আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

৫- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা

হাদীস নং: ১৩৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৭-২
৪০. ফজরের নামায প্রত্যুষে প্রথম ওয়াক্তে যাকে ’তাগলীস’ বলা হয়, আদায় করা মুস্তাহাব এবং তাতে সূরা পাঠের পরিমাণ
১৩৩৮। উবাইদুল্লাহ ইবনে মু’আয (রাহঃ) ......... আবু বারযা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ এশার নামায অর্ধরাত পর্যন্ত বিলম্ব করতে দ্বিধাবোধ করতেন না। তিনি ইশা’র নামাযের পূর্বে নিদ্রা যাওয়া এবং নামাযের পরে গল্পগুজব করাকে পছন্দ করতেন না। রাবী শু’বা বলেন এরপর আমি আবার আমার উস্তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করলে তিনি বলেন অথবা রাতের এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত।
باب اسْتِحْبَابِ التَّبْكِيرِ بِالصُّبْحِ فِي أَوَّلِ وَقْتِهَا وَهُوَ التَّغْلِيسُ وَبَيَانِ قَدْرِ الْقِرَاءَةِ فِيهَا
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَيَّارِ بْنِ سَلاَمَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا بَرْزَةَ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاَ يُبَالِي بَعْضَ تَأْخِيرِ صَلاَةِ الْعِشَاءِ إِلَى نِصْفِ اللَّيْلِ وَكَانَ لاَ يُحِبُّ النَّوْمَ قَبْلَهَا وَلاَ الْحَدِيثَ بَعْدَهَا . قَالَ شُعْبَةُ ثُمَّ لَقِيتُهُ مَرَّةً أُخْرَى فَقَالَ أَوْ ثُلُثِ اللَّيْلِ .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, ইশার নামায দেরি করে পড়া মুস্তাহাব। আর এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৩৬৭) অবশ্য মুসল্লিদের জন্য কষ্টকর হলে কিংবা মুসল্লি কম হওয়ার আশঙ্কা থাকলে শুরু ওয়াক্তে ইশার নামায পড়ায় কোন দোষ নেই। (বুখারী: ৫৩৮ ও ৫৪৩)
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)