِيَّاهُ. وَفِي ذَلِكَ ثُبُوتُ مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى , وَمِمَّنْ ذَهَبَ إِلَى ذَلِكَ , أَبُو حَنِيفَةَ , وَأَبُو يُوسُفَ وَمُحَمَّدٌ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. ثُمَّ تَكَلَّمَ النَّاسُ بَعْدَ هَذَا فِي هِبَاتِ الْمَرِيضِ وَصَدَقَاتِهِ , إِذَا مَاتَ فِي مَرَضِهِ ذَلِكَ. فَقَالَ قَوْمٌ , وَهُمْ أَكْثَرُ الْعُلَمَاءِ: هِيَ مِنَ الثُّلُثِ كَسَائِرِ الْوَصَايَا , وَمِمَّنْ ذَهَبَ إِلَى ذَلِكَ , أَبُو حَنِيفَةَ , وَأَبُو يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٌ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. وَقَالَتْ فِرْقَةٌ: هُوَ مِنْ جَمِيعِ الْمَالِ , كَأَفْعَالِهِ , وَهُوَ صَحِيحٌ , وَهَذَا قَوْلٌ , لَمْ نَعْلَمْ أَحَدًا مِنَ الْمُتَقَدِّمِينَ , قَالَهُ. وَقَدْ رَوَيْنَا فِيمَا تَقَدَّمَ , مِنْ كِتَابِنَا هَذَا , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّهَا قَالَتْ: " نَحَلَنِي أَبُو بَكْرٍ جِدَادَ عِشْرِينَ وَسْقًا مِنْ مَالِهِ , بِالْعَالِيَةِ. فَلَمَّا مَرِضَ , قَالَ لِي: إِنِّي كُنْتُ نَحَلْتُكَ جِدَادَ عِشْرِينَ وَسْقًا مِنْ مَالِي بِالْعَالِيَةِ , فَلَوْ كُنْتِ جَدَدْتِيهِ وَحُزْتِيهِ , كَانَ لَكَ , وَإِنَّمَا هُوَ الْيَوْمَ مَالُ وَارِثٍ , فَاقْتَسِمُوهُ بَيْنَكُمْ , عَلَى كِتَابِ اللهِ تَعَالَى. فَأَخْبَرَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهَا لَوْ قَبَضَتْ ذَلِكَ فِي الصِّحَّةِ تَمَّ لَهَا مِلْكُهُ وَأَنَّهَا لَا تَسْتَطِيعُ قَبْضَهُ فِي الْمَرَضِ قَبْضًا تَتِمُّ لَهَا بِهِ مِلْكُهُ , وَجَعَلَ ذَلِكَ غَيْرَ جَائِزٍ , كَمَا لَا تَجُوزُ الْوَصِيَّةُ لَهَا , وَلَمْ تُنْكِرْ ذَلِكَ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , وَلَا سَائِرُ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ مَذْهَبَهُمْ جَمِيعًا فِيهِ , كَانَ مِثْلَ مَذْهَبِهِ. فَلَوْ لَمْ يَكُنْ لِمَنْ ذَهَبَ إِلَى مَا ذَكَرْنَا مِنَ الْحُجَّةِ , لِقَوْلِهِمِ الَّذِي ذَهَبُوا إِلَيْهِ , إِلَّا مَا فِي هَذَا الْحَدِيثِ وَمَا تَرْكِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْإِنْكَارِ فِي ذَلِكَ عَلَى أَبِي بَكْرٍ لَكَانَ فِيهِ أَعْظَمُ الْحُجَّةِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ أَيْضًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪১৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪২২
যে পরিমাণে সম্পদ অসীয়ত করা বৈধ। রুগ্ন ব্যক্তি মৃত্যু শয্যায় হেবা, সদকা ও দাস মুক্তি ইত্যাদি যা কিছু সম্পন্ন করে
৭৪১৭-২২। সালিহ ইবন আব্দুর রহমান (রাহঃ).... ইমরান ইবন হুসাইন (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন। একদিন একব্যক্তি তার মৃত্যুর সময় তার ছয়টি গেলাম আজাদ করল । এগুলাে ব্যতীত তার অন্য কোনো সম্পদ ছিল না। তখন রাসূলাল্লাহ (ﷺ) তাদের মধ্যে লটারীর মাধ্যমে মীমাংসা করলেন এবং দুইজন গোলামকে আজাদ হয়ে গেছে বলে ঘোষণা করেন। আর চারজনকে গোলাম হিসেবে বহাল রাখেন।
আবু বাকরা (রাহঃ).... ইমরান (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
মুহাম্মাদ ইবন খুজায়মা (রাহঃ) ….. ইমরান ইবন হুসাইন (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেন।
আহমদ ইন দাউদ (রাহঃ) ......... ইমরান ইবন হুসায়ন (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
এ হাদীসগুলােতে দেখা যায় যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রুগ্ন অবস্থায় এক-তৃতীয়াংশ গোলাম আজাদকে বহাল রেখেছেন। অনুরূপভাবে হেবা ও সদকার ব্যাপারে এক-তৃতীয়াংশ দান কে তিনি বৈধ মনে করেন।
এ অভিমত সমর্থনকারীদের কেউ কেউ ইমাম যুহরী (রাহঃ) বর্ণিত হাদীসকে দলীল হিসেবে গণ্য করেন। এ হাদীসটি ইমাম যুহরী (রাহঃ) আমির ইবন সা'দ (রাহঃ) হতে এবং তিনি তার পিতা হতে বর্ণনা করেন । তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও তার রুগ্ন অবস্থায় তাকে সেবা করার জন্য তার কাছে আগমন করেন তখন তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে বলেন, আমি কি আমার সমুদয় সম্পদ সদকা করে দিতে পারি? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলে ‘না’ এভাবে তিনি এটাকে এক-তৃতীয়াংশ সম্পদে সংকুচিত করেন। এ অনুচ্ছেদের প্রথমে এ হাদীসটি আমরা উল্লেখ করেছি।
আবু জাফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেন, এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রুগ্ন অবস্থায় তার সদকাকে তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশে সংকুচিত করেছেন যেমন অসীয়তকে মৃত্যুর পর এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ থেকে বৈধ সাব্যস্ত করেছেন। এই মতের বিরােধী দলের দলীলও অনুরূপ দেখা যায়। কেননা সব ইবন সাদ (রাহঃ) এ হাদীসটি তার পিতা হতে বর্ণনা করেন। এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে তার যে প্রশ্নটি ছিল, তা ছিল মৃত্যুর পর সদকা সম্বন্ধে অসীয়ত করার বিষয়টি যা আমরা এ অনুচ্ছেদের প্রথমে বর্ণনা করেছি। তাই আমির (রাহঃ)-এর হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণ করা তাদের বিরােধী দলের মুসআব (রাহঃ)-এর হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণ করা থেকে উত্তম নয়। অতঃপর উলামায়ে কিরাম এ ব্যাপারে মতভেদ করেন যে, যদি কেউ তার মৃত্যুর সময় ছয়টি গােলাম আযাদ করে আর এগুলাে ব্যতীত তার অন্য কোন সম্পদ নেই এবং ওয়ারিসগণও এ অসীয়ত কার্যকর করতে অস্বীকার করে, তাহলে এ ব্যাপারে একদল আলিম বলেন, তাদের এক-তৃতীয়াংশ আযাদ হয়ে যাবে। আর বাকীগুলাে তাদের মূল্য আদায় করতে সচেষ্ট হবে। এ অভিমতের প্রবক্তাদের মধ্যে ইমাম আবু হানীফা ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) উল্লেখ্যযােগ্য।
অন্য একদল আলিম বলেন, তাদের এক-তৃতীয়াংশ আযাদ হয়ে যাবে আর বাকীগুলাে আযাদকারীর ওয়ারিসদের জন্য গােলাম হিসেবে বহাল থাকবে। অন্য একদল আলিম বলেন, তাদের মধ্যে লটারীর মাধ্যমে মীমাংসা করা হবে। সুতরাং তাদের মধ্য থেকে লটারীর মাধ্যমে এক-তৃতীয়াংশ নির্ধারিত হবে ও আযাদ হয়ে যাবে এবং বাকীগুলাে গােলাম থেকে যাবে। আর তারা দলীল হিসেবে ইমরান (রাযিঃ)-এর হাদীসটিকে উল্লেখ করেন যা আমরা উপরে উল্লেখ করেছি। তৃতীয় মত অবলম্বনকারীদের বিরুদ্ধে প্রথম দু'পক্ষের দলীল এই যে, ইমরানের হাদীসে যে লটারীর কথা উল্লেখ রয়েছে, তার হুকুম পরবর্তীতে রহিত হয়ে গেছে। কেননা লটারীর নিয়ম-পদ্ধতি ইসলামের প্রাথমিক যুগে প্রচলিত ছিল। বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে তা ব্যবহার করা হতাে এবং সেই অনুযায়ী হুকুম দেয়া হতাে। আর সে বস্তুটি হুবহু নির্ধারণ করার জন্যে লটারী ব্যবহার করা হতাে। উদাহণস্বরূপ বলা যায় যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যুগে ইয়ামানে হযরত আলী ইবন আবু তালিব (রাযিঃ) লটারীর মাধ্যমে হুকুম জারী করেছিলেন।
আবু বাকরা (রাহঃ).... ইমরান (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
মুহাম্মাদ ইবন খুজায়মা (রাহঃ) ….. ইমরান ইবন হুসাইন (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেন।
আহমদ ইন দাউদ (রাহঃ) ......... ইমরান ইবন হুসায়ন (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
এ হাদীসগুলােতে দেখা যায় যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রুগ্ন অবস্থায় এক-তৃতীয়াংশ গোলাম আজাদকে বহাল রেখেছেন। অনুরূপভাবে হেবা ও সদকার ব্যাপারে এক-তৃতীয়াংশ দান কে তিনি বৈধ মনে করেন।
এ অভিমত সমর্থনকারীদের কেউ কেউ ইমাম যুহরী (রাহঃ) বর্ণিত হাদীসকে দলীল হিসেবে গণ্য করেন। এ হাদীসটি ইমাম যুহরী (রাহঃ) আমির ইবন সা'দ (রাহঃ) হতে এবং তিনি তার পিতা হতে বর্ণনা করেন । তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও তার রুগ্ন অবস্থায় তাকে সেবা করার জন্য তার কাছে আগমন করেন তখন তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে বলেন, আমি কি আমার সমুদয় সম্পদ সদকা করে দিতে পারি? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলে ‘না’ এভাবে তিনি এটাকে এক-তৃতীয়াংশ সম্পদে সংকুচিত করেন। এ অনুচ্ছেদের প্রথমে এ হাদীসটি আমরা উল্লেখ করেছি।
আবু জাফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেন, এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রুগ্ন অবস্থায় তার সদকাকে তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশে সংকুচিত করেছেন যেমন অসীয়তকে মৃত্যুর পর এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ থেকে বৈধ সাব্যস্ত করেছেন। এই মতের বিরােধী দলের দলীলও অনুরূপ দেখা যায়। কেননা সব ইবন সাদ (রাহঃ) এ হাদীসটি তার পিতা হতে বর্ণনা করেন। এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে তার যে প্রশ্নটি ছিল, তা ছিল মৃত্যুর পর সদকা সম্বন্ধে অসীয়ত করার বিষয়টি যা আমরা এ অনুচ্ছেদের প্রথমে বর্ণনা করেছি। তাই আমির (রাহঃ)-এর হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণ করা তাদের বিরােধী দলের মুসআব (রাহঃ)-এর হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণ করা থেকে উত্তম নয়। অতঃপর উলামায়ে কিরাম এ ব্যাপারে মতভেদ করেন যে, যদি কেউ তার মৃত্যুর সময় ছয়টি গােলাম আযাদ করে আর এগুলাে ব্যতীত তার অন্য কোন সম্পদ নেই এবং ওয়ারিসগণও এ অসীয়ত কার্যকর করতে অস্বীকার করে, তাহলে এ ব্যাপারে একদল আলিম বলেন, তাদের এক-তৃতীয়াংশ আযাদ হয়ে যাবে। আর বাকীগুলাে তাদের মূল্য আদায় করতে সচেষ্ট হবে। এ অভিমতের প্রবক্তাদের মধ্যে ইমাম আবু হানীফা ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) উল্লেখ্যযােগ্য।
অন্য একদল আলিম বলেন, তাদের এক-তৃতীয়াংশ আযাদ হয়ে যাবে আর বাকীগুলাে আযাদকারীর ওয়ারিসদের জন্য গােলাম হিসেবে বহাল থাকবে। অন্য একদল আলিম বলেন, তাদের মধ্যে লটারীর মাধ্যমে মীমাংসা করা হবে। সুতরাং তাদের মধ্য থেকে লটারীর মাধ্যমে এক-তৃতীয়াংশ নির্ধারিত হবে ও আযাদ হয়ে যাবে এবং বাকীগুলাে গােলাম থেকে যাবে। আর তারা দলীল হিসেবে ইমরান (রাযিঃ)-এর হাদীসটিকে উল্লেখ করেন যা আমরা উপরে উল্লেখ করেছি। তৃতীয় মত অবলম্বনকারীদের বিরুদ্ধে প্রথম দু'পক্ষের দলীল এই যে, ইমরানের হাদীসে যে লটারীর কথা উল্লেখ রয়েছে, তার হুকুম পরবর্তীতে রহিত হয়ে গেছে। কেননা লটারীর নিয়ম-পদ্ধতি ইসলামের প্রাথমিক যুগে প্রচলিত ছিল। বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে তা ব্যবহার করা হতাে এবং সেই অনুযায়ী হুকুম দেয়া হতাে। আর সে বস্তুটি হুবহু নির্ধারণ করার জন্যে লটারী ব্যবহার করা হতাে। উদাহণস্বরূপ বলা যায় যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যুগে ইয়ামানে হযরত আলী ইবন আবু তালিব (রাযিঃ) লটারীর মাধ্যমে হুকুম জারী করেছিলেন।
22 - 7417 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ , قَالَ: ثنا مَنْصُورُ بْنُ زَاذَانَ , عَنِ الْحَسَنِ , عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ «أَنَّ رَجُلًا , أَعْتَقَ سِتَّةَ أَعْبُدٍ لَهُ عِنْدَ الْمَوْتِ. لَا مَالَ لَهُ غَيْرُهُمْ. فَأَقْرَعَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَهُمْ , فَأَعْتَقَ اثْنَيْنِ , وَأَرَقَّ أَرْبَعَةً»
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عِمْرَانَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ، قَالَ: ثنا حَمَّادٌ، قَالَ: ثنا عَطَاءٌ الْخُرَاسَانِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ،
وَأَيُّوبُ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ،
وَقَتَادَةُ , وَحُمَيْدٌ , وَسِمَاكُ بْنُ حَرْبٍ , عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ، قَالَ: ثنا مُسَدَّدٌ، وَسُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَا: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ، عَنْ عِمْرَانَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ فَهَذَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ جَعَلَ الْعَتَاقَ فِي الْمَرَضِ , مِنَ الثُّلُثِ , فَكَذَلِكَ الْهِبَاتُ وَالصَّدَقَاتُ. وَقَدِ احْتَجَّ بَعْضُ مَنْ ذَهَبَ إِلَى هَذِهِ الْمَقَالَةِ أَيْضًا بِحَدِيثِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ , عَنْ أَبِيهِ , أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَادَهُ فِي مَرَضِهِ فَقَالَ: أَتَصَدَّقُ بِمَالِي كُلِّهِ؟ فَقَالَ «لَا» ، حَتَّى رَدَّهُ إِلَى الثُّلُثِ , عَلَى مَا قَدْ ذَكَرْنَا فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ. قَالَ: فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّهُ قَدْ جَعَلَ صَدَقَتَهُ فِي مَرَضِهِ مِنَ الثُّلُثِ , كَوَصَايَاهُ مِنَ الثُّلُثِ , مِنْ بَعْدِ مَوْتِهِ. وَيَدْخُلُ لِمُخَالِفِهِ عَلَيْهِ , أَنَّ مُصْعَبَ بْنَ سَعْدٍ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ , عَنْ أَبِيهِ أَنَّ سُؤَالَهُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ , إِنَّمَا كَانَ عَلَى الْوَصِيَّةِ بِالصَّدَقَةِ بَعْدَ الْمَوْتِ , عَلَى مَا ذَكَرْنَا عَنْهُ , فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ. فَلَيْسَ مَا احْتَجَّ هُوَ بِهِ , مِنْ حَدِيثِ عَامِرٍ , بِأَوْلَى مِمَّا احْتَجَّ بِهِ عَلَيْهِ مُخَالِفُهُ , مِنْ حَدِيثِ مُصْعَبٍ. ثُمَّ تَكَلَّمَ النَّاسُ بَعْدَ هَذَا , فِيمَنْ أَعْتَقَ سِتَّةَ أَعْبُدٍ لَهُ عِنْدَ مَوْتِهِ , لَا مَالَ لَهُ غَيْرُهُمْ , فَأَبَى الْوَرَثَةُ أَنْ يُجِيزُوا. فَقَالَ قَوْمٌ , يُعْتَقُ مِنْهُمْ ثُلُثُهُمْ , وَيَسْعَوْنَ فِيمَا بَقِيَ مِنْ قِيمَتِهِمْ , وَمِمَّنْ قَالَ ذَلِكَ , أَبُو حَنِيفَةَ , وَأَبُو يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٌ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. وَقَالَ آخَرُونَ: يَعْتِقُ مِنْهُمْ ثُلُثُهُمْ , وَيَكُونُ مَا بَقِيَ مِنْهُمْ , رَقِيقًا لِوَرَثَةِ الْمُعْتِقِ. وَقَالَ آخَرُونَ: يُقْرَعُ بَيْنَهُمْ , فَيُعْتَقُ مِنْهُمْ مَنْ قُرِعَ مِنَ الثُّلُثِ , وَرُقَّ مَنْ بَقِيَ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِمَا ذَكَرْنَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَدِيثِ عِمْرَانَ. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لِأَهْلِ الْمَقَالَتَيْنِ الْأُولَيَيْنِ عَلَى أَهْلِ هَذِهِ الْمَقَالَةِ أَنَّ مَا ذَكَرُوا مِنَ الْقُرْعَةِ الْمَذْكُورَةِ فِي حَدِيثِ [ص:382] عِمْرَانَ , مَنْسُوخٌ لِأَنَّ الْقُرْعَةَ قَدْ كَانَتْ فِي بَدْءِ الْإِسْلَامِ , لَا تُسْتَعْمَلُ فِي أَشْيَاءَ , فَحُكِمَ بِهَا فِيهَا , وَيُجْعَلُ مَا قُرِعَ مِنْهَا وَهُوَ الشَّيْءُ الَّذِي كَانَتِ الْقُرْعَةُ مِنْ أَجْلِهِ بِعَيْنِهِ. مِنْ ذَلِكَ , مَا كَانَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ حَكَمَ بِهِ , فِي زَمَنِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْيَمَنِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عِمْرَانَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ، قَالَ: ثنا حَمَّادٌ، قَالَ: ثنا عَطَاءٌ الْخُرَاسَانِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ،
وَأَيُّوبُ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ،
وَقَتَادَةُ , وَحُمَيْدٌ , وَسِمَاكُ بْنُ حَرْبٍ , عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ، قَالَ: ثنا مُسَدَّدٌ، وَسُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَا: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ، عَنْ عِمْرَانَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ فَهَذَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ جَعَلَ الْعَتَاقَ فِي الْمَرَضِ , مِنَ الثُّلُثِ , فَكَذَلِكَ الْهِبَاتُ وَالصَّدَقَاتُ. وَقَدِ احْتَجَّ بَعْضُ مَنْ ذَهَبَ إِلَى هَذِهِ الْمَقَالَةِ أَيْضًا بِحَدِيثِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ , عَنْ أَبِيهِ , أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَادَهُ فِي مَرَضِهِ فَقَالَ: أَتَصَدَّقُ بِمَالِي كُلِّهِ؟ فَقَالَ «لَا» ، حَتَّى رَدَّهُ إِلَى الثُّلُثِ , عَلَى مَا قَدْ ذَكَرْنَا فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ. قَالَ: فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّهُ قَدْ جَعَلَ صَدَقَتَهُ فِي مَرَضِهِ مِنَ الثُّلُثِ , كَوَصَايَاهُ مِنَ الثُّلُثِ , مِنْ بَعْدِ مَوْتِهِ. وَيَدْخُلُ لِمُخَالِفِهِ عَلَيْهِ , أَنَّ مُصْعَبَ بْنَ سَعْدٍ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ , عَنْ أَبِيهِ أَنَّ سُؤَالَهُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ , إِنَّمَا كَانَ عَلَى الْوَصِيَّةِ بِالصَّدَقَةِ بَعْدَ الْمَوْتِ , عَلَى مَا ذَكَرْنَا عَنْهُ , فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ. فَلَيْسَ مَا احْتَجَّ هُوَ بِهِ , مِنْ حَدِيثِ عَامِرٍ , بِأَوْلَى مِمَّا احْتَجَّ بِهِ عَلَيْهِ مُخَالِفُهُ , مِنْ حَدِيثِ مُصْعَبٍ. ثُمَّ تَكَلَّمَ النَّاسُ بَعْدَ هَذَا , فِيمَنْ أَعْتَقَ سِتَّةَ أَعْبُدٍ لَهُ عِنْدَ مَوْتِهِ , لَا مَالَ لَهُ غَيْرُهُمْ , فَأَبَى الْوَرَثَةُ أَنْ يُجِيزُوا. فَقَالَ قَوْمٌ , يُعْتَقُ مِنْهُمْ ثُلُثُهُمْ , وَيَسْعَوْنَ فِيمَا بَقِيَ مِنْ قِيمَتِهِمْ , وَمِمَّنْ قَالَ ذَلِكَ , أَبُو حَنِيفَةَ , وَأَبُو يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٌ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. وَقَالَ آخَرُونَ: يَعْتِقُ مِنْهُمْ ثُلُثُهُمْ , وَيَكُونُ مَا بَقِيَ مِنْهُمْ , رَقِيقًا لِوَرَثَةِ الْمُعْتِقِ. وَقَالَ آخَرُونَ: يُقْرَعُ بَيْنَهُمْ , فَيُعْتَقُ مِنْهُمْ مَنْ قُرِعَ مِنَ الثُّلُثِ , وَرُقَّ مَنْ بَقِيَ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِمَا ذَكَرْنَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَدِيثِ عِمْرَانَ. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لِأَهْلِ الْمَقَالَتَيْنِ الْأُولَيَيْنِ عَلَى أَهْلِ هَذِهِ الْمَقَالَةِ أَنَّ مَا ذَكَرُوا مِنَ الْقُرْعَةِ الْمَذْكُورَةِ فِي حَدِيثِ [ص:382] عِمْرَانَ , مَنْسُوخٌ لِأَنَّ الْقُرْعَةَ قَدْ كَانَتْ فِي بَدْءِ الْإِسْلَامِ , لَا تُسْتَعْمَلُ فِي أَشْيَاءَ , فَحُكِمَ بِهَا فِيهَا , وَيُجْعَلُ مَا قُرِعَ مِنْهَا وَهُوَ الشَّيْءُ الَّذِي كَانَتِ الْقُرْعَةُ مِنْ أَجْلِهِ بِعَيْنِهِ. مِنْ ذَلِكَ , مَا كَانَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ حَكَمَ بِهِ , فِي زَمَنِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْيَمَنِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪১৮
empty
৭৪১৮।
7418 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪১৯
empty
৭৪১৯।
7419 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪২০
empty
৭৪২০।
7420 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪২১
empty
৭৪২১।
7421 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪২২
empty
৭৪২২।
7422 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪২৩
যে পরিমাণে সম্পদ অসীয়ত করা বৈধ। রুগ্ন ব্যক্তি মৃত্যু শয্যায় হেবা, সদকা ও দাস মুক্তি ইত্যাদি যা কিছু সম্পন্ন করে
৭৪২৩। ইসমাঈল ইবন ইসহাক আল-কূফী (রাহঃ), যায়দ ইবন আরকাম (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। এমন সময় ইয়ামান থেকে এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর কাছে আগমন করেন। তখন আলী (রাযিঃ) ইয়ামানের শাসক ছিলেন। লােকটি বললেন,
হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ) ! একটি সন্তান নিয়ে বিবাদমান তিন ব্যক্তি একদা হযরত আলী (রাযিঃ)-এর কাছে উপস্থিত হলেন। তারা তিনজনে একই ‘তুহরে' একটি স্ত্রীলােকের সাথে সহবাস করেছিল। আলী (রাযিঃ) লটারীর মাধ্যমে তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেন। তাদের একজনের নামে লটারী উঠৈ এবং তার কাছেই সন্তানটিকে অর্পণ করা হয়। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এত স্পষ্টভাবে হাসি দেন যে, তাঁর মাড়ির শেষভাগের দাঁতগুলাে দেখা গিয়েছিল।
এ হাদীসে দেখা যায় যে, সন্তানটির ব্যাপারে তিনজনের বিবাদীকে লটারীর মাধ্যমে যে আলী (রাযিঃ) মীমাংসা করেন তাতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আলী (রাযিঃ)-এর উপর অসন্তুষ্ট হননি। আর এতে বুঝা যায় যে, ঐ সময়কার মীমাংসা ছিল এরূপ। অতঃপর আমাদের মতে ও আমাদের প্রতিপক্ষের মতে এরূপ মীসাংসার পদ্ধতি রহিত হয়ে যায়।
باب القافة من حكم علي অনুচ্ছেদে : হযরত আলী (রাযিঃ)-এর হুকুমের শেষাংশে এ বর্ণনা করেছি যে, এ ধরনের হুকুম রহিত হয়ে গিয়েছে। সন্তানটিকে দাবিদারদের মধ্যে ন্যস্ত করা হয়েছে, সে তাদেরও ওয়ারিস হবে এবং তারাও তার ওয়ারিশ হবে। এ হাদীসে আরাে বুঝা যায় যে, এটা ছিল প্রতিটি ক্ষেত্রে আলী (রাযিঃ)-এর হুকুম । যেমন তিনি কতিপয় লােকের বংশের দাবি ও প্রত্যেকের জন্য অসীয়তকৃত সম্পদের মীমাংসা করেন।
কিংবা মৃত্যু শয্যায় শায়িত অবস্থায় যে সব গােলাম আযাদ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে লটারীর মাধ্যমে মীমাংসা করা হয়। তাদের মধ্যে যাদের নাম লটারীতে উঠে, তাদেরকে আযাদ গণ্য করা হয়। আর অসীয়ত ও গোলাম আযাদের মাধ্যমে যে সম্পদ আদায় ওয়াজিব হতাে, তাও লটারীর মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। অতঃপর সুদ রহিত হওয়ার সাথে সাথে লটারীর পদ্ধতিও রহিত হয়ে যায় এবং বস্তুসমূহের নির্ধারিত পরিমাণের উপর গুরুত্ব আরােপ করা হয়; আর তাতে রয়েছে ন্যায্য ও সঠিক কার্য সম্পাদন। তার মধ্যে কোন অতিরিক্ত নেই কিংবা কোন ঘাটতি নেই । অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) লটারীর মাধ্যমে মৃত্যুশয্যায় শায়িত অবস্থায় আযাদকৃত গােলামকে যে নির্ধারণ করেছেন এবং অসীয়তকৃত সমুদয় সম্পদের এক-তৃতীয়াংশের অন্তর্ভুক্ত করেছেন, তা দুইটি ক্রিয়ার যে কোন একটির সাথে সম্পৃক্ত হবে। এটা এমন একটি দলীল যা রুগ্ন ব্যক্তির সমগ্র কর্মকাণ্ড যথা আযাদ করা, হেবা করা ও সদকা করাকে শামিল করবে কিংবা এটা রুগ্নব্যক্তির আযাদ করার সাথে সম্পৃক্ত হবে অন্য সব কর্মকাণ্ড, যথা হেবা ও সদকাকে অন্তর্ভুক্ত করবে না। যদি আযাদ করার সাথেই শুধুমাত্র সম্পৃক্ত হয় অন্যটার সাথে না হয়,
তাহলে এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আযাদ করার ক্ষেত্রে এক-তৃতীয়াংশ সম্পদের কথা বলেছেন, তা হেবা ও সদকার ক্ষেত্রে দলীল হিসেবে গণ্য হওয়া উচিত হবে না। অথচ ব্যাপারটিও এরূপই। সুতরাং যারা অসীয়তকে সমুদয় সম্পদ থেকে মনে করেন, তাদের অভিমতই প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। কেননা গবেষণায় এটাই সাক্ষ্য বহন করে, যদিও এ ব্যাপারে অন্ধ অনুকরণ ছাড়া কোন প্রকার বিরােধিতা অনুভূত নয়। আর এ অনুচ্ছেদে এ হাদীস ব্যতীত অন্য কিছুই বর্ণিত নেই। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আযাদ করাকে এক-তৃতীয়াংশ সম্পদে সীমিত করাকে যদি আমাদের জন্য এ বিষয়ে দলীল করে থাকেন যে, রুগ্ন ব্যক্তির হেবা এবং সদকাও অনুরূপভাবে এক-তৃতীয়াংশের সাথে সম্পৃক্ত, তাহলে এটা এ বিষয়েও আমাদের জন্য দলীল হবে যে, লটারী প্রতিটি কাজে চালু ছিল এবং তার দ্বারা সমস্যার সমাধান করা হতাে। তাই আমাদের কাছে ও আমাদের প্রতিপক্ষের কাছে হেবা ও সদকার ক্ষেত্রে এটার ব্যবহার বর্জন প্রমাণ করে যে, আযাদ করার ক্ষেত্রেও এটার ব্যবহার বর্জিত। সুতরাং এর মাধ্যমে যারা লটারীর অভিমত পেশ করছে তাদের অভিমত বাতিল এবং শেষােক্ত দুটি অভিমতের যে কোন একটি অভিমত
প্রমাণিত হয়ে গেল। যারা লটারীকে বৈধ সাব্যস্ত করেন তারা বলেন, লটারী কিভাবে রহিত হতে পারে, অথচ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এটা ব্যবহার করতেন এবং তার পরে মুসলমানগণ বিনা দ্বিধায় তার উপর আমল করেছেন। তারা উল্লেখ করেন :
হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ) ! একটি সন্তান নিয়ে বিবাদমান তিন ব্যক্তি একদা হযরত আলী (রাযিঃ)-এর কাছে উপস্থিত হলেন। তারা তিনজনে একই ‘তুহরে' একটি স্ত্রীলােকের সাথে সহবাস করেছিল। আলী (রাযিঃ) লটারীর মাধ্যমে তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেন। তাদের একজনের নামে লটারী উঠৈ এবং তার কাছেই সন্তানটিকে অর্পণ করা হয়। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এত স্পষ্টভাবে হাসি দেন যে, তাঁর মাড়ির শেষভাগের দাঁতগুলাে দেখা গিয়েছিল।
এ হাদীসে দেখা যায় যে, সন্তানটির ব্যাপারে তিনজনের বিবাদীকে লটারীর মাধ্যমে যে আলী (রাযিঃ) মীমাংসা করেন তাতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আলী (রাযিঃ)-এর উপর অসন্তুষ্ট হননি। আর এতে বুঝা যায় যে, ঐ সময়কার মীমাংসা ছিল এরূপ। অতঃপর আমাদের মতে ও আমাদের প্রতিপক্ষের মতে এরূপ মীসাংসার পদ্ধতি রহিত হয়ে যায়।
باب القافة من حكم علي অনুচ্ছেদে : হযরত আলী (রাযিঃ)-এর হুকুমের শেষাংশে এ বর্ণনা করেছি যে, এ ধরনের হুকুম রহিত হয়ে গিয়েছে। সন্তানটিকে দাবিদারদের মধ্যে ন্যস্ত করা হয়েছে, সে তাদেরও ওয়ারিস হবে এবং তারাও তার ওয়ারিশ হবে। এ হাদীসে আরাে বুঝা যায় যে, এটা ছিল প্রতিটি ক্ষেত্রে আলী (রাযিঃ)-এর হুকুম । যেমন তিনি কতিপয় লােকের বংশের দাবি ও প্রত্যেকের জন্য অসীয়তকৃত সম্পদের মীমাংসা করেন।
কিংবা মৃত্যু শয্যায় শায়িত অবস্থায় যে সব গােলাম আযাদ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে লটারীর মাধ্যমে মীমাংসা করা হয়। তাদের মধ্যে যাদের নাম লটারীতে উঠে, তাদেরকে আযাদ গণ্য করা হয়। আর অসীয়ত ও গোলাম আযাদের মাধ্যমে যে সম্পদ আদায় ওয়াজিব হতাে, তাও লটারীর মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। অতঃপর সুদ রহিত হওয়ার সাথে সাথে লটারীর পদ্ধতিও রহিত হয়ে যায় এবং বস্তুসমূহের নির্ধারিত পরিমাণের উপর গুরুত্ব আরােপ করা হয়; আর তাতে রয়েছে ন্যায্য ও সঠিক কার্য সম্পাদন। তার মধ্যে কোন অতিরিক্ত নেই কিংবা কোন ঘাটতি নেই । অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) লটারীর মাধ্যমে মৃত্যুশয্যায় শায়িত অবস্থায় আযাদকৃত গােলামকে যে নির্ধারণ করেছেন এবং অসীয়তকৃত সমুদয় সম্পদের এক-তৃতীয়াংশের অন্তর্ভুক্ত করেছেন, তা দুইটি ক্রিয়ার যে কোন একটির সাথে সম্পৃক্ত হবে। এটা এমন একটি দলীল যা রুগ্ন ব্যক্তির সমগ্র কর্মকাণ্ড যথা আযাদ করা, হেবা করা ও সদকা করাকে শামিল করবে কিংবা এটা রুগ্নব্যক্তির আযাদ করার সাথে সম্পৃক্ত হবে অন্য সব কর্মকাণ্ড, যথা হেবা ও সদকাকে অন্তর্ভুক্ত করবে না। যদি আযাদ করার সাথেই শুধুমাত্র সম্পৃক্ত হয় অন্যটার সাথে না হয়,
তাহলে এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আযাদ করার ক্ষেত্রে এক-তৃতীয়াংশ সম্পদের কথা বলেছেন, তা হেবা ও সদকার ক্ষেত্রে দলীল হিসেবে গণ্য হওয়া উচিত হবে না। অথচ ব্যাপারটিও এরূপই। সুতরাং যারা অসীয়তকে সমুদয় সম্পদ থেকে মনে করেন, তাদের অভিমতই প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। কেননা গবেষণায় এটাই সাক্ষ্য বহন করে, যদিও এ ব্যাপারে অন্ধ অনুকরণ ছাড়া কোন প্রকার বিরােধিতা অনুভূত নয়। আর এ অনুচ্ছেদে এ হাদীস ব্যতীত অন্য কিছুই বর্ণিত নেই। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আযাদ করাকে এক-তৃতীয়াংশ সম্পদে সীমিত করাকে যদি আমাদের জন্য এ বিষয়ে দলীল করে থাকেন যে, রুগ্ন ব্যক্তির হেবা এবং সদকাও অনুরূপভাবে এক-তৃতীয়াংশের সাথে সম্পৃক্ত, তাহলে এটা এ বিষয়েও আমাদের জন্য দলীল হবে যে, লটারী প্রতিটি কাজে চালু ছিল এবং তার দ্বারা সমস্যার সমাধান করা হতাে। তাই আমাদের কাছে ও আমাদের প্রতিপক্ষের কাছে হেবা ও সদকার ক্ষেত্রে এটার ব্যবহার বর্জন প্রমাণ করে যে, আযাদ করার ক্ষেত্রেও এটার ব্যবহার বর্জিত। সুতরাং এর মাধ্যমে যারা লটারীর অভিমত পেশ করছে তাদের অভিমত বাতিল এবং শেষােক্ত দুটি অভিমতের যে কোন একটি অভিমত
প্রমাণিত হয়ে গেল। যারা লটারীকে বৈধ সাব্যস্ত করেন তারা বলেন, লটারী কিভাবে রহিত হতে পারে, অথচ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এটা ব্যবহার করতেন এবং তার পরে মুসলমানগণ বিনা দ্বিধায় তার উপর আমল করেছেন। তারা উল্লেখ করেন :
7423 - مَا قَدْ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِسْحَاقَ الْكُوفِيُّ قَالَ: ثنا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ , أَوْ يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ , أَنَا أَشُكُّ , عَنِ الشَّعْبِيِّ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْأَجْلَحِ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْخَلِيلِ الْحَضْرَمِيِّ , عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ , قَالَ: بَيْنَا أَنَا عِنْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ أَتَاهُ رَجُلٌ مِنَ الْيَمَنِ , وَعَلِيٌّ يَوْمَئِذٍ بِهَا. فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ أَتَى عَلِيًّا ثَلَاثَةُ نَفَرٍ يَخْتَصِمُونَ فِي وَلَدٍ قَدْ وَقَعُوا عَلَى امْرَأَةٍ فِي طُهْرٍ وَاحِدٍ , فَأُقْرِعَ بَيْنَهُمْ , فَقُرِعَ أَحَدُهُمْ , فَدُفِعَ إِلَيْهِ الْوَلَدُ. فَضَحِكَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ , أَوْ قَالَ أَضْرَاسُهُ " فَهَذَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يُنْكِرْ عَلَى عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مَا حَكَمَ بِهِ فِي الْقُرْعَةِ , فِي دَعْوَى النَّفَرِ الْوَلَدَ. فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ الْحُكْمَ حِينَئِذٍ , كَانَ كَذَلِكَ , ثُمَّ نُسِخَ بَعْدُ بِاتِّفَاقِنَا , وَاتِّفَاقِ هَذَا الْمُخَالِفِ لَنَا. وَدَلَّ عَلَى نَسْخِهِ , مَا قَدْ رَوَيْنَاهُ فِي بَابِ الْقَافَةِ , مِنْ حُكْمِ عَلِيٍّ فِي مِثْلِ هَذَا بِأَنْ جَعَلَ الْوَلَدَ بَيْنَ الْمُدَّعِيَيْنِ جَمِيعًا يَرِثُهُمَا وَيَرِثَانِهِ فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ الْحُكْمَ كَانَ يَوْمَئِذٍ حُكْمَ عَلِيٍّ بِمَا حَكَمَ فِي كُلِّ شَيْءٍ مِثْلِ النَّسَبِ , الَّذِي يَدَّعِيهِ النَّفَرُ , وَالْمَالِ الَّذِي يُوصِي بِهِ النَّفَرُ , بَعْدَ أَنْ يَكُونَ , قَدْ أَوْصَى بِهِ لِكُلِّ وَاحِدٍ عَلَى حِدَةٍ , أَوِ الْعَتَاقِ الَّذِي يَعْتِقُهُ الْعَبِيدُ فِي مَرَضِ مُعْتِقِهِمْ , أَنْ يُقْرَعَ بَيْنَهُمْ , فَأَيُّهُمْ أُقْرِعَ اسْتَحَقَّ مَا ادَّعَى , وَمَا كَانَ وَجَبَ بِالْوَصِيَّةِ وَالْعَتَاقِ , ثُمَّ نُسِخَ ذَلِكَ بِنَسْخِ الرِّبَا , إِذْ رُدَّتِ الْأَشْيَاءُ إِلَى الْمَقَادِيرِ الْمَعْلُومَةِ الَّتِي فِيهَا التَّعْدِيلُ , الَّذِي لَا زِيَادَةَ فِيهِ , وَلَا نُقْصَانَ. وَبَعْدَ هَذَا , فَلَيْسَ يَخْلُو مَا حَكَمَ بِهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْعَتَاقِ فِي الْمَرَضِ , مِنَ الْقُرْعَةِ , وَجَعْلِهِ إِيَّاهُ مِنَ الثُّلُثِ , مِنْ أَحَدِ وَجْهَيْنِ. إِمَّا أَنْ يَكُونَ حُكْمًا دَلِيلًا عَلَى سَائِرِ أَفْعَالِ الْمَرِيضِ فِي مَرَضِهِ , مِنْ عَتَاقِهِ , وَهِبَاتِهِ , وَصَدَقَاتِهِ. أَوْ يَكُونَ ذَلِكَ حُكْمًا فِي عَتَاقِ الْمَرِيضِ خَاصَّةً , دُونَ سَائِرِ أَفْعَالِهِ , وَهِبَاتِهِ , وَصَدَقَاتِهِ. فَإِنْ كَانَ خَاصًّا فِي الْعَتَاقِ , دُونَ مَا سِوَاهُ , فَيَنْبَغِي أَنْ لَا يَكُونَ مَا جَعَلَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ , مِنَ الْعَتَاقِ فِي الثُّلُثِ , دَلِيلًا عَلَى الْهِبَاتِ وَالصَّدَقَاتِ أَنَّهَا كَذَلِكَ. فَثَبَتَ قَوْلُ الَّذِي يَقُولُ: إِنَّهَا مِنْ جَمِيعِ الْمَالِ , إِذْ كَانَ النَّظَرُ شَهِدَ لَهُ , وَإِنْ كَانَ هَذَا لَا يُدْرَكُ فِيهِ خِلَافُ مَا قَالَ إِلَّا بِالتَّقْلِيدِ , وَلَا شَيْءَ فِي هَذَا الْبَابِ نَقَلَهُ غَيْرُ هَذَا الْحَدِيثِ. [ص:383] وَإِنْ كَانَ قَدْ جَعَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَلِكَ الْعَتَاقَ فِي الثُّلُثِ , دَلِيلًا لَنَا عَلَى أَنَّ هِبَاتِ الْمَرِيضِ وَصَدَقَاتِهِ كَذَلِكَ. فَكَذَلِكَ هُوَ دَلِيلٌ لَنَا عَلَى أَنَّ الْقُرْعَةَ قَدْ كَانَتْ فِي ذَلِكَ كُلِّهِ , جَارِيَةٌ يُحْكَمُ بِهَا. فَفِي ارْتِفَاعِهَا عِنْدَنَا , وَعِنْدَ هَذَا الْمُخَالِفِ لَنَا , مِنَ الْهِبَاتِ وَالصَّدَقَاتِ , دَلِيلُ أَنَّ ارْتِفَاعَهَا أَيْضًا مِنَ الْعَتَاقِ. فَبَطَلَ بِذَلِكَ , قَوْلُ مَنْ ذَهَبَ إِلَى الْقُرْعَةِ , وَثَبَتَ أَحَدُ الْقَوْلَيْنِ الْآخَرَيْنِ. فَقَالَ مَنْ ذَهَبَ إِلَى تَثْبِيتِ الْقُرْعَةِ: وَكَيْفَ تَكُونُ الْقُرْعَةُ مَنْسُوخَةً , وَقَدْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعْمَلُ بِهَا , فِيمَا قَدْ أَجْمَعَ الْمُسْلِمُونَ عَلَى الْعَمَلِ بِهَا فِيهِ مِنْ بَعْدِهِ؟ فَذَكَرُوا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪২৪
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪২৯
যে পরিমাণে সম্পদ অসীয়ত করা বৈধ। রুগ্ন ব্যক্তি মৃত্যু শয্যায় হেবা, সদকা ও দাস মুক্তি ইত্যাদি যা কিছু সম্পন্ন করে
৭৪২৪-২৯। ইউনুস (রাহঃ) আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন কোন সফরে বের হতেন, স্ত্রীদের মধ্যে লটারী করতেন। লটারীর মাধ্যমে কোন একজনকে নির্বাচিত করতেন ও সফরসঙ্গী হিসেবে সাথে গ্রহণ করতেন।
ফাহদ (রাহঃ) ..... 'ইবন শিহাব (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
ফাহদ (রাহঃ), উবায়দুল্লাহ্ ইবন আব্দুল্লাহ্ ইবুন উতবা (রাহঃ) এবং ইয়াহইয়া ইব্ন আব্বাদ ইবন আব্দুল্লাহ ইবনুয যুবায়র (রাহঃ) …. আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
মুহাম্মাদ ইবন হুমায়দ (রাহঃ) আব্দুল্লাহ্ ইবন আবু বকর ইবন মুহাম্মাদ ইবন আমর ইবন হাযম (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমার খালা, আম্মারা বিনত আব্দুর রহমান (রাহঃ) হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
তারা আরাে বলেন, এটা এমন বস্তু যা এখনাে মানুষের করা উচিত, এটা রহিত নয়। সুতরাং তারা মৃত্যু শয্যায় শায়িত অবস্থায় আযাদ করার ক্ষেত্রে লটারীর যে বৈধতা অস্বীকার করেন, সেটারও একই হুকুম হবে। উত্তরে এ সম্পর্কে যথাস্থানে বিস্তারিত বর্ণনা উল্লেখ করেছি। তবে আমরা এখানে শুধু এটুকু উল্লেখ করতে চাই যা প্রমাণ করে যে, এ সম্পর্কে তােমাদের কোন দলীল নেই। কারণ মুসলমানগণ এ বিষয়ে একমত যে, কোন ব্যক্তি তার পসন্দ মুতাবিক যে কোন জায়গায় যতদূরই হােক না কেন, তার কোন একজন স্ত্রীকেও সাথে না নিয়ে সফর করতে পারে। আর বন্টনের হুকুমও সফরের কারণে রহিত হয়ে যায়। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) প্রয়ােজনকালে কোথাও সফরে বের হলে যে স্ত্রীদেরকে সঙ্গে নেয়া সম্ভব নয়, তাদের মনঃতুষ্টির জন্যে তিনি লটারীর মাধ্যমে যে কোন একজনকে নির্ধারণ করতেন। আর এ কথাও জানিয়ে দেয়ার প্রয়ােজন ছিল তিনি যাকে তাঁর সঙ্গে নিচ্ছেন তাকে সকলের চেয়ে বেশী পসন্দ করেন না। কেননা তার জন্যে এটা বৈধ ছিল যে, তিনি নিজে সফরে যাবেন আর তাদের সকলকে ঘরে রেখে যাবেন। আবার এটাও তার জন্যে বৈধ ছিল যে, তিনি সফরে বের হবেন আর যাকে ইচ্ছে তাকে সফরে নিজের সঙ্গে নিবেন। সুতরাং আমাদের উল্লেখিত তথ্য দ্বারা প্রমাণিত হচ্ছে, লটারী এমন জায়গায় ব্যবহার করা হচ্ছে যেখানে ইচ্ছে করলে তার ব্যবহার বর্জন করা যায় এবং এটা ব্যতীতও চলা যায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, বাদী-বিবাদী যদি বিচারকের কাছে হাযির হয় এবং প্রত্যেকেই তার বিপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযােগ দায়ের করে, তখন বিচারকের জন্যে উচিত হবে লটারীর মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া যে, তিনি কার বিষয়টি দিয়ে প্রথম আলােচনার শুরু করবেন। তবে তার জন্যে বৈধ হল লটারী ব্যতীত যে কোন একজনের ব্যাপারে শুনানী শুরু করা। কাজেই বিচারকের প্রতি খারাপ ধারণা দূর করার জন্যে এখানে লটারী ব্যবহার করা হয়। যেমন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তার স্ত্রীদের সম্পর্কে লটারী ব্যবহার করেছিলেন।
অনুরূপভাবে মুসলমানগণও তাদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে ইনসাফের ভিত্তিতে বন্টনের উদ্দেশ্যে লটারী ব্যবহার করেছেন। লটারী ব্যতীতও তাদের বন্টন নীতি ছিল সঠিক ও ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত। তারপরেও তারা লটারীর সাহায্য নিয়ে থাকেন যাতে ওয়ারিসদের অন্তর সুপ্রসন্ন হয় এবং যারা বন্টন থেকে বাদ পড়েছে, তাদের খারাপ ধারণা দূরীভূত হয়। পারিবারিক সদস্যদের মাঝে যদি মালামালের অংশবিশেষ নির্ধারণের জন্য মূল্য নির্দিষ্ট করার পূর্বে লটারী অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে এ বন্টননামা হবে বাতিল। সুতরাং এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, বন্টন নীতি নির্ধারণ করার পর লটারী অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আর এ লটারী অনুষ্ঠিত হয় খারাপ ধারণা দূরীভূত করার উদ্দেশ্যে, কোন হুকুম ওয়াজিব করার জন্যে নয়। তাই আমরা বলে থাকি, এ ধরনের প্রতিটি লটারীই উত্তম। আর যে লটারী দ্বারা কোন হুকুম ওয়াজিব করার মনস্থ করা হয় কিংবা পূর্ববর্তী অধিকারকে বর্জন করা হয়, তা ব্যবহারযােগ্য নয়। অতঃপর আমরা শেষােক্ত দুইটি অভিমত লক্ষ্য করলাম যে, রাসূলুল্লাহ্ গােলামটি সম্বন্ধে কি হুকুম দিয়েছেন যখন তার মালিক দুইজন। একজন তাকে তার অংশমুক্ত করে দেয়, তাহলে তার পূর্ণটাই মুক্ত হয়ে যাবে। যদি মুক্তিদাতা সচ্ছল ব্যক্তি হন তাহলে তিনি বাকী অংশ জরিমানা হিসেবে আদায় করবেন। আর যদি অসচ্ছল হন তাহলে এ সম্বন্ধে উলামায়ে কিরামের মধ্যে মতবিরােধ দেখা যায় যা আমরা العتاق (আল-ইতাক) অধ্যায়ে উল্লেখ করেছি। অতঃপর আমরা আবুল মুলায়হ আল-জামালী কর্তৃক তার পিতা হতে বর্ণিত হাদীসে দেখতে পাই; এক ব্যক্তি গােলামের মধ্যে তার অংশটি মুক্ত করে দেয়, তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, তার সম্পূর্ণটাই মুক্ত। এটার মধ্যে তার কোন অংশীদার মালিক নেই। সুতরাং রাসূলুল্লাহ যে কারণে অন্য পক্ষের অংশটুকু মুক্ত হয়ে গিয়েছে বলে সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন তাতে প্রমাণিত হয় যে, যখন কোন
গােলামের অংশবিশেষ মুক্ত হয়ে যায়, তখন এটা তার সম্পূর্ণটাতে বিস্তৃত হয়। আমরা আরাে লক্ষ্য করেছি, যখন একটি গােলামের দুইজন মালিক হয় এবং একজন তার অংশটুকু মুক্ত করে দেয় আর প্রথম শরীকের এমন সম্পদ নেই যা সে জরিমানা হিসেবে দ্বিতীয় অংশ আদায় করবে, তখন রাসূলুল্লাহ্ গােলামকে অন্য অংশ আদায় করার জন্যে চেষ্টা করতে বলেছেন। এতে প্রমাণিত হয় যে, সে গােলামের জন্য মৃত্যু শয্যার হুকুমও অনুরূপ। আবার যদি মৃত ব্যক্তির অসীয়ত এক-তৃতীয়াংশ অতিক্রম করে ও এটাকে জরিমানা হিসেবে আদায় করা অন্যের উপর অসম্ভব হয়ে পড়ে, তাহলে মৃত্যুশয্যায় শায়িত অবস্থায় কৃত অসীয়তের বাস্তবায়নের জন্যে ওয়ারিসদেরই, যদি তারা পসন্দ করে, সচেষ্ট হতে হয়। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) এর অভিমত।
ফাহদ (রাহঃ) ..... 'ইবন শিহাব (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
ফাহদ (রাহঃ), উবায়দুল্লাহ্ ইবন আব্দুল্লাহ্ ইবুন উতবা (রাহঃ) এবং ইয়াহইয়া ইব্ন আব্বাদ ইবন আব্দুল্লাহ ইবনুয যুবায়র (রাহঃ) …. আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
মুহাম্মাদ ইবন হুমায়দ (রাহঃ) আব্দুল্লাহ্ ইবন আবু বকর ইবন মুহাম্মাদ ইবন আমর ইবন হাযম (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমার খালা, আম্মারা বিনত আব্দুর রহমান (রাহঃ) হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
তারা আরাে বলেন, এটা এমন বস্তু যা এখনাে মানুষের করা উচিত, এটা রহিত নয়। সুতরাং তারা মৃত্যু শয্যায় শায়িত অবস্থায় আযাদ করার ক্ষেত্রে লটারীর যে বৈধতা অস্বীকার করেন, সেটারও একই হুকুম হবে। উত্তরে এ সম্পর্কে যথাস্থানে বিস্তারিত বর্ণনা উল্লেখ করেছি। তবে আমরা এখানে শুধু এটুকু উল্লেখ করতে চাই যা প্রমাণ করে যে, এ সম্পর্কে তােমাদের কোন দলীল নেই। কারণ মুসলমানগণ এ বিষয়ে একমত যে, কোন ব্যক্তি তার পসন্দ মুতাবিক যে কোন জায়গায় যতদূরই হােক না কেন, তার কোন একজন স্ত্রীকেও সাথে না নিয়ে সফর করতে পারে। আর বন্টনের হুকুমও সফরের কারণে রহিত হয়ে যায়। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) প্রয়ােজনকালে কোথাও সফরে বের হলে যে স্ত্রীদেরকে সঙ্গে নেয়া সম্ভব নয়, তাদের মনঃতুষ্টির জন্যে তিনি লটারীর মাধ্যমে যে কোন একজনকে নির্ধারণ করতেন। আর এ কথাও জানিয়ে দেয়ার প্রয়ােজন ছিল তিনি যাকে তাঁর সঙ্গে নিচ্ছেন তাকে সকলের চেয়ে বেশী পসন্দ করেন না। কেননা তার জন্যে এটা বৈধ ছিল যে, তিনি নিজে সফরে যাবেন আর তাদের সকলকে ঘরে রেখে যাবেন। আবার এটাও তার জন্যে বৈধ ছিল যে, তিনি সফরে বের হবেন আর যাকে ইচ্ছে তাকে সফরে নিজের সঙ্গে নিবেন। সুতরাং আমাদের উল্লেখিত তথ্য দ্বারা প্রমাণিত হচ্ছে, লটারী এমন জায়গায় ব্যবহার করা হচ্ছে যেখানে ইচ্ছে করলে তার ব্যবহার বর্জন করা যায় এবং এটা ব্যতীতও চলা যায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, বাদী-বিবাদী যদি বিচারকের কাছে হাযির হয় এবং প্রত্যেকেই তার বিপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযােগ দায়ের করে, তখন বিচারকের জন্যে উচিত হবে লটারীর মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া যে, তিনি কার বিষয়টি দিয়ে প্রথম আলােচনার শুরু করবেন। তবে তার জন্যে বৈধ হল লটারী ব্যতীত যে কোন একজনের ব্যাপারে শুনানী শুরু করা। কাজেই বিচারকের প্রতি খারাপ ধারণা দূর করার জন্যে এখানে লটারী ব্যবহার করা হয়। যেমন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তার স্ত্রীদের সম্পর্কে লটারী ব্যবহার করেছিলেন।
অনুরূপভাবে মুসলমানগণও তাদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে ইনসাফের ভিত্তিতে বন্টনের উদ্দেশ্যে লটারী ব্যবহার করেছেন। লটারী ব্যতীতও তাদের বন্টন নীতি ছিল সঠিক ও ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত। তারপরেও তারা লটারীর সাহায্য নিয়ে থাকেন যাতে ওয়ারিসদের অন্তর সুপ্রসন্ন হয় এবং যারা বন্টন থেকে বাদ পড়েছে, তাদের খারাপ ধারণা দূরীভূত হয়। পারিবারিক সদস্যদের মাঝে যদি মালামালের অংশবিশেষ নির্ধারণের জন্য মূল্য নির্দিষ্ট করার পূর্বে লটারী অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে এ বন্টননামা হবে বাতিল। সুতরাং এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, বন্টন নীতি নির্ধারণ করার পর লটারী অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আর এ লটারী অনুষ্ঠিত হয় খারাপ ধারণা দূরীভূত করার উদ্দেশ্যে, কোন হুকুম ওয়াজিব করার জন্যে নয়। তাই আমরা বলে থাকি, এ ধরনের প্রতিটি লটারীই উত্তম। আর যে লটারী দ্বারা কোন হুকুম ওয়াজিব করার মনস্থ করা হয় কিংবা পূর্ববর্তী অধিকারকে বর্জন করা হয়, তা ব্যবহারযােগ্য নয়। অতঃপর আমরা শেষােক্ত দুইটি অভিমত লক্ষ্য করলাম যে, রাসূলুল্লাহ্ গােলামটি সম্বন্ধে কি হুকুম দিয়েছেন যখন তার মালিক দুইজন। একজন তাকে তার অংশমুক্ত করে দেয়, তাহলে তার পূর্ণটাই মুক্ত হয়ে যাবে। যদি মুক্তিদাতা সচ্ছল ব্যক্তি হন তাহলে তিনি বাকী অংশ জরিমানা হিসেবে আদায় করবেন। আর যদি অসচ্ছল হন তাহলে এ সম্বন্ধে উলামায়ে কিরামের মধ্যে মতবিরােধ দেখা যায় যা আমরা العتاق (আল-ইতাক) অধ্যায়ে উল্লেখ করেছি। অতঃপর আমরা আবুল মুলায়হ আল-জামালী কর্তৃক তার পিতা হতে বর্ণিত হাদীসে দেখতে পাই; এক ব্যক্তি গােলামের মধ্যে তার অংশটি মুক্ত করে দেয়, তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, তার সম্পূর্ণটাই মুক্ত। এটার মধ্যে তার কোন অংশীদার মালিক নেই। সুতরাং রাসূলুল্লাহ যে কারণে অন্য পক্ষের অংশটুকু মুক্ত হয়ে গিয়েছে বলে সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন তাতে প্রমাণিত হয় যে, যখন কোন
গােলামের অংশবিশেষ মুক্ত হয়ে যায়, তখন এটা তার সম্পূর্ণটাতে বিস্তৃত হয়। আমরা আরাে লক্ষ্য করেছি, যখন একটি গােলামের দুইজন মালিক হয় এবং একজন তার অংশটুকু মুক্ত করে দেয় আর প্রথম শরীকের এমন সম্পদ নেই যা সে জরিমানা হিসেবে দ্বিতীয় অংশ আদায় করবে, তখন রাসূলুল্লাহ্ গােলামকে অন্য অংশ আদায় করার জন্যে চেষ্টা করতে বলেছেন। এতে প্রমাণিত হয় যে, সে গােলামের জন্য মৃত্যু শয্যার হুকুমও অনুরূপ। আবার যদি মৃত ব্যক্তির অসীয়ত এক-তৃতীয়াংশ অতিক্রম করে ও এটাকে জরিমানা হিসেবে আদায় করা অন্যের উপর অসম্ভব হয়ে পড়ে, তাহলে মৃত্যুশয্যায় শায়িত অবস্থায় কৃত অসীয়তের বাস্তবায়নের জন্যে ওয়ারিসদেরই, যদি তারা পসন্দ করে, সচেষ্ট হতে হয়। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) এর অভিমত।
29 - 7424 - مَا حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَمْرٍو عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ رَاشِدٍ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ عُرْوَةَ , وَسَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ , وَعُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُتْبَةَ , وَعَلْقَمَةُ بْنُ وَقَّاصٍ , عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَرَادَ سَفَرًا , أَقْرَعَ بَيْنَ نِسَائِهِ , فَأَيَّتُهُنَّ خَرَجَ سَهْمُهَا , خَرَجَ بِهَا مَعَهُ ".
حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو صَالِحٍ، قَالَ: ثنا اللَّيْثُ، قَالَ: حَدَّثَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ بُهْلُولٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ،
وَعَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُتْبَةَ، وَعَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ، وَسَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ وَعَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ , عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ،
وَيَحْيَى بْنُ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ , عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، مِثْلَهُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عِيسَى بْنِ تَلِيدٍ، قَالَ: ثنا الْمُفَضَّلُ بْنُ فَضَالَةَ الْقِتْبَانِيُّ، عَنْ أَبِي الطَّاهِرِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ , عَنْ عَمِّهِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، قَالَ: حَدَّثَتْنِي خَالَتِي، عَمْرَةُ بِنْتُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَائِشَةَ، مِثْلَهُ
قَالُوا: فَهَذَا مَا يَنْبَغِي لِلنَّاسِ أَنْ يَفْعَلُوهُ إِلَى الْيَوْمِ , وَلَيْسَ بِمَنْسُوخٍ , فَمَا يُنْكِرُونَ أَنَّ الْقُرْعَةَ فِي الْعَتَاقِ فِي الْمَرَضِ كَذَلِكَ. قِيلَ لَهُمْ: قَدْ ذَكَرْنَا فِي ذَلِكَ فِي مَوْضِعِهِ , مَا يُغْنِي , وَلَكِنَّا نَذْكُرُ هَاهُنَا , مَا فِيهِ أَيْضًا دَلِيلُ أَنْ لَا حُجَّةَ لَكُمْ فِي هَذَا إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى. أَجْمَعَ الْمُسْلِمُونَ أَنَّ لِلرَّجُلِ أَنْ يُسَافِرَ إِلَى حَيْثُ أَحَبَّ , وَإِنْ طَالَ سَفَرُهُ ذَلِكَ , وَلَيْسَ مَعَهُ أَحَدٌ مِنْ نِسَائِهِ , وَأَنَّ حُكْمَ الْقَسْمِ , يَرْتَفِعُ عَنْهُ بِسَفَرِهِ. فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , كَانَتْ قُرْعَةُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ نِسَائِهِ , فِي وَقْتِ احْتِيَاجِهِ إِلَى الْخُرُوجِ بِإِحْدَاهُنَّ لِتَطِيبَ نَفْسُ مَنْ لَا يَخْرُجُ بِهَا مِنْهُنَّ , وَلِيُعْلَمَ أَنَّهُ لَمْ يُحَابِ الَّتِي خَرَجَ بِهَا عَلَيْهِنَّ , لِأَنَّهُ لَمَّا كَانَ لَهُ أَنْ يَخْرُجَ وَيُخَلِّفَهُنَّ [ص:384] جَمِيعًا , كَانَ لَهُ أَنْ يَخْرُجَ وَيُخَلِّفَ مَنْ شَاءَ مِنْهُنَّ. فَثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا أَنَّ الْقُرْعَةَ إِنَّمَا تُسْتَعْمَلُ فِيمَا يَسَعُ تَرْكَهَا , وَفِيمَا لَهُ أَنْ يُمْضِيَهُ بِغَيْرِهَا. وَمِنْ ذَلِكَ , الْخَصْمَانِ يَحْضُرَانِ عِنْدَ الْحَاكِمِ , فَيَدَّعِي كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا عَلَى صَاحِبِهِ دَعْوَى. فَيَنْبَغِي لِلْقَاضِي أَنْ يُقْرِعَ بَيْنَهُمَا , فَأَيُّهُمَا أُقْرِعَ , بَدَأَ بِالنَّظَرِ فِي أَمْرِهِ , وَلَهُ أَنْ يَنْظُرَ فِي أَمْرِ مَنْ شَاءَ مِنْهُمَا بِغَيْرِ قُرْعَةٍ. فَكَانَ الْأَحْسَنُ بِهِ ; لِبُعْدِ الظَّنِّ بِهِ فِي هَذَا اسْتِعْمَالَ الْقُرْعَةِ , كَمَا اسْتَعْمَلَهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَمْرِ نِسَائِهِ. وَكَذَلِكَ عَمِلَ الْمُسْلِمُونَ فِي أَقْسَامِهِمْ بِالْقُرْعَةِ , فِيمَا قَدْ عَدَلُوهُ بَيْنَ أَهْلِهِمْ , بِمَا لَوْ أَمْضَوْهُ بَيْنَهُمْ , لَا عَنْ قُرْعَةٍ , كَانَ ذَلِكَ مُسْتَقِيمًا. فَأَقْرَعُوا بَيْنَهُمْ ; لِتَطْمَئِنَّ قُلُوبُهُمْ , وَتَرْتَفِعَ الظِّنَّةُ , عَمَّنْ تَوَلَّى لَهُمْ قِسْمَتَهُمْ. وَلَوْ أَقْرَعَ بَيْنَهُمْ , عَلَى طَوَائِفَ مِنَ الْمَتَاعِ , الَّذِي لَهُمْ , قَبْلَ أَنْ يُعَدِّلَ وَيُسَوِّيَ قِيمَتَهُ عَلَى أَمْلَاكِهِمْ مِنْهُ , كَانَ ذَلِكَ الْقَسْمُ بَاطِلًا. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ الْقُرْعَةَ إِنَّمَا فُعِلَتْ , بَعْدَ أَنْ تَقَدَّمَهَا , مَا يَجُوزُ الْقَسْمُ بِهِ , وَأَنَّهَا إِنَّمَا أُرِيدَتْ لِانْتِفَاءِ الظَّنِّ , لَا بِحُكْمٍ يَجِبُ بِهَا. فَكَذَلِكَ نَقُولُ كُلُّ قُرْعَةٍ تَكُونُ مِثْلَ هَذَا , فَهِيَ حَسَنَةٌ , وَكُلُّ قُرْعَةٍ يُرَادُ بِهَا وُجُوبُ حُكْمٍ , وَقَطْعُ حُقُوقٍ مُتَقَدِّمَةٍ , فَهِيَ غَيْرُ مُسْتَعْمَلَةٍ. ثُمَّ رَجَعْنَا إِلَى الْقَوْلَيْنِ الْآخَرَيْنِ , فَرَأَيْنَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ حَكَمَ فِي الْعَبْدِ , إِذَا كَانَ بَيْنَ اثْنَيْنِ , فَأَعْتَقَهُ أَحَدُهُمَا , فَإِنَّهُ حُرٌّ كُلُّهُ , وَيَضْمَنُ إِنْ كَانَ مُوسِرًا , أَوْ إِنْ كَانَ مُعْسِرًا. فَفِي ذَلِكَ مِنَ الِاخْتِلَافِ , مَا ذَكَرْنَاهُ فِي كِتَابِ الْعَتَاقِ
ثُمَّ وَجَدْنَا فِي حَدِيثِ أَبِي الْمَلِيحِ الْهُذَلِيِّ (94 - 4693), عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَجُلًا أَعْتَقَ شِقْصًا لَهُ , فِي مَمْلُوكٍ , فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هُوَ حُرٌّ كُلُّهُ لَيْسَ لَهُ شَرِيكٌ» فَبَيَّنَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعِلَّةَ الَّتِي لَهَا عَتَقَ نَصِيبُ صَاحِبِهِ. فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ الْعَتَاقَ مَتَى وَقَعَ فِي بَعْضِ الْعَبْدِ , انْتَشَرَ فِي كُلِّهِ. وَقَدْ رَأَيْنَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَكَمَ فِي الْعَبْدِ بَيْنَ اثْنَيْنِ , إِذَا أَعْتَقَهُ أَحَدُهُمَا , وَلَا مَالَ لَهُ , يُحْكَمُ عَلَيْهِ فِيهِ بِالضَّمَانِ بِالسِّعَايَةِ عَلَى الْعَبْدِ , فِي نَصِيبِ الَّذِي لَمْ يُعْتِقْ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ حُكْمَ هَؤُلَاءِ الْعَبِيدِ فِي الْمَرَضِ كَذَلِكَ , وَأَنَّهُ لَمَّا اسْتَحَالَ أَنْ يَجِبَ عَلَى غَيْرِهِمْ , ضَمَانُ مَا جَاوَزَ الثُّلُثَ , الَّذِي لِلْمَيِّتِ , أَنْ يُوصِيَ بِهِ , وَيُمَلِّكَهُ فِي مَرَضِهِ مَنْ حَبَّ مِنْ قِيمَتِهِمْ , وَجَبَ عَلَيْهِمُ السِّعَايَةُ فِي ذَلِكَ لِلْوَرَثَةِ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى
حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو صَالِحٍ، قَالَ: ثنا اللَّيْثُ، قَالَ: حَدَّثَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ بُهْلُولٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ،
وَعَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُتْبَةَ، وَعَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ، وَسَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ وَعَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ , عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ،
وَيَحْيَى بْنُ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ , عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، مِثْلَهُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عِيسَى بْنِ تَلِيدٍ، قَالَ: ثنا الْمُفَضَّلُ بْنُ فَضَالَةَ الْقِتْبَانِيُّ، عَنْ أَبِي الطَّاهِرِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ , عَنْ عَمِّهِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، قَالَ: حَدَّثَتْنِي خَالَتِي، عَمْرَةُ بِنْتُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَائِشَةَ، مِثْلَهُ
قَالُوا: فَهَذَا مَا يَنْبَغِي لِلنَّاسِ أَنْ يَفْعَلُوهُ إِلَى الْيَوْمِ , وَلَيْسَ بِمَنْسُوخٍ , فَمَا يُنْكِرُونَ أَنَّ الْقُرْعَةَ فِي الْعَتَاقِ فِي الْمَرَضِ كَذَلِكَ. قِيلَ لَهُمْ: قَدْ ذَكَرْنَا فِي ذَلِكَ فِي مَوْضِعِهِ , مَا يُغْنِي , وَلَكِنَّا نَذْكُرُ هَاهُنَا , مَا فِيهِ أَيْضًا دَلِيلُ أَنْ لَا حُجَّةَ لَكُمْ فِي هَذَا إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى. أَجْمَعَ الْمُسْلِمُونَ أَنَّ لِلرَّجُلِ أَنْ يُسَافِرَ إِلَى حَيْثُ أَحَبَّ , وَإِنْ طَالَ سَفَرُهُ ذَلِكَ , وَلَيْسَ مَعَهُ أَحَدٌ مِنْ نِسَائِهِ , وَأَنَّ حُكْمَ الْقَسْمِ , يَرْتَفِعُ عَنْهُ بِسَفَرِهِ. فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , كَانَتْ قُرْعَةُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ نِسَائِهِ , فِي وَقْتِ احْتِيَاجِهِ إِلَى الْخُرُوجِ بِإِحْدَاهُنَّ لِتَطِيبَ نَفْسُ مَنْ لَا يَخْرُجُ بِهَا مِنْهُنَّ , وَلِيُعْلَمَ أَنَّهُ لَمْ يُحَابِ الَّتِي خَرَجَ بِهَا عَلَيْهِنَّ , لِأَنَّهُ لَمَّا كَانَ لَهُ أَنْ يَخْرُجَ وَيُخَلِّفَهُنَّ [ص:384] جَمِيعًا , كَانَ لَهُ أَنْ يَخْرُجَ وَيُخَلِّفَ مَنْ شَاءَ مِنْهُنَّ. فَثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا أَنَّ الْقُرْعَةَ إِنَّمَا تُسْتَعْمَلُ فِيمَا يَسَعُ تَرْكَهَا , وَفِيمَا لَهُ أَنْ يُمْضِيَهُ بِغَيْرِهَا. وَمِنْ ذَلِكَ , الْخَصْمَانِ يَحْضُرَانِ عِنْدَ الْحَاكِمِ , فَيَدَّعِي كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا عَلَى صَاحِبِهِ دَعْوَى. فَيَنْبَغِي لِلْقَاضِي أَنْ يُقْرِعَ بَيْنَهُمَا , فَأَيُّهُمَا أُقْرِعَ , بَدَأَ بِالنَّظَرِ فِي أَمْرِهِ , وَلَهُ أَنْ يَنْظُرَ فِي أَمْرِ مَنْ شَاءَ مِنْهُمَا بِغَيْرِ قُرْعَةٍ. فَكَانَ الْأَحْسَنُ بِهِ ; لِبُعْدِ الظَّنِّ بِهِ فِي هَذَا اسْتِعْمَالَ الْقُرْعَةِ , كَمَا اسْتَعْمَلَهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَمْرِ نِسَائِهِ. وَكَذَلِكَ عَمِلَ الْمُسْلِمُونَ فِي أَقْسَامِهِمْ بِالْقُرْعَةِ , فِيمَا قَدْ عَدَلُوهُ بَيْنَ أَهْلِهِمْ , بِمَا لَوْ أَمْضَوْهُ بَيْنَهُمْ , لَا عَنْ قُرْعَةٍ , كَانَ ذَلِكَ مُسْتَقِيمًا. فَأَقْرَعُوا بَيْنَهُمْ ; لِتَطْمَئِنَّ قُلُوبُهُمْ , وَتَرْتَفِعَ الظِّنَّةُ , عَمَّنْ تَوَلَّى لَهُمْ قِسْمَتَهُمْ. وَلَوْ أَقْرَعَ بَيْنَهُمْ , عَلَى طَوَائِفَ مِنَ الْمَتَاعِ , الَّذِي لَهُمْ , قَبْلَ أَنْ يُعَدِّلَ وَيُسَوِّيَ قِيمَتَهُ عَلَى أَمْلَاكِهِمْ مِنْهُ , كَانَ ذَلِكَ الْقَسْمُ بَاطِلًا. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ الْقُرْعَةَ إِنَّمَا فُعِلَتْ , بَعْدَ أَنْ تَقَدَّمَهَا , مَا يَجُوزُ الْقَسْمُ بِهِ , وَأَنَّهَا إِنَّمَا أُرِيدَتْ لِانْتِفَاءِ الظَّنِّ , لَا بِحُكْمٍ يَجِبُ بِهَا. فَكَذَلِكَ نَقُولُ كُلُّ قُرْعَةٍ تَكُونُ مِثْلَ هَذَا , فَهِيَ حَسَنَةٌ , وَكُلُّ قُرْعَةٍ يُرَادُ بِهَا وُجُوبُ حُكْمٍ , وَقَطْعُ حُقُوقٍ مُتَقَدِّمَةٍ , فَهِيَ غَيْرُ مُسْتَعْمَلَةٍ. ثُمَّ رَجَعْنَا إِلَى الْقَوْلَيْنِ الْآخَرَيْنِ , فَرَأَيْنَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ حَكَمَ فِي الْعَبْدِ , إِذَا كَانَ بَيْنَ اثْنَيْنِ , فَأَعْتَقَهُ أَحَدُهُمَا , فَإِنَّهُ حُرٌّ كُلُّهُ , وَيَضْمَنُ إِنْ كَانَ مُوسِرًا , أَوْ إِنْ كَانَ مُعْسِرًا. فَفِي ذَلِكَ مِنَ الِاخْتِلَافِ , مَا ذَكَرْنَاهُ فِي كِتَابِ الْعَتَاقِ
ثُمَّ وَجَدْنَا فِي حَدِيثِ أَبِي الْمَلِيحِ الْهُذَلِيِّ (94 - 4693), عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَجُلًا أَعْتَقَ شِقْصًا لَهُ , فِي مَمْلُوكٍ , فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هُوَ حُرٌّ كُلُّهُ لَيْسَ لَهُ شَرِيكٌ» فَبَيَّنَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعِلَّةَ الَّتِي لَهَا عَتَقَ نَصِيبُ صَاحِبِهِ. فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ الْعَتَاقَ مَتَى وَقَعَ فِي بَعْضِ الْعَبْدِ , انْتَشَرَ فِي كُلِّهِ. وَقَدْ رَأَيْنَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَكَمَ فِي الْعَبْدِ بَيْنَ اثْنَيْنِ , إِذَا أَعْتَقَهُ أَحَدُهُمَا , وَلَا مَالَ لَهُ , يُحْكَمُ عَلَيْهِ فِيهِ بِالضَّمَانِ بِالسِّعَايَةِ عَلَى الْعَبْدِ , فِي نَصِيبِ الَّذِي لَمْ يُعْتِقْ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ حُكْمَ هَؤُلَاءِ الْعَبِيدِ فِي الْمَرَضِ كَذَلِكَ , وَأَنَّهُ لَمَّا اسْتَحَالَ أَنْ يَجِبَ عَلَى غَيْرِهِمْ , ضَمَانُ مَا جَاوَزَ الثُّلُثَ , الَّذِي لِلْمَيِّتِ , أَنْ يُوصِيَ بِهِ , وَيُمَلِّكَهُ فِي مَرَضِهِ مَنْ حَبَّ مِنْ قِيمَتِهِمْ , وَجَبَ عَلَيْهِمُ السِّعَايَةُ فِي ذَلِكَ لِلْوَرَثَةِ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪২৫
empty
৭৪২৫।
7425 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪২৬
empty
৭৪২৬।
7426 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪২৭
empty
৭৪২৭।
7427 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪২৮
empty
৭৪২৮।
7428 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪২৯
empty
৭৪২৯।
7429 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান