শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:২১৫০
আন্তর্জাতিক নং: ২১৫১
৫১. জুমু'আর দিন ইমামের খুতবা দানকালে কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে সালাত পড়বে কিনা?
২১৫০-২১৫১। রবী' আল মু’আযযিন (রাহঃ) ….. জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, জুমু'আর দিনে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মিম্বরের উপর বসা, এমতাবস্থায় সুলাইক আল-গাতফানী (রাযিঃ) এসে সালাত আদায় না করে বসে পড়লেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁকে বললেন, তুমি কি দু'রাক'আত সালাত আদায় করেছ? তিনি উত্তর দিলেন, জ্বী না। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁকে বললেন, দাঁড়িয়ে দু'রাক'আত (সালাত) আদায় করে নাও।

ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) ….. জাবির (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) জুমু'আর দিন খুতবা দানকালে এক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করল। তারপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

ইবনে মারযূক (রাহঃ).....জাবির (রাযিঃ) সূত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেন।
بَابٌ الرَّجُلُ يَدْخُلُ الْمَسْجِدَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ هَلْ يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَرْكَعَ أَمْ لَا؟
2150 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا شُعَيْبُ بْنُ اللَّيْثِ , قَالَ: ثنا اللَّيْثُ , عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ , عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , قَالَ: «جَاءَ سُلَيْكٌ الْغَطَفَانِيُّ فِي يَوْمَ الْجُمُعَةِ , وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْمِنْبَرِ , فَقَعَدَ سُلَيْكٌ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ , فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» أَرَكَعْتَ رَكْعَتَيْنِ " قَالَ: لَا قَالَ: «قُمْ فَارْكَعْهُمَا»

2151 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَجُلًا، دَخَلَ الْمَسْجِدَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ , وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ " , ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ

- حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ , عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ يَقُولُ , فَذَكَرَ مِثْلَهُ
হাদীস নং:২১৫২
জুমু'আর দিন ইমামের খুতবা দানকালে কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে সালাত পড়বে কিনা?
২১৫২। মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাহঃ) ….. জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, জুমু'আর দিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) - এর খুতবা দানকালে সুলাইক আল-গাতফানী (রাযিঃ) এসে বসলেন। এতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, ইমামের খুতবা দানকালে জুমু'আর দিন কেউ এসে উপস্থিত হলে সে যেন সংক্ষিপ্ত দু'রাক'আত সালাত আদায় করে নেয়, তারপর বসে।
2152 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ إِشْكَابَ الْكُوفِيُّ , قَالَ: ثنا أَبُو مُعَاوِيَةُ , عَنِ الْأَعْمَشِ , عَنْ أَبِي سُفْيَانَ , عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: " جَاءَ سُلَيْكٌ الْغَطَفَانِيُّ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ , فَجَلَسَ , فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا جَاءَ أَحَدُكُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ , فَلْيُصَلِّ رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ , ثُمَّ لْيَجْلِسَ»
হাদীস নং:২১৫৩
জুমু'আর দিন ইমামের খুতবা দানকালে কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে সালাত পড়বে কিনা?
২১৫৩। ফাহাদ (রাহঃ) ….. জাবির (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, জুমু'আর দিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর খুতবা দানকালে সুলাইক গাতফানী (রাযিঃ) এসে উপস্থিত হলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁকে বললেন, সুলাইক! দাঁড়াও, সংক্ষিপ্ত দু'রাক'আত সালাত আদায় করে নাও। তারপর তিনি বললেন, তোমাদের কেউ যদি ইমামের খুতবা দানকালে উপস্থিত হয় তাহলে সে যেন সংক্ষিপ্ত দু'রাক'আত সালাত আদায় করে নেয়।
2153 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ , قَالَ: ثنا أُبَيٌّ , قَالَ: ثنا الْأَعْمَشُ , قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا صَالِحٍ يَذْكُرُ حَدِيثَ سُلَيْكٍ الْغَطَفَانِيِّ , ثُمَّ سَمِعْتُ أَبَا سُفْيَانَ بَعْدَ ذَلِكَ يَقُولُ: سَمِعْتُ جَابِرًا يَقُولُ: جَاءَ سُلَيْكٌ الْغَطَفَانِيُّ فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ , فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قُمْ , يَا سُلَيْكُ , فَصَلِّ رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ , تَجَوَّزْ فِيهِمَا» ثُمَّ قَالَ: «إِذَا جَاءَ أَحَدُكُمْ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ , فَلْيُصَلِّ رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ , يَتَجَوَّزْ فِيهِمَا»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২১৫৪
জুমু'আর দিন ইমামের খুতবা দানকালে কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে সালাত পড়বে কিনা?
২১৫৪। ইয়াযিদ ইবন সিনান (রাহঃ) ….. সুলাইক ইবন হুদবা আল-গাতফানী (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি জুমু'আর দিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মিম্বরের উপর খুতবা দানকালে উপস্থিত হয়েছিলেন। ফলে রাসূলুল্লাহ্ তাঁকে বললেন, তুমি কি দু'রাক'আত সালাত আদায় করেছ? সুলাইক (রাযিঃ) উত্তর দিলেন, জী না। তখন তিনি বললেন, তুমি সংক্ষেপে দু'রাক'আত সালাত আদায় কর।
2154 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ، قَالَ: ثنا صَفْوَانُ بْنُ عِيسَى، قَالَ: ثنا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سُلَيْكِ بْنِ هَدِيَّةَ الْغَطَفَانِيِّ، أَنَّهُ جَاءَ وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ عَلَى الْمِنْبَرِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَقَالَ لَهُ: «أَرَكَعْتَ رَكْعَتَيْنِ؟» قَالَ: لَا , قَالَ: «صَلِّ رَكْعَتَيْنِ وَتَجَوَّزْ فِيهِمَا»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২১৫৫
জুমু'আর দিন ইমামের খুতবা দানকালে কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে সালাত পড়বে কিনা?
২১৫৫। মুহাম্মাদ ইবন হুমায়দ ইবন হিশাম আর রুহাইনী (রাহঃ) ..... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, এক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করল, রাসূলূল্লাহ্ (ﷺ) তখন মিম্বরের উপর উপবিষ্ট। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁকে ডাকলেন, বলতে থাকলেন, কাছে এস, কাছে এস, ফলে সে নিকটবর্তী হল। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে (সালাতের) নির্দেশ দিলেন। সে বসার পূর্বে দু'রাক'আত সালাত আদায় করল। তার গায়ে ছিলো পুরোনো পোশাক। দ্বিতীয় জুমু'আতেও সে তাই করল। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ও তাকে তাই নির্দেশ দিলেন, সেও সে হুকুম তামিল করল। অনুরূপ ঘটনা ঘটল তৃতীয় জুমু'আতে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে অনুরূপ নির্দেশ দিলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) লোকদেরকে বললেন, তোমরা (তাকে) দান কর। সাহাবীগণ তাকে অনেক কাপড় দান করলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে দুটি কাপড় নিতে বললেন। পরবর্তীতে তিনি লোকজনকে সাদাকা করতে নির্দেশ দিলেন। এক ব্যক্তি তার দুটি কাপড়ের একটি দান করলো। এতে বাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর ক্রোধান্বিত হলেন। তারপর তিনি তাকে তার কাপড়টি নিয়ে নিতে নির্দেশ দিলেন।
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম এ মত গ্রহণ করেছেন যে, জুমু'আর দিন ইমামের মিম্বরের উপর খুতবা দানকালে যদি কেউ মসজিদে প্রবেশ করে তাহলে তার উচিত সংক্ষেপে দু'রাক'আত সালাত আদায় করা। তাঁরা উপরোক্ত হাদীসগুলো দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন। পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে তাঁদের বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা বলেন, ইমামের খুতবা দানকালে উক্ত ব্যক্তি বসে থাকবে, তার জন্য সালাত আদায় উচিত নয়।
বস্তুত তাদের এ বিষয়ে একটি প্রমাণ হলো, (এখানে মোট তিনটি সম্ভাবনা আছে) হতে পারে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) খুতবা বন্ধ করে দিয়ে সুলাইক (রাযিঃ)-কে দু'রাক'আত সালাত পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর ইচ্ছা ছিলো লোকজন যাতে জানতে পারে মসজিদে প্রবেশ করলে প্রথমে কি করতে হয়। তারপর তিনি পুনঃ খুতবা আরম্ভ করেছেন। আবার এও হতে পারে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তখন খুতবা শুরু করেছিলেন এমতাবস্থায় সুলাইক (রাযিঃ)-কে সালাতের নির্দেশ প্রদান করেছেন। আর এ হুকুমটি ছিলো তখনকার, যখন সালাতে কথা বলার অনুমতি ছিলো। তারপর যখন সালাতে কথা বলার হুকুম বাতিল হয়ে যায় তখন খুতবা চলাকালীন সালাতের হুকুমও রহিত হয়ে যায়। অথবা এমনও হতে পারে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কর্তৃক খুতবা প্রদানের সময় সালাতের হুকুমটি তেমনি ছিলো যেমনটি বলেছেন প্রথমোক্ত প্রবক্তাগণ এবং এ দু'রাক'আত সালাত আদায় করা একটি করণীয় সুন্নত।
এবার আমরা দেখব মূলত এর বিরোধী কোন রিওয়ায়াত আছে কি না? আমরা দেখি আছে। এর প্রমাণঃ
2155 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ هِشَامٍ الرُّعَيْنِيُّ , قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ , قَالَ: أنا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ , قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ عَجْلَانَ , عَنْ عِيَاضِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَخْبَرَهُ , عَنْ أَبِي سَعِيدٍ ,: أَنَّ رَجُلًا دَخَلَ الْمَسْجِدَ وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْمِنْبَرِ , فَنَادَاهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَمَا زَالَ يَقُولُ: «ادْنُ» حَتَّى دَنَا , فَأَمَرَهُ , فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يَجْلِسَ وَعَلَيْهِ خِرْقَةُ خَلَقٍ , ثُمَّ صَنَعَ مِثْلَ ذَلِكَ فِي الثَّانِيَةِ , فَأَمَرَهُ بِمِثْلِ ذَلِكَ , ثُمَّ صَنَعَ مِثْلَ ذَلِكَ فِي الْجُمُعَةِ الثَّالِثَةِ , فَأَمَرَهُ بِمِثْلِ ذَلِكَ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلنَّاسِ: «تَصَدَّقُوا» فَأَلْقَوُا الثِّيَابَ , فَأَمَرَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَخْذِ ثَوْبَيْنِ فَلَمَّا كَانَ بَعْدَ ذَلِكَ أَمَرَ النَّاسَ أَنْ يَتَصَدَّقُوا , فَأَلْقَى الرَّجُلُ أَحَدَ ثَوْبَيْهِ , فَغَضِبَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , ثُمَّ أَمَرَهُ أَنْ يَأْخُذَ ثَوْبَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ مَنْ دَخَلَ الْمَسْجِدَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالْإِمَامُ عَلَى الْمِنْبَرِ يَخْطُبُ , فَيَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَرْكَعَ رَكْعَتَيْنِ يَتَجَوَّزُ فِيهِمَا. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَجْلِسَ وَلَا يَرْكَعُ , وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي ذَلِكَ أَنَّهُ قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ سُلَيْكًا بِمَا أَمَرَهُ بِهِ مِنْ ذَلِكَ , فَقَطَعَ بِذَلِكَ خُطْبَتَهُ إِرَادَةً مِنْهُ أَنْ يُعَلِّمَ النَّاسَ كَيْفَ يَفْعَلُونَ إِذَا دَخَلُوا الْمَسْجِدَ , ثُمَّ اسْتَأْنَفَ الْخُطْبَةَ. وَيَجُوزُ أَيْضًا أَنْ يَكُونَ بَنَى عَلَى خُطْبَتِهِ , وَكَانَ ذَلِكَ قَبْلَ أَنْ يُنْسَخَ الْكَلَامُ فِي الصَّلَاةِ , ثُمَّ نُسِخَ الْكَلَامُ فِي الصَّلَاةِ , فَنُسِخَ أَيْضًا فِي الْخُطْبَةِ. وَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ مَا أَمَرَهُ بِهِ مِنْ ذَلِكَ , كَمَا قَالَ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى , وَيَكُونَ سُنَّةً مَعْمُولًا بِهَا. فَنَظَرْنَا , هَلْ رُوِيَ شَيْءٌ يُخَالِفُ ذَلِكَ؟
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২১৫৬
জুমু'আর দিন ইমামের খুতবা দানকালে কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে সালাত পড়বে কিনা?
২১৫৬। বাহর ইবন নসর (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ্ ইবন বুসর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি জুমু'আর দিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর পাশে বসা ছিলাম। আব্দুল্লাহ্ বলেন, এক ব্যক্তি জুমু'আর দিন মানুষের গর্দান টপকিয়ে (মসজিদের ভিতরে) এল। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে বললেন, বস, তুমি মানুষদেরকে পিছনে ফেলে এসেছ, তাদেরকে কষ্ট দিয়েছ। আবু যাহিরিয়্যা (রাহঃ) বলেন, তখন আমরা ইমামের বেরিয়ে আসার আগ পর্যন্ত কথাবার্তা বলতাম।
লক্ষণীয়, এখানে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এই লোকটিকে বসতে বলেছেন, কিন্তু তাকে সালাত আদায়ের নির্দেশ দেননি। অতএব এই হাদীসটি সুলাইক (রাযিঃ)-এর হাদীসের পরিপন্থী এবং অনুচ্ছেদের প্রথম দিককার বর্ণিত আবু সাঈদ (রাযিঃ) এর হাদীস দ্বারা প্রমাণিত এই নির্দেশটি (দু'রাক'আত সালাত আদায়ের হুকুমটি) ছিলো তখনকার, যখন খুতবার মাঝে (সালাত বহির্ভূত) কাজ করা বৈধ ছিলো, নিষিদ্ধ হয়নি। আপনি কি লক্ষ্য করেননি ? বর্ণনাকারী বলেছেনঃ “লোকজন তাকে অনেক কাপড়-চোপড় দিয়েছে।” অথচ সমস্ত মুসলমান এ ব্যাপারে একমত যে, ইমামের খুতবার সময় শরীর থেকে পোশাক খুলে ফেলা মাকরূহ, ইমামের খুতবা দানকালে কারো পক্ষে কঙ্কর স্পর্শ করা মাকরূহ, ইমামের খুতবার সময় সাথীকে 'চুপ কর' বলা মাকরূহ।” এটা প্রমাণ করে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কর্তৃক সুলাইক (রাযিঃ)-কে সালাতের নির্দেশ প্রদান এবং অন্যকে সাদাকা করার হুকুম ছিলো প্রথম দিককার নির্দেশ। পরবর্তী হুকুম এর বিপরীত।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে মুতাওয়াতির সূত্রে বর্ণিত আছে যে, জুমু'আর দিনে ইমামের খুতবা দানকালে কেউ যদি তার সাথীকে বলে 'চুপ কর' তবে ‘সে নিরর্থক কাজ করল।'
2156 - فَإِذَا بَحْرُ بْنُ نَصْرٍ قَدْ حَدَّثَنَا , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ , قَالَ: سَمِعْتُ مُعَاوِيَةَ بْنَ صَالِحٍ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي الزَّاهِرِيَّةِ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُسْرٍ , قَالَ: كُنْتُ جَالِسًا إِلَى جَنْبِهِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ , فَقَالَ: جَاءَ رَجُلٌ يَتَخَطَّى رِقَابَ النَّاسِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ. فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اجْلِسْ فَقَدْ آذَيْتَ وَآنَيْتَ» قَالَ أَبُو الزَّاهِرِيَّةِ: وَكُنَّا نَتَحَدَّثُ حَتَّى يَخْرُجَ الْإِمَامُ أَفَلَا تَرَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ هَذَا الرَّجُلَ بِالْجُلُوسِ , وَلَمْ يَأْمُرْهُ بِالصَّلَاةِ , فَهَذَا يُخَالِفُ حَدِيثَ سُلَيْكٍ , وَفِي حَدِيثِ أَبِي سَعِيدٍ الَّذِي رَوَيْنَاهُ , فِي الْفَصْلِ الْأَوَّلِ , مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ ذَلِكَ كَانَ فِي حَالِ إِبَاحَةِ الْأَفْعَالِ فِي الْخُطْبَةِ قَبْلَ أَنْ يَنْهَى عَنْهَا , أَلَا تَرَاهُ يَقُولُ: فَأَلْقَى النَّاسُ ثِيَابَهُمْ. وَقَدْ أَجْمَعَ الْمُسْلِمُونَ أَنَّ نَزْعَ الرَّجُلِ ثَوْبَهُ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ مَكْرُوهٌ , وَأَنَّ مَسَّهُ الْحَصَى وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ مَكْرُوهٌ , وَأَنَّ قَوْلَهُ لِصَاحِبِهِ أَنْصِتْ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ مَكْرُوهٌ أَيْضًا. فَذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ مَا كَانَ أَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُلَيْكًا , وَالرَّجُلَ الَّذِي أَمَرَهُ بِالصَّدَقَةِ عَلَيْهِ , كَانَ فِي حَالٍ الْحُكْمُ فِيهَا فِي ذَلِكَ , بِخِلَافِ الْحُكْمِ فِيمَا بَعْدُ. وَلَقَدْ تَوَاتَرَتِ الرِّوَايَاتُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَنَّ مَنْ قَالَ لِصَاحِبِهِ: أَنْصِتْ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ , فَقَدْ لَغَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২১৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ২১৫৮
জুমু'আর দিন ইমামের খুতবা দানকালে কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে সালাত পড়বে কিনা?
২১৫৭-২১৫৮। ইউনুস (রাহঃ) …… আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, ইমামের খুতবা দানকালে যদি তুমি তোমার সাথীকে বল 'চুপ কর' তাহলে তুমি অনর্থক কাজ করলে।

আবু উমাইয়া (রাহঃ) ….. ইবন শিহাব (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
2157 - حَدَّثَنَا بِذَلِكَ، يُونُسُ , قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , قَالَ: «إِذَا قُلْتُ لِصَاحِبِكَ أَنْصِتْ , وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ فَقَدْ لَغَوْتَ»

2158 - حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ، قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ، قَالَ: ثنا الْقَاسِمُ بْنُ مَعْنٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২১৫৯
জুমু'আর দিন ইমামের খুতবা দানকালে কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে সালাত পড়বে কিনা?
২১৫৯। ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি তাঁকে বলতে শুনেছেন, ইমাম যখন জুমু'আর দিন খুতবা দিচ্ছেন তখন যদি তুমি তোমার সাথীকে বল, 'চুপ কর' তবে অনর্থক কাজ করলে।
অতএব কেউ যদি তার সাথীকে ইমামের খুতবার সময় 'চুপ কর' বললে 'অনর্থক' হয় তাহলে ইমাম কর্তৃক কাউকে “উঠ, সালাত আদায় কর” বললে তাও অনর্থক হবে। এতে প্রমাণিত হয়, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কর্তৃক সুলাইক (রাযিঃ)-কে খুবার সময় সালাতের নির্দেশটি ছিলো নিষেধাজ্ঞার পূর্বেকার। এর পরবর্তী বিপরীত নির্দেশটি তখনকার, যখন কথা বলা ইত্যাদি কাজ অনর্থক বলে সাব্যস্ত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে এ বিষয়ে আরো হাদীস বর্ণিত আছে। নিম্নে সেগুলো উল্লেখ করা হলোঃ
2159 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو صَالِحٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، قَالَ: حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ قَارِظٍ، وَعَنِ ابْنِ الْمُسَيِّبِ، أَنَّهُمَا حَدَّثَاهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ سَمِعَهُ يَقُولُ: «إِذَا قُلْتُ لِصَاحِبِكَ أَنْصِتْ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ , فَقَدْ لَغَوْتَ» فَإِذَا كَانَ قَوْلُ الرَّجُلِ لِصَاحِبِهِ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ أَنْصِتْ لَغْوًا , كَانَ قَوْلُ الْإِمَامِ لِلرَّجُلِ قُمْ فَصَلِّ لَغْوًا أَيْضًا. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ الْوَقْتَ الَّذِي كَانَ فِيهِ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْأَمْرُ لِسُلَيْكٍ بِمَا أَمَرَهُ بِهِ , كَانَ الْحُكْمُ مِنْهُ فِي ذَلِكَ , بِخِلَافِ الْحُكْمِ فِي الْوَقْتِ الَّذِي جَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ لَغْوًا. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مِثْلِ ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২১৬০
জুমু'আর দিন ইমামের খুতবা দানকালে কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে সালাত পড়বে কিনা?
২১৬০। আবু বাকরা (রাহঃ) ও ইবন মারযূক (রাহঃ) ….. আবুদ্দারদা (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) জুমু'আর দিনে মিম্বরে বসলেন, লোকদেরকে খুতবা দিচ্ছিলেন। তিনি একটি আয়াত তিলাওয়াত করলেন। আমার পাশে ছিলেন উবাই ইবন কা'ব (রাযিঃ) । আমি তাকে বললাম, হে উবাই ইবন কা'ব (রাযিঃ) এ আয়াতটি কখন অবতীর্ণ হয়েছিলো ? তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর মিম্বর হতে অবতরণ না করা পর্যন্ত আমার সাথে কথা বলতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মিম্বর থেকে নেমে যাওয়ার পর তিনি বললেন, তোমার এই জুমু'আ দ্বারা অনর্থক কথা ছাড়া কোন ফায়দা-ই হলো না।
তারপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সালাত শেষ করলেন। আমি তাঁর নিকট গিয়ে এ বিষয়ে তাঁকে অবহিত করলাম। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি একটি আয়াত তিলাওয়াত করেছেন, আমার পাশে ছিলেন উবাই ইবন কা'ব (রাযিঃ) আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, এ আয়াতটি কখন অবতীর্ণ হয়েছে ? কিন্তু মিম্বর থেকে আপনার অবতরণ না করা পর্যন্ত তিনি আমার সাথে কথা বলতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলেন। তিনি আমাকে বললেন, আমার এই জুমু'আতে নাকি অনর্থক কথা ছাড়া আর কোন ফায়দা হয়নি। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, সে সত্য বলেছে। তুমি যখন তোমার ইমামকে কথা বলতে শুনবে তখন নীরব থাকবে, যতক্ষণ না তিনি অবসর হন।
2160 - مَا حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , وَابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَا: ثنا مَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ سَعِيدٍ , عَنْ حَرْبِ بْنِ قَيْسٍ , عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ أَنَّهُ قَالَ: " جَلَسَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي يَوْمِ جُمُعَةٍ عَلَى الْمِنْبَرِ يَخْطُبُ النَّاسَ , فَتَلَا آيَةً , وَإِلَى جَنْبِي أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ , فَقُلْتُ لَهُ: يَا أُبَيُّ , مَتَى نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ؟ فَأَبَى أَنْ يُكَلِّمَنِي حَتَّى إِذَا نَزَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْمِنْبَرِ , قَالَ: مَا لَكَ مِنْ جُمُعَتِكَ إِلَّا مَا لَغَوْتَ. ثُمَّ انْصَرَفَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَجِئْتُهُ فَأَخْبَرْتُهُ , فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ , إِنَّكَ تَلَوْتَ آيَةً وَإِلَى جَنْبِي أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ , فَسَأَلْتُهُ: مَتَى نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ؟ فَأَبَى أَنْ يُكَلِّمَنِي , حَتَّى إِذَا نَزَلَتْ زَعَمَ أَنَّهُ لَيْسَ لِي مِنْ جُمُعَتِي إِلَّا مَا لَغَوْتَ , قَالَ: «صَدَقَ , إِذَا سَمِعْتُ إِمَامَكَ يَتَكَلَّمُ , فَأَنْصِتْ حَتَّى يَنْصَرِفَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২১৬১
জুমু'আর দিন ইমামের খুতবা দানকালে কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে সালাত পড়বে কিনা?
২১৬১। আহমদ ইবন দাউদ (রাহঃ) ….. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) জুমু'আর দিন খুতবা দিচ্ছিলেন। তিনি একটি সূরা পড়লেন। এতে আবু যার (রাযিঃ) উবাই ইবন কা'ব (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, এ সূরাটি কবে অবতীর্ণ হয়েছে ? তখন তিনি তাঁর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন সালাত সমাপ্ত করলেন, তখন উবাই (রাযিঃ) আবু যার (রাযিঃ)-কে বললেন, তোমার, সালাতে কোন লাভ হয়নি, শুধু একটি অনর্থক কাজ করলে। তারপর আবু যার (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর নিকট গেলেন, এ বিষয়ে তাঁকে বললেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, উবাই (রাযিঃ) সত্য বলেছে।
অতএব দেখা যায় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) খুতবার সময় নীরবতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছেন, খুতবাকে সালাতের ন্যায় সাব্যস্ত করেছেন এবং খুতবার মধ্যে কথা বলাকে অনর্থক বলে চিহ্নিত করেছেন। এতে প্রমাণিত হয়, খুতবার সময় সালাত আদায় করা মাকরূহ। ইমাম যতক্ষণ খুতবা দিবেন ততক্ষণ লোকদের কথাবার্তা বলা যেহেতু নিষিদ্ধ, সেহেতু খুতবার সময় খুতবা ভিন্ন অন্য কোন কথা বলা ইমামের জন্যও নিষিদ্ধ হবে। লক্ষণীয় যে, মুকতাদীদেরকে সালাতে কথাবার্তা বলতে নিষেধ করা হয়েছে, ইমামের অবস্থাও অনুরূপ । অতএব ইমাম ছাড়া অন্যদের জন্য যা নিষিদ্ধ তা ইমামের জন্যও নিষিদ্ধ। কাজেই খুতবার সময় ইমাম ছাড়া অন্যদেরকে যেহেতু কথাবার্তা বলতে নিষেধ করা হয়েছে সেহেতু ইমামের জন্যও খুতবার সময় খুতবা ছাড়া অন্য কথাবার্তা বলা নিষিদ্ধ হবে। এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে নিম্নোক্ত হাদীস বর্ণিত হয়েছেঃ
2161 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ، قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ التَّيْمِيُّ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَخْطُبُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَقَرَأَ سُورَةً. فَقَالَ أَبُو ذَرٍّ لِأُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ: مَتَى نَزَلَتْ هَذِهِ السُّورَةُ؟ فَأَعْرَضَ عَنْهُ. فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاتَهُ قَالَ أُبَيٌّ لِأَبِي ذَرٍّ: مَا لَكَ مِنْ صَلَاتِكَ إِلَّا مَا لَغَوْتَ. فَدَخَلَ أَبُو ذَرٍّ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَهُ بِذَلِكَ , فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «صَدَقَ أُبَيٌّ» فَقَدْ أَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْإِنْصَاتِ عِنْدَ الْخُطْبَةِ , وَجَعَلَ حُكْمَهَا فِي ذَلِكَ , كَحُكْمِ الصَّلَاةِ , وَجَعَلَ الْكَلَامَ فِيهَا لَغْوًا. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ الصَّلَاةَ فِيهَا مَكْرُوهَةٌ , فَإِذَا كَانَ النَّاسُ مَنْهِيِّينَ عَنِ الْكَلَامِ , مَا دَامَ الْإِمَامُ يَخْطُبُ , كَانَ كَذَلِكَ , الْإِمَامُ مَنْهِيًّا عَنِ الْكَلَامِ , مَا دَامَ يَخْطُبُ بِغَيْرِ الْخُطْبَةِ. أَلَا تَرَى أَنَّ الْمَأْمُومِينَ مَمْنُوعُونَ مِنَ الْكَلَامِ فِي الصَّلَاةِ؟ . فَكَذَلِكَ الْإِمَامُ , فَكَانَ مَا مُنِعَ مِنْهُ غَيْرُ الْإِمَامِ فَقَدْ مُنِعَ مِنْهُ الْإِمَامُ. فَكَذَلِكَ لَمَّا مُنِعَ غَيْرُ الْإِمَامِ مِنَ الْكَلَامِ فِي الْخُطْبَةِ , كَانَ الْإِمَامُ مُنِعَ بِذَلِكَ أَيْضًا مِنَ الْكَلَامِ فِي الْخُطْبَةِ , بِمَا هُوَ مِنْ غَيْرِهَا. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ أَيْضًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২১৬২
আন্তর্জাতিক নং: ২১৬৩
জুমু'আর দিন ইমামের খুতবা দানকালে কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে সালাত পড়বে কিনা?
২১৬২-২১৬৩। ইবন মারযূক (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ ইবন সুলায়মান বাগান্দী (রাহঃ) সালমান (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা জান, জুমু'আ কি ? আমি বললাম, আল্লাহ্ ও আল্লাহর রাসূলই ভাল জানেন। তারপর তিনি বললেন, তোমরা জান, জুমু'আ কি ? তৃতীয় অথবা চতুর্থ বারে আমি বললাম, এটি সে দিবস, যে দিবসে আপনার (আদি) পিতা (আদম)-কে একত্রিত (সৃষ্টি) করা হয়েছে। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, না,তবে আমি তোমাকে জুমু'আ সম্পর্কে অবহিত করব। যে কেউ জুমু'আর দিন পবিত্রতা অর্জন করবে, তারপর জুমু'আর দিকে চলবে, তারপর ইমামের সালাত সমাপ্ত করা পর্যন্ত নীরবতা অবলম্বন করবে, তার জন্য তার এই আমল এই জুমু'আ থেকে নিয়ে পরবর্তী জুমু'আ পর্যন্ত (গোনাহের) কাফ্ফারা হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত সে ধ্বংসকে অনিবার্যকারী (কবীরা গোনাহ থেকে) বিরত থাকবে

আহমদ ইবন দাউদ (রাযিঃ) ..... ইবরাহীম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
2162 - مَا حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , وَمُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْبَاغَنْدِيُّ , قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ , قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ , عَنِ الْمُغِيرَةِ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ , عَنْ عَلْقَمَةَ , عَنْ قَرْثَعٍ , عَنْ سَلْمَانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَتَدْرُونَ مَا الْجُمُعَةُ» قُلْتُ: اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ , ثُمَّ قَالَ: «أَتَدْرُونَ مَا الْجُمُعَةُ» قُلْتُ فِي الثَّالِثَةِ أَوِ الرَّابِعَةِ هُوَ الْيَوْمُ الَّذِي جُمِعَ فِيهِ أَبُوكَ قَالَ: «لَا , وَلَكِنْ أُخْبِرُكَ عَنِ الْجُمُعَةِ , مَا مِنْ أَحَدٍ يَتَطَهَّرُ , ثُمَّ يَمْشِي إِلَى الْجُمُعَةِ , ثُمَّ يُنْصِتُ حَتَّى يَقْضِيَ الْإِمَامُ صَلَاتَهُ , إِلَّا كَانَ لَهُ كَفَّارَةُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجُمُعَةِ الَّتِي قَبْلَهَا مَا اجْتَنَبَ الْمَقْتَلَةَ»

2163 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ، قَالَ: ثنا الْحِمَّانِيُّ، قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ أَبِي مَعْشَرٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، ثُمَّ ذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২১৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ২১৬৫
জুমু'আর দিন ইমামের খুতবা দানকালে কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে সালাত পড়বে কিনা?
২১৬৪-২১৬৫। ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) …… আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) ও আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমু'আর দিন গোসল করল, দাঁত পরিষ্কার (মিসওয়াক) করল, আর নিজের কাছে সুগন্ধি থাকলে তা ব্যবহার করল, নিজের সর্বোত্তম পোশাক পরিধান করল তারপর বেরিয়ে মসজিদে আসল, তারপর মানুষের গর্দান টপকাল না, তারপর আল্লাহর ইচ্ছায় যা পারে সালাত আদায় করল এবং ইমাম যখন বেরিয়ে আসেন, তখন চুপ থাকল, তার এই আমল এই জুমু'আ থেকে পরবর্তী জুমু'আ পর্যন্ত (গোনাহের) কাফ্ফারা হবে।

আহমদ ইবন দাউদ (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) ও আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
2164 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا الْوَهْبِيُّ، قَالَ: ثنا ابْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَعَنْ أَبِي أُمَامَةَ، أَنَّهُمَا حَدَّثَاهُ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنِ اغْتَسَلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَاسْتَنَّ , وَمَسَّ مِنْ طِيبٍ إِنْ كَانَ عِنْدَهُ , وَلَبِسَ مِنْ أَحْسَنِ ثِيَابِهِ , ثُمَّ خَرَجَ حَتَّى يَأْتِيَ الْمَسْجِدَ , فَلَمْ يَتَخَطَّ رِقَابَ النَّاسَ , ثُمَّ رَكَعَ مَا شَاءَ اللهُ أَنْ يَرْكَعَ , وَأَنْصَتَ حَتَّى إِذَا خَرَجَ الْإِمَامُ , كَانَتْ كَفَّارَةً لِمَا بَيْنَهَا وَبَيْنَ الْجُمُعَةِ الَّتِي قَبْلَهَا»

2165 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَأَبِي سَعِيدٍ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ
হাদীস নং:২১৬৬
জুমু'আর দিন ইমামের খুতবা দানকালে কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে সালাত পড়বে কিনা?
২১৬৬। ইবরাহীম ইবন মুনকিয (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ্ ইবন আমর (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমু'আর দিন গোসল করবে তারপর তার স্ত্রীর সুগন্ধি ব্যবহার করবে, সর্বোত্তম পোশাক পরিধান করবে এবং মানুষের গর্দান টপকাবে না,, (ইমামের) ওয়াজের সময় অনর্থক কথাবার্তা বা কাজ করবে না, তার এই আমল পূর্ববর্তী এক সপ্তাহের জন্য কাফফারা হবে।
2166 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُنْقِذٍ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنِ اغْتَسَلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ , ثُمَّ مَسَّ مِنْ طِيبِ امْرَأَتِهِ , وَلَبِسَ أَصْلَحَ ثِيَابِهِ , وَلَمْ يَتَخَطَّ رِقَابَ النَّاسِ , وَلَمْ يَلْغُ عِنْدَ الْمَوْعِظَةِ كَانَتْ كَفَّارَةً لِمَا بَيْنَهُمَا»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:২১৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ২১৬৮
জুমু'আর দিন ইমামের খুতবা দানকালে কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে সালাত পড়বে কিনা?
২১৬৭-২১৬৮। ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) ….. আউস ইবন আউস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি গোসল করবে (স্ত্রী মিলনের পর) এবং গোসল করবে, ভোর বেলায় তাড়াতাড়ি মসজিদে যাবে, ইমামের কাছে গিয়ে নীরব হয়ে থাকবে, অনর্থক ক্রিয়া-কলাপ থেকে বিরত থাকবে, তার প্রতিটি কদমে এক বছরের সিয়াম (নফল) ও সালাতের (নফল) ছওয়াব হবে।

আবু বাকরা (রাহঃ) ..... ইয়াহইয়া ইবনুল হারিস (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
2167 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو مُسْهِرٍ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ الْحَارِثِ الذِّمَارِيِّ، [ص:369] عَنْ أَبِي الْأَشْعَثِ الصَّنْعَانِيِّ، عَنْ أَوْسِ بْنِ أَوْسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَسَّلَ وَاغْتَسَلَ وَغَدَا وَابْتَكَرَ , وَدَنَا مِنَ الْإِمَامِ فَأَنْصَتَ , وَلَمْ يَلْغُ , كَانَ لَهُ مَكَانَ كُلِّ خُطْوَةٍ عَمَلُ سَنَةٍ , صِيَامِهَا وَقِيَامِهَا»

2168 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو أَحْمَدَ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عِيسَى، عَنْ يَحْيَى بْنِ الْحَارِثِ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২১৬৯
জুমু'আর দিন ইমামের খুতবা দানকালে কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে সালাত পড়বে কিনা?
২১৬৯। সুলায়মান ইবন শুআইব (রাহঃ) ….. সালমান আল-খায়র (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ কেউ যদি জুমু'আর দিন গোসল করে, সাধ্যমত পবিত্রতা অর্জন করে, তারপর তেল ব্যবহার করে অথবা নিজ গৃহের সুগন্ধি ব্যবহার করে, তারপর সকাল সকাল রওয়ানা করে, দুজনের মাঝে ফাঁক না করে (গর্দান টপকে সামনে না যায়), আল্লাহ যা তাওফিক দেন সে পরিমাণ সালাত আদায় করে, তারপর ইমাম যখন আলোচনা আরম্ভ করেন তখন নীরবতা অবলম্বন করে তার আগামী এক সপ্তাহের গোনাহ মাফ করে দেয়া হয়।
পর্যালোচনা
বস্তুত এ সব হাদীসেও ইমামের আলোচনার সময় নীরবতা অবলম্বনের নির্দেশ রয়েছে। এটা প্রমাণ করে যে, ইমামের আলোচনার সময়টি সালাত আদায়ের সময় নয়। হাদীস সমূহের সঠিক মর্ম নির্ধারণের ক্ষেত্রে এটাই হলো এ অনুচ্ছেদের বিধান।
পক্ষান্তরে যৌক্তিক কারণ হলোঃ আমরা লক্ষ্য করি, এ ব্যাপারে সকলেই একমত যে, কেউ যদি ইমামের খুতবার পূর্বে মসজিদে থাকে তার জন্য ইমামের খুতবা তার সালাত আদায়ের প্রতিবন্ধক। এরূপ ক্ষেত্রে ওই মুসল্লীর জন্য খুতবার সময়টি সালাতের উপযুক্ত সময় নয়। অতএব যে ব্যক্তি ইমামের খুতবার সময় মসজিদে প্রবেশ করে তার জন্যও সে সময়টি সালাতের সময় নয় এবং তার জন্য সালাত আদায় উচিত হবে না।
আমরা সর্বসম্মতভাবে প্রতিষ্ঠিত একটি মূলনীতি লক্ষ্য করেছি যে, সালাতের নিষিদ্ধ ওয়াক্তগুলো সবই সমান। কেউ মসজিদে উক্ত সময়ের পূর্ব থেকেই অবস্থান করুক কিংবা সে সময় মসজিদে প্রবেশ করুন সর্বাবস্থাতেই সালাত আদায় উভয়ের জন্য নিষিদ্ধ। অনুরূপভাবে পূর্ব থেকে যে মসজিদে আছে, তার জন্য যেমন ইমামের খুতবা দানকালে সালাত আদায় নিষিদ্ধ, তেমনি যে ইমামের খুতবার সময় মসজিদে প্রবেশ করবে তার জন্যও সে সময়ে সালাত আদায় নিষিদ্ধ হবে! এটাই হলো উপরোক্ত বিষয়ে যুক্তির কথা।
এটি-ই (ইমাম) আবু হানীফা (রাহঃ), আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মত।
বস্তুত এর (স্বপক্ষে) পূর্ববর্তী আলিমগণ থেকে অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছেঃ
2169 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أُبَيٌّ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ وَدِيعَةَ، عَنْ سَلْمَانَ الْخَيْرِ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَأَنْ يَغْتَسِلَ الرَّجُلُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَيَتَطَهَّرَ بِمَا اسْتَطَاعَ مِنْ طُهْرٍ , ثُمَّ ادَّهَنَ مِنْ دُهْنٍ أَوْ مَسَّ مِنْ طِيبِ بَيْتِهِ , ثُمَّ رَاحَ , فَلَمْ يُفَرِّقْ بَيْنَ اثْنَيْنِ , وَصَلَّى مَا كَتَبَ اللهُ لَهُ , ثُمَّ يُنْصِتُ إِذَا تَكَلَّمَ الْإِمَامُ , غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجُمُعَةِ الْأُخْرَى» فَفِي هَذِهِ الْآثَارِ أَيْضًا , الْأَمْرُ بِالْإِنْصَاتِ , إِذَا تَكَلَّمَ الْإِمَامُ , فَذَلِكَ دَلِيلٌ أَنَّ مَوْضِعَ كَلَامِ الْإِمَامِ , لَيْسَ بِمَوْضِعِ صَلَاةٍ. فَهَذَا حُكْمُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ تَصْحِيحِ مَعَانِي الْآثَارِ. وَأَمَّا وَجْهُ النَّظَرِ , فَإِنَّا رَأَيْنَاهُمْ لَا يَخْتَلِفُونَ أَنَّ مَنْ كَانَ فِي الْمَسْجِدِ قَبْلَ أَنْ يَخْطُبَ الْإِمَامُ , فَإِنَّ خُطْبَةَ الْإِمَامِ تَمْنَعُهُ مِنَ الصَّلَاةِ , فَيَصِيرُ بِهَا فِي غَيْرِ مَوْضِعِ صَلَاةٍ. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ دَاخِلَ الْمَسْجِدِ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ دَاخِلًا لَهُ فِي غَيْرِ مَوْضِعِ صَلَاةٍ , فَلَا يَنْبَغِي أَنْ يُصَلِّيَ. وَقَدْ رَأَيْنَا الْأَصْلَ الْمُتَّفَقَ عَلَيْهِ أَنَّ الْأَوْقَاتَ الَّتِي تَمْنَعُ مِنَ الصَّلَاةِ , يَسْتَوِي فِيهَا مَنْ كَانَ قَبْلَهَا فِي الْمَسْجِدِ , وَمَنْ دَخَلَ فِيهَا الْمَسْجِدَ فِي مَنْعِهَا إِيَّاهُمَا مِنَ الصَّلَاةِ. فَلَمَّا كَانَتِ الْخُطْبَةُ تَمْنَعُ مَنْ كَانَ قَبْلَهَا فِي الْمَسْجِدِ عَنِ الصَّلَاةِ , كَانَتْ كَذَلِكَ أَيْضًا , تَمْنَعُ مَنْ دَخَلَ الْمَسْجِدَ بَعْدَ دُخُولِ الْإِمَامِ فِيهَا مِنَ الصَّلَاةِ. فَهَذَا هُوَ وَجْهُ النَّظَرِ فِي ذَلِكَ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. وَقَدْ رُوِيَتْ فِي ذَلِكَ آثَارٌ عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الْمُتَقَدِّمِينَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:২১৭০
জুমু'আর দিন ইমামের খুতবা দানকালে কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে সালাত পড়বে কিনা?
২১৭০। ইবন মারযূক (রাহঃ) ..... তাওবা আল-আম্বরী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, শা'বী (রাহঃ) বললেনঃ বলতো, ইমাম (হুজরা থেকে) বেরিয়ে আসার পর হাসান বসরী (রাহঃ) মসজিদে এলে যে সালাত আদায় করেন, এটি তিনি কার কাছ থেকে গ্রহণ করেছেন ? আমি শুরায়হ (রাহঃ)-কে দেখেছি, ইমাম বের হবার পর তিনি আসলে সালাত আদায় করতেন না।
2170 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ تَوْبَةَ الْعَنْبَرِيِّ، قَالَ: قَالَ الشَّعْبِيُّ: «أَرَأَيْتَ الْحَسَنَ حِينَ يَجِيءُ , وَقَدْ خَرَجَ الْإِمَامُ فَيُصَلِّي , عَمَّنْ أَخَذَ هَذَا؟ لَقَدْ رَأَيْتُ شُرَيْحًا إِذَا جَاءَ , وَقَدْ خَرَجَ الْإِمَامُ لَمْ يُصَلِّ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২১৭১
জুমু'আর দিন ইমামের খুতবা দানকালে কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে সালাত পড়বে কিনা?
২১৭১। ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) ….. ইবন শিহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, জুমু'আর দিন ইমামের খুতবার সময় কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে তার করণীয় প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, সে বসে থাকবে; তাসবীহ তথা সালাত আদায় করবে না।
2171 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو صَالِحٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، قَالَ: حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، فِي الرَّجُلِ يَدْخُلُ الْمَسْجِدَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ , قَالَ: «يَجْلِسُ , وَلَا يُسَبِّحُ» , أَيْ: لَا يُصَلِّي
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২১৭২
জুমু'আর দিন ইমামের খুতবা দানকালে কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে সালাত পড়বে কিনা?
২১৭২। আহমদ ইবনুল হাসান (রাহঃ) ….. খালিদ আল-হাযযা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার জুমু'আর দিন ইমামের খুতবার সময় আবু কিলাবা (রাহঃ) এসে বসে রইলেন, সালাত আদায় করেননি।
2172 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ، قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ عَاصِمٍ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ: «أَنَّ أَبَا قِلَابَةَ، جَاءَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ , وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ , فَجَلَسَ وَلَمْ يُصَلِّ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২১৭৩
জুমু'আর দিন ইমামের খুতবা দানকালে কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে সালাত পড়বে কিনা?
২১৭৩। রাওহ ইবনুল ফারাজ (রাহঃ) ..... উকবা ইবন-আমির (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, ইমামের মিম্বরে অবস্থানকালে সালাত আদায় গোনাহের কাজ।
2173 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْفَهْمِيُّ , قَالَ: أنا ابْنُ لَهِيعَةَ , عَنِ ابْنِ هُبَيْرَةَ , عَنْ أَبِي الْمُصْعَبِ , عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ , قَالَ: «الصَّلَاةُ وَالْإِمَامُ عَلَى الْمِنْبَرِ مَعْصِيَةٌ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২১৭৪
জুমু'আর দিন ইমামের খুতবা দানকালে কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে সালাত পড়বে কিনা?
২১৭৪। ইউনুস (রাহঃ) ….. ছা'লাবা ইবন আবু মালিক কুরাযী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, মিম্বরের উপর ইমামের উপবেশন সালাতকে বন্ধ করে দেয়, ইমামের আলোচনা (মুসল্লীদের) কথাবার্তাকে বন্ধ করে দেয়। তিনি বলেন, উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) যখন মিম্বরের উপর বসতেন, তখন মুয়াযযিনের নীরবতা অবলম্বন পর্যন্ত তাঁরা কথাবার্তা বলতেন। উমর (রাযিঃ) যখন মিম্বরের উপর দাঁড়াতেন, তখন তাঁর দু'খুতবা সমাপ্ত করার পূর্ব পর্যন্ত আর কেউ কথাবার্তা বলত না। তারপর যখন উমর (রাযিঃ) মিম্বর থেকে অবতরণ করতেন এবং খুতবা শেষ করতেন, তখন তারা কথাবার্তা বলতেন।
2174 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي ثَعْلَبَةُ بْنُ أَبِي مَالِكٍ الْقُرَظِيُّ " أَنَّ جُلُوسَ الْإِمَامِ، عَلَى الْمِنْبَرِ يَقْطَعُ الصَّلَاةَ , وَكَلَامَهُ يَقْطَعُ الْكَلَامَ , وَقَالَ: إِنَّهُمْ كَانُوا يَتَحَدَّثُونَ حِينَ يَجْلِسُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَلَى الْمِنْبَرِ حَتَّى يَسْكُتَ الْمُؤَذِّنُ , فَإِذَا قَامَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَلَى الْمِنْبَرِ , لَمْ يَتَكَلَّمْ أَحَدٌ حَتَّى يَقْضِيَ خُطْبَتَيْهِ كِلْتَيْهِمَا , ثُمَّ إِذَا نَزَلَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ الْمِنْبَرِ وَقَضَى خُطْبَتَيْهِ , تَكَلَّمُوا "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান