আশ-শামাঈলুল মুহাম্মাদিয়্যাহ- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الشمائل المحمدية للإمام الترمذي

শামাইলে নববীর পরিচ্ছেদসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৩ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৩৮৬
রাসূলুল্লাহ্ -এর ওফাতের বিবরণ
৩৮৬। মুহাম্মাদ ইবন মাস্আদ আল-বসরী (রাহঃ)... 'আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) মৃত্যুর সময় আমার বুকে হেলান দেয়া অবস্থায় ছিলেন। (মতান্তরে) আমার কাখে ঠেস দেয়া অবস্থায় ছিলেন। পেশাব করার জন্য আমার কাছে পাত্র চাইলেন। অতঃপর পেশাব করেন। এরপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইনতিকাল করেন।
حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ الْبَصْرِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا سُلَيْمُ بْنُ أَخْضَرَ ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ ، عَنِ إِبْرَاهِيمَ ، عَنِ الأَسْوَدِ ، عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ : كُنْتُ مُسْنِدَةً النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى صَدْرِي - أَوْ قَالَتْ : إِلَى حِجْرِي - فَدَعَا بِطَسْتٍ لِيَبُولَ فِيهِ ، ثُمَّ بِالَ ، فَمَاتَ.
হাদীস নং:৩৮৭
রাসূলুল্লাহ্ -এর ওফাতের বিবরণ
৩৮৭। কুতায়বা (রাহঃ)... 'আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর মৃত্যুর সময় দেখতে পেলাম, তাঁর কাছে একটি পানির পাত্র ছিল। তিনি বারবার সেই পাত্রে হাত রাখছিলেন এবং পানি দিয়ে চেহারা মাসেহ করছিলেন। অতঃপর দু'আ করছিলেন, হে প্রভু! মৃত্যু যন্ত্রণায় আমাকে সাহায্য কর।
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ ، قَالَ : حَدَّثَنَا اللَّيْثُ ، عَنِ ابْنِ الْهَادِ ، عَنْ مُوسَى بْنِ سَرْجِسَ ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ ، عَنْ عَائِشَةَ ، أَنَّهَا قَالَتْ : رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ بِالْمَوْتِ وَعِنْدَهُ قَدَحٌ فِيهِ مَاءٌ ، وَهُوَ يُدْخِلُ يَدَهُ فِي الْقَدَحِ ثُمَّ يَمْسَحُ وَجْهَهُ بِالْمَاءِ ، ثُمَّ يَقُولُ : اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَى مُنْكَرَاتِ - أَوْ قَالَ عَلَى سَكَرَاتِ - الْمَوْتِ.
হাদীস নং:৩৮৮
রাসূলুল্লাহ্ -এর ওফাতের বিবরণ
৩৮৮। হাসান ইবনুস্-সাবাহ্ (রাহঃ)... 'আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর মৃত্যুকষ্ট দেখার পর অন্য কারো মৃত্যুর সময় কষ্ট না হলে আমার হিংসা হয় না।
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّازُ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مُبَشِّرُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْعَلاَءِ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ، عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ : لاَ أَغْبِطُ أَحَدًا بَهَوْنِ مَوْتٍ بَعْدَ الَّذِي رَأَيْتُ مِنْ شِدَّةِ مَوْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
হাদীস নং:৩৮৯
রাসূলুল্লাহ্ -এর ওফাতের বিবরণ
৩৮৯। আবু কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনুল 'আলা (রাহঃ)... 'আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর ইনতিকালের পর তাঁর দাফন নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিল। আবু বাকর (রাযিঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে এই সম্পর্কে এমন কিছু শুনেছি, যা আমি আজো ভুলিনি। অতঃপর বলেন, আল্লাহ্ তা'আলা নবীদেরকে এমন স্থানেই মৃত্যু দেন, যেখানে দাফন করা তিনি পসন্দ করেন। অতএব রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -কে তাঁর মৃত্যুশয্যার স্থানেই দাফন করা হোক ।
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ وَهُوَ ابْنُ الْمُلَيْكِيِّ ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ ، عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ : لَمَّا قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اخْتَلَفُوا فِي دَفْنِهِ ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ : سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَيْئًا مَا نَسِيتُهُ قَالَ : مَا قَبَضَ اللَّهُ نَبِيًّا إِلاَ فِي الْمَوْضِعِ الَّذِي يُحِبُّ أَنْ يُدْفَنَ فِيهِ. ادْفِنُوهُ فِي مَوْضِعِ فِرَاشِهِ
হাদীস নং:৩৯০
রাসূলুল্লাহ্ -এর ওফাতের বিবরণ
৩৯০। মুহাম্মাদ ইবন বাশ্শার, আব্বাস আল-আনবারী, সাওয়ার ইবন আব্দুল্লাহ প্রমুখ (রাহঃ)... ইবন আব্বাস (রাযিঃ) ও 'আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর মৃত্যুর পর আবু বাকর (রাযিঃ) তাঁর কপালে চুম্বন করেন।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ ، وَعَبَّاسٌ الْعَنْبَرِيُّ ، وَسَوَّارُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ قَالُوا : حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ ، عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي عَائِشَةَ ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، وَعَائِشَةَ ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ ، قَبَّلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ مَا مَاتَ.
হাদীস নং:৩৯১
রাসূলুল্লাহ্ -এর ওফাতের বিবরণ
৩৯১। নসর ইবন আলী আল-জাহযামী (রাহঃ)...... 'আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর ইনতিকালের পর আবু বাকর (রাযিঃ) তাঁর কাছে এসে তাঁর কপালে চুম্বন করেন এবং তাঁর উভয় বাহুতে দু'হাত রেখে বলেন, হায় নবী! হায় সাফী! হায় খলীল!
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مَرْحُومُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ الْعَطَّارُ ، عَنِ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ بَابَنُوسَ ، عَنْ عَائِشَةَ ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ ، دَخَلَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ وَفَاتِهِ فَوَضَعَ فَمَهُ بَيْنَ عَيْنَيْهِ وَوَضَعَ يَدَيْهِ عَلَى سَاعِدَيْهِ ، وَقَالَ : وَانَبِيَّاهُ ، وَاصَفِيَّاهُ ، وَاخَلِيلاَهُ.
হাদীস নং:৩৯২
রাসূলুল্লাহ্ -এর ওফাতের বিবরণ
৩৯২। বিশর ইবন হিলাল আস-সাওয়াফ আল-বসরী (রাহঃ)... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যে দিন মদীনায় প্রবেশ করেছিলেন, সে দিন মদীনার প্রত্যেকটি জিনিস আলোকোজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। যে দিন তিনি ইনতিকাল করলেন, সে দিন মদীনার প্রত্যেকটি জিনিস অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল । দাফনের পর আমাদের হাত থেকে মাটি ঝেড়ে ফেলতে না ফেলতেই আমরা আমাদের অন্তরের পরিবর্তন লক্ষ্য করলাম।
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ هِلاَلٍ الصَّوَّافُ الْبَصْرِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ ، عَنْ ثَابِتٍ ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ : لَمَّا كَانَ الْيَوْمُ الَّذِي دَخَلَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ أَضَاءَ مِنْهَا كُلُّ شَيْءٍ ، فَلَمَّا كَانَ الْيَوْمُ الَّذِي مَاتَ فِيهِ أَظْلَمَ مِنْهَا كُلُّ شَيْءٍ ، وَمَا نَفَضْنَا أَيْدِيَنَا مِنَ التُّرَابِ ، وَإِنَا لَفِي دَفْنِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى أَنْكَرْنَا قُلُوبَنَا.
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৯৩
রাসূলুল্লাহ্ -এর ওফাতের বিবরণ
৩৯৩। মুহাম্মাদ ইবন হাতিম (রাহঃ)... 'আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সোমবার ইনতিকাল করেছেন।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَامِرُ بْنُ صَالِحٍ ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ : تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ.
হাদীস নং:৩৯৪
রাসূলুল্লাহ্ -এর ওফাতের বিবরণ
৩৯৪। মুহাম্মাদ ইবন আবু উমার (রাহঃ)... জা'ফর ইবন মুহাম্মাদ (রাযিঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সোমবার ইনতিকাল করেন। সোমবার এবং মঙ্গলবার দাফন কাফনের প্রস্তুতিতেই চলে যায়। মঙ্গলবার দিবাগত রাত্রে তাঁকে দাফন করা হয়। সুফয়ানের বর্ণিত হাদীছের মর্মও এটাই। অন্যান্য বর্ণনাকারীদের মতে, রাতের শেষাংশে কবর খননের শব্দ শুনা যাচ্ছিল।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ : قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ فَمَكَثَ ذَلِكَ الْيَوْمَ وَلَيْلَةَ الثُّلاَثَاءِ ، وَدُفِنَ مِنَ اللَّيْلِ.
وَقَالَ سُفْيَانُ : وَقَالَ غَيْرُهُ : يُسْمَعُ صَوْتُ الْمَسَاحِي مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ.
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৯৫
রাসূলুল্লাহ্ -এর ওফাতের বিবরণ
৩৯৫। কুতায়বা ইবন সা'ঈদ (রাহঃ)... আবু সালমা ইবন 'আব্দুর রহমান ইবন 'আউফ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সোমবার ইনতিকাল করেন এবং মঙ্গলবার তাঁকে দাফন করা হয়।
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ ، عَنْ شَرِيكِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ ، قَالَ : تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ ، وَدُفِنَ يَوْمَ الثُّلاَثَاءِ.
قَالَ أَبُو عِيسَى : هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ.
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৯৬
রাসূলুল্লাহ্ -এর ওফাতের বিবরণ
৩৯৬। নসর ইবন আলী আল-জাহযামী (রাহঃ)... সালিম ইবন 'উবায়দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন, যিনি একজন সাহাবী ছিলেন- বলেন : পীড়িত অবস্থায় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বারবার সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলছিলেন। সংজ্ঞা ফিরে এলে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, সালাতের সময় হয়েছে কি? সাহাবীরা বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ বিলাল (রাযিঃ)-কে আযান দিতে বলো এবং আবু বাকর (রাযিঃ)-কে সালাতে ইমামতি করতে বলো। অতঃপর আবার সংজ্ঞা হারালেন এবং সংজ্ঞা ফিরে এলে আবার জিজ্ঞেস করলেন, সালাতের সময় হয়েছে কি? সাহাবীরা বললেন, হ্যাঁ। তারপর বললেনঃ বিলাল (রাযিঃ)-কে আযান দিতে বলো এবং আবু বাকর (রাযিঃ)-কে সালাতের ইমামতি করতে বলো। 'আয়িশা (রাযিঃ) বললেনঃ আমার পিতা কোমল হৃদয় ব্যক্তি। যখন আপনার স্থানে দাঁড়াবেন, তখন কেঁদে ফেলবেন। তিনি সালাত আদায় করতে পারবেন না । আপনি যদি অন্য কাউকে নির্দেশ দেন! বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আবার সংজ্ঞা হারান। সংজ্ঞা ফিরে পেলে বললেন, বিলাল (রাযিঃ)-কে আযান দিতে বল এবং আবু বাকর (রাযিঃ)-কে লোকের ইমামতি করতে বলে দাও। 'আয়িশা (রাযিঃ)-কে বলেন, তুমি কি ইউসুফ (আ)-এর সঙ্গী মহিলাদের মতো হতে চাও? বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর বিলালকে আযান দেয়ার নির্দেশ দেয়া হলো। তিনি আযান দিলেন। আবু বাকর (রাযিঃ)-কে ইমামতির নির্দেশ দেয়া হলো। তিনি লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন। এরপর একদিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কিছুটা সুস্থ বোধ করলে বললেন, তোমরা কেউ আমার কাছে আস, যার উপর ভর করে আমি দাঁড়াতে পারব। এতে বারীরা (রাযিঃ) ও অপর এক ব্যক্তি এগিয়ে এলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁদেরকে ভর করে দাঁড়ালেন। আবু বাকর (রাযিঃ) তাঁকে দেখে পেছনে ফিরে আসার মনস্থ করলেন; কিন্তু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁকে স্ব স্থানে স্থির থাকতে ইঙ্গিত করলেন। অতঃপর আবু বাকর (রাযিঃ) সালাত আদায় সমাপ্ত করলেন। অবশেষে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইনতিকাল করেন। 'উমার (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! যাকেই বলতে শুনবো যে রাসূলুল্লাহ্ ইনতিকাল করেছেন, তাকেই আমি এই তরবারী দ্বারা দ্বিখণ্ডিত করব। বর্ণনাকারী বলেন, যেহেতু লোকেরা পূর্ববর্তী আসমানী কিতাব সম্পর্কে অজ্ঞ ছিল এবং যেহেতু তারা পূর্বে কোন নবী পায়নি, সেহেতু লোকেরা “উমার (রাযিঃ)-এর কথায় • নিশ্চুপ রইল। সাহাবীরা বললেন, হে সালিম! রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর প্রিয় সাহাবী আবু বাকর (রাযিঃ)-এর কাছে চল এবং তাঁকে ডেকে নিয়ে আস। অতঃপর আমি আবু বাকর (রাযিঃ)-এর কাছে আসলাম। তিনি তখন মসজিদে ছিলেন। আমি কাঁদতে কাঁদতে তাঁর কাছে এসেছিলাম। তিনি আমাকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কি ইনতিকাল করেছেন? আমি বললাম, 'উমার (রাযিঃ) বলছেন, যাকেই বলতে শুনবো যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইনতিকাল করেছেন, তাকেই আমি এই তরবারী দ্বারা আঘাত করব। তিনি আমাকে বললেন, চল। আমি তাঁর সঙ্গে চললাম। অতঃপর তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর কাছে আসলেন। ইতিমধ্যে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর কাছে অনেক লোক এসে জড়ো হয়েছে। আবু বাকর (রাযিঃ) বললেন, হে লোকেরা! আমাকে একটু রাস্তা দাও। আবু বাকর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর কাছে পৌঁছলেন এবং তাঁর উপর ঝুঁকে পড়ে তাঁকে চুমু খেলেন। অতঃপর বললেন, إِنَّكَ مَيِّتٌ وَإِنَّهُمْ مَيِّتُونَ হে মুহাম্মাদ ! আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন এবং তারাও (শত্রুরা) মৃত্যুবরণ করবে।

সাহাবীরা বললেন, হে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর বন্ধু! রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কি সত্যিই ইনতিকাল করেছেন? বললেন, হ্যাঁ। তখন সকলেই বুঝতে পারল যে, সত্য সত্যই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইনতিকাল করেছেন। সাহাবীরা বলল, হে আল্লাহর রাসূলের বন্ধু! আমরা কি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সালাতে জানাযা আদায় করব? বললেন, হ্যাঁ। তারা জিজ্ঞেস করল, কিভাবে? বললেন, একেক জন গৃহে প্রবেশ করবে এবং একাকী তাকবীর, দু'আ ও দরূদ পাঠ করে বেরিয়ে আসবে। অতঃপর আরেকটি দল যাবে এবং তাকবীর, দু'আ ও দরূদ পাঠ করে বেরিয়ে আসবে। অতঃপর লোকেরা গৃহে প্রবেশ করে বলল, হে আল্লাহর রাসূলের বন্ধু! রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -কে কি দাফন করা হবে? বললেন, হ্যাঁ। জিজ্ঞেস করা হলো, কোথায়? বললেন, যেখানে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। কেননা যেখানে আল্লাহর পসন্দ, কেবল সেখানেই তিনি তাঁর বন্ধুর মৃত্যু দান করেন। লোকেরা বুঝতে পারল যে, আবু বাকর (রাযিঃ) সত্যি কথাই বলেছেন। অতঃপর তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর নিকটাত্মীয়দেরকে তাঁর গোসল দেয়ার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিলেন।

এরপর মুহাজিরগণ পরামর্শে মিলিত হলেন। তারা বলেন, চলুন। আমরা আনসারী ভাইদের কাছে যাই এবং এ বিষয়ে তাদের সঙ্গেও আলোচনা করি। আনসাররা বললেন, আমাদের মধ্য থেকে একজনকে এবং মুহাজিরদের মধ্য থেকে একজনকে নেতা নির্বাচিত করা হোক। 'উমার (রাযিঃ) বললেন, এমন ব্যক্তি কে আছে, যার তিনটি মর্যাদার কথা উল্লেখ করা হয়েছে? যেমন, আল্লাহ্ তা'আলা ثَانِيَ اثْنَيْنِ إِذْ هُمَا فِي الْغَارِ হিসাবে উল্লেখ করেছেন। দ্বিতীয় আল্লাহ্ তা'আলা তাঁকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সাথী ও বন্ধুরূপে পরিচয় দিয়েছেন, তৃতীয়ত إِنَّ اللَّهَ مَعَنَا বলে সহচরত্ব উল্লেখ করেছেন। এই দুই ব্যক্তি কে? অতঃপর তিনি আবু বাকর (রাযিঃ)-এর দিকে তাঁর হাত বাড়িয়ে দিলেন এবং আনুগত্যের বায়'আত গ্রহণ করলেন। অতঃপর অন্যান্য লোকেরাও সুন্দরভাবে আবু বাকর (রাযিঃ)-এর বায়'আত গ্রহণ করলেন।
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ قَالَ : حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ نُبَيْطٍ ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ أَبِي هِنْدَ ، عَنْ نُبَيْطِ بْنِ شَرِيطٍ ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عُبَيْدٍ ، وَكَانَتْ لَهُ صُحْبَةٌ قَالَ : أُغْمِيَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَرَضِهِ فَأَفَاقَ ، فَقَالَ : حَضَرَتِ الصَّلاَةُ ؟ فَقَالُوا : نَعَمْ . فَقَالَ : مُرُوا بِلاَلاً فَلْيُؤَذِّنْ ، وَمُرُوا أَبَا بَكْرٍ أَنْ يُصَلِّيَ للنَّاسِ - أَوْ قَالَ : بِالنَّاسِ - قَالَ : ثُمَّ أُغْمِيَ عَلَيْهِ ، فَأَفَاقَ ، فَقَالَ : حَضَرَتِ الصَّلاَةُ ؟ فَقَالُوا : نَعَمْ . فَقَالَ : مُرُوا بِلاَلاً فَلْيُؤَذِّنْ ، وَمُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ ، فَقَالَتْ عَائِشَةُ : إِنَّ أَبِي رَجُلٌ أَسِيفٌ ، إِذَا قَامَ ذَلِكَ الْمَقَامَ بَكَى فَلاَ يَسْتَطِيعُ ، فَلَوْ أَمَرْتَ غَيْرَهُ قَالَ : ثُمَّ أُغْمِيَ عَلَيْهِ فَأَفَاقَ فَقَالَ : مُرُوا بِلاَلاً فَلْيُؤَذِّنْ ، وَمُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ ، فَإِنَّكُنَّ صَوَاحِبُ أَوْ صَوَاحِبَاتُ يُوسُفَ قَالَ : فَأُمِرَ بِلاَلٌ فَأَذَّنَ ، وَأُمِرَ أَبُو بَكْرٍ فَصَلَّى بِالنَّاسِ ، ثُمَّ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجَدَ خِفَّةً ، فَقَالَ : انْظُرُوا لِي مَنْ أَتَّكِئِ عَلَيْهِ ، فَجَاءَتْ بَرِيرَةُ وَرَجُلٌ آخَرُ ، فَاتَّكَأَ عَلَيْهِمَا فَلَمَّا رَآهُ أَبُو بَكْرٍ ذَهَبَ لِينْكُصَ فَأَوْمَأَ إِلَيْهِ أَنْ يَثْبُتَ مَكَانَهُ ، حَتَّى قَضَى أَبُو بَكْرٍ صَلاَتَهُ ، ثُمَّ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُبِضَ ، فَقَالَ عُمَرُ : وَاللَّهِ لاَ أَسْمَعُ أَحَدًا يَذْكُرُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُبِضَ إِلاَ ضَرَبْتُهُ بِسَيْفِي هَذَا قَالَ : وَكَانَ النَّاسُ أُمِّيِّينَ لَمْ يَكُنْ فِيهِمْ نَبِيٌّ قَبْلَهُ ، فَأَمْسَكَ النَّاسُ ، فَقَالُوا : يَا سَالِمُ ، انْطَلِقْ إِلَى صَاحِبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَادْعُهُ ، فَأَتَيْتُ أَبَا بَكْرٍ وَهُوَ فِي الْمَسْجِدِ فَأَتَيْتُهُ أَبْكِي دَهِشًا ، فَلَمَّا رَآنِي قَالَ : أَقُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ؟ قُلْتُ : إِنَّ عُمَرَ يَقُولُ : لاَ أَسْمَعُ أَحَدًا يَذْكُرُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُبِضَ إِلاَ ضَرَبْتُهُ بِسَيْفِي هَذَا ، فَقَالَ لِي : انْطَلِقْ ، فَانْطَلَقْتُ مَعَهُ ، فَجَاءَ هُوَ وَالنَّاسُ قَدْ دَخَلُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ : يَا أَيُّهَا النَّاسُ ، أَفْرِجُوا لِي ، فَأَفْرَجُوا لَهُ فَجَاءَ حَتَّى أَكَبَّ عَلَيْهِ وَمَسَّهُ ، فَقَالَ : { إِنَّكَ مَيِّتٌ وَإِنَّهُمْ مَيِّتُونَ } [الزمر : ] ثُمَّ قَالُوا : يَا صَاحِبَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، أَقُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ؟ قَالَ : نَعَمْ ، فَعَلِمُوا أَنْ قَدْ صَدَقَ ، قَالُوا : يَا صَاحِبَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، أَيُصَلَّى عَلَى رَسُولِ اللَّهِ ؟ قَالَ : نَعَمْ ، قَالُوا : وَكَيْفَ ؟ قَالَ : يَدْخُلُ قَوْمٌ فَيُكَبِّرُونَ وَيُصَلُّونَ وَيَدْعُونَ ، ثُمَّ يَخْرُجُونَ ، ثُمَّ يَدْخُلُ قَوْمٌ فَيُكَبِّرُونَ وَيُصَلُّونَ وَيَدْعُونَ ، ثُمَّ يَخْرُجُونَ ، حَتَّى يَدْخُلَ النَّاسُ ، قَالُوا : يَا صَاحِبَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، أَيُدْفَنُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ؟ قَالَ : نَعَمْ ، قَالُوا : أَينَ ؟ قَالَ : فِي الْمكَانِ الَّذِي قَبَضَ اللَّهُ فِيهِ رُوحَهُ ، فَإِنَّ اللَّهَ لَمْ يَقْبِضْ رُوحَهُ إِلاَ فِي مَكَانٍ طَيِّبٍ . فَعَلِمُوا أَنْ قَدْ صَدَقَ ، ثُمَّ أَمَرَهُمْ أَنْ يَغْسِلَهُ بَنُو أَبِيهِ وَاجْتَمَعَ الْمُهَاجِرُونَ يَتَشَاوَرُونَ ، فَقَالُوا : انْطَلِقْ بِنَا إِلَى إِخْوانِنَا مِنَ الأَنْصَارِ نُدْخِلُهُمْ مَعَنَا فِي هَذَا الأَمْرِ ، فَقَالَتِ الأَنْصَارُ : مِنَّا أَمِيرٌ وَمِنْكُمْ أَمِيرٌ ، فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ : مَنْ لَهُ مِثْلُ هَذِهِ الثَّلاَثِ { ثَانِيَ اثْنَيْنِ إِذْ هُمَا فِي الْغَارِ إِذْ يَقُولُ لِصَاحِبِهِ لاَ تَحْزَنْ إِنَّ اللَّهَ مَعَنَا } [التوبة : ] مَنْ هُمَا ؟ قَالَ : ثُمَّ بَسَطَ يَدَهُ فَبَايَعَهُ وَبَايَعَهُ النَّاسُ بَيْعَةً حَسَنَةً جَمِيلَةً.
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:৩৯৭
রাসূলুল্লাহ্ -এর ওফাতের বিবরণ
৩৯৭। নসর ইবন 'আলী (রাহঃ)... আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন ভীষণভাবে মৃত্যু যন্ত্রণা ভোগ করছিলেন, তখন ফাতিমা (রাযিঃ) বললেন, হায়! আমার আব্বার কতই না কষ্ট হচ্ছে। নবী করীম (ﷺ) বললেনঃ আজকের পরে তোমার পিতার আর কোন কষ্ট থাকবে না। নিশ্চয়ই তোমার পিতার উপর মৃত্যু নামক এমন এক বিষয় অবতীর্ণ হয়েছে, যে মৃত্যু থেকে কিয়ামত পর্যন্ত কেউই রেহাই পাবে না।
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ ، شَيْخٌ بَاهِلِيٌّ قَدِيمٌ بَصْرِيٌّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ : لَمَّا وَجَدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ كُرَبِ الْمَوْتِ مَا وَجَدَ ، قَالَتْ فَاطِمَةُ : وَاكَرْبَاهُ ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : لاَ كَرْبَ عَلَى أَبِيكِ بَعْدَ الْيَوْمِ ، إِنَّهُ قَدْ حَضَرَ مِنْ أَبِيكِ مَا لَيْسَ بِتَارِكٍ مِنْهُ أَحَدًا الْمُوافَاةُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ.
হাদীস নং:৩৯৮
রাসূলুল্লাহ্ -এর ওফাতের বিবরণ
৩৯৮। আবুল খাত্তাব যিয়াদ ইবন ইয়াহ্ইয়া আল-বসরী এবং নসর ইবন আলী (রাহঃ)... ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -কে বলতে শুনেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে যার দু'টি সন্তান মারা যাবে, তাদের দু'জনের বদৌলতে আল্লাহ্ তা'আলা তাকে জান্নাতবাসী করবেন। 'আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, আপনার উম্মতের মধ্যে যার একটি সন্তান মারা যাবে? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, তাকেও ক্ষমা করা হবে। 'আয়িশা (রাযিঃ) জিজ্ঞেস করলেন, আপনার উম্মতের মধ্যে যার কোন সন্তানই মারা যাবে না? তিনি বললেন, আমি আমার উম্মতের জন্য পরকালের সম্পদ স্বরূপ। কেননা আযাব তাদের এত কষ্ট দেবে, যা পরিবার-পরিজনের চাইতেও শোকাবহ হবে।
حَدَّثَنَا أَبُو الْخَطَّابِ زِيَادُ بْنُ يَحْيَى الْبَصْرِيُّ ، وَنَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ ، قَالاَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ رَبِّهِ بْنُ بَارِقٍ الْحَنَفِيُّ قَالَ : سَمِعْتُ جَدِّي أَبَا أُمِّي سِمَاكَ بْنَ الْوَلِيدِ ، يُحَدِّثُ أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ ، يُحَدِّثُ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ : مَنْ كَانَ لَهُ فَرَطَانِ مِنْ أُمَّتِي أَدْخَلَهُ اللَّهُ تَعَالَى بِهِمَا الْجَنَّةَ ، فَقَالَتْ عَائِشَةُ : فَمَنْ كَانَ لَهُ فَرَطٌ مِنْ أُمَّتِكَ ؟ قَالَ : وَمَنْ كَانَ لَهُ فَرَطٌ يَا مُوَفَّقَةُ قَالَتْ : فَمَنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ فَرَطٌ مِنْ أُمَّتِكَ ؟ قَالَ : فَأَنَا فَرَطٌ لِأُمَّتِي ، لَنْ يُصَابُوا بِمِثْلِي.