ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার

৩. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ১১৭৬
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কবর যিয়ারতের মর্যাদা, আদব এবং এজন্য সফর করা
(১১৭৬) দাউদ ইবন আবু সালিহ নামক তাবিয়ি বলেন, মদীনার প্রশাসক (৪২-৪৯ হি.) মারওয়ান ইবনুল হাকাম এসে দেখতে পান যে একব্যক্তি রাওযা শরীফের (আয়িশা রা.র বাসগৃহের**) দেয়ালে মুখ ঠেকিয়ে রয়েছেন। মারওয়ান তার ঘাড় ধরেন এবং বলেন, তুমি কি জান যে, তুমি কী করছ? তিনি বলেন, হ্যাঁ এবং তিনি মারওয়ানের দিকে মুখ ফেরান। দেখা গেল যে, তিনি আবু আইউব আনসারি রা. (মৃ: ৫০ হি.)। তখন তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যিয়ারতে এসেছি, পাথরের কাছে আসি নি । আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, যখন দ্বীনের দায়িত্ব যোগ্য মানুষেরা গ্রহণ করবে তখন তোমরা দ্বীনের জন্য কাঁদবে না। কিন্তু যখন অযোগ্য মানুষেরা দায়িত্ব গ্রহণ করবে তখন দ্বীনের জন্য কাঁদবে।
عن داود بن أبي صالح قال: أقبل مروان يوما فوجد رجلا واضعا وجهه على القبر فأخذ برقبته وقال: أتدري ما تصنع؟ قال: نعم فأقبل عليه فإذا هو أبو أيوب الأنصاري رضي الله عنه فقال: جنت رسول الله صلى الله عليه وسلم ولم آت الحجر سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: لا تبكوا على الدين إذا وليه أهله ولكن ابكوا عليه إذا وليه غير أهله

হাদীসের ব্যাখ্যা:

আয়িশা রা.র বসতগৃহ ছিল কমবেশি ১০ হাত দ্ধ ৮ হাত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এই ঘরের মধ্যে ইন্তিকাল করেন এবং এখানেই তাঁকে দাফন করা হয়। দাফনের পরেও আয়িশা রা. সেখানেই বসবাস করতেন। পরে ১৩ হিজরিতে আবু বাকর রা. ও ২৩ হিজরিতে উমার রা.র ওফাতের পরে তাদেরকেও সেখানে দাফন করা হয়। এই ঘরের মধ্যে কবরগুলোর পাশেই আয়িশা রা. প্রায় ৫০ বৎসর জীবনযাপনের পর ৫৮ হিজরিতে মুয়াবিআ রা.র শাসনামলে ইন্তিকাল করেন। তার ইন্তিকালের পরে তা শুধুমাত্র রওয়া হিসাবে সংরক্ষিত হয়। (অনুবাদক)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান