শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

১১. শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪৯৯০
১১. ফল ও খেজুর গুচ্ছ চুরি
৪৯৯০। ইউনুস (রাহঃ) ..... মুহাম্মাদ ইব্‌ন ইয়াহ্ইয়া ইব্‌ন হাব্বান (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন একটি গােলাম জনৈক ব্যক্তির বাগান থেকে একটি খেজুরের চারা চুরি করে এবং নিজের মনিবের বাগানে তা রােপণ করে। খেজুরের চারার মালিক খেজুরের চারা খোঁজ করতে থাকে। অবশেষে সে এটা চোরের মনিবের বাগানে খুঁজে পায়। লােকটি গােলামটির বিরুদ্ধে গভর্ণর মারওয়ান ইব্‌নুল হাকামের আদালতে মামলা দায়ের করে। মারওয়ান গােলামটিকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাগারে বন্দী করে এবং তার হাত কাটতে মনস্থ করে। গােলামের মালিক রাফি' ইব্‌ন খাদীজ (রাযিঃ)-এর কাছে গমন করেন ও ঘটনাটি খুলে বর্ণনা করেন। রাফি' ইব্‌ন খাদীজ (রাযিঃ) তাকে সংবাদ দেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-কে বলতে শুনেছেন । তিনি বলেন, ফল ও খেজুর গুচ্ছ চুরি করলে কোন প্রকার হাত কর্তন নেই। লােকটি বলল, মারওয়ান ইবনুল হাকাম আমার গােলামটিকে গ্রেফতার করেছে। আর সে তার হাত কর্তন করতে মনস্থ করেছে। আমার আপনার কাছে আরয এই যে, আপনি অনুগ্রহ করে আমার সাথে চলুন এবং তাকে সংবাদ দিন, যা আপনি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) থেকে শুনেছেন। লােকটির সাথে রাফি' ইব্‌ন সাখদীজ (রাযিঃ) রওয়ানা হন এবং মারওয়ানের কাছে আগমন করেন ও বলেন, তুমি তার গােলামটিকে কি এ জন্যই গ্রেফতার করেছ? মারওয়ানা বললেন, হ্যাঁ। রাফি' (রাযিঃ) বললেন, তুমি তাকে দিয়ে কি করবে? মাওয়ান বললেন, আমি তাকে চুরির অপরাধে তার হাত কাটার ইচ্ছে পােষণ করছি। রাফি‘ (রাযিঃ) তখন মারওয়ানকে বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, ফল ও খেজুর গুচ্ছে কোন হাত কাটা নেই। এ হাদীস শুনার পর মারওয়ান গােলামটিকে রেহাই দানের হুকুম জারী করেন এবং তাকে ছেড়ে দেন।
بَابُ سَرِقَةِ الثَّمَرِ وَالْكَثْرِ
4990 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حِبَّانَ أَنَّ عَبْدًا سَرَقَ وَدِيًّا مِنْ حَائِطِ رَجُلٍ فَغَرَسَهُ فِي حَائِطِ سَيِّدِهِ فَخَرَجَ صَاحِبُ الْوَدِيِّ يَلْتَمِسُ وَدِيَّهُ فَوَجَدَهُ فَاسْتَعْدَى عَلَى الْعَبْدِ عِنْدَ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ فَسَجَنَ الْعَبْدَ وَأَرَادَ قَطْعَ يَدِهِ فَانْطَلَقَ سَيِّدُ الْعَبْدِ إِلَى رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ فَأَخْبَرَهُ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا قَطْعَ فِي ثَمَرٍ وَلَا كَثَرٍ» فَقَالَ الرَّجُلُ: فَإِنَّ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ أَخَذَ غُلَامِي وَهُوَ يُرِيدُ قَطْعَ يَدِهِ وَأَنَا أُحِبُّ أَنْ تَمْشِيَ مَعِي إِلَيْهِ فَتُخْبِرَهُ بِالَّذِي سَمِعْتَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَمَشَى مَعَهُ رَافِعٌ حَتَّى أَتَى مَرْوَانَ فَقَالَ: أَخَذْتَ عَبْدًا لِهَذَا؟ فَقَالَ: نَعَمْ , قَالَ: مَا أَنْتَ صَانِعٌ بِهِ؟ قَالَ: أَرَدْتُ قَطْعَ يَدِهِ. فَقَالَ لَهُ رَافِعٌ: إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا قَطْعَ فِي ثَمَرٍ وَلَا كَثَرٍ» فَأَمَرَ مَرْوَانُ بِالْعَبْدِ فَأُرْسِلَ.
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৯৯১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৯৯২
১১. ফল ও খেজুর গুচ্ছ চুরি
৪৯৯১-৯২। ইসমাঈল ইব্‌ন ইয়াহ্ইয়া আল-মুযানী (রাহঃ) ….. মুহাম্মাদ ইব্‌ন ইয়াহ্ইয়া ইব্‌ন হাব্বান (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি তার চাচা ওয়াসি' ইব্‌ন হাব্বান (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন একটি গােলাম জনৈক ব্যক্তির ফলের বাগান হতে একটি খেজুর চারা চুরি করে এবং সে এটাকে নিয়ে এনে অন্য জায়গায় রােপণ করে। তার এ অপরাধের জন্যে তাকে মারওয়ানের আদালতে হাযির করা হয়। মারওয়ান চুরি করার দায়ে তার হাত কাটার জন্য ইচ্ছা পােষণ করেন। অতঃপর রাফি‘ ইব্‌ন খাদীজ (রাযিঃ) সাক্ষ্য দেন যে,
রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) ইরশাদ করেছেন, “ফল ও খেজুর গুচ্ছ চুরি করলে কোন প্রকার হাত কাটা নেই।”
আবু জা'ফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিমের মতে ফল কিংবা গুচ্ছ চুরি করার মধ্যে কোন প্রকার হাত কাটা নেই-চোর তার মালিকের বাগান থেকে চুরি করুক কিংবা খেজুর কাটার পর তা ঘরে সংরক্ষণ করার পর চুরি করুক, এতে কোন পার্থক্য নেই। তারা আরাে বলেন, খেজুর গাছের কাঁচা ডাল কিংবা খেজুর গাছের শুকনাে লাকড়ী চুরি করার মধ্যেও কোন প্রকার হাত কাটা নেই। কেননা রাফি (রাযিঃ) চুরি হয়ে যাওয়া খেজুর গাছের চারা কিংবা খেজুর গাছের ডাল ইত্যাদির মূল্য সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করেনি। তিনি চোরের হস্ত কর্তনকে প্রতিহত করেছেন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর বাণীর জন্যেই। আর রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বলেছেন, খেজুর গুচ্ছ ও খেজুরের রসে কোন হাত কাটা নেই। এ হাদীসে প্রমাণিত হয় যে, খেজুরের রস কিংবা খেজুরের ডালা, লাকড়ী ও ফল চুরি করলে হাত কাটা নেই। এসব উলামায়ে কিরামের মধ্যে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) অন্তর্ভুক্ত। অন্য একদল আলিম এ সম্পর্কে তাদের বিরােধিতা করেন এবং তারা বলেন, রাফি‘ (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতে যা বর্ণনা করেছেন তা হল বাগান থেকে খেজুর কিংবা খেজুর গুচ্ছ চুরি করে নেয়ার বেলায় প্রযােজ্য। এখানে সংরক্ষণের প্রশ্ন নেই, কিন্তু যেগুলাে সংরক্ষণ করা হয়েছে সেগুলাের হুকুম অন্য সব সম্পদের ন্যায়। আর অন্যান্য সম্পদের যে পরিমাণ চুরি করলে হাত কাটা ওয়াজিব হয়, এসব সম্পদের ক্ষেত্রেও একই হুকুম প্রযােজ্য। তাদের দলীল হল এ কিতাবের অন্য অনুচ্ছেদে আমরা রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) থেকে যে হাদীস বর্ণনা করেছিঃ রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -কে যখন ঝুলন্ত ফল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল তখন তিনি বলেছিলেন, এর মধ্যে কোন হাত কাটা নেই। তবে যেগুলােকে শষ্য মাড়াই এর স্থানে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে এবং এগুলাের মূল্য একটি ঢালের মূল্যের সমান হয়, তার মধ্যে হাত কাটা রয়েছে, কিন্তু যার মূল্য ঢালের মূল্যের সমান হয়নি তার মধ্যে রয়েছে সমমূল্যের জরিমানা ও বেত্রাঘাতের শাস্তি।


ইবরাহীম ইব্‌ন আবু দাউদ (রাহঃ) ..... আমর ইব্‌ন শুয়াইব (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি তার পিতা ও তার দাদা হতে বর্ণনা করেন এবং তিনি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) থেকে এ সম্পর্কে বর্ণনা পেশ করেন।
সুতরাং রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) শস্য মাড়াই এর জায়গায় সংরক্ষিত চুরি যাওয়া ফল এবং গাছের মধ্যে অসংরক্ষিত ফলের মধ্যে পার্থক্য করেছেন। যেটা শস্য মাড়াই এর জায়গায় সংরক্ষণ করা হয়েছে তা চুরি হয়ে গেলে তার মধ্যে হাত কাটা রয়েছে। আর যেটাকে শস্য মাড়াই এর জায়গায় সংরক্ষণ করা হয়নি তার জন্য রয়েছে জরিমানা ও বেত্রাঘাতের শাস্তি। সুতরাং রাফি (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতে যে হাদীস বর্ণনা করেছেন যার মধ্যে বলা হয়েছে খেজুর ফল কিংবা খেজুর গুচ্ছের মধ্যে হাত কাটা নেই, তা হল যা বাগানের মধ্যে অসংক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। তবে আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন আমর (রাযিঃ) হতে যে হাদীস বর্ণনা করা হয়েছে তাতে রাফি (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীস হতে কিছুটা অতিরিক্ত বর্ণনা রয়েছে এবং তা ঐ হাদীসের বিপরীতও বটে। তার মধ্যে রয়েছে হাত কাটা, অন্যটার মধ্যে নয়। সুতরাং এ দু‘ হাদীসের মধ্যে এভাবে সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়ায় এ দুটি হাদীস পরস্পর বিরােধপূর্ণ নয়। আর এটাই ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ)-এর অভিমত।
4991 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ يَحْيَى الْمُزَنِيُّ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ الشَّافِعِيُّ , عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ , عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حِبَّانَ , عَنْ عَمِّهِ , وَاسِعِ بْنِ حِبَّانَ , أَنَّ عَبْدًا سَرَقَ وَدِيًّا مِنْ حَائِطِ رَجُلٍ فَجَاءَ بِهِ فَغَرَسَهُ فِي مَكَانٍ آخَرَ. فَأَتَى بِهِ مَرْوَانَ فَأَرَادَ أَنْ يَقْطَعَهُ فَشَهِدَ رَافِعُ بْنُ خَدِيجٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا قَطْعَ فِي ثَمَرٍ وَلَا كَثَرٍ» . قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّهُ لَا يُقْطَعُ فِي شَيْءٍ مِنَ الثَّمَرِ وَلَا مِنَ الْكَثَرِ وَسَوَاءٌ عِنْدَهُمْ أَخَذَ مِنْ حَائِطِ صَاحِبِهِ أَوْ مَنْزِلِهِ بَعْدَمَا قَطَعَهُ وَأَحْرَزَهُ فِيهِ. [ص:173] وَقَالُوا: لَا قَطْعَ أَيْضًا فِي جَرِيدِ النَّخْلِ وَلَا فِي خَشَبِهِ لِأَنَّ رَافِعًا لَمْ يَسْأَلْ عَنْ قِيمَةِ مَا كَانَ فِي الْوَدِيَّةِ الْمَسْرُوقَةِ مِنَ الْجَرِيدِ وَلَا عَنْ قِيمَةِ جِذْعِهَا وَدَرَأَ الْقَطْعَ عَنِ السَّارِقِ فِي ذَلِكَ لِقَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَا قَطْعَ فِي كَثَرٍ» وَهُوَ الْجُمَّارُ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّهُ لَا قَطْعَ فِي الْجُمَّارِ وَلَا فِيمَا يَكُونُ عِنْدَهُ مِنَ الْجَرِيدِ وَالْخَشَبِ وَالثَّمَرِ. وَمِمَّنْ قَالَ ذَلِكَ أَبُو حَنِيفَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: هَذَا الَّذِي حَكَاهُ رَافِعٌ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ قَوْلِ «لَا قَطْعَ فِي ثَمَرٍ وَلَا كَثَرٍ» وَهُوَ عَلَى الثَّمَرِ وَالْكَثَرِ الْمَأْخُوذَيْنِ مِنَ الْحَائِطِ الَّتِي لَيْسَتْ بِحِرْزٍ لِمَا فِيهَا. فَأَمَّا مَا كَانَ مِنْ ذَلِكَ مِمَّا قَدْ أُحْرِزَ فَحُكْمُهُ حُكْمُ سَائِرِ الْأَمْوَالِ وَيَجِبُ الْقَطْعُ عَلَى مَنْ سَرَقَ مِنْ ذَلِكَ الْمِقْدَارِ الَّذِي يَجِبُ الْقَطْعُ فِيهِ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِمَا قَدْ رَوَيْنَاهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْكِتَابِ فِي غَيْرِ هَذَا الْبَابِ لَمَّا سُئِلَ عَنِ الثَّمَرِ الْمُعَلَّقِ فَقَالَ: «لَا قَطْعَ فِيهِ إِلَّا مَا أَوَاهُ الْجَرِينُ وَبَلَغَ ثَمَنَ الْمِجَنِّ فَفِيهِ الْقَطْعُ وَمَا لَمْ يَبْلُغْ ثَمَنَ الْمِجَنِّ فَفِيهِ غَرَامَةُ مِثْلِهِ وَجَلَدَاتُ نَكَالٍ» . وَقَدْ

4992 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا الْوَهْبِيُّ قَالَ: ثنا ابْنُ إِسْحَاقَ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ أَيْضًا فَفَرَّقَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الثِّمَارِ الْمَسْرُوقَةِ بَيْنَ مَا أَوَاهُ الْجَرِينُ مِنْهَا وَبَيْنَ مَا لَمْ يَأْوِهِ وَكَانَ فِي شَجَرِهِ فَجَعَلَ فِيمَا أَوَاهُ الْجَرِينُ مِنْهَا الْقَطْعَ وَفِيمَا لَمْ يَأْوِهِ الْجَرِينُ الْغُرْمَ وَالنَّكَالَ. فَتَصْحِيحُ هَذَا الْحَدِيثِ وَمَا رَوَاهُ رَافِعٌ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ قَوْلِهِ «لَا قَطْعَ فِي ثَمَرٍ وَلَا كَثَرٍ» أَنْ يُجْعَلَ مَا رَوَى رَافِعٌ هُوَ عَلَى مَا كَانَ فِي الْحَوَائِطِ الَّتِي لَمْ يُحْرَزْ مَا فِيهَا عَلَى مَا فِي حَدِيثِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو مِمَّا زَادَ عَلَى مَا فِي حَدِيثِ رَافِعٍ فَهُوَ خِلَافُ مَا فِي حَدِيثِ رَافِعٍ فَفِي ذَلِكَ الْقَطْعُ وَلَا قَطْعَ فِيمَا سِوَى ذَلِكَ , يَسْتَوِي هَذَانِ الْأَثَرَانِ وَلَا يَتَضَادَّانِ وَهَذَا قَوْلُ أَبِي يُوسُفَ رَحِمَهُ اللهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৯৯২
empty
৪৯৯২।
4992 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান