শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
৫. রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩১৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৮৮
৩. রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উক্তি “দুই ঈদের মাস কম হয় না"-এর মর্ম
৩১৮৭-৮৮। ইবরাহীম ইবন মারযূক (রাহঃ) ও আলী ইবন মা'বাদ (রাহঃ) .... আবু বাকরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ দুই ঈদের মাস রামাযান ও যুল হিজ্জা এক সঙ্গে হ্রাস পায় না।
ইবরাহীম ইবন মারযূক (রাহঃ) ..... আবু বাকরা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আবু জা’ফর (তাহাবী র) বলেনঃ এই হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, এই দুই মাস হ্রাস পায় না। আলিমগণ এর মর্ম উদ্ধারে বিভিন্ন মত পােষণ করেছেন। একদল আলিম বলেছেন: হ্রাস পায় না অর্থাৎ একই বছরে উভয় (মাস) একত্রে হ্রাস পায় না। তবে এমনটি হতে পারে যে, দুইটির একটি কম হলাে। এটি এরূপ অভিমত যা স্পষ্টতই প্রত্যাখাত। যেহেতু আমরা লক্ষ্য করেছি যে, উক্ত দুই মাস বিভিন্ন বছরে কম হয়, আবার কখনাে, প্রত্যেকটিতে একই সাথে তা কম হয়। এর দ্বারা একদল আলিম তা প্রত্যাখান করেছেন, এবং নবী করীম -এর হাদীস দ্বারা প্রত্যাখান করেছেন, যা আমরা অন্যস্থানে উল্লেখ করেছি যে, তিনি রামাযান মাস সম্পর্কে বলেছেনঃ তােমরা রামাযানের চাঁদ দেখে সিয়াম পালন করবে এবং আবার চাঁদ দেখে সিয়াম ভঙ্গ করবে। যদি মেঘের কারণে তা আড়াল হয় তাহলে ত্রিশ দিন পূরণ করবে। আর তার এই উক্তি দ্বারাও আলােচ্য বিষয়। প্রত্যাখান করেছেন ঃ নিশ্চয় মাস কখনাে উনত্রিশ দিনেও হয় আবার কখনাে ত্রিশ দিলেও হয়। সুতরাং তিনি সংবাদ দিয়েছেন যে, (কম হওয়া) সমস্ত মাসের ক্ষেত্রে জায়িয আছে। আমরা তা অতিসত্বর সনদসহ আমাদের এই কিতাবের যথা স্থানে উল্লেখ করব ইনশাআল্লাহ।
পক্ষান্তরে অপর একদল আলিম এই সমস্ত সকল হাদীসের সঠিক মর্ম নিরূপণের প্রয়াস পেয়েছেন। এবং তাঁরা বলেছেন, তাঁর (রাসূলুল্লাহ (ﷺ)) উক্তিঃ তােমরা রামাযানের চাঁদ দেখে সিয়াম পালন করবে এবং আবার চাঁদ দেখে সিয়াম ভঙ্গ করবে। যেহেতু মাস কখনাে উনত্রিশ দিনেও হয় আবার কখনাে ত্রিশ দিনে হয়। বস্তুত এই সব যেমনটি তিনি বলেছেন, সমস্ত মাসের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য। আর তাঁর উক্তি? “দুই ঈদের মাল রামাযান ও যুলহিজ্জা হ্রাস পায় না। এটি কিন্তু আমাদের মতে সংখ্যার দিক দিয়ে হ্রাস পাওয়া অর্থে নয়। ওই দুটি মাসে। এরূপ দু'টি বস্তু বিদ্যমান রয়েছে যা অন্য কোন মাসে নেই, একটিতে রয়েছে সিয়ামব্রত পালন অপরটিতে রয়েছে হজ্জব্রত পালন। সুতরাং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদের সংবাদ দিয়েছেন যে, এই দুটি হ্রাস পাবে না যদিও এই দু'টি উনত্রিশ দিনে হয়ে থাকে। এই দু'টি মাস পূর্ণ মাস চাই তা ত্রিশ (দিনে) ত্রিশ (দিনে) হােক বা উনত্রিশ (দিনে) উনত্রিশ (দিনে) হােক। এর দ্বারা এই বিষয় জানিয়ে দেয়া উদ্দেশ্য যে, যদিও ঐ দুটি মসি 'উনত্রিশ, উনত্রিশ হয়ে থাকে তাতে আহকামের (বিধানসমূহ) দিয়ে হবে পরিপূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ, আহকামের দিক দিয়ে অপূর্ণাঙ্গ হবে না, যেভাবে উভয়টি ত্রিশ ত্রিশ (দিন) হলে আহকাম তাতে পূর্ণাঙ্গ হত অনুরূপ উনত্রিশ দিনে হলেও তা পূর্ণাঙ্গ হবে। এটি হচ্ছে এই সমস্ত হাদীসের সঠিক মর্ম নিরূপণের যথার্থ পন্থা, যা আমরা এই অনুচ্ছেদে উল্লেখ করেছি। আল্লাহই অধিক জ্ঞাত।
ইবরাহীম ইবন মারযূক (রাহঃ) ..... আবু বাকরা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আবু জা’ফর (তাহাবী র) বলেনঃ এই হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, এই দুই মাস হ্রাস পায় না। আলিমগণ এর মর্ম উদ্ধারে বিভিন্ন মত পােষণ করেছেন। একদল আলিম বলেছেন: হ্রাস পায় না অর্থাৎ একই বছরে উভয় (মাস) একত্রে হ্রাস পায় না। তবে এমনটি হতে পারে যে, দুইটির একটি কম হলাে। এটি এরূপ অভিমত যা স্পষ্টতই প্রত্যাখাত। যেহেতু আমরা লক্ষ্য করেছি যে, উক্ত দুই মাস বিভিন্ন বছরে কম হয়, আবার কখনাে, প্রত্যেকটিতে একই সাথে তা কম হয়। এর দ্বারা একদল আলিম তা প্রত্যাখান করেছেন, এবং নবী করীম -এর হাদীস দ্বারা প্রত্যাখান করেছেন, যা আমরা অন্যস্থানে উল্লেখ করেছি যে, তিনি রামাযান মাস সম্পর্কে বলেছেনঃ তােমরা রামাযানের চাঁদ দেখে সিয়াম পালন করবে এবং আবার চাঁদ দেখে সিয়াম ভঙ্গ করবে। যদি মেঘের কারণে তা আড়াল হয় তাহলে ত্রিশ দিন পূরণ করবে। আর তার এই উক্তি দ্বারাও আলােচ্য বিষয়। প্রত্যাখান করেছেন ঃ নিশ্চয় মাস কখনাে উনত্রিশ দিনেও হয় আবার কখনাে ত্রিশ দিলেও হয়। সুতরাং তিনি সংবাদ দিয়েছেন যে, (কম হওয়া) সমস্ত মাসের ক্ষেত্রে জায়িয আছে। আমরা তা অতিসত্বর সনদসহ আমাদের এই কিতাবের যথা স্থানে উল্লেখ করব ইনশাআল্লাহ।
পক্ষান্তরে অপর একদল আলিম এই সমস্ত সকল হাদীসের সঠিক মর্ম নিরূপণের প্রয়াস পেয়েছেন। এবং তাঁরা বলেছেন, তাঁর (রাসূলুল্লাহ (ﷺ)) উক্তিঃ তােমরা রামাযানের চাঁদ দেখে সিয়াম পালন করবে এবং আবার চাঁদ দেখে সিয়াম ভঙ্গ করবে। যেহেতু মাস কখনাে উনত্রিশ দিনেও হয় আবার কখনাে ত্রিশ দিনে হয়। বস্তুত এই সব যেমনটি তিনি বলেছেন, সমস্ত মাসের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য। আর তাঁর উক্তি? “দুই ঈদের মাল রামাযান ও যুলহিজ্জা হ্রাস পায় না। এটি কিন্তু আমাদের মতে সংখ্যার দিক দিয়ে হ্রাস পাওয়া অর্থে নয়। ওই দুটি মাসে। এরূপ দু'টি বস্তু বিদ্যমান রয়েছে যা অন্য কোন মাসে নেই, একটিতে রয়েছে সিয়ামব্রত পালন অপরটিতে রয়েছে হজ্জব্রত পালন। সুতরাং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদের সংবাদ দিয়েছেন যে, এই দুটি হ্রাস পাবে না যদিও এই দু'টি উনত্রিশ দিনে হয়ে থাকে। এই দু'টি মাস পূর্ণ মাস চাই তা ত্রিশ (দিনে) ত্রিশ (দিনে) হােক বা উনত্রিশ (দিনে) উনত্রিশ (দিনে) হােক। এর দ্বারা এই বিষয় জানিয়ে দেয়া উদ্দেশ্য যে, যদিও ঐ দুটি মসি 'উনত্রিশ, উনত্রিশ হয়ে থাকে তাতে আহকামের (বিধানসমূহ) দিয়ে হবে পরিপূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ, আহকামের দিক দিয়ে অপূর্ণাঙ্গ হবে না, যেভাবে উভয়টি ত্রিশ ত্রিশ (দিন) হলে আহকাম তাতে পূর্ণাঙ্গ হত অনুরূপ উনত্রিশ দিনে হলেও তা পূর্ণাঙ্গ হবে। এটি হচ্ছে এই সমস্ত হাদীসের সঠিক মর্ম নিরূপণের যথার্থ পন্থা, যা আমরা এই অনুচ্ছেদে উল্লেখ করেছি। আল্লাহই অধিক জ্ঞাত।
بَابُ مَعْنَى قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: شَهْرَا عِيدٍ , لَا يَنْقُصَانِ , رَمَضَانُ وَذُو الْحِجَّةِ
3187 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , وَعَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ , قَالَا: ثنا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ , قَالَ: أنا حَمَّادٌ , عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ سَالِمٍ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ , عَنْ أَبِيهِ , أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «شَهْرَا عِيدٍ , لَا يَنْقُصَانِ , رَمَضَانُ وَذُو الْحِجَّةِ»
3188 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ بْنِ فَارِسٍ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ , أَنَّ هَذَيْنِ الشَّهْرَيْنِ , لَا يَنْقُصَانِ , فَتَكَلَّمَ النَّاسُ فِي مَعْنَى ذَلِكَ. فَقَالَ قَوْمٌ: لَا يَنْقُصَانِ , أَيْ لَا يَجْتَمِعُ نُقْصَانُهُمَا فِي عَامٍ وَاحِدٍ. وَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَنْقُصَ أَحَدُهُمَا. وَهَذَا قَوْلٌ قَدْ دَفَعَهُ الْعِيَانُ , لِأَنَّا قَدْ وَجَدْنَاهُمَا يَنْقُصَانِ فِي أَعْوَامٍ , وَقَدْ يُجْمَعُ ذَلِكَ فِي كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا. فَدَفَعَ ذَلِكَ قَوْمٌ , بِهَذَا وَبِحَدِيثِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي قَدْ ذَكَرْنَاهُ فِي غَيْرِ هَذَا الْمَوْضِعِ , أَنَّهُ قَالَ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ: « صُومُوا لِرُؤْيَتِهِ , وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ , فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَعُدُّوا ثَلَاثِينَ» . وَبِقَوْلِهِ: «إِنَّ الشَّهْرَ قَدْ يَكُونُ تِسْعًا وَعِشْرِينَ , وَقَدْ يَكُونُ ثَلَاثِينَ» . فَأَخْبَرَ أَنَّ ذَلِكَ جَائِزٌ فِي كُلِّ شَهْرٍ مِنَ الشُّهُورِ. وَسَنَذْكُرُ ذَلِكَ بِإِسْنَادِهِ فِي مَوْضِعِهِ مِنْ كِتَابِنَا هَذَا إِنْ شَاءَ اللهُ. وَذَهَبَ آخَرُونَ إِلَى تَصْحِيحِ هَذِهِ الْآثَارِ كُلِّهَا , وَقَالُوا: أَمَّا قَوْلُهُ: «صُومُوا لِرُؤْيَتِهِ , وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ» فَإِنَّ الشَّهْرَ قَدْ يَكُونُ تِسْعًا وَعِشْرِينَ , وَقَدْ يَكُونُ ثَلَاثِينَ , فَذَلِكَ كُلُّهُ كَمَا قَالَ , وَهُوَ مَوْجُودٌ فِي الشُّهُورِ كُلِّهَا. وَأَمَّا قَوْلُهُ: «شَهْرَا عِيدٍ لَا يَنْقُصَانِ , رَمَضَانُ وَذُو الْحِجَّةِ» فَلَيْسَ ذَلِكَ، عِنْدَنَا، عَلَى نُقْصَانِ الْعَدَدِ , وَلَكِنَّهُمَا فِيهِمَا مَا لَيْسَ فِي غَيْرِهِمَا مِنَ الشُّهُورِ , فِي أَحَدِهِمَا الصِّيَامُ , وَفِي الْآخَرِ الْحَجُّ. فَأَخْبَرَهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُمَا لَا يَنْقُصَانِ , وَإِنْ كَانَا تِسْعًا وَعِشْرِينَ , وَهُمَا شَهْرَانِ كَامِلَانِ , كَانَا ثَلَاثِينَ ثَلَاثِينَ أَوْ تِسْعًا وَعِشْرِينَ تِسْعًا وَعِشْرِينَ , لِيُعْلَمَ بِذَلِكَ أَنَّ الْأَحْكَامَ فِيهِمَا , وَإِنْ كَانَا تِسْعًا وَعِشْرِينَ تِسْعًا وَعِشْرِينَ , مُتَكَامِلَةٌ فِيهِمَا , غَيْرُ نَاقِصَةٍ عَنْ حُكْمِهَا إِذَا كَانَا ثَلَاثِينَ ثَلَاثِينَ. فَهَذَا وَجْهُ تَصْحِيحِ هَذِهِ الْآثَارِ الَّتِي ذَكَرْنَاهَا فِي هَذَا الْبَابِ , وَاللهُ أَعْلَمُ
3188 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ بْنِ فَارِسٍ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ , أَنَّ هَذَيْنِ الشَّهْرَيْنِ , لَا يَنْقُصَانِ , فَتَكَلَّمَ النَّاسُ فِي مَعْنَى ذَلِكَ. فَقَالَ قَوْمٌ: لَا يَنْقُصَانِ , أَيْ لَا يَجْتَمِعُ نُقْصَانُهُمَا فِي عَامٍ وَاحِدٍ. وَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَنْقُصَ أَحَدُهُمَا. وَهَذَا قَوْلٌ قَدْ دَفَعَهُ الْعِيَانُ , لِأَنَّا قَدْ وَجَدْنَاهُمَا يَنْقُصَانِ فِي أَعْوَامٍ , وَقَدْ يُجْمَعُ ذَلِكَ فِي كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا. فَدَفَعَ ذَلِكَ قَوْمٌ , بِهَذَا وَبِحَدِيثِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي قَدْ ذَكَرْنَاهُ فِي غَيْرِ هَذَا الْمَوْضِعِ , أَنَّهُ قَالَ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ: « صُومُوا لِرُؤْيَتِهِ , وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ , فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَعُدُّوا ثَلَاثِينَ» . وَبِقَوْلِهِ: «إِنَّ الشَّهْرَ قَدْ يَكُونُ تِسْعًا وَعِشْرِينَ , وَقَدْ يَكُونُ ثَلَاثِينَ» . فَأَخْبَرَ أَنَّ ذَلِكَ جَائِزٌ فِي كُلِّ شَهْرٍ مِنَ الشُّهُورِ. وَسَنَذْكُرُ ذَلِكَ بِإِسْنَادِهِ فِي مَوْضِعِهِ مِنْ كِتَابِنَا هَذَا إِنْ شَاءَ اللهُ. وَذَهَبَ آخَرُونَ إِلَى تَصْحِيحِ هَذِهِ الْآثَارِ كُلِّهَا , وَقَالُوا: أَمَّا قَوْلُهُ: «صُومُوا لِرُؤْيَتِهِ , وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ» فَإِنَّ الشَّهْرَ قَدْ يَكُونُ تِسْعًا وَعِشْرِينَ , وَقَدْ يَكُونُ ثَلَاثِينَ , فَذَلِكَ كُلُّهُ كَمَا قَالَ , وَهُوَ مَوْجُودٌ فِي الشُّهُورِ كُلِّهَا. وَأَمَّا قَوْلُهُ: «شَهْرَا عِيدٍ لَا يَنْقُصَانِ , رَمَضَانُ وَذُو الْحِجَّةِ» فَلَيْسَ ذَلِكَ، عِنْدَنَا، عَلَى نُقْصَانِ الْعَدَدِ , وَلَكِنَّهُمَا فِيهِمَا مَا لَيْسَ فِي غَيْرِهِمَا مِنَ الشُّهُورِ , فِي أَحَدِهِمَا الصِّيَامُ , وَفِي الْآخَرِ الْحَجُّ. فَأَخْبَرَهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُمَا لَا يَنْقُصَانِ , وَإِنْ كَانَا تِسْعًا وَعِشْرِينَ , وَهُمَا شَهْرَانِ كَامِلَانِ , كَانَا ثَلَاثِينَ ثَلَاثِينَ أَوْ تِسْعًا وَعِشْرِينَ تِسْعًا وَعِشْرِينَ , لِيُعْلَمَ بِذَلِكَ أَنَّ الْأَحْكَامَ فِيهِمَا , وَإِنْ كَانَا تِسْعًا وَعِشْرِينَ تِسْعًا وَعِشْرِينَ , مُتَكَامِلَةٌ فِيهِمَا , غَيْرُ نَاقِصَةٍ عَنْ حُكْمِهَا إِذَا كَانَا ثَلَاثِينَ ثَلَاثِينَ. فَهَذَا وَجْهُ تَصْحِيحِ هَذِهِ الْآثَارِ الَّتِي ذَكَرْنَاهَا فِي هَذَا الْبَابِ , وَاللهُ أَعْلَمُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩১৮৭
সুবহে সাদিকের পর রোযার নিয়তকারীর হুকুম।
3187 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ , قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الرَّحَبِيُّ , عَنْ شَهْرِ بْنِ أَبِي حُبَيْشٍ , وَلَمْ يَكُنْ بَقِيَ مِمَّنْ شَهِدَ قَتْلَ عُثْمَانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ غَيْرُهُ , أَنَّ عُثْمَانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَصْبَحَ فِي الْيَوْمِ الَّذِي قُتِلَ فِيهِ فَقَالَ: " إِنَّ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَتَيَانِي فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ , فَقَالَا لِي يَا عُثْمَانُ إِنَّكَ مُفْطِرٌ عِنْدَنَا اللَّيْلَةَ وَإِنِّي أُشْهِدُكُمْ إِنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ الصِّيَامَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩১৮৮
empty
৩১৮৮।
- 3188

তাহকীক:
তাহকীক চলমান