শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

১১. শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং : ৪৯৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৯৭৯
৯. চুরির স্বীকৃতি যা হাত কাটাকে ওয়াজিব করে
৪৯৭৬-৭৯। আহমাদ ইব্‌ন দাউদ (রাহঃ) ….. আবু হুরাইরা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন একটি চোরকে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর কাছে হাযির করা হল। উপস্থিত লােকজন বলতে লাগলেন, হে আল্লাহর রাসূল(ﷺ) ! এটা একটা চোর! রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বলেন, আমি মনে করিনা যে ,সে চুরি করেছে। তখন চোরটি বলল, “হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল(ﷺ)!” রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বলেন ,তাকে নিয়ে যাও ও তার হাত কর্তন কর। অতঃপর তার রক্ত বন্ধ কর। এরপর তাকে আমার কাছে নিয়ে আস। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তাকে নিয়ে যাওয়া হল এবং হাত কাটা হল। অতঃপর রক্ত বন্ধ করা হল এবং তাকে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর সামনে হাযির করা হল। তখন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বলেন, তুমি মহান আল্লাহর কাছে তাওবা কর। চোরটি বলল, আমি আল্লাহর কাছে তাওবা করলাম। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বলেন, “আল্লাহ্ তােমার তাওবাকবূল করুন।”


আবু বিশর আর-রাকী (রাহঃ) ….. মুহাম্মাদ ইব্‌ন আব্দুর রহমান ইব্‌ন সাওবান (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-হতে বর্ণনা পেশ করেন।

হুসাইন ইব্‌ন নসর (রাহঃ) ….. ইয়াযীদ ইব্‌ন খুসাইফা (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।


ইউনুস (রাহঃ) ….. মুহাম্মাদ ইব্‌ন আব্দুর রহমান ইব্‌ন সাওবান (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
بَابُ الْإِقْرَارِ بِالسَّرِقَةِ الَّتِي تُوجِبُ الْقَطْعَ
4976 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عَوْنٍ مَوْلَى بَنِي هَاشِمٍ قَالَ: ثنا الدَّرَاوَرْدِيُّ عَنْ يَزِيدَ بْنِ خُصَيْفَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ ثَوْبَانَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: " أُتِيَ بِسَارِقٍ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ , إِنَّ هَذَا سَرَقَ فَقَالَ مَا إِخَالُهُ سَرَقَ فَقَالَ السَّارِقُ: بَلَى يَا رَسُولَ اللهِ , قَالَ اذْهَبُوا بِهِ فَاقْطَعُوهُ ثُمَّ احْسِمُوهُ ثُمَّ ائْتُونِي بِهِ قَالَ: فَذُهِبَ بِهِ فَقُطِعَ ثُمَّ حُسِمَ ثُمَّ أُتِيَ بِهِ فَقَالَ تُبْ إِلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ فَقَالَ: تُبْتُ إِلَى اللهِ , فَقَالَ تَابَ اللهُ عَلَيْكَ "

4977 - حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ الرَّقِّيُّ قَالَ: ثنا أَبُو مُعَاوِيَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ خُصَيْفَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ ثَوْبَانَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ

4978 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ , قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ يَزِيدَ بْنِ خُصَيْفَةَ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

4979 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ جُرَيْجٍ , يُحَدِّثُ أَنَّ يَزِيدَ بْنَ خُصَيْفَةَ , أَخْبَرَهُ أَنَّهُ , سَمِعَ مُحَمَّدَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ ثَوْبَانَ , يُحَدِّثُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং : ৪৯৭৭
empty
৪৯৭৭।
4977 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং : ৪৯৭৮
empty
৪৯৭৮।
4978 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং : ৪৯৮০
৯. চুরির স্বীকৃতি যা হাত কাটাকে ওয়াজিব করে
৪৯৮০। রাবী' আল-মুয়াযযিন (রাহঃ) ….. আমর ইব্‌ন সামারা ইব্‌ন হাবীব ইব্‌ন আব্দুস শামস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। একদিন তিনি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর কাছে হাযির হন এবং বলেন, হে আল্লাহর রাসূল(ﷺ)! আমি অমুক গােত্রের একটি উট চুরি করেছি। তখন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) উটের মালিকদের কাছে লোক প্রেরণ করেন। তারা বলেন, আমরা আমাদের একটি উট হারিয়ে ফেলেছি, তখন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তার সম্বন্ধে নির্দেশ জারী করলেন এবং তার হাত কাটা হল। বর্ণনাকারী সালাবা (রাহঃ) বলেন, যখন তার হাত কাটা হয়েছিল তখন আমি তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। সে বলছিল, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যে, যিনি আমাকে পবিত্র করেছেন এমন বস্তু থেকে, যা আমার শরীরকে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত করতে উদ্যত হয়েছিল।

আবু জা'ফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিমের মতে যদি কোন ব্যক্তি চুরি সম্বন্ধে একবার স্বীকার করে তাহলে তার হাত কাটা যাবে। এ সম্বন্ধে তারা উপরােক্ত হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন। আর এসব আলিমের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হলেন ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ)। অন্য একদল আলিম এ সম্পর্কে তাদের বিরােধিতা করেন এবং তাদের মধ্যে ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) অন্তর্ভুক্ত। তারা বলেন, দুবার স্বীকার না করলে হাত কাটা যাবে না। এ সম্পর্কে তাদের দলীল নিম্নরূপঃ
4980 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا أَسَدُ بْنُ مُوسَى , قَالَ: ثنا ابْنُ لَهِيعَةَ , قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ ثَعْلَبَةَ الْأَنْصَارِيِّ , عَنْ أَبِيهِ , أَنَّ عَمْرَو بْنَ سَمُرَةَ بْنِ حَبِيبِ بْنِ عَبْدِ نَحْسٍ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ , إِنِّي سَرَقْتُ جَمَلًا لَبَنِي فُلَانٍ. فَأَرْسَلَ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالُوا: إِنَّا فَقَدْنَا جَمَلًا لَنَا فَأَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُطِعَتْ يَدُهُ " قَالَ ثَعْلَبَةُ: أَنَا أَنْظُرُ إِلَيْهِ حِينَ قُطِعَتْ يَدُهُ وَهُوَ يَقُولُ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي طَهَّرَنِي مِمَّا أَرَادَ أَنْ يُدْخِلَ جَسَدِي النَّارَ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا أَقَرَّ بِالسَّرِقَةِ مَرَّةً وَاحِدَةً قُطِعَ وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ. وَمِمَّنْ ذَهَبَ إِلَى ذَلِكَ أَبُو حَنِيفَةَ وَمُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ رَحِمَهُمَا اللهُ وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ وَمِنْهُمْ أَبُو يُوسُفَ رَحِمَهُ اللهُ فَقَالُوا: لَا تُقْطَعُ حَتَّى يُقِرَّ مَرَّتَيْنِ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِمَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং : ৪৯৮১
৯. চুরির স্বীকৃতি যা হাত কাটাকে ওয়াজিব করে
৪৯৮১। আহমাদ ইব্‌ন দাউদ (রাহঃ) ….. আবু উমাইয়া আল-মাখযূমী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর কাছে একটি চোরকে হাযির করা হল। সে চুরি সম্বন্ধে স্বীকার করল। কিন্তু তার কাছে কোন মালামাল পাওয়া গেলেনা। তখন তাকে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বলেন, “তুমি চুরি করেছ বলে আমি মনে করিনা।” সে বলে, “হ্যাঁ ইয়া রাসূলাল্লাহ্(ﷺ)।” রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তার বাণীটি দু'বার কিংবা তিনবার পুনরাবৃত্তি করেন। লােকটি বলে, “হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল(ﷺ)! অতঃপর রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তার সম্বন্ধে হুকুম জারী করেন এবং তার হাত কাটা হয়। এরপর তাকে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর কাছে পেশ করা হয়। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাকে বলেন, বল, আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি এবং তার কাছে তাওবা করছি। তখন সে বলল, আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি এবং তার কাছে তাওবা করছি। এরপর রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বলেন, হে আল্লাহ্! তুমি তার তাওবা কবুল কর।

এ হাদীসে দেখতে পাওয়া যায় যে, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাকে একবার স্বীকার করায় হাত কর্তন করেননি, যতক্ষণ না সে দ্বিতীয় বার স্বীকার করে। সুতরাং এ হাদীসটি প্রথম হাদীস থেকে উত্তম। কেননা এটার মধ্যে প্রথম হাদীস থেকে কিছু অতিরিক্ত বর্ণনা রয়েছে। কোন কোন সময় একটি হাদীস অন্যটির জন্যে ناسخ বা হুকুম রহিতকারী হতে পারে। যখন এরূপ সম্ভাবনা রয়েছে তখন আমরা গবেষণার দিকে প্রত্যাবর্তন করলাম এবং আমরা দেখতে পেলাম যে, এ ধরনের পদ্ধতি বা নিয়ম ব্যভিচারের স্বীকারােক্তির ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতে প্রবর্তিত হয়েছে। তিনি এ স্বীকারােক্তিকে চার বার পুনরাবৃত্তি করেছেন। তিনি ব্যভিচারীকে একবার স্বীকারােক্তি করায় রজম বা পাথর মেরে হত্যা করার হুকুম দেননি। আর এটা জনগণের অধিকারের ক্ষেত্রে স্বীকৃতির আওতা থেকে বের হয়ে পড়েছে। কেননা সেখানে একবারের স্বীকারােক্তি গ্রহণ করা হয়। আর এ ব্যাপারে স্বীকৃতির হুকুমকে সাক্ষ্যদানের হুকুমের সাথে এক করে দেখা হয়েছে। সাক্ষ্য যেমন চারবার না হলে গ্রহণ করা যায়না, তদ্রুপ চার বার স্বীকৃতি না হলে শাস্তি প্রয়ােগ করা ওয়াজিব হয়না। কাজেই এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, চুরির ব্যাপারে স্বীকৃতির হুকুমও চুরির ব্যাপারে সাক্ষ্য দানের হুকুমের প্রতি প্রত্যাবর্তিত হয়। সুতরাং সাক্ষ্য যেমন দুজন ব্যতীত বৈধ নয়, চুরি সম্বন্ধে স্বীকৃতিও দুবার ব্যতীত গ্রহণীয় নয়।

আমরা সাহাবায়ে কিরামকে লক্ষ্য করেছি, তারা রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতে ব্যভিচারের স্বীকৃতি দানকারী সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন যে, যখন সে পালিয়ে যায় তখন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বলেছিলেন, তােমরা কেন তাকে ছেড়ে দিলেনা? তাহলে দেখা যায় ব্যভিচারের স্বীকৃতি দানকারীর নিজের স্বীকৃতি থেকে প্রত্যাবর্তন সাহাবায়ে কিরামের কাছে গ্রহণীয় ছিল। আর তারা এটা আল্লাহর সমস্ত শাস্তির ক্ষেত্রেই কাজে পরিণত করতে চেয়েছিল, তাই তারা এমন ব্যক্তি সম্পর্কে এরূপ পদ্ধতির আশ্রয় নিয়েছেন যে অপরাধ স্বীকার করে, অতঃপর তা থেকে প্রত্যাবর্তন করে। আর এ প্রত্যাবর্তন অন্য সব আল্লাহর শাস্তি ব্যতীত শুধু ব্যভিচারের সাথেই নির্ধারণ করা হয়নি। ব্যভিচারের ক্ষেত্রে যেরূপ স্বীকৃতি নির্দিষ্ট সংখ্যক হওয়া ব্যতীত তা দলীল হিসেবে গ্রহণ করা হয় না, অনুরূপভাবে অন্যান্য সব অপরাধের শাস্তির বেলায়ও নির্দিষ্ট সংখ্যক স্বীকৃতি ব্যতীত স্বীকৃতিকে দলীল হিসেবে গ্রহণ করা হয়না। মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাযিঃ) এ সম্পর্কে ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ)-এর উপর হস্তক্ষেপ করেন এবং বলেন, চোর যদি দুবার চুরির কথা স্বীকার না করে তাহলে চুরিতে তার হাত কাটা হয়না। তাই যখন সে প্রথম বার স্বীকার করল তাহলে সে যেন তার উপর ঋণের স্বীকৃতি প্রদান করল। এরপর চোরের হাত কাটা ওয়াজিব হবেনা যেমন চোরের হাত কাটা যাবেনা, যখন সে ঋণ নেয়ার কথা স্বীকার করে। সুতরাং এ সম্পর্কে আবু ইউসূফ (রাহঃ)-এর পক্ষে আমাদের দলীল হল এ যে, চুরির শাস্তি সম্বন্ধে আবু ইউসুফ (রাহঃ) যেরূপ শর্ত আরােপ করেছেন, ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) ও ব্যভিচারের স্বীকৃতির শাস্তি সম্বন্ধে অনুরূপ শর্ত আরােপ করেছেন । ফিকাহ বিদদের মতে মাহর প্রদান ওয়াজিব হলে ব্যভিচারীর উপর শাস্তি আরােপ করা যায়না, তদ্রুপ চোরের উপর ঋণ ওয়াজিব হলে তার হাত কাটা যায়না। এ সূত্র নিয়ে যদি ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ)-এর বিরুদ্ধে দলীল পেশ করেন তাহলে চুরি সম্বন্ধে স্বীকৃতির ব্যাপারে ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ)-এর অভিমতের ক্রটি যেমন প্রকাশ হয়ে পড়ে, অনুরূপভাবে ব্যভিচার সম্বন্ধে স্বীকৃতির ব্যাপারেও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমতের ক্রটি প্রকাশ হয়ে পড়বে। আর তা হল যদি ব্যভিচার সম্বন্ধে কেউ একবার স্বীকৃতি প্রকাশ করে তাহলে তার উপর শাস্তি আরােপ ওয়াজিব হয়না। সে সঙ্গম সম্বন্ধে স্বীকার করেছে আর এ স্বীকৃতির জন্যে তার উপর শাস্তি ওয়াজিব হবে, বরং তার উপর মাহর ওয়াজিব হবে। সুতরাং যে সঙ্গমে মাহর ওয়াজিব হয় সে সঙ্গমের জন্যে শাস্তি প্রয়োেগ সমীচীন নয়। আর ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) ব্যভিচারের স্বীকৃতিতে যেমন এটাকে দলীল মনে করেন না, তদ্রুপ ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও চুরির স্বীকৃতির ক্ষেত্রে এটাকে দলীল মনে করেন না। আলী (রাযিঃ)-এর কাছে যে ব্যক্তি চুরির স্বীকৃতি দান করছিল তিনি এটাকে দুবার আবৃত্তি করিয়ে ছিলেনঃ
4981 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحَجَّاجِ وَمُحَمَّدُ بْنُ عَوْنٍ الزُّبَيْرِيُّ قَالَا: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ قَالَ: أَخْبَرَنِي إِسْحَاقُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ أَبِي الْمُنْذِرِ مَوْلَى أَبِي ذَرٍّ عَنْ أَبِي أُمَيَّةَ الْمَخْزُومِيِّ " أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُتِيَ بِلِصٍّ اعْتَرَفَ اعْتِرَافًا وَلَمْ يُوجَدْ مَعَهُ الْمَتَاعُ. [ص:169] فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا إِخَالُكَ سَرَقْتَ قَالَ: بَلَى يَا رَسُولَ اللهِ , فَأَعَادَهَا عَلَيْهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا , قَالَ: بَلَى يَا رَسُولَ اللهِ , فَأَمَرَ بِهِ فَقُطِعَ. ثُمَّ جِيءَ بِهِ , فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُلْ أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ قَالَ: أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ ثُمَّ قَالَ اللهُمَّ تُبْ عَلَيْهِ «فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَقْطَعْهُ بِإِقْرَارِهِ مَرَّةً وَاحِدَةً حَتَّى أَقَرَّ ثَانِيَةً. فَهَذَا أَوْلَى مِنَ الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ لِأَنَّ فِيهِ زِيَادَةً عَلَى مَا فِي الْأَوَّلِ. وَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أَحَدُهُمَا قَدْ نَسَخَ الْآخَرَ. فَلَمَّا احْتَمَلَ ذَلِكَ رَجَعْنَا إِلَى النَّظَرِ فَوَجَدْنَا السُّنَّةَ قَدْ قَامَتْ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمُقِرِّ بِالزِّنَا أَنَّهُ رَدَّهُ أَرْبَعًا وَأَنَّهُ لَمْ يَرْجُمْهُ بِإِقْرَارِهِ مَرَّةً وَاحِدَةً وَأُخْرَجَ ذَلِكَ مِنْ حُكْمِ الْإِقْرَارِ بِحُقُوقِ الْآدَمِيِّينَ الَّتِي يُقْبَلُ فِيهَا الْإِقْرَارُ مَرَّةً وَاحِدَةً وَرَدَّ حُكْمَ الْإِقْرَارِ بِذَلِكَ إِلَى حُكْمِ الشَّهَادَةِ عَلَيْهِ. فَكَمَا كَانَتِ الشَّهَادَةُ عَلَيْهِ غَيْرَ مَقْبُولَةٍ إِلَّا مِنْ أَرْبَعَةٍ فَكَذَلِكَ جَعَلَ الْإِقْرَارَ بِهِ لَا يُوجِبُ الْجَلْدَ إِلَّا بِإِقْرَارِهِ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ حُكْمَ الْإِقْرَارِ بِالسَّرِقَةِ أَيْضًا لِذَلِكَ يُرَدُّ إِلَى حُكْمِ الشَّهَادَةِ عَلَيْهَا. فَكَمَا كَانَتِ الشَّهَادَةُ عَلَيْهِ لَا يَجُوزُ إِلَّا مِنِ اثْنَيْنِ فَكَذَلِكَ الْإِقْرَارُ بِهَا لَا يُقْبَلُ إِلَّا مَرَّتَيْنِ. وَقَدْ رَأَيْنَاهُمْ جَمِيعًا لَمَّا رَوَوْا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمُقِرِّ بِالزِّنَا لَمَّا هَرَبَ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» لَوْلَا خَلَّيْتُمْ سَبِيلَهُ " فَكَانَ ذَلِكَ عِنْدَهُمْ عَلَى أَنَّ رُجُوعَهُ مَقْبُولٌ وَاسْتَعْمَلُوا ذَلِكَ فِي سَائِرِ حُدُودِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ فَجَعَلُوا مَنْ أَقَرَّ بِهَا ثُمَّ رَجَعَ قَبْلَ رُجُوعِهِ وَلَمْ يَخُصُّوا الزِّنَا بِذَلِكَ دُونَ سَائِرِ حُدُودِ اللهِ. فَكَذَلِكَ لَمَّا جُعِلَ الْإِقْرَارُ فِي الزِّنَا لَا يُقْبَلُ إِلَّا بِعَدَدِ مَا يُقْبَلُ عَلَيْهِ مِنَ الْبَيِّنَةِ ثَبَتَ أَنَّهُ لَا يُقْبَلُ الْإِقْرَارُ بِسَائِرِ حُدُودِ اللهِ إِلَّا بِعَدَدِ مَا يُقْبَلُ عَلَيْهَا مِنَ الْبَيِّنَةِ. فَأَدْخَلَ مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ رَحِمَهُ اللهُ فِي هَذَا عَلَى أَبِي يُوسُفَ رَحِمَهُ اللهُ فَقَالَ لَوْ كَانَ لَا يُقْطَعُ فِي السَّرِقَةِ حَتَّى يُقِرَّ بِهَا سَارِقُهَا مَرَّتَيْنِ لَكَانَ إِذَا أَقَرَّ أَوَّلَ مَرَّةٍ صَارَ مَا أَقَرَّ بِهِ عَلَيْهِ دَيْنًا وَلَمْ يَجِبْ عَلَيْهِ الْقَطْعُ بَعْدَ ذَلِكَ إِذَا كَانَ السَّارِقُ لَا يُقْطَعُ فِيمَا قَدْ وَجَبَ عَلَيْهِ بِأَخْذِهِ إِيَّاهُ دَيْنًا. فَكَانَ مِنْ حُجَّتِنَا لِأَبِي يُوسُفَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ فِي ذَلِكَ أَنَّهُ لَوْ لَزِمَ ذَلِكَ أَبَا يُوسُفَ فِي السَّرِقَةِ لَلَزِمَ مُحَمَّدًا مِثْلُهُ فِي الزِّنَا أَيْضًا إِذْ كَانَ الزَّانِي فِي قَوْلِهِمْ لَا يُحَدُّ فِيمَا وَجَبَ عَلَيْهِ فِيهِ مَهْرٌ كَمَا لَا يُقْطَعُ السَّارِقُ فِيمَا قَدْ وَجَبَ عَلَيْهِ دَيْنًا. [ص:170] فَلَوْ كَانَتْ هَذِهِ الْعِلَّةُ الَّتِي احْتَجَّ بِهَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ رَحِمَهُ اللهُ عَلَى أَبِي يُوسُفَ يَجِبُ بِهَا فَسَادُ قَوْلِ أَبِي يُوسُفَ رَحِمَهُ اللهُ فِي الْإِقْرَارِ بِالسَّرِقَةِ لَلَزِمَ مُحَمَّدًا مِثْلُ ذَلِكَ فِي الْإِقْرَارِ بِالزِّنَا. وَذَلِكَ أَنَّهُ لَمَّا أَقَرَّ بِالزِّنَا مَرَّةً لَمْ يَجِبْ عَلَيْهِ حَدٌّ وَقَدْ أَقَرَّ بِوَطْءٍ لَا يُحَدُّ فِيهِ بِذَلِكَ الْإِقْرَارِ فَوَجَبَ عَلَيْهِ مَهْرٌ فَلَا يَنْبَغِي أَنْ يُحَدَّ فِي وَطْءٍ قَدْ وَجَبَ عَلَيْهِ فِيهِ مَهْرٌ. فَإِذَا كَانَ مُحَمَّدٌ رَحِمَهُ اللهُ لَمْ يَجِبْ عَلَيْهِ بِذَلِكَ حُجَّةٌ فِي الْإِقْرَارِ بِالزِّنَا فَكَذَلِكَ أَبُو يُوسُفَ رَحِمَهُ اللهُ لَا يَجِبُ عَلَيْهِ بِذَلِكَ حُجَّةٌ فِي الْإِقْرَارِ بِالسَّرِقَةِ. وَقَدْ رَدَّ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ الَّذِي أَقَرَّ عِنْدَهُ بِالسَّرِقَةِ مَرَّتَيْنِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং : ৪৯৮২
৯. চুরির স্বীকৃতি যা হাত কাটাকে ওয়াজিব করে
৪৯৮২। আবু বিশর আর-রাকী (রাহঃ) ….. আলী ইব্‌ন আবু তালিব (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। একদিন জনৈক ব্যক্তি তার কাছে চুরির কথা দুবার স্বীকার করে, তখন আলী (রাযিঃ) তাকে বলেন, “তুমি তােমার বিরুদ্ধে দুবার সাক্ষ্য দিলে।” বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তিনি তার ক্ষেত্রে হুকুম জারী করেন। তার হাত কাটা হয় এবং তা তার গর্দানে লটকিয়ে দেয়া হয়।

তােমরা কি লক্ষ্য করনা যে, আলী (রাযিঃ) চুরি সম্পর্কে স্বীকৃতির হুকুমকে সংখ্যার দিক দিয়ে চুরি সম্বন্ধে সাক্ষ্য দেয়ার হুকুমে রূপান্তরিত করেন, অনুরূপভাবে আল্লাহর সমস্ত শাস্তির স্বীকৃতিকে সাক্ষ্য দানের সংখ্যার ন্যায় সাক্ষ্য সহকারে গ্রহণ করেন।
4982 - حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ الرَّقِّيُّ , قَالَ: ثنا أَبُو مُعَاوِيَةَ , عَنِ الْأَعْمَشِ , عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ , أَنَّ رَجُلًا أَقَرَّ عِنْدَهُ بِسَرِقَةٍ مَرَّتَيْنِ فَقَالَ: قَدْ شَهِدْتَ عَلَى نَفْسِكَ شَهَادَتَيْنِ قَالَ: فَأَمَرَ بِهِ فَقُطِعَ وَعَلَّقَهَا فِي عُنُقِهِ أَفَلَا تَرَى أَنَّ عَلِيًّا رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ رَدَّ حُكْمَ الْإِقْرَارِ بِالسَّرِقَةِ إِلَى حُكْمِ الشَّهَادَةِ عَلَيْهَا فِي عَدَدِ الشُّهُودِ فَكَذَلِكَ الْإِقْرَارُ بِحُدُودِ اللهِ كُلِّهَا لَا يُقْبَلُ فِي ذَلِكَ إِلَّا بِعَدَدِ مَا يُقْبَلُ مِنَ الشُّهُودِ عَلَيْهَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান