আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৫- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৪ টি
হাদীস নং: ১৩১৮
আন্তর্জাতিক নং: ৬৩৮-১
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৩৯. ইশার সময় ও তাতে দেরী করা
১৩১৮। আমর ইবনে সাওয়াদ আমিরী ও হারামালা ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... নবী (ﷺ)-এর সহধর্মিনী আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন এক রাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এশার নামায, যাকে আতামা বলা হতো, দেরী করলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ততক্ষণ বের হন নাই, যতক্ষণ না উমর (রাযিঃ) বললেন যে, মহিলা ও বালকেরা ঘুমিয়ে পড়েছে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বেরিয়ে এসে মসজিদের লোকদের বললেন, তোমরা ছাড়া পৃথিবীর কেউই এ নামাযের জন্য অপেক্ষা করছে না। এটি ছিল সেই সময়ের ঘটনা, যখন মানুষের মধ্যে ইসলাম বিস্তার লাভ করেনি।
হারামালা তার বর্ণনায় অতিরিক্ত বলেন, ইবনে শিহাব বলেন, আমাকে বলা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের জন্য উচিত নয় যে, তোমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে নামাযের জন্য পিড়াপিড়ি করবে। এটি তখনই বলেছিলেন, যখন উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে উচ্চস্বরে আহবান করেছিলেন।
হারামালা তার বর্ণনায় অতিরিক্ত বলেন, ইবনে শিহাব বলেন, আমাকে বলা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের জন্য উচিত নয় যে, তোমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে নামাযের জন্য পিড়াপিড়ি করবে। এটি তখনই বলেছিলেন, যখন উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে উচ্চস্বরে আহবান করেছিলেন।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب وَقْتِ الْعِشَاءِ وَتَأْخِيرِهَا
وَحَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ سَوَّادٍ الْعَامِرِيُّ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ، أَخْبَرَهُ قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ أَعْتَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةً مِنَ اللَّيَالِي بِصَلاَةِ الْعِشَاءِ وَهِيَ الَّتِي تُدْعَى الْعَتَمَةَ فَلَمْ يَخْرُجْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ نَامَ النِّسَاءُ وَالصِّبْيَانُ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لأَهْلِ الْمَسْجِدِ حِينَ خَرَجَ عَلَيْهِمْ " مَا يَنْتَظِرُهَا أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ الأَرْضِ غَيْرُكُمْ " . وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ يَفْشُوَ الإِسْلاَمُ فِي النَّاسِ . زَادَ حَرْمَلَةُ فِي رِوَايَتِهِ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَذُكِرَ لِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " وَمَا كَانَ لَكُمْ أَنْ تَنْزُرُوا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الصَّلاَةِ " . وَذَاكَ حِينَ صَاحَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩১৯
আন্তর্জাতিক নং: ৬৩৮-২
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৩৯. ইশার সময় ও তাতে দেরী করা
১৩১৯। আব্দুল মালিক ইবনে শু’আয়ব ইবনুল-লাঈস (রাহঃ) ......... ইবনে শিহাব (রাহঃ) থেকে উক্ত সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এতে যুহরী এ কথা উল্লেখ করেন নি যে, ″আমাকে বলা হয়েছে″ এবং তার পরবর্তী অংশ।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب وَقْتِ الْعِشَاءِ وَتَأْخِيرِهَا
وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَهُ . وَلَمْ يَذْكُرْ قَوْلَ الزُّهْرِيِّ وَذُكِرَ لِي . وَمَا بَعْدَهُ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩২০
আন্তর্জাতিক নং: ৬৩৮-৩
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৩৯. ইশার সময় ও তাতে দেরী করা
১৩২০। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম, মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম, হারুন ইবনে আব্দুল্লাহ, হাজ্জাজ ইবনে শাঈর, মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক রাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (ইশার নামাযে) দেরী করেন। এমনকি রাতের এক বড় অংশ অতিবাহিত হয়ে গেল। যারা মসজিদে ছিল তারও ঘুমিয়ে পড়ল। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বেরিয়ে এসে নামায আদায় করলেন। এরপর বললেন, এটাই নামাযের প্রকৃত সময়, যদি না আমি আমার উম্মতের জন্য একে কষ্টকর বলে মনে করতাম। আব্দুর রাযযাকের বর্ণনায় রয়েছেঃ যদি আমার উম্মতের উপর তা কষ্টকর না হতো।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب وَقْتِ الْعِشَاءِ وَتَأْخِيرِهَا
حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، كِلاَهُمَا عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ بَكْرٍ، ح قَالَ وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، ح قَالَ وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، - وَأَلْفَاظُهُمْ مُتَقَارِبَةٌ - قَالُوا جَمِيعًا عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي الْمُغِيرَةُ بْنُ حَكِيمٍ، عَنْ أُمِّ كُلْثُومٍ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ أَعْتَمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ لَيْلَةٍ حَتَّى ذَهَبَ عَامَّةُ اللَّيْلِ وَحَتَّى نَامَ أَهْلُ الْمَسْجِدِ ثُمَّ خَرَجَ فَصَلَّى فَقَالَ " إِنَّهُ لَوَقْتُهَا لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي " . وَفِي حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ " لَوْلاَ أَنْ يَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩২১
আন্তর্জাতিক নং: ৬৩৯-১
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৩৯. ইশার সময় ও তাতে দেরী করা
১৩২১। যুহাইর ইবনে হারব ও ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একরাতে আমরা শেষ ইশার নামায আদায়ের জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর অপেক্ষায় ছিলাম। রাতের এক তৃতীয়াংশ অথবা আরো কিছু বেশী সময় অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি আমাদের কাছে বেরিয়ে এলেন। আমরা জানতাম না যে, জরুরী কোন কাজ তাঁকে তাঁর গৃহে ব্যস্ত রেখেছিল, না অন্য কোন কাজে তিনি মশশুল ছিলেন। তারপর তিনি বেরিয়ে এসে বললেন, তোমরা এমন এক নামাযের অপেক্ষা করছ, যার জন্য তোমরা-ছাড়া অন্য কোন ধর্মাবলম্বীগণ অপেক্ষা করেনি। আমার উম্মতের উপর যদি তা ভারী না হতো, তাহলে তাদের নিয়ে এই সময়ই নামায আদায় করতাম। তারপর তিনি মু-আযযিনকে আদেশ দিলেন। সে নামাযের ইকামত দিল এবং তিনি নামায আদায় করলেন।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب وَقْتِ الْعِشَاءِ وَتَأْخِيرِهَا
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، - قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ، زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، - عَنْ مَنْصُورٍ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ مَكَثْنَا ذَاتَ لَيْلَةٍ نَنْتَظِرُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - لِصَلاَةِ الْعِشَاءِ الآخِرَةِ فَخَرَجَ إِلَيْنَا حِينَ ذَهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ أَوْ بَعْدَهُ فَلاَ نَدْرِي أَشَىْءٌ شَغَلَهُ فِي أَهْلِهِ أَوْ غَيْرُ ذَلِكَ فَقَالَ حِينَ خَرَجَ " إِنَّكُمْ لَتَنْتَظِرُونَ صَلاَةً مَا يَنْتَظِرُهَا أَهْلُ دِينٍ غَيْرُكُمْ وَلَوْلاَ أَنْ يَثْقُلَ عَلَى أُمَّتِي لَصَلَّيْتُ بِهِمْ هَذِهِ السَّاعَةَ " . ثُمَّ أَمَرَ الْمُؤَذِّنَ فَأَقَامَ الصَّلاَةَ وَصَلَّى .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩২২
আন্তর্জাতিক নং: ৬৩৯-২
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৩৯. ইশার সময় ও তাতে দেরী করা
১৩২২। মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, একরাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইশার নামাযের সময় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ফলে নামাযে দেরী করেন। এমন কি আমরা মসজিদে ঘুমিয়ে পড়ি, আবার জেগে উঠি, আবার ঘুমিয়ে পড়ি, আবার জেগে উঠি। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-আমাদের কাছে বেরিয়ে এলেন এবং বললেন, তোমরা ছাড়া পৃথিবীর কেউই এই রাতে এই নামাযের জন্য অপেক্ষা করছে না।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب وَقْتِ الْعِشَاءِ وَتَأْخِيرِهَا
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شُغِلَ عَنْهَا لَيْلَةً فَأَخَّرَهَا حَتَّى رَقَدْنَا فِي الْمَسْجِدِ ثُمَّ اسْتَيْقَظْنَا ثُمَّ رَقَدْنَا ثُمَّ اسْتَيْقَظْنَا ثُمَّ خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ " لَيْسَ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ الأَرْضِ اللَّيْلَةَ يَنْتَظِرُ الصَّلاَةَ غَيْرُكُمْ " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩২৩
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪০-১
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৩৯. ইশার সময় ও তাতে দেরী করা
১৩২৩। আবু বকর ইবনে নাফি আব্দী (রাহঃ) ......... সাবিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, লোকেরা আনাস (রাযিঃ) কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আংটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, এক রাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-মাঝরাত পর্যন্ত অথবা মাঝরাত অতিবাহিত হওয়ার কাছাকাছি সময় পর্যন্ত এশার নামায বিলম্ব করেন। এরপর তিনি এসে বললেন লোকেরা নামায আদায় করে শুয়ে পড়েছে তোমরা যতক্ষণ পর্যন্ত নামাযের অপেক্ষায় ছিলে, ততক্ষণ তোমরা নামাযেরত ছিলে বলে গণ্য হবে। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমি যেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কনিষ্ঠ আঙ্গুলে রূপার আংটির চমক দেখতে পাচ্ছি। তখন তিনি তাঁর বাম হাতের আঙ্গুল উঠিয়েছিলেন।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب وَقْتِ الْعِشَاءِ وَتَأْخِيرِهَا
وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ الْعَبْدِيُّ، حَدَّثَنَا بَهْزُ بْنُ أَسَدٍ الْعَمِّيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، . أَنَّهُمْ سَأَلُوا أَنَسًا عَنْ خَاتَمِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَخَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعِشَاءَ ذَاتَ لَيْلَةٍ إِلَى شَطْرِ اللَّيْلِ أَوْ كَادَ يَذْهَبُ شَطْرُ اللَّيْلِ ثُمَّ جَاءَ فَقَالَ " إِنَّ النَّاسَ قَدْ صَلَّوْا وَنَامُوا وَإِنَّكُمْ لَمْ تَزَالُوا فِي صَلاَةٍ مَا انْتَظَرْتُمُ الصَّلاَةَ " . قَالَ أَنَسٌ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى وَبِيصِ خَاتَمِهِ مِنْ فِضَّةٍ وَرَفَعَ إِصْبَعَهُ الْيُسْرَى بِالْخِنْصَرِ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩২৪
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪০-২
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৩৯. ইশার সময় ও তাতে দেরী করা
১৩২৪। হাজ্জাজ ইবনুশ শাঈর ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একরাতে আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এমনকি মাঝ রাতের কাছাকাছি সময় হয়ে গেল। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উপস্থিত হয়ে নামায আদায় করলেন। তারপর আমাদের দিকে মুখ ফিরালেন। তখন আমি যেন তাঁর হাতের রূপার আংটির চমক দেখছিলাম।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب وَقْتِ الْعِشَاءِ وَتَأْخِيرِهَا
وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا أَبُو زَيْدٍ، سَعِيدُ بْنُ الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا قُرَّةُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ نَظَرْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةً حَتَّى كَانَ قَرِيبٌ مِنْ نِصْفِ اللَّيْلِ ثُمَّ جَاءَ فَصَلَّى ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ فَكَأَنَّمَا أَنْظُرُ إِلَى وَبِيصِ خَاتَمِهِ فِي يَدِهِ مِنْ فِضَّةٍ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩২৫
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪০-৩
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৩৯. ইশার সময় ও তাতে দেরী করা
১৩২৫। আব্দুল্লাহ ইবনে সাব্বাহ আ-আত্তার (রাহঃ) ......... কুবুরা (রাহঃ) থেকে উক্ত সনদে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এতে ″তারপর আমাদের দিকে মুখ ফিরালেন″ অংশটি উল্লেখ করেন নি।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب وَقْتِ الْعِشَاءِ وَتَأْخِيرِهَا
وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الصَّبَّاحِ الْعَطَّارُ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا قُرَّةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَمْ يَذْكُرْ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩২৬
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪১
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৩৯. ইশার সময় ও তাতে দেরী করা
১৩২৬। আবু আমির আল আশ’আরী ও আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ও আমার সঙ্গীরা যারা নৌকায় করে আমার সাথে এসেছিল, মদীনার একটি কংকরময় প্রান্তরে অবতরণ করলাম। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মদীনায় ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একদল প্রত্যেক রাতে এশার নামাযের সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে পালাক্রমে আসত। আবু মুসা (রাযিঃ) বলেন, একরাতে আমি ও আমার কতিপয় সাথীরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে উপস্থিত হলাম। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন কাজে কাজে মশশুল ছিলেন। ফলে এশার নামাযে দেরী করলেন। এমন কি অর্ধ রাত্রি হয়ে গেল।
তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বেরিয়ে এলেন এবং লোকদের নিয়ে নামায আদায় করলেন। নামায শেষ করে তিনি উপস্থিত লোকদের বললেন, তোমরা নিজ জায়গায় থাক, আমি তোমাদের বাতলিয়ে দিচ্ছি। তোমাদের জন্য সুসংবাদ, তোমাদের উপর আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ যে, এই সময় তোমরা ছাড়া আর কেউই নামায আদায় করছেনা অথবা বললেন, তোমরা ছাড়া আর কেউই এ সময় নামায আদায় করে নি বর্ণনাকারী বলেন, আমি ঠিক করে বলতে পারছি না, তিনি এই দুটি বাক্যের কোনটি বলেছিলেন। আবু মুসা (রাযিঃ) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কথা শুনে আনন্দের সাথে এলাম।
তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বেরিয়ে এলেন এবং লোকদের নিয়ে নামায আদায় করলেন। নামায শেষ করে তিনি উপস্থিত লোকদের বললেন, তোমরা নিজ জায়গায় থাক, আমি তোমাদের বাতলিয়ে দিচ্ছি। তোমাদের জন্য সুসংবাদ, তোমাদের উপর আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ যে, এই সময় তোমরা ছাড়া আর কেউই নামায আদায় করছেনা অথবা বললেন, তোমরা ছাড়া আর কেউই এ সময় নামায আদায় করে নি বর্ণনাকারী বলেন, আমি ঠিক করে বলতে পারছি না, তিনি এই দুটি বাক্যের কোনটি বলেছিলেন। আবু মুসা (রাযিঃ) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কথা শুনে আনন্দের সাথে এলাম।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب وَقْتِ الْعِشَاءِ وَتَأْخِيرِهَا
وَحَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الأَشْعَرِيُّ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ كُنْتُ أَنَا وَأَصْحَابِي الَّذِينَ، قَدِمُوا مَعِي فِي السَّفِينَةِ نُزُولاً فِي بَقِيعِ بُطْحَانَ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْمَدِينَةِ فَكَانَ يَتَنَاوَبُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ صَلاَةِ الْعِشَاءِ كُلَّ لَيْلَةٍ نَفَرٌ مِنْهُمْ قَالَ أَبُو مُوسَى فَوَافَقْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَا وَأَصْحَابِي وَلَهُ بَعْضُ الشُّغُلِ فِي أَمْرِهِ حَتَّى أَعْتَمَ بِالصَّلاَةِ حَتَّى ابْهَارَّ اللَّيْلُ ثُمَّ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى بِهِمْ فَلَمَّا قَضَى صَلاَتَهُ قَالَ لِمَنْ حَضَرَهُ " عَلَى رِسْلِكُمْ أُعْلِمُكُمْ وَأَبْشِرُوا أَنَّ مِنْ نِعْمَةِ اللَّهِ عَلَيْكُمْ أَنَّهُ لَيْسَ مِنَ النَّاسِ أَحَدٌ يُصَلِّي هَذِهِ السَّاعَةَ غَيْرُكُمْ " . أَوْ قَالَ " مَا صَلَّى هَذِهِ السَّاعَةَ أَحَدٌ غَيْرُكُمْ " . لاَ نَدْرِي أَىَّ الْكَلِمَتَيْنِ قَالَ قَالَ أَبُو مُوسَى فَرَجَعْنَا فَرِحِينَ بِمَا سَمِعْنَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১৩২৭
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪২
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৩৯. ইশার সময় ও তাতে দেরী করা
১৩২৭। মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ......... ইবনে জুরায়জ (রাযিঃ) বলেন যে, আমি আতা-কে জিজ্ঞাসা করলাম, তোমার নিকট কোন সময়টি উত্তম যে, আমি একাকী বা জামাআতে ইশার নামায আদায় করব, যাকে লোকেরা আতামা বলে? আতা বলেন, আমি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি, নবী (ﷺ) এক রাতে এশার নামাযে উপস্থিত হতে দেরী করেন এমন কি লোক জন ঘুমিয়ে পড়ে আবার জেগে উঠে। আবার ঘুমিয়ে পড়ে আবার জেগে উঠে। তারপর উমর (রাযিঃ) উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, আস-নামায!
আতা বর্ণনা করেন যে, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বেরিয়ে এলেন, আমি এখনও যেন দেখতে পাচ্ছি যে, তার মাথা থেকে পানি পড়ছে, তখন তাঁর হাত তাঁর মাথার এক পাশে রাখা ছিল। আর তিনি বললেন- আমি যদি আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর মনে না করতাম, তাহলে তাদের এই সময় নামায আদায় করতে আদেশ দিতাম।
ইবনে জুরায়জ (রাহঃ) বলেন, আমি আতা’র কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে জিজ্ঞাসা করলাম যে, রাসূলুল্লাহ(ﷺ) কিভাবে তার মাথার উপর হাত রেখে ছিলেন এবং ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) তাঁর কাছে কিভাবে বর্ণনা করেছেন? তখন আতা তার আঙ্গুলগুলো কিছুটা ফাঁক এবং আঙ্গুলের অগ্রভাগগুলো মাথার উপরিভাগে রাখেন। তারপর এভাবে আঙ্গুলটেনে আনেন যে, তার বৃদ্ধাঙ্গুলি চেহারার দিকের কানের পার্শ্ব স্পর্শ করে। এরপর হাত নিয়ে আসেন চোখ-কানের মধ্যস্থল ও দাড়ির পার্শ্ব পর্যন্ত। তিনি এটা ধীরেও করেননি, দ্রুতও নয়, এভাবেই নিয়ে আসেন।
ইবনে জুরায়জ বলেন যে, আমি আতাকে জিজ্ঞাসা করলাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাতে ইশার নামায কতক্ষণ বিলম্ব করে আদায় করেছিলেন? তিনি বললেন, আমি জানি না, আতা বলেন, আমি এটাই পছন্দ করি যে, একাকীই হই বা ইমাম হিসাবে আদায় করি ইশার নামায ততক্ষণ পর্যন্ত দেরী করে আদায় করি, যেরূপ দেরী করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আদায় করেছিলেন। একাকী আদায় করার সময় দেরী করা যদি তোমার জন্য কষ্টকর হয় অথবা জামাআতে পড়া অবস্থায় যদি লোকদের জন্য কষ্ট কর হয়, তাহলে মধ্যম সময়ে এই নামায আদায় করবে। তাড়াতাড়িও করবে না অথবা বেশী দেরীও করবে না।
আতা বর্ণনা করেন যে, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বেরিয়ে এলেন, আমি এখনও যেন দেখতে পাচ্ছি যে, তার মাথা থেকে পানি পড়ছে, তখন তাঁর হাত তাঁর মাথার এক পাশে রাখা ছিল। আর তিনি বললেন- আমি যদি আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর মনে না করতাম, তাহলে তাদের এই সময় নামায আদায় করতে আদেশ দিতাম।
ইবনে জুরায়জ (রাহঃ) বলেন, আমি আতা’র কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে জিজ্ঞাসা করলাম যে, রাসূলুল্লাহ(ﷺ) কিভাবে তার মাথার উপর হাত রেখে ছিলেন এবং ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) তাঁর কাছে কিভাবে বর্ণনা করেছেন? তখন আতা তার আঙ্গুলগুলো কিছুটা ফাঁক এবং আঙ্গুলের অগ্রভাগগুলো মাথার উপরিভাগে রাখেন। তারপর এভাবে আঙ্গুলটেনে আনেন যে, তার বৃদ্ধাঙ্গুলি চেহারার দিকের কানের পার্শ্ব স্পর্শ করে। এরপর হাত নিয়ে আসেন চোখ-কানের মধ্যস্থল ও দাড়ির পার্শ্ব পর্যন্ত। তিনি এটা ধীরেও করেননি, দ্রুতও নয়, এভাবেই নিয়ে আসেন।
ইবনে জুরায়জ বলেন যে, আমি আতাকে জিজ্ঞাসা করলাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাতে ইশার নামায কতক্ষণ বিলম্ব করে আদায় করেছিলেন? তিনি বললেন, আমি জানি না, আতা বলেন, আমি এটাই পছন্দ করি যে, একাকীই হই বা ইমাম হিসাবে আদায় করি ইশার নামায ততক্ষণ পর্যন্ত দেরী করে আদায় করি, যেরূপ দেরী করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আদায় করেছিলেন। একাকী আদায় করার সময় দেরী করা যদি তোমার জন্য কষ্টকর হয় অথবা জামাআতে পড়া অবস্থায় যদি লোকদের জন্য কষ্ট কর হয়, তাহলে মধ্যম সময়ে এই নামায আদায় করবে। তাড়াতাড়িও করবে না অথবা বেশী দেরীও করবে না।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب وَقْتِ الْعِشَاءِ وَتَأْخِيرِهَا
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ قُلْتُ لِعَطَاءٍ أَىُّ حِينٍ أَحَبُّ إِلَيْكَ أَنْ أُصَلِّيَ الْعِشَاءَ الَّتِي يَقُولُهَا النَّاسُ الْعَتَمَةَ إِمَامًا وَخِلْوًا قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُولُ أَعْتَمَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ لَيْلَةٍ الْعِشَاءَ - قَالَ - حَتَّى رَقَدَ نَاسٌ وَاسْتَيْقَظُوا وَرَقَدُوا وَاسْتَيْقَظُوا فَقَامَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَقَالَ الصَّلاَةَ . فَقَالَ عَطَاءٌ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَخَرَجَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَيْهِ الآنَ يَقْطُرُ رَأْسُهُ مَاءً وَاضِعًا يَدَهُ عَلَى شِقِّ رَأْسِهِ قَالَ " لَوْلاَ أَنْ يَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لأَمَرْتُهُمْ أَنْ يُصَلُّوهَا كَذَلِكَ " . قَالَ فَاسْتَثْبَتُّ عَطَاءً كَيْفَ وَضَعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَدَهُ عَلَى رَأْسِهِ كَمَا أَنْبَأَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ فَبَدَّدَ لِي عَطَاءٌ بَيْنَ أَصَابِعِهِ شَيْئًا مِنْ تَبْدِيدٍ ثُمَّ وَضَعَ أَطْرَافَ أَصَابِعِهِ عَلَى قَرْنِ الرَّأْسِ ثُمَّ صَبَّهَا يُمِرُّهَا كَذَلِكَ عَلَى الرَّأْسِ حَتَّى مَسَّتْ إِبْهَامُهُ طَرَفَ الأُذُنِ مِمَّا يَلِي الْوَجْهَ ثُمَّ عَلَى الصُّدْغِ وَنَاحِيَةِ اللِّحْيَةِ لاَ يُقَصِّرُ وَلاَ يَبْطِشُ بِشَىْءٍ إِلاَّ كَذَلِكَ . قُلْتُ لِعَطَاءٍ كَمْ ذُكِرَ لَكَ أَخَّرَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لَيْلَتَئِذٍ قَالَ لاَ أَدْرِي . قَالَ عَطَاءٌ أَحَبُّ إِلَىَّ أَنْ أُصَلِّيَهَا إِمَامًا وَخِلْوًا مُؤَخَّرَةً كَمَا صَلاَّهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لَيْلَتَئِذٍ فَإِنْ شَقَّ عَلَيْكَ ذَلِكَ خِلْوًا أَوْ عَلَى النَّاسِ فِي الْجَمَاعَةِ وَأَنْتَ إِمَامُهُمْ فَصَلِّهَا وَسَطًا لاَ مُعَجَّلَةً وَلاَ مُؤَخَّرَةً .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩২৮
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৩-১
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৩৯. ইশার সময় ও তাতে দেরী করা
১৩২৮। ইয়াইয়া ইবনে ইয়াহয়া, কুতায়বা ইবনে সাঈদ এবং আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে সামুরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইশার নামায দেরী করে আদায় করতেন।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب وَقْتِ الْعِشَاءِ وَتَأْخِيرِهَا
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُؤَخِّرُ صَلاَةَ الْعِشَاءِ الآخِرَةِ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩২৯
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৩-২
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৩৯. ইশার সময় ও তাতে দেরী করা
১৩২৯। কুতায়বা ইবনে সাঈদ ও আবু কামিল আল জাহদারী (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে সামুরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তোমাদের মতই নামায আদায় করতেন; তবে ইশার নামায তোমাদের চাইতে একটু দেরী করে আদায় করতেন এবং নামায সংক্ষেপে আদায় করতেন। আবু কামিলের বর্ণনায় يُخِفُّ এর স্থলেيُخَفِّفُ বর্ণিত হয়েছে।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب وَقْتِ الْعِشَاءِ وَتَأْخِيرِهَا
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي الصَّلَوَاتِ نَحْوًا مِنْ صَلاَتِكُمْ وَكَانَ يُؤَخِّرُ الْعَتَمَةَ بَعْدَ صَلاَتِكُمْ شَيْئًا وَكَانَ يُخِفُّ الصَّلاَةَ . وَفِي رِوَايَةِ أَبِي كَامِلٍ يُخَفِّفُ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩৩০
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৪-১
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৩৯. ইশার সময় ও তাতে দেরী করা
১৩৩০। যুহাইর ইবনে হারব ও ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, বেদুঈনরা যেন তোমাদের নামাযের নামকরণে তোমাদের উপর প্রাধান্য বিস্তার না করে। স্মরণ রেখো, এ নামাযের নাম ইশা। বেদুঈনরা সে সময় উটের দুগ্ধ দোহন করে (যাকে আতামা বলে) তাই তারা একে আতামা নামে অবহিত করে থাকে।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب وَقْتِ الْعِشَاءِ وَتَأْخِيرِهَا
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَبِيدٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ تَغْلِبَنَّكُمُ الأَعْرَابُ عَلَى اسْمِ صَلاَتِكُمْ أَلاَ إِنَّهَا الْعِشَاءُ وَهُمْ يُعْتِمُونَ بِالإِبِلِ " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩৩১
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৪-২
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৩৯. ইশার সময় ও তাতে দেরী করা
১৩৩১। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ বলেছেন, বেদুঈনরা যেন তোমাদের ইশার নামাযের নামকরণে প্রধান্য লাভ না করে। কেননা আল্লাহর কিতাবে একে ইশা নামে অতিহিত করা হয়েছে; কিন্তু বেদুঈনরা সে সময় উটের দুগ্ধ দোহন করে বলে একে আতামা বলে।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب وَقْتِ الْعِشَاءِ وَتَأْخِيرِهَا
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي لَبِيدٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَغْلِبَنَّكُمُ الأَعْرَابُ عَلَى اسْمِ صَلاَتِكُمُ الْعِشَاءِ فَإِنَّهَا فِي كِتَابِ اللَّهِ الْعِشَاءُ وَإِنَّهَا تُعْتِمُ بِحِلاَبِ الإِبِلِ " .
তাহকীক: