শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

২১. মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১১ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৬৮৩৮
কসম প্রসঙ্গ।
৬৮৩৮। ইসহাক ইব্‌ন হুসায়ন আত্‌-তাহান (রাহঃ).. ইব্‌ন আব্বাস (রাহঃ) থেকে এক দীর্ঘ হাদীসে রিওয়ায়াত করেন, যাতে একটি স্বপ্নের কথা উল্লেখ রয়েছে। আবু বকর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এর ব্যাখ্যা করলেন। অতঃপর বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্‌ ! আমি কি সঠিক বলেছি ? তিনি বললেন, কিছুটা সঠিক বলেছ এবং কিছুটা ভুল করেছ। তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্‌ ! আমি আপনাকে কসম দিচ্ছি। তিনি বললেন, কসম করবে না।
পর্যালোচনা : আবু জাফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, এক দল আলিম কসম করাকে মাকরূহ সাব্যস্ত করেছেন। তারা বলেন, কারো জন্য সমীচীন নয় যে, সে কোন বিষয়ে কসম করবে। তাঁরা এটাকে অত্যন্ত জটিল ব্যাপারে সাব্যস্ত করেছেন। এটাকে যারা জটিল ব্যাপার মনে করেন তাদের মধ্যে লায়স ইব্‌ন সা'দ (রাহঃ) অন্যতম। তিনি বলেন, আমাকে আমাদের অনেক সাথী ঈসা ইব্‌ন হাম্মাদ (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, আমি বকর ইব্‌ন মুদরি (রাহঃ)-এর নিকট তার সেবা-শুশ্রুষার জন্য এলাম। অনন্তর লায়স (রাহঃ) এলেন এবং তিনি তাঁর নিকট যাওয়ার ইচ্ছা করলেন। বকর (রাহঃ) তাকে বললেন, আমি তােমাকে কসম দিচ্ছি, এরূপ করবে না। লায়স (রাহঃ) বললেন, কসম কি বস্তু তুমি কি তা জান ! এ বাক্যটি তিনি তিনবার বললেন।
পক্ষান্তরে অন্যান্য আলিমগণ কসম করার ব্যাপারে কোন অসুবিধা মনে করেন না। তারা এটাকে ইয়ামীন তথা কসম সাব্যস্ত করেছেন এবং এর জন্য ইয়ামীন বা কসমের হুকুম আরােপ করেছেন। তারা বলেন, আল্লাহ্ তা'আলা কুরআন শরীফের একাধিক স্থানে উল্লেখ করেছেন।
আল্লাহ্‌ তা’য়ালা বলেন : لَاْ اُقْسِمُ بِيَوْمِ الْقِيٰمَةِ وَ لَاْ اُقْسِمُ بِالنَّفْسِ الَّوَّامَةِ অর্থ : “আমি শপথ করছি কিয়ামত দিবসের,আরও শপথ করছি তিরস্কারকারী আত্মার ।” (৭৫ : ১-২)
আরো বলেছেন : فَلَا اُقْسِمُ بِمَوَاقِعِ النُّجُوْم অর্থ : “আমি শপথ করছি নক্ষত্ররাজির আস্তাচলের ।” (৫৬ : ৭৫)
আরো বলেছেন : لَا اُقْسِمُ بِهَذَا الْبَلَدِ অর্থ : “শপথ করছি এই নগরের ।” (৯০: ১)’
সমস্ত আলিমের ঐকমত্য যে, এর মর্ম বা ব্যাখ্যা হচ্ছে, কিয়ামত দিবসের শপথ করছি। ‘ لَا ’ (লা) অব্যয়টি অতিরিক্ত।
আল্লাহ তাআলা বলেন : وَاَقْسِمُوْ بِاللّٰهِ جَهْدَ اَيْمَانِكُم - لَا يَبْعَثُ اللّٰهُ مَنْ يَّمُوْتُ بَلٰى وَعْدًا عَلَيْهِ حَقًا অর্থ : ওরা দৃঢ়তার সাথে আল্লাহ্‌ শপথ করে বলে, যার মৃত্যু হয় আল্লাহ্‌ তাকে পুনর্জীবিত করেন না । কেন নয়, তিনি তারঁ প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করবেনই। (১৬:৩৮)
বস্তুত আল্লাহ্‌ তাআলা তাদের শপথ করাকে দোষারোপ করেন নাই, বরং তাদের কুফুরীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন এবং বলেছেন, ‘কেন নয় , তিনি তাঁর প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করবেনই । আল্লাহ তাআলা “তাদের দৃঢ়তাপূর্ণ শপথের” উল্লেখ করেতে প্রতীয়মান হয় যে, সেই কসম তাদের পক্ষ থেকে ইয়ামীন হিসেবে বিবেচিত।
আল্লাহ তাআলা বলেন : اِذ اَقْسِمُوْا لَيَصْرِمُنَّهَا مُصْبِحِيْنَ অর্থ : যখন ওরা শপথ করেছিল যে, ওরা প্রত্যুষে আহরণ করবে বাগানের ফল। (৬৮:১৭) এখানে আল্লাহ। তা'আলা তাদেরকে এ ব্যাপারে দোষারােপ করেন নাই।
بَابُ الْقَسَمِ
6838 - حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ الْحُسَيْنِ الطَّحَّانُ , قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ , عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُتْبَةَ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي حَدِيثٍ طَوِيلٍ , فِيهِ ذِكْرُ رُؤْيَا عَبَّرَهَا أَبُو بَكْرٍ عِنْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ: أَصَبْتُ يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ: «أَصَبْتَ بَعْضًا , وَأَخْطَأْتَ بَعْضًا» , قَالَ أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ , يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ: «لَا تُقْسِمُ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى كَرَاهَةِ الْقَسَمِ , وَقَالُوا: لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ أَنْ يُقْسِمَ عَلَى شَيْءٍ , وَأَعْظَمُوا ذَلِكَ. وَكَانَ مِمَّنْ أَعْظَمَ ذَلِكَ , اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ , فَذَكَرَ لِي غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِنَا , عَنْ عِيسَى بْنِ حَمَّادٍ زُغْبَةَ قَالَ: أَتَيْتُ بَكْرَ بْنَ مُضَرَ لِأَعُودَهُ , فَجَاءَ اللَّيْثُ , فَهَمَّ بِالصُّعُودِ إِلَيْهِ. فَقَالَ لَهُ بَكْرٌ: أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ أَنْ تَفْعَلَ , فَقَالَ لَهُ اللَّيْثُ: أَوَتَدْرِي مَا الْقَسَمُ؟ أَوَتَدْرِي مَا الْقَسَمُ؟ أَوَتَدْرِي مَا الْقَسَمُ؟ . وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَلَمْ يَرَوْا بِالْقَسَمِ بَأْسًا , وَجَعَلُوهُ يَمِينًا , وَحَكَمُوا لَهُ بِحُكْمِ الْيَمِينِ , وَقَالُوا قَدْ ذَكَرَ اللهُ فِي غَيْرِ مَوْضِعٍ فِي كِتَابِهِ فَقَالَ عَزَّ وَجَلَّ: {لَا أُقْسِمُ بِيَوْمِ الْقِيَامَةِ وَلَا أُقْسِمُ بِالنَّفْسِ اللَّوَّامَةِ} [القيامة: 2] وَقَالَ: {فَلَا أُقْسِمُ بِمَوَاقِعِ النُّجُومِ} [الواقعة: 75] وَقَالَ: {لَا أُقْسِمُ بِهَذَا الْبَلَدِ} [البلد: 1] . فَكَانَ تَأْوِيلُ ذَلِكَ عِنْدَ الْعُلَمَاءِ جَمِيعًا أُقْسِمُ بِيَوْمِ الْقِيَامَةِ وَلَا صِلَةٌ. وَقَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ: {وَأَقْسَمُوا بِاللهِ جَهْدَ أَيْمَانِهِمْ لَا يَبْعَثُ اللهُ مَنْ يَمُوتُ بَلَى وَعْدًا عَلَيْهِ حَقًّا} [النحل: 38] فَلَمْ يَعِبْهُمْ بِقَسَمِهِمْ , وَرَدَّ عَلَيْهِمْ كُفْرَهُمْ فَقَالَ: {بَلَى وَعْدًا عَلَيْهِ حَقًّا} [النحل: 38] . وَكَانَ فِي ذِكْرِهِ جَهْدَ أَيْمَانِهِمْ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ ذَلِكَ الْقَسَمَ كَانَ مِنْهُمْ يَمِينًا. وَقَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ: {إِذْ أَقْسَمُوا لَيَصْرِمُنَّهَا مُصْبِحِينَ} [القلم: 17] فَلَمْ يَعِبْ ذَلِكَ عَلَيْهِمْ. ثُمَّ قَالَ: {وَلَا يَسْتَثْنُونَ} [القلم: 18]
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৮৩৯
কসম প্রসঙ্গ।
৬৮৩৯। অতঃপর বলেছেন, এবং তারা ইনশাআল্লাহ বলে নাই (এতে প্রমাণিত হয় যে, এই কসম হচ্ছে ইয়ামীন)।
মুহাম্মাদ ইব্‌ন হাসান (রাহঃ) বলেন, এই আয়াত প্রমাণ করে যে, কসম হলাে ইয়ামীন। কেননা ইন্‌শাআল্লাহ্‌ বলা ইয়ামীন এর মধ্যে হয়ে থাকে। যখন এটা ইয়ামীন তখন যে যে জায়গায় বাকী ইয়ামীন জায়েয, এটাও জায়েয । আর যেখানে বাকী ইয়ামীন মাকরুহ, এটাও মাকরূহ হবে।
আমাদের মতে এই মতামত পােষণকারীদের বিরুদ্ধে ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ)-এর এই রিওয়ায়াতে কোনরুপ দলীল নেই যা আমরা উল্লেখ করেছি। কেননা সম্ভবত রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) আবু বকর (রাযিঃ) কর্তৃক কসম করাকে এ জন্য মাকরূহ বলেছেন যে, তিনি (স্বপ্নের) যে ব্যাখ্যার কিছু অংশকে সঠিক এবং কিছু অংশকে ভ্রান্তিপূর্ণ সাব্যস্ত করেছেন তা ওহীর প্রেক্ষিতে ছিল না; বরং তা স্বপ্নের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত জ্ঞানের প্রেক্ষিতে ছিল। যেমন গর্ভবতী নারীর সঙ্গে সঙ্গম করার নিষিদ্ধতা এই আশংকায় ছিল যে, এটা গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি করে। যখন তাঁর নিকট খবর পৌছল যে, পারসিক ও রােমানরা এমনটি করে কিন্তু তাতে তাদের সন্তানের ক্ষতি হয় না, তখন তিনি এ থেকে নিষেধ করেন নাই । অনুরূপভাবে তিনি খেজুরের পরাগায়ণের বা কলমের ব্যাপারে বলেছেন যে, আমার ধারণামতে এতে কোন লাভ নেই। তখন তারা তা ছেড়ে দিলেন আর ক্ষতিগ্রস্ত হলেন। তখন তিনি বললেন, এটা তাে আমার নিজস্ব একটি ধারণা ছিল, যদি এতে কোন লাভ হয় তা হলে তা কর। আমিও (বাহ্যিকভাবে) তোমাদের অনুরূপ মানুষ। এটি আমার নিজস্ব একটি ধারণা। আর ধারণা ভ্রান্তও হয় এবং সঠিকও হয়। কিন্তু আমি এটা বলিনি যে, আল্লাহ তা'আলা বলেছেন, সুতরাং আমি আল্লাহর উপর মিথ্যা বলিনি।
6839 - فَحَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ قَالَ: «فِي هَذِهِ الْآيَةِ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ الْقَسَمَ يَمِينٌ ; لِأَنَّ الِاسْتِثْنَاءَ لَا يَكُونُ إِلَّا فِي الْيَمِينِ» وَإِذَا كَانَتْ يَمِينًا , كَانَتْ مُبَاحَةً , فِيمَا سَائِرُ الْأَيْمَانِ فِيهِ مُبَاحَةٌ , وَمَكْرُوهَةً فِيمَا سَائِرُ الْأَيْمَانِ فِيهِ مَكْرُوهَةٌ. [ص:270] وَلَا حُجَّةَ عِنْدَنَا , عَلَى أَهْلِ هَذِهِ الْمَقَالَةِ , فِي حَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ , الَّذِي ذَكَرْنَا , فَإِنَّهُ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ الَّذِي كَرِهَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْقَسَمِ , لِأَبِي بَكْرٍ مِنْ أَجْلِهِ , هُوَ أَنَّ التَّعْبِيرَ الَّذِي صَوَّبَهُ فِي بَعْضِهِ , وَخَطَّأَهُ فِي بَعْضِهِ , لَمْ يَكُنْ ذَلِكَ مِنْهُ مِنْ جِهَةِ الْوَحْيِ , وَلَكِنْ مِنْ جِهَةِ مَا يُعَبِّرُ لَهُ الرُّؤْيَا كَمَا نَهَى أَنْ تُوطَأَ الْحَوَامِلُ , عَلَى الْإِشْفَاقِ مِنْهُ أَنْ يُضِرَّ ذَلِكَ بِأَوْلَادِهِمْ. فَلَمَّا بَلَغَهُ أَنَّ فَارِسَ وَالرُّومَ يَفْعَلُونَ ذَلِكَ فَلَا يُضِرُّ بِأَوْلَادِهِمْ , أَطْلَقَ مَا كَانَ حَظَرَ مِنْ ذَلِكَ
وَكَمَا قَالَ فِي تَلْقِيحِ النَّخْلِ: «مَا أَظُنُّ أَنَّ ذَلِكَ يُغْنِي شَيْئًا» فَتَرَكُوهُ , وَنَزَعُوا عَنْهُ , فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «إِنَّمَا هُوَ ظَنٌّ ظَنَنْتُهُ , إِنْ كَانَ يُغْنِي شَيْئًا فَلْيَصْنَعُوهُ , فَإِنَّمَا أَنَا بِشْرٌ مِثْلُكُمْ , وَإِنَّمَا هُوَ ظَنٌّ ظَنَنْتُهُ , وَالظَّنُّ يُخْطِئُ وَيُصِيبُ , وَلَكِنْ مَا قُلْتُ قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ فَلَنْ أَكْذِبَ عَلَى اللهِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৮৪০
আন্তর্জাতিক নং: ৬৮৪১
কসম প্রসঙ্গ।
৬৮৪০-৪১। আমাদেরকে এটা যায়দ ইব্‌ন সিনান (রাহঃ) বর্ণনা করেছেন। তিনি আবু আমের (রাহঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। তিনি বলেন, আমাদেরকে ইসরাঈল (রাহঃ) বর্ণনা করেছেন। তিনি সিমাক (রাহঃ) থেকে তিনি মুসা ইব্‌ন তালহা (রাহঃ) থেকে এবং তিনি স্বীয় পিতা তালহা (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন।
বস্তুত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খবর দিয়েছেন যে, তিনি যা কিছু আপন ধারণা মুতাবিক বর্ণনা করেছেন তা অন্যান্য মানুষের ধারণা মত এবং যা কিছু আল্লাহু তা'আলার পক্ষ থেকে বর্ণনা করেন, এর পরিপন্থি জায়েয নয়। পক্ষান্তরে স্বপ্নের ব্যাখ্যা ধারণা এবং চিন্তা-ভাবনা দ্বারা প্রদান করা হয়।
মুহাম্মাদ ইব্‌ন সীরীন (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। তিনি আল্লাহ তা'আলার বাণী দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন। আল্লাহু তা'আলা বলেন : “ইউসুফ, ওদের মধ্যে যে মুক্তি পাবে মনে করল।" যখন স্বপ্ন ব্যাখ্যা এই প্রেক্ষিতে হয় যে, এর কোন বাস্তবতা নেই। তাই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মাকরুহ মনে করেছেন যে, আবু বকর (রাযিঃ) তাঁকে এই কথার কসম প্রদান করেন করা যে তিনি সেই কথার খবর দিবেন যা তিনি সঠিক করেন যে, তাঁর নিকট বিষয় এটাই। পক্ষান্তরে বাস্তবে এর পরিপন্থি।
তােমরা কি লক্ষ্য করছ না যে, যদি কোন ব্যক্তি ফিক্‌হের কোন বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা এবং ইজতিহাদ করে, অতঃপর তার ইজতিহাদ তাকে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত করে, তবে তার জন্য জায়েয আছে যে, সে এই অভিমত-ই পােষণ করবে এবং এর পরিপন্থিকে প্রত্যাখ্যান করবে; বরং এর বক্তকে ভ্রান্তিকারী সাব্যস্ত করবে। যখন ওই দলীলসমূহ যা দ্বারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সমাধান বের করেছে, তা ঐ বিরােধীর অভিমতকে প্রত্যাখ্যান করে। যদি সে কসম করে যে, এই জবাবটি সঠিক, তবে সে ভুলকারী সাব্যস্ত হবে। কেননা সে সঠিক জবাব পর্যন্ত পৌছার দায়িত্বপ্রাপ্ত নয় যে, সে যা বলবে তা সঠিক-ই হবে। বরং তাকে ইজতিহাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এবং ইজতিহাদ কখনও সঠিক হয়, কখনও ভুল হয়। এই হিসাবেই রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) আবু বকর (রাযিঃ) কর্তৃক তাঁকে এই মর্মে কসম প্রদান করা যে, আপনি সঠিক খবর দিবেন' মাকরূহ সাব্যস্ত করেছেন। এইজন্য নয় যে, কসম করা (বা দেয়া) মাকরূহ। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এরূপ বিষয়বস্তু বর্ণিত আছে যা আমাদের উল্লেখিত বক্তব্যের সপক্ষে প্রমাণ বহন করে।

বাহর ইব্‌ন নসর (রাহঃ)....ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে ইসহাক ইব্‌ন হুসায়ন (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতে শুনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি বলেছেন : [আবু বকর (রাযিঃ) বলেছেন ] : আল্লাহ্‌র কসম! ,আপনি আমাকে বলুন কোনটি সঠিক বলেছি এবং কোনটি ভুল বলেছি। এতে রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) বললেন : কসম করাে না।
এতে প্রতীয়মান হয় যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবু বকর (রাযিঃ)-এর ঐ কথার বিশুদ্ধতা ও ভ্রান্ততার অবহিতরণের ব্যাপারে যা তিনি ওহী দ্বারা বলেন নাই, আর বস্তুর স্বরূপ এর দ্বারাই বুঝা যায়। কসম করাকে মাকরুহ সাব্যস্ত করেছেন, কসমের উল্লেখকে অপসন্দ করেন নাই।
6840 - حَدَّثَنَا بِذَلِكَ، يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ، قَالَ: ثنا إِسْرَائِيلُ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ أَبِيهِ فَأَخْبَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ , مَا قَالَهُ مِنْ جِهَةِ الظَّنِّ , فَهُوَ كَسَائِرِ الْبَشَرِ فِي ظُنُونِهِمْ , وَأَنَّ الَّذِي يَقُولُهُ عَنِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ , فَهُوَ الَّذِي لَا يَجُوزُ خِلَافُهُ. وَكَانَتِ الرُّؤْيَا إِنَّمَا تُعَبَّرُ بِالظَّنِّ وَالتَّحَرِّي , وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ , وَاحْتَجَّ بِقَوْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ {وَقَالَ لِلَّذِي ظَنَّ أَنَّهُ نَاجٍ مِنْهُمَا} [يوسف: 42] . فَلَمَّا كَانَ التَّعْبِيرُ مِنْ هَذِهِ الْجِهَةِ الَّتِي لَا حَقِيقَةَ فِيهَا , كَرِهَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَبِي بَكْرٍ , أَنْ يُقْسِمَ عَلَيْهِ ; لِيُخْبِرَهُ بِمَا يَظُنُّهُ صَوَابًا , عَلَى أَنَّهُ عِنْدَهُ كَذَلِكَ , وَقَدْ يَكُونُ فِي الْحَقِيقَةِ بِخِلَافِهِ. أَلَا تَرَى أَنَّ رَجُلًا لَوْ نَظَرَ فِي مَسْأَلَةٍ مِنَ الْفِقْهِ , وَاجْتَهَدَ , فَأَدَّاهُ اجْتِهَادُهُ إِلَى شَيْءٍ وَسِعَهُ الْقَوْلُ بِهِ , وَرَدُّ مَا خَالَفَهُ , وَتَخْطِئَةُ قَائِلِهِ , إِذَا كَانَتِ الدَّلَائِلُ الَّتِي بِهَا يُسْتَخْرَجُ الْجَوَابُ فِي ذَلِكَ , رَافِعَةً لَهُ. وَلَوْ حَلَفَ عَلَى أَنَّ ذَلِكَ الْجَوَابَ صَوَابٌ , كَانَ مُخْطِئًا ; لِأَنَّهُ لَمْ يُكَلَّفْ إِصَابَةَ الصَّوَابِ , فَيَكُونُ مَا قَالَهُ , هُوَ الصَّوَابَ , وَلَكِنَّهُ كُلِّفَ الِاجْتِهَادَ. وَقَدْ يُؤَدِّيهِ الِاجْتِهَادُ إِلَى الصَّوَابِ وَإِلَى غَيْرِ الصَّوَابِ , فَمِنْ هَذِهِ الْجِهَةِ , كَرِهَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَبِي بَكْرٍ , الْحَلِفَ عَلَيْهِ ; لِيُخْبِرَهُ بِصَوَابِهِ مَا هُوَ , لَا مِنْ جِهَةِ كَرَاهِيَةِ الْقَسَمِ. وَقَدْ رُوِيَ فِي ذَلِكَ مَا يَدُلُّ عَلَى مَا ذَكَرْنَاهُ

6841 - حَدَّثَنَا بَحْرُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، مِثْلَ حَدِيثِ إِسْحَاقَ بْنِ الْحُسَيْنِ , غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ وَاللهِ لَتُخْبِرَنِّي بِمَا أَصَبْتُ مِمَّا أَخْطَأْتُ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تُقْسِمُ» فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ مَا كَرِهَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ الْحَلِفُ فِيهِ عَلَى إِخْبَارِهِ بِصَوَابِهِ أَوْ خَطَئِهِ فِي شَيْءٍ [ص:271] لَمْ يَقُلْهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْوَحْيِ الَّذِي يَعْلَمُ بِهِ حَقِيقَةَ الْأَشْيَاءِ , لَا لِذِكْرِهِ الْقَسَمَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৮৪১
empty
৬৮৪১।
6841 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৮৪২
কসম প্রসঙ্গ।
৬৮৪২। ইব্‌ন আবী মারয়াম (রাহঃ)... ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কসম হচ্ছে ইয়ামীন । ইনি হচ্ছেন ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) । তাঁরই সূত্রে প্রথমোক্ত হাদীস বর্ণিত হয়েছে । তিনি কসমকে ইয়ামীন সাব্যস্ত করেছেন । এতে প্রতিয়মান হয় যে, কসম করা জায়েয এবং এটা অবশিষ্ট কসমের বা ইয়ামীনসমূহের ন্যায় । এর দ্বারা সেই বিষয়টি সাব্যস্ত গেছে যা আমরা প্রথমোক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় উল্লেখ করেছি এবং সেই সেই সমস্ত লোকের অভিমত খন্ডিত হয়ে গেছে যারা আমাদের ব্যাখ্যার পরিপন্থি বর্ণনা করেছেন ।
আবু জাফর তাহাবী (রাযিঃ) বলেন : কসমের বৈধতা নিম্নোক্ত রিওয়ায়াতসমূহ বর্ণিত আছে :
6842 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ , قَالَ: ثنا الْفِرْيَابِيُّ , قَالَ: ثنا شَرِيكٌ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «الْقَسَمُ يَمِينٌ» فَهَذَا ابْنُ عَبَّاسٍ , وَهُوَ الَّذِي رَوَى عَنْهُ الْحَدِيثَ الْأَوَّلَ , قَدْ جَعَلَ الْقَسَمَ يَمِينًا , فَفِي ذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى إِبَاحَةِ الْحَلِفِ بِهِ وَأَنَّهُ عِنْدَهُ , كَسَائِرِ الْأَيْمَانِ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ , مَا تَأَوَّلْنَا الْحَدِيثَ الْأَوَّلَ عَلَيْهِ , وَانْتَفَى قَوْلُ مَنْ تَأَوَّلَهُ عَلَى غَيْرِ مَا تَأَوَّلْنَاهُ عَلَيْهِ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: وَقَدْ رُوِيَ فِي إِبَاحَةِ الْقَسَمِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৮৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ৬৮৪৪
কসম প্রসঙ্গ।
৬৮৪৩-৪৪। আব্দুল গণী ইব্‌ন আবী আকীল (রাহঃ).... বারা ইব্‌ন আযিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) আমাদেরকে কসম পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছেন ।

ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ)...শু’বা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত । অতঃপর তিনি নিজস্ব সনদে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, কসম পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তোমরা কি লক্ষ করছ না যে, রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) কসম পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছেন । তবে যদি সে গুনাহের বিষয়ে কসমকারী হয়, তবে তার কসম পূর্ণ করা জায়েয নয় ।
6843 - مَا قَدْ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْغَنِيِّ بْنُ أَبِي عَقِيلٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ أَشْعَثَ بْنِ سُلَيْمٍ , عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ سُوَيْدِ بْنِ مُقَرِّنٍ , عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ: «أَمَرَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِإِبْرَارِ الْقَسَمِ»

6844 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، وَوَهْبٌ , قَالَا: ثنا شُعْبَةُ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: بِإِبْرَارِ الْقَسَمِ أَفَلَا تَرَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَمَرَ بِإِبْرَارِ الْقَسَمِ , وَلَوْ كَانَ الْمُقْسِمُ عَاصِيًا , لَمَّا كَانَ يَنْبَغِي أَنْ يُبِرَّ قَسَمَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৮৪৪
empty
৬৮৪৪।
6844 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৮৪৫
কসম প্রসঙ্গ।
৬৮৪৫। আবু বাক্‌রা (রাহঃ) ও ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ) ..... আনাস ইব্‌ন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ বলেছেন : আল্লাহ তা'আলার এরূপ কিছু বান্দা রয়েছে যদি তারা আল্লাহর উপর (নামে) কসম করে, তবে আল্লাহ তা'আলা তা পূর্ণ করেন।
পক্ষান্তরে যদি কসম করা মাকরূহ হত তবে কসমকারী গুনাহগার হত এবং আল্লাহ তা'আলা স্বীয় নাফরমানের কসমকে পূর্ণ করতেন না।
ইতিপূর্বে আমরা আমাদের এই গ্রন্থে মুগীরা ইব্‌ন শু'বা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছি। তিনি বলেছেন : আমি একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সঙ্গে সালাত আদায় করেছি। তিনি রসুনের দুর্গন্ধ অনুভব করেন। সালাত থেকে ফারেগ হয়ে তিনি বললেন, যে ব্যক্তি এই চারাগাছ থেকে ভক্ষণ করবে, সে যেন আমাদের মসজিদের নিকটে না আসে। যতক্ষণ না এর দুর্গন্ধ দূরীভূত হয়। তিনি বলেন, আমি তাঁর নিকট এলাম এবং বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আপনাকে কসম দিচ্ছি যে, আপনি আপনার হাত বাড়িয়ে দিন। তিনি তাঁর পবিত্র হাত আমাকে দিলেন। আমি তাকে আমার বক্ষে বাঁধা পট্টি দেখালাম। তিনি বললেন, তােমার তাে ওজর রয়েছে। পক্ষান্তরে তিনি তার কসমের ব্যাপারে কিছু বলেন নি।
6845 - وَقَدْ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ وَابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَا: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ بَكْرٍ السَّهْمِيُّ , قَالَ: ثنا حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ , عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِنَّ مِنْ عِبَادِ اللهِ , مَنْ لَوْ أَقْسَمَ عَلَى اللهِ لَأَبَرَّهُ» فَلَوْ كَانَ الْقَسَمُ مَكْرُوهًا , لَكَانَ قَائِلُهُ عَاصِيًا , وَلَمَا أَبَرَّ اللهُ قَسَمَ مَنْ عَصَاهُ. وَقَدْ رَوَيْنَا فِيمَا تَقَدَّمَ مِنْ كِتَابِنَا هَذَا , عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ أَنَّهُ قَالَ: صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَوَجَدَ رِيحَ ثُومٍ. فَلَمَّا فَرَغَ مِنَ الصَّلَاةِ قَالَ: مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ فَلَا يَقْرَبْنَا فِي مَسْجِدِنَا حَتَّى يَذْهَبَ رِيحُهَا. فَأَتَيْتُهُ فَقُلْتُ أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللهِ لَمَا أَعْطَيْتَنِي يَدَكَ , فَأَعْطَانِيهَا , فَأَرَيْتُهُ جَبَائِرَ عَلَى صَدْرِي. فَقَالَ: إِنَّ لَكَ عُذْرًا وَلَمْ يُنْكِرْ عَلَيْهِ إِقْسَامَهُ عَلَيْهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:৬৮৪৬
কসম প্রসঙ্গ।
৬৮৪৬। জাফর ইব্‌ন সুলায়মান নাওফালী (রাহঃ) ..... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে হাদিয়া করা হলাে। তিনি বললেন, এটা যায়নাব বিন্‌তে জাহশ (রাযিঃ)-কে (হাদীয়া হিসাবে) দিয়ে দাও। বলেন, আমি তাঁর নিকট তা পাঠালাম। তিনি তা ফিরিয়ে দিলেন। তিনি (ﷺ) বললেন, আমি তােমাকে কসম দিচ্ছি যে, তা পুনঃ পাঠাও। অনন্তর আমি পুনঃ পাঠালাম।
আমরা যা কিছু উল্লেখ করেছি এতে কসমের বৈধতা সাব্যস্ত হয়। এবং এর হুকুম হলাে ইয়ামীনের হুকুমে অনুরূপ। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত। ইবরাহীম নখ্‌ঈ (রাযিঃ) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত আছে :
6846 - حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ النَّوْفَلِيُّ، قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمَوْصِلِيُّ، عَنِ ابْنِ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ: أُهْدِيَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَحْمٌ فَقَالَ: «أَهْدِيَ لِزَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ» قَالَتْ: فَأَهْدَيْتُ لَهَا فَرَدَّتْهُ فَقَالَ: «أَقْسَمْتُ عَلَيْكِ لَا رَدَدْتِهَا , فَرَدَدْتُهَا» فَدَلَّ مَا ذَكَرْنَا عَلَى إِبَاحَةِ الْقَسَمِ , وَأَنَّ حُكْمَهُ , حُكْمُ الْيَمِينِ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. [ص:272] وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৮৪৭
কসম প্রসঙ্গ।
৬৮৪৭। সুলায়মান ইব্‌ন শুআয়ব (রাযিঃ) ..... ইব্‌রাহীম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এটা বলা যে, “আমি কসম করছি” অথবা “আমি কসম করেছি। তবে এটা ইয়ামীনরূপে বিবেচিত। আর এর কাফ্‌ফারা হল ইয়ামীন বা কসমের কাফ্‌ফারার অনুরূপ।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর স্ত্রীদের উপর কসম করেছেন :
6847 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا أَبِي، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي حَنِيفَةَ، عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: «أُقْسِمُ، وَأَقْسَمْتُ بِهِ يَمِينٌ , وَكَفَّارَةُ ذَلِكَ , كَفَّارَةُ يَمِينٍ» وَقَدْ أَقْسَمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى نِسَائِهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৮৪৮
কসম প্রসঙ্গ।
৬৮৪৮। ইব্‌ন আবী দাউদ (রাহঃ) ..... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ‘ঈলা’ (স্ত্রীদের নিকট না যাওয়ার কসম) ছিল নিম্নরূপ : আল্লাহ্‌ কসম! আমি এক মাস তােমাদের নিকট যাব না।
6848 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا أَبُو حَفْصٍ الْفَلَّاسُ , قَالَ: ثنا أَبُو قُتَيْبَةَ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الرِّجَالِ , قَالَ: ثنا أَبِي، عَنْ عَمْرَةَ , عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ إِيلَاءُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أُقْسِمُ بِاللهِ لَا أَقْرَبُكُنَّ شَهْرًا»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান