শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২১. মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা
হাদীস নং: ৭০৭০
রুগ্ন ব্যক্তি থেকে দূরে থাকতে হবে কিনা
৭০৭০। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ……. আমর ইবনুল আস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, সিরিয়া অঞ্চলে প্লেগ বিস্তার লাভ করলো। এতে আমর (রাযিঃ) বললেন, তোমরা এদিক ওদিক ছড়িয়ে পড়। কেননা এটা আযাব। এই সংবাদ শুরাহবীল ইবন হাসানা (রাযিঃ)-এর নিকট পৌঁছালে তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সোহবত গ্রহণ করেছি। আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন : এটা তোমাদের প্রতিপালকের রহমত, তোমাদের নবীর দু'আ এবং তোমাদের পূর্ববর্তী পূণ্যবান লোকদের মৃত্যু । সুতরাং এর জন্য তোমরা একত্রিত হও, বিক্ষিপ্ত হইও না । অনন্তর আমর (রাযিঃ) বললেন, তিনি সত্য বলেছেন।
তাঁরা (এই আলিমগণ) বলেন, এই সমস্ত হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নির্দেশ দিয়েছেন যে, প্লেগাক্রান্ত এলাকার দিকে যাবে না এবং এটা (নির্দেশ) এর থেকে ভয়ের কারণে।
তাদেরকে (উত্তরে) বলা হবে যে, তোমাদের বক্তব্যের সপক্ষে এতে কোন প্রমাণ নেই। কেননা যদি তা থেকে ভয়ের কারণে সেখানে (আক্রান্ত এলাকায়) না যাওয়ার নির্দেশ হতো, তা হলে তিনি সেখানকার অধিবাসীদেরকেও সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করতেন। কেননা তাদের উপর অনুরূপভাবে ভয় হতো যেভাবে অন্যদের উপর হয় । তাই যখন প্লেগাক্রান্ত এলাকা থেকে সেখানকার অধিবাসীদেরকে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে, এতে সাব্যস্ত হয়েছে যে, সেখানে তাদের যাওয়ার নিষিদ্ধতার কারণ তোমাদের মতাদর্শের পরিপন্থি।
যদি কেউ বলে যে, এর কারণ কি? তাকে (উত্তরে) বলা হবে যে, আল্লাহ্ই সর্বাধিক জ্ঞাত । কিন্তু আমাদের ধারণা হচ্ছে যে, সেখানে এজন্য যাবে না, হতে পারে আল্লাহ তা'আলার ইচ্ছায় সে এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়বে আর সে তখন বলবে, আমি যদি এই এলাকায় আগমন না করতাম তাহলে এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হতাম না। আবার এটারও সম্ভাবনা রয়েছে যে, যদি সে সেই জায়গায় অবস্থান করত, যেখান থেকে তা বেরিয়েছে, তখনো সে এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হতে পারত। সুতরাং এই আশংকায় তাকে সেখানে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। অনুরূপভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, যেখানে এই ব্যাধির বিস্তৃতি ঘটেছে, সেখান থেকে বের হবে না। কেননা হতে পারে সে এ থেকে নিরাপদ থাকবে এবং বলবে যে, আমি যদি সেখানেই অবস্থান করতাম তাহলে আমাকেও সেই ব্যাধি আক্রান্ত করত যা সেখানকার অধিবাসীদের আক্রান্ত করেছে। আবার এই সম্ভাবনাও রয়েছে যে, সেখানে অবস্থান করা অবস্থায়ও সে এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হতো না। সুতরাং এই কারণে যা আমরা বর্ণনা করেছি, প্লেগাক্রান্ত জায়গায় যেতে এবং তা থেকে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। অনুরূপভাবে যা আমরা এই অনুচ্ছেদের শুরুতে রিওয়ায়াত করেছি যে, রুগ্ন ব্যক্তিকে সুস্থ ব্যক্তির নিকট নিয়ে যাবে না। অতঃপর সুস্থ ব্যক্তি ঐ রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পড়বে। তখন যে ব্যক্তি তাকে নিয়ে এসেছে সে বলবে, আমি যদি তাকে এখানে নিয়ে না আসতাম তাহলে সে এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হতো না। হতে পারে যদি সে তাকে নিয়ে না আসত তখনো সে এর দ্বারা আক্রান্ত হতে পারত। যেমন নিয়ে আসার অবস্থায় আক্রান্ত হয়েছে। সুতরাং সুস্থ ব্যক্তিকে রুগ্ন ব্যক্তির নিকটে আনা থেকে এই কারণেই নিষেধ করা হয়েছে যে, এতে লোকদের অন্তরে এই ধারণা সৃষ্টি হওয়া এবং মুখে জারী হওয়ার আশংকা বিদ্যমান। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে ব্যাধি সংক্রামক না হওয়ার ব্যাপারে রিওয়ায়াত বর্ণিত আছে। যা নিম্নরূপ :
তাঁরা (এই আলিমগণ) বলেন, এই সমস্ত হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নির্দেশ দিয়েছেন যে, প্লেগাক্রান্ত এলাকার দিকে যাবে না এবং এটা (নির্দেশ) এর থেকে ভয়ের কারণে।
তাদেরকে (উত্তরে) বলা হবে যে, তোমাদের বক্তব্যের সপক্ষে এতে কোন প্রমাণ নেই। কেননা যদি তা থেকে ভয়ের কারণে সেখানে (আক্রান্ত এলাকায়) না যাওয়ার নির্দেশ হতো, তা হলে তিনি সেখানকার অধিবাসীদেরকেও সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করতেন। কেননা তাদের উপর অনুরূপভাবে ভয় হতো যেভাবে অন্যদের উপর হয় । তাই যখন প্লেগাক্রান্ত এলাকা থেকে সেখানকার অধিবাসীদেরকে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে, এতে সাব্যস্ত হয়েছে যে, সেখানে তাদের যাওয়ার নিষিদ্ধতার কারণ তোমাদের মতাদর্শের পরিপন্থি।
যদি কেউ বলে যে, এর কারণ কি? তাকে (উত্তরে) বলা হবে যে, আল্লাহ্ই সর্বাধিক জ্ঞাত । কিন্তু আমাদের ধারণা হচ্ছে যে, সেখানে এজন্য যাবে না, হতে পারে আল্লাহ তা'আলার ইচ্ছায় সে এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়বে আর সে তখন বলবে, আমি যদি এই এলাকায় আগমন না করতাম তাহলে এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হতাম না। আবার এটারও সম্ভাবনা রয়েছে যে, যদি সে সেই জায়গায় অবস্থান করত, যেখান থেকে তা বেরিয়েছে, তখনো সে এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হতে পারত। সুতরাং এই আশংকায় তাকে সেখানে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। অনুরূপভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, যেখানে এই ব্যাধির বিস্তৃতি ঘটেছে, সেখান থেকে বের হবে না। কেননা হতে পারে সে এ থেকে নিরাপদ থাকবে এবং বলবে যে, আমি যদি সেখানেই অবস্থান করতাম তাহলে আমাকেও সেই ব্যাধি আক্রান্ত করত যা সেখানকার অধিবাসীদের আক্রান্ত করেছে। আবার এই সম্ভাবনাও রয়েছে যে, সেখানে অবস্থান করা অবস্থায়ও সে এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হতো না। সুতরাং এই কারণে যা আমরা বর্ণনা করেছি, প্লেগাক্রান্ত জায়গায় যেতে এবং তা থেকে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। অনুরূপভাবে যা আমরা এই অনুচ্ছেদের শুরুতে রিওয়ায়াত করেছি যে, রুগ্ন ব্যক্তিকে সুস্থ ব্যক্তির নিকট নিয়ে যাবে না। অতঃপর সুস্থ ব্যক্তি ঐ রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পড়বে। তখন যে ব্যক্তি তাকে নিয়ে এসেছে সে বলবে, আমি যদি তাকে এখানে নিয়ে না আসতাম তাহলে সে এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হতো না। হতে পারে যদি সে তাকে নিয়ে না আসত তখনো সে এর দ্বারা আক্রান্ত হতে পারত। যেমন নিয়ে আসার অবস্থায় আক্রান্ত হয়েছে। সুতরাং সুস্থ ব্যক্তিকে রুগ্ন ব্যক্তির নিকটে আনা থেকে এই কারণেই নিষেধ করা হয়েছে যে, এতে লোকদের অন্তরে এই ধারণা সৃষ্টি হওয়া এবং মুখে জারী হওয়ার আশংকা বিদ্যমান। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে ব্যাধি সংক্রামক না হওয়ার ব্যাপারে রিওয়ায়াত বর্ণিত আছে। যা নিম্নরূপ :
7070 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ حُمَيْدٍ، قَالَ: سَمِعْتُ شُرَحْبِيلَ بْنَ حَسَنَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ: إِنَّ الطَّاعُونَ وَقَعَ بِالشَّامِ فَقَالَ عَمْرٌو: «تَفَرَّقُوا عَنْهُ فَإِنَّهُ رِجْزٌ» . فَبَلَغَ ذَلِكَ شُرَحْبِيلَ ابْنَ حَسَنَةَ فَقَالَ: قَدْ صَحِبْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: «إِنَّهَا رَحْمَةُ رَبِّكُمْ , وَدَعْوَةُ نَبِيِّكُمْ وَمَوْتُ الصَّالِحِينَ قَبْلَكُمْ , فَاجْتَمِعُوا لَهُ , وَلَا تَفَرَّقُوا عَلَيْهِ» فَقَالَ عَمْرٌو رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: «صَدَقَ» قَالُوا: فَقَدْ أَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذِهِ الْآثَارِ أَنْ لَا يُقْدَمَ عَلَى الطَّاعُونِ , وَذَلِكَ لِلْخَوْفِ مِنْهُ. قِيلَ لَهُمْ: مَا فِي هَذَا دَلِيلٌ عَلَى مَا ذَكَرْتُمْ , لِأَنَّهُ لَوْ كَانَ أَمَرَهُ بِتَرْكِ الْقُدُومِ لِلْخَوْفِ مِنْهُ , لَكَانَ يُطْلِقُ لِأَهْلِ [ص:307] الْمَوْضِعِ. الَّذِي. وَقَعَ فِيهِ أَيْضًا الْخُرُوجَ مِنْهُ , لِأَنَّ الْخَوْفَ عَلَيْهِمْ مِنْهُ , كَالْخَوْفِ عَلَى غَيْرِهِمْ. فَلَمَّا مَنَعَ أَهْلَ الْمَوْضِعِ الَّذِي وَقَعَ فِيهِ الطَّاعُونُ مِنَ الْخُرُوجِ مِنْهُ , ثَبَتَ أَنَّ الْمَعْنَى الَّذِي مِنْ أَجْلِهِ مَنَعَهُمْ مِنَ الْقُدُومِ , غَيْرُ الْمَعْنَى الَّذِي ذَهَبْتُمْ إِلَيْهِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَمَا مَعْنَى ذَلِكَ الْمَعْنَى؟ . قِيلَ لَهُ: هُوَ عِنْدَنَا , وَاللهُ أَعْلَمُ عَلَى أَنْ لَا يَقْدُمَ عَلَيْهِ رَجُلٌ , فَيُصِيبَهُ بِتَقْدِيرِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ عَلَيْهِ أَنْ يُصِيبَهُ فَيَقُولَ لَوْلَا أَنِّي قَدُمْتُ هَذِهِ الْأَرْضَ , مَا أَصَابَنِي هَذَا الْوَجَعُ وَلَعَلَّهُ لَوْ أَقَامَ فِي الْمَوْضِعِ الَّذِي خَرَجَ مِنْهُ لَأَصَابَهُ فَأُمِرَ أَنْ لَا يَقْدُمَهَا , خَوْفًا مِنْ هَذَا الْقَوْلِ. وَكَذَلِكَ أُمِرَ أَنْ لَا يَخْرُجَ مِنَ الْأَرْضِ الَّتِي نَزَلَ بِهَا , لِئَلَّا يَسْلَمَ فَيَقُولَ لَوْ أَقَمْتُ فِي تِلْكَ الْأَرْضِ , لَأَصَابَنِي مَا أَصَابَ أَهْلَهَا وَلَعَلَّهُ لَوْ كَانَ أَقَامَ بِهَا , مَا أَصَابَ بِهِ مِنْ ذَلِكَ شَيْءٌ. فَأُمِرَ بِتَرْكِ الْقُدُومِ عَلَى الطَّاعُونِ , لِلْمَعْنَى الَّذِي وَصَفْنَا , وَبِتَرْكِ الْخُرُوجِ عَنْهُ , لِلْمَعْنَى الَّذِي ذَكَرْنَا. وَكَذَلِكَ مَا رَوَيْنَا عَنْهُ فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ , مِنْ قَوْلِهِ لَا يُورِدُ مُمْرِضٌ عَلَى مُصِحٍّ فَيُصِيبُ الْمُصِحَّ ذَلِكَ الْمَرَضُ , فَيَقُولُ الَّذِي أَوْرَدَهُ عَلَيْهِ لَوْ أَنِّي لَمْ أُورِدْهُ عَلَيْهِ , لَمْ يُصِبْهُ مِنْ هَذَا الْمَرَضِ شَيْءٌ وَلَعَلَّهُ لَوْ لَمْ يُورِدْهُ أَيْضًا لَأَصَابَهُ كَمَا أَصَابَهُ لَمَّا أَوْرَدَهُ. فَأُمِرَ بِتَرْكِ إِيرَادِهِ وَهُوَ صَحِيحٌ , عَلَى مَا هُوَ مَرِيضٌ , لِهَذِهِ الْعِلَّةِ الَّتِي لَا يُؤْمَنُ عَلَى النَّاسِ وُقُوعُهَا فِي قُلُوبِهِمْ وَقَوْلِهِمْ , مَا ذَكَرْنَا بِأَلْسِنَتِهِمْ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي نَفْيِ الْإِعْدَاءِ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
'তাউন' প্লেগরোগকেও বলে আবার অন্য যে-কোনও মহামারিকেও বলে, যেমন কলেরা, বসন্ত ইত্যাদি। এ হাদীছে তা'ঊন দ্বারা বিশেষভাবে প্লেগরোগও বোঝানো হতে পারে, আবার অন্যান্য যে-কোনও মহামারিও। এতে আক্রান্ত হয়ে যেহেতু গণহারে মানুষের মৃত্যু ঘটে, তাই আম্মাজান হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রাযি. জানতে চাইলেন, এ রোগ কেন দেখা দেয়? তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানালেন, আগে এ রোগ ছিল আল্লাহ তা'আলার এক আযাব, যা কাফির-পাপাচারীদের উপর পাঠানো হত। মানুষ যখন ব্যাপকভাবে পাপাচারে লিপ্ত হত, তখন এ আযাব দিয়ে তাদের ধ্বংস করে দেওয়া হত। কিন্তু আল্লাহ তাআলা তাঁর খাস দয়ায় এই উম্মতের জন্যে এরকম রোগ-ব্যাধিকে রহমত বানিয়ে দিয়েছেন। ফলে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা গেলে সে শহীদের মর্যাদা লাভ করবে। তবে শর্ত হল, তাকে বিশ্বাস রাখতে হবে আল্লাহ তা'আলা তার তাকদীরে যা লিখে রেখেছেন, ঘটবে কেবল তাই। যদি এ রোগে তার মৃত্যু লেখা হয়ে থাকে, তবে কোনও উপায়ই সে এ থেকে মুক্তি পাবে না। আর যদি এতে তার মৃত্যু লেখা না হয়, তবে আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও এতে তার মৃত্যু ঘটবে না। সেইসংগে ছওয়াবের আশায় ধৈর্যসহকারে আপন জায়গায় অবস্থান করতে হবে। নিজ এলাকা ছেড়ে অন্য কোথাও পালাবে না। তো যেহেতু মু'মিন ব্যক্তি তা'উনের বিনিময়ে আখিরাতে পুরস্কারপ্রাপ্ত হবে, সে কারণে তার পক্ষে এ রোগকে রহমত বলা হয়েছে। এক হাদীছে আছে-
الطاعونُ شَهَادَةٌ لِكُلِّ مُسْلِمٍ
‘তাউন প্রত্যেক মুসলিমের জন্যে শাহাদাত।
অন্য এক হাদীছে আছে-
الْمَطْعُونُ شَهِيدٌ
'তাউনে আক্রান্ত ব্যক্তি শহীদ'
পক্ষান্তরে কাফিরের জন্য এটা আযাব। সে মৃত্যুর আগে দুনিয়াতেই এ আযাব ভোগ করে। আখিরাতের আযাব তো রয়েছেই। এ উম্মতের মধ্যে যারা গুনাহগার অর্থাৎ যারা কবীরা গুনাহে লিপ্ত থাকে, তাদের জন্যও কি প্লেগ রোগ রহমত এবং এতে মৃত্যু হলে কি তারাও শহীদের মর্যাদা পাবে? এ ব্যাপারে দু'রকম মতই আছে। কারও মতে তারা শহীদের মর্যাদা পাবে না এবং কারও মতে পাবে। তবে এ ব্যাপারে সঠিক কথা এই যে, ফাসিক ব্যক্তি প্লেগে আক্রান্ত হয়ে সবর অবলম্বন করলে সে এর বিনিময়ে ছওয়াবের অধিকারী হবে এবং তার গুনাহও মাফ হবে, হয়তো শহীদ বলেও গণ্য হবে, তবে পূর্ণাঙ্গ মু'মিনের মত সমপর্যায়ের শহীদ সে গণ্য হবে না। শহীদী মর্যাদা লাভের জন্যে একটি শর্ত বলা হয়েছে, ছওয়াব লাভের আশায় ধৈর্যসহকারে নিজ শহরে অবস্থান করতে হবে। যে এলাকায় প্লেগ দেখা দেয় সংখ্যাগরিষ্ঠ ‘উলামায়ে কিরামের মতে মৃত্যুভয়ে সে এলাকা থেকে পালানো জায়েয নয় কেননা ঘটবে তো তাই, যা তাকদীরে আছে। তাকদীরে যা আছে তা থেকে বাঁচার সাধ্য কারও নেই। পালাতে গেলে তাকদীর থেকে বাঁচার ব্যর্থ চেষ্টা হবে মাত্র। এরকম চেষ্টা তাকদীরের প্রতি বিশ্বাসকে দুর্বল করে দেয়। তাই এটা জায়েয নয়। এরূপ পলায়ন জিহাদের ময়দান থেকে পলায়নতুল্য, যা নাজায়েয ও কঠিন গুনাহ। এক হাদীছে আছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
إذا سمعتم بالطاعون في أرض فلا تَدْخُلُوهَا، وَإِذا وقع بأرض و أنتم بها فلا تخرُجُوا مِنْهَا.
'যখন কোনও এলাকায় তা'ঊন দেখা দিয়েছে বলে জানতে পার, তখন সেখানে প্রবেশ করো না। আর তুমি যেখানে অবস্থান করছ, সেখানে তা'উন দেখা দিলে সেখান থেকে পলায়ন করো না।
মহামারি-কবলিত এলাকায় প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে এ কারণে যে, এর ফলে তাকদীরে বিশ্বাস ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশংকা থাকে। মূলত ঘটবে তো তাই, যা তাকদীরে আছে। কিন্তু সেখানে প্রবেশ করার পর প্লেগে আক্রান্ত হলে তার মনে এই বিশ্বাস জন্মাতে পারে যে, এখানে প্রবেশ করার কারণেই সে প্লেগে আক্রান্ত হয়েছে। প্রবেশ না করলে আক্রান্ত হত না। এটা তাকদীরে বিশ্বাসের পরিপন্থী। এ কারণেই সতর্কতাস্বরূপ মহামারি-কবলিত এলাকায় প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে। তাছাড়া তাকদীরে বিশ্বাসের সংগে সংগে বান্দাকে সতর্ক জীবনযাপনেরও হুকুম দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ বান্দা বিশ্বাস তো রাখবে এই যে, তাকদীরে যা আছে কেবল তাই হবে, তবে দুনিয়া যেহেতু আসবাব-উপকরণের স্থান, তাই যেসকল আসবাব-উপকরণের সংগে নিরাপত্তার সম্পর্ক, তা অবলম্বন করবে আর যা-কিছু দ্বারা শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশংকা থাকে, তা থেকে দূরে থাকবে। এ প্রসঙ্গে হযরত ‘উমর ফারূক রাযি.- এর ফিলিস্তীন সফরের ঘটনা উল্লেখযোগ্য।
হিজরী ১৮ সালে হযরত উমর ফারূক রাযি. ফিলিস্তীন এলাকায় সফরের উদ্দেশ্যে বের হন। তিনি যখন 'সারগ' নামক স্থানে পৌঁছান, তখন ওই এলাকার মুসলিম সেনাপতিগণ তাঁর সংগে সাক্ষাত করেন এবং তাঁকে জানান যে, সমগ্র শাম এলাকায় মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে। তখন তিনি প্রথমদিকের মুহাজিরগণকে ডাকালেন এবং তাদের নিয়ে পরামর্শে বসলেন। তিনি তাদের জিজ্ঞেস করলেন, এখন আমাদের করণীয় কী? আমরা কি সামনে অগ্রসর হব, না মদীনায় ফিরে যাব? কেউ কেউ বললেন, আমরা যেহেতু একটা উদ্দেশ্যে বের হয়েছি, তখন আমাদের ফিরে যাওয়া উচিত হবে না। আবার অনেকে বললেন, ইতোমধ্যে কত সাহাবী মারা গেছেন, আপনার সংগে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবশিষ্ট সাহাবীগণ রয়েছেন। আমাদের মত, আপনি মদীনায় ফিরে যান। মহামারির ভেতর ঢুকবেন না। এভাবে মতভেদ দেখা দিলে তিনি আনসারগণকে ডাকালেন। তাদের মধ্যেও মুহাজিরদের মত মতভিন্নতা দেখা দিল। শেষে তিনি প্রবীণ কুরায়শ মুহাজিরগণকে ডাকলেন। তারা সবাই একমত হয়ে বললেন, আপনি মহামারি-কবলিত এলাকার দিকে অগ্রসর হবেন না। আপনি লোকজন নিয়ে মদীনায় ফিরে যান। তখন হযরত 'উমর ফারুক রাখি ঘোষণা দিলেন, ঠিক আছে আমি মদীনায় ফিরে যাচ্ছি। এ কথা শুনে ফিলিস্তীন এলাকার প্রধান সেনাপতি বিখ্যাত সাহাবী 'উবাইদা ইবনুল জাররাহ রাযি. বললেন, তাকদীর থেকে পলায়ন? হযরত ফারূক রাযি. বললেন, আহা আবূ উবাইদা, এ কথা যদি আপনি ছাড়া অন্য কেউ হযরত আবূ বলত! আমরা তাকদীর থেকে তাকদীরের দিকেই ফিরে যাচ্ছি। আচ্ছা আপনি বলুন তো, একটি উপত্যকার দুই প্রান্ত আছে, যার একপ্রান্ত খরাকবলিত, অন্য প্রান্ত সবুজ- শ্যামল। আপনি আপনার উটগুলোকে কোন প্রান্তে চড়াবেন? যদি খরাকবলিত প্রান্তে চড়ান, তা যেমন তাকদীর অনুযায়ী হবে, তেমনি সবুজ-শ্যামল প্রান্তে চড়ালেও কি তা তাকদীর অনুযায়ী হবে না? ঠিক এ সময় সুবিখ্যাত ও বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুর রহমান ইবন 'আওফ রাযি. এসে উপস্থিত হলেন। সব শুনে তিনি বললেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা আছে। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তোমরা যখন কোনও এলাকায় মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে বলে খবর পাও, তখন সেই এলাকায় গমন করো না। আর তোমরা যেখানে অবস্থান করছ, সেখানে মহামারি দেখা দিলে পালানোর উদ্দেশ্যে সেখান থেকে বের হয়ে যেও না। এ হাদীছ শুনে হযরত উমর ফারূক রাযি. আল্লাহ তা'আলার শোকর আদায় করলেন, তারপর মদীনার উদ্দেশ্যে ফিরে চললেন।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছ দ্বারাও সবরের ফযীলত জানা গেল।
খ. এ উম্মতের উপর আল্লাহ তা'আলা যে কত বড় দয়াবান, এ হাদীছ দ্বারা তা উপলব্ধি করা যায়। অন্যসব জাতির জন্য যে তা'উন ছিল আযাব, এ উম্মতের পক্ষে তাকে কেমন রহমতে পরিণত করলেন!
গ. এ হাদীছ দ্বারা এ শিক্ষাও পাওয়া গেল যে, রোগ-ব্যাধি ও বালা-মসিবতকে অকল্যাণ মনে করা উচিত নয়। এর মধ্যেও বান্দার পক্ষে বিশেষ বিশেষ কল্যাণ নিহিত থাকে। সবর অবলম্বন করলে সে কল্যাণ লাভ করা যায়।
الطاعونُ شَهَادَةٌ لِكُلِّ مُسْلِمٍ
‘তাউন প্রত্যেক মুসলিমের জন্যে শাহাদাত।
অন্য এক হাদীছে আছে-
الْمَطْعُونُ شَهِيدٌ
'তাউনে আক্রান্ত ব্যক্তি শহীদ'
পক্ষান্তরে কাফিরের জন্য এটা আযাব। সে মৃত্যুর আগে দুনিয়াতেই এ আযাব ভোগ করে। আখিরাতের আযাব তো রয়েছেই। এ উম্মতের মধ্যে যারা গুনাহগার অর্থাৎ যারা কবীরা গুনাহে লিপ্ত থাকে, তাদের জন্যও কি প্লেগ রোগ রহমত এবং এতে মৃত্যু হলে কি তারাও শহীদের মর্যাদা পাবে? এ ব্যাপারে দু'রকম মতই আছে। কারও মতে তারা শহীদের মর্যাদা পাবে না এবং কারও মতে পাবে। তবে এ ব্যাপারে সঠিক কথা এই যে, ফাসিক ব্যক্তি প্লেগে আক্রান্ত হয়ে সবর অবলম্বন করলে সে এর বিনিময়ে ছওয়াবের অধিকারী হবে এবং তার গুনাহও মাফ হবে, হয়তো শহীদ বলেও গণ্য হবে, তবে পূর্ণাঙ্গ মু'মিনের মত সমপর্যায়ের শহীদ সে গণ্য হবে না। শহীদী মর্যাদা লাভের জন্যে একটি শর্ত বলা হয়েছে, ছওয়াব লাভের আশায় ধৈর্যসহকারে নিজ শহরে অবস্থান করতে হবে। যে এলাকায় প্লেগ দেখা দেয় সংখ্যাগরিষ্ঠ ‘উলামায়ে কিরামের মতে মৃত্যুভয়ে সে এলাকা থেকে পালানো জায়েয নয় কেননা ঘটবে তো তাই, যা তাকদীরে আছে। তাকদীরে যা আছে তা থেকে বাঁচার সাধ্য কারও নেই। পালাতে গেলে তাকদীর থেকে বাঁচার ব্যর্থ চেষ্টা হবে মাত্র। এরকম চেষ্টা তাকদীরের প্রতি বিশ্বাসকে দুর্বল করে দেয়। তাই এটা জায়েয নয়। এরূপ পলায়ন জিহাদের ময়দান থেকে পলায়নতুল্য, যা নাজায়েয ও কঠিন গুনাহ। এক হাদীছে আছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
إذا سمعتم بالطاعون في أرض فلا تَدْخُلُوهَا، وَإِذا وقع بأرض و أنتم بها فلا تخرُجُوا مِنْهَا.
'যখন কোনও এলাকায় তা'ঊন দেখা দিয়েছে বলে জানতে পার, তখন সেখানে প্রবেশ করো না। আর তুমি যেখানে অবস্থান করছ, সেখানে তা'উন দেখা দিলে সেখান থেকে পলায়ন করো না।
মহামারি-কবলিত এলাকায় প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে এ কারণে যে, এর ফলে তাকদীরে বিশ্বাস ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশংকা থাকে। মূলত ঘটবে তো তাই, যা তাকদীরে আছে। কিন্তু সেখানে প্রবেশ করার পর প্লেগে আক্রান্ত হলে তার মনে এই বিশ্বাস জন্মাতে পারে যে, এখানে প্রবেশ করার কারণেই সে প্লেগে আক্রান্ত হয়েছে। প্রবেশ না করলে আক্রান্ত হত না। এটা তাকদীরে বিশ্বাসের পরিপন্থী। এ কারণেই সতর্কতাস্বরূপ মহামারি-কবলিত এলাকায় প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে। তাছাড়া তাকদীরে বিশ্বাসের সংগে সংগে বান্দাকে সতর্ক জীবনযাপনেরও হুকুম দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ বান্দা বিশ্বাস তো রাখবে এই যে, তাকদীরে যা আছে কেবল তাই হবে, তবে দুনিয়া যেহেতু আসবাব-উপকরণের স্থান, তাই যেসকল আসবাব-উপকরণের সংগে নিরাপত্তার সম্পর্ক, তা অবলম্বন করবে আর যা-কিছু দ্বারা শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশংকা থাকে, তা থেকে দূরে থাকবে। এ প্রসঙ্গে হযরত ‘উমর ফারূক রাযি.- এর ফিলিস্তীন সফরের ঘটনা উল্লেখযোগ্য।
হিজরী ১৮ সালে হযরত উমর ফারূক রাযি. ফিলিস্তীন এলাকায় সফরের উদ্দেশ্যে বের হন। তিনি যখন 'সারগ' নামক স্থানে পৌঁছান, তখন ওই এলাকার মুসলিম সেনাপতিগণ তাঁর সংগে সাক্ষাত করেন এবং তাঁকে জানান যে, সমগ্র শাম এলাকায় মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে। তখন তিনি প্রথমদিকের মুহাজিরগণকে ডাকালেন এবং তাদের নিয়ে পরামর্শে বসলেন। তিনি তাদের জিজ্ঞেস করলেন, এখন আমাদের করণীয় কী? আমরা কি সামনে অগ্রসর হব, না মদীনায় ফিরে যাব? কেউ কেউ বললেন, আমরা যেহেতু একটা উদ্দেশ্যে বের হয়েছি, তখন আমাদের ফিরে যাওয়া উচিত হবে না। আবার অনেকে বললেন, ইতোমধ্যে কত সাহাবী মারা গেছেন, আপনার সংগে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবশিষ্ট সাহাবীগণ রয়েছেন। আমাদের মত, আপনি মদীনায় ফিরে যান। মহামারির ভেতর ঢুকবেন না। এভাবে মতভেদ দেখা দিলে তিনি আনসারগণকে ডাকালেন। তাদের মধ্যেও মুহাজিরদের মত মতভিন্নতা দেখা দিল। শেষে তিনি প্রবীণ কুরায়শ মুহাজিরগণকে ডাকলেন। তারা সবাই একমত হয়ে বললেন, আপনি মহামারি-কবলিত এলাকার দিকে অগ্রসর হবেন না। আপনি লোকজন নিয়ে মদীনায় ফিরে যান। তখন হযরত 'উমর ফারুক রাখি ঘোষণা দিলেন, ঠিক আছে আমি মদীনায় ফিরে যাচ্ছি। এ কথা শুনে ফিলিস্তীন এলাকার প্রধান সেনাপতি বিখ্যাত সাহাবী 'উবাইদা ইবনুল জাররাহ রাযি. বললেন, তাকদীর থেকে পলায়ন? হযরত ফারূক রাযি. বললেন, আহা আবূ উবাইদা, এ কথা যদি আপনি ছাড়া অন্য কেউ হযরত আবূ বলত! আমরা তাকদীর থেকে তাকদীরের দিকেই ফিরে যাচ্ছি। আচ্ছা আপনি বলুন তো, একটি উপত্যকার দুই প্রান্ত আছে, যার একপ্রান্ত খরাকবলিত, অন্য প্রান্ত সবুজ- শ্যামল। আপনি আপনার উটগুলোকে কোন প্রান্তে চড়াবেন? যদি খরাকবলিত প্রান্তে চড়ান, তা যেমন তাকদীর অনুযায়ী হবে, তেমনি সবুজ-শ্যামল প্রান্তে চড়ালেও কি তা তাকদীর অনুযায়ী হবে না? ঠিক এ সময় সুবিখ্যাত ও বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুর রহমান ইবন 'আওফ রাযি. এসে উপস্থিত হলেন। সব শুনে তিনি বললেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা আছে। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তোমরা যখন কোনও এলাকায় মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে বলে খবর পাও, তখন সেই এলাকায় গমন করো না। আর তোমরা যেখানে অবস্থান করছ, সেখানে মহামারি দেখা দিলে পালানোর উদ্দেশ্যে সেখান থেকে বের হয়ে যেও না। এ হাদীছ শুনে হযরত উমর ফারূক রাযি. আল্লাহ তা'আলার শোকর আদায় করলেন, তারপর মদীনার উদ্দেশ্যে ফিরে চললেন।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছ দ্বারাও সবরের ফযীলত জানা গেল।
খ. এ উম্মতের উপর আল্লাহ তা'আলা যে কত বড় দয়াবান, এ হাদীছ দ্বারা তা উপলব্ধি করা যায়। অন্যসব জাতির জন্য যে তা'উন ছিল আযাব, এ উম্মতের পক্ষে তাকে কেমন রহমতে পরিণত করলেন!
গ. এ হাদীছ দ্বারা এ শিক্ষাও পাওয়া গেল যে, রোগ-ব্যাধি ও বালা-মসিবতকে অকল্যাণ মনে করা উচিত নয়। এর মধ্যেও বান্দার পক্ষে বিশেষ বিশেষ কল্যাণ নিহিত থাকে। সবর অবলম্বন করলে সে কল্যাণ লাভ করা যায়।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
