ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার

فقه السنن و الآثار (أدلة السادات الاحناف)

৩. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১১৭৪
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কবর যিয়ারতের মর্যাদা, আদব এবং এজন্য সফর করা
(১১৭৪) ইবন উমার রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার কবর যিয়ারত করবে তার জন্য আমার শাফাআত প্রাপ্য হবে।
عن ابن عمر رضي الله عنهما قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من زار قبري وجبت له شفاعتي
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৭৫
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কবর যিয়ারতের মর্যাদা, আদব এবং এজন্য সফর করা
(১১৭৫) ইবন উমার রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি শুধুমাত্র আমার যিয়ারতের উদ্দেশ্যেই আমার নিকট যিয়ারতে আসবে তার জন্য আল্লাহর উপর দায়িত্ব হবে যে, আমি তার শাফাআতকারী হব।
عن ابن عمر رضي الله عنهما مرفوعا: من جاءني زائرا لا تهمه إلا زيارتي كان حقا على الله أن أكون له شفيعا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৭৬
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কবর যিয়ারতের মর্যাদা, আদব এবং এজন্য সফর করা
(১১৭৬) দাউদ ইবন আবু সালিহ নামক তাবিয়ি বলেন, মদীনার প্রশাসক (৪২-৪৯ হি.) মারওয়ান ইবনুল হাকাম এসে দেখতে পান যে একব্যক্তি রাওযা শরীফের (আয়িশা রা.র বাসগৃহের**) দেয়ালে মুখ ঠেকিয়ে রয়েছেন। মারওয়ান তার ঘাড় ধরেন এবং বলেন, তুমি কি জান যে, তুমি কী করছ? তিনি বলেন, হ্যাঁ এবং তিনি মারওয়ানের দিকে মুখ ফেরান। দেখা গেল যে, তিনি আবু আইউব আনসারি রা. (মৃ: ৫০ হি.)। তখন তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যিয়ারতে এসেছি, পাথরের কাছে আসি নি । আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, যখন দ্বীনের দায়িত্ব যোগ্য মানুষেরা গ্রহণ করবে তখন তোমরা দ্বীনের জন্য কাঁদবে না। কিন্তু যখন অযোগ্য মানুষেরা দায়িত্ব গ্রহণ করবে তখন দ্বীনের জন্য কাঁদবে।
عن داود بن أبي صالح قال: أقبل مروان يوما فوجد رجلا واضعا وجهه على القبر فأخذ برقبته وقال: أتدري ما تصنع؟ قال: نعم فأقبل عليه فإذا هو أبو أيوب الأنصاري رضي الله عنه فقال: جنت رسول الله صلى الله عليه وسلم ولم آت الحجر سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: لا تبكوا على الدين إذا وليه أهله ولكن ابكوا عليه إذا وليه غير أهله
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:১১৭৭
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কবর যিয়ারতের মর্যাদা, আদব এবং এজন্য সফর করা
(১১৭৭) আবু দারদা রা. থেকে বর্ণিত, উমার রা. সিরিয়া জয় করলে বিলাল (মৃ: ২০ হি) সিরিয়ায় অবস্থানের অনুমতি চান। উমার রা. অনুমতি দিলে বিলাল সিরিয়ার ‘দারিইয়া' নামক স্থানে বসবাস শুরু করেন । অতঃপর তিনি স্বপ্ন দেখেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বলছেন, হে বিলাল, এ কী প্রকারের দূরবর্তীতা! আমাকে দেখতে আসার সময় কি তোমার হল না? বিলাল বেদনার্ত হয়ে ঘুম থেকে উঠেন। তিনি তার বাহনে আরোহণ করে মদীনায় আগমন করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর রাওযা মুবারাকার কাছে (আয়িশা রা.র বাসগৃহের বাইরে) এসে কাঁদতে থাকেন এবং ধুলায় মুখ লুটাতে থাকেন। তখন হাসান ও হুসাইন এগিয়ে আসেন। তিনি তাদেরকে চুমু খেতে থাকেন।
عن أبي الدرداء رضي الله عنه قال: لما دخل عمر الشام سأل بلال أن يقره به ففعل فنزل بداريا... ثم إن بلالًا رأى النبي صلى الله عليه وسلم في منامه وهو يقول ما هذه الجفوة يا بلال أما آن لك أن تزورني؟ فانتبه حزينا وركب راحلته وقصد المدينة فأتى قبر النبي صلى الله عليه وسلم فجعل يبكي عنده ويمرغ وجهه عليه فأقبل الحسن والحسين فجعل يضمهما ويقبلهما
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৭৮
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কবর যিয়ারতের মর্যাদা, আদব এবং এজন্য সফর করা
(১১৭৮) ইবন উমার রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন সুন্নত হল, তুমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কবরে আসবে কিবলার দিক থেকে এবং তুমি তোমার পিঠ কিবলার দিকে দিবে এবং কবরের দিকে মুখ রাখবে, অতঃপর বলবে, 'হে নবী, আপনার উপর সালাম এবং আল্লাহর রহমত ও তাঁর বরকতসমূহ' । (তালহা ইবন মুহাম্মাদ মুসনাদ আবু হানীফায়। সুবকি বলেন, প্রসিদ্ধ আছে যে, উমার ইবন আব্দুল আযীয সিরিয়া থেকে মদীনায় ডাক নিয়ে লোক পাঠালে তাকে বলতেন, আমার পক্ষ থেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে সালাম দিবে)
عن ابن عمر رضي الله عنه أنه قال: من السنة أن تأتي قبر النبي صلى الله عليه وسلم من قبل القبلة وتجعل ظهرك إلى القبلة وتستقبل القبر بوجهك ثم تقول: السلام عليك أيها النبي ورحمة الله وبركاته
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান