শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
৫. রোযার অধ্যায়
হাদীস নং: ৩১৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৮৮
৩. রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উক্তি “দুই ঈদের মাস কম হয় না"-এর মর্ম
৩১৮৭-৮৮। ইবরাহীম ইবন মারযূক (রাহঃ) ও আলী ইবন মা'বাদ (রাহঃ) .... আবু বাকরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ দুই ঈদের মাস রামাযান ও যুল হিজ্জা এক সঙ্গে হ্রাস পায় না।
ইবরাহীম ইবন মারযূক (রাহঃ) ..... আবু বাকরা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আবু জা’ফর (তাহাবী র) বলেনঃ এই হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, এই দুই মাস হ্রাস পায় না। আলিমগণ এর মর্ম উদ্ধারে বিভিন্ন মত পােষণ করেছেন। একদল আলিম বলেছেন: হ্রাস পায় না অর্থাৎ একই বছরে উভয় (মাস) একত্রে হ্রাস পায় না। তবে এমনটি হতে পারে যে, দুইটির একটি কম হলাে। এটি এরূপ অভিমত যা স্পষ্টতই প্রত্যাখাত। যেহেতু আমরা লক্ষ্য করেছি যে, উক্ত দুই মাস বিভিন্ন বছরে কম হয়, আবার কখনাে, প্রত্যেকটিতে একই সাথে তা কম হয়। এর দ্বারা একদল আলিম তা প্রত্যাখান করেছেন, এবং নবী করীম -এর হাদীস দ্বারা প্রত্যাখান করেছেন, যা আমরা অন্যস্থানে উল্লেখ করেছি যে, তিনি রামাযান মাস সম্পর্কে বলেছেনঃ তােমরা রামাযানের চাঁদ দেখে সিয়াম পালন করবে এবং আবার চাঁদ দেখে সিয়াম ভঙ্গ করবে। যদি মেঘের কারণে তা আড়াল হয় তাহলে ত্রিশ দিন পূরণ করবে। আর তার এই উক্তি দ্বারাও আলােচ্য বিষয়। প্রত্যাখান করেছেন ঃ নিশ্চয় মাস কখনাে উনত্রিশ দিনেও হয় আবার কখনাে ত্রিশ দিলেও হয়। সুতরাং তিনি সংবাদ দিয়েছেন যে, (কম হওয়া) সমস্ত মাসের ক্ষেত্রে জায়িয আছে। আমরা তা অতিসত্বর সনদসহ আমাদের এই কিতাবের যথা স্থানে উল্লেখ করব ইনশাআল্লাহ।
পক্ষান্তরে অপর একদল আলিম এই সমস্ত সকল হাদীসের সঠিক মর্ম নিরূপণের প্রয়াস পেয়েছেন। এবং তাঁরা বলেছেন, তাঁর (রাসূলুল্লাহ (ﷺ)) উক্তিঃ তােমরা রামাযানের চাঁদ দেখে সিয়াম পালন করবে এবং আবার চাঁদ দেখে সিয়াম ভঙ্গ করবে। যেহেতু মাস কখনাে উনত্রিশ দিনেও হয় আবার কখনাে ত্রিশ দিনে হয়। বস্তুত এই সব যেমনটি তিনি বলেছেন, সমস্ত মাসের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য। আর তাঁর উক্তি? “দুই ঈদের মাল রামাযান ও যুলহিজ্জা হ্রাস পায় না। এটি কিন্তু আমাদের মতে সংখ্যার দিক দিয়ে হ্রাস পাওয়া অর্থে নয়। ওই দুটি মাসে। এরূপ দু'টি বস্তু বিদ্যমান রয়েছে যা অন্য কোন মাসে নেই, একটিতে রয়েছে সিয়ামব্রত পালন অপরটিতে রয়েছে হজ্জব্রত পালন। সুতরাং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদের সংবাদ দিয়েছেন যে, এই দুটি হ্রাস পাবে না যদিও এই দু'টি উনত্রিশ দিনে হয়ে থাকে। এই দু'টি মাস পূর্ণ মাস চাই তা ত্রিশ (দিনে) ত্রিশ (দিনে) হােক বা উনত্রিশ (দিনে) উনত্রিশ (দিনে) হােক। এর দ্বারা এই বিষয় জানিয়ে দেয়া উদ্দেশ্য যে, যদিও ঐ দুটি মসি 'উনত্রিশ, উনত্রিশ হয়ে থাকে তাতে আহকামের (বিধানসমূহ) দিয়ে হবে পরিপূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ, আহকামের দিক দিয়ে অপূর্ণাঙ্গ হবে না, যেভাবে উভয়টি ত্রিশ ত্রিশ (দিন) হলে আহকাম তাতে পূর্ণাঙ্গ হত অনুরূপ উনত্রিশ দিনে হলেও তা পূর্ণাঙ্গ হবে। এটি হচ্ছে এই সমস্ত হাদীসের সঠিক মর্ম নিরূপণের যথার্থ পন্থা, যা আমরা এই অনুচ্ছেদে উল্লেখ করেছি। আল্লাহই অধিক জ্ঞাত।
ইবরাহীম ইবন মারযূক (রাহঃ) ..... আবু বাকরা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আবু জা’ফর (তাহাবী র) বলেনঃ এই হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, এই দুই মাস হ্রাস পায় না। আলিমগণ এর মর্ম উদ্ধারে বিভিন্ন মত পােষণ করেছেন। একদল আলিম বলেছেন: হ্রাস পায় না অর্থাৎ একই বছরে উভয় (মাস) একত্রে হ্রাস পায় না। তবে এমনটি হতে পারে যে, দুইটির একটি কম হলাে। এটি এরূপ অভিমত যা স্পষ্টতই প্রত্যাখাত। যেহেতু আমরা লক্ষ্য করেছি যে, উক্ত দুই মাস বিভিন্ন বছরে কম হয়, আবার কখনাে, প্রত্যেকটিতে একই সাথে তা কম হয়। এর দ্বারা একদল আলিম তা প্রত্যাখান করেছেন, এবং নবী করীম -এর হাদীস দ্বারা প্রত্যাখান করেছেন, যা আমরা অন্যস্থানে উল্লেখ করেছি যে, তিনি রামাযান মাস সম্পর্কে বলেছেনঃ তােমরা রামাযানের চাঁদ দেখে সিয়াম পালন করবে এবং আবার চাঁদ দেখে সিয়াম ভঙ্গ করবে। যদি মেঘের কারণে তা আড়াল হয় তাহলে ত্রিশ দিন পূরণ করবে। আর তার এই উক্তি দ্বারাও আলােচ্য বিষয়। প্রত্যাখান করেছেন ঃ নিশ্চয় মাস কখনাে উনত্রিশ দিনেও হয় আবার কখনাে ত্রিশ দিলেও হয়। সুতরাং তিনি সংবাদ দিয়েছেন যে, (কম হওয়া) সমস্ত মাসের ক্ষেত্রে জায়িয আছে। আমরা তা অতিসত্বর সনদসহ আমাদের এই কিতাবের যথা স্থানে উল্লেখ করব ইনশাআল্লাহ।
পক্ষান্তরে অপর একদল আলিম এই সমস্ত সকল হাদীসের সঠিক মর্ম নিরূপণের প্রয়াস পেয়েছেন। এবং তাঁরা বলেছেন, তাঁর (রাসূলুল্লাহ (ﷺ)) উক্তিঃ তােমরা রামাযানের চাঁদ দেখে সিয়াম পালন করবে এবং আবার চাঁদ দেখে সিয়াম ভঙ্গ করবে। যেহেতু মাস কখনাে উনত্রিশ দিনেও হয় আবার কখনাে ত্রিশ দিনে হয়। বস্তুত এই সব যেমনটি তিনি বলেছেন, সমস্ত মাসের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য। আর তাঁর উক্তি? “দুই ঈদের মাল রামাযান ও যুলহিজ্জা হ্রাস পায় না। এটি কিন্তু আমাদের মতে সংখ্যার দিক দিয়ে হ্রাস পাওয়া অর্থে নয়। ওই দুটি মাসে। এরূপ দু'টি বস্তু বিদ্যমান রয়েছে যা অন্য কোন মাসে নেই, একটিতে রয়েছে সিয়ামব্রত পালন অপরটিতে রয়েছে হজ্জব্রত পালন। সুতরাং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদের সংবাদ দিয়েছেন যে, এই দুটি হ্রাস পাবে না যদিও এই দু'টি উনত্রিশ দিনে হয়ে থাকে। এই দু'টি মাস পূর্ণ মাস চাই তা ত্রিশ (দিনে) ত্রিশ (দিনে) হােক বা উনত্রিশ (দিনে) উনত্রিশ (দিনে) হােক। এর দ্বারা এই বিষয় জানিয়ে দেয়া উদ্দেশ্য যে, যদিও ঐ দুটি মসি 'উনত্রিশ, উনত্রিশ হয়ে থাকে তাতে আহকামের (বিধানসমূহ) দিয়ে হবে পরিপূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ, আহকামের দিক দিয়ে অপূর্ণাঙ্গ হবে না, যেভাবে উভয়টি ত্রিশ ত্রিশ (দিন) হলে আহকাম তাতে পূর্ণাঙ্গ হত অনুরূপ উনত্রিশ দিনে হলেও তা পূর্ণাঙ্গ হবে। এটি হচ্ছে এই সমস্ত হাদীসের সঠিক মর্ম নিরূপণের যথার্থ পন্থা, যা আমরা এই অনুচ্ছেদে উল্লেখ করেছি। আল্লাহই অধিক জ্ঞাত।
بَابُ مَعْنَى قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: شَهْرَا عِيدٍ , لَا يَنْقُصَانِ , رَمَضَانُ وَذُو الْحِجَّةِ
3187 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , وَعَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ , قَالَا: ثنا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ , قَالَ: أنا حَمَّادٌ , عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ سَالِمٍ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ , عَنْ أَبِيهِ , أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «شَهْرَا عِيدٍ , لَا يَنْقُصَانِ , رَمَضَانُ وَذُو الْحِجَّةِ»
3188 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ بْنِ فَارِسٍ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ , أَنَّ هَذَيْنِ الشَّهْرَيْنِ , لَا يَنْقُصَانِ , فَتَكَلَّمَ النَّاسُ فِي مَعْنَى ذَلِكَ. فَقَالَ قَوْمٌ: لَا يَنْقُصَانِ , أَيْ لَا يَجْتَمِعُ نُقْصَانُهُمَا فِي عَامٍ وَاحِدٍ. وَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَنْقُصَ أَحَدُهُمَا. وَهَذَا قَوْلٌ قَدْ دَفَعَهُ الْعِيَانُ , لِأَنَّا قَدْ وَجَدْنَاهُمَا يَنْقُصَانِ فِي أَعْوَامٍ , وَقَدْ يُجْمَعُ ذَلِكَ فِي كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا. فَدَفَعَ ذَلِكَ قَوْمٌ , بِهَذَا وَبِحَدِيثِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي قَدْ ذَكَرْنَاهُ فِي غَيْرِ هَذَا الْمَوْضِعِ , أَنَّهُ قَالَ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ: « صُومُوا لِرُؤْيَتِهِ , وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ , فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَعُدُّوا ثَلَاثِينَ» . وَبِقَوْلِهِ: «إِنَّ الشَّهْرَ قَدْ يَكُونُ تِسْعًا وَعِشْرِينَ , وَقَدْ يَكُونُ ثَلَاثِينَ» . فَأَخْبَرَ أَنَّ ذَلِكَ جَائِزٌ فِي كُلِّ شَهْرٍ مِنَ الشُّهُورِ. وَسَنَذْكُرُ ذَلِكَ بِإِسْنَادِهِ فِي مَوْضِعِهِ مِنْ كِتَابِنَا هَذَا إِنْ شَاءَ اللهُ. وَذَهَبَ آخَرُونَ إِلَى تَصْحِيحِ هَذِهِ الْآثَارِ كُلِّهَا , وَقَالُوا: أَمَّا قَوْلُهُ: «صُومُوا لِرُؤْيَتِهِ , وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ» فَإِنَّ الشَّهْرَ قَدْ يَكُونُ تِسْعًا وَعِشْرِينَ , وَقَدْ يَكُونُ ثَلَاثِينَ , فَذَلِكَ كُلُّهُ كَمَا قَالَ , وَهُوَ مَوْجُودٌ فِي الشُّهُورِ كُلِّهَا. وَأَمَّا قَوْلُهُ: «شَهْرَا عِيدٍ لَا يَنْقُصَانِ , رَمَضَانُ وَذُو الْحِجَّةِ» فَلَيْسَ ذَلِكَ، عِنْدَنَا، عَلَى نُقْصَانِ الْعَدَدِ , وَلَكِنَّهُمَا فِيهِمَا مَا لَيْسَ فِي غَيْرِهِمَا مِنَ الشُّهُورِ , فِي أَحَدِهِمَا الصِّيَامُ , وَفِي الْآخَرِ الْحَجُّ. فَأَخْبَرَهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُمَا لَا يَنْقُصَانِ , وَإِنْ كَانَا تِسْعًا وَعِشْرِينَ , وَهُمَا شَهْرَانِ كَامِلَانِ , كَانَا ثَلَاثِينَ ثَلَاثِينَ أَوْ تِسْعًا وَعِشْرِينَ تِسْعًا وَعِشْرِينَ , لِيُعْلَمَ بِذَلِكَ أَنَّ الْأَحْكَامَ فِيهِمَا , وَإِنْ كَانَا تِسْعًا وَعِشْرِينَ تِسْعًا وَعِشْرِينَ , مُتَكَامِلَةٌ فِيهِمَا , غَيْرُ نَاقِصَةٍ عَنْ حُكْمِهَا إِذَا كَانَا ثَلَاثِينَ ثَلَاثِينَ. فَهَذَا وَجْهُ تَصْحِيحِ هَذِهِ الْآثَارِ الَّتِي ذَكَرْنَاهَا فِي هَذَا الْبَابِ , وَاللهُ أَعْلَمُ
3188 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ بْنِ فَارِسٍ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ , أَنَّ هَذَيْنِ الشَّهْرَيْنِ , لَا يَنْقُصَانِ , فَتَكَلَّمَ النَّاسُ فِي مَعْنَى ذَلِكَ. فَقَالَ قَوْمٌ: لَا يَنْقُصَانِ , أَيْ لَا يَجْتَمِعُ نُقْصَانُهُمَا فِي عَامٍ وَاحِدٍ. وَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَنْقُصَ أَحَدُهُمَا. وَهَذَا قَوْلٌ قَدْ دَفَعَهُ الْعِيَانُ , لِأَنَّا قَدْ وَجَدْنَاهُمَا يَنْقُصَانِ فِي أَعْوَامٍ , وَقَدْ يُجْمَعُ ذَلِكَ فِي كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا. فَدَفَعَ ذَلِكَ قَوْمٌ , بِهَذَا وَبِحَدِيثِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي قَدْ ذَكَرْنَاهُ فِي غَيْرِ هَذَا الْمَوْضِعِ , أَنَّهُ قَالَ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ: « صُومُوا لِرُؤْيَتِهِ , وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ , فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَعُدُّوا ثَلَاثِينَ» . وَبِقَوْلِهِ: «إِنَّ الشَّهْرَ قَدْ يَكُونُ تِسْعًا وَعِشْرِينَ , وَقَدْ يَكُونُ ثَلَاثِينَ» . فَأَخْبَرَ أَنَّ ذَلِكَ جَائِزٌ فِي كُلِّ شَهْرٍ مِنَ الشُّهُورِ. وَسَنَذْكُرُ ذَلِكَ بِإِسْنَادِهِ فِي مَوْضِعِهِ مِنْ كِتَابِنَا هَذَا إِنْ شَاءَ اللهُ. وَذَهَبَ آخَرُونَ إِلَى تَصْحِيحِ هَذِهِ الْآثَارِ كُلِّهَا , وَقَالُوا: أَمَّا قَوْلُهُ: «صُومُوا لِرُؤْيَتِهِ , وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ» فَإِنَّ الشَّهْرَ قَدْ يَكُونُ تِسْعًا وَعِشْرِينَ , وَقَدْ يَكُونُ ثَلَاثِينَ , فَذَلِكَ كُلُّهُ كَمَا قَالَ , وَهُوَ مَوْجُودٌ فِي الشُّهُورِ كُلِّهَا. وَأَمَّا قَوْلُهُ: «شَهْرَا عِيدٍ لَا يَنْقُصَانِ , رَمَضَانُ وَذُو الْحِجَّةِ» فَلَيْسَ ذَلِكَ، عِنْدَنَا، عَلَى نُقْصَانِ الْعَدَدِ , وَلَكِنَّهُمَا فِيهِمَا مَا لَيْسَ فِي غَيْرِهِمَا مِنَ الشُّهُورِ , فِي أَحَدِهِمَا الصِّيَامُ , وَفِي الْآخَرِ الْحَجُّ. فَأَخْبَرَهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُمَا لَا يَنْقُصَانِ , وَإِنْ كَانَا تِسْعًا وَعِشْرِينَ , وَهُمَا شَهْرَانِ كَامِلَانِ , كَانَا ثَلَاثِينَ ثَلَاثِينَ أَوْ تِسْعًا وَعِشْرِينَ تِسْعًا وَعِشْرِينَ , لِيُعْلَمَ بِذَلِكَ أَنَّ الْأَحْكَامَ فِيهِمَا , وَإِنْ كَانَا تِسْعًا وَعِشْرِينَ تِسْعًا وَعِشْرِينَ , مُتَكَامِلَةٌ فِيهِمَا , غَيْرُ نَاقِصَةٍ عَنْ حُكْمِهَا إِذَا كَانَا ثَلَاثِينَ ثَلَاثِينَ. فَهَذَا وَجْهُ تَصْحِيحِ هَذِهِ الْآثَارِ الَّتِي ذَكَرْنَاهَا فِي هَذَا الْبَابِ , وَاللهُ أَعْلَمُ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
খাইরুল কুরূন থেকে এ পর্যন্ত মুসলিম উম্মাহ যুগ যুগ ধরে যে প্রমাণিত ও প্রতিষ্ঠিত নিয়ম অনুসরণ করে আসছে এর উপর বিচ্ছিন্নতা অবলম্বনকারীদের তরফ থেকে নানা প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। এখানে এসব প্রশ্ন নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হবে- ইনশাআল্লাহ।
১. রমযান আগে-পিছে হওয়ার কারণে শুরু রমযানে এক-দুইটি রোযা না রাখার গুনাহ হয়; বরং এক এক রোযার ষাট ষাট দিনের কাফফারা ওয়াজিব হয়। যা আদায় করা হয় না।
২. ঈদের দিন রোযা রাখা নাজায়েয। অথচ ঈদ আগে-পিছে হওয়ার কারণে এই নাজায়েয কাজটি করা হয়।
৩. তাকবীরে তাশরিকের কিছু অংশ থেকে যায়।
৪. আরাফার রোযা ঈদুল আযহার দিন রাখা হয়।
৫. যারা বারো তারিখে কুরবানী করেন তা প্রকৃতপক্ষে তেরো তারিখে হওয়ার কারণে তাদের কুরবানী শুদ্ধ হয় না।
এই পাঁচটি অভিযোগই নানা কারণে ভিত্তিহীন। আলোচনার সহজার্থে শুধু একটি কারণ উল্লেখ করছি। আর তা এই যে, শরীয়তের ইজমায়ী তথা সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হচ্ছে, যেসকল মাসআলায় ইমামদের মাঝে মতভিন্নতা রয়েছে, তাতে যিনি যে মাযহাবের অনুসারী তার কর্মের হুকুম ঐ মাযহাব অনুযায়ী হবে, অন্য মাযহাব অনুযায়ী নয়। উদাহরণস্বরূপ :
শরীরের কোনো জায়গা থেকে রক্ত বের হলে শাফেয়ী মাযহাবে অজু নষ্ট হয় না। সুতরাং শাফেয়ী মাযহাবের অনুসারী কোনো মুসল্লী রক্ত বের হওয়া সত্ত্বেও যদি নতুন করে অজু না করেন, আগের অজুতেই নামায পড়েন, তাহলে হানাফী মাযহাবের অনুসারী কারো ঐ মুসল্লীকে এই অভিযোগে অভিযুক্ত করা জায়েয নয় যে, বিনা অজুতে নামায পড়েছেন তিনি। তেমনি এই বিধান আরোপ করাও জায়েয নয় যে, আপনাকে এই নামায আবার পড়তে হবে। অথচ হানাফী মাযহাবের কোনো অনুসারী এই কাজ করলে তাকে বলা হবে, আপনার অজু ভেঙ্গে গেছে; আপনি নতুন করে অজু করুন এবং নামাযটি আবার পড়ুন।
আরেকটি উদাহরণ : শাফেয়ী মাযহাবে ইমামের পিছনে মুকতাদীর সূরা ফাতেহা পড়া ফরয। হানাফী মাযহাবে ফরয তো নয়ই; বরং না পড়ার হুকুম। এখন শাফেয়ী মাযহাবের কারো জন্য জায়েয নয় কোনো হানাফী মুসল্লীকে এ কথা বলা যে, আপনি ইমামের পিছনে ফাতিহা পড়েননি তাই আপনার নামায হয়নি; আপনাকে নামাযটি আবার পড়তে হবে। ইমাম শাফেয়ী রাহমাতুল্লাহি আলাইহির দৃষ্টিতেও কোনো হানাফী মুসল্লীকে এমন কথা বলা কোনো শাফেয়ী মাযহাবের অনুসারীর জন্য জায়েয নয়।
এই মাসআলা জানার পর এখন লক্ষ্য করুন, হানাফী মাযহাবের অগ্রগণ্য ও অনুসৃত অভিমত হচ্ছে, প্রত্যেক অঞ্চলের অধিবাসী নিজ নিজ অঞ্চলের হিলাল দেখার উপর আমল করবে। আর এটাই অন্যান্য মাযহাবের বড় বড় ফকীহের সিদ্ধান্ত। এরই উপর একমত ছিলেন খাইরুল কুরূনের অধিকাংশ ফকীহ। তাই এই নিয়ম অনুসারে যিনি রোযা ও ঈদ করছেন তাকে এই কথা বলা ভুল যে, আপনার একটি রোযা ছুটে গেছে! কারণ তার তো ঐ দিন রমযান শুরুই হয়নি। তদ্রƒপ তিনি যখন ত্রিশতম রোযা রাখছেন তখনও এ কথা বলা সঠিক নয় যে, আপনি ঈদের দিন রোযা রাখছেন। কারণ তার এখনো পয়লা শাওয়াল আসেনি।[1] ১
তাকবীরে তাশরীক ও ৯ যিলহজে¦র রোযার ব্যাপারেও একই কথা। হাদীস শরীফে ইয়াওমে আরাফা বলে উদ্দেশ্য হল ৯ যিলহজ¦। ঐ সময় নয় যখন আরাফায় উকূফ চলছে। তার কারণ, ঈদুল আযহার জন্য কোনো ইসলামী শহরে স্থানীয় হেলালের পরিবর্তে উকূফে আরাফা বা মক্কার হেলালকে ভিত্তি বানানো হয়নি। নবী-যুগ ও খুলাফায়ে রাশেদীনের যুগে মাদীনাতেও নয় এবং পরবর্তী কোনো যুগে অন্য কোনো শহরেও নয়। বিস্তারিত জানার জন্য দেখা যেতে পারে ড. হামীদুল্লাহ-এর প্রবন্ধ। যা ‘মুসলিম ওয়ার্ল্ড’ পত্রিকার ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ ঈসাব্দ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। এর উর্দূ অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে ‘আলবালাগ’ করাচীর ডিসেম্বর ১৯৭৫ ঈসায়ীর সংখ্যায়। আরো দেখুন www.albalagh.net -এ প্রকাশিত হযরত মাওলানা মুফতী মুহাম্মাদ তাকী উসমানীর প্রবন্ধ Determination of Eid al-Adha । যা এ ঠিকানায় দেখা যেতে পারে-
https://www.albalagh.net/qa/moon_qa.shtml ।
তাছাড়া এদিকটিও চিন্তা করুন : আমাদের ও মক্কা মুকাররমার উদয়াস্তে কয়েক ঘণ্টার পার্থক্য। যদি নয় যিলহজে¦র রোযাকে মক্কার আরাফার সাথে যুক্ত করা হয় তাহলে যখন আমরা রোযা শুরু করব তখন তো আরাফা-দিবস শুরু হয়নি। তা শুরু হবে আরো তিন ঘণ্টা পর। তেমনি যখন ইফতার করব তখনও আরাফা-দিবস সমাপ্ত হয়নি। তখনও দিবসের তিন ঘণ্টা বাকি।
এরপর আরাফা-দিবসে পৃথিবীর যেসকল অঞ্চলে রাত থাকবে তারা কি রাতেই রোযা রাখবেন? এরা যদি নিজেদের রাত শেষ হওয়ার পর রোযা রাখেন তখন তো আরাফা-দিবসও শেষ। হাজ¦ীরাও কেউ তখন আরাফার ময়দানে নেই, তারা তখন মুযদালিফায়।
এ কারণে নিঃসন্দেহে আরাফার দিন রোযা রাখা বিষয়ক হাদীসের অর্থ ৯ জিলহজ¦ রোযা রাখা। যে অঞ্চলে যেই দিন ৯ জিলহজ¦ হবে ঐ অঞ্চলের অধিবাসীরা ঐ দিনই রোযা রাখবেন। খোদ হাজ¦ীদের জন্য তো আরাফার দিন রোযা রাখা মাসনূনও নয়।
আরো চিন্তা করুন, পশ্চিমের যেসকল অঞ্চলে যিলহজে¦র হিলাল সৌদিয়ার এক দিন আগে দেখা যাবে, মক্কা-মুকাররমার আরাফা-দিবস হবে তাদের ১০ যিলহজ¦। ঐ দিন তাদের রোযা রাখতে বললে তা হবে ঈদুল আযহার দিন রোযা রাখা, যা নিষেধ।
সুতরাং পরিশেষে একথাই বলতে হবে যে, প্রত্যেক অঞ্চলের মানুষ নিজ নিজ হিলাল অনুসারে আমল করবেন। আর তারা যেহেতু শরীয়তের বিধান অনুযায়ী নিজেদের হিলাল দেখা অনুসারে আমল করছেন তাই এতে আপত্তির কোনো অবকাশ নেই।
১. রমযান আগে-পিছে হওয়ার কারণে শুরু রমযানে এক-দুইটি রোযা না রাখার গুনাহ হয়; বরং এক এক রোযার ষাট ষাট দিনের কাফফারা ওয়াজিব হয়। যা আদায় করা হয় না।
২. ঈদের দিন রোযা রাখা নাজায়েয। অথচ ঈদ আগে-পিছে হওয়ার কারণে এই নাজায়েয কাজটি করা হয়।
৩. তাকবীরে তাশরিকের কিছু অংশ থেকে যায়।
৪. আরাফার রোযা ঈদুল আযহার দিন রাখা হয়।
৫. যারা বারো তারিখে কুরবানী করেন তা প্রকৃতপক্ষে তেরো তারিখে হওয়ার কারণে তাদের কুরবানী শুদ্ধ হয় না।
এই পাঁচটি অভিযোগই নানা কারণে ভিত্তিহীন। আলোচনার সহজার্থে শুধু একটি কারণ উল্লেখ করছি। আর তা এই যে, শরীয়তের ইজমায়ী তথা সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হচ্ছে, যেসকল মাসআলায় ইমামদের মাঝে মতভিন্নতা রয়েছে, তাতে যিনি যে মাযহাবের অনুসারী তার কর্মের হুকুম ঐ মাযহাব অনুযায়ী হবে, অন্য মাযহাব অনুযায়ী নয়। উদাহরণস্বরূপ :
শরীরের কোনো জায়গা থেকে রক্ত বের হলে শাফেয়ী মাযহাবে অজু নষ্ট হয় না। সুতরাং শাফেয়ী মাযহাবের অনুসারী কোনো মুসল্লী রক্ত বের হওয়া সত্ত্বেও যদি নতুন করে অজু না করেন, আগের অজুতেই নামায পড়েন, তাহলে হানাফী মাযহাবের অনুসারী কারো ঐ মুসল্লীকে এই অভিযোগে অভিযুক্ত করা জায়েয নয় যে, বিনা অজুতে নামায পড়েছেন তিনি। তেমনি এই বিধান আরোপ করাও জায়েয নয় যে, আপনাকে এই নামায আবার পড়তে হবে। অথচ হানাফী মাযহাবের কোনো অনুসারী এই কাজ করলে তাকে বলা হবে, আপনার অজু ভেঙ্গে গেছে; আপনি নতুন করে অজু করুন এবং নামাযটি আবার পড়ুন।
আরেকটি উদাহরণ : শাফেয়ী মাযহাবে ইমামের পিছনে মুকতাদীর সূরা ফাতেহা পড়া ফরয। হানাফী মাযহাবে ফরয তো নয়ই; বরং না পড়ার হুকুম। এখন শাফেয়ী মাযহাবের কারো জন্য জায়েয নয় কোনো হানাফী মুসল্লীকে এ কথা বলা যে, আপনি ইমামের পিছনে ফাতিহা পড়েননি তাই আপনার নামায হয়নি; আপনাকে নামাযটি আবার পড়তে হবে। ইমাম শাফেয়ী রাহমাতুল্লাহি আলাইহির দৃষ্টিতেও কোনো হানাফী মুসল্লীকে এমন কথা বলা কোনো শাফেয়ী মাযহাবের অনুসারীর জন্য জায়েয নয়।
এই মাসআলা জানার পর এখন লক্ষ্য করুন, হানাফী মাযহাবের অগ্রগণ্য ও অনুসৃত অভিমত হচ্ছে, প্রত্যেক অঞ্চলের অধিবাসী নিজ নিজ অঞ্চলের হিলাল দেখার উপর আমল করবে। আর এটাই অন্যান্য মাযহাবের বড় বড় ফকীহের সিদ্ধান্ত। এরই উপর একমত ছিলেন খাইরুল কুরূনের অধিকাংশ ফকীহ। তাই এই নিয়ম অনুসারে যিনি রোযা ও ঈদ করছেন তাকে এই কথা বলা ভুল যে, আপনার একটি রোযা ছুটে গেছে! কারণ তার তো ঐ দিন রমযান শুরুই হয়নি। তদ্রƒপ তিনি যখন ত্রিশতম রোযা রাখছেন তখনও এ কথা বলা সঠিক নয় যে, আপনি ঈদের দিন রোযা রাখছেন। কারণ তার এখনো পয়লা শাওয়াল আসেনি।[1] ১
তাকবীরে তাশরীক ও ৯ যিলহজে¦র রোযার ব্যাপারেও একই কথা। হাদীস শরীফে ইয়াওমে আরাফা বলে উদ্দেশ্য হল ৯ যিলহজ¦। ঐ সময় নয় যখন আরাফায় উকূফ চলছে। তার কারণ, ঈদুল আযহার জন্য কোনো ইসলামী শহরে স্থানীয় হেলালের পরিবর্তে উকূফে আরাফা বা মক্কার হেলালকে ভিত্তি বানানো হয়নি। নবী-যুগ ও খুলাফায়ে রাশেদীনের যুগে মাদীনাতেও নয় এবং পরবর্তী কোনো যুগে অন্য কোনো শহরেও নয়। বিস্তারিত জানার জন্য দেখা যেতে পারে ড. হামীদুল্লাহ-এর প্রবন্ধ। যা ‘মুসলিম ওয়ার্ল্ড’ পত্রিকার ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ ঈসাব্দ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। এর উর্দূ অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে ‘আলবালাগ’ করাচীর ডিসেম্বর ১৯৭৫ ঈসায়ীর সংখ্যায়। আরো দেখুন www.albalagh.net -এ প্রকাশিত হযরত মাওলানা মুফতী মুহাম্মাদ তাকী উসমানীর প্রবন্ধ Determination of Eid al-Adha । যা এ ঠিকানায় দেখা যেতে পারে-
https://www.albalagh.net/qa/moon_qa.shtml ।
তাছাড়া এদিকটিও চিন্তা করুন : আমাদের ও মক্কা মুকাররমার উদয়াস্তে কয়েক ঘণ্টার পার্থক্য। যদি নয় যিলহজে¦র রোযাকে মক্কার আরাফার সাথে যুক্ত করা হয় তাহলে যখন আমরা রোযা শুরু করব তখন তো আরাফা-দিবস শুরু হয়নি। তা শুরু হবে আরো তিন ঘণ্টা পর। তেমনি যখন ইফতার করব তখনও আরাফা-দিবস সমাপ্ত হয়নি। তখনও দিবসের তিন ঘণ্টা বাকি।
এরপর আরাফা-দিবসে পৃথিবীর যেসকল অঞ্চলে রাত থাকবে তারা কি রাতেই রোযা রাখবেন? এরা যদি নিজেদের রাত শেষ হওয়ার পর রোযা রাখেন তখন তো আরাফা-দিবসও শেষ। হাজ¦ীরাও কেউ তখন আরাফার ময়দানে নেই, তারা তখন মুযদালিফায়।
এ কারণে নিঃসন্দেহে আরাফার দিন রোযা রাখা বিষয়ক হাদীসের অর্থ ৯ জিলহজ¦ রোযা রাখা। যে অঞ্চলে যেই দিন ৯ জিলহজ¦ হবে ঐ অঞ্চলের অধিবাসীরা ঐ দিনই রোযা রাখবেন। খোদ হাজ¦ীদের জন্য তো আরাফার দিন রোযা রাখা মাসনূনও নয়।
আরো চিন্তা করুন, পশ্চিমের যেসকল অঞ্চলে যিলহজে¦র হিলাল সৌদিয়ার এক দিন আগে দেখা যাবে, মক্কা-মুকাররমার আরাফা-দিবস হবে তাদের ১০ যিলহজ¦। ঐ দিন তাদের রোযা রাখতে বললে তা হবে ঈদুল আযহার দিন রোযা রাখা, যা নিষেধ।
সুতরাং পরিশেষে একথাই বলতে হবে যে, প্রত্যেক অঞ্চলের মানুষ নিজ নিজ হিলাল অনুসারে আমল করবেন। আর তারা যেহেতু শরীয়তের বিধান অনুযায়ী নিজেদের হিলাল দেখা অনুসারে আমল করছেন তাই এতে আপত্তির কোনো অবকাশ নেই।
