কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৯২৩
আন্তর্জাতিক নং: ৯২৩
১৭৬. নামাযে রত থাকাকালে সালামের জবাব দেয়া।
৯২৩. মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে তিনি নামাযরত থাকাবস্থায় সালাম দিতাম এবং তিনি এর জবাব দিতেন। পরবর্তীকালে আমরা যখন হাবশার বাদশাহ নাজ্জাশীর নিকট হতে ফিরে এসে তাঁকে নামাযের মধ্যে সালাম প্রদান করি, তখন তিনি এর জবাব প্রদান করেন নাই। বরং এসময় তিনি বলেন, অবশ্যই নামাযের মধ্যে (কিরাত, তাসবীহ ইত্যাদি) জরুরী করণীয় কাজ রয়েছে।
باب رَدِّ السَّلاَمِ فِي الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا نُسَلِّمُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي الصَّلاَةِ فَيَرُدُّ عَلَيْنَا فَلَمَّا رَجَعْنَا مِنْ عِنْدِ النَّجَاشِيِّ سَلَّمْنَا عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْنَا وَقَالَ " إِنَّ فِي الصَّلاَةِ لَشُغْلاً " .
হাদীস নং:৯২৪
আন্তর্জাতিক নং: ৯২৪
১৭৬. নামাযে রত থাকাকালে সালামের জবাব দেয়া।
৯২৪. মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নামাযরত অবস্থায় সালাম দিতাম এবং আমাদের জরুরী কাজের কথা বলতাম। পরবর্তীকালে আমি হাবশা হতে প্রত্যাবর্তনের পর একদা তাঁকে নামাযের মধ্যে সালাম দিলে তিনি এর উত্তর দেননি। ফলে আমার মনে পুরাতন ও নতুন কথা স্মরণ হয় এবং সালামের জবাব না পাওয়ায় আমি শঙ্কিত হয়ে পড়ি।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামায শেষে আমাকে বলেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা যখন যা ইচ্ছা করেন, তখন তাই নির্দেশ প্রদান করেন। এখন আল্লাহ তাআলা নামাযের মধ্যে কথা না বলার নির্দেশ জারী করেছেন”। একথা বলার পর তিনি আমার সালামের জবাব দেন।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামায শেষে আমাকে বলেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা যখন যা ইচ্ছা করেন, তখন তাই নির্দেশ প্রদান করেন। এখন আল্লাহ তাআলা নামাযের মধ্যে কথা না বলার নির্দেশ জারী করেছেন”। একথা বলার পর তিনি আমার সালামের জবাব দেন।
باب رَدِّ السَّلاَمِ فِي الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا نُسَلِّمُ فِي الصَّلاَةِ وَنَأْمُرُ بِحَاجَتِنَا فَقَدِمْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يُصَلِّي فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَىَّ السَّلاَمَ فَأَخَذَنِي مَا قَدُمَ وَمَا حَدُثَ فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الصَّلاَةَ قَالَ " إِنَّ اللَّهَ يُحْدِثُ مِنْ أَمْرِهِ مَا يَشَاءُ وَإِنَّ اللَّهَ جَلَّ وَعَزَّ قَدْ أَحْدَثَ مِنْ أَمْرِهِ أَنْ لاَ تَكَلَّمُوا فِي الصَّلاَةِ " . فَرَدَّ عَلَىَّ السَّلاَمَ .
হাদীস নং:৯২৫
আন্তর্জাতিক নং: ৯২৫
১৭৬. নামাযে রত থাকাকালে সালামের জবাব দেয়া।
৯২৫. ইয়াযিদ ইবনে খালিদ (রাহঃ) .... সুহাইব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খিদমতে হাজির হয়ে তাঁকে নামাযরত অবস্থায় দেখতে পাই সালাম দেই। এ সময় তিনি আঙ্গুলের ইশারায় এর জবাব দেন।
باب رَدِّ السَّلاَمِ فِي الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ مَوْهَبٍ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، أَنَّ اللَّيْثَ، حَدَّثَهُمْ عَنْ بُكَيْرٍ، عَنْ نَابِلٍ، صَاحِبِ الْعَبَاءِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ صُهَيْبٍ، أَنَّهُ قَالَ مَرَرْتُ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يُصَلِّي فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَرَدَّ إِشَارَةً . قَالَ وَلاَ أَعْلَمُهُ إِلاَّ قَالَ إِشَارَةً بِأُصْبُعِهِ وَهَذَا لَفْظُ حَدِيثِ قُتَيْبَةَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৯২৬
আন্তর্জাতিক নং: ৯২৬
১৭৬. নামাযে রত থাকাকালে সালামের জবাব দেয়া।
৯২৬. আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ আন-নুফাইলী (রাহঃ) ..... জাবের (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একদা আমাকে মুস্তালিক গোত্রের নিকট প্রেরণ করেন। সেখান হতে প্রত্যাবর্তনের পর আমি তাঁকে উটের উপর নামায (নফল) আদায় করতে দেখি। এ সময় আমি তাঁর সাথে কথা বলি এবং তিনি ইশারায় আমার কথার জবাব দেন। এ সময় আমি তাঁকে কুরআনের আয়াত তেলাওয়াত করতে শুনেছি এবং তিনি ইশারায় রুকু সিজদা আদায় করেন। তিনি নামায শেষে আমাকে বলেন, আমি তোমাকে যেজন্য পাঠিয়েছিলাম তার খবর কী? আমি নামাযরত থাকার কারণে এতক্ষণ তোমার সাথে বাক্যালাপ করি নাই।
باب رَدِّ السَّلاَمِ فِي الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ أَرْسَلَنِي نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى بَنِي الْمُصْطَلِقِ فَأَتَيْتُهُ وَهُوَ يُصَلِّي عَلَى بَعِيرِهِ فَكَلَّمْتُهُ فَقَالَ لِي بِيَدِهِ هَكَذَا ثُمَّ كَلَّمْتُهُ فَقَالَ لِي بِيَدِهِ هَكَذَا وَأَنَا أَسْمَعُهُ يَقْرَأُ وَيُومِئُ بِرَأْسِهِ فَلَمَّا فَرَغَ قَالَ " مَا فَعَلْتَ فِي الَّذِي أَرْسَلْتُكَ فَإِنَّهُ لَمْ يَمْنَعْنِي أَنْ أُكَلِّمَكَ إِلاَّ أَنِّي كُنْتُ أُصَلِّي " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৯২৭
আন্তর্জাতিক নং: ৯২৭
১৭৬. নামাযে রত থাকাকালে সালামের জবাব দেয়া।
৯২৭. আল-হোসাইন ইবনে ঈসা আল-খুরাসানী আদ-দামিগানী (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ কুবার মসজিদে নামায আদায়ের জন্য গমন করেন। এ সময় মদীনার আনসারগণ আগমন করে তাঁকে নামাযে রত থাকাবস্থায় সালাম প্রদান করেন।
রাবী বলেন, তখন আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথী বিলাল (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করি যে, তিনি নামাযে থাকাবস্থায় সালামের জবাব কিভাবে দিলেন? বিলাল (রাযিঃ) বলেন, এভাবে দিয়েছেন। রাবী জাফর ইবনে আওন এর (ইশারার) নমুনাস্বরূপ স্বীয় হাতের তালু প্রদর্শন করেন, যার পৃষ্ঠদেশ উপরে এবং বক্ষদেশ নিম্নে অবস্থিত ছিল।
রাবী বলেন, তখন আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথী বিলাল (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করি যে, তিনি নামাযে থাকাবস্থায় সালামের জবাব কিভাবে দিলেন? বিলাল (রাযিঃ) বলেন, এভাবে দিয়েছেন। রাবী জাফর ইবনে আওন এর (ইশারার) নমুনাস্বরূপ স্বীয় হাতের তালু প্রদর্শন করেন, যার পৃষ্ঠদেশ উপরে এবং বক্ষদেশ নিম্নে অবস্থিত ছিল।
باب رَدِّ السَّلاَمِ فِي الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ عِيسَى الْخُرَاسَانِيُّ الدَّامَغَانِيُّ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا نَافِعٌ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، يَقُولُ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى قُبَاءَ يُصَلِّي فِيهِ - قَالَ - فَجَاءَتْهُ الأَنْصَارُ فَسَلَّمُوا عَلَيْهِ وَهُوَ يُصَلِّي . قَالَ فَقُلْتُ لِبِلاَلٍ كَيْفَ رَأَيْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَرُدُّ عَلَيْهِمْ حِينَ كَانُوا يُسَلِّمُونَ عَلَيْهِ وَهُوَ يُصَلِّي قَالَ يَقُولُ هَكَذَا وَبَسَطَ كَفَّهُ . وَبَسَطَ جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ كَفَّهُ وَجَعَلَ بَطْنَهُ أَسْفَلَ وَجَعَلَ ظَهْرَهُ إِلَى فَوْقٍ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৯২৮
আন্তর্জাতিক নং: ৯২৮
১৭৬. নামাযে রত থাকাকালে সালামের জবাব দেয়া।
৯২৮. আহমদ ইবনে হাম্বল (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, নামাযে এবং সালামে কোন ক্ষতি নেই।
রাবী আহমদ ইবনে হাম্বল বলেন, এর অর্থ এই যে, তুমি কাউকে সালাম প্রদান করলে এবং সে উত্তর না দিলে তোমার কোন ক্ষতি নেই। অপর দিকে ধোঁকা হল এই যে, নামাযী ব্যক্তি কত রাকআত নামায আদায় করেছে তাতে সন্দিহান, এতেও কোন ক্ষতি নেই।
রাবী আহমদ ইবনে হাম্বল বলেন, এর অর্থ এই যে, তুমি কাউকে সালাম প্রদান করলে এবং সে উত্তর না দিলে তোমার কোন ক্ষতি নেই। অপর দিকে ধোঁকা হল এই যে, নামাযী ব্যক্তি কত রাকআত নামায আদায় করেছে তাতে সন্দিহান, এতেও কোন ক্ষতি নেই।
باب رَدِّ السَّلاَمِ فِي الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ غِرَارَ فِي صَلاَةٍ وَلاَ تَسْلِيمٍ " . قَالَ أَحْمَدُ يَعْنِي فِيمَا أُرَى أَنْ لاَ تُسَلِّمَ وَلاَ يُسَلَّمَ عَلَيْكَ وَيُغَرِّرُ الرَّجُلُ بِصَلاَتِهِ فَيَنْصَرِفُ وَهُوَ فِيهَا شَاكٌّ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৯২৯
আন্তর্জাতিক নং: ৯২৯
১৭৬. নামাযে রত থাকাকালে সালামের জবাব দেয়া।
৯২৯. মুহাম্মাদ ইবনুল আলা (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। রাবী বলেন, এই হাদীসটি মারফু, অর্থাৎ নবী করীম(ﷺ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নামাযের মধ্যেও সালামে কোন ক্ষতি নেই।
باب رَدِّ السَّلاَمِ فِي الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، أَخْبَرَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ - أُرَاهُ رَفَعَهُ - قَالَ " لاَ غِرَارَ فِي تَسْلِيمٍ وَلاَ صَلاَةٍ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ ابْنُ فُضَيْلٍ عَلَى لَفْظِ ابْنِ مَهْدِيٍّ وَلَمْ يَرْفَعْهُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান