আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৫- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ১৩৩২
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৫-১
৪০. ফজরের নামায প্রত্যুষে প্রথম ওয়াক্তে যাকে ’তাগলীস’ বলা হয়, আদায় করা মুস্তাহাব এবং তাতে সূরা পাঠের পরিমাণ
১৩৩২। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, আমর আন নাকিদ ও যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, মুমিন মহিলারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে ফজরের নামায আদায় করে ফেরতেন নিজ নিজ চাদর গায়ে জাড়িয়ে এবং কেউ তাদেরকে চিনতে পারত না।
باب اسْتِحْبَابِ التَّبْكِيرِ بِالصُّبْحِ فِي أَوَّلِ وَقْتِهَا وَهُوَ التَّغْلِيسُ وَبَيَانِ قَدْرِ الْقِرَاءَةِ فِيهَا
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، كُلُّهُمْ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، - قَالَ عَمْرٌو حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، - عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ نِسَاءَ الْمُؤْمِنَاتِ، كُنَّ يُصَلِّينَ الصُّبْحَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ يَرْجِعْنَ مُتَلَفِّعَاتٍ بِمُرُوطِهِنَّ لاَ يَعْرِفُهُنَّ أَحَدٌ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৫-২
৪০. ফজরের নামায প্রত্যুষে প্রথম ওয়াক্তে যাকে ’তাগলীস’ বলা হয়, আদায় করা মুস্তাহাব এবং তাতে সূরা পাঠের পরিমাণ
১৩৩৩। হারামালা ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... নবী (ﷺ) এর সহধর্মিনী আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মু’মিন মহিলারা গায়ে চাদর জড়িয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে ফজরের নামাযে শরীক হতেন। তারপর নিজ গৃহে ফিরে যেতেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অন্ধকার থাকতেই ফজরের নামায আদায় করতেন বিধায় তাদেরকে চেনা যেতো না।
باب اسْتِحْبَابِ التَّبْكِيرِ بِالصُّبْحِ فِي أَوَّلِ وَقْتِهَا وَهُوَ التَّغْلِيسُ وَبَيَانِ قَدْرِ الْقِرَاءَةِ فِيهَا
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ، أَخْبَرَهُ قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ لَقَدْ كَانَ نِسَاءٌ مِنَ الْمُؤْمِنَاتِ يَشْهَدْنَ الْفَجْرَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُتَلَفِّعَاتٍ بِمُرُوطِهِنَّ ثُمَّ يَنْقَلِبْنَ إِلَى بُيُوتِهِنَّ وَمَا يُعْرَفْنَ مِنْ تَغْلِيسِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالصَّلاَةِ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৫-৩
৪০. ফজরের নামায প্রত্যুষে প্রথম ওয়াক্তে যাকে ’তাগলীস’ বলা হয়, আদায় করা মুস্তাহাব এবং তাতে সূরা পাঠের পরিমাণ
১৩৩৪। নসর ইবনে আলী আল জাহযামী ও ইসহাক ইবনে মুসা আল আনসারী (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এমন সময় ফজরের নামায আদায় করতেন যে, মহিলারা গায়ে চাদর জড়িয়ে চলে যেতেন, কিন্তু অন্ধকার হেতু তাদেরকে চেনা যেতো না। আনসারী তাঁর বর্ণনায়مُتَلَفِّعَاتٍ এর স্থলেمُتَلَفِّفَاتٍ বর্ণনা করেছেন।
باب اسْتِحْبَابِ التَّبْكِيرِ بِالصُّبْحِ فِي أَوَّلِ وَقْتِهَا وَهُوَ التَّغْلِيسُ وَبَيَانِ قَدْرِ الْقِرَاءَةِ فِيهَا
وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، وَإِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا مَعْنٌ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ إِنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيُصَلِّي الصُّبْحَ فَيَنْصَرِفُ النِّسَاءُ مُتَلَفِّعَاتٍ بِمُرُوطِهِنَّ مَا يُعْرَفْنَ مِنَ الْغَلَسِ . وَقَالَ الأَنْصَارِيُّ فِي رِوَايَتِهِ مُتَلَفِّفَاتٍ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৬-১
৪০. ফজরের নামায প্রত্যুষে প্রথম ওয়াক্তে যাকে ’তাগলীস’ বলা হয়, আদায় করা মুস্তাহাব এবং তাতে সূরা পাঠের পরিমাণ
১৩৩৫। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... মুহাম্মাদ ইবনে আমর ইবনে হাসান ইবনে আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাজ্জাজ মদীনায় উপস্থিত হলে আমি জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) কে (নামাযের সময় সম্পর্কে) জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সূর্য মধ্যাকাশ থেকে ঢলে পড়লেই যোহরের নামায আদায় করতেন, সুর্যের আলো পরিষ্কার থাকা অবস্থাতেই আসরের নামায আদায় করতেন, সূর্য ডুবলেই মাগরিবের নামায আদায় করতেন এবং এশার নামায কখনো দেরী করে আবার কখনো তাড়াতাড়ি করে আদায় করতেন। যখন দেখতেন যে, লোকজন সমবেত হয়েছে তখন তাড়াতাড়ি করে আদায় নিতেন। আর যখন দেখতেন যে, লোকদের দেরী হচ্ছে তখন তিনিও বিলম্ব করতেন। আর ফজরের নামায সাহাবাগণ অথবা রাবী বলেছেন নবী (ﷺ) অন্ধকার থাকতেই আদায় করতেন।
باب اسْتِحْبَابِ التَّبْكِيرِ بِالصُّبْحِ فِي أَوَّلِ وَقْتِهَا وَهُوَ التَّغْلِيسُ وَبَيَانِ قَدْرِ الْقِرَاءَةِ فِيهَا
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، قَالَ لَمَّا قَدِمَ الْحَجَّاجُ الْمَدِينَةَ فَسَأَلْنَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ فَقَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي الظُّهْرَ بِالْهَاجِرَةِ وَالْعَصْرَ وَالشَّمْسُ نَقِيَّةٌ وَالْمَغْرِبَ إِذَا وَجَبَتْ وَالْعِشَاءَ أَحْيَانًا يُؤَخِّرُهَا وَأَحْيَانًا يُعَجِّلُ كَانَ إِذَا رَآهُمْ قَدِ اجْتَمَعُوا عَجَّلَ وَإِذَا رَآهُمْ قَدْ أَبْطَئُوا أَخَّرَ وَالصُّبْحَ كَانُوا أَوْ - قَالَ - كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّيهَا بِغَلَسٍ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৬-২
৪০. ফজরের নামায প্রত্যুষে প্রথম ওয়াক্তে যাকে ’তাগলীস’ বলা হয়, আদায় করা মুস্তাহাব এবং তাতে সূরা পাঠের পরিমাণ
১৩৩৬। উবাইদুল্লাহ ইবনে মূআয (রাহঃ) ......... মুহাম্মাদ ইবনে আমর ইবনে হাসান ইবনে আলী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাজ্জাজ নামায দেরী করে আদায় করতেন। অতঃপর আমরা জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি নামাযের সময় সম্পর্কে উপরোক্ত হাদীসটি বর্ণনা করেন।
باب اسْتِحْبَابِ التَّبْكِيرِ بِالصُّبْحِ فِي أَوَّلِ وَقْتِهَا وَهُوَ التَّغْلِيسُ وَبَيَانِ قَدْرِ الْقِرَاءَةِ فِيهَا
وَحَدَّثَنَاهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدٍ، سَمِعَ مُحَمَّدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، قَالَ كَانَ الْحَجَّاجُ يُؤَخِّرُ الصَّلَوَاتِ فَسَأَلْنَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بِمِثْلِ حَدِيثِ غُنْدَرٍ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৭-১
৪০. ফজরের নামায প্রত্যুষে প্রথম ওয়াক্তে যাকে ’তাগলীস’ বলা হয়, আদায় করা মুস্তাহাব এবং তাতে সূরা পাঠের পরিমাণ
১৩৩৭। ইয়াহয়া ইবনে হাবীব আল হারিসী (রাহঃ) ......... সায়্যার ইবনে সালামা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নামায সম্পর্কে আবু বারযা (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করতে শুনেছি। শু’বা বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কি নিজেই শুনেছেন? সায়্যার বলেন, আমি যেন এই মুহূর্তেই শুনতে পাচ্ছি। এরপর সায়্যার বলেন, আমি আমার পিতাকে আবু বারযা (রাযিঃ) এর কাছে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে শুনেছি আবু বারযা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কোন কোন নামায অর্থাৎ এশার নামায অর্ধরাত পর্যন্ত বিলম্ব করতে কুণ্ঠিত হতেন না। তবে এশার নামাযের পূর্বে নিদ্রা যেতে এবং পরে আলোচনায় মশশুল হতে অপছন্দ করতেন।
শুবা বলেন, এরপর আমি আবু বারযা (রাযিঃ)-এর সঙ্গে সাক্ষাত করলাম, এবং জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যোহরের নামায আদায় করতেন, যখন সূর্য ঢলে পড়ত। আসরের নামায আদায় করতেন, যখন নামায শেষে কোন ব্যক্তি মদীনার শেষ প্রান্তে চলে যেত এবং সূর্য তখনো সজীব থাকত।
শুবা বলেন, পরে আমি আবার আবু বারযা (রাযিঃ) এর সঙ্গে সাক্ষাত করি আবার তাঁকে জিজ্ঞাসা করি। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এমন সময় ফজরের নামায আদায় করতেন যে, নামায শেষ করে মুসল্লী যখন ফিরে বসত, তখন সামনে বসা লোকটি পরিচিত হলে তাকে চিনতে পারত। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ ফজরের নামাযে ৬০ থেকে ১০০ আয়াত পর্যন্ত পাঠ করতেন।
শুবা বলেন, এরপর আমি আবু বারযা (রাযিঃ)-এর সঙ্গে সাক্ষাত করলাম, এবং জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যোহরের নামায আদায় করতেন, যখন সূর্য ঢলে পড়ত। আসরের নামায আদায় করতেন, যখন নামায শেষে কোন ব্যক্তি মদীনার শেষ প্রান্তে চলে যেত এবং সূর্য তখনো সজীব থাকত।
শুবা বলেন, পরে আমি আবার আবু বারযা (রাযিঃ) এর সঙ্গে সাক্ষাত করি আবার তাঁকে জিজ্ঞাসা করি। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এমন সময় ফজরের নামায আদায় করতেন যে, নামায শেষ করে মুসল্লী যখন ফিরে বসত, তখন সামনে বসা লোকটি পরিচিত হলে তাকে চিনতে পারত। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ ফজরের নামাযে ৬০ থেকে ১০০ আয়াত পর্যন্ত পাঠ করতেন।
باب اسْتِحْبَابِ التَّبْكِيرِ بِالصُّبْحِ فِي أَوَّلِ وَقْتِهَا وَهُوَ التَّغْلِيسُ وَبَيَانِ قَدْرِ الْقِرَاءَةِ فِيهَا
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ الْحَارِثِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنِي سَيَّارُ بْنُ سَلاَمَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يَسْأَلُ أَبَا بَرْزَةَ، عَنْ صَلاَةِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - قَالَ - قُلْتُ آنْتَ سَمِعْتَهُ قَالَ فَقَالَ كَأَنَّمَا أَسْمَعُكَ السَّاعَةَ - قَالَ - سَمِعْتُ أَبِي يَسْأَلُهُ عَنْ صَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ كَانَ لاَ يُبَالِي بَعْضَ تَأْخِيرِهَا - قَالَ يَعْنِي الْعِشَاءَ - إِلَى نِصْفِ اللَّيْلِ وَلاَ يُحِبُّ النَّوْمَ قَبْلَهَا وَلاَ الْحَدِيثَ بَعْدَهَا . قَالَ شُعْبَةُ ثُمَّ لَقِيتُهُ بَعْدُ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ وَكَانَ يُصَلِّي الظُّهْرَ حِينَ تَزُولُ الشَّمْسُ وَالْعَصْرَ يَذْهَبُ الرَّجُلُ إِلَى أَقْصَى الْمَدِينَةِ وَالشَّمْسُ حَيَّةٌ - قَالَ - وَالْمَغْرِبَ لاَ أَدْرِي أَىَّ حِينٍ ذَكَرَ . قَالَ ثُمَّ لَقِيتُهُ بَعْدُ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ وَكَانَ يُصَلِّي الصُّبْحَ فَيَنْصَرِفُ الرَّجُلُ فَيَنْظُرُ إِلَى وَجْهِ جَلِيسِهِ الَّذِي يَعْرِفُ فَيَعْرِفُهُ . قَالَ وَكَانَ يَقْرَأُ فِيهَا بِالسِّتِّينَ إِلَى الْمِائَةِ .
হাদীস নং: ১৩৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৭-২
৪০. ফজরের নামায প্রত্যুষে প্রথম ওয়াক্তে যাকে ’তাগলীস’ বলা হয়, আদায় করা মুস্তাহাব এবং তাতে সূরা পাঠের পরিমাণ
১৩৩৮। উবাইদুল্লাহ ইবনে মু’আয (রাহঃ) ......... আবু বারযা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ এশার নামায অর্ধরাত পর্যন্ত বিলম্ব করতে দ্বিধাবোধ করতেন না। তিনি ইশা’র নামাযের পূর্বে নিদ্রা যাওয়া এবং নামাযের পরে গল্পগুজব করাকে পছন্দ করতেন না। রাবী শু’বা বলেন এরপর আমি আবার আমার উস্তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করলে তিনি বলেন অথবা রাতের এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত।
باب اسْتِحْبَابِ التَّبْكِيرِ بِالصُّبْحِ فِي أَوَّلِ وَقْتِهَا وَهُوَ التَّغْلِيسُ وَبَيَانِ قَدْرِ الْقِرَاءَةِ فِيهَا
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَيَّارِ بْنِ سَلاَمَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا بَرْزَةَ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاَ يُبَالِي بَعْضَ تَأْخِيرِ صَلاَةِ الْعِشَاءِ إِلَى نِصْفِ اللَّيْلِ وَكَانَ لاَ يُحِبُّ النَّوْمَ قَبْلَهَا وَلاَ الْحَدِيثَ بَعْدَهَا . قَالَ شُعْبَةُ ثُمَّ لَقِيتُهُ مَرَّةً أُخْرَى فَقَالَ أَوْ ثُلُثِ اللَّيْلِ .
হাদীস নং: ১৩৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৭-৩
৪০. ফজরের নামায প্রত্যুষে প্রথম ওয়াক্তে যাকে ’তাগলীস’ বলা হয়, আদায় করা মুস্তাহাব এবং তাতে সূরা পাঠের পরিমাণ
১৩৩৯। আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... আবু বারযা আল আসলামী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইশার নামায রাতের এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত দেরী করতেন। এশার নামাযের আগে নিদ্রা যাওয়া এবং পরে কথাবার্তা তিনি অপছন্দ করতেন। ফজরের নামাযে তিনি ৬০ থেকে ১০০ আয়াত পাঠ করতেন। এমন সময় নামায শেষ করতেন, যখন আমরা একে অপরের চেহারা চিনতে পারতাম।
باب اسْتِحْبَابِ التَّبْكِيرِ بِالصُّبْحِ فِي أَوَّلِ وَقْتِهَا وَهُوَ التَّغْلِيسُ وَبَيَانِ قَدْرِ الْقِرَاءَةِ فِيهَا
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ عَمْرٍو الْكَلْبِيُّ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ سَيَّارِ بْنِ سَلاَمَةَ أَبِي الْمِنْهَالِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا بَرْزَةَ الأَسْلَمِيَّ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُؤَخِّرُ الْعِشَاءَ إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ وَيَكْرَهُ النَّوْمَ قَبْلَهَا وَالْحَدِيثَ بَعْدَهَا وَكَانَ يَقْرَأُ فِي صَلاَةِ الْفَجْرِ مِنَ الْمِائَةِ إِلَى السِّتِّينَ وَكَانَ يَنْصَرِفُ حِينَ يَعْرِفُ بَعْضُنَا وَجْهَ بَعْضٍ .