শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

৪. যাকাতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৩০২৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩০২৬
৩. নারীর জন্য তার সম্পদের যাকাত আপন স্বামীকে দেয়া বৈধ কি-না?
৩০২৫-২৬। ফাহাদ (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)-এর স্ত্রী যায়নাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন,একবার আমি মসজিদে ছিলাম এবং নবী করীম (ﷺ) আমাকে মসজিদে দেখলেন এবং বললেনঃ “তােমরা সাদাকা দাও, তোমাদের অলংকার থেকে হলেও”। যায়নাব (রাযিঃ) (তাঁর স্বামী) আব্দুল্লাহর (রাযিঃ) ও কিছুসংখ্যক ইয়াতীম যা তার প্রতিপালনে ছিল, তাদের খরচ ও ব্যয়ভার চালাতেন। তিনি আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)-কে বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে জিজ্ঞাস কর, আমি আমার মালের সাদাকা থেকে যদি তোমার ও সেই সব
ইয়াতীমদের খরচ ও ব্যয়ভার গ্রহণ করি যারা আমার প্রতিপালনে রয়েছে তাহলেও জায়িয হবে কিনা ? তিনি বললেন, তুমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট গিয়ে নিজে জিজ্ঞাসা কর। তখন আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট গেলাম। আমি গিয়ে দরজায় এক আনসারী মহিলাকে পেলাম। তিনিও আমার মত অভিন্ন মাসআলা জিজ্ঞাসা
করতে এসেছিলেন। (এমন সময়) বিলাল (রাযিঃ) আমাদের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। আমি বললাম, আমাদের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। আমি বললাম, আমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা কর- আমি আমার সাদাকা থেকে যদি আমার স্বামী ও আমার প্রতিপালনে
যেসব ইয়াতীম রয়েছে তাদের খরচ ও ব্যয়ভার গ্রহণ করি তাহলে তা জায়িয হবে কিনা ? আর আমরা
বললাম আমাদের পরিচয় জানাবে না (আমরা কারা)। তিনি বলেন, বিলাল (রাযিঃ) প্রবেশ করলেন এবং তাঁকে
জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেন, তাঁরা দুইজন কারা ? তিনি বললেন, যায়নাব। তিনি বললেন, সে কোন্
যায়নাব ? তিনি বললেন, আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ)-এর স্ত্রী। তিনি (উত্তরে) বললেন, হ্যাঁ, তার জন্য (দ্বিগুণ) সাওয়াব।
(একটি) আত্মীয়তা রক্ষার সাওয়াব আরেকটি সাদাকার।

আনূ জা'ফর (তাহাবী র) বলেনঃ একদল আলিম এ মত গ্রহণ করেছেন যে, নারীর জন্য নিজ স্বামীকে
নিজের সম্পদের যাকাত প্রদান করা জায়িয আছে। তারা এ বিষয়ে এই হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন। এই
মতের প্রবক্তাদের মধ্যে ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) অন্যতম। পক্ষান্তরে এই বিষয়ে
অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরােধিতা করেছেন, তাঁদের মধ্যে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) অন্যতম। তাঁরা
বলেছেনঃ নারীর জন্য নিজ মালের যাকাত স্বামীকে প্রদান করা জায়িয নয়। যেমনিভাবে স্বামীর জন্য নিজ
মালের যাকাত স্ত্রীকে দেয়া জায়িয নয়।

প্রথমােক্ত মত পােষণকারীদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দলের দলীল এই যে, যায়নাব (রাযিঃ)-এর হাদীসে প্রথম দলের
দলীল, যা তারা দ্বিতীয় দলের বিরুদ্ধে পেশ করেছিলেন, তাতে উক্ত সাদাকা যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঐ হাদীসে তার উপর নির্দিষ্ট করেছেন, বস্তুত তা ছিল যাকাত ব্যতীত অন্য নফল সাদাকা। আর তা নিম্নোক্ত হাদীসে
ব্যক্ত হয়েছেঃ
26 - 3025 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ , قَالَ: ثنا أَبِي , عَنِ الْأَعْمَشِ , قَالَ: حَدَّثَنِي شَقِيقٌ , عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ , عَنْ زَيْنَبَ امْرَأَةِ عَبْدِ اللهِ , قَالَ: فَذَكَرْتُهُ لِإِبْرَاهِيمَ , فَحَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ , عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ , عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ , عَنْ زَيْنَبَ امْرَأَةِ عَبْدِ اللهِ , مِثْلَهُ سَوَاءً قَالَتْ: " كُنْتُ فِي الْمَسْجِدِ فَرَآنِي النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَسْجِدِ فَقَالَ: «تَصَدَّقْنَ وَلَوْ مِنْ حُلِيِّكُنَّ» وَكَانَتْ زَيْنَبُ تُنْفِقُ عَلَى عَبْدِ اللهِ وَأَيْتَامٍ فِي حِجْرِهَا فَقَالَتْ لِعَبْدِ اللهِ: سَلْ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , أَيُجْزِئُ عَنِّي إِنْ أَنْفَقْتُ عَلَيْكَ، وَعَلَى أَيْتَامٍ فِي حِجْرِي مِنَ الصَّدَقَةِ؟ قَالَ: سَلِي أَنْتِ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَانْطَلَقْتُ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَوَجَدْتُ امْرَأَةً مِنَ الْأَنْصَارِ عَلَى الْبَابِ , حَاجَتُهَا مِثْلُ حَاجَتِي. فَمَرَّ عَلَيْنَا بِلَالٌ , فَقُلْتُ: سَلْ لَنَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: هَلْ يُجْزِئُ عَنِّي أَنْ أَتَصَدَّقَ عَلَى زَوْجِي وَأَيْتَامٍ فِي حِجْرِي مِنَ الصَّدَقَةِ؟ وَقُلْنَا: لَا تُخْبِرُ بِنَا. قَالَتْ: فَدَخَلَ فَسَأَلَهُ , فَقَالَ مَنْ هُمَا؟ قَالَ: زَيْنَبُ , قَالَ أَيِ الزَّيَانِبِ هِيَ؟ قَالَ: امْرَأَةُ عَبْدِ اللهِ؟ فَقَالَ نَعَمْ يَكُونُ لَهَا أَجْرُ الْقَرَابَةِ وَأَجْرُ الصَّدَقَةِ " قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الْمَرْأَةَ جَائِزٌ لَهَا أَنْ تُعْطِيَ زَوْجَهَا مِنْ زَكَاةِ مَالِهَا , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ , وَمِمَّنْ ذَهَبَ إِلَى ذَلِكَ , أَبُو يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٌ رَحِمَهُمَا اللهُ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , مِنْهُمْ أَبُو حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ , فَقَالُوا: لَا يَجُوزُ لِلْمَرْأَةِ أَنْ تُعْطِيَ زَوْجَهَا مِنْ زَكَاةِ مَالِهَا , كَمَا لَا يَجُوزُ لَهُ أَنْ يُعْطِيَهَا مِنْ زَكَاةِ مَالِهِ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ عَلَى أَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى , فِي حَدِيثِ زَيْنَبَ الَّذِي احْتَجُّوا بِهِ عَلَيْهِمْ , أَنَّ تِلْكَ الصَّدَقَةَ الَّتِي حَضَّ عَلَيْهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ الْحَدِيثِ إِنَّمَا كَانَتْ مِنْ غَيْرِ الزَّكَاةِ. وَقَدْ بَيَّنَ ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:৩০২৭
নারীর জন্য তার সম্পদের যাকাত আপন স্বামীকে দেয়া বৈধ কি-না?
৩০২৭। ইউনুস (রাহঃ) ..... রাবিতা বিন্‌ত আব্দুল্লাহ্, আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন মাসউদ (রাযিঃ)-এর স্ত্রী থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি একজন হস্ত শিল্পী ছিলেন। আব্দুল্লাহ ইব্‌ন মাসউদ (রাযিঃ)-এর জীবিকা নির্বাহের জন্য কোন সম্পদ ছিল না। বর্ণনাকারী বলেন, রাবিতা (যায়নাব রা) তা থেকে তাঁর ও তার সন্তানের উপর ব্যয় করতেন। তিনি বলেন, আল্লাহর কসম! তুমি এবং তােমার সন্তান আমাকে সাদাকা থেকে বিরত রেখেছে। তােমাদের সাথে আমি কোন কিছু সাদাকা করতে সক্ষম হই না। একবার তিনি (ইব্‌ন মাসউদ রা) বললেন, আমি পছন্দ করি না যে, তুমি আমার জন্য ব্যয় কর, যদি এতে তােমার সাওয়াব না হয় তাহলে খরচ করবে না। তারপর রাবিতা (রাযিঃ) ও তাঁর স্বামী রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করলেন, রাবিতা (রাযিঃ) বললেন, 'ইয়া রাসূলাল্লাহ!
আমি একজন হস্ত-শিল্পী মহিলা, এর থেকে আমি বিক্রয় করি। আর আমার স্বামী-সন্তানের কোন সম্পদ নেই। তারা আমাকে সাদাকা থেকে বিরত রেখেছেন, আমি সাদাকা করতে পারি না। (বলুন) তাদের জন্য যা খরচ করি তাতে আমার সাওয়াব হবে ? তিনি বললেন, “এতে তােমার সাওয়াব রয়েছে, যা তুমি তাদের জন্য খরচ করছ। অতএব তুমি তাদের জন্য খরচ কর।”

বস্তুত এই হাদীসে ব্যক্ত হচ্ছে যে, উক্ত সাদাকা যাকাত খাতের ছিল না। আর এই রাবিতা (রাযিঃ)-ই আব্দুল্লাহ
(রাযিঃ)-এর স্ত্রী। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর যুগে তিনি ব্যতীত আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)-এর অন্য কোন স্ত্রী ছিলাে বলে আমাদের জানা নেই। বস্তুত উক্ত সাদাকা যে নফল সাদাকা ছিলাে, এর প্রমাণ হলাে যেমনিভাবে আমরা তাঁর উক্তি উল্লেখ করেছি। তিনি বলেছিলেনঃ আমি একজন হস্তশিল্পী মহিলা ছিলাম, হাতের কাজ করি, এর থেকে উৎপাদিত বস্তু বিক্রয় করে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)-এর উপর (জন্য) ব্যয় করি। এই হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর উক্তি এবং প্রথম হাদীসে তার প্রশ্নের উত্তর, এটি এবং রাবিতা (রাযিঃ)-এর এই হাদীসে যে, আমি এর থেকে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) ও তার সন্তানের উপর ব্যয় করি। (এই সমস্ত থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, তা নফল সাদাকা
ছিলাে)।

আলিমগণ এ বিষয়ে ঐকমত্য পােষণ করেছেন যে, মহিলার জন্য তার সন্তানের উপর নিজ মালের যাকাত খরচ করা জায়িয নয়। তিনি (রাবিতা) যখন নিজ সন্তানের জন্য যা খরচ করেছেন তা যাকাত নয়,
অনুরূপভাবে নিজ স্বামীর জন্য যা খরচ করেছেন সেটিও যাকাত নয়।
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রেও রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে এরূপ হাদীস বর্ণিত আছে, যা থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, উক্ত সাদাকা যারা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সেই মহিলার স্বামীর উপরে খরচ করা তাঁর জন্য বৈধ ঘােষণা দিয়েছেন- তা ছিলাে যাকাত ব্যতীত অন্য নফল সাদাকা ।
3027 - مَا قَدْ حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ , قَالَ: ثنا اللَّيْثُ , عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ , " عَنْ رَيْطَةَ بِنْتِ عَبْدِ اللهِ , امْرَأَةِ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ , وَكَانَتِ امْرَأَةً صَنْعَاءَ , وَلَيْسَ لِعَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مَالٌ , فَكَانَتْ تُنْفِقُ عَلَيْهِ وَعَلَى وَلَدِهِ مِنْهَا. فَقَالَتْ: لَقَدْ شَغَلْتنِي، وَاللهِ، أَنْتَ وَوَلَدُكَ عَنِ الصَّدَقَةِ , فَمَا أَسْتَطِيعُ أَنْ أَتَصَدَّقَ مَعَكُمْ بِشَيْءٍ. فَقَالَ مَا أُحِبُّ إِنْ لَمْ يَكُنْ لَكَ فِي ذَلِكَ أَجْرٌ , أَنْ تَفْعَلِي. فَسَأَلَتْ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هِيَ وَهُوَ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللهِ , إِنِّي امْرَأَةٌ ذَاتُ صَنْعَةٍ , أَبِيعُ مِنْهَا , وَلَيْسَ لِوَلَدِي وَلَا لِزَوْجِي شَيْءٌ , فَشَغَلُونِي فَلَا أَتَصَدَّقُ , فَهَلْ لِي فِيهِمْ أَجْرٌ؟ . فَقَالَ: «لَكِ فِي ذَلِكَ أَجْرُ مَا أَنْفَقْتِ عَلَيْهِمْ , فَأَنْفِقِي عَلَيْهِمْ» فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ تِلْكَ الصَّدَقَةَ , مِمَّا لَمْ يَكُنْ فِيهِ زَكَاةٌ. وَرَيْطَةُ هَذِهِ هِيَ زَيْنَبُ امْرَأَةُ عَبْدِ اللهِ , لَا نَعْلَمُ أَنَّ عَبْدَ اللهِ كَانَتْ لَهُ امْرَأَةٌ غَيْرُهَا فِي زَمَنِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَالدَّلِيلُ عَلَى أَنَّ تِلْكَ الصَّدَقَةَ كَانَتْ تَطَوُّعًا كَمَا ذَكَرْنَا , قَوْلُهَا كُنْتُ امْرَأَةً صَنْعَاءَ , أَصْنَعُ بِيَدِي فَأَبِيعُ مِنْ ذَلِكَ , فَأُنْفِقُ عَلَى عَبْدِ اللهِ. فَكَانَ قَوْلُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي فِي هَذَا الْحَدِيثِ , وَفِي الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ , جَوَابًا لِسُؤَالِهَا هَذَا. وَفِي حَدِيثِ رَيْطَةَ هَذَا «كُنْتُ أُنْفِقُ مِنْ ذَلِكَ عَلَى عَبْدِ اللهِ , وَعَلَى وَلَدِهِ مِنِّي» . وَقَدْ أَجْمَعُوا عَلَى أَنَّهُ لَا يَجُوزُ لِلْمَرْأَةِ أَنْ تُنْفِقَ عَلَى وَلَدِهَا مِنْ زَكَاتِهَا. فَلَمَّا كَانَ مَا أَنْفَقَتْ عَلَى وَلَدِهَا لَيْسَ مِنَ الزَّكَاةِ , فَكَذَلِكَ مَا أَنْفَقَتْ عَلَى زَوْجِهَا لَيْسَ هُوَ أَيْضًا مِنَ الزَّكَاةِ. وَقَدْ رُوِيَ أَيْضًا عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَدُلُّ أَنَّ تِلْكَ الصَّدَقَةَ الَّتِي أَبَاحَ لَهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنْفَاقَهَا عَلَى زَوْجِهَا , كَانَتْ مِنْ غَيْرِ الزَّكَاةِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:৩০২৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩০২৯
নারীর জন্য তার সম্পদের যাকাত আপন স্বামীকে দেয়া বৈধ কি-না?
৩০২৮-২৯। ফাহাদ (রাহঃ) ….. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ফজরের সালাত আদায় শেষে মসজিদে (যেদিকে মহিলারা ছিলেন) মহিলাদের নিকটে আসলেন এবং বললেন, “হে মহিলা সমাজ, আমি তােমাদের অপেক্ষা কাউকে জ্ঞান ও দ্বীনের দিক দিয়ে অসম্পূর্ণ দেখিনি। আমি নিশ্চয় দেখেছি যে, কিয়ামতের দিন তােমরা অধিক সংখ্যায় জাহান্নামী হবে। সুতরাং যথাসম্ভব তােমরা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন কর।” (তখন) মহিলাদের মধ্যে আব্দুল্লাহ ইব্‌ন মাসউদ (রাযিঃ)-এর স্ত্রী ছিলেন। তিনি আব্দুল্লাহ ইব্‌ন মাসউদ (রাযিঃ)-এর কাছে ফিরে গিয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে যা শুনেছেন তা তাঁকে বললেন এবং (সাদাকা দেয়ার জন্য) নিজ অলংকার খুলে নিয়ে যেতে লাগলেন। এতে ইব্‌ন মাসউদ (রাযিঃ) বললেন, এ অলংকার কোথায় নিয়ে যাচ্ছ ? তিনি বললেন, এর দ্বারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল-এর নৈকট্য অর্জন করব, সম্ভবত আল্লাহ তা'আলা আমাকে জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত করবেন না। তিনি বললেন, এটি নিয়ে এসাে, তােমার জন্য আফসােস! এ
দিয়ে আমার এবং আমার সন্তানদের জন্য সাদাকা কর। তিনি বললেন, না, আল্লাহর কসম, যতক্ষণ না আমি এ বিষয়ে (জিজ্ঞাসার জন্য) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট যাই। তারপর তিনি গেলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নিকট অনুমতি চাইলেন। (উপস্থিত) লােকেরা বললেন, 'ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ) ! যায়নাব (রাযিঃ) অনুমতি প্রার্থনা করছে। তিনি বললেন, সে কোন্ যায়নাব ? তারা বললেন, আব্দুল্লাহ ইব্‌ন মাসউদ (রাযিঃ)-এর স্ত্রী। তারপর তিনি নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট গেলেন এবং বললেন, আমি আপনার বক্তব্য শুনেছি, তারপর ইব্‌ন মাসউদ
(রাযিঃ)-এর নিকট ফিরে গিয়ে তার নিকট তা বর্ণনা করেছি। আমি আমার অলংকার নিয়ে যেতে চেয়েছি, যেন এর দ্বারা আল্লাহ্ তা'য়ালা ও আপনার নৈকট্য অর্জন করতে পারি এ আশায় যে, আল্লাহ্ তা'আলা আমাকে জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত না করেন। ইব্‌ন মাসউদ (রাযিঃ) বললেন তুমি আমার এবং আমার সন্তানের জন্য তা সাদাকা কর। আমি এর উপযুক্ত স্থান। আমি তাকে বললাম, যতক্ষণ না আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আর কে জিজ্ঞাসা করি (তা করব না)। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তুমি তাঁর ও তার সন্তানের উপর তা সাদাকা কর- যেহেতু তাঁরা এর জন্য উপযুক্ত খাত হিসাবে বিবেচিত।

হুসাইন ইব্‌নুল হাকাম আল-হিবাবী (রাযিঃ)..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

আবু জা'ফর (তাহাবী র) বলেনঃ এই হাদীসে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তার উক্তি 'সাদকা কর’ এর উদ্দেশ্য ছিল, নফল সাদাকা গুনাহের কাফ্ফারাস্বরূপ। তাঁর হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে,তিনি বলেন, যায়নাব (রাযিঃ) তার অলংকার নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর নিকট এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এটি গ্রহণ করুন, এর দ্বারা আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নৈকট্য অর্জন করব। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে বললেন, এর দ্বারা তুমি আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) ও তাঁর সন্তানদের উপরে সাদাকা কর, যেহেতু তারা এর জন্য উপযুক্ত খাত হিসাবে বিবেচিত। সমস্ত অলংকার দ্বারা সাদাকা প্রদান ছিল নফল (সাদাকা), যাকাত থেকে নয়। কেননা
যাকাত সমস্ত সম্পদ দারা সাদাকা করাকে জরুরী (ওয়াজিব) করে না বরং এর অংশ দ্বারা সাদকা করাকে
ওয়াজিব করে।
অতএব এটিও ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও তাঁর মতের অনুসারীদের প্রথমােক্ত হাদীসের ব্যাখ্যার অসারতার
প্রমাণ বহন করে। সুতরাং যায়নাব (রাযিঃ)-এর হাদীস দ্বারা এই কথা প্রমাণ করে যে, নারী তার সম্পদের
যাকাত তার স্বামীকে দিতে পারবে, যদি সে অভাবগ্রস্ত হয় এটি আমাদের উল্লিখিত বর্ণনা দ্বারা বাতিল হয়ে
গিয়েছে। বস্তুত আমরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিধান পরবর্তীতে যুক্তির নিরিখে ও নীতিমালার ভিত্তিতে খুঁজে নেয়ার প্রয়াস পাব।

ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক দলীলঃ আমরা লক্ষ্য করে দেখেছি যে, আলিমগণ এই বিষয়ে ঐকমত্য
পােষণ করেছেন যে, স্ত্রীকে তার স্বামী তার মালের যাকাত দিবে না (দেয়া জায়িয নয়) যদিও স্ত্রী অভাবগ্রস্ত
হয়। আর এ ব্যাপারে সে অন্যের মত নয়। যেহেতু আমরা দেখছি যে, ভাই তার অভাবগ্রস্ত বােনকে তার
যাকাত দিচ্ছে (দেয়া জায়িয) যদিও ভাইয়ের উপরে তার ব্যয়ভার জরুরী হয়ে থাকে। এতে কিন্তু সে সেই
ব্যক্তির হুকুম থেকে বের হবে না যাকে কিনা যাকাত প্রদান করা হয়। এ থেকে প্রমাণিত হলাে যে, যে কারণে স্বামীর জন্য নিজ স্ত্রীকে নিজের সম্পদের যাকাত প্রদান করা নিষিদ্ধ তা কিন্তু এটি নয় যে, স্বামীর উপরে স্ত্রীর ব্যয়ভার ওয়াজিব বরং স্বামী-স্ত্রীর মধ্যখানে যে কারণ (দাম্পত্য বন্ধন) বিদ্যমান রয়েছে তার কারণে এটি না জায়িয। বস্তুত এটি পিতা-মাতা সন্তানের মাঝখানে বংশগত সম্পর্কের ন্যায়, যে কারণে মাতা-পিতা ও সন্তানকে পরস্পরে যাকাত প্রদান করা নিষিদ্ধ। আমাদের উল্লিখিত বর্ণনার দ্বারা যখন সাব্যস্ত হলাে যে, স্ত্রীকে যে কারণে তার স্বামী নিজ মালের যাকাত প্রদান করা নিষিদ্ধ যদিও স্ত্রী অভাবগ্রস্ত হয়ে থাকে। এটি সেই কারণের অনুরূপ যা সন্তান এবং মাতা-পিতার মাঝখানে বিদ্যমান। যে কারণে সন্তানের জন্য নিষিদ্ধ নিজের মাতা-পিতাকে তার যাকাত প্রদান করা যদিও মাতা-পিতা অভাবগ্রস্ত হয়ে থাকে। অনুরূপভাবে মাতা-পিতাও নিজেদের সন্তানকে নিজেদের যাকাত প্রদান করবে না যদিও সে অভাবগ্রস্ত হয়ে থাকে। সুতরাং সন্তান ও মাতা-পিতার মাঝখানে বংশ সম্পর্কের কারণে সন্তান কর্তৃক মাতা-পিতাকে যাকাত প্রদান করা তার জন্য নিষিদ্ধ এবং মাতা-পিতা কর্তৃক তাকে যাকাত (সন্তানকে) যাকাত দেয়া নিষিদ্ধ।
অনুরূপভাবে স্বামী-স্ত্রীর মাঝখানে দাম্পত্য বন্ধনের কারণে স্বামীর জন্য নিষিদ্ধ স্ত্রীকে যাকাত প্রদান করা এবং স্ত্রীর জন্যও নিষিদ্ধ স্বামীকে যাকাত প্রদান করা।

আমরা লক্ষ্য করেছি যে, স্বামী-স্ত্রীর মাঝখানে এই দাম্পত্য বন্ধনের কারণে একজনের সাক্ষ্য অপর জনের
ব্যাপারে গ্রহণ করা নিষিদ্ধ। এ ব্যাপারে তাদের উভয়কে মাহরাম আত্মীয় (মাতা-পিতা ও সন্তান)-এর তুল্য
সাব্যস্ত করা হয়েছে, যাদের একজনের সাক্ষ্য অপর জনের ব্যাপারে বৈধ নয়। (গ্রহণযােগ্য নয়)। আরাে লক্ষ্য করেছি যে, তাদের প্রত্যেকেই একজন অপরজন থেকে হিবা (দান) এর পর তা ফিরিয়ে নেয়া জায়িয নয় সেই ব্যক্তির বক্তব্য অনুযায়ী যে কিনা দুই আত্মীয়ের মাঝে হিবা সংক্রান্ত বিষয়ে ফিরিয়ে নেয়াকে জায়িয বলে। স্বামী-স্ত্রীকে যখন সাক্ষ্য গ্রহণ করা ও হিবার পর ফিরিয়ে নেয়া নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে মাহরাম আত্মীয়ের ন্যায় সাব্যস্ত করা হয়েছে অতএব যুক্তির চাহিদা মতেও পরস্পরে যাকাত প্রদান করাও অনুরূপ (নিষিদ্ধ) হবে।
আর এটিই হচ্ছে, এ অনুচ্ছেদের যুক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণ, আর এটি হচ্ছে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর অভিমত।
3028 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ , قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي كَثِيرٍ الْأَنْصَارِيُّ , عَنْ عُمَرَ بْنِ نُبَيْهٍ الْكَعْبِيِّ , عَنِ الْمَقْبُرِيِّ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ " أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْصَرَفَ مِنَ الصُّبْحِ يَوْمًا , فَأَتَى عَلَى النِّسَاءِ فِي الْمَسْجِدِ فَقَالَ: " يَا مَعْشَرَ النِّسَاءِ , مَا رَأَيْتُ مِنْ نَاقِصَاتِ عَقْلٍ وَدِينٍ أَذْهَبَ بِعُقُولِ ذَوِي الْأَلْبَابِ مِنْكُنَّ , وَإِنِّي قَدْ رَأَيْتُ أَنَّكُنَّ أَكْثَرُ أَهْلِ النَّارِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ , فَتَقْرَبْنَ إِلَى اللهِ بِمَا اسْتَطَعْتُنَّ. وَكَانَ فِي النِّسَاءِ امْرَأَةُ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , فَانْقَلَبَتْ إِلَى عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَأَخْبَرَتْهُ بِمَا سَمِعَتْ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَخَذَتْ حُلِيًّا لَهَا. فَقَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَيْنَ تَذْهَبِينَ بِهَذَا الْحُلِيِّ؟ فَقَالَتْ: أَتَقَرَّبُ بِهِ إِلَى اللهِ وَإِلَى رَسُولِهِ , لَعَلَّ اللهَ أَنْ لَا يَجْعَلَنِي مِنْ أَهْلِ النَّارِ. قَالَ: هَلُمِّي بِذَلِكَ وَيْلَكَ تَصَدَّقِي بِهِ عَلَيَّ وَعَلَى وَلَدِي فَقَالَتْ: لَا وَاللهِ , حَتَّى أَذْهَبَ بِهِ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَذَهَبَتْ تَسْتَأْذِنُ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ؟ هَذِهِ زَيْنَبُ تَسْتَأْذِنُ , فَقَالَ أَيُّ الزَّيَانِبِ هِيَ؟ قَالُوا: امْرَأَةُ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ. فَدَخَلَتْ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ: إِنِّي سَمِعْتُ مِنْكَ مَقَالَةً , فَرَجَعْتُ إِلَى ابْنِ مَسْعُودٍ فَحَدَّثْتُهُ , فَأَخَذْتُ حُلِيِّي أَتَقَرَّبُ بِهِ إِلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ , وَإِلَيْكَ , رَجَاءَ أَنْ لَا يَجْعَلَنِي اللهُ مِنْ أَهْلِ النَّارِ. فَقَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: تَصَدَّقِي بِهِ عَلَيَّ وَعَلَى بَنِيَّ , فَإِنَّا لَهُ مَوْضِعٌ , فَقُلْتُ لَهُ: حَتَّى أَسْتَأْذِنَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَصَدَّقِي بِهِ عَلَيْهِ وَعَلَى بَنِيهِ , فَإِنَّهُمْ لَهُ مَوْضِعٌ»

3029 - حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ الْحَكَمِ الْجِيزِيُّ , قَالَ: ثنا عَاصِمِ بْنِ عَلِيٍّ , قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي عَمْرٍو , عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَبَيَّنَ أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ , أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا أَرَادَ بِقَوْلِهِ تَصَدَّقِي فِي الصَّدَقَةِ , التَّطَوُّعِ الَّتِي تُكَفِّرُ الذُّنُوبَ. وَفِي حَدِيثِهِ قَالَ " فَجَاءَتْ بِحُلِيٍّ لَهَا إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللهِ، خُذْ هَذَا، أَتَقَرَّبُ بِهِ إِلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ وَإِلَى رَسُولِهِ. فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: تَصَدَّقِي بِهِ عَلَى عَبْدِ اللهِ، وَعَلَى بَنِيهِ , فَإِنَّهُمْ لَهُ مَوْضِعٌ " فَكَانَ ذَلِكَ عَلَى الصَّدَقَةِ بِكُلِّ الْحُلِيِّ , وَذَلِكَ مِنَ التَّطَوُّعِ , لَا مِنَ الزَّكَاةِ , لِأَنَّ الزَّكَاةَ لَا تُوجِبُ الصَّدَقَةَ بِكُلِّ الْمَالِ , وَإِنَّمَا تُوجِبُ الصَّدَقَةَ بِجُزْءٍ مِنْهُ. فَهَذَا أَيْضًا دَلِيلٌ عَلَى فَسَادِ تَأْوِيلِ أَبِي يُوسُفَ رَحِمَهُ اللهُ وَمَنْ ذَهَبَ إِلَى قَوْلِهِ لِلْحَدِيثِ الْأَوَّلِ. فَقَدْ بَطَلَ بِمَا ذَكَرْنَا , أَنْ يَكُونَ فِي حَدِيثِ زَيْنَبَ مَا يَدُلُّ أَنَّ الْمَرْأَةَ تُعْطِي زَوْجَهَا مِنْ زَكَاةِ مَالِهَا إِذَا كَانَ فَقِيرًا. وَإِنَّمَا نَلْتَمِسُ حُكْمَ ذَلِكَ بَعْدُ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ وَشَوَاهِدِ الْأُصُولِ , فَاعْتَبَرْنَا ذَلِكَ , فَوَجَدْنَا الْمَرْأَةَ، بِاتِّفَاقِهِمْ، لَا يُعْطِيهَا زَوْجُهَا مِنْ زَكَاةِ مَالِهِ , وَإِنْ كَانَتْ فَقِيرَةً , وَلَمْ تَكُنْ فِي ذَلِكَ كَغَيْرِهَا , لِأَنَّا رَأَيْنَا الْأُخْتَ يُعْطِيهَا أَخُوهَا مِنْ زَكَاتِهِ إِذَا كَانَتْ فَقِيرَةً , وَإِنْ كَانَ عَلَى أَخِيهَا أَنْ يُنْفِقَ عَلَيْهَا , وَلَمْ تَخْرُجْ بِذَلِكَ مِنْ حُكْمِ مَنْ يُعْطَى مِنَ الزَّكَاةِ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ الَّذِي يَمْنَعُ الزَّوْجَ مِنْ إِعْطَاءِ زَوْجَتِهِ مِنْ زَكَاةِ مَالِهِ , لَيْسَ هُوَ وُجُوبَ النَّفَقَةِ لَهَا عَلَيْهِ , وَلَكِنَّهُ السَّبَبُ الَّذِي بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا , فَصَارَ ذَلِكَ كَالنَّسَبِ الَّذِي بَيْنَهُ وَبَيْنَ وَالِدِيهِ فِي مَنْعِ ذَلِكَ إِيَّاهُ مِنْ إِعْطَائِهِمَا مِنَ الزَّكَاةِ. فَلَمَّا ثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا أَنَّ سَبَبَ الْمَرْأَةِ الَّذِي مَنَعَ زَوْجَهَا أَنْ يُعْطِيَهَا مِنْ زَكَاةِ مَالِهِ وَإِنْ كَانَتْ فَقِيرَةً , هُوَ كَالسَّبَبِ الَّذِي بَيْنَهُ وَبَيْنَ وَالِدِيهِ الَّذِي يَمْنَعُهُ مِنْ إِعْطَائِهِمَا مِنْ زَكَاتِهِ , وَإِنْ كَانَا فَقِيرَيْنِ , وَرَأَيْنَا الْوَالِدَيْنِ لَا يُعْطِيَانِهِ أَيْضًا مِنْ زَكَاتِهِمَا , إِذَا كَانَ فَقِيرًا , فَكَانَ الَّذِي بَيْنَهُ وَبَيْنَ وَالِدِيهِ مِنَ النَّسَبِ يَمْنَعُهُ مِنْ إِعْطَائِهِمَا مِنَ الزَّكَاةِ , وَيَمْنَعُهُمَا مِنْ إِعْطَائِهِ مِنَ الزَّكَاةِ. فَكَذَلِكَ السَّبَبُ الَّذِي بَيْنَ الزَّوْجِ وَالْمَرْأَةِ , لَمَّا كَانَ يَمْنَعُهُ مِنْ إِعْطَائِهِمَا مِنَ الزَّكَاةِ , كَانَ أَيْضًا يَمْنَعُهَا مِنْ إِعْطَائِهِ مِنَ الزَّكَاةِ.وَقَدْ رَأَيْنَا هَذَا السَّبَبَ بَيْنَ الزَّوْجِ وَالْمَرْأَةِ يَمْنَعُ مِنْ قَبُولِ شَهَادَةِ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا لِصَاحِبِهِ , فَجُعِلَا فِي ذَلِكَ كَذَوِي الرَّحِمِ الْمَحْرَمِ , الَّذِي لَا يَجُوزُ شَهَادَةُ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا لِصَاحِبِهِ. وَرَأَيْنَا أَيْضًا كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا , لَا يَرْجِعُ فِيمَا وَهَبَ لِصَاحِبِهِ , فِي قَوْلِ مَنْ يُجِيزُ الرُّجُوعَ فِي الْهِبَةِ فِيمَا بَيْنَ الْقَرِيبِينَ. فَلَمَّا كَانَ الزَّوْجَانِ فِيمَا ذَكَرْنَا , قَدْ جُعِلَا كَذَوِي الرَّحِمِ الْمَحْرَمِ فِيمَا مُنِعَ فِيهِ مِنْ قَبُولِ الشَّهَادَةِ , وَمِنَ الرُّجُوعِ فِي الْهِبَةِ , كَانَا فِي النَّظَرِ أَيْضًا فِي إِعْطَاءِ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا صَاحِبَهُ مِنَ الزَّكَاةِ كَذَلِكَ. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ فِي هَذَا الْبَابِ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ تَعَالَى
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:৩০২৯
empty
৩০২৯।
- 3029
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান