শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
২১. মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৭০৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ৭০৫৪
রুগ্ন ব্যক্তি থেকে দূরে থাকতে হবে কিনা
৭০৫৩-৫৪। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) …… যুহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু সালমা (রাহঃ) বলেছেন যে, আমি আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি। তিনি বলতেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, রুগ্ন ব্যক্তিকে সুস্থ ব্যক্তির কাছে আনবে না। হারিস ইবন আবী যুবাব (রাহঃ) আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-কে বললেন, আপনি তো আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা করতেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন : সংক্রামক বলতে কিছু নেই। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এটা অস্বীকার করলেন। হারিস (রাহঃ) বললেন, হ্যাঁ, (আপনি বর্ণনা করেছেন)। অনন্তর তিনি এবং আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বিবাদ করলেন এবং উভয়ের মাঝে বিষয়টি অত্যন্ত কঠোর হয়ে গেল। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) রাগান্বিত হয়ে পড়েন এবং হারিস (রাহঃ)-কে কিছু বললেন- ইমাম মুসলিম (রাহঃ) উল্লেখ করেছেন তিনি হাবশী ভাষায় কিছু বললেন। অতঃপর হারিস (রাহঃ)-কে বললেন, আমি যা বলেছি তা বুঝতে পেরেছ? হারিস বললেন, না। আমি বলছি, এতে তার উদ্দেশ্য ছিল এটা যে, যা তুমি বলছ তা আমি তোমাকে বর্ণনা করনি। আবু সালামা (রাহঃ) বলেন, আমার জানা নেই যে, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) ভুলে গেছেন, না তাঁর সন্দেহ হয়েছে। তবে এটা জরুরী যে, আমি তাঁর উপর ভ্রান্তির শব্দটি ব্যবহার করা জায়েয মনে করি না। কেননা ইতিপূর্বে তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত করে আমাদেরকে বর্ণনা করেছেন এবং তিনি তাঁর বক্তব্য সংক্রামক বলতে কিছু নেই-এর অস্বীকার করেন না।
ইউনুস (রাহঃ) …… ইবন শিহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবু সালমা (রাহঃ) তাকে বর্ণনা করেছেন, যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন : সংক্রামক কিছু নেই এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন : রুগ্নকে সুস্থের নিকটে আনবে না । আবু সালামা (রাহঃ) বলেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এই দুটি বিষয় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করতেন। অতঃপর আবু হুরায়রা (রাযিঃ) তাঁর ঐ উক্তি থেকে যে, “সংক্রামক কিছু নেই” চুপ হয়ে গেছেন। আর এ কথার উপর অটল রয়েছেন যে, “রুগ্নকে সুস্থের নিকটে আনবে না" । অতঃপর তিনি ইবন আবী দাউদ (রাহঃ)-এর হাদীসের অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
পর্যালোচনা : আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিম এই মত পোষণ করেন। তারা রুগ্নকে সুস্থের নিকটে নেয়াকে মাকরূহ মনে করেন। তারা বলেন, এটা সংক্রামক হওয়ার আশংকায় মাকরূহ এবং তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, রুগ্ন থেকে বিরত থাকা এবং পলায়ন করা বাঞ্ছনীয়। এ বিষয়ে তারা উমর (রাযিঃ)-এর থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন যে, তিনি প্লেগ থেকে পলায়ন করে লোকদের নিয়ে ফিরে এসেছেন। তাঁরা নিম্নরূপ উল্লেখ করেছেন :
ইউনুস (রাহঃ) …… ইবন শিহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবু সালমা (রাহঃ) তাকে বর্ণনা করেছেন, যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন : সংক্রামক কিছু নেই এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন : রুগ্নকে সুস্থের নিকটে আনবে না । আবু সালামা (রাহঃ) বলেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এই দুটি বিষয় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করতেন। অতঃপর আবু হুরায়রা (রাযিঃ) তাঁর ঐ উক্তি থেকে যে, “সংক্রামক কিছু নেই” চুপ হয়ে গেছেন। আর এ কথার উপর অটল রয়েছেন যে, “রুগ্নকে সুস্থের নিকটে আনবে না" । অতঃপর তিনি ইবন আবী দাউদ (রাহঃ)-এর হাদীসের অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
পর্যালোচনা : আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিম এই মত পোষণ করেন। তারা রুগ্নকে সুস্থের নিকটে নেয়াকে মাকরূহ মনে করেন। তারা বলেন, এটা সংক্রামক হওয়ার আশংকায় মাকরূহ এবং তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, রুগ্ন থেকে বিরত থাকা এবং পলায়ন করা বাঞ্ছনীয়। এ বিষয়ে তারা উমর (রাযিঃ)-এর থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন যে, তিনি প্লেগ থেকে পলায়ন করে লোকদের নিয়ে ফিরে এসেছেন। তাঁরা নিম্নরূপ উল্লেখ করেছেন :
بَابُ الرَّجُلِ يَكُونُ بِهِ الدَّاءُ هَلْ يُجْتَنَبُ أَمْ لَا؟
7053 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا أَبُو الْيَمَانِ , قَالَ: ثنا شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ , عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: قَالَ أَبُو سَلَمَةَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا تُورِدِ الْمُمْرِضَ عَلَى الْمُصِحِّ» . فَقَالَ لَهُ الْحَارِثُ بْنُ أَبِي ذُبَابٍ فَإِنَّكَ قَدْ كُنْتَ حَدَّثَتْنَا أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا عَدْوَى» ، فَأَنْكَرَ ذَلِكَ , أَبُو هُرَيْرَةَ , فَقَالَ الْحَارِثُ: بَلَى. فَتَمَارَى هُوَ وَأَبُو هُرَيْرَةَ , حَتَّى اشْتَدَّ أَمْرُهُمَا فَغَضِبَ أَبُو هُرَيْرَةَ وَقَالَ لِلْحَارِثِ , ذَكَرَهُ مُسْلِمٌ , فَرَطَنَ بِالْحَبَشِيَّةِ , ثُمَّ قَالَ لِلْحَارِثِ أَتَدْرِي مَا قُلْتُ؟ قَالَ الْحَارِثُ لَا قُلْتُ: تُرِيدُ مِنَّا بِذَلِكَ أَنِّي لَمْ أُحَدِّثْكَ مَا تَقُولُ. قَالَ أَبُو سَلَمَةَ: لَا أَدْرِي , أَنَسِيَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَمْ شَابَهُ , غَيْرَ أَنِّي لَمْ أَرَ عَلَيْهِ كَلِمَةً نَسِيَهَا بَعْدَ إِنْ كَانَ يُحَدِّثُنَا بِهَا , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَيْرَ إِنْكَارِهِ مَا كَانَ يُحَدِّثُنَا فِي قَوْلِهِ: لَا عَدْوَى
7054 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ أَبَا سَلَمَةَ، حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا عَدْوَى» وَأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يُورِدُ مُمْرِضٌ عَلَى مُصِحٍّ» . قَالَ أَبُو سَلَمَةَ: كَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يُحَدِّثُ بِهِمَا كِلَيْهِمَا , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. ثُمَّ. صَمَتَ أَبُو هُرَيْرَةَ بَعْدَ ذَلِكَ عَنْ قَوْلِهِ: لَا عَدْوَى وَأَقَامَ عَلَى أَنَّ لَا يُورِدُ مُمْرِضٌ عَلَى مُصِحٍّ ثُمَّ حَدَثَ مِثْلُ حَدِيثِ ابْنِ أَبِي دَاوُدَ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا , فَكَرِهُوا إِيرَادَ الْمُمْرِضُ عَلَى الْمُصِحِّ , وَقَالُوا: إِنَّمَا كُرِهَ ذَلِكَ , مَخَافَةَ الْإِعْدَاءِ , وَأُمِرُوا بِاجْتِنَابِ ذِي الدَّاءِ وَالْفِرَارِ مِنْهُ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ أَيْضًا بِمَا رُوِيَ عَنْ عُمَرَ فِي الطَّاعُونِ , فِي رُجُوعِهِ بِالنَّاسِ , فَارًّا مِنْهُ
7054 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ أَبَا سَلَمَةَ، حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا عَدْوَى» وَأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يُورِدُ مُمْرِضٌ عَلَى مُصِحٍّ» . قَالَ أَبُو سَلَمَةَ: كَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يُحَدِّثُ بِهِمَا كِلَيْهِمَا , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. ثُمَّ. صَمَتَ أَبُو هُرَيْرَةَ بَعْدَ ذَلِكَ عَنْ قَوْلِهِ: لَا عَدْوَى وَأَقَامَ عَلَى أَنَّ لَا يُورِدُ مُمْرِضٌ عَلَى مُصِحٍّ ثُمَّ حَدَثَ مِثْلُ حَدِيثِ ابْنِ أَبِي دَاوُدَ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا , فَكَرِهُوا إِيرَادَ الْمُمْرِضُ عَلَى الْمُصِحِّ , وَقَالُوا: إِنَّمَا كُرِهَ ذَلِكَ , مَخَافَةَ الْإِعْدَاءِ , وَأُمِرُوا بِاجْتِنَابِ ذِي الدَّاءِ وَالْفِرَارِ مِنْهُ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ أَيْضًا بِمَا رُوِيَ عَنْ عُمَرَ فِي الطَّاعُونِ , فِي رُجُوعِهِ بِالنَّاسِ , فَارًّا مِنْهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭০৫৪
empty
৭০৫৪।
7054 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭০৫৫
রুগ্ন ব্যক্তি থেকে দূরে থাকতে হবে কিনা
৭০৫৫। মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাহঃ) ..... আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, উমর ইবন খাত্তাব (রাযিঃ) সিরিয়া অভিমুখে রওয়ানা হলেন। আবু তালহা (রাযিঃ) ও আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ (রাযিঃ) তাঁকে অভ্যর্থনা জ্ঞাপন করে বললেন, হে আমীরুল মু'মিনীন! আপনার সঙ্গে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)-এর সম্মানিত ও পূণ্যবান সাহাবাগণ রয়েছেন। আমরা আমাদের পিছনে আগুনের দহন ছেড়ে এসেছি। সুতরাং এ বছর আপনি ফিরে যান। অনন্তর উমর (রাযিঃ) ফিরে গেলেন। যখন পরের বছর এল, তিনি এলেন এবং প্লেগাক্রান্ত স্থানে প্রবেশ করলেন ।
7055 - فَذَكَرُوا مَا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ قَالَ: ثنا حَمَّادٌ , قَالَ: ثنا إِسْحَاقُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَقْبَلَ إِلَى الشَّامِ فَاسْتَقْبَلَهُ أَبُو طَلْحَةَ , وَأَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ , فَقَالَا: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ , إِنَّ مَعَكَ وُجُوهَ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَخِيَارَهُمْ , وَإِنَّا تَرَكْنَا مِنْ بَعْدِنَا مِثْلَ حَرِيقِ النَّارِ , فَارْجِعِ الْعَامَ , يَعْنِي: فَرَجَعَ عُمَرُ فَلَمَّا كَانَ الْعَامُ الْمُقْبِلُ , جَاءَ فَدَخَلَ , يَعْنِي الطَّاعُونَ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭০৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ৭০৫৭
রুগ্ন ব্যক্তি থেকে দূরে থাকতে হবে কিনা
৭০৫৬। ইউনুস (রাহঃ) …… আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, উমর ইবন খাত্তাব (রাযিঃ) সিরিয়ার উদ্দেশ্যে বের হলেন। যখন তিনি 'সারগ' জায়গায় পৌঁছলেন, তখন সৈন্য বাহিনীর নেতৃবৃন্দ আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ (রাযিঃ) ও তাঁর সাথীগণ তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করলেন এবং তাঁরা তাকে অবহিত করলেন যে, সিরিয়া (অঞ্চল) প্লেগাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। ইবন আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, অনন্তর উমর (রাযিঃ) বললেন, প্রথম সারির মুহাজির (সাহাবাগণ)-কে আমার নিকট ডেকে আন। তাদেরকে ডাকা হল। তিনি তাদের সঙ্গে পরামর্শ করলেন এবং বললেন যে, সিরিয়াতে প্লেগ বিস্তার লাভ করেছে। তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হল। কেউ কেউ বললেন যে, আপনি একটি (বিশেষ) উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন, আমরা আপনার এ থেকে ফিরে যাওয়াকে সঠিক মনে করি না। আবার কেউ কেউ বললেন, আপনার সঙ্গে অবশিষ্ট লোকেরা এবং সাহাবাগণ রয়েছেন। আমরা সংগত মনে করছি না যে, আপনি এই প্লেগের দিকে তাদেরকে এগিয়ে দিবেন। তিনি বললেন, আমার নিকট থেকে উঠে যাও। অতঃপর বললেন, আমার কাছে আনসারদেরকে ডেকে আন। রাবী বলেন, আমি তাঁদের ডাকলাম। অনন্তর তারাও মুহাজিরদের পথ অনুসরণ করে তাদের ন্যায় বিরোধ করলেন। তিনি (তাদেরকেও) বললেন, আমার কাছ থেকে উঠে যাও। অতঃপর তিনি বললেন, আমার নিকট এখানে যারা মুহাজিরীনে ফাতহ বা মক্কা বিজয়ের পূর্বে ইসলাম গ্রহণ করেছে এরূপ কুরায়শী শায়খবৃন্দ রয়েছেন। তাদেরকে ডাক। আমি তাদের কে ডাকলাম । তাদের থেকে দুইজনের মাঝেও বিরোধ হয় নাই। বরং তাঁরা সকলেই বললেন, আমরা সংগত মনে করছি যে, আপনি ফিরে যান এবং প্লেগ (আক্রান্ত এলাকার) দিকে তাদেরকে এগিয়ে দিবেন না। অতঃপর উমর (রাযিঃ) লোকদেরকে ঘোষণা দিয়ে বললেন, আমি প্রভাতে সফর করব। অনন্তর তারা প্রভাতে তাঁর নিকট এসে গেল । আবু উবায়দা (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহ্ তা'আলার 'তাকদীর' থেকে পলায়ন করছেন? উমর (রাযিঃ) বললেন, হে আবু উবায়দা! তুমি ব্যতীত অন্য কেউ যদি এই কথাটি বলত (তবে আমি তাকে শাস্তি প্রদান করতাম)। হ্যাঁ! আমরা আল্লাহর তাকদীর থেকে তাঁরই তাকদীরের দিকে যাচ্ছি। বল দেখি! যদি তোমার নিকট উট থাকে এবং তুমি কোন বনভূমিতে অবতরণ কর যার দু'প্রান্তের একটি উর্বর সবুজ শ্যামল, অপরটি অনুর্বর বা শুষ্ক, তবে কি এরূপ নয় যে, যদি তুমি উর্বর অংশে চরাও তবে আল্লাহর তাকদীরের সাথে চরাবে। আর যদি অনুর্বর অংশে চরাও তাহলেও আল্লাহর তাকদীরের সাথে চরাব? ইবন আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, এরপর আব্দুর রহমান ইবন আওফ (রাযিঃ) এলেন এবং তিনি তাঁর কোন প্রয়োজনে অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি বললেন, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমার নিকট জ্ঞান রয়েছে। আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে শুনেছি। তিনি বলেছেন : যখন তোমরা শুনবে যে, কোন এলাকায় প্লেগাক্রান্ত, তবে সেখানে যাবে না। আর যখন কোন এলাকা এই ব্যাধির দ্বারা আক্রান্ত হয় এবং তোমরা পূর্ব থেকেই সেখানে অবস্থান কর, তবে পলায়ন করে সেখান থেকে বের হবে না। রাবী বলেন, এটা শুনে উমর (রাযিঃ) আল্লাহর প্রশংসা করেন। অতঃপর সেখান থেকে প্রত্যাবর্তন করেন।
ইউনুস (রাহঃ) …… আব্দুল্লাহ্ ইবন আমের ইবন রবীআ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, উমর ইবন খাত্তাব (রাযিঃ) সিরিয়া অভিমুখে বের হলেন। যখন তিনি সারগ নামক স্থানে পৌঁছলেন তখন তিনি সংবাদ পেলেন যে, সিরিয়া (অঞ্চল) প্লেগাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। তারপর আব্দুর রহমান ইবন আওফ (রাযিঃ) তাঁকে রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-এর হাদীস অবহিত করলেন । অতঃপর তিনি ইতিপূর্বে ইউনুস (রাহঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের বিষয়বস্তু বর্ণনা করেছেন। অর্থাৎ তা থেকে শুধু আব্দুর রহমান ইবন আওফ (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াত উল্লেখ করেছেন। বলেন, অনন্তর উমর (রাযিঃ) 'সারগ' নামক স্থান থেকে প্রত্যাবর্তন করলেন।
ইউনুস (রাহঃ) …… আব্দুল্লাহ্ ইবন আমের ইবন রবীআ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, উমর ইবন খাত্তাব (রাযিঃ) সিরিয়া অভিমুখে বের হলেন। যখন তিনি সারগ নামক স্থানে পৌঁছলেন তখন তিনি সংবাদ পেলেন যে, সিরিয়া (অঞ্চল) প্লেগাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। তারপর আব্দুর রহমান ইবন আওফ (রাযিঃ) তাঁকে রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-এর হাদীস অবহিত করলেন । অতঃপর তিনি ইতিপূর্বে ইউনুস (রাহঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের বিষয়বস্তু বর্ণনা করেছেন। অর্থাৎ তা থেকে শুধু আব্দুর রহমান ইবন আওফ (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াত উল্লেখ করেছেন। বলেন, অনন্তর উমর (রাযিঃ) 'সারগ' নামক স্থান থেকে প্রত্যাবর্তন করলেন।
7056 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، أَخْبَرَهُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، [ص:304] خَرَجَ إِلَى الشَّامِ , حَتَّى إِذَا كَانَ بِسَرْغٍ , لَقِيَهُ أُمَرَاءُ الْأَجْنَادِ , أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ , وَأَصْحَابُهُ , فَأَخْبَرُوهُ أَنَّ الْوَبَاءَ قَدْ وَقَعَ بِالشَّامِ. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: فَقَالَ عُمَرُ ادْعُ لِي الْمُهَاجِرِينَ الْأَوَّلِينَ فَدَعَاهُمْ فَاسْتَشَارَهُمْ , فَأَخْبَرَهُمْ أَنَّ الْوَبَاءَ قَدْ وَقَعَ بِالشَّامِ , فَاخْتَلَفُوا عَلَيْهِ. فَقَالَ بَعْضُهُمْ: قَدْ خَرَجْتُ لِأَمْرٍ وَلَا نَرَى أَنْ تَرْجِعَ عَنْهُ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: مَعَكَ بَقِيَّةُ النَّاسِ وَأَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا نَرَى أَنْ تَقَدَّمَهُمْ عَلَى هَذَا الْوَبَاءِ فَقَالَ: ارْتَفَعُوا عَنِّي. ثُمَّ قَالَ ادْعُوا لِي الْأَنْصَارَ فَدَعَوْتُهُمْ لَهُ , فَسَلَكُوا سَبِيلَ الْمُهَاجِرِينَ وَاخْتَلَفُوا كَاخْتِلَافِهِمْ , فَقَالَ: ارْتَفَعُوا عَنِّي. ثُمَّ قَالَ ادْعُ لِي مَنْ كَانَ هَاهُنَا ,. مِنْ مَشْيَخَةِ قُرَيْشٍ , مِنْ مُهَاجِرَةِ الْفَتْحِ فَدَعَوْتُهُمْ , فَلَمْ يَخْتَلِفْ عَلَيْهِ مِنْهُمْ رَجُلَانِ. قَالُوا: نَرَى أَنْ تَرْجِعَ بِالنَّاسِ , وَلَا تَقَدَّمَهُمْ عَلَى هَذَا الْوَبَاءِ. فَنَادَى عُمَرُ فِي النَّاسِ فِي مُصْبِحٍ عَلَى ظَهْرٍ , فَأَصْبَحُوا عَلَيْهِ. قَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ: أَفِرَارًا مِنْ قَدَرِ اللهِ؟ فَقَالَ عُمَرُ لَوْ غَيْرُكَ قَالَهَا يَا أَبَا عُبَيْدَةَ , نَعَمْ نَفِرُّ مِنْ قَدَرِ اللهِ إِلَى قَدَرِ اللهِ , أَرَأَيْتَ لَوْ كَانَتْ لَكَ إِبِلٌ , فَهَبَطَتْ وَادِيًا , لَهُ عُدْوَتَانِ , إِحْدَاهُمَا خِصْبَةٌ , وَالْأُخْرَى جَدْبَةٌ , أَلَيْسَ إِنْ رَعَيْتُ الْخِصْبَةَ , رَعَيْتُهَا بِقَدَرِ اللهِ , وَإِنْ رَعَيْتُ الْجَدْبَةَ رَعَيْتُهَا بِقَدَرِ اللهِ؟ . قَالَ: فَجَاءَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ , وَكَانَ غَائِبًا فِي بَعْضِ حَاجَتِهِ , فَقَالَ إِنَّ عِنْدِي مِنْ هَذَا عِلْمًا , إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ بِأَرْضٍ , فَلَا تَقْدُمُوا عَلَيْهِ , وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا , فَلَا تَخْرُجُوا فِرَارًا مِنْهُ» قَالَ: فَحَمِدَ اللهَ عُمَرُ , ثُمَّ انْصَرَفَ
7057 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، أَخْبَرَهُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، خَرَجَ إِلَى الشَّامِ. فَلَمَّا جَاءَ بِسَرْغٍ , بَلَغَهُ أَنَّ الْوَبَاءَ قَدْ وَقَعَ بِالشَّامِ , فَأَخْبَرَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَ مَا فِي حَدِيثِ يُونُسَ , الَّذِي قَبْلَ هَذَا , مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ خَاصَّةً , قَالَ: فَرَجَعَ عُمَرُ مِنْ سَرْغٍ
7057 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، أَخْبَرَهُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، خَرَجَ إِلَى الشَّامِ. فَلَمَّا جَاءَ بِسَرْغٍ , بَلَغَهُ أَنَّ الْوَبَاءَ قَدْ وَقَعَ بِالشَّامِ , فَأَخْبَرَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَ مَا فِي حَدِيثِ يُونُسَ , الَّذِي قَبْلَ هَذَا , مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ خَاصَّةً , قَالَ: فَرَجَعَ عُمَرُ مِنْ سَرْغٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭০৫৭
empty
৭০৫৭।
7057 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭০৫৮
রুগ্ন ব্যক্তি থেকে দূরে থাকতে হবে কিনা
৭০৫৮। ইউনুস (রাহঃ) ...... হুমায়দ ইবন আব্দুর রহমান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, উমর ইবন খাত্তাব (রাযিঃ) যখন 'সারগ' নামক স্থান থেকে প্রত্যাবর্তন করার সংকল্প করলেন এবং লোকদের সঙ্গে পরামর্শ করলেন, তখন একদল লোক বলল, তাদের মধ্যে আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ (রাযিঃ) ছিলেন অন্যতম, আপনি কি মৃত্যু থেকে পলায়ন করেছেন? আমরা তো আল্লাহর তাকদীরের মধ্যে অবস্থান করছি এবং আমাদের সেটাই পৌঁছবে যা আল্লাহ্ তা'আলা আমাদের জন্য লিখে দিয়েছেন। তখন উমর (রাযিঃ) বললেন, হে আবু উবায়দা! যদি তুমি এরূপ উপত্যকায় থাক যার একপ্রান্ত উর্বর বা সবুজ শ্যামল এবং অপর প্রাপ্ত অনুর্বর বা শুষ্ক, তা হলে তুমি কোথায় চরাবে? তিনি বললেন, উর্বরাংশে। তিনি বললেন, আমরা যদি সম্মুখে অগ্রসর হই তখনো তাকদীরের সাথে অগ্রসর হব, এবং যদি পিছনে থেকে যাই তখনো তাকদীরের সাথেই পিছনে থেকে যাব। আর আমরা তো তাকদীরের মাঝেই রয়েছি।
7058 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، حِينَ أَرَادَ الرُّجُوعَ مِنْ سَرْغٍ , وَاسْتَشَارَ النَّاسَ. فَقَالَتْ طَائِفَةٌ , مِنْهُمْ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ أَمِنَ الْمَوْتِ تَفِرُّ؟ إِنَّمَا نَحْنُ بِقَدَرٍ , وَلَنْ يُصِيبَنَا إِلَّا مَا كَتَبَ اللهُ لَنَا. [ص:305] فَقَالَ عُمَرُ: " يَا أَبَا عُبَيْدَةَ , لَوْ كُنْتَ بِوَادٍ , إِحْدَى عُدْوَتَيْهِ مُخَصَّبَةٌ , وَالْأُخْرَى مُجْدِبَةٌ , أَيُّهُمَا كُنْتَ تَرْعَى؟ قَالَ: الْمُخَصَّبَةُ. قَالَ: فَإِنَّا إِنْ تَقَدَّمْنَا فَبِقَدَرٍ , وَإِنْ تَأَخَّرْنَا فَبِقَدَرٍ , وَفِي قَدَرٍ , نَحْنُ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭০৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ৭০৬০
রুগ্ন ব্যক্তি থেকে দূরে থাকতে হবে কিনা
৭০৫৯-৬০। হুসায়ন ইবনুল হাকাম আল-হিবারী (রাহঃ) ও সুলায়মান ইবন শুআয়ব (রাহঃ) ...... তারিক ইবন শিহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, আমরা আবু মুসা আশআরী (রাযিঃ)-এর সঙ্গে আলোচনা করতাম। একদিন তিনি আমাদেরকে বললেন, যদি তোমরা আমার থেকে লুকাও তবে কোন অসুবিধা নেই। নিশ্চয়ই আমার গৃহ প্লেগাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। সুতরাং তোমাদের থেকে যে ব্যক্তি এর থেকে বাঁচতে চায় সে যেন বাঁচে। দুটি বস্তু থেকে বিরত থাক যে, কোন মন্তব্যকারী মন্তব্য করে বলে যে, বহির্গমনকারী বেরিয়ে গেছে এবং নিরাপদ রয়েছে। অবস্থানকারী অবস্থান করছে এবং এই প্লেগে আক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। যদি আমিও বেরিয়ে পড়তাম তবে অমুকের ন্যায় নিরাপদ থাকতাম। অথবা কোন ব্যক্তি এরূপ বলা যে, আমি যদি সেখানে বসে থাকতাম বা অবস্থান করতাম তাহলে আমিও এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হতাম যেমন অমুক আক্রান্ত হয়েছে। আমি অতি সত্ত্বর সেই বিষয়টি বর্ণনা করব যা প্লেগাক্রান্ত অবস্থায় মানুষের জন্য সমীচীন। আমি আবু উবায়দা (রাযিঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম। এমন সময় সিরিয়া (অঞ্চল) প্লেগাত্রান্ত হলাে। উমর (রাযিঃ) তাঁকে লিখলেন, যখনই আমার এই পত্র তোমার নিকট পৌছায় আমি তোমাকে কসম দিচ্ছি যে, যদি এই পত্র তোমার নিকট ভোরবেলায় পৌঁছায়, তাহলে সন্ধ্যাবেলার পূর্বে সওয়ার হয়ে যাবে। যদি তা সন্ধ্যাবেলায় পৌঁছায়, তাহলে ভোরের পূর্বেই সওয়ার হয়ে আমার নিকট চলে এস। তোমার সঙ্গে আমার একটি কাজ রয়েছে যা থেকে আমি তোমার থেকে অমুখাপেক্ষী হতে পারি না । যখন আবু উবায়দা (রাযিঃ) পত্র পাঠ করলেন, বললেন, আমীরুল মু'মিনীন চাচ্ছেন, যে সমস্ত লোক বাকী বা অবশিষ্ট থাকার নয়, তাদেরকে অবশিষ্ট রাখা । অনন্তর আবু উবায়দা (রাযিঃ) তাঁকে লিখলেন যে, আমি মুসলিম সৈন্য বাহিনীর সঙ্গে রয়েছি। আমি কি পরীক্ষা এবং গোপন বিষয় থেকে পলায়ন করব? আমি আমাকে তাদের থেকে কস্মিনকালেও দূর করব না। আমি আমীরুল মু'মিনীন (রাযিঃ)-এর প্রয়োজন বুঝতে পেরেছি। সুতরাং আপনার সংকল্পকে আমার উপর স্পষ্ট করে দিন। যখন উমর (রাযিঃ)-এর নিকট (জবাব) পত্র এল, তিনি কেঁদে ফেলেন । তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল যে, আবু উবায়দা (রাযিঃ) কি ইন্তেকাল করে গেছেন? বললেন, না। উমর (রাযিঃ) তাঁকে এটিও লিখেছিলেন যে, উর্দুন গভীর ভূমি এবং 'জাবিয়া' চমৎকার ভূমি। অতএব মুসলমানদেরকে জাবিয়ায় নিয়ে যাও। আবু উবায়দা (রাযিঃ) আমাকে বললেন, যাও, মুসলমানদেরকে তাদের ঠিকানায় আশ্রয় দাও। বলেন, আমি বললাম যে, আমি এর সামর্থ্য রাখি না। তিনি বলেন, এরপর তিনি সওয়ার হতে গেলেন তখন লোকদের থেকে এক ব্যক্তি আমাকে বললেন যে, তাঁকে প্লেগ আক্রান্ত করে ফেলেছে এবং তিনি মৃত্যুবরণ করেন (শহীদ হন) । আর প্লেগ বিস্তৃত হয়ে পড়েছে।
এঁরা বলেন, ইনি হলেন উমর (রাযিঃ) যিনি লোকদেরকে প্লেগ (আক্রান্ত জায়গা) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে সাহাবাগণ তাঁর সমর্থন করেছেন। অধিকন্তু আব্দুর রহমান ইবন আওফ (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে এর সমর্থনে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। আব্দুর রহমান ইবন আওফ (রাযিঃ) ব্যতীত অন্যদের দ্বারা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে যা আব্দুর রহমান (রাযিঃ) রিওয়ায়াত করেছেন। যা নিম্নরূপ :
এঁরা বলেন, ইনি হলেন উমর (রাযিঃ) যিনি লোকদেরকে প্লেগ (আক্রান্ত জায়গা) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে সাহাবাগণ তাঁর সমর্থন করেছেন। অধিকন্তু আব্দুর রহমান ইবন আওফ (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে এর সমর্থনে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। আব্দুর রহমান ইবন আওফ (রাযিঃ) ব্যতীত অন্যদের দ্বারা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে যা আব্দুর রহমান (রাযিঃ) রিওয়ায়াত করেছেন। যা নিম্নরূপ :
7059 - حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ الْحَكَمِ الْجِيزِيُّ، قَالَ: ثنا عَاصِمُ بْنُ عَلِيٍّ ح
7060 - وَحَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ، قَالَا: ثنا شُعْبَةُ بْنُ الْحَجَّاجِ، عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، قَالَ: سَمِعْتُ طَارِقَ بْنَ شِهَابٍ، قَالَ: كُنَّا نَتَحَدَّثُ إِلَى أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ. فَقَالَ لَنَا ذَاتَ يَوْمٍ لَا عَلَيْكُمْ أَنْ تَخْفُوا عَنِّي , فَإِنَّ هَذَا الطَّاعُونَ قَدْ وَقَعَ فِي أَهْلِي , فَمَنْ شَاءَ مِنْكُمْ أَنْ يَتَنَزَّهَ فَلْيَتَنَزَّهْ , وَاحْذَرُوا اثْنَتَيْنِ , أَنْ يَقُولَ قَائِلٌ: خَرَجَ خَارِجٌ فَسَلِمَ , وَجَلَسَ جَالِسٌ فَأُصِيبَ , لَوْ كُنْتُ خَرَجْتُ لَسَلِمْتُ كَمَا سَلِمَ آلُ فُلَانٍ أَوْ يَقُولُ قَائِلٌ: لَوْ كُنْتُ جَلَسْتُ لَأُصِبْتُ كَمَا أُصِيبَ آلُ فُلَانٍ , وَإِنِّي سَأُحَدِّثُكُمْ مَا يَنْبَغِي لِلنَّاسِ فِي الطَّاعُونِ , إِنِّي كُنْتُ مَعَ أَبِي عُبَيْدَةَ , وَأَنَّ الطَّاعُونَ قَدْ وَقَعَ بِالشَّامِ , وَأَنَّ عُمَرَ كَتَبَ إِلَيْهِ إِذَا أَتَاكَ كِتَابِي هَذَا , فَإِنِّي أَعْزِمُ عَلَيْكَ , لِمَنْ أَتَاكَ مُصْبِحًا , لَا تُمْسِي حَتَّى تَرْكَبَ , وَإِنْ أَتَاكَ مُمْسِيًا , لَا تُصْبِحُ حَتَّى تَرْكَبَ إِلَيَّ فَقَدْ عَرَضَتْ لِي إِلَيْكَ حَاجَةٌ لَا غِنَى لِي عَنْكَ فِيهَا. فَلَمَّا قَرَأَ أَبُو عُبَيْدَةَ الْكِتَابَ قَالَ: إِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَرَادَ أَنْ يُسْتَبْقَى مَنْ لَيْسَ بِبَاقٍ. فَكَتَبَ إِلَيْهِ أَبُو عُبَيْدَةَ إِنِّي فِي جُنْدٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ , إِنِّي فَرَرْتُ مِنَ الْمَنَاةِ وَالسَّيْرِ لَنْ أَرْغَبَ بِنَفْسِي عَنْهُمْ , وَقَدْ عَرَفْنَا حَاجَةَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ , فَحَلِّلْنِي مِنْ عَزْمَتِكَ. فَلَمَّا جَاءَ عُمَرَ , الْكِتَابُ بَكَى , فَقِيلَ لَهُ: تُوُفِّيَ أَبُو عُبَيْدَةَ؟ قَالَ: لَا , وَكَانَ قَدْ كَتَبَ إِلَيْهِ عُمَرُ: إِنَّ الْأُرْدُنَّ أَرْضٌ عَمِقَةٌ , وَإِنَّ الْجَابِيَةَ أَرْضُ نُزْهَةٍ، فَانْهَضْ بِالْمُسْلِمِينَ إِلَى الْجَابِيَةِ. فَقَالَ لِي أَبُو عُبَيْدَةَ: انْطَلِقْ فَبَوِّئِ الْمُسْلِمِينَ مَنْزِلَهُمْ , فَقُلْتُ: لَا أَسْتَطِيعُ. قَالَ: فَذَهَبَ لِيَرْكَبَ وَقَالَ لِي رَجُلٌ مِنَ النَّاسِ قَالَ: فَأَخَذَهُ أَخْذَةٌ , فَطُعِنَ فَمَاتَ , وَانْكَشَفَ الطَّاعُونُ " قَالُوا: فَهَذَا عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَدْ أَمَرَ النَّاسَ أَنْ يَخْرُجُوا مِنَ الطَّاعُونِ , وَوَافَقَهُ عَلَى ذَلِكَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَوَى عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يُوَافِقُ مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ مِنْ ذَلِكَ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ غَيْرِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مِثْلِ هَذَا , مَا رَوَى عَبْدُ الرَّحْمَنِ
7060 - وَحَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ، قَالَا: ثنا شُعْبَةُ بْنُ الْحَجَّاجِ، عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، قَالَ: سَمِعْتُ طَارِقَ بْنَ شِهَابٍ، قَالَ: كُنَّا نَتَحَدَّثُ إِلَى أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ. فَقَالَ لَنَا ذَاتَ يَوْمٍ لَا عَلَيْكُمْ أَنْ تَخْفُوا عَنِّي , فَإِنَّ هَذَا الطَّاعُونَ قَدْ وَقَعَ فِي أَهْلِي , فَمَنْ شَاءَ مِنْكُمْ أَنْ يَتَنَزَّهَ فَلْيَتَنَزَّهْ , وَاحْذَرُوا اثْنَتَيْنِ , أَنْ يَقُولَ قَائِلٌ: خَرَجَ خَارِجٌ فَسَلِمَ , وَجَلَسَ جَالِسٌ فَأُصِيبَ , لَوْ كُنْتُ خَرَجْتُ لَسَلِمْتُ كَمَا سَلِمَ آلُ فُلَانٍ أَوْ يَقُولُ قَائِلٌ: لَوْ كُنْتُ جَلَسْتُ لَأُصِبْتُ كَمَا أُصِيبَ آلُ فُلَانٍ , وَإِنِّي سَأُحَدِّثُكُمْ مَا يَنْبَغِي لِلنَّاسِ فِي الطَّاعُونِ , إِنِّي كُنْتُ مَعَ أَبِي عُبَيْدَةَ , وَأَنَّ الطَّاعُونَ قَدْ وَقَعَ بِالشَّامِ , وَأَنَّ عُمَرَ كَتَبَ إِلَيْهِ إِذَا أَتَاكَ كِتَابِي هَذَا , فَإِنِّي أَعْزِمُ عَلَيْكَ , لِمَنْ أَتَاكَ مُصْبِحًا , لَا تُمْسِي حَتَّى تَرْكَبَ , وَإِنْ أَتَاكَ مُمْسِيًا , لَا تُصْبِحُ حَتَّى تَرْكَبَ إِلَيَّ فَقَدْ عَرَضَتْ لِي إِلَيْكَ حَاجَةٌ لَا غِنَى لِي عَنْكَ فِيهَا. فَلَمَّا قَرَأَ أَبُو عُبَيْدَةَ الْكِتَابَ قَالَ: إِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَرَادَ أَنْ يُسْتَبْقَى مَنْ لَيْسَ بِبَاقٍ. فَكَتَبَ إِلَيْهِ أَبُو عُبَيْدَةَ إِنِّي فِي جُنْدٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ , إِنِّي فَرَرْتُ مِنَ الْمَنَاةِ وَالسَّيْرِ لَنْ أَرْغَبَ بِنَفْسِي عَنْهُمْ , وَقَدْ عَرَفْنَا حَاجَةَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ , فَحَلِّلْنِي مِنْ عَزْمَتِكَ. فَلَمَّا جَاءَ عُمَرَ , الْكِتَابُ بَكَى , فَقِيلَ لَهُ: تُوُفِّيَ أَبُو عُبَيْدَةَ؟ قَالَ: لَا , وَكَانَ قَدْ كَتَبَ إِلَيْهِ عُمَرُ: إِنَّ الْأُرْدُنَّ أَرْضٌ عَمِقَةٌ , وَإِنَّ الْجَابِيَةَ أَرْضُ نُزْهَةٍ، فَانْهَضْ بِالْمُسْلِمِينَ إِلَى الْجَابِيَةِ. فَقَالَ لِي أَبُو عُبَيْدَةَ: انْطَلِقْ فَبَوِّئِ الْمُسْلِمِينَ مَنْزِلَهُمْ , فَقُلْتُ: لَا أَسْتَطِيعُ. قَالَ: فَذَهَبَ لِيَرْكَبَ وَقَالَ لِي رَجُلٌ مِنَ النَّاسِ قَالَ: فَأَخَذَهُ أَخْذَةٌ , فَطُعِنَ فَمَاتَ , وَانْكَشَفَ الطَّاعُونُ " قَالُوا: فَهَذَا عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَدْ أَمَرَ النَّاسَ أَنْ يَخْرُجُوا مِنَ الطَّاعُونِ , وَوَافَقَهُ عَلَى ذَلِكَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَوَى عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يُوَافِقُ مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ مِنْ ذَلِكَ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ غَيْرِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مِثْلِ هَذَا , مَا رَوَى عَبْدُ الرَّحْمَنِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭০৬০
empty
৭০৬০।
7060 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭০৬১
আন্তর্জাতিক নং: ৭০৬২
রুগ্ন ব্যক্তি থেকে দূরে থাকতে হবে কিনা
৭০৬১-৬২। মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাহঃ) ..... সা'দ ইবন আবী ওয়াক্কাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে শুনেছি। তিনি বলতেন : যখন কোন এলাকা প্লেগ আক্রান্ত হয় এবং তোমরা সেখানে অবস্থানরত থাক, তবে সেখান থেকে পলায়ন করবে না। আর যখন অন্য কোন স্থানে দেখা দেয়, তবে সেখানে যাবে না।
ইবন মারযূক (রাহঃ) ……. সা'দ ইবন আবী ওয়াক্কাস (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ইবন মারযূক (রাহঃ) ……. সা'দ ইবন আবী ওয়াক্কাস (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
7061 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا مُسَدَّدٌ، قَالَ: ثنا يَحْيَى، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنِ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِذَا كَانَ الطَّاعُونُ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا , فَلَا تَفِرُّوا مِنْهَا , وَإِذَا كَانَ بِأَرْضٍ فَلَا تَهْبِطُوا عَلَيْهَا»
7062 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا حِبَّانُ، قَالَ: ثنا أَبَانُ، قَالَ: ثنا يَحْيَى الْحَضْرَمِيُّ، أَنَّ لَاحِقًا، حَدَّثَهُ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيِّبِ حَدَّثَهُ , عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
7062 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا حِبَّانُ، قَالَ: ثنا أَبَانُ، قَالَ: ثنا يَحْيَى الْحَضْرَمِيُّ، أَنَّ لَاحِقًا، حَدَّثَهُ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيِّبِ حَدَّثَهُ , عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭০৬২
empty
৭০৬২।
7062 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭০৬৩
রুগ্ন ব্যক্তি থেকে দূরে থাকতে হবে কিনা
৭০৬৩। ইউনুস (রাহঃ) …… উসামা ইবন যায়দ (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেছেন : এই ব্যথা ও ব্যাধি (প্লেগ) একটি আযাব যা দ্বারা তোমাদের পূর্ববর্তী কতিপয় উম্মতকে আযাব দেয়া হয়েছে। অতঃপর এর কিছু অংশ পৃথিবীতে অবশিষ্ট রয়ে গেছে। একবার চলে যায়, আবার ফিরে আসে। যে ব্যক্তি কোন এলাকায় এর আক্রান্তের সংবাদ শুনবে, সে কস্মিনকালেও সেখানে যাবে না। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি কোন স্থানে অবস্থান করে এবং সেখানে তা দেখা দেয়, তবে পলায়নের উদ্দেশ্যে সেখান থেকে বের হবে না।
7063 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «إِنَّ هَذَا الْوَجَعَ وَالسَّقَمَ رِجْزٌ وَعَذَابٌ عُذِّبَ بِهِ بَعْضُ هَذِهِ الْأُمَمِ قَبْلَكُمْ , ثُمَّ بَقِيَ فِي الْأَرْضِ , فَيَذْهَبُ الْمَرَّةَ وَيَأْتِي الْأُخْرَى فَمَنْ سَمِعَ بِهَا فِي أَرْضٍ فَلَا يَقْدَمَنَّ عَلَيْهِ , وَمَنْ وَقَعَ بِأَرْضٍ وَهُوَ بِهَا , فَلَا يُخْرِجُهُ الْفِرَارُ مِنْهُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭০৬৪
রুগ্ন ব্যক্তি থেকে দূরে থাকতে হবে কিনা
৭০৬৪। ইবন মারযূক (রাহঃ) ……. উসামা ইবন যায়দ (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন : এই প্লেগ একটি আযাব। এর দ্বারা এক কাওমকে আযাব দেয়া হয়েছে। সুতরাং যখন এটি কোন এলাকায় দেখা দিবে, সেখানে তোমরা যাবে না। পক্ষান্তরে যখন কোন এলাকায় এটা বিস্তৃতি লাভ করে এবং তোমরা সেখানে (পূর্ব থেকেই) অবস্থান কর, তবে সেখান থেকে বের হবে না ।
7064 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ، يُحَدِّثُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ هَذَا الطَّاعُونَ رِجْزٌ وَعَذَابٌ عُذِّبَ بِهِ قَوْمٌ , فَإِذَا كَانَ بِأَرْضٍ فَلَا تَهْبِطُوا عَلَيْهِ , وَإِذَا وَقَعَ , وَأَنْتُمْ بِأَرْضٍ , فَلَا تَخْرُجُوا عَنْهُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭০৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ৭০৬৮
রুগ্ন ব্যক্তি থেকে দূরে থাকতে হবে কিনা
৭০৬৫-৬৮। ইউনুস (রাহঃ) ……. আমের ইবন সা'দ ইবন আবী ওয়াক্কাস (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি তার পিতা (সা'দ ইবন আবী ওয়াক্কাস) (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছেন। তিনি উসামা ইবন যায়দ (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করছিলেন যে, আপনি কি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে প্লেগের আলোচনা শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ শুনেছি। তিনি বললেন, তা কিভাবে শুনেছেন? তিনি বললেন, তাঁকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: এটা একটি আযাব, যা আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর বান্দা ইসরাঈলের উপর অথবা (বলেছেন) কোন কাওমের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। যখন তোমরা শুনবে যে, এটি কোন অঞ্চলে বিস্তৃতি লাভ করেছে, তবে সেখানে যাবে না। পক্ষান্তরে যখন কোন এলাকায় তা দেখা দেয় আর তোমরা সেখানে বিদ্যমান থাক, তবে পলায়নের উদ্দেশ্যে সেখান থেকে বের হবে না।
ইউনুস (রাহঃ) ……. ইবনুল মুনকাদির (রাহঃ) ও আবুন নযর (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। অতঃপর তিনি নিজস্ব সনদে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাহঃ) ও ফাহদ (রাহঃ) ……. উসামা ইবন যায়দ (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত যে, একবার তাঁর নিকট প্লেগের আলোচনা হলে তিনি বললেন : এটা হচ্ছে অপবিত্রতা অথবা (বলেছেন) আযাব। এর দ্বারা এক উম্মতকে আযাব দেয়া হয়েছে এবং এর কিছু অংশ অবশিষ্ট রয়ে গেছে। অতঃপর তিনি ইউনুস (রাহঃ) কর্তৃক বর্ণিত রিওয়ায়াতের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন এবং এটা অতিরিক্ত রিওয়ায়াত করেছেন : তিনি বলেন, আমাকে মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেছেন। আমিই এই হাদীসটি উমর ইবন আব্দুল আযীয (রাহঃ)-এর নিকট বর্ণনা করেছি। অনন্তর তিনি আমাকে বলেছেন যে, আমের ইবন সা'দ (রাহঃ) আমাকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ইউনুস (রাহঃ) ……. ইবনুল মুনকাদির (রাহঃ) ও আবুন নযর (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। অতঃপর তিনি নিজস্ব সনদে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাহঃ) ও ফাহদ (রাহঃ) ……. উসামা ইবন যায়দ (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত যে, একবার তাঁর নিকট প্লেগের আলোচনা হলে তিনি বললেন : এটা হচ্ছে অপবিত্রতা অথবা (বলেছেন) আযাব। এর দ্বারা এক উম্মতকে আযাব দেয়া হয়েছে এবং এর কিছু অংশ অবশিষ্ট রয়ে গেছে। অতঃপর তিনি ইউনুস (রাহঃ) কর্তৃক বর্ণিত রিওয়ায়াতের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন এবং এটা অতিরিক্ত রিওয়ায়াত করেছেন : তিনি বলেন, আমাকে মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেছেন। আমিই এই হাদীসটি উমর ইবন আব্দুল আযীয (রাহঃ)-এর নিকট বর্ণনা করেছি। অনন্তর তিনি আমাকে বলেছেন যে, আমের ইবন সা'দ (রাহঃ) আমাকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
68 - 7065 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَاهُ، يَسْأَلُ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ: أَسَمِعْتَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَذْكُرُ الطَّاعُونَ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: كَيْفَ سَمِعْتَهُ؟ قَالَ: سَمِعْتُهُ يَقُولُ: «هُوَ رِجْزٌ سَلَّطَهُ اللهُ عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ , أَوْ عَلَى قَوْمٍ , فَإِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ بِأَرْضٍ فَلَا تَقْدُمُوا عَلَيْهِ , وَإِنْ وَقَعَ وَأَنْتُمْ بِأَرْضٍ , فَلَا تَخْرُجُوا , فِرَارًا مِنْهُ»
حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ , عَنِ ابْنِ الْمُنْكَدِرِ، وَأَبِي النَّضْرِ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، وَفَهْدٌ، قَالَا: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ ذُكِرَ الطَّاعُونُ عِنْدَهُ فَقَالَ: " إِنَّهُ رِجْسٌ , أَوْ رِجْزٌ , عُذِّبَ بِهِ أُمَّةٌ مِنَ الْأُمَمِ , وَقَدْ بَقِيَتْ مِنْهُ بَقَايَا. ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَ حَدِيثِ يُونُسَ وَزَادَ:
قَالَ لِي مُحَمَّدٌ: فَحَدَّثْتُ بِهَذَا الْحَدِيثِ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ , فَقَالَ لِي: هَكَذَا حَدَّثَنِي عَامِرُ بْنُ سَعْدٍ
حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ , عَنِ ابْنِ الْمُنْكَدِرِ، وَأَبِي النَّضْرِ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، وَفَهْدٌ، قَالَا: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ ذُكِرَ الطَّاعُونُ عِنْدَهُ فَقَالَ: " إِنَّهُ رِجْسٌ , أَوْ رِجْزٌ , عُذِّبَ بِهِ أُمَّةٌ مِنَ الْأُمَمِ , وَقَدْ بَقِيَتْ مِنْهُ بَقَايَا. ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَ حَدِيثِ يُونُسَ وَزَادَ:
قَالَ لِي مُحَمَّدٌ: فَحَدَّثْتُ بِهَذَا الْحَدِيثِ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ , فَقَالَ لِي: هَكَذَا حَدَّثَنِي عَامِرُ بْنُ سَعْدٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭০৬৬
empty
৭০৬৬।
7066 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭০৬৭
empty
৭০৬৭।
7067 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭০৬৮
empty
৭০৬৮।
7068 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭০৬৯
রুগ্ন ব্যক্তি থেকে দূরে থাকতে হবে কিনা
৭০৬৯। মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাহঃ) …….. ইকরামা ইবন খালিদ মাখযূমী (রাহঃ) তাঁর পিতা থেকে অথবা তাঁর চাচা থেকে এবং তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) গাযওয়া তাবূকের প্রাক্কালে বলেছেন : যখন কোন এলাকায় প্লেগ বিস্তার করে এবং তোমরা সেখানে বিদ্যমান থাক, তবে সেখান থেকে বের হবে না। পক্ষান্তরে যখন তোমরা অন্য স্থানে থাক, তবে সেখানে যাবে না ।
7069 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ: ثنا عِكْرِمَةُ بْنُ خَالِدٍ الْمَخْزُومِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، أَوْ عَنْ عَمِّهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ: «إِذَا وَقَعَ الطَّاعُونُ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا , فَلَا تَخْرُجُوا مِنْهَا , وَإِذَا كُنْتُمْ بِغَيْرِهَا , فَلَا تَقْدُمُوا عَلَيْهَا»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭০৭০
রুগ্ন ব্যক্তি থেকে দূরে থাকতে হবে কিনা
৭০৭০। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ……. আমর ইবনুল আস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, সিরিয়া অঞ্চলে প্লেগ বিস্তার লাভ করলো। এতে আমর (রাযিঃ) বললেন, তোমরা এদিক ওদিক ছড়িয়ে পড়। কেননা এটা আযাব। এই সংবাদ শুরাহবীল ইবন হাসানা (রাযিঃ)-এর নিকট পৌঁছালে তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সোহবত গ্রহণ করেছি। আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন : এটা তোমাদের প্রতিপালকের রহমত, তোমাদের নবীর দু'আ এবং তোমাদের পূর্ববর্তী পূণ্যবান লোকদের মৃত্যু । সুতরাং এর জন্য তোমরা একত্রিত হও, বিক্ষিপ্ত হইও না । অনন্তর আমর (রাযিঃ) বললেন, তিনি সত্য বলেছেন।
তাঁরা (এই আলিমগণ) বলেন, এই সমস্ত হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নির্দেশ দিয়েছেন যে, প্লেগাক্রান্ত এলাকার দিকে যাবে না এবং এটা (নির্দেশ) এর থেকে ভয়ের কারণে।
তাদেরকে (উত্তরে) বলা হবে যে, তোমাদের বক্তব্যের সপক্ষে এতে কোন প্রমাণ নেই। কেননা যদি তা থেকে ভয়ের কারণে সেখানে (আক্রান্ত এলাকায়) না যাওয়ার নির্দেশ হতো, তা হলে তিনি সেখানকার অধিবাসীদেরকেও সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করতেন। কেননা তাদের উপর অনুরূপভাবে ভয় হতো যেভাবে অন্যদের উপর হয় । তাই যখন প্লেগাক্রান্ত এলাকা থেকে সেখানকার অধিবাসীদেরকে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে, এতে সাব্যস্ত হয়েছে যে, সেখানে তাদের যাওয়ার নিষিদ্ধতার কারণ তোমাদের মতাদর্শের পরিপন্থি।
যদি কেউ বলে যে, এর কারণ কি? তাকে (উত্তরে) বলা হবে যে, আল্লাহ্ই সর্বাধিক জ্ঞাত । কিন্তু আমাদের ধারণা হচ্ছে যে, সেখানে এজন্য যাবে না, হতে পারে আল্লাহ তা'আলার ইচ্ছায় সে এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়বে আর সে তখন বলবে, আমি যদি এই এলাকায় আগমন না করতাম তাহলে এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হতাম না। আবার এটারও সম্ভাবনা রয়েছে যে, যদি সে সেই জায়গায় অবস্থান করত, যেখান থেকে তা বেরিয়েছে, তখনো সে এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হতে পারত। সুতরাং এই আশংকায় তাকে সেখানে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। অনুরূপভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, যেখানে এই ব্যাধির বিস্তৃতি ঘটেছে, সেখান থেকে বের হবে না। কেননা হতে পারে সে এ থেকে নিরাপদ থাকবে এবং বলবে যে, আমি যদি সেখানেই অবস্থান করতাম তাহলে আমাকেও সেই ব্যাধি আক্রান্ত করত যা সেখানকার অধিবাসীদের আক্রান্ত করেছে। আবার এই সম্ভাবনাও রয়েছে যে, সেখানে অবস্থান করা অবস্থায়ও সে এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হতো না। সুতরাং এই কারণে যা আমরা বর্ণনা করেছি, প্লেগাক্রান্ত জায়গায় যেতে এবং তা থেকে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। অনুরূপভাবে যা আমরা এই অনুচ্ছেদের শুরুতে রিওয়ায়াত করেছি যে, রুগ্ন ব্যক্তিকে সুস্থ ব্যক্তির নিকট নিয়ে যাবে না। অতঃপর সুস্থ ব্যক্তি ঐ রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পড়বে। তখন যে ব্যক্তি তাকে নিয়ে এসেছে সে বলবে, আমি যদি তাকে এখানে নিয়ে না আসতাম তাহলে সে এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হতো না। হতে পারে যদি সে তাকে নিয়ে না আসত তখনো সে এর দ্বারা আক্রান্ত হতে পারত। যেমন নিয়ে আসার অবস্থায় আক্রান্ত হয়েছে। সুতরাং সুস্থ ব্যক্তিকে রুগ্ন ব্যক্তির নিকটে আনা থেকে এই কারণেই নিষেধ করা হয়েছে যে, এতে লোকদের অন্তরে এই ধারণা সৃষ্টি হওয়া এবং মুখে জারী হওয়ার আশংকা বিদ্যমান। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে ব্যাধি সংক্রামক না হওয়ার ব্যাপারে রিওয়ায়াত বর্ণিত আছে। যা নিম্নরূপ :
তাঁরা (এই আলিমগণ) বলেন, এই সমস্ত হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নির্দেশ দিয়েছেন যে, প্লেগাক্রান্ত এলাকার দিকে যাবে না এবং এটা (নির্দেশ) এর থেকে ভয়ের কারণে।
তাদেরকে (উত্তরে) বলা হবে যে, তোমাদের বক্তব্যের সপক্ষে এতে কোন প্রমাণ নেই। কেননা যদি তা থেকে ভয়ের কারণে সেখানে (আক্রান্ত এলাকায়) না যাওয়ার নির্দেশ হতো, তা হলে তিনি সেখানকার অধিবাসীদেরকেও সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করতেন। কেননা তাদের উপর অনুরূপভাবে ভয় হতো যেভাবে অন্যদের উপর হয় । তাই যখন প্লেগাক্রান্ত এলাকা থেকে সেখানকার অধিবাসীদেরকে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে, এতে সাব্যস্ত হয়েছে যে, সেখানে তাদের যাওয়ার নিষিদ্ধতার কারণ তোমাদের মতাদর্শের পরিপন্থি।
যদি কেউ বলে যে, এর কারণ কি? তাকে (উত্তরে) বলা হবে যে, আল্লাহ্ই সর্বাধিক জ্ঞাত । কিন্তু আমাদের ধারণা হচ্ছে যে, সেখানে এজন্য যাবে না, হতে পারে আল্লাহ তা'আলার ইচ্ছায় সে এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়বে আর সে তখন বলবে, আমি যদি এই এলাকায় আগমন না করতাম তাহলে এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হতাম না। আবার এটারও সম্ভাবনা রয়েছে যে, যদি সে সেই জায়গায় অবস্থান করত, যেখান থেকে তা বেরিয়েছে, তখনো সে এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হতে পারত। সুতরাং এই আশংকায় তাকে সেখানে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। অনুরূপভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, যেখানে এই ব্যাধির বিস্তৃতি ঘটেছে, সেখান থেকে বের হবে না। কেননা হতে পারে সে এ থেকে নিরাপদ থাকবে এবং বলবে যে, আমি যদি সেখানেই অবস্থান করতাম তাহলে আমাকেও সেই ব্যাধি আক্রান্ত করত যা সেখানকার অধিবাসীদের আক্রান্ত করেছে। আবার এই সম্ভাবনাও রয়েছে যে, সেখানে অবস্থান করা অবস্থায়ও সে এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হতো না। সুতরাং এই কারণে যা আমরা বর্ণনা করেছি, প্লেগাক্রান্ত জায়গায় যেতে এবং তা থেকে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। অনুরূপভাবে যা আমরা এই অনুচ্ছেদের শুরুতে রিওয়ায়াত করেছি যে, রুগ্ন ব্যক্তিকে সুস্থ ব্যক্তির নিকট নিয়ে যাবে না। অতঃপর সুস্থ ব্যক্তি ঐ রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পড়বে। তখন যে ব্যক্তি তাকে নিয়ে এসেছে সে বলবে, আমি যদি তাকে এখানে নিয়ে না আসতাম তাহলে সে এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হতো না। হতে পারে যদি সে তাকে নিয়ে না আসত তখনো সে এর দ্বারা আক্রান্ত হতে পারত। যেমন নিয়ে আসার অবস্থায় আক্রান্ত হয়েছে। সুতরাং সুস্থ ব্যক্তিকে রুগ্ন ব্যক্তির নিকটে আনা থেকে এই কারণেই নিষেধ করা হয়েছে যে, এতে লোকদের অন্তরে এই ধারণা সৃষ্টি হওয়া এবং মুখে জারী হওয়ার আশংকা বিদ্যমান। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে ব্যাধি সংক্রামক না হওয়ার ব্যাপারে রিওয়ায়াত বর্ণিত আছে। যা নিম্নরূপ :
7070 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ حُمَيْدٍ، قَالَ: سَمِعْتُ شُرَحْبِيلَ بْنَ حَسَنَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ: إِنَّ الطَّاعُونَ وَقَعَ بِالشَّامِ فَقَالَ عَمْرٌو: «تَفَرَّقُوا عَنْهُ فَإِنَّهُ رِجْزٌ» . فَبَلَغَ ذَلِكَ شُرَحْبِيلَ ابْنَ حَسَنَةَ فَقَالَ: قَدْ صَحِبْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: «إِنَّهَا رَحْمَةُ رَبِّكُمْ , وَدَعْوَةُ نَبِيِّكُمْ وَمَوْتُ الصَّالِحِينَ قَبْلَكُمْ , فَاجْتَمِعُوا لَهُ , وَلَا تَفَرَّقُوا عَلَيْهِ» فَقَالَ عَمْرٌو رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: «صَدَقَ» قَالُوا: فَقَدْ أَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذِهِ الْآثَارِ أَنْ لَا يُقْدَمَ عَلَى الطَّاعُونِ , وَذَلِكَ لِلْخَوْفِ مِنْهُ. قِيلَ لَهُمْ: مَا فِي هَذَا دَلِيلٌ عَلَى مَا ذَكَرْتُمْ , لِأَنَّهُ لَوْ كَانَ أَمَرَهُ بِتَرْكِ الْقُدُومِ لِلْخَوْفِ مِنْهُ , لَكَانَ يُطْلِقُ لِأَهْلِ [ص:307] الْمَوْضِعِ. الَّذِي. وَقَعَ فِيهِ أَيْضًا الْخُرُوجَ مِنْهُ , لِأَنَّ الْخَوْفَ عَلَيْهِمْ مِنْهُ , كَالْخَوْفِ عَلَى غَيْرِهِمْ. فَلَمَّا مَنَعَ أَهْلَ الْمَوْضِعِ الَّذِي وَقَعَ فِيهِ الطَّاعُونُ مِنَ الْخُرُوجِ مِنْهُ , ثَبَتَ أَنَّ الْمَعْنَى الَّذِي مِنْ أَجْلِهِ مَنَعَهُمْ مِنَ الْقُدُومِ , غَيْرُ الْمَعْنَى الَّذِي ذَهَبْتُمْ إِلَيْهِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَمَا مَعْنَى ذَلِكَ الْمَعْنَى؟ . قِيلَ لَهُ: هُوَ عِنْدَنَا , وَاللهُ أَعْلَمُ عَلَى أَنْ لَا يَقْدُمَ عَلَيْهِ رَجُلٌ , فَيُصِيبَهُ بِتَقْدِيرِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ عَلَيْهِ أَنْ يُصِيبَهُ فَيَقُولَ لَوْلَا أَنِّي قَدُمْتُ هَذِهِ الْأَرْضَ , مَا أَصَابَنِي هَذَا الْوَجَعُ وَلَعَلَّهُ لَوْ أَقَامَ فِي الْمَوْضِعِ الَّذِي خَرَجَ مِنْهُ لَأَصَابَهُ فَأُمِرَ أَنْ لَا يَقْدُمَهَا , خَوْفًا مِنْ هَذَا الْقَوْلِ. وَكَذَلِكَ أُمِرَ أَنْ لَا يَخْرُجَ مِنَ الْأَرْضِ الَّتِي نَزَلَ بِهَا , لِئَلَّا يَسْلَمَ فَيَقُولَ لَوْ أَقَمْتُ فِي تِلْكَ الْأَرْضِ , لَأَصَابَنِي مَا أَصَابَ أَهْلَهَا وَلَعَلَّهُ لَوْ كَانَ أَقَامَ بِهَا , مَا أَصَابَ بِهِ مِنْ ذَلِكَ شَيْءٌ. فَأُمِرَ بِتَرْكِ الْقُدُومِ عَلَى الطَّاعُونِ , لِلْمَعْنَى الَّذِي وَصَفْنَا , وَبِتَرْكِ الْخُرُوجِ عَنْهُ , لِلْمَعْنَى الَّذِي ذَكَرْنَا. وَكَذَلِكَ مَا رَوَيْنَا عَنْهُ فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ , مِنْ قَوْلِهِ لَا يُورِدُ مُمْرِضٌ عَلَى مُصِحٍّ فَيُصِيبُ الْمُصِحَّ ذَلِكَ الْمَرَضُ , فَيَقُولُ الَّذِي أَوْرَدَهُ عَلَيْهِ لَوْ أَنِّي لَمْ أُورِدْهُ عَلَيْهِ , لَمْ يُصِبْهُ مِنْ هَذَا الْمَرَضِ شَيْءٌ وَلَعَلَّهُ لَوْ لَمْ يُورِدْهُ أَيْضًا لَأَصَابَهُ كَمَا أَصَابَهُ لَمَّا أَوْرَدَهُ. فَأُمِرَ بِتَرْكِ إِيرَادِهِ وَهُوَ صَحِيحٌ , عَلَى مَا هُوَ مَرِيضٌ , لِهَذِهِ الْعِلَّةِ الَّتِي لَا يُؤْمَنُ عَلَى النَّاسِ وُقُوعُهَا فِي قُلُوبِهِمْ وَقَوْلِهِمْ , مَا ذَكَرْنَا بِأَلْسِنَتِهِمْ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي نَفْيِ الْإِعْدَاءِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭০৭১
আন্তর্জাতিক নং: ৭০৭২
রুগ্ন ব্যক্তি থেকে দূরে থাকতে হবে কিনা
৭০৭১-৭২। মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাহঃ) ….. হাযরামী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, সাঈদ ইবন মুসায়্যিব (রাহঃ) বলেন, আমি সাঈদ (রাযিঃ)-কে শুভাশুভ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি। তিনি আমাকে ধমক দিলেন এবং বললেন, তোমাকে কে বর্ণনা করেছে? আমি তাকে বলাটা পছন্দ করি নাই । অনন্তর তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি । তিনি বলেছেন : সংক্রমণতা কিছু নেই, শুভাশুভও কিছু নেই ।
ইবন মারযূক (রাহঃ) …... ইয়াহইয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণিত অতঃপর তিনি স্বীয় ইসনাদে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। এবং তিনি এটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, পেঁচা (-র কারণে অমঙ্গল) কিছু নেই।
ইবন মারযূক (রাহঃ) …... ইয়াহইয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণিত অতঃপর তিনি স্বীয় ইসনাদে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। এবং তিনি এটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, পেঁচা (-র কারণে অমঙ্গল) কিছু নেই।
7071 - مَا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا مُسَدَّدٌ , قَالَ: ثنا يَحْيَى , عَنْ هِشَامٍ , عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ , عَنِ الْحَضْرَمِيِّ , أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيِّبِ قَالَ: سَأَلْتُ سَعْدًا عَنِ الطِّيَرَةِ , فَانْتَهَرَنِي وَقَالَ مَنْ حَدَّثَكَ؟ فَكَرِهْتُ أَنْ أُحَدِّثَهُ. فَقَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا عَدْوَى وَلَا طِيَرَةَ»
7072 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا حِبَّانُ، قَالَ: ثنا أَبَانُ، قَالَ: ثنا يَحْيَى، فَذَكَرَهُ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , وَزَادَ وَلَا هَامَةَ
7072 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا حِبَّانُ، قَالَ: ثنا أَبَانُ، قَالَ: ثنا يَحْيَى، فَذَكَرَهُ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , وَزَادَ وَلَا هَامَةَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭০৭২
empty
৭০৭২।
7072 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান