আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
১২- জানাযা-কাফন-দাফন সম্পর্কিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ২১২৭
আন্তর্জাতিক নং: ৯৭৪-১
২৯. কবরস্থানে প্রবেশের দুআ
২১২৭। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া তামিমী, ইয়াহয়া ইবনে আইয়ুব ও কুতায়রা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যে রাতে আমার ঘরে থাকতেন, সে রাতের শেষভাগে গারাকাদে বাকীতে গিয়ে বলতেন ″আলসালামু আলাইকুম ও মুমিন বান্দাদের বাসস্থান, তোমাদেরকে যা ওয়াদা করা হয়েছে আল্লাহ তাআ’লা তা তোমাদের দিয়েছেন, আগামীকালে জন্য যা ওয়াদা করা হয়েছে তা (কিয়ামতে) দিবেন। আমরাও ইনশাআল্লাহ তোমাদের সাথে মিলিত হব। হে আল্লাহ! বাকীউল গারকাদের বাসিন্দাদেরকে ক্ষমা করে দাও।″ কিন্তু কুতায়বা ″তোমাদেরকে দেয়া হয়েছে″ কথাটি বলেন নি।
باب مَا يُقَالُ عِنْدَ دُخُولِ الْقُبُورِ وَالدُّعَاءِ لأَهْلِهَا
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شَرِيكٍ، - وَهُوَ ابْنُ أَبِي نَمِرٍ - عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - كُلَّمَا كَانَ لَيْلَتُهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - يَخْرُجُ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ إِلَى الْبَقِيعِ فَيَقُولُ " السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ دَارَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ وَأَتَاكُمْ مَا تُوعَدُونَ غَدًا مُؤَجَّلُونَ وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لاَحِقُونَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لأَهْلِ بَقِيعِ الْغَرْقَدِ " . وَلَمْ يُقِمْ قُتَيْبَةُ قَوْلَهُ " وَأَتَاكُمْ " .
হাদীস নং: ২১২৮
আন্তর্জাতিক নং: ৯৭৪-২
২৯. কবরস্থানে প্রবেশের দুআ
২১২৮। হারুন ইবনে সাঈদ আয়লী (রাহঃ) ......... মুহাম্মাদ ইবনে কায়স (রাহঃ) বলেন, আমি আয়িশা (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি যে, আমি কি তোমাদের কাছে নবী (ﷺ) ও আমার সম্পর্কে বর্ণনা করব না? আমরা বললাম, হ্যাঁ, অবশ্যই বর্ণনা করুন। ইমাম মুসলিম (রাহঃ) হাজ্জাজ আওয়ার (রাহঃ) থেকে যিনি শুনেছেন এরূপ উস্তাদ থেকে ......... জনৈক কুলায়শী আব্দুল্লাহ (রাহঃ) থেকে মুহাম্মাদ ইবনে কায়স ইবনে মাখরামা ইবনে মুত্তালিব (রাহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি একদিন বলেন, আমি কি তোমাদেরকে আমার ও আমার মায়ের কথা শুনাবো না? রাবী আব্দুল্লাহ (রাহঃ) বলেন, আমরা মনে করলাম, তিনি তার জন্মদাত্রী মায়ের কথা বলতে চাচ্ছেন।
এরপর তিনি বললেন, আয়িশা (রাযিঃ) বলেছেন, আমি কি তোমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও আমার কথা শুনাবো না? আমরা বললাম, হ্যাঁ, নিশ্চয়ই বর্ণনা করুন। রাবী বলেন তিনি বললেন, নবী (ﷺ) আমার পালার যে রাতে আমার কাছে ছিলেন, সে রাতে তিনি বাইরে থেকে এসে চাঁদর রেখে দিলেন, জুতা খুলে নিলেন এবং জুতা দুটি তার পায়ের দিকে রেখে চাঁদরের এক কিনারা বিছানার উপর বিছিয়ে দিলেন এবং শুয়ে পড়লেন। তিনি এতটুকু সময় অপেক্ষা করেন যতটুকু সময়ে তিনি আমার ঘুমিয়ে পড়ার ধারণা করলেন।
তারপর অতি সন্তর্পণে চাদর নিলেন, জুতা পরলেন ও দরজা খুলে বেরিয়ে গেলেন। তারপর সাবধানে দরজা বন্ধ করে চলে গেলেন। আমিও আমার ওড়না মাথায় দিলাম, জামা পরে নিলাম এবং ইযার বেঁধে নিলাম। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পিছনে পিছনে রওয়ানা হলাম। তিনি গারাকাদে বাকীতে পৌঁছে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন। তিনবার হাত উঠালেন। তারপর ফিরে আসতে লাগলেন, আমিও রওয়ানা হয়ে পড়লাম। তিনি দ্রুতগতিতে আসতে লাগলেন, আমিও আমার গতি বাড়িয়ে দিলাম। তিনি দৌড়াতে শুরু করলেন আমিও দৌড়াতে লাগলাম। তিনি ঘরে এসে পৌছলেন, আমিও তাঁর পূর্বক্ষণে এসে পৌছলাম এবং ঘরে প্রবেশ করেই শুয়ে পড়ার সাথে সাথে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এসে প্রবেশ করলেন এবং বললেন, হে আয়িশা! কী হয়েছে? তুমি ঘনঘন দীর্ঘশ্বাস গ্রহণ করছ কেন? আমি বললাম, কিছুই না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি বলে দাও, নতুবা সর্বজ্ঞ সুক্ষ্মদর্শী আল্লাহ আমাকে জানিয়ে দিবেন।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমার পিতা-মাতা আপনার উপর কুরবান। অতঃপর ঘটনা বর্ণনা করলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেলেন, আমার সামনে একটি মানুষের দেহের ছায়ার ন্যায় দেখা যাচ্ছিল তাহলে সে ছায়া তুমিই ছিলে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তখন তিনি আমার বুকে একটি ধাক্কা মারলেন, তাতে আমি ব্যাথা পেলাম। তারপর বললেন, তুমি কি ধারণা করেছিলে আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল তোমার প্রতি অবিচার করবে? আয়িশা বললেন, হ্যাঁ, তাই। অনেক সময় মানুষ গোপন রাখতে চায়, আর আল্লাহ তা প্রকাশ করে দেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) এসেছিলেন। যখন তুমি আমাকে বের হতে দেখেছিলে। এসে আমাকে তিনি ডাকলেন এবং তোমার থেকে ব্যাপার গোপন রাখতে চাইলেন। আমি তাঁর ইচ্ছানূযায়ী তোমার থেকে গোপন রাখলাম তিনি তোমার ঘরে প্রবেশ করতে চাচ্ছিলেন না যেহেতু তুমি কাপড় রেখে দিয়েছিলে।
আর আমি ধারণা করলাম তুমি ঘুমিয়ে পড়েছে, তাই তোমাকে জাগানো পছন্দ করি নি এবং আমার আশঙ্কা হল তুমি (একাকীঁ) ভয় পাবে। জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) বললেন, আপনার রব আপনাকে আদেশ করেছেন, গারাকাদে বাকীতে গিয়ে তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! তাদের জন্য আমরা কী বলব? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এভাবে বলঃ ″কবরবাসী মুমিন মুসলমানদের প্রতি সালাম, আল্লাহ অগ্রগামী পশ্চাৎগামী সবার প্রতি দয়া করুন আমরাও ইনশাআল্লাহ অবশ্য তোমাদের সাথে মিলিত হব।″
এরপর তিনি বললেন, আয়িশা (রাযিঃ) বলেছেন, আমি কি তোমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও আমার কথা শুনাবো না? আমরা বললাম, হ্যাঁ, নিশ্চয়ই বর্ণনা করুন। রাবী বলেন তিনি বললেন, নবী (ﷺ) আমার পালার যে রাতে আমার কাছে ছিলেন, সে রাতে তিনি বাইরে থেকে এসে চাঁদর রেখে দিলেন, জুতা খুলে নিলেন এবং জুতা দুটি তার পায়ের দিকে রেখে চাঁদরের এক কিনারা বিছানার উপর বিছিয়ে দিলেন এবং শুয়ে পড়লেন। তিনি এতটুকু সময় অপেক্ষা করেন যতটুকু সময়ে তিনি আমার ঘুমিয়ে পড়ার ধারণা করলেন।
তারপর অতি সন্তর্পণে চাদর নিলেন, জুতা পরলেন ও দরজা খুলে বেরিয়ে গেলেন। তারপর সাবধানে দরজা বন্ধ করে চলে গেলেন। আমিও আমার ওড়না মাথায় দিলাম, জামা পরে নিলাম এবং ইযার বেঁধে নিলাম। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পিছনে পিছনে রওয়ানা হলাম। তিনি গারাকাদে বাকীতে পৌঁছে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন। তিনবার হাত উঠালেন। তারপর ফিরে আসতে লাগলেন, আমিও রওয়ানা হয়ে পড়লাম। তিনি দ্রুতগতিতে আসতে লাগলেন, আমিও আমার গতি বাড়িয়ে দিলাম। তিনি দৌড়াতে শুরু করলেন আমিও দৌড়াতে লাগলাম। তিনি ঘরে এসে পৌছলেন, আমিও তাঁর পূর্বক্ষণে এসে পৌছলাম এবং ঘরে প্রবেশ করেই শুয়ে পড়ার সাথে সাথে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এসে প্রবেশ করলেন এবং বললেন, হে আয়িশা! কী হয়েছে? তুমি ঘনঘন দীর্ঘশ্বাস গ্রহণ করছ কেন? আমি বললাম, কিছুই না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি বলে দাও, নতুবা সর্বজ্ঞ সুক্ষ্মদর্শী আল্লাহ আমাকে জানিয়ে দিবেন।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমার পিতা-মাতা আপনার উপর কুরবান। অতঃপর ঘটনা বর্ণনা করলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেলেন, আমার সামনে একটি মানুষের দেহের ছায়ার ন্যায় দেখা যাচ্ছিল তাহলে সে ছায়া তুমিই ছিলে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তখন তিনি আমার বুকে একটি ধাক্কা মারলেন, তাতে আমি ব্যাথা পেলাম। তারপর বললেন, তুমি কি ধারণা করেছিলে আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল তোমার প্রতি অবিচার করবে? আয়িশা বললেন, হ্যাঁ, তাই। অনেক সময় মানুষ গোপন রাখতে চায়, আর আল্লাহ তা প্রকাশ করে দেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) এসেছিলেন। যখন তুমি আমাকে বের হতে দেখেছিলে। এসে আমাকে তিনি ডাকলেন এবং তোমার থেকে ব্যাপার গোপন রাখতে চাইলেন। আমি তাঁর ইচ্ছানূযায়ী তোমার থেকে গোপন রাখলাম তিনি তোমার ঘরে প্রবেশ করতে চাচ্ছিলেন না যেহেতু তুমি কাপড় রেখে দিয়েছিলে।
আর আমি ধারণা করলাম তুমি ঘুমিয়ে পড়েছে, তাই তোমাকে জাগানো পছন্দ করি নি এবং আমার আশঙ্কা হল তুমি (একাকীঁ) ভয় পাবে। জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) বললেন, আপনার রব আপনাকে আদেশ করেছেন, গারাকাদে বাকীতে গিয়ে তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! তাদের জন্য আমরা কী বলব? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এভাবে বলঃ ″কবরবাসী মুমিন মুসলমানদের প্রতি সালাম, আল্লাহ অগ্রগামী পশ্চাৎগামী সবার প্রতি দয়া করুন আমরাও ইনশাআল্লাহ অবশ্য তোমাদের সাথে মিলিত হব।″
باب مَا يُقَالُ عِنْدَ دُخُولِ الْقُبُورِ وَالدُّعَاءِ لأَهْلِهَا
وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَثِيرِ بْنِ الْمُطَّلِبِ، أَنَّهُ سَمِعَ مُحَمَّدَ بْنَ قَيْسٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ عَائِشَةَ، تُحَدِّثُ فَقَالَتْ أَلاَ أُحَدِّثُكُمْ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَعَنِّي . قُلْنَا بَلَى ح. وَحَدَّثَنِي مَنْ، سَمِعَ حَجَّاجًا الأَعْوَرَ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالَ حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ، - رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ - عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ قَيْسِ بْنِ مَخْرَمَةَ، بْنِ الْمُطَّلِبِ أَنَّهُ قَالَ يَوْمًا أَلاَ أُحَدِّثُكُمْ عَنِّي وَعَنْ أُمِّي قَالَ فَظَنَنَّا أَنَّهُ يُرِيدُ أُمَّهُ الَّتِي وَلَدَتْهُ . قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ أَلاَ أُحَدِّثُكُمْ عَنِّي وَعَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قُلْنَا بَلَى . قَالَ قَالَتْ لَمَّا كَانَتْ لَيْلَتِيَ الَّتِي كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِيهَا عِنْدِي انْقَلَبَ فَوَضَعَ رِدَاءَهُ وَخَلَعَ نَعْلَيْهِ فَوَضَعَهُمَا عِنْدَ رِجْلَيْهِ وَبَسَطَ طَرَفَ إِزَارِهِ عَلَى فِرَاشِهِ فَاضْطَجَعَ فَلَمْ يَلْبَثْ إِلاَّ رَيْثَمَا ظَنَّ أَنْ قَدْ رَقَدْتُ فَأَخَذَ رِدَاءَهُ رُوَيْدًا وَانْتَعَلَ رُوَيْدًا وَفَتَحَ الْبَابَ فَخَرَجَ ثُمَّ أَجَافَهُ رُوَيْدًا فَجَعَلْتُ دِرْعِي فِي رَأْسِي وَاخْتَمَرْتُ وَتَقَنَّعْتُ إِزَارِي ثُمَّ انْطَلَقْتُ عَلَى إِثْرِهِ حَتَّى جَاءَ الْبَقِيعَ فَقَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَفَعَ يَدَيْهِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ انْحَرَفَ فَانْحَرَفْتُ فَأَسْرَعَ فَأَسْرَعْتُ فَهَرْوَلَ فَهَرْوَلْتُ فَأَحْضَرَ فَأَحْضَرْتُ فَسَبَقْتُهُ فَدَخَلْتُ فَلَيْسَ إِلاَّ أَنِ اضْطَجَعْتُ فَدَخَلَ فَقَالَ " مَا لَكِ يَا عَائِشُ حَشْيَا رَابِيَةً " . قَالَتْ قُلْتُ لاَ شَىْءَ . قَالَ " لَتُخْبِرِينِي أَوْ لَيُخْبِرَنِّي اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ " . قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي . فَأَخْبَرْتُهُ قَالَ " فَأَنْتِ السَّوَادُ الَّذِي رَأَيْتُ أَمَامِي " . قُلْتُ نَعَمْ . فَلَهَدَنِي فِي صَدْرِي لَهْدَةً أَوْجَعَتْنِي ثُمَّ قَالَ " أَظَنَنْتِ أَنْ يَحِيفَ اللَّهُ عَلَيْكِ وَرَسُولُهُ " . قَالَتْ مَهْمَا يَكْتُمِ النَّاسُ يَعْلَمْهُ اللَّهُ نَعَمْ . قَالَ " فَإِنَّ جِبْرِيلَ أَتَانِي حِينَ رَأَيْتِ فَنَادَانِي فَأَخْفَاهُ مِنْكِ فَأَجَبْتُهُ فَأَخْفَيْتُهُ مِنْكِ وَلَمْ يَكُنْ يَدْخُلُ عَلَيْكِ وَقَدْ وَضَعْتِ ثِيَابَكِ وَظَنَنْتُ أَنْ قَدْ رَقَدْتِ فَكَرِهْتُ أَنْ أُوقِظَكِ وَخَشِيتُ أَنْ تَسْتَوْحِشِي فَقَالَ إِنَّ رَبَّكَ يَأْمُرُكَ أَنْ تَأْتِيَ أَهْلَ الْبَقِيعِ فَتَسْتَغْفِرَ لَهُمْ " . قَالَتْ قُلْتُ كَيْفَ أَقُولُ لَهُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " قُولِي السَّلاَمُ عَلَى أَهْلِ الدِّيَارِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ وَيَرْحَمُ اللَّهُ الْمُسْتَقْدِمِينَ مِنَّا وَالْمُسْتَأْخِرِينَ وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لَلاَحِقُونَ " .
হাদীস নং: ২১২৯
আন্তর্জাতিক নং: ৯৭৫
২৯. কবরস্থানে প্রবেশের দুআ
২১২৯। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... বুরায়দা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদেরকে শিক্ষা দিতেন যখন তারা কবরস্থানে গমন করতেন, তিনি তখন তাদের লক্ষ্য করে বলতেন, (আবু বকর (রাযিঃ) এর বর্ণনা অনুযায়ী) ″আলসালামু আলা আহলিদ দিয়ার″ এবং যুহাইর এর বর্ণনা ″কবরবাসী মুমিন ও মুলমানদের উপর সালাম বর্ষিত হউক। ইনশাআল্লাহ আমরাও অবশ্য তোমাদের সাথে মিলিত হব। আমাদের এবং তোমাদের সবার জন্য আল্লাহর নিকট শান্তি ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি।″
باب مَا يُقَالُ عِنْدَ دُخُولِ الْقُبُورِ وَالدُّعَاءِ لأَهْلِهَا
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، الأَسَدِيُّ عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُعَلِّمُهُمْ إِذَا خَرَجُوا إِلَى الْمَقَابِرِ فَكَانَ قَائِلُهُمْ يَقُولُ - فِي رِوَايَةِ أَبِي بَكْرٍ - السَّلاَمُ عَلَى أَهْلِ الدِّيَارِ - وَفِي رِوَايَةِ زُهَيْرٍ - السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الدِّيَارِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ لَلَاحِقُونَ أَسْأَلُ اللَّهَ لَنَا وَلَكُمْ الْعَافِيَةَ.
হাদীস নং: ২১৩০
আন্তর্জাতিক নং: ৯৭৬-১
২৯. কবরস্থানে প্রবেশের দুআ
২১৩০। ইয়াহয়া ইবনে আইয়ুব ও মুহাম্মাদ ইবনে আব্বাদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আমি আমার আম্মার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করার অনুমতি আমার রবের নিকট চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে অনুমতি দেয়া হয়নি। অতঃপর কবর যিয়ারত করার অনুমতি চেয়েছিলাম, তখন অনুমতি দেয়া হয়েছে।
باب مَا يُقَالُ عِنْدَ دُخُولِ الْقُبُورِ وَالدُّعَاءِ لأَهْلِهَا
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، - وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى - قَالاَ حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، بْنُ مُعَاوِيَةَ عَنْ يَزِيدَ، - يَعْنِي ابْنَ كَيْسَانَ - عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اسْتَأْذَنْتُ رَبِّي أَنْ أَسْتَغْفِرَ لأُمِّي فَلَمْ يَأْذَنْ لِي وَاسْتَأْذَنْتُهُ أَنْ أَزُورَ قَبْرَهَا فَأَذِنَ لِي " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২১৩১
আন্তর্জাতিক নং: ৯৭৬-২
২৯. কবরস্থানে প্রবেশের দুআ
২১৩১। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর আম্মার কবর যিয়ারত করলেন এবং কাঁদলেন, উপস্থিত সবাইও কাঁদলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আমি আল্লাহর নিকট তাঁর জন্য ইস্তিগফার করার অনুমতি চেয়েছিলাম, আমাকে অনুমতি দেয়া হয়নি, অতঃপর তাঁর কবর যিয়ারত করার অনুমতি চেয়েছিলাম, তখন অনুমতি দেয়া হল। তোমরা কবর যিয়ারত করতে থাক, কবর মৃত্যুর কথা [তথা পরকাল] স্মরণ করিয়ে দেয়।
باب مَا يُقَالُ عِنْدَ دُخُولِ الْقُبُورِ وَالدُّعَاءِ لأَهْلِهَا
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ زَارَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَبْرَ أُمِّهِ فَبَكَى وَأَبْكَى مَنْ حَوْلَهُ فَقَالَ " اسْتَأْذَنْتُ رَبِّي فِي أَنْ أَسْتَغْفِرَ لَهَا فَلَمْ يُؤْذَنْ لِي وَاسْتَأْذَنْتُهُ فِي أَنْ أَزُورَ قَبْرَهَا فَأُذِنَ لِي فَزُورُوا الْقُبُورَ فَإِنَّهَا تُذَكِّرُ الْمَوْتَ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২১৩২
আন্তর্জাতিক নং: ৯৭৭-১
২৯. কবরস্থানে প্রবেশের দুআ
২১৩২। আবু বকর আবি শাঈবা, মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর ও মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রাহঃ) ......... বুরায়দা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আমি কবর যিয়ারত করা হতে তোমাদেরকে নিষেধ করতাম এখন তোমরা যিয়ারত কর। তিন দিনের অধিক কুরবানীর গোশত খেতে নিষেধ করতাম, এখন যত দিন সম্ভব সংরক্ষণ করে খেতে থাক এবং নাবীয (খেজুর ভিজানো পানি) পান করা হতে নিষেধ করতাম। (মশক ব্যতীত অন্যান্য পাত্রে) এখন সকল পাত্রে পান কর। কিন্তু নেশা হয় এমন অবস্থায় নয়। ইবনে নুমাইর তার বর্ণনায় عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ বলেছেন।
باب مَا يُقَالُ عِنْدَ دُخُولِ الْقُبُورِ وَالدُّعَاءِ لأَهْلِهَا
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، - وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ وَابْنِ نُمَيْرٍ - قَالُوا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ أَبِي سِنَانٍ، - وَهُوَ ضِرَارُ بْنُ مُرَّةَ - عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " نَهَيْتُكُمْ عَنْ زِيَارَةِ الْقُبُورِ فَزُورُوهَا وَنَهَيْتُكُمْ عَنْ لُحُومِ الأَضَاحِيِّ فَوْقَ ثَلاَثٍ فَأَمْسِكُوا مَا بَدَا لَكُمْ وَنَهَيْتُكُمْ عَنِ النَّبِيذِ إِلاَّ فِي سِقَاءٍ فَاشْرَبُوا فِي الأَسْقِيَةِ كُلِّهَا وَلاَ تَشْرَبُوا مُسْكِرًا " . قَالَ ابْنُ نُمَيْرٍ فِي رِوَايَتِهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ .
হাদীস নং: ২১৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ৯৭৭-২
২৯. কবরস্থানে প্রবেশের দুআ
২১৩৩। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... সুলাইমান ইবনে বুরায়দা (রাহঃ) তার পিতার সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। অন্য সূত্রে ইবনে আবু উমর, মুহাম্মাদ ইবনে রাফি, আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে বুরায়দা (রাহঃ) তাঁর পিতার সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তবে তারা সবাই আবু সিনান (রাহঃ) এর মর্মের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب مَا يُقَالُ عِنْدَ دُخُولِ الْقُبُورِ وَالدُّعَاءِ لأَهْلِهَا
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ زُبَيْدٍ الْيَامِيِّ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، أُرَاهُ عَنْ أَبِيهِ، - الشَّكُّ مِنْ أَبِي خَيْثَمَةَ - عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح . وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، بْنِ مَرْثَدٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح . وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، جَمِيعًا عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ عَطَاءٍ الْخُرَاسَانِيِّ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم كُلُّهُمْ بِمَعْنَى حَدِيثِ أَبِي سِنَانٍ .