আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

৫- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা

হাদীস নং: ১৩৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৭-৩
৪০. ফজরের নামায প্রত্যুষে প্রথম ওয়াক্তে যাকে ’তাগলীস’ বলা হয়, আদায় করা মুস্তাহাব এবং তাতে সূরা পাঠের পরিমাণ
১৩৩৯। আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... আবু বারযা আল আসলামী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইশার নামায রাতের এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত দেরী করতেন। এশার নামাযের আগে নিদ্রা যাওয়া এবং পরে কথাবার্তা তিনি অপছন্দ করতেন। ফজরের নামাযে তিনি ৬০ থেকে ১০০ আয়াত পাঠ করতেন। এমন সময় নামায শেষ করতেন, যখন আমরা একে অপরের চেহারা চিনতে পারতাম।
باب اسْتِحْبَابِ التَّبْكِيرِ بِالصُّبْحِ فِي أَوَّلِ وَقْتِهَا وَهُوَ التَّغْلِيسُ وَبَيَانِ قَدْرِ الْقِرَاءَةِ فِيهَا
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ عَمْرٍو الْكَلْبِيُّ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ سَيَّارِ بْنِ سَلاَمَةَ أَبِي الْمِنْهَالِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا بَرْزَةَ الأَسْلَمِيَّ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُؤَخِّرُ الْعِشَاءَ إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ وَيَكْرَهُ النَّوْمَ قَبْلَهَا وَالْحَدِيثَ بَعْدَهَا وَكَانَ يَقْرَأُ فِي صَلاَةِ الْفَجْرِ مِنَ الْمِائَةِ إِلَى السِّتِّينَ وَكَانَ يَنْصَرِفُ حِينَ يَعْرِفُ بَعْضُنَا وَجْهَ بَعْضٍ .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, ইশার নামায দেরি করে পড়া মুস্তাহাব। আর এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৩৬৭) অবশ্য মুসল্লিদের জন্য কষ্টকর হলে কিংবা মুসল্লি কম হওয়ার আশঙ্কা থাকলে শুরু ওয়াক্তে ইশার নামায পড়ায় কোন দোষ নেই। (বুখারী: ৫৩৮ ও ৫৪৩)
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)