আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৩৭. কিয়ামত-মৃত্যুপরবর্তী জগতের বিবরণ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২৪৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৪৬
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ।
২৪৪৯. আবু হুসাইন আব্দুল্লাহ ইবনে আহমাদ ইবনে ইউনুস কুফী (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ)-কে যখন রাত্রিকালীন সফর মি‘রাজে নিয়ে যাওয়া হয় তখন তিনি এমন নবী ও নবীদের জামাআতের পাশ দিয়ে গিয়েছেন যাদের সঙ্গে আছে একদল, এমন নবী ও নবীদের জামাআতের পাশ দিয়ে গিয়েছেন যাদের সঙ্গে আছে একদল উম্মত, এমন নবী ও নবীদের জামাআতের পাশ দিয়ে গিয়েছেন যাদের সঙ্গে কোন একজনও নেই। শেষে তিনি বিরাট এক দলের পাশ দিয়ে গেলেন।
(তিনি বলেন) আমি বললামঃ এরা কারা? বলা হলঃ মুসা ও তাঁর কওম। আপনি আপনার মাথা তুলে দেখুন।
তিনি বলেনঃ আমি দেখি অগণিত মানুষের মহা এক সমাবেশ, এ দিগন্ত সে দিগন্ত পূর্ণ করে রেখেছে। বলা হল, এরা আপনার উম্মত। এরা ছাড়াও আপনার উম্মতের সত্তর হাজার লোক হিসাব ব্যতীত জান্নাতে প্রবেশ করবে।
এরপর নবীজী হুজরায় চলে গেলেন। সাহাবীগণ এ সম্পর্কে কোন কিছু জিজ্ঞাসা করেন নি আর নবীজীও এ বিষয়ে তাঁদের কোন ব্যাখ্যা দেন নি। তারা নিজেরা নিজেরা বলাবলি করতে লাগলেন। একদল বললেনঃ এরা হলাম আমরা। এক দল বললেনঃ এরা হল ঐ সব সন্তান ইসলাম ও ফিতরতের উপর যাদের জন্ম হয়েছে।
কিছুপর নবী (ﷺ) বের হয়ে বললেনঃ এরা হল তারা যারা লোহার দাগ দেয় না, ঝাড়-ফুঁক করে না, শুভ-অশুভের লক্ষণ মেনে চলে না, আর তাদের পরওয়ারদিগারের উপর তারা সদা নির্ভরশীল।
তখন উককাশা ইবনে মিহসান উঠে দাঁড়ালেন, বললেনঃ আমি কি তাদের মধ্যে হব, ইয়া রাসূলাল্লাহ? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ।
এরপর আরেকজন এল, বললেনঃ আমি কি তাদের থেকে হব? তিনি বললেনঃ এ মর্যাদা লাভে উককাশা তোমার অগ্রগামী হয়ে গেছে।
(তিনি বলেন) আমি বললামঃ এরা কারা? বলা হলঃ মুসা ও তাঁর কওম। আপনি আপনার মাথা তুলে দেখুন।
তিনি বলেনঃ আমি দেখি অগণিত মানুষের মহা এক সমাবেশ, এ দিগন্ত সে দিগন্ত পূর্ণ করে রেখেছে। বলা হল, এরা আপনার উম্মত। এরা ছাড়াও আপনার উম্মতের সত্তর হাজার লোক হিসাব ব্যতীত জান্নাতে প্রবেশ করবে।
এরপর নবীজী হুজরায় চলে গেলেন। সাহাবীগণ এ সম্পর্কে কোন কিছু জিজ্ঞাসা করেন নি আর নবীজীও এ বিষয়ে তাঁদের কোন ব্যাখ্যা দেন নি। তারা নিজেরা নিজেরা বলাবলি করতে লাগলেন। একদল বললেনঃ এরা হলাম আমরা। এক দল বললেনঃ এরা হল ঐ সব সন্তান ইসলাম ও ফিতরতের উপর যাদের জন্ম হয়েছে।
কিছুপর নবী (ﷺ) বের হয়ে বললেনঃ এরা হল তারা যারা লোহার দাগ দেয় না, ঝাড়-ফুঁক করে না, শুভ-অশুভের লক্ষণ মেনে চলে না, আর তাদের পরওয়ারদিগারের উপর তারা সদা নির্ভরশীল।
তখন উককাশা ইবনে মিহসান উঠে দাঁড়ালেন, বললেনঃ আমি কি তাদের মধ্যে হব, ইয়া রাসূলাল্লাহ? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ।
এরপর আরেকজন এল, বললেনঃ আমি কি তাদের থেকে হব? তিনি বললেনঃ এ মর্যাদা লাভে উককাশা তোমার অগ্রগামী হয়ে গেছে।
بَابٌ
حَدَّثَنَا أَبُو حَصِينٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ يُونُسَ، كُوفِيٌّ حَدَّثَنَا عَبْثَرُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا حُصَيْنٌ، هُوَ ابْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ لَمَّا أُسْرِيَ بِالنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم جَعَلَ يَمُرُّ بِالنَّبِيِّ وَالنَّبِيَّيْنِ وَمَعَهُمُ الْقَوْمُ وَالنَّبِيِّ وَالنَّبِيَّيْنِ وَمَعَهُمُ الرَّهْطُ وَالنَّبِيِّ وَالنَّبِيِّينَ وَلَيْسَ مَعَهُمْ أَحَدٌ حَتَّى مَرَّ بِسَوَادٍ عَظِيمٍ فَقُلْتُ مَنْ هَذَا قِيلَ مُوسَى وَقَوْمُهُ وَلَكِنِ ارْفَعْ رَأْسَكَ فَانْظُرْ . قَالَ فَإِذَا سَوَادٌ عَظِيمٌ قَدْ سَدَّ الأُفُقَ مِنْ ذَا الْجَانِبِ وَمِنْ ذَا الْجَانِبِ فَقِيلَ هَؤُلاَءِ أُمَّتُكَ وَسِوَى هَؤُلاَءِ مِنْ أُمَّتِكَ سَبْعُونَ أَلْفًا يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ . فَدَخَلَ وَلَمْ يَسْأَلُوهُ وَلَمْ يُفَسِّرْ لَهُمْ فَقَالُوا نَحْنُ هُمْ . وَقَالَ قَائِلُونَ هُمْ أَبْنَاؤُنَا الَّذِينَ وُلِدُوا عَلَى الْفِطْرَةِ وَالإِسْلاَمِ . فَخَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " هُمُ الَّذِينَ لاَ يَكْتَوُونَ وَلاَ يَسْتَرْقُونَ وَلاَ يَتَطَيَّرُونَ وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ " . فَقَامَ عُكَّاشَةُ بْنُ مِحْصَنٍ فَقَالَ أَنَا مِنْهُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " نَعَمْ " . ثُمَّ قَامَ آخَرُ فَقَالَ أَنَا مِنْهُمْ فَقَالَ " سَبَقَكَ بِهَا عُكَّاشَةُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ .
হাদীস নং:২৪৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৪৭
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ।
২৪৫০. মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে বাযী‘ আল বসরী (রাহঃ) ..... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে দ্বীনের যে অবস্থায় আমরা ছিলাম বর্তমানে এর কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। আমি বললামঃ নামাযের অবস্থা কোন পর্যায়ে। রাবী আবু ইমরান জাওনী (রাহঃ) বলেনঃ নামাযের বিষয়টি তো আছে। তিনি বললেনঃ তোমরা তোমাদের নামাযে তা করনি যা তোমরা জান।
بَابٌ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَزِيعٍ، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ الرَّبِيعِ، حَدَّثَنَا أَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ مَا أَعْرِفُ شَيْئًا مِمَّا كُنَّا عَلَيْهِ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . فَقُلْتُ أَيْنَ الصَّلاَةُ قَالَ أَوَلَمْ تَصْنَعُوا فِي صَلاَتِكُمْ مَا قَدْ عَلِمْتُمْ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَنَسٍ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৪৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৪৮
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ।
২৪৫১. মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহয়া আযদী বসরী (রাহঃ) ...... আসমা বিনতে উমায়স খাছ‘ আমিয়া (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ কত মন্দ সেই বান্দা যে নিজেকে বড় মনে করে আর গর্ব করে অথচ মহান সমুচ্চ আল্লাহ তাআলাকে ভুলে যায়। কতই না নিকৃষ্ট সেই বান্দা যে সত্যবিমুখ হয় এবং অনর্থক কাজে লিপ্ত অথচ কবর ও হাড় মাটিতে মিশে যাওয়াকে ভুলে যায়। কতই না মন্দ সেই বান্দা যে অবাধ্য হয় এবং নাফরমানী করে অথচ শুরু ও শেষ পরিণতিকে ভুলে যায়। কত মন্দ সেই বান্দা যে দ্বীনের বিনিময়ে দুনিয়া অর্জন কৌশল অবরম্বন করে। কত মন্দ সেই বান্দা যে সন্দেহজনক বিষয়ের উপর আমল করে দ্বীনের বিষয়ে ত্রুটি সৃষ্টি করে। কত নিকৃষ্ট সেই বান্দা যাকে লালসা পরিচালনা করে। কত মন্দ সেই বান্দা যাকে প্রবৃত্তি পথভ্রষ্ট করে। কত খারাপ সেই বান্দা যাকে বস্তর আকর্ষণ লাঞ্চিত করে।
بَابٌ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الأَزْدِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا هَاشِمٌ، وَهُوَ ابْنُ سَعِيدٍ الْكُوفِيُّ حَدَّثَنِي زَيْدٌ الْخَثْعَمِيُّ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ الْخَثْعَمِيَّةِ، قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ تَخَيَّلَ وَاخْتَالَ وَنَسِيَ الْكَبِيرَ الْمُتَعَالِ بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ تَجَبَّرَ وَاعْتَدَى وَنَسِيَ الْجَبَّارَ الأَعْلَى بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ سَهَا وَلَهَا وَنَسِيَ الْمَقَابِرَ وَالْبِلَى بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ عَتَا وَطَغَى وَنَسِيَ الْمُبْتَدَا وَالْمُنْتَهَى بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ يَخْتِلُ الدُّنْيَا بِالدِّينِ بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ يَخْتِلُ الدِّينَ بِالشُّبُهَاتِ بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ طَمَعٌ يَقُودُهُ بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ هَوًى يُضِلُّهُ بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ رَغَبٌ يُذِلُّهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِالْقَوِيِّ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:২৪৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৪৯
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ।
২৪৫২. মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম মুআদদিব (রাহঃ) ..... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কোন মু‘মিন যদি আরেক মু‘মিনের ক্ষুধায় অন্ন যোগায় তবে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতের ফল আহার করাবেন। কোন মুমিন যদি অন্য কোন মুমিনের পিপাসায় পানি পান করায় তবে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তাকে ’‘রাহীক মাখতুম’’ সীল করা জান্নাতী পানীয় পান করাবেন। কোন মুমিন যদি অন্য কোন বস্ত্রহীন মুমিনকে পরিধান করায় তবে আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতের সবুজ বস্ত্র পরিধান করাবেন।
بَابٌ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ الْمُؤَدِّبُ، حَدَّثَنَا عَمَّارُ بْنُ مُحَمَّدِ ابْنُ أُخْتِ، سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ حَدَّثَنَا أَبُو الْجَارُودِ الأَعْمَى، وَاسْمُهُ، زِيَادُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْهَمْدَانِيُّ عَنْ عَطِيَّةَ الْعَوْفِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَيُّمَا مُؤْمِنٍ أَطْعَمَ مُؤْمِنًا عَلَى جُوعٍ أَطْعَمَهُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ ثِمَارِ الْجَنَّةِ وَأَيُّمَا مُؤْمِنٍ سَقَى مُؤْمِنًا عَلَى ظَمَإٍ سَقَاهُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنَ الرَّحِيقِ الْمَخْتُومِ وَأَيُّمَا مُؤْمِنٍ كَسَا مُؤْمِنًا عَلَى عُرْىٍ كَسَاهُ اللَّهُ مِنْ خُضْرِ الْجَنَّةِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا عَنْ عَطِيَّةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ مَوْقُوفٌ وَهُوَ أَصَحُّ عِنْدَنَا وَأَشْبَهُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:২৪৫০
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৫০
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ।
২৪৫৩. আবু বকর ইবনে আবুন নযর (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ভয় করে, সে সাহরীর আওয়াল ওয়াক্তে সফর করে। আর যে ব্যক্তি সওয়ারীর আওয়াল ওয়াক্তেই সফর করে সে তার মানযিলে পৌছে যায়। জেনে রাখ, আল্লাহর পন্য খুবই দামী। শোন, আল্লাহর পণ্য সামগ্রী হল জান্নাত।
بَابٌ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي النَّضْرِ، حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَقِيلٍ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو فَرْوَةَ، يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ التَّمِيمِيُّ حَدَّثَنِي بُكَيْرُ بْنُ فَيْرُوزَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ خَافَ أَدْلَجَ وَمَنْ أَدْلَجَ بَلَغَ الْمَنْزِلَ أَلاَ إِنَّ سِلْعَةَ اللَّهِ غَالِيَةٌ أَلاَ إِنَّ سِلْعَةَ اللَّهِ الْجَنَّةُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي النَّضْرِ .
হাদীস নং:২৪৫১
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৫১
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ।
২৪৫৪. আবু বকর ইবনে আবুন নযর (রাহঃ) ..... নবী (ﷺ) এর জনৈক সাহাবী আতিয়্যা সা‘দী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কোন বান্দা ততক্ষণ পর্যন্ত মুত্তাকীদের স্তরে পৌছাতে পারবে না যতক্ষণ না সে ক্ষতিজনক কাজে লিপ্ত হওয়ার ভয়ে ক্ষতিজনক কাজকেও পরিত্যাগ না করে।
بَابٌ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي النَّضْرِ، حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَقِيلٍ الثَّقَفِيُّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَقِيلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنِي رَبِيعَةُ بْنُ يَزِيدَ، وَعَطِيَّةُ بْنُ قَيْسٍ، عَنْ عَطِيَّةَ السَّعْدِيِّ، وَكَانَ، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَبْلُغُ الْعَبْدُ أَنْ يَكُونَ مِنَ الْمُتَّقِينَ حَتَّى يَدَعَ مَا لاَ بَأْسَ بِهِ حَذَرًا لِمَا بِهِ الْبَأْسُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
হাদীস নং:২৪৫২
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৫২
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ।
২৪৫৫. আব্বাস আল-আম্বারী (রাহঃ) ..... হানযালা আল উসায়দী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমার কাছে থাকা অবস্থায় তোমরা যেমন থাক সেই হালে যদি তোমরা সব সময় থাকতে পারতে তবে অবশ্যই ফিরিশতারা তাদের পাখনা দ্বারা তোমাদের ছায়া দিয়ে রাখতেন।
بَابٌ
حَدَّثَنَا عَبَّاسٌ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا عِمْرَانُ الْقَطَّانُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ، عَنْ حَنْظَلَةَ الأُسَيْدِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَوْ أَنَّكُمْ تَكُونُونَ كَمَا تَكُونُونَ عِنْدِي لأَظَلَّتْكُمُ الْمَلاَئِكَةُ بِأَجْنِحَتِهَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ عَنْ حَنْظَلَةَ الأُسَيْدِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:২৪৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৫৩
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ।
২৪৫৬. ইউসুফ ইবনে সালমান আবু আমর বসরী (রাহঃ) ...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ প্রতিটি বস্তরই জোয়ার আছে; আবার প্রতিটি জোয়ারেরই ভাটা আছে। এখন সেই আমলের অধিকারী ব্যক্তি যদি সোজা পথে চলে এবং প্রান্তিকতা ছেড়ে মাঝা-মাঝি পথ অবরম্বন করে চলে তবে তার সাফল্যের আশা করতে পার। আর তার দিকে যদি আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করা হয় (অর্থাৎ লোক দেখানোভাবে যে আমল করে) তবে তাকে (সালিহীনের মাঝে) গণনা করবে না।
بَابٌ
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ سَلْمَانَ أَبُو عُمَرَ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنِ الْقَعْقَاعِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ لِكُلِّ شَيْءٍ شِرَّةً وَلِكُلِّ شِرَّةٍ فَتْرَةً فَإِنْ كَانَ صَاحِبُهَا سَدَّدَ وَقَارَبَ فَارْجُوهُ وَإِنْ أُشِيرَ إِلَيْهِ بِالأَصَابِعِ فَلاَ تَعُدُّوهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . - وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " بِحَسْبِ امْرِئٍ مِنَ الشَّرِّ أَنْ يُشَارَ إِلَيْهِ بِالأَصَابِعِ فِي دِينٍ أَوْ دُنْيَا إِلاَّ مَنْ عَصَمَهُ اللَّهُ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৪৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৫৪
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ।
২৪৫৭. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ...... আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের জন্য একটি চতুর্ভূজ চিত্র আকলেন। চতুর্ভুজটির মধ্যভাগে একটি রেখা টানলেন। আর চতুর্ভুজটির সীমা অতিক্রম করে একটি রেখা টানলেন। আর মাঝের রেখাটির চতুর্থাংশে অনেকগুলি রেখা টানলেন। পরে বললেনঃ এ হল আদম সন্তান আর এটি হল তার জীবন-সীমা যা তাকে পরিবেষ্টন করে আছে। এই মাঝের রেখাটি হল মানুষ আর এর পার্শ্বের রেখাগুলো হল তার আপদ-বিপদ। একটি থেকে যদি সে মুক্তি পায় তবে আরেকটি তাকে কামড়ে ধরে। (সীমা অতিক্রমকারী) রেখাটি হল মানুষের আখাঙ্খা।
بَابٌ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي يَعْلَى، عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ خَطَّ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَطًّا مُرَبَّعًا وَخَطَّ فِي وَسَطِ الْخَطِّ خَطًّا وَخَطَّ خَارِجًا مِنَ الْخَطِّ خَطًّا وَحَوْلَ الَّذِي فِي الْوَسَطِ خُطُوطًا فَقَالَ " هَذَا ابْنُ آدَمَ وَهَذَا أَجَلُهُ مُحِيطٌ بِهِ وَهَذَا الَّذِي فِي الْوَسَطِ الإِنْسَانُ وَهَذِهِ الْخُطُوطُ عُرُوضُهُ إِنْ نَجَا مِنْ هَذَا يَنْهَشُهُ هَذَا وَالْخَطُّ الْخَارِجُ الأَمَلُ " . هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ .
হাদীস নং:২৪৫৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৫৫
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ।
২৪৫৮. কুতায়বা (রাহঃ) ..... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আদম সন্তান বৃদ্ধ হয় আর দু‘টো জিনিস তার মধ্যে জওয়ান হয়-সম্পদের মোহ এবং বাঁচার লোভ।
بَابٌ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَهْرَمُ ابْنُ آدَمَ وَيَشِبُّ مِنْهُ اثْنَانِ الْحِرْصُ عَلَى الْمَالِ وَالْحِرْصُ عَلَى الْعُمُرِ " . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৪৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৫৬
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ।
২৪৫৯. আবু হুরায়রা মুহাম্মাদ ইবনে ফিরাস বসরী (রাহঃ) ...... মুতাররিফ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে শিখখীর তার পিতা আব্দুল্লাহ ইবনে শিখখীর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ নিরানব্বইটি আপদ-বিপদ যুক্ত করে আদম সন্তানকে রূপায়িত করা করা হয়েছে। বিপদগুলি যদি কেটে যায় তবুও সে বার্ধক্যে পতিত হয়।
بَابٌ
حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، مُحَمَّدُ بْنُ فِرَاسٍ الْبَصْرِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو قُتَيْبَةَ، سَلْمُ بْنُ قُتَيْبَةَ حَدَّثَنَا أَبُو الْعَوَّامِ، وَهُوَ عِمْرَانُ الْقَطَّانُ عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُطَرِّفِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَثَلُ ابْنِ آدَمَ وَإِلَى جَنْبِهِ تِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ مَنِيَّةً إِنْ أَخْطَأَتْهُ الْمَنَايَا وَقَعَ فِي الْهَرَمِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:২৪৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৫৭
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ।
২৪৬০. হান্নাদ (রাহঃ) ..... তুফায়ল ইবনে উবাই ইবনে কা‘ব তার পিতা উবাই ইবনে কা‘ব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাত্রির দুই তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হওয়ার পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উঠে দাঁড়াতেন। বলতেনঃ হে লোক সকল, তোমরা আল্লাহকে স্মরণ কর, তোমরা আল্লাহকে স্মরণ কর, প্রথম শিংগা ধ্বনির সময় আসছে তাকে অনুসরণ করবে পরবর্তী শিংগা ধ্বনি। মৃত্যু তার সব ভয়াবহতা নিয়ে সমাগত, মৃত্যু তার সব কিছু নিয়ে সমাগত। উবাই (রাযিঃ) বললেনঃ আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমি আপনার উপর অধিক হারে দরূদ পাঠ করে থাকি। আমার সময়ের কতটুকু আপনার প্রতি দরূদ পাঠে ব্যয় করব?
তিনি বললেনঃ তোমার যতটুকু ইচ্ছা।
আমি বললামঃ এক চতুর্থাংশ সময়?
তিনি বললেনঃ তোমার ইচ্ছা। কিন্তু যদি আরো বাড়াও তবে ভাল।
আমি বললামঃ অর্ধেক সময়?
তিনি বললেনঃ তোমার যা ইচ্ছা; তবে আরো বৃদ্ধি করলে তা-ও ভাল।
আমি বললামঃ দুই তৃতীয়াংশ সময়?
তিনি বললেণঃ তোমার ইচ্ছা; তবে আরো বাড়ালে তাও ভাল।
আমি বললামঃ আমার সবটুকু সময় আপনার উপর দরূদ পাঠে লাগাব?
তিনি বললেনঃ তাহলে তো তোমার চিন্তামুক্তির জন্য তা যথেষ্ট হয়ে যাবে আর তোমার গুনাহ মাফ করা হবে।
তিনি বললেনঃ তোমার যতটুকু ইচ্ছা।
আমি বললামঃ এক চতুর্থাংশ সময়?
তিনি বললেনঃ তোমার ইচ্ছা। কিন্তু যদি আরো বাড়াও তবে ভাল।
আমি বললামঃ অর্ধেক সময়?
তিনি বললেনঃ তোমার যা ইচ্ছা; তবে আরো বৃদ্ধি করলে তা-ও ভাল।
আমি বললামঃ দুই তৃতীয়াংশ সময়?
তিনি বললেণঃ তোমার ইচ্ছা; তবে আরো বাড়ালে তাও ভাল।
আমি বললামঃ আমার সবটুকু সময় আপনার উপর দরূদ পাঠে লাগাব?
তিনি বললেনঃ তাহলে তো তোমার চিন্তামুক্তির জন্য তা যথেষ্ট হয়ে যাবে আর তোমার গুনাহ মাফ করা হবে।
بَابٌ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنِ الطُّفَيْلِ بْنِ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا ذَهَبَ ثُلُثَا اللَّيْلِ قَامَ فَقَالَ " يَا أَيُّهَا النَّاسُ اذْكُرُوا اللَّهَ اذْكُرُوا اللَّهَ جَاءَتِ الرَّاجِفَةُ تَتْبَعُهَا الرَّادِفَةُ جَاءَ الْمَوْتُ بِمَا فِيهِ جَاءَ الْمَوْتُ بِمَا فِيهِ " . قَالَ أُبَىٌّ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُكْثِرُ الصَّلاَةَ عَلَيْكَ فَكَمْ أَجْعَلُ لَكَ مِنْ صَلاَتِي فَقَالَ " مَا شِئْتَ " . قَالَ قُلْتُ الرُّبُعَ . قَالَ " مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ " . قُلْتُ النِّصْفَ . قَالَ " مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ " . قَالَ قُلْتُ فَالثُّلُثَيْنِ . قَالَ " مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ " . قُلْتُ أَجْعَلُ لَكَ صَلاَتِي كُلَّهَا . قَالَ " إِذًا تُكْفَى هَمَّكَ وَيُغْفَرُ لَكَ ذَنْبُكَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
হাদীস নং:২৪৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৫৮
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ।
২৪৬১. ইয়াহয়া ইবনে মুসা (রাহঃ) ...... আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহকে যাথাযথভাবে লজ্জা কর, আমরা বললামঃ হে আল্লাহর নবী, আলহামদুলিল্লাহ, আমরা তাঁকে অবশ্যই লজ্জা করি।
তিনি বললেনঃ তা নয়, আল্লাহকে যথাযথ ভাবে লজ্জা করার অর্থ হল, তুমি মাথা এবং তাতে যা সংরক্ষিত তা রক্ষা করবে; পেট এবং তাতে যা জমা আছে তা হিফাযত করবে; মৃত্যু ও হাড্ডি চুর্ণ-বিচুর্ণ হওয়ার কথা স্মরণ রাখবে; যে ব্যক্তি আখিরাতে অভীপ্সা রাখে সে দুনিয়ার আড়ম্বর পরিত্যাগ করে। যে ব্যক্তি এই কাজগুলি করল সেই আল্লাহকে যথাযথ ভাবে লজ্জা করল।
তিনি বললেনঃ তা নয়, আল্লাহকে যথাযথ ভাবে লজ্জা করার অর্থ হল, তুমি মাথা এবং তাতে যা সংরক্ষিত তা রক্ষা করবে; পেট এবং তাতে যা জমা আছে তা হিফাযত করবে; মৃত্যু ও হাড্ডি চুর্ণ-বিচুর্ণ হওয়ার কথা স্মরণ রাখবে; যে ব্যক্তি আখিরাতে অভীপ্সা রাখে সে দুনিয়ার আড়ম্বর পরিত্যাগ করে। যে ব্যক্তি এই কাজগুলি করল সেই আল্লাহকে যথাযথ ভাবে লজ্জা করল।
بَابٌ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ أَبَانَ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الصَّبَّاحِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ مُرَّةَ الْهَمْدَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اسْتَحْيُوا مِنَ اللَّهِ حَقَّ الْحَيَاءِ " . قَالَ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا لَنَسْتَحْيِي وَالْحَمْدُ لِلَّهِ . قَالَ " لَيْسَ ذَاكَ وَلَكِنَّ الاِسْتِحْيَاءَ مِنَ اللَّهِ حَقَّ الْحَيَاءِ أَنْ تَحْفَظَ الرَّأْسَ وَمَا وَعَى وَتَحْفَظَ الْبَطْنَ وَمَا حَوَى وَتَتَذَكَّرَ الْمَوْتَ وَالْبِلَى وَمَنْ أَرَادَ الآخِرَةَ تَرَكَ زِينَةَ الدُّنْيَا فَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَقَدِ اسْتَحْيَا مِنَ اللَّهِ حَقَّ الْحَيَاءِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ أَبَانَ بْنِ إِسْحَاقَ عَنِ الصَّبَّاحِ بْنِ مُحَمَّدٍ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৪৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৫৯
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ।
২৪৬২. সুফিয়ান ইবনে ওয়াকীর‘ (রাহঃ) ও আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) ......শাদ্দাদ ইবনে আওস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ বুদ্ধিমান হল সেই ব্যক্তি যে ব্যক্তি স্বীয় নফসকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং মৃত্যুর পরের জন্য আমল করে। অক্ষম হল সে ব্যক্তি যে ব্যক্তি স্বীয় নফসের চাহিদার অনুসরণ করে চলে আর সে আল্লাহর কাছে অলীক আশা পোষণ করে।
بَابٌ
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ ضَمْرَةَ بْنِ حَبِيبٍ، عَنْ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْكَيِّسُ مَنْ دَانَ نَفْسَهُ وَعَمِلَ لِمَا بَعْدَ الْمَوْتِ وَالْعَاجِزُ مَنْ أَتْبَعَ نَفْسَهُ هَوَاهَا وَتَمَنَّى عَلَى اللَّهِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . قَالَ وَمَعْنَى قَوْلِهِ " مَنْ دَانَ نَفْسَهُ " . يَقُولُ حَاسَبَ نَفْسَهُ فِي الدُّنْيَا قَبْلَ أَنْ يُحَاسَبَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ . وَيُرْوَى عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ حَاسِبُوا أَنْفُسَكُمْ قَبْلَ أَنْ تُحَاسَبُوا وَتَزَيَّنُوا لِلْعَرْضِ الأَكْبَرِ وَإِنَّمَا يَخِفُّ الْحِسَابُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَى مَنْ حَاسَبَ نَفْسَهُ فِي الدُّنْيَا . وَيُرْوَى عَنْ مَيْمُونِ بْنِ مِهْرَانَ قَالَ لاَ يَكُونُ الْعَبْدُ تَقِيًّا حَتَّى يُحَاسِبَ نَفْسَهُ كَمَا يُحَاسِبُ شَرِيكَهُ مِنْ أَيْنَ مَطْعَمُهُ وَمَلْبَسُهُ .
হাদীস নং:২৪৬০
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৬০
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ।
২৪৬৩. মুহাম্মাদ ইবনে আহমাদ, ইনি হলেন ইবনে মাদ্দুওয়াহ (রাহঃ) ...... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (জানাযার) নামাযে দাঁড়ালেন। এমন সময় কিছু লোককে হাসাহাসি করতে দেখতে পেলেন। তখন তিনি বললেন, শোন, তোমরা যদি স্বাদ বিনষ্টকারী বিষয়টির বেশী আলোচনা করতে তবে তোমাদের যে অবস্থা দেখছি তা থেকে তোমাদের বিরত রাখত। (দুনিয়ার) স্বাদ বিনষ্টকারী বিষয় মৃত্যুর কথা বেশী স্মরণ রাখবে। কেননা এমন কোন দিন যায় না যে কবর এ কথা না বলেঃ আমি অপরিচিতদের ঘর, আমি একাকী থাকার ঘর, আমি মাটির ঘর, আমি পোকা-মাকড়ের ঘর।
যখন কোন মু’মিন বান্দাকে দাফন করা হয় তখন কবর তাকে বলে ধন্যবাদ তোমার, আপনজনের মাঝে এসেছ তুমি। শোন আমার পৃষ্ঠে যারা চলা-ফেরা করত তাদের মাঝে তুমিই ছিলে আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয়, আজ যখন তুমি আমার তত্ত্বাবধানে এসেছ এবং আমারই তুমি হয়ে গেছ তখন তোমার সঙ্গে আমি কি আচরণ করি তা অচিরেই তুমি দেখতে পাবে। এরপর দৃষ্টি যতদুর যায় ততদুর পর্যন্ত কবর তার জন্য বিস্তৃত হয়ে যায় এবং জান্নাতের দিকে তার একটি দরজা খুলে দেওয়া হয়।
আর যখন কোন কাফির বদকার বান্দাকে দাফন করা হয় তাকে কবর বলেঃ তোমার জন্য কোন মারহাবা নেই, তুমি তোমার আপন জনের কাছে পৌছ নাই। আমার পিঠে যারা বিচরণ করত তাদের মাঝে তুমিই ছিলে আমার কাছে সবচেয়ে ঘৃণ্য। আজ যখন তুমি আমার কবজায় এসেছ এবং আমার কাছেই চলে এসেছ তখন তোমার সঙ্গে আমার কি ব্যবহার হবে তা অচিরেই দেখতে পাবে। এরপর কবর তার উপর চেপে যায় ফলে তার পাজরের হাড্ডিগুলি একটি আরেকটির ভেতর ঢুকে পড়ে।
আবু সাঈদ (রাযিঃ) বলেনঃ এ স্থানে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর এক হাতের আঙ্গুল আরেক হাতের আঙ্গুলে ঢুকিয়ে ইশারা করে দেখালেন।
তিনি বলেনঃ তার উপর সত্তরটি বিরাট সাপ নিযুক্ত করে দেওয়া হয়। এর একটিও যদি দুনিয়ায় শ্বাস ফেলে তবে দুনিয়া যতদিন বাকী থাকবে ততদিনও আর তাতে কিছু উৎপাদিত হবে না। হিসাব-নিকাশের দিন পর্যন্ত এ সাপগুলি তাকে কামড়াতে থাকবে। খামচাতে থাকবে। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কবর তো হল জান্নাতের বাগানসমূহের একটি বাগান কিংবা জাহান্নামের গহ্বর সমূহের একটি গহ্বর।
যখন কোন মু’মিন বান্দাকে দাফন করা হয় তখন কবর তাকে বলে ধন্যবাদ তোমার, আপনজনের মাঝে এসেছ তুমি। শোন আমার পৃষ্ঠে যারা চলা-ফেরা করত তাদের মাঝে তুমিই ছিলে আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয়, আজ যখন তুমি আমার তত্ত্বাবধানে এসেছ এবং আমারই তুমি হয়ে গেছ তখন তোমার সঙ্গে আমি কি আচরণ করি তা অচিরেই তুমি দেখতে পাবে। এরপর দৃষ্টি যতদুর যায় ততদুর পর্যন্ত কবর তার জন্য বিস্তৃত হয়ে যায় এবং জান্নাতের দিকে তার একটি দরজা খুলে দেওয়া হয়।
আর যখন কোন কাফির বদকার বান্দাকে দাফন করা হয় তাকে কবর বলেঃ তোমার জন্য কোন মারহাবা নেই, তুমি তোমার আপন জনের কাছে পৌছ নাই। আমার পিঠে যারা বিচরণ করত তাদের মাঝে তুমিই ছিলে আমার কাছে সবচেয়ে ঘৃণ্য। আজ যখন তুমি আমার কবজায় এসেছ এবং আমার কাছেই চলে এসেছ তখন তোমার সঙ্গে আমার কি ব্যবহার হবে তা অচিরেই দেখতে পাবে। এরপর কবর তার উপর চেপে যায় ফলে তার পাজরের হাড্ডিগুলি একটি আরেকটির ভেতর ঢুকে পড়ে।
আবু সাঈদ (রাযিঃ) বলেনঃ এ স্থানে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর এক হাতের আঙ্গুল আরেক হাতের আঙ্গুলে ঢুকিয়ে ইশারা করে দেখালেন।
তিনি বলেনঃ তার উপর সত্তরটি বিরাট সাপ নিযুক্ত করে দেওয়া হয়। এর একটিও যদি দুনিয়ায় শ্বাস ফেলে তবে দুনিয়া যতদিন বাকী থাকবে ততদিনও আর তাতে কিছু উৎপাদিত হবে না। হিসাব-নিকাশের দিন পর্যন্ত এ সাপগুলি তাকে কামড়াতে থাকবে। খামচাতে থাকবে। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কবর তো হল জান্নাতের বাগানসমূহের একটি বাগান কিংবা জাহান্নামের গহ্বর সমূহের একটি গহ্বর।
بَابٌ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنُ مَدُّويَهْ التِّرْمِذِيُّ، حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ الْحَكَمِ الْعُرَنِيُّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ الْوَلِيدِ الْوَصَّافِيُّ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُصَلاَّهُ فَرَأَى نَاسًا كَأَنَّهُمْ يَكْتَشِرُونَ قَالَ " أَمَا إِنَّكُمْ لَوْ أَكْثَرْتُمْ ذِكْرَ هَاذِمِ اللَّذَّاتِ لَشَغَلَكُمْ عَمَّا أَرَى فَأَكْثِرُوا مِنْ ذِكْرِ هَاذِمِ اللَّذَّاتِ الْمَوْتِ فَإِنَّهُ لَمْ يَأْتِ عَلَى الْقَبْرِ يَوْمٌ إِلاَّ تَكَلَّمَ فِيهِ فَيَقُولُ أَنَا بَيْتُ الْغُرْبَةِ وَأَنَا بَيْتُ الْوَحْدَةِ وَأَنَا بَيْتُ التُّرَابِ وَأَنَا بَيْتُ الدُّودِ . فَإِذَا دُفِنَ الْعَبْدُ الْمُؤْمِنُ قَالَ لَهُ الْقَبْرُ مَرْحَبًا وَأَهْلاً أَمَا إِنْ كُنْتَ لأَحَبَّ مَنْ يَمْشِي عَلَى ظَهْرِي إِلَىَّ فَإِذْ وُلِّيتُكَ الْيَوْمَ وَصِرْتَ إِلَىَّ فَسَتَرَى صَنِيعِي بِكَ . قَالَ فَيَتَّسِعُ لَهُ مَدَّ بَصَرِهِ وَيُفْتَحُ لَهُ بَابٌ إِلَى الْجَنَّةِ . وَإِذَا دُفِنَ الْعَبْدُ الْفَاجِرُ أَوِ الْكَافِرُ قَالَ لَهُ الْقَبْرُ لاَ مَرْحَبًا وَلاَ أَهْلاً أَمَا إِنْ كُنْتَ لأَبْغَضَ مَنْ يَمْشِي عَلَى ظَهْرِي إِلَىَّ فَإِذْ وُلِّيتُكَ الْيَوْمَ وَصِرْتَ إِلَىَّ فَسَتَرَى صَنِيعِي بِكَ . قَالَ فَيَلْتَئِمُ عَلَيْهِ حَتَّى تَلْتَقِيَ عَلَيْهِ وَتَخْتَلِفَ أَضْلاَعُهُ . قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِأَصَابِعِهِ فَأَدْخَلَ بَعْضَهَا فِي جَوْفِ بَعْضٍ قَالَ " وَيُقَيِّضُ اللَّهُ لَهُ سَبْعِينَ تِنِّينًا لَوْ أَنَّ وَاحِدًا مِنْهَا نَفَخَ فِي الأَرْضِ مَا أَنْبَتَتْ شَيْئًا مَا بَقِيَتِ الدُّنْيَا فَيَنْهَشْنَهُ وَيَخْدِشْنَهُ حَتَّى يُفْضَى بِهِ إِلَى الْحِسَابِ " . قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا الْقَبْرُ رَوْضَةٌ مِنْ رِيَاضِ الْجَنَّةِ أَوْ حُفْرَةٌ مِنْ حُفَرِ النَّارِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
হাদীস নং:২৪৬১
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৬১
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ।
২৪৬৪. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ...... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) বলেছেনঃ আমি রাসূলুল্লা্হ (ﷺ) এর কাছে গেলাম। তিনি একটি চাটাইয়ের উপর কাত হয়ে শোয়া ছিলেন। তাঁর পার্শ্বদেশ চাটাইয়ের বুনুনের দাগ পড়ে গেছে। হাদীসটিতে দীর্ঘ এক কাহিনী রয়েছে।
بَابٌ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي ثَوْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ أَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا هُوَ مُتَّكِئٌ عَلَى رَمْلِ حَصِيرٍ فَرَأَيْتُ أَثَرَهُ فِي جَنْبِهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَفِي الْحَدِيثِ قِصَّةٌ طَوِيلَةٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৪৬২
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৬২
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ।
২৪৬৫. সুওয়ায়াদ ইবনে নসর (রাহঃ) ...... রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী এবং আমির ইবনে লুওয়াই গোত্রের হালীফ আমর ইবনে আওফ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবু উবাইদা (রাযিঃ)কে (বাহরাইনের দিক) প্রেরণ করেন। পরে তিনি বাহরাইন থেকে মাল নিয়ে ফিরে আসেন। আনসারী সাহাবীরা আবু উবাইদা (রাযিঃ)-এর আগমনের সংবাদ পেয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সঙ্গে ফজরের নামাযে এসে শামিল হলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামাযের পর যখন ঘুরে বসলেন তখন তারা সবাই তাঁর সামনে এসে গেলেন। তাদের দেখে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সামান্য হাসলেন। বললেনঃ আমার মনে হয় আবু উবাইদা কিছু নিয়ে এসেছেন বলে তোমরা শুনেছ? তাঁরা বললেনঃ হ্যাঁ আল্লাহর রাসুল।
তিনি বললেনঃ তোমরা খোশখবরী গ্রহণ কর, তোমাদের যা আনন্দিত করবে এমন বিষয়ের আশা পোষণ কর। আমি তোমাদের দারিদ্রের আশা করি না। আমি তো আশঙ্কা করি যে, তোমাদের পূর্ববর্তীতের জন্য যেমন দুনিয়া প্রশস্ত করে দেওয়া হয়েছিল তোমাদের জন্য তেমনিভাবে দুনিয়া বিস্তৃত করে দেওয়া হবে। অনন্তর তারা যেমন এর প্রতিযোগীতায় মত্ত হয়েছিল তোমরাও সেভাবে এর প্রতিযোগীতায় মত্ত হবে। শেষে এ যেমন তাদের ধ্বংস করেছিল তেমনি তা তোমাদেরও ধ্বংস করবে।
তিনি বললেনঃ তোমরা খোশখবরী গ্রহণ কর, তোমাদের যা আনন্দিত করবে এমন বিষয়ের আশা পোষণ কর। আমি তোমাদের দারিদ্রের আশা করি না। আমি তো আশঙ্কা করি যে, তোমাদের পূর্ববর্তীতের জন্য যেমন দুনিয়া প্রশস্ত করে দেওয়া হয়েছিল তোমাদের জন্য তেমনিভাবে দুনিয়া বিস্তৃত করে দেওয়া হবে। অনন্তর তারা যেমন এর প্রতিযোগীতায় মত্ত হয়েছিল তোমরাও সেভাবে এর প্রতিযোগীতায় মত্ত হবে। শেষে এ যেমন তাদের ধ্বংস করেছিল তেমনি তা তোমাদেরও ধ্বংস করবে।
بَابٌ
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ مَعْمَرٍ، وَيُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَنَّ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَمْرَو بْنَ عَوْفٍ وَهُوَ حَلِيفُ بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَىٍّ وَكَانَ شَهِدَ بَدْرًا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ فَقَدِمَ بِمَالٍ مِنَ الْبَحْرَيْنِ وَسَمِعَتِ الأَنْصَارُ بِقُدُومِ أَبِي عُبَيْدَةَ فَوَافَوْا صَلاَةَ الْفَجْرِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم انْصَرَفَ فَتَعَرَّضُوا لَهُ فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ رَآهُمْ ثُمَّ قَالَ " أَظُنُّكُمْ سَمِعْتُمْ أَنَّ أَبَا عُبَيْدَةَ قَدِمَ بِشَيْءٍ " . قَالُوا أَجَلْ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " فَأَبْشِرُوا وَأَمِّلُوا مَا يَسُرُّكُمْ فَوَاللَّهِ مَا الْفَقْرَ أَخْشَى عَلَيْكُمْ وَلَكِنِّي أَخْشَى أَنْ تُبْسَطَ الدُّنْيَا عَلَيْكُمْ كَمَا بُسِطَتْ عَلَى مَنْ قَبْلَكُمْ فَتَنَافَسُوهَا كَمَا تَنَافَسُوهَا فَتُهْلِكَكُمْ كَمَا أَهْلَكَتْهُمْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
হাদীস নং:২৪৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৬৩
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ।
২৪৬৬. সুওয়ায়দ (রাহঃ) ..... হাকিম ইবনে হিযাম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি রালুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে (কিছু মাল) চাইলাম। তিনি আমাকে তা দিলেন। পরে আবার চাইলাম। তখনও তিনি তা আমাকে দিলেন। তারপর অবার চাইলাম। এবারও তিনি আমাকে তা দিলেন। এরপর বললেনঃ হে হাকিম, এ সম্পদ তো সবুজ-শ্যামল ও লোভনীয়। কেউ যদি তা হৃদয়ের বদান্যতার সাথে গ্রহণ করে তার জন্য তা বরকতময় করে দেওয়া হয়। আর কেউ যদি তা মনের লোভে গ্রহণ করে তবে এতে তার জন্য কোন বরকত হয় না। ঐ ব্যক্তির মত অবস্থা হয় যে ব্যক্তি খায় কিন্তু পেট ভরে না। আর উপরের হাত (দানের হাত) নীচের হাত (গ্রহীতার হাত) থেকে উত্তম।
হাকীম (রাযিঃ) বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, এ দুনিয়া যতদিন ত্যাগ করে না গেছি ততদিন আপনার পর আর কাউকে কিছু চেয়ে তার সম্পদ হ্রাস ঘটাব না। পরে আবু বকর (রাযিঃ) হাকীম (রাযিঃ)-কে কিছু দিতে ডেকেছিলেন কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। এরপর উমর (রাযিঃ)ও তাকে কিছু দিতে ডেকেছিলেন। কিন্তু তিনি কিছু নিতে অস্বীকার করেন। তখন উমর (রাযিঃ) বললেনঃ হে মুসলিম সম্প্রদায়, হাকীমরে বিষয়ে আমি তোমাদিগকে সাক্ষী রাখছি যে, ফাঈ সম্পদ থেকে তার প্রাপ্য হক আমি তার কাছে পেশ করেছিলাম কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন। যা হোক, নবী (ﷺ) এর পর মৃত্যু পর্যন্তও হাকীম (রাযিঃ) আর কারো কাছে কিছু গ্রহণ করেন নি।
হাকীম (রাযিঃ) বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, এ দুনিয়া যতদিন ত্যাগ করে না গেছি ততদিন আপনার পর আর কাউকে কিছু চেয়ে তার সম্পদ হ্রাস ঘটাব না। পরে আবু বকর (রাযিঃ) হাকীম (রাযিঃ)-কে কিছু দিতে ডেকেছিলেন কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। এরপর উমর (রাযিঃ)ও তাকে কিছু দিতে ডেকেছিলেন। কিন্তু তিনি কিছু নিতে অস্বীকার করেন। তখন উমর (রাযিঃ) বললেনঃ হে মুসলিম সম্প্রদায়, হাকীমরে বিষয়ে আমি তোমাদিগকে সাক্ষী রাখছি যে, ফাঈ সম্পদ থেকে তার প্রাপ্য হক আমি তার কাছে পেশ করেছিলাম কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন। যা হোক, নবী (ﷺ) এর পর মৃত্যু পর্যন্তও হাকীম (রাযিঃ) আর কারো কাছে কিছু গ্রহণ করেন নি।
بَابٌ
حَدَّثَنَا سُوَيْدٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، وَابْنِ الْمُسَيَّبِ، أَنَّ حَكِيمَ بْنَ حِزَامٍ، قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَعْطَانِي ثُمَّ سَأَلْتُهُ فَأَعْطَانِي ثُمَّ سَأَلْتُهُ فَأَعْطَانِي ثُمَّ قَالَ " يَا حَكِيمُ إِنَّ هَذَا الْمَالَ خَضِرَةٌ حُلْوَةٌ فَمَنْ أَخَذَهُ بِسَخَاوَةِ نَفْسٍ بُورِكَ لَهُ فِيهِ وَمَنْ أَخَذَهُ بِإِشْرَافِ نَفْسٍ لَمْ يُبَارَكْ لَهُ فِيهِ وَكَانَ كَالَّذِي يَأْكُلُ وَلاَ يَشْبَعُ وَالْيَدُ الْعُلْيَا خَيْرٌ مِنَ الْيَدِ السُّفْلَى " . فَقَالَ حَكِيمٌ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لاَ أَرْزَأُ أَحَدًا بَعْدَكَ شَيْئًا حَتَّى أُفَارِقَ الدُّنْيَا . فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يَدْعُو حَكِيمًا إِلَى الْعَطَاءِ فَيَأْبَى أَنْ يَقْبَلَهُ ثُمَّ إِنَّ عُمَرَ دَعَاهُ لِيُعْطِيَهُ فَأَبَى أَنْ يَقْبَلَ مِنْهُ شَيْئًا فَقَالَ عُمَرُ إِنِّي أُشْهِدُكُمْ يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ عَلَى حَكِيمٍ أَنِّي أَعْرِضُ عَلَيْهِ حَقَّهُ مِنْ هَذَا الْفَىْءِ فَيَأْبَى أَنْ يَأْخُذَهُ . فَلَمْ يَرْزَأْ حَكِيمٌ أَحَدًا مِنَ النَّاسِ شَيْئًا بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى تُوُفِّيَ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ .
হাদীস নং:২৪৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৬৪
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ।
২৪৬৭. কুতায়বা (রাহঃ) ..... আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে অনেক কষ্ট ও বিপদ-আপদের দ্বারা পরীক্ষিত হয়েছি কিন্তু আমরা তাতে ধৈর্যধারণ করতে পেরেছিলাম। অতপর তাঁর ইন্তিকালের পর সুখ-স্বাচ্ছন্দের পরীক্ষায় পড়েছি কিন্তু এতে আমরা সবর করতে পারিনি।
بَابٌ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو صَفْوَانَ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، قَالَ ابْتُلِينَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالضَّرَّاءِ فَصَبَرْنَا ثُمَّ ابْتُلِينَا بِالسَّرَّاءِ بَعْدَهُ فَلَمْ نَصْبِرْ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৪৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৬৫
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ।
২৪৬৮. হান্নাদ (রাহঃ) ..... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আখিরাত যার একমাত্র চিন্তা ও লক্ষ্য আল্লাহ তাআলা তার হৃদয়কে অভাবমুক্ত করে দেন এবং বিক্ষিপ্ত বিষয়াবলীকে সমাধান করে দেন এবং তার কাছে দুনিয়া তুচ্ছ হয়ে আসে। পক্ষান্তরে যার চিন্তা ও লক্ষ্য হয় দুনিয়া আল্লাহ তাআলা তার দু’ চোখের সামনে অভাব তুলে ধরেন, তার সমস্যাগুলোকে বিক্ষিপ্ত করে দেন আর যতটুকু তার জন্য নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে এর অতিরিক্ত দুনিয়া সে পায় না।
بَابٌ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ صَبِيحٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبَانَ، وَهُوَ الرَّقَاشِيُّ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ كَانَتِ الآخِرَةُ هَمَّهُ جَعَلَ اللَّهُ غِنَاهُ فِي قَلْبِهِ وَجَمَعَ لَهُ شَمْلَهُ وَأَتَتْهُ الدُّنْيَا وَهِيَ رَاغِمَةٌ وَمَنْ كَانَتِ الدُّنْيَا هَمَّهُ جَعَلَ اللَّهُ فَقْرَهُ بَيْنَ عَيْنَيْهِ وَفَرَّقَ عَلَيْهِ شَمْلَهَ وَلَمْ يَأْتِهِ مِنَ الدُّنْيَا إِلاَّ مَا قُدِّرَ لَهُ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান