মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني

ধৈর্য ও এর প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং ধৈর্য অবলম্বনকারীর জন্য আল্লাহ্ বিরাট পুরস্কার ও গুরুত্বপূর্ণ মর্যাদা তৈরি করে রেখেছেন - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ৭৩ টি

হাদীস নং: ৬১
ধৈর্য ও এর প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং ধৈর্য অবলম্বনকারীর জন্য আল্লাহ্ বিরাট পুরস্কার ও গুরুত্বপূর্ণ মর্যাদা তৈরি করে রেখেছেন
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ। সন্তানের মৃত্যুতে ধৈর্যধারণ করার পুরস্কারের প্রতি উৎসাহ প্রদান
৬১. মু'আয (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে কোন দুইজন মুসলমান ব্যক্তির তিনটি করে সন্তান মারা যাবে, আল্লাহ্ তাঁর খাছ রহমতের বদৌলতে তাদের উভয়কে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। তারা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ) যদি দু'জন হয়। তিনি বললে: দু'জন হলেও, তারা পুনরায় বললেন, একজন হলে? রাসূল (ﷺ) বললেন, একজন হলেও। এরপর তিনি বললেন, যার হাতে আমার প্রাণ, তাঁর শপথ করে বলছি। গর্ভপাত হয়ে যাওয়া সন্তান ও তার মায়ের নাভী ধরে জান্নাতের দিকে টেনে নিয়ে যাবে। যদি সে তার জন্য ধৈর্য্য ধারণ করে।
كتاب الصبر والترغيب فيه وما أعده الله لصاحبه من الأجر العظيم والفضل الجسيم
باب الترغيب في الصبر على موت الأولاد وثواب ذلك
عن معاذ قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ما من مسلمين يتوفى لهما ثلاثة إلا أدخلهما الله الجنة بفضل رحمته اياهما فقالوا يا رسول الله أو اثنان؟ قال أو اثنان قالوا أو واحد؟ قال أو واحد ثم قال والذي نفسي بيده إن السقط ليجرامه بسرره (9) إلى الجنة إذا احتسبته
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬২
ধৈর্য ও এর প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং ধৈর্য অবলম্বনকারীর জন্য আল্লাহ্ বিরাট পুরস্কার ও গুরুত্বপূর্ণ মর্যাদা তৈরি করে রেখেছেন
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ। সন্তানের মৃত্যুতে ধৈর্যধারণ করার পুরস্কারের প্রতি উৎসাহ প্রদান
৬২. হারিছ ইবনে উকায়শ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে কোন দু'জন মুসলমান ব্যক্তির চারটি সন্তান মৃত্যুবরণ করবে, আল্লাহ তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। তারা বললো, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)। যদি তিনজন হয়। তিনি বললেন, তিনজন হলেও। তারা বললো, যদি দু'জন হয়। তিনি বললেন, দু'জন হলেও। আমার উম্মতের কোন ব্যক্তি (ইসলাম থেকে মুরতাদ হলে) জাহান্নামে তার আকৃতি এমন বৃহৎদার ধারণ করবে যে, জাহান্নামের একটি কোনা পূর্ণ হয়ে যাবে। আর আমার উম্মতের মধ্যে এমন ব্যক্তিও হবে, যার সুপারিশের কারণে মহান আল্লাহ্ মুদার (আরবের একটি গোত্র) গোত্রের লোকদের চেয়ে অধিক সংখ্যক লোককে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।
كتاب الصبر والترغيب فيه وما أعده الله لصاحبه من الأجر العظيم والفضل الجسيم
باب الترغيب في الصبر على موت الأولاد وثواب ذلك
عن الحارث بن أقيش قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ما من مسلمين يموت لهما أربعة أولاد إلا أدخلهما الله الجنة قالوا يا رسول الله وثلاثة؟ قال وثلاثة قالوا يا رسول الله واثنان قال واثنان وان من امتي (1) لمن يعظم للنار (2) حتى يكون أحد زواياها وان من امتي (3) لمن يدخل بشفاعته الجنة أكثر من مضر
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৩
ধৈর্য ও এর প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং ধৈর্য অবলম্বনকারীর জন্য আল্লাহ্ বিরাট পুরস্কার ও গুরুত্বপূর্ণ মর্যাদা তৈরি করে রেখেছেন
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ। সন্তানের মৃত্যুতে ধৈর্যধারণ করার পুরস্কারের প্রতি উৎসাহ প্রদান
৬৩. আবু ছা'লাবা আল্-আশজায়ী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)। মুসলমান থাকা অবস্থায় আমার দুটি সন্তান মারা গেছে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, মুসলমান অবস্থায় যার দু'টি সন্তান মারা যাবে, আল্লাহ্ তার রহমতের বদৌলতে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। এরপর আবু হুরায়রা (রা)-এর সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়, তখন তিনি বলেন, দুটি সন্তানের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যে কথা বলেছেন, তুমি কি রাসূলের (ﷺ) সে কথা সম্পর্কে কিছু জান? আমি বললাম, হ্যাঁ। বর্ণনাকারী বলেন, তখন আবূ হুরায়রা (রা) বললেন, তুমি আমাকে যেভাবে বলেছ, যদি সেভাবে তিনি তোমাকে বলে থাকেন, অর্থাৎ রাসূল (ﷺ) তোমাকে যেভাবে বলেছেন, ঠিক সেভাবে আমাকেও বলেছেন, তাহলে আমি ফিলিস্তিন ও হিমসের মালিক হওয়াকে অধিক পছন্দ করি। কারণ ঐ দুই দেশের ধনসম্পদ ও ভোগের-সামগ্রীর দরজা বন্ধ হবে না।
كتاب الصبر والترغيب فيه وما أعده الله لصاحبه من الأجر العظيم والفضل الجسيم
باب الترغيب في الصبر على موت الأولاد وثواب ذلك
عن ابي ثعلبة الأشجعي قال قلت مات لي يا رسول الله ولدان في الاسلام فقال من مات له ولدان في الاسلام أدخله الله عز وجل الجنة بفضل رحمته اياهما فلما كان بعد ذلك لقيني أبو هريرة قال فقال أنت الذي قال له رسول الله صلى الله عليه وسلم في الولدين ما قال؟ قلت نعم قال فقال لئن قاله لي أحب إلى مما غلقت عليه حمص وفلسطين
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৪
ধৈর্য ও এর প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং ধৈর্য অবলম্বনকারীর জন্য আল্লাহ্ বিরাট পুরস্কার ও গুরুত্বপূর্ণ মর্যাদা তৈরি করে রেখেছেন
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ। সন্তানের মৃত্যুতে ধৈর্যধারণ করার পুরস্কারের প্রতি উৎসাহ প্রদান
৬৪. সা'সা'আ ইবন মুয়াবীয়া (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি আবু যর (রা)-এর নিকট এসে তাকে জিজ্ঞেস করলাম,। তোমার কাছে কি মাল আছে? সে আমাকে বললো, আমার আমল। আমি তাকে আমার নিকট কোন হাদীস শুনাতে বললাম, তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, দুইজন মুসলমান ব্যক্তির (স্বামী স্ত্রীর) তিনটি সন্তান মারা গেলে, যারা বয়োঃপ্রাপ্ত হয়নি, তার বিনিময়ে আল্লাহ উভয়কে ক্ষমা করে দেবেন।
كتاب الصبر والترغيب فيه وما أعده الله لصاحبه من الأجر العظيم والفضل الجسيم
باب الترغيب في الصبر على موت الأولاد وثواب ذلك
عن صعصعة بن معاوية قال أتيت أبا ذر قلت ما بالك؟ قال لي عملي قلت حدثني قال نعم قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ما من مسلمين يموت بينهما ثلاثة من أولادهما لم يبلغوا الحنث إلا غفر الله لهما
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৫
ধৈর্য ও এর প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং ধৈর্য অবলম্বনকারীর জন্য আল্লাহ্ বিরাট পুরস্কার ও গুরুত্বপূর্ণ মর্যাদা তৈরি করে রেখেছেন
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ। সন্তানের মৃত্যুতে ধৈর্যধারণ করার পুরস্কারের প্রতি উৎসাহ প্রদান
৬৫. আবু সা'ঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের কেউ তিনটি সন্তান আগাম পাঠালে অর্থাৎ কারো তিনটি সন্তান মারা গেলে, সে সন্তানরা কিয়ামতের দিন তার জন্য জাহান্নামের মাঝে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াবে।
كتاب الصبر والترغيب فيه وما أعده الله لصاحبه من الأجر العظيم والفضل الجسيم
باب الترغيب في الصبر على موت الأولاد وثواب ذلك
عن أبي سعيد الخدري قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من قدم ثلاثة من ولده حجبوه من النار
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৬
ধৈর্য ও এর প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং ধৈর্য অবলম্বনকারীর জন্য আল্লাহ্ বিরাট পুরস্কার ও গুরুত্বপূর্ণ মর্যাদা তৈরি করে রেখেছেন
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ। সন্তানের মৃত্যুতে ধৈর্যধারণ করার পুরস্কারের প্রতি উৎসাহ প্রদান
৬৬. আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে কোন দু'জন মুসলমান ব্যক্তির তিনটি সন্তান মারা গেলে যারা বয়োঃপ্রাপ্ত হয়নি, আল্লাহ্ তাঁর রহমতের বদৌলতে অবশ্যই তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। বর্ণনাকারী বরেন, তাদেরকে বলা হবে: জান্নাতে প্রবেশ কর। একথা তিনবার বলা হবে। তারা উত্তর দিবে না; যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের পিতামাতাগণ উপস্থিত না হবে। এ সময় সন্তানদের বলা হবে, তোমরা এবং তোমাদের পিতামাতাগণ জান্নাতে প্রবেশ কর।
كتاب الصبر والترغيب فيه وما أعده الله لصاحبه من الأجر العظيم والفضل الجسيم
باب الترغيب في الصبر على موت الأولاد وثواب ذلك
عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ما من مسلم يموت له ثلاثة أولاد لم يبلغوا الحنث إلا أدخلهما الله واياهم بفضل رحمته الجنة وقال يقال لهم ادخلوا الجنة قال فيقولون حتى يجيء أبوانا قال ثلاث مرات فيقولون مثل ذلك (1) فيقال لهم ادخلوا الجنة أنتم وأبواكم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৭
ধৈর্য ও এর প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং ধৈর্য অবলম্বনকারীর জন্য আল্লাহ্ বিরাট পুরস্কার ও গুরুত্বপূর্ণ মর্যাদা তৈরি করে রেখেছেন
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ। সন্তানের মৃত্যুতে ধৈর্যধারণ করার পুরস্কারের প্রতি উৎসাহ প্রদান
৬৭. আবু হাসসান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার দুটি সন্তান মারা যায়। তখন আমি আবূ হুরায়রা (রা) কে বললাম, তুমি রাসূলের (ﷺ) নিকট থেকে কোন হাদীস শুনলে তা আমাদের নিকট বর্ণনা কর, যা আমাদের মৃতদের ব্যাপারে আমাদের অন্তরকে সুবাসিত করে। তিনি বললেন, হ্যাঁ, তাদের শিশুরা জান্নাতে তাদের ইচ্ছে মত ছুটাছুটি করবে। তাদের কেউ তাদের পিতার সাথে মিলিত হবে, অথবা পিতা-মাতার সাথে, এ সময় সে তার পিতার কাপড়ের এক প্রান্ত ধরবে, অথবা তার হাত দিয়ে এভাবে তোমার কাপড়ের এক কোনা ধরবে। এরপর আল্লাহ তাকে ও তার পিতাকে জান্নাতে প্রবেশ না করানো পর্যন্ত তারা বিচ্ছিন্ন হবে না।
كتاب الصبر والترغيب فيه وما أعده الله لصاحبه من الأجر العظيم والفضل الجسيم
باب الترغيب في الصبر على موت الأولاد وثواب ذلك
عن أبي حسان قال توفي ابنان لي فقلت لأبي هريرة سمعت من رسول الله صلى الله عليه وسلم حديثا تحدثناه يطيب بأنفسنا عن موتانا؟ قال نعم صغارهم دعاميص (3) الجنة يلقى أحدهم اباه أو قال أبويه فيأخذ بناحية ثوبه أو يده كما أخذ بصنفه (4) ثوبك هذا فلا يفارقه حتى يدخله الله واباه الجنة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৮
ধৈর্য ও এর প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং ধৈর্য অবলম্বনকারীর জন্য আল্লাহ্ বিরাট পুরস্কার ও গুরুত্বপূর্ণ মর্যাদা তৈরি করে রেখেছেন
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ। সন্তানের মৃত্যুতে ধৈর্যধারণ করার পুরস্কারের প্রতি উৎসাহ প্রদান
৬৮. মু'য়াবিয়া ইবনে কুররা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট তার ছেলেকে সাথে করে আসেন। তখন নবী করিম (ﷺ) তাকে বলেন, তুমি কি তাকে ভালবাস? সে বললো, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)। আল্লাহ আপনাকে যেভাবে ভালবাসেন, আমিও তাকে সেভাবে ভালবাসি। এরপর নবী করিম (ﷺ) তাকে হারিয়ে ফেলেন এবং বলেন, অমুকের ছেলের কি হয়েছে? তারা বললো, হে আল্লাহর রাসুল (ﷺ)। ছেলেটি মারা গেছে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার পিতাকে বললেন, তুমি কি পছন্দ কর না, জান্নাতের যে দরজা দিয়েই তুমি আসবে, তুমি তাকে তোমার জন্য সেখানে অপেক্ষা করতে দেখবে? তখন এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)। এটা কি তার জন্য নির্দিষ্ট, না আমাদের সকলের জন্য? তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, বরং তোমাদের সকলের জন্য।
كتاب الصبر والترغيب فيه وما أعده الله لصاحبه من الأجر العظيم والفضل الجسيم
باب الترغيب في الصبر على موت الأولاد وثواب ذلك
عن معاوية بن قرة عن أبيه أن رجلا كان يأتي النبي صلى الله عليه وسلم ومعه ابن له فقال له النبي صلى الله عليه وسلم أتحبه؟ فقال يا رسول الله أحبك الله كما أحبه ففقده النبي صلى الله عليه وسلم فقال ما فعل ابن فلان؟ قالوا يا رسول الله مات فقال النبي صلى الله عليه وسلم لأبيه أما تحب أن لا تأتي بابا من أبواب الجنة الا وجدته ينتظرك؟ فقال الرجل يا رسول أله خاصة أو لكلنا؟ قال بل لكلكم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৯
ধৈর্য ও এর প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং ধৈর্য অবলম্বনকারীর জন্য আল্লাহ্ বিরাট পুরস্কার ও গুরুত্বপূর্ণ মর্যাদা তৈরি করে রেখেছেন
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ। সন্তানের মৃত্যুতে ধৈর্যধারণ করার পুরস্কারের প্রতি উৎসাহ প্রদান
৬৯. হাসসান ইবন কুরায়ব (রা) থেকে বর্ণিত। তাদের মধ্যে এক ব্যক্তির ছেলে মারা যায়, এতে তার পিতা খুবই দুঃখিত ও ব্যথিত হয়। তখন 'হুসেব' নামে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর একজন সাহাবী বলেন, আমি কি তোমাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি বলেছেন, তার সংবাদ দেব না? তোমার ছেলের ঘটনার মত একটি ঘটনা বলেছেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)। তাহলো, তার সাথীর একটি ছেলে ছিল, সে পিতার সাথে দৌড়া দৌড়ি করার বয়সে পৌছেছিল। সে পিতার সাথে রাসূলের (ﷺ) নিকট আসতো। এরপর তার ছেলেটি মারা যায়। এতে তার পিতা ছয় দিন পর্যন্ত তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে এবং নবী করিম (ﷺ) নিকট আসেনি। তখন নবী করিম (ﷺ) বলেন, অমুক ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে না যে? সাহাবাগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)। তার ছেলেটি মারা যাওয়ার কারণে সে শোকাহত। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার উদ্দেশ্যে বললেন, হে অমুক। তুমি কি ভালবাস যে, এখন তোমার ছেলেটি তোমার সাথে বালকদের মত প্রাণবন্ত ও উৎফুল্ল থাকুক? তুমি কি ভালবাস, তোমার ছেলেটি তোমার সামনেই সাহসী ও বাহাদুর হয়ে গড়ে উঠুক? তুমি কি ভালোবাস, তোমার নিকট তোমার ছেলেটি উত্তমভাবে পরিণত বয়সে উপনীত হোক? অথবা তাকে বললেন, তুমি যে কষ্ট পেয়েছো, তার বিনিময়ে তুমি জান্নাতে প্রবেশ করে পুরস্কার পাবে।
كتاب الصبر والترغيب فيه وما أعده الله لصاحبه من الأجر العظيم والفضل الجسيم
باب الترغيب في الصبر على موت الأولاد وثواب ذلك
عن حسان بن كريب أن غلاما منهم توفي فوجد عليه أبواه أشد الوجد فقال حوشب صاحب النبي صلى الله عليه وسلم ألا أخبركم بما سمعت من رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول؟ يقول في مثل ابنك ان رجلا من أصحابه كان له ابن قد أدب أودب وكان يأتي مع أبيه إلى النبي صلى الله عليه وسلم ثم ان ابنه توفي فوجد عليه (1) أبوه قريبا من ستة أيام لا يأتي النبي صلى الله عليه وسلم فقال النبي صلى الله عليه وسلم لا أرى فلانا قالوا يا رسول الله ان ابنه توفي فوجد عليه فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم يا فلان أتحب لو ان ابنك عندك الآن كأنشط الصبيان نشاطا؟ أتحب ان ابنك عندك أجرأ الغلمان جراءة؟ اتحب ان ابنك عندك كهلا كأفضل الكهول أو يقال لك ادخل الجنة ثواب ما أخذ منك
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭০
ধৈর্য ও এর প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং ধৈর্য অবলম্বনকারীর জন্য আল্লাহ্ বিরাট পুরস্কার ও গুরুত্বপূর্ণ মর্যাদা তৈরি করে রেখেছেন
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ। সন্তানের মৃত্যুতে ধৈর্যধারণ করার পুরস্কারের প্রতি উৎসাহ প্রদান
৭০. আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হারিছা ইবনে সুরাফা ছিল একজন বালক, আমার চাচীর ছেলে, সে বদর যুদ্ধে রাসূলের সাথে যুদ্ধের দর্শক হিসাবে গমন করে, সে যুদ্ধ করার জন্য যায়নি। তার শরীরে একটি তীর বিদ্ধ হলে সে শহীদ হয়। তখন তার মা, আমার চাচী, নবী করিম (ﷺ)-এর নিকট এসে বলে, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)। আমার ছেলে হারেছা যদি জান্নাতবাসী হয়ে থাকে, তাহলে আমি ধৈর্যধারণ করব এবং তার জন্য ছওয়াবের আশা করবো, অন্যথায় আপনি দেখতেই পাচ্ছেন, আমি কিরূপ কান্নাকাটি করছি? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে উম্মে হারিছা। বহুসংখ্যক জান্নাত আছে, আর হারিছা সর্বউচ্চ জান্নাত ফিরদাউস লাভ করবে।
كتاب الصبر والترغيب فيه وما أعده الله لصاحبه من الأجر العظيم والفضل الجسيم
باب الترغيب في الصبر على موت الأولاد وثواب ذلك
عن أنس بن مالك قال انطاق حارثة بن عمتي (3) يوم بدر مع رسول الله صلى الله عليه وسلم غلاما نظارا (4) ما انطلق للقتال فأصابه سهم فقتله قال فجاءت أمه عمتي إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقالت يا رسول الله ابني حارثة ان يكن في الجنة اصبر واحتسب والا فسيرى الله ما اصنع (5) قال يا أم حارثة إنها جنان كثيرة وإن حارثة في الفردوس (6) الأعلى
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭১
ধৈর্য ও এর প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং ধৈর্য অবলম্বনকারীর জন্য আল্লাহ্ বিরাট পুরস্কার ও গুরুত্বপূর্ণ মর্যাদা তৈরি করে রেখেছেন
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: উম্মে সুলাইম, তার স্বামী আবু তালহা (রা)-এর সন্তানের মৃত্যুর ঘটনা
৭১. আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ তালহার ঔরষজাত উম্মে সুলাইমের ছেলে মারা গেলো। তখন উম্মে সুলাইম (রা) তার পরিবারের লোকদের বললো, আবূ তালহাকে তাঁর ছেলের সংবাদ দিওনা, যতক্ষণ আমি না বলি। তিনি বলেন, এরপর আবু তালহা (রা) আসলেন। উম্মে সুলাইম (রা) রাতের খানা সামনে উপস্থিত করলে তিনি পানাহার করলেন, তারপর উম্মে সুলাইম ভাল মতে সাজ-সজ্জা করলেন, যেভাবে পূর্বে করতেন, এরপর আবু তালহা (রা) তাঁর সাথে মিলিত হলেন। যখন উম্মে সুলাইম (রা) দেখলেন, তিনি মিলনে পরিতৃপ্ত হয়েছেন, তখন তাঁকে বললেন, হে আবু তালহা। যদি কেউ কাউকে কোন জিনিস ধার দেয়, এরপর তা নিয়ে নেয়, তবে কি সে তা ফিরাতে পারে? আবু তালহা বললেন, না। তখন উম্মে সুলাইম বললেন, আমি তোমার ছেলের মৃত্যুর সংবাদ দিচ্ছি। তখন আবু তালহা (রা) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট গিয়ে তাঁকে এ খবরটি দিলেন। তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, তোমাদের বিগত রাতটিকে আল্লাহ্ তা'আলা বরকত দিন। তাঁর দু'আর বরকতে উম্মে সুলায়ম অন্তঃসত্তা হয়। রাসূল (ﷺ) সফরে ছিলেন। উম্মে সুলাইম ও তাঁর সাথে সফরে ছিলেন। তিনি যখন সফর থেকে ফিরতেন, তখন রাতের বেলায় মদীনায় প্রবেশ করতেন না। লোকেরা যখন মদীনার কাছে পৌঁছলো, তখন উম্মে সুলাইমের প্রথম বেদনা শুরু হলো। আবু তালহা (রা) তার কাছে থেকে গেলেন, আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) চলে গেলেন। আবু তালহা বললেন, হে আমার রব! তুমি তো জান যে, তোমার রাসূলের সাথে বের হতে আমার ভাল লাগে, যখন তিনি বের হন, আর তাঁর সাথে প্রবেশ করতে ভাল লাগে, যখন তিনি প্রবেশ করেন। কিন্তু তুমি তো অবগত আছ, কেন আমি থেকে গিয়েছি। রাবী বলেন, উম্মে সুলায়ম (রা) বললেন, হে আবু তালহা। পূর্বের মত আমার বেদনা নেই, চল আমরা চলে যাই। এরপর আমরা মদীনায় পৌছলে উম্মে সুলাইমের প্রসব বেদনা পুনরায় শুরু হলো। আর তিনি একটি শিশু পুত্র প্রসব করলেন। আমার মা বললেন, হে আনাস! শিশুটিকে যেন কেউ দুধপান না করায়, যতক্ষণ না তুমি তাকে ভোরবেলা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে নিয়ে যাও। সকাল হলে আমি শিশুটিকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে গেলাম। আমি দেখলাম, তাঁর হাতে উট দাগানোর যন্ত্র। তিনি আমাকে দেখে বললেন, সম্ভবত উম্মে সুলাইম এ ছেলেটি প্রসব করেছে। আমি বললাম, হ্যাঁ। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি যন্ত্রটি হাত থেকে রেখে দিলেন এবং আমি শিশুটিকে তাঁর কোলে রাখলাম। তিনি মদীনার আজওয়া খেজুর আনালেন এবং নিজের মুখে দিয়ে চিবালেন, যখন খেজুর গলে গেল, তখন শিশুর মুখে দিলেন। শিশুটি চুষতে লাগলো। তিনি বললেন, দেখ আনসারদের খেজুর প্রীতি। পরে তিনি শিশুর মুখে হাত বুলালেন এবং তার নাম রাখলেন 'আবদুল্লাহ'।
(দ্বিতীয় বর্ণনায়) আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু তালহা (রা) উম্মে সুলাইমকে বিবাহ করেছিলেন। তিনি ছিলেন আনাস ইবনে মালিক ও বারা ইবনে মালেকের মা। তার একটি সন্তান জন্মগ্রহণ করে, তিনি তাকে খুবই ভালবাসতেন, অতঃপর ছেলেটি কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়। আবূ তালহা সকাল বেলা অযু করে রাসূল (ﷺ)-এর সাথে ফযরের নামাযে দাঁড়াতেন এবং অর্ধেক রাত পর্যন্ত জ্ঞান শিক্ষা করার জন্য তাঁর নিকট অবস্থান করতেন, এরপর তিনি ফিরে আসতেন এবং খাওয়া দাওয়া করতেন। এরপর জোহরের নামায পড়ে নিজের প্রয়োজনীয় কাজ কর্ম শেষ করে নিতেন, তারপর চলে যেতেন ঈশার নামাযের সময় পর্যন্ত তিনি আর ফিরে আসতেন না। তিনি ঈশার সময় চলে গেলে এ সময় সন্তানটি মারা যায়, বর্ণনাকারী বলেন তারপর আবু তালহা ঈশার সময় ফিরে আসে, তার পূর্বেই উম্মে সুলাইম সন্তানকে একটি চাদর দিয়ে ঢেকে রাখেন এবং ব্যাপারটি গোপন রাখেন, (অর্থাৎ আবু তালহাকে মৃত্যুর সংবাদ দেননি) আবু তালহা (রা) উম্মে সুলাইমকে বললো, ছেলেটি কিভাবে রাত কাটাচ্ছে? উম্মে সুলাইম বললেন, হে আবু তালহা। তোমার ছেলেটি অসুস্থতার কারণে আরাম করছে। এরপর তার জন্য খানা উপস্থিত করা হলে তিনি খাদ্য গ্রহণ করলেন। শুভরাত্রির জন্য তিনি নিজেকে পরিপাটি করলেন, এরপর উঠে নিজেরে বিছানায় গেলেন এবং শুয়ে পড়লেন, উম্মে সুলাইম বলেন, তারপর আমি ও উঠলাম, সাজ সজ্জা করলাম, তারপর তার বিছানায় প্রবেশ করলাম। তখন আমি তার কাছে উত্তম সুগন্ধি পেলাম, যা কেউ তার পরিবারের নিকট আসতে ব্যবহার করে না। এরপর সকাল বেলা পূর্বের ন্যায় আবু তালহা উঠে চলে যান, (অর্থাৎ সকাল বেলা রাসূলের মজলিশে কাটাতেন, দুপুরের পর জীবিকা অর্জন করতেন)। উম্মে সুলায়ম আবু তালহাকে বললেন, হে আবু তালহা। তোমার কি মত, যদি কোন ব্যক্তি তোমার কাছে কোন কিছু আমানত রাখে, তুমি তা ভোগ কর। এরপর সে তা ফেরৎ চায়, এবং তোমার কাছ থেকে নিয়ে নেয়, এতে কি তুমি ধৈর্য হারা হবে? সে বলল: না। তখন তিনি বললেন, তোমার ছেলেটি মারা গেছে। আনাস (রা) বলেন, এতে আবু তালহা দুঃখিত ও ব্যথিত হন। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট গিয়ে খাওয়া দাওয়া, সাজ গোজ ও উম্মে সুলাইমের সাথে তার সব বিষয়ের কথা বলেন। বর্ণনাকারী বলেন তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, তোমরা উভয়ে কি বাসর রাত যাপন করবে? তোমাদের সন্তান তো তোমাদের পাশেই আছে। সে বললো, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)। তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, আল্লাহ তোমাদের রাতটিতে বরকত দিন। সে রাতেই উম্মে সুলাইম অন্তঃসত্তা হলেন। এরপর তিনি একটি শিশু পুত্র সন্তান প্রসব করেন। সকাল বেলা আবূ তালহা আমাকে বললো, তাকে এক খণ্ড কাপড়ে জড়িয়ে নাও। শেষে তাকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে আসলাম। সাথে মদীনার আজওয়া খেজুর নিলাম। তখন আমি সন্তানকে কাপড়ে জড়িয়ে নিলাম এবং তার প্রতি কোন দয়া ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হলো না, (অর্থাৎ উম্মে সুলাইমের প্রতি নির্দেশ ছিল প্রথমে সন্তানের মুখে রাসূলের লালা দিয়ে খাওয়া শুরু করাবেন।) অতঃপর আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)। উম্মে সুলাইম একটি শিশু সন্তান প্রসব করেছে। রাসূল (ﷺ) বললেন, আল্লাহ্ মহান কি সন্তান দান করেছে? আমি বললাম, ছেলে। রাসূল (ﷺ) বললেন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, তাকে আমার কাছে নিয়ে এসো তখন তাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে দেওয়া হলো। রাসূল (ﷺ) তাকে চুমা দিয়ে আমাকে বললেন, তোমার কাছে কি আজওয়া খেজুর আছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। এরপর আমি কিছু বের করলাম এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি খেজুর নিলেন এবং তা নিজের মুখে দিয়ে চিবাতে লাগলেন। এরপর খেজুরটি লালার সাথে মিশ্রিত হলে তিনি তা শিশুর মুখে দিলেন। তখন শিশুটি খেজুরের স্বাদ পেলে এবং সে খেজুরের স্বাদ ও রাসূলের লালা চুষতে লাগলো। আনাস (রা) বলেন, এই প্রথম রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর মুখের লালা কোন শিশুর পেটে প্রবেশ করলো। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, দেখ, আনসারদের খেজুর প্রীতি। তখন তিনি তার নাম রাখলেন 'আবদুল্লাহ। তার থেকে বহু সন্তান জন্ম লাভ করে। (আবদুল্লাহর সাতজন সন্তান ছিল এবং সবাই কুরআনের হাফিয ছিল)
অন্য বর্ণনায় এগার জন সন্তান সবাই হাফিয ছিল। 'আবদুল্লাহ্ (রা) পারস্য যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেন।
كتاب الصبر والترغيب فيه وما أعده الله لصاحبه من الأجر العظيم والفضل الجسيم
باب قصة أم سليم مع زوجها أبي طلحة الأنصاري رضي الله عنهما عندما توفي ولدهما
عن أنس قال مات ابن لأبي طلحة (8) من أم سليم فقالت لأهلها لا تحدثوا أبا طلحة بابنه حتى أكون انا أحدثه قال فجاء فقربت إليه عشاءا فأكل وشرب قال ثم تصنعت له أحسن ما كانت تصنع قبل ذلك (9) فوقع بها فلما رأت أنه قد شبع وأصاب منها قالت يا أبا طلحة أرأيت أن قوماً أعاروا عاريتهم أهل بيت وطلبوا عاريتهم الهم أن يمنعوهم؟ قال لا (1) قالت فاحتسب ابنك فانطلق حتى أتى رسول الله صلى الله عليه وسلم فأخبره بما كان فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم بارك الله لكما في غابر (2) ليلتكما قال فحملت قال فكان رسول الله صلى الله عليه وسلم في سفر وهي معه وكان رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا أتى المدينة من سفر لا يطرقها طروقا (3) فدنوا من المدينة فضربها المخاض (4) واحتبس عليها أبو طلحة (5) وانطلق رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال أبو طلحة يا رب إنك لتعلم أنه يعجبني أن أخرج مع رسولك إذا خرج وادخل معه إذا دخل وقد احتبست بما ترى (6) قال تقول أم سليم يا أبا طلحة ما اجد الذي كنت أجد (7) فانطلقنا قال وضربها المخاض حين قدموا فولدت غلاما (8) فقالت لي أمي يا أنس لا يرضعنه أحد حتى تغدوا به على رسول الله صلى الله عليه وسلم قال فصادفته ومعه ميسم (9) فلما رآني قال لعل أم سليم ولدت؟ قلت نعم فوضع الميسم قال فجئت به فوضعته في حجره قال ودعا رسول الله صلى الله عليه وسلم بعجوة من عجوة المدينة فلاكها في فيه حتى ذابت ثم قذفها في الصبي (10) فجعل الصبي يتلمظ (11) فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم انظروا إلى حب الأنصار التمر قال فمسح وجهه وسماه عبد الله (12) (ومن طريق ثان) (13) (فر) عن ابن سيرين عن أنس بن مالك قال تزوج أبو طلحة من أم سليم وهي أم أنس (بن مالك) والبراء قال فولدت له بنيا قال فكان يحبه حبا شديدا قال فمرض الغلام مرضا شديدا فكان أبو طلحة يقوم صلاة الغداة يتوضأ ويأتي النبي صلى الله عليه وسلم فيصلي (14) معه ويكون معه إلى قريب من نصف النهار (15) ويجيئ يقيل ويأكل فإذا صلى الظهر تهيأ (16) وذهب فلم يجيئ إلى صلاة العتمة (17) قال فراح عشية ومات الصبي قال وجاء أبو طلحة قال نسجت عليه ثوبا وتركته (1) قال فقال لها أبو طلحة يا أم سليم كيف بيات بني الليلة؟ قالت يا أبا طلحة ما كان ابنك منذ اشتكى اسكن منه الليلة (2) قال ثم جاءته بالطعام فأكل وطابت نفسه قال فقام إلى فراشه فوضع رأسه قالت وقمت أنا فمسست شيئا من طيب ثم جئت حتى دخلت معه الفراش فما هو إلا أن وجد ريح الطيب كان منه ما يكون من الرجل إلى أهله قال ثم أصبح أبو طلحة يتهيأ كما كان يتهيأ كل يوم (3) قال فقالت له يا أبا طلحة أرأيت لو أن رجلا استودعك وديعة فاستمتعت بها ثم طلبها فأخذها منك تجزع من ذلك؟ قال لا قلت فإن ابنك قد مات قال أنس فجزع عليه جزعا شديدا وحدث رسول الله صلى الله عليه وسلم بما كان من أمرها في الطعام والطيب وما كان منه اليها قال فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم فبتما عروسين وهو إلى جنبكما؟ قال نعم يا رسول الله فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم بارك الله لكما في ليلتكما (4) قال فحملت أم سليم تلك الليلة قال فتلد غلاما قال فحين أصبحنا قال أبو طلحة احمله في خرقة حتى تأتي به رسول الله صلى الله عليه وسلم واحمل معك تمرة عجوة قال فحملته في خرقة قال ولم يحنك ولم يذق طعاما ولا شيئا (5) قال فقلت يا رسول الله ولدت أم سليم قال الله أكبر ما ولدت؟ قلت غلاما قال الحمد لله فقال هاته لي فدفعته إليه فحنكه (6) رسول الله صلى الله عليه وسلم ثم قال لي معك تمر عجوة؟ قلت نعم فأخرجت تمرات فأخذ رسول الله صلى الله عليه وسلم تمرة والقاها في فيه فمازال رسول الله صلى الله عليه وسلم يلوكها حتى اختلطت بريقه ثم دفعه الصبي فما هو إلا أن وجد الصبي حلاوة التمر جعل يمص بعض حلاوة التمر وريق رسول الله صلى الله عليه وسلم قال أنس فكان أول من فتح أمعاء ذلك الصبي على ريق رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم حب الأنصار التمر فسمي عبد الله بن طلحة قال فخرج منه رجل كثير (7) قال واستشهد عبد الله ‌بفارس
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭২
ধৈর্য ও এর প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং ধৈর্য অবলম্বনকারীর জন্য আল্লাহ্ বিরাট পুরস্কার ও গুরুত্বপূর্ণ মর্যাদা তৈরি করে রেখেছেন
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বাণী সবর তো প্রথম আঘাতের সময়ই হয়ে থাকে
৭২. ছাবিত ইবন বুনানী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এক ব্যক্তিকে বলতে শুনেছি, যে তার পরিবারের এক মহিলাকে লক্ষ্য করে বলছিল একে কি চিন? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দেখলেন, সে কবরের পাশে বসে কাঁদছে। তিনি তাকে বললেন, আল্লাহকে ভয় কর এবং সবর কর। সে তাঁকে বললো, আমাকে আমার কাজে ছেড়ে দিন, আপনি তা আমার মত বিপদে পড়েননি। আসলে মহিলাটি রাসূল (ﷺ)-কে চিনতে পারেনি। তখন তাকে বলা হলো, ইনি হচ্ছেন আল্লাহর রাসূল (ﷺ)। কথা শুনে তার অবস্থা মৃতের ন্যায় হয়ে গেল। তারপর সে রাসূল (ﷺ)-এর বাড়ীর দরজার সামনে আসে, তখন সেখানে কোন দারোয়ান দেখতে পেল না। এরপর সে বললো, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)। আমি আপনাকে চিনতে পারিনি। তখন নবী (ﷺ) বললেন, সবর তো প্রথম আঘাতের সময়ই হয়ে থাকে।
كتاب الصبر والترغيب فيه وما أعده الله لصاحبه من الأجر العظيم والفضل الجسيم
باب قول رسول الله صلى الله عليه وسلم ان الصبر عند الصدمة الأولى
عن ثابت البتانى قال سمعت انسا يقول لامرأة من أهله اتعرفين فلانه؟ فإن رسول الله صلى الله عليه وسلم مر بها وهي تبكي على قبر فقال لها اتقي الله واصبري فقالت له اياك عني فانك لا تبالي بمصيبتي قال ولم تكن عرفته فقيل لها إنه رسول الله صلى الله عليه وسلم فأخذ بها مثل الموت فجاءت إلى بابه فلم تجد عليه بوابا فقالت يا رسول الله اني لم أعرفك فقال ان الصبر عند أول صدمة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭৩
ধৈর্য ও এর প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং ধৈর্য অবলম্বনকারীর জন্য আল্লাহ্ বিরাট পুরস্কার ও গুরুত্বপূর্ণ মর্যাদা তৈরি করে রেখেছেন
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি বিপদের সময় কি বলবে
৭৩. উম্মে সালামা (রা) থেকে বর্ণিত আবু সালামা (রা) বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন বিপদে আপতিত হবে, তখন সে 'ইন্না লিল্লাহি ওয়া-ইন্না ইলায়হি রাজিয়ুন পড়বে'। হে আল্লাহ্! তোমার কাছে আমি বিপদের ছাওয়াব প্রার্থনা করছি, তুমি আমাকে এর প্রতিদান দাও, এর পরিবর্তে তুমি আমাকে কল্যাণ দান কর। যখন আবূ সালামা মৃত্যুবরণ করেন, তখন আল্লাহ্ এরপরই আমার পরিবারকে উত্তম প্রতিদান দিয়ে ধন্য করেন।
অন্য বর্ণনায়, উম্মে সালামা (রা) থেকে আরো বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল (ﷺ) কে বলতে শুনেছি: কোন মানুষের উপর যখন কোন বিপদ আসে, তখন যদি সে বলে, "ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজিউন", হে আল্লাহ্। আমাকে বিপদে ধৈর্যধারণ ক্ষমতা দাও এবং উত্তম প্রতিদান দান কর। তখন এর বিনিময়ে আল্লাহ্ তাকে ধৈর্য ও উত্তম প্রতিদান দিবেন। উম্মে সালামা (রা) বলেন, যখন আবু সালামার ইন্তিকাল হলো, তখন আমি বললাম, রাসূলের সাহাবী আবু সালামা (রা) থেকে আর কে ভাল হতে পারে? তারপর আল্লাহ আমার ইচ্ছাকে সুদৃঢ় করে দিলেন। তখন আমি দু'আটি পড়লাম, হে আল্লাহ্। আমাকে বিপদে ধৈর্যধারণের ক্ষমতা দাও এবং উত্তম প্রতিদান দান কর। তিনি বলেন, তারপর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই।
অন্য বর্ণনায়, হুসায়ন ইবনে 'আলী (রা) থেকে বর্ণিত। তখন কোন মুসলমান পুরুষ বা নারী বিপদে পতিত হয়, তখন সে যেন এই দু'আটি পড়ে; যদি ও ঐ আমলের ছাওয়াব পেতে বিলম্ব হয়।
অন্য শব্দে: আসতে দেরী হয়। তবে বিপদের সময় সে যেন إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ পড়ে। তাহলে আল্লাহ্ বিপদের সময় সে যে কষ্ট পেয়েছে, তাকে সে পরিমাণ পুরস্কার প্রদান করবেন
كتاب الصبر والترغيب فيه وما أعده الله لصاحبه من الأجر العظيم والفضل الجسيم
باب ما يقول المصاب عن المصيبة
عن أم سلمة أن أبا سلمة حدثها عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال إذا اصابت أحدكم مصيبة فليقل إنا لله وإنا اليه راجعون اللهم عندك احتسب مصيبتي فآجرني فيها (2) وابدلني بها خيرا منها فلما قبض أبو سلمة خلفني الله عز وجل في أهلي خيرا منه
(وعنها أيضا) (3) قالت سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ما من عبد تصيبه مصيبة فيقول إنا لله وانا اليه راجعون اللهم اؤجرني في مصيبتي وأخلف لي خيرا منها الا أجره الله في مصيبته واخلف له خيرا منها قالت فلما توفي أبو سلمة قلت من خير من أبي سلمة صاحب رسول الله صلى الله عليه وسلم قالت ثم عزم الله عز وجل لي فقلتها اللهم أؤجرني في مصيبتي واخلف لي خيرا منها قالت فتزوجت رسول الله صلى الله عليه وسلم
(عن الحسين بن علي) (4) رضي الله عنهما عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ما من مسلم ولا مسلمة يصاب بمصيبة فيذكرها وان طال عهدها (وفي لفظ) وان قدم عهدها فيحدث لذلك استرجاعا (5) الا جدد الله له عند ذلك فأعطاه مثل اجرها يوم اصيب بها
tahqiq

তাহকীক: