শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

১১. শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪৯৮৩
১০. কোন ব্যক্তি অলংকার ধার নেয়ার পর যদি ফেরত না দেয় তাহলে কি তার হাত কাটা যাবে?
৪৯৮৩। আবু জা'ফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ মা'মার (রাহঃ) ..... আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “একটি মহিলা অলংকার ধার নিত কিন্তু ফেরত দিতনা। বর্ণনাকারী বলেন, তাকে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর কাছে হাযির করা হল ও তার হাত কাটা হল।”
بَابُ الرَّجُلِ يَسْتَعِيرُ الْحُلِيَّ فَلَا يَرُدُّهُ هَلْ عَلَيْهِ فِي ذَلِكَ قَطْعٌ أَمْ لَا
4983 - قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: رُوِيَ عَنْ مَعْمَرٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ " امْرَأَةً كَانَتْ تَسْتَعِيرُ الْحُلِيَّ وَلَا تَرُدُّهُ قَالَ: فَأُتِيَ بِهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُطِعَتْ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৯৮৪
১০. কোন ব্যক্তি অলংকার ধার নেয়ার পর যদি ফেরত না দেয় তাহলে কি তার হাত কাটা যাবে?
৪৯৮৪। উবাইদ ইবনুর রিজাল (রাহঃ) ….. আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “একজন মাখযূমী মহিলা মালপত্র ধার নিত এবং পরে অস্বীকার করত। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তার হাত কাটার নির্দেশ দিলেন। তার পরিবার-পরিজন উসামা ইব্‌ন যায়দ (রাযিঃ)-এর কাছে আগমন করল এবং তারা তার সাথে এ নিয়ে আলােচনা করল। তিনি তখন এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর সাথে কথা বললেন। তখন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বলেন ,সাবধান হে উসামা! আমি তােমাকে আল্লাহর নির্ধারিত শাস্তি সম্পর্কে কথা বলতে দেখছি। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) খুতবা দেয়ার জন্যে দণ্ডায়মান হলেন এবং বলেন, নিশ্চয়ই তােমাদের পূর্বে যারা ছিল তারা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, কেননা তাদের মধ্যে যদি সম্মানিত ব্যক্তি চুরি করত তাহলে তারা তাকে শাস্তি দিতনা, আর যদি তাদের মধ্যে দুর্বল ব্যক্তি চুরি করত তাহলে তারা তার হাত কাটত। যার হাতে আমার প্রাণ, তাঁর শপথ করে বলছি, যদি ফাতিমা বিনত মুহাম্মাদ (রাযিঃ) চুরি করত, তাহলে আমি অবশ্যই তার হাত কর্তন করতাম।” অতঃপর মাখযূমী মহিলার হাত কাটা হল ।

আবু জা'ফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ “এক দল আলিমের অভিমত হল এ যে, যে ব্যক্তি কোন কিছু ধার নেবে এবং পরে তা অস্বীকার করবে এ ক্ষেত্রে তার হাত কাটা ওয়াজিব হয়ে পড়ে। কেননা সে তাদের কাছে চোর হিসেবে গণ্য হবে। তারা এ হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন। অন্য একদল আলিম এ সম্পর্কে তাদের বিরােধিতা করেন এবং বলেন, তাতে হাত কাটা বৈধ নয়, বরং তার জন্যে জরিমানা ধার্য করা হবে। আর তাদের দলীল হল এ হাদীসটি, যা মা'মার (রাহঃ) বর্ণনা করেছেন। যেমন তারা উল্লেখ করেছেন। এ ধরনের হাদীস অন্য বর্ণনাকারীও বর্ণনা করেছেন। তবে এর মধ্যে এতটুকু অতিরিক্ত করেছেন যে, ঐ স্ত্রীলােকটি যে অলংকার নেয়ার পরে ফেরত দেয়না, সে মহিলা এজন্যই চুরির শিকার হয়। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তার চুরির জন্যে হাত কেটে দিলেন। এ সম্পর্কে অন্য একটি বর্ণনাও পাওয়া যায়ঃ
4984 - حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ رَحَّالٍ قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَ: ثنا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَتِ امْرَأَةٌ مَخْزُومِيَّةٌ تَسْتَعِيرُ الْمَتَاعَ وَتَجْحَدُهُ، فَأَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَطْعِ يَدِهَا، فَأَتَى أَهْلُهَا أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ فَكَلَّمُوهُ، فَكَلَّمَ أُسَامَةُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهَا، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا أُسَامَةُ، لَا أَرَاكَ تُكَلِّمُنِي فِي حَدٍّ مِنْ حُدُودِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ» ثُمَّ قَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «إِنَّمَا أَهْلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ أَنَّهُ إِذَا سَرَقَ فِيهِمُ الشَّرِيفُ تَرَكُوهُ، وَإِذَا سَرَقَ فِيهِمُ الضَّعِيفُ قَطَعُوهُ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، لَوْ كَانَتْ فَاطِمَةَ بِنْتَ مُحَمَّدٍ لَقَطَعْتُ يَدَهَا» فَقَطَعَ يَدَ الْمَخْزُومِيَّةِ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ مَنِ اسْتَعَارَ شَيْئًا فَجَحَدَهُ وَجَبَ أَنْ يُقْطَعَ فِيهِ وَكَانَ عِنْدَهُمْ بِذَلِكَ فِي مَعْنَى السَّارِقِ وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: لَا يُقْطَعُ وَيَضْمَنُ. [ص:171] وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ أَنَّ هَذَا الْحَدِيثَ قَدْ رَوَاهُ مَعْمَرٌ كَمَا ذَكَرُوا وَقَدْ رَوَاهُ غَيْرُهُ فَزَادَ فِيهِ أَنَّ تِلْكَ الْمَرْأَةَ الَّتِي كَانَتْ تَسْتَعِيرُ الْحُلِيَّ فَلَا تَرُدُّهُ سَرَقَتْ فَقَطَعَهَا فِيهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِسَرِقَتِهَا. فَمِمَّا رُوِيَ فِي ذَلِكَ مَا قَدْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:৪৯৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৯৮৬
১০. কোন ব্যক্তি অলংকার ধার নেয়ার পর যদি ফেরত না দেয় তাহলে কি তার হাত কাটা যাবে?
৪৯৮৫-৮৬। ইউনুস (রাহঃ) ….. আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের সময় রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর যুগে একটি মহিলা চুরি করেছিল। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তার হাত কাটার জন্যে নির্দেশ প্রদান করেন। তখন ঐ মহিলা সম্পর্কে উসামা ইব্‌ন যায়দ (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সাথে কথা বলেন। তাতে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর চেহারা মুবারক মলিন হয়ে যায়। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বলেন, তােমরা কি মহান আল্লাহর শাস্তিসমূহ থেকে কোন একটি শাস্তি বা দণ্ডকে অকার্যকর করার জন্যে সুপারিশ করছ? উসামা (রাযিঃ) তখন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -কে বলেন, হে আল্লাহর রাসূল(ﷺ)! আমাকে ক্ষমা করে দিন। অতঃপর যখন রাতের খাবারের সময় হল রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) দণ্ডায়মান হলেন, আল্লাহ্ তা'আলার যথাযথ প্রশংসা করলেন এবং বললেন, “অতঃপর তােমাদের জেনে রাখা প্রয়ােজন যে, তােমাদের পূর্বে যে সব লােকজন ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, তাদের মধ্যে যখন কোন বংশমর্যাদার লােক চুরি করত তখন তারা তাকে শাস্তি দিতনা, বরং তাকে ছেড়ে দিত। আর যদি তাদের মধ্যে কোন দুর্বল ব্যক্তি চুরি করত তার প্রতি তারা শাস্তি প্রয়ােগ করত । যার হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ করে বলছি, যদি ফাতিমা বিনত মুহাম্মাদ (রাযিঃ) চুরি করত তাহলে আমি অবশ্যই তার হাত কেটে দিতাম।” অতঃপর তিনি ঐ মহিলাটি সম্বন্ধে নির্দেশ জারী করেন, যে চুরি করেছিল। তারপর তার হাত কাটা হল ।


ইউনুস (রাহঃ) ..... আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, মাখযূমী মহিলার বিষয়টি কুরাইশদেরকে উদ্বিগ্ন করল। মহিলাটি চুরি করেছিল, তখন তারা বলাবলি করতে লাগল, কে সাহস করে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর সাথে এ ব্যাপারে কথা বলতে পারবে? অতঃপর তারাই আবার বলল, উসামা (রাযিঃ) ব্যতীত অন্য কেউ রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর কাছে কথা বলতে সাহস করবেনা। এরপর বর্ণনাকারী অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।

এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, অস্বীকারকারী ধার গ্রহীতার বিরুদ্ধে হাত কাটার হুকুম রয়েছে। তবে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) থেকে এমন কারণ বর্ণনা করা হয়েছে ,যার দরুন অর্থ আত্মসাতের বেলায় হাত কাটা রহিত হয়ে যায়ঃ
4985 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ أَخْبَرَهُ عَنْ عَائِشَةَ " أَنَّ امْرَأَةً سَرَقَتْ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَمَنَ الْفَتْحِ فَأَمَرَ بِهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ تُقْطَعَ. فَكَلَّمَهُ فِيهَا أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ فَتَلَوَّنَ أَيْ تَغَيَّرَ مِنَ الْغَضَبِ وَجْهُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَتَشْفَعُ فِي حَدٍّ مِنْ حُدُودِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ؟ . فَقَالَ لَهُ أُسَامَةُ: اسْتَغْفِرْ لِي يَا رَسُولَ اللهِ. فَلَمَّا كَانَ الْعَشِيُّ قَامَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَثْنَى عَلَى اللهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّمَا أَهْلَكَ النَّاسَ مِنْ قَبْلِكُمْ أَنَّهُمْ كَانُوا إِذَا سَرَقَ فِيهِمِ الشَّرِيفُ تَرَكُوهُ وَإِذَا سَرَقَ فِيهِمِ الضَّعِيفُ أَقَامُوا عَلَيْهِ الْحَدَّ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ مُحَمَّدٍ سَرَقَتْ لَقَطَعْتُ يَدَهَا ثُمَّ أَمَرَ بِتِلْكَ الْمَرْأَةِ الَّتِي سَرَقَتْ فَقُطِعَتْ يَدُهَا "

4986 -. حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ اللَّيْثِ , عَنْ أَبِيهِ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ عُرْوَةَ , عَنْ عَائِشَةَ , أَنَّ قُرَيْشًا , أَهَمَّهُمْ شَأْنُ الْمَرْأَةِ الْمَخْزُومِيَّةِ الَّتِي سَرَقَتْ فَقَالُوا: مَنْ يَجْتَرِئُ يُكَلِّمُ فِيهَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالُوا: وَمَنْ يَجْتَرِئُ عَلَيْهِ إِلَّا أُسَامَةُ؟ ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَ مَعْنَاهُ فَثَبَتَ بِهَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ الْقَطْعَ كَانَ بِخِلَافِ الْمُسْتَعَارِ الْمَجْحُودِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَدْفَعُ الْقَطْعَ فِي الْخِيَانَةِ مَا قَدْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:৪৯৮৬
empty
৪৯৮৬।
4986 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৯৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৯৮৯
১০. কোন ব্যক্তি অলংকার ধার নেয়ার পর যদি ফেরত না দেয় তাহলে কি তার হাত কাটা যাবে?
৪৯৮৭-৮৯। ইউনুস (রাহঃ) ….. জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বলেন, ধােঁকাবাজ, ছিনতাইকারী এবং লুণ্ঠনকারীর জন্যে কোন হাত কাটা নেই।


ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ) ….. ইব্‌ন জুরাইজ (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা উল্লেখ করেন।


উবাইদ ইব্‌ন রিজাল (রাহঃ) ….. জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।

যখন ধোঁকাবাজের ক্ষেত্রে হাত কাটা নেই, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তার মধ্যে এবং চোরের মধ্যে পার্থক্য বর্ণনা করেন। চোরের ব্যাপারে হাদীসে উল্লেখ রয়েছে যে, কি পরিমাণ সম্পদ চুরি করলে হাত কাটা ওয়াজিব হয়। আর সেখানে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারটি জড়িত। আর ধারগ্রহণকারী ব্যক্তি সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের শর্ত ছাড়াই সম্পদ গ্রহণ করে থাকে। তাতে প্রমাণিত হয় যে, রক্ষণাবেক্ষণের অনুপস্থিতির কারণেই আত্মসাৎকারীর হাত কাটার বিধান নেই। উপরােল্লিখিত হাদীসগুলাের আলােকে এ ব্যাপারে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমতকে আমরা বিশুদ্ধ মনে করে থাকি।
4987 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ جُرَيْجٍ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «لَيْسَ عَلَى الْخَائِنِ وَلَا عَلَى الْمُخْتَلِسِ وَلَا عَلَى الْمُنْتَهِبِ قَطْعٌ» .

4988 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا مَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْبَلْخِيُّ , قَالَ: ثنا ابْنُ جُرَيْجٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ ,

4989 - حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ رَحَّالٍ , حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ سَالِمٍ , حَدَّثَنَا شَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ , قَالَ: ثنا الْمُغِيرَةُ بْنُ مُسْلِمٍ , عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ , عَنْ جَابِرٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ فَلَمَّا كَانَ الْخَائِنُ لَا قَطْعَ عَلَيْهِ وَفَرَّقَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ السَّارِقِ وَأُحْكِمَتِ السُّنَّةُ أَمْرَ السَّارِقِ الَّذِي [ص:172] يَجِبُ عَلَيْهِ الْقَطْعُ أَنَّهُ الَّذِي يَسْرِقُ مِقْدَارًا مِنَ الْمَالِ مَعْلُومًا مِنْ حِرْزٍ وَكَانَ الْمُسْتَعِيرُ أَخَذَ الْمَالَ الْمُسْتَعَارَ مِنْ غَيْرِ حِرْزٍ ثَبَتَ أَنَّهُ لَا قَطْعَ عَلَيْهِ فِي ذَلِكَ لِعَدَمِ الْحِرْزِ. وَهَذَا الَّذِي ذَكَرْنَا مِمَّا صَحَّحْنَا عَلَيْهِ مَعَانِيَ هَذِهِ الْآثَارِ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৯৮৮
empty
৪৯৮৮।
4988 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৯৮৯
empty
৪৯৮৯।
4989 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান