শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

৫. রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১২ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৩১৮৯
৪. রামাযান মাসে ইচ্ছাকৃতভাবে স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করার বিধান
৩১৮৯। আলী ইবন শায়বা (রাহঃ) ..... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, জনৈক ব্যক্তি নবী করীম (ﷺ) -এর কাছে এসে বলল, সে জ্বলে পুড়ে গেছে। তিনি তাকে তার ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। সে বলল, আমি রামাযানে আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করেছি। এরপর নবী করীম -এর কাছে, বড় এক থলে বা টুকরি, যাকে আরক’ বলা হয়, খেজুর এল। তিনি বললেন, দগ্ধ হয়ে যাওয়া ব্যক্তিটি কোথায় ? লােকটি দাঁড়াল। তিনি বললেন, এটি সাদকা করে দাও।
আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম মত গ্রহণ করেছেন যে, কোন ব্যক্তি যদি রামাযানে স্ত্রী সঙ্গম করে তাহলে তার উপর (কিছু) সাদাকা করে দেয়া জরুরী। সাদাকা ব্যতীত তার উপর কাফফার ওয়াজিব নয়। তারা এই বিষয়ে এই হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন। পক্ষান্তরে এই বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরােধিতা করেছেন। তাঁরা বলেছেনঃ বরং তার উপর গােলাম আযাদ করা বা এক নাগাড়ে দুই মাস সিয়াম পালন বা ষাট মিসকীনকে আহার করানাে ওয়াজিব। অর্থাৎ সে এর থেকে যে কোন একটি করতে পারে।
এ বিষয়ে তারা নিম্মােক্ত হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন:
بَابُ الْحُكْمِ فِي مَنْ جَامَعَ أَهْلَهُ فِي رَمَضَانَ مُتَعَمِّدًا
3189 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ , قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ , قَالَ: أنا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ , عَنْ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا " أَنَّ رَجُلًا أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَ لَهُ أَنَّهُ احْتَرَقَ , فَسَأَلَهُ عَنْ أَمْرِهِ فَقَالَ: " وَقَعْتُ عَلَى امْرَأَتِي فِي رَمَضَانَ. فَأُتِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِكْتَلٍ يُدْعَى الْعَرْقَ , فِيهِ تَمْرٌ , فَقَالَ: أَيْنَ الْمُحْتَرِقُ؟ فَقَامَ الرَّجُلُ. فَقَالَ: تَصَدَّقْ بِهَذَا " قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ مَنْ وَقَعَ بِأَهْلِهِ فِي رَمَضَانَ , فَعَلَيْهِ أَنْ يَتَصَدَّقَ , فَلَا يَجِبُ عَلَيْهِ مِنَ الْكَفَّارَةِ غَيْرُ الصَّدَقَةِ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: بَلْ يَجِبُ عَلَيْهِ أَنْ يُعْتِقَ رَقَبَةً , أَوْ يَصُومَ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ , أَوْ يُطْعِمَ سِتِّينَ مِسْكِينًا أَيَّ ذَلِكَ مَا شَاءَ فَعَلَ
وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:৩১৮৯
সুবহে সাদিকের পর রোযার নিয়তকারীর হুকুম।
3189 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ , قَالَ: ثنا رَوْحٌ , قَالَ: ثنا سَعِيدٌ , عَنْ قَتَادَةَ , عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ , أَنَّ أَبَا طَلْحَةَ كَانَ يَأْتِي أَهْلَهُ مِنَ الضُّحَى فَيَقُولُ: «هَلْ عِنْدَكُمْ غَدَاءٌ؟» فَإِنْ قَالُوا: لَا صَامَ ذَلِكَ الْيَوْمَ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩১৯০
রামাযান মাসে ইচ্ছাকৃতভাবে স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করার বিধান
৩১৯০। ইউনুস (রাহঃ)..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, জনৈক ব্যক্তি নবী করীম (ﷺ) -এর যুগে রামাযানে সিয়াম ভেঙ্গে ফেলে। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে কাফফারা হিসাবে একটি গোলাম আযাদ বা এক নাগাড়ে দুই মাস সিয়াম পালন বা ষাট মিসকীনকে আহার করানাের নির্দেশ প্রদান করেন। উক্ত ব্যক্তি বলল, আমি সক্ষম নই। তারপর রাসূলুল্লাহ -এর কাছে আরক' (বড় এক টুকরি) খেজুর এল। তিনি লােকটিকে বললেন, এগুলাে নিয়ে সাদাকা করে দাও। লােকটি বলল, এগুলাের ব্যাপারে আমার চাইতে অধিক অভাবগ্রস্ত আর কাউকে আমি (খুঁজে) পাই না। (এ কথা শুনে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হেসে উঠলেন; এমনকি তাঁর চোয়ালের দাঁত (বিষদাঁত) প্রকাশ পেল। তারপর তিনি বললেনঃ তুমি তা আহার কর।
3190 - بِمَا حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَجُلًا أَفْطَرَ فِي رَمَضَانَ , فِي زَمَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَمَرَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُكَفِّرَ بِعِتْقِ رَقَبَةٍ , أَوْ صِيَامِ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ , أَوْ إِطْعَامِ سِتِّينَ مِسْكِينًا , فَقَالَ: لَا أَجِدُ فَأُتِيَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَرْقٍ فِيهِ تَمْرٌ , فَقَالَ: خُذْ هَذَا فَتَصَدَّقْ بِهِ. فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ , إِنِّي لَا أَجِدُ أَحَدًا أَحْوَجَ إِلَيْهِ مِنِّي , فَضَحِكَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى بَدَتْ أَنْيَابُهُ , ثُمَّ قَالَ: كُلْهُ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:৩১৯১
রামাযান মাসে ইচ্ছাকৃতভাবে স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করার বিধান
৩১৯১। আবু বাকরা (রাহঃ) ..... আবু হুরায়য়া (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, এক বার নবী করীম (ﷺ) জনৈক ব্যক্তিকে, যে কিনা রামাযান মাসে সিয়াম ভেঙ্গে ফেলেছিল নির্দেশ দিলেন, যেন সে একটি গােলাম আযাদ করে বা এক নাগাড়ে দুই মাস সিয়াম পালন করে বা ষাট মিসকীনকে আহার করায়। তাঁরা বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে যা দান করার তা দান করেছেন, সেই বস্তু থেকে যা তাকে সাদাকা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এই বিষয়ে তার উপর কি জরুরী তা, তাকে অবহিত করার পর, যা আবু হুরায়রা (রাযিঃ) তাঁর এই হাদীসে বর্ণনা করেছেন।
এ বিষয়ে আরেক দল আলিমগণও তাঁদের বিরােধিতা করেছেন। তাঁরা বলেছেনঃ বরং একটি গােলাম আযাদ করবে যদি এর সামর্থ্য থাকে বা লাগাতার দুই মাস সিয়াম পালন করবে, যদি গোলাম আযাদে সমর্থ না হয়; আর যদি তাতে (লাগাতার দুই মাস সিয়াম পালনে) সক্ষম না হয় তাহলে ষাট মিসকীনকে আহার করাবে। (অর্থাৎ ধারাবাহিকতা রক্ষা করাও জরুরী) এ বিষয়ে তাঁদের প্রমাণ হলাে যে, আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর হাদীস যা আমরা এই অংশের পূর্বের অংশে উল্লেখ করেছি, যাতে আয়েশা (রাযিঃ)-এর হাদীসের মর্ম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেমনি ভাবে তাঁরা উল্লেখ করেছেন।
বস্তুত আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর হাদীসের মূল হলাে : তাতে একটি গােলাম আযাদ করার দ্বারা সূচনা করা হয়েছে, যদি স্ত্রী সঙ্গমকারী তার সামর্থ্য রাখে। তার পরে দ্বিতীয় পর্যায়ে আনা হয়েছে সিয়াম পালন, যদি সঙ্গমকারী গােলাম আযাদের সামর্থ্য না রাখে। এ দুটির পরে তৃতীয় পর্যায়ে আনা হয়েছে আহার করাননাকে, যদি সঙ্গমকারী ঐ দু'টির সামর্থ্য না রাখে। এরূপ হচ্ছে মূল হাদীস যা এ বিষয়ে যুহরী (রাহঃ) রিওয়ায়াত করেছেন। অনুরূপভাবে মালিক (রাহঃ) ও ইব্‌ন জুরায়জ (রাহঃ) ব্যতীত তা তার থেকে অপরাপর রাবীগণ রিওয়ায়াত করেছেন এবং তাঁরা তাতে দীর্ঘ কাহিনী বর্ণনা করেছেন যে, তা কিরূপ ছিলাে এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার প্রতি এই বিষয়ে কিভাবে কাফফারার নির্দেশ দিয়েছেন।
3191 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ , قَالَ: ثنا ابْنُ جُرَيْجٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ شِهَابٍ , عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ حَدَّثَهُ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ رَجُلًا , أَفْطَرَ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ , أَنْ يُعْتِقَ رَقَبَةً أَوْ صِيَامَ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ , أَوْ إِطْعَامَ سِتِّينَ مِسْكِينًا» قَالُوا: فَإِنَّمَا أَعْطَاهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا أَعْطَاهُ مِمَّا أَمَرَهُ أَنْ يَتَصَدَّقَ بِهِ , بَعْدَ أَنْ أَخْبَرَهُ بِمَا عَلَيْهِ فِي ذَلِكَ , مِمَّا بَيَّنَهُ أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي حَدِيثِهِ هَذَا. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ أَيْضًا , فَقَالُوا: بَلْ بِعِتْقِ رَقَبَةٍ إِنْ كَانَ لَهَا وَاجِدًا , أَوْ يَصُومُ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ , إِنْ كَانَ لِلرَّقَبَةِ غَيْرَ وَاجِدٍ , فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ ذَلِكَ , أَطْعَمَ سِتِّينَ مِسْكِينًا. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي ذَلِكَ أَنَّ حَدِيثَ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ فِي الْفَصْلِ الَّذِي قَبْلَ هَذَا الْفَصْلِ قَدْ دَخَلَ فِيهِ حَدِيثُ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا كَمَا ذَكَرُوا. وَأَصْلُ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ ذَلِكَ فِيهِ مِنَ التَّبْدِئَةِ بِالرَّقَبَةِ إِنْ كَانَ الْمُجَامِعُ , لَهَا وَاجِدًا , وَالتَّثْنِيَةِ بِالصِّيَامِ بَعْدَهَا , إِنْ كَانَ الْمُجَامِعُ , لِلرَّقَبَةِ غَيْرَ وَاجِدٍ , وَالتَّثْلِيثِ بِالْإِطْعَامِ بَعْدَهُمَا إِنْ كَانَ الْمُجَامِعُ ; لَهُمَا غَيْرَ وَاجِدٍ , هَكَذَا أَصْلُ الْحَدِيثِ الَّذِي رَوَاهُ الزُّهْرِيُّ فِي ذَلِكَ. وَكَذَلِكَ رَوَاهُ عَنْهُ سَائِرُ النَّاسِ غَيْرَ مَالِكٍ وَابْنِ جُرَيْجٍ , وَبَيَّنُوا فِيهِ الْقِصَّةَ بِطُولِهَا كَيْفَ كَانَتْ , وَكَيْفَ أَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْكَفَّارَةِ فِي ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:৩১৯২
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৯৯
রামাযান মাসে ইচ্ছাকৃতভাবে স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করার বিধান
৩১৯২-৯৯। ফাহাদ (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমরা একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর দরবারে উপস্থিত ছিলাম। এমন সময় তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি তাে ধ্বংস হয়ে গেছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, তােমার জন্য আক্ষেপ, তােমার কি হয়েছে? সে বলল, আমি রামাযানে সিয়াম পালনরত অবস্থায় স্ত্রী সঙ্গম করেছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বলেছেনঃ তুমি কি একটি গােলাম আযাদ করতে সক্ষম? লােকটি বলল, 'না'। তিনি বললেনঃ তুমি কি লাগাতার দুই মাস সিয়াম পালনে সক্ষম? লােকটি বলল, না, আল্লাহর কসম ইয়া রাসূলাল্লাহ। তিনি বললেনঃ ষাট জন মিসকীনকে তুমি আহার করাতে কি সক্ষম? লােকটি বলল, না, ইয়া রাসূলুল্লাহ । এরপর রাসূলাল্লাহু (ﷺ) (কিছুক্ষণ) চুপ রইলেন। আমরা এ অবস্থায় রয়েছি, এমন সময় রাসূলাল্লাহ -এর কাছে এক 'আরক' খেজুর এল। 'আরক' হলাে বড় থলে বা টুকরি। রাসূলুল্লাহ বললেন, “এই মাত্র প্রশ্নকারী লােকটি কোথায় ? এগুলাে নিয়ে সাদাকা করে দাও"। লােকটি বলল, আমার চাইতে অধিক অভাবগ্রস্ত পরিবারের উপর । ইয়া রাসূলাল্লাহ। আল্লাহর কসম, মদীনার দুই প্রান্তের (তার উদ্দেশ্য দুই কংকরময় এলাকা) মাঝে আমার পরিবার অপেক্ষা অধিক অভাবগ্রস্ত আর কেউ নেই। (এ কথা শুনে) রাসূলুল্লাহ্ হেসে উঠলেন; এমনকি তার চোয়ালের দাঁত প্রকাশ পেল। তারপর তিনি বললেন, তা তােমার পরিবারবর্গকে আহার করাও। রাবী বলেন, কাফফারার বিধান হলােঃ গােলাম আযাদ বা লাগাতার দুই মাস সিয়াম পালন বা ষাট মিসকীনকে আহার করানাে।

ফাহাদ (রাহঃ) ..... যুহরী (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। বস্তুত এটিই হচ্ছে হাদীসটির প্রকৃত বর্ণনা। আর এই বিষয়ে যুহরী (রাহঃ) সূত্রে বর্ণিত মালিক (রাহঃ) ও ইবন জুরায়জ (রাহঃ)-এর হাদীস উক্ত হাদীসে যুহরী (রাহঃ)-এর উক্তি সম্বলিত শব্দে এসেছে। সুতরাং কাফফারার বিধান হলাে গােলাম আযাদ বা লাগাতার দুইমাস সিয়াম পালন বা ষাট মিসকীনকে আহার করানাে। অতএব ইখতিয়ার প্রদান এটি যুহরী (রাহঃ)-এর বক্তব্য, যা তাঁর ভুল ধারণা ঐ রাবী সম্পর্কে যিনি হুমায়দ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত হাদীসে এরূপ সিদ্ধান্ত দেননি।

ইসমাঈল ইব্‌ন ইয়াহইয়া আল-মুযুনী (রাহঃ) ..... যুহরী (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি ‘সুতরাং সুন্নতে পরিণত হয়েছে' তাঁর এই উক্তিটি উল্লেখ করেন নি হাদীসের শেষ পর্যন্ত।
২৯৬৬.মুহাম্মাদ ইব্‌ন খুযায়মা (রাহঃ) ..... সুফইয়ান (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।

ইবরাহীম ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ) ..... যুহরী (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।

আবু বাকরা (রাহঃ) ..... ইবন শিহাব (যুহরী র) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।

আবু বাকরা (রাহঃ) ......... যুহরী (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন এবং তিনি বলেছেনঃ পনের সা' খেজুর এবং তিনি সন্দেহ করেন নি।

রবীউল মুয়াযযিন (রাহঃ) ..... আওযাঈ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি যুহরী (রাহঃ)-কে সেই ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি, যে কিনা রামাযান মাসে স্ত্রী সঙ্গম করেছে। তিনি বললেন, আমাকে হুমায়দ ইবন আব্দুর রহমান ইবন আওফ (রাহঃ) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমাকে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হাদীস বর্ণনা করেছেন। তারপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি সা’সমূহের উল্লেখ করেন নি। সুতরাং আমরা এই হাদীসে যা রিওয়ায়াত করেছি তাতে প্রথমােক্ত দুই হাদীসের বিষয়বস্তু অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যেহেতু তাতে ব্যক্ত হয়েছে: নবী করীম (ﷺ) তাকে বললেন, তুমি কি গােলাম (আযাদের) সামর্থ্য রাখ? লােকটি বলল, না। তিনি বললেন, তাহলে লাগাতার দুই মাস সিয়াম পালন কর। লােকটি বলল, আমি সামর্থ্য রাখি না। তিনি বললেন, তাহলে ষাট মিসকীনকে আহার করাও। দেখা যাচ্ছে নবী করীম (ﷺ) তাকে (লােকটিকে) এই তিন প্রকারের প্রত্যেক প্রকারের নির্দেশ দিয়েছেন, যখন তিনি সেই প্রকার পাননি যা এর পূর্বে তিনি তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। লােকটি যখন তাকে জানিয়ে দিল যে, সে এর কোন একটি বস্তুরও সক্ষমতা রাখে না তখন নবী করীম (ﷺ)-এর কাছে খেজুরের আরক' (বড় টুকরি) এল।
সুতরাং 'আরক'-এর উল্লেখ এবং নবী করীম (ﷺ) তা লােকটিকে প্রদান করা এবং তাকে তা সাদাকার নির্দেশ দেয়া-এটিই আয়েশা (রাযিঃ) তার হাদীসে রিওয়ায়াত করেছেন, যে রিওয়ায়াত আমরা শুরুতে বর্ণনা করেছি। আর আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর এই হাদীস সেটি অপেক্ষা উত্তম। যেহেতু এতে আয়েশা (রাযিঃ)-এর হাদীসের পূর্ববর্তী ঘটনার এরূপ (অতিরিক্ত) বস্তু বিদ্যমান রয়েছে যা আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সংরক্ষণ করেছেন, তা কিন্তু আয়েশা (রাযিঃ) সংরক্ষণ করেননি। সুতরাং আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর হাদীসে অতিরিক্ত বিষয় সংযােজনের কারণে। তা উত্তম বিবেচিত হবে। আর মালিক (রাহঃ) ও ইবন জুরায়জ (রাহঃ)-এর হাদীস তারা উভয়ে যুহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, যা আমরা উল্লেখ করেছি এবং এই অনুচ্ছেদে পূর্বে এ ব্যাপারে কারণ বর্ণনা করেছি। সুতরাং আমাদের উল্লিখিত বর্ণনার দ্বারা সাব্যস্ত হলাে, রামাযান মাসে স্ত্রী সঙ্গমের দ্বারা সিয়াম ভেঙ্গে ফেললে। কাফফারা প্রদান করতে হবে, যা মনসুর (রাহঃ), ইবন উয়ায়না ও তাদের উভয়ের সাথে যারা ঐকমত্য পােষণ করেছেন যুহরী (রাহঃ) হুমায়দ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে। আর এটি ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
99 - 3192 - حَدَّثَنِي فَهْدٌ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ , قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ خَالِدِ بْنِ مُسَافِرٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: بَيْنَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ جَاءَ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ هَلَكْتُ. فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَيْلَكَ , مَا لَكَ» , قَالَ: " وَقَعْتُ عَلَى امْرَأَتِي , وَأَنَا صَائِمٌ فِي رَمَضَانَ. فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَهَلْ تَجِدُ رَقَبَةً تُعْتِقُهَا؟» فَقَالَ: لَا. فَقَالَ: «فَهَلْ تَسْتَطِيعُ أَنْ تَصُومَ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ؟» قَالَ: لَا وَاللهِ يَا رَسُولَ اللهِ. قَالَ: «فَهَلْ تَجِدُ طَعَامَ سِتِّينَ مِسْكِينًا؟» قَالَ: لَا يَا رَسُولَ اللهِ , فَسَكَتَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَبَيْنَا نَحْنُ عَلَى ذَلِكَ , أُتِيَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَرْقٍ فِيهِ تَمْرٌ , وَالْعَرْقُ: الْمِكْتَلُ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَيْنَ السَّائِلُ آنِفًا؟ خُذْ هَذَا فَتَصَدَّقْ بِهِ» . فَقَالَ الرَّجُلُ: أَعَلَى أَهْلٍ أَفْقَرَ مِنِّي يَا رَسُولَ اللهِ؟ فَوَاللهِ مَا بَيْنَ لَابَتَيْهَا يُرِيدُ الْحَرَّتَيْنِ أَفْقَرُ مِنْ أَهْلِ بَيْتِي. فَضَحِكَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى بَدَتْ أَنْيَابُهُ ثُمَّ قَالَ: «أَطْعِمْهُ أَهْلَكَ» قَالَ: فَصَارَتِ الْكَفَّارَةُ إِلَى عِتْقِ رَقَبَةٍ , أَوْ صِيَامِ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ , أَوْ إِطْعَامِ سِتِّينَ مِسْكِينًا

حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو الْيَمَانِ , قَالَ: أنا شُعَيْبٌ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ فَهَذَا هُوَ الْحَدِيثُ عَلَى وَجْهِهِ , وَإِنَّمَا جَاءَ حَدِيثُ مَالِكٍ , وَابْنِ جُرَيْجٍ فِي ذَلِكَ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَلَى لَفْظِ قَوْلِ الزُّهْرِيِّ , فِي هَذَا الْحَدِيثِ: فَصَارَتِ الْكَفَّارَةُ إِلَى عِتْقِ رَقَبَةٍ , أَوْ صِيَامِ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ , أَوْ إِطْعَامِ سِتِّينَ مِسْكِينًا. فَالتَّخْيِيرُ هُوَ كَلَامُ الزُّهْرِيِّ عَلَى مَا تَوَهَّمَ , مَنْ لَمْ يَحْكِهِ فِي حَدِيثِهِ عَنْ حُمَيْدٍ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ يَحْيَى الْمُزَنِيُّ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ قَوْلَهُ فَصَارَتْ سُنَّةً إِلَى آخِرِ الْحَدِيثِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ , قَالَ: ثنا أَبِي , قَالَ: سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ رَاشِدٍ , يُحَدِّثُ عَنِ الزُّهْرِيِّ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي حَفْصَةَ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا مُؤَمَّلُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ مَنْصُورٍ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , وَقَالَ خَمْسَةَ عَشَرَ صَاعًا تَمْرًا وَلَمْ يَشُكَّ

حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ بَكْرٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي الْأَوْزَاعِيُّ , قَالَ: سَأَلْتُ الزُّهْرِيُّ , عَنْ رَجُلٍ جَامَعَ امْرَأَتَهُ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ. فَقَالَ: حَدَّثَنِي حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , فَذَكَرَ نَحْوَهُ غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرِ الْآصُعَ [ص:62] فَكَانَ مَا رَوَيْنَا فِي هَذَا الْحَدِيثِ قَدْ دَخَلَ فِيهِ مَا فِي الْحَدِيثَيْنِ الْأَوَّلَيْنِ , لِأَنَّ فِيهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهُ: " أَتَجِدُ رَقَبَةً؟ قَالَ: لَا , قَالَ فَصُمْ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ. قَالَ: مَا أَسْتَطِيعُ , قَالَ فَأَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا؟ ". فَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا أَمَرَهُ بِكُلِّ صِنْفٍ مِنْ هَذِهِ الْأَصْنَافِ الثَّلَاثَةِ لِمَا لَمْ يَكُنْ وَاجِدًا لِلصِّنْفِ الَّذِي ذَكَرَهُ لَهُ قَبْلَهُ. فَلَمَّا أَخْبَرَهُ الرَّجُلُ أَنَّهُ غَيْرُ قَادِرٍ عَلَى شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ أُتِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَرْقٍ فِيهِ تَمْرٌ , فَكَانَ ذِكْرُ الْعَرْقِ وَمَا كَانَ مِنْ دَفْعِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِيَّاهُ إِلَى الرَّجُلِ , وَأَمْرِهِ إِيَّاهُ بِالصَّدَقَةِ، هُوَ الَّذِي رَوَتْهُ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فِي حَدِيثِهَا الَّذِي بَدَأْنَا بِرِوَايَتِهِ. فَحَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ هَذَا أَوْلَى مِنْهُ , لِأَنَّهُ قَدْ كَانَ قَبْلَ الَّذِي فِي حَدِيثِ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا شَيْءٌ قَدْ حَفِظَهُ أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَلَمْ تَحْفَظْهُ عَائِشَةُ , فَهُوَ أَوْلَى , لِمَا قَدْ زَادَهُ. وَأَمَّا حَدِيثُ مَالِكٍ وَابْنِ جُرَيْجٍ , فَهُمَا عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَلَى مَا قَدْ ذَكَرْنَا , وَقَدْ بَيَّنَّا الْعِلَّةَ فِي ذَلِكَ فِيمَا تَقَدَّمَ مِنْ هَذَا الْبَابِ. فَثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا مِنَ الْكَفَّارَةِ فِي الْإِفْطَارِ بِالْجِمَاعِ فِي الصِّيَامِ , فِي شَهْرِ رَمَضَانَ , مَا فِي حَدِيثِ مَنْصُورٍ , وَابْنِ عُيَيْنَةَ , وَمَنْ وَافَقَهُمَا , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ حُمَيْدٍ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:৩১৯৩
empty
৩১৯৩।
- 3193
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩১৯৪
empty
৩১৯৪।
- 3194
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩১৯৫
empty
৩১৯৫।
- 3195
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩১৯৬
empty
৩১৯৬।
- 3196
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩১৯৭
empty
৩১৯৭।
- 3197
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩১৯৮
empty
৩১৯৮।
- 3198
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩১৯৯
empty
৩১৯৯।
- 3199
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান